ফারুক মেহেদী
আজকের পত্রিকা: মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি মূলত কাদের নিয়ে কাজ করে?
মো. ফসিউল্লাহ: ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক দক্ষ ও টেকসই ক্ষুদ্রঋণ খাত বিনির্মাণে সরকার মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) প্রতিষ্ঠা করে। এর আওতায় গ্রামীণ ব্যাংকসহ ৭৪৬টি ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান দেশের প্রায় ৪ কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবা প্রদান করছে। এর তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ২১ হাজার শাখার মাধ্যমে প্রায় ৩ কোটি ৩৩ লাখ গ্রাহকসুবিধা পাচ্ছে। এরা বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়। আদায়ের হার ৯৭ শতাংশ। আর সঞ্চয় জমা করে প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা।
আজকের পত্রিকা: সংস্থাটির মূল কাজ কী?
মো. ফসিউল্লাহ: এমআরএর প্রধান কাজ হলো ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে সনদ দেওয়া, প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন ও অনিয়ম-অসংগতির সমাধান করা। এ ছাড়া ক্ষুদ্রঋণ খাতের জন্য নীতিমালা তৈরি ও বাস্তবায়ন, গ্রাহক স্বার্থবিরোধী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া, দেশি-বিদেশি ঋণদানকারী সংস্থা বা ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার যোগ্যতাবিষয়ক প্রত্যয়ন প্রদান এবং পুঁজিবাজার থেকে তহবিল সংগ্রহে অনুমতি দিয়ে থাকে। পাশাপাশি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণ, রেমিট্যান্স, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবা, এজেন্ট ব্যাংকিং ইত্যাদি পরিচালনায় অনাপত্তি দেওয়া, মেয়াদি আমানত গ্রহণে অনুমোদন দেওয়া, তাদের ক্ষুদ্রঋণবহির্ভূত বিভিন্ন ধরনের আয়বর্ধক কাজের অনুমতি দেওয়ার কাজও করে এমআরএ।
আজকের পত্রিকা: বর্তমানে দেশের ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম কেমন চলছে?
মো. ফসিউল্লাহ: করোনার মারাত্মক প্রভাব ক্ষুদ্রঋণ খাতেও পড়েছে। এ অবস্থায় তারা করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে ঋণ কার্যক্রম ও তদারকি জোরদার করা, গ্রাহকদের পুনঃঅর্থায়ন, ঋণের কিস্তি নিয়মিতকরণ, পরিচালনব্যয় কমানোসহ এ খাতের স্থিতিশীলতা বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি এরা সামাজিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্যানিটেশন ইত্যাদি সেবা দিয়ে থাকে।
আজকের পত্রিকা: তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে এমআরএর অবস্থান কী?
মো. ফসিউল্লাহ: এমআরএ গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণকে সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে থাকে। ফলে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অথরিটিতে একটি অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। ওই কমিটি অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পাশাপাশি এমআরএ এবং সরকার কর্তৃক সার্ভিস চার্জের সর্বোচ্চ হার, সঞ্চয়ের বিপরীতে ন্যূনতম মুনাফা ইত্যাদি নির্ধারণ করে দেওয়াসহ গ্রাহকস্বার্থ সংরক্ষণে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত সরেজমিনে পরিদর্শন ও নজরদারি করে থাকে।
আজকের পত্রিকা: ঋণগ্রহীতারা কি স্বাবলম্বী হতে পারছে? সুদ ও ঋণ আদায় নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
মো. ফসিউল্লাহ: ঋণের টাকার যথাযথ বিনিয়োগ ও এর ব্যবহার বিষয়ে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হয়। ফলে গ্রহীতারা ঋণকে যথাযথ ব্যবহার করে অধিক কর্মসংস্থান বা আয় বৃদ্ধি করতে পারে। এভাবে গ্রাহকেরা নিজেদের জীবনে সচ্ছলতা আনছেন। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানসমূহের আর্থিক, প্রশাসনিক ও অন্যান্য ব্যয় এবং ঋণ ক্ষতি সঞ্চিতি ইত্যাদি পর্যালোচনা করে এমআরএ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে থাকে। বর্তমানে যে আদায় প্রক্রিয়া তা অনেকটাই সহনীয়। ব্যয় কমিয়ে এবং কার্যক্রম পরিচালনায় সাশ্রয়ী হওয়ার মাধ্যমে বিদ্যমান সার্ভিস চার্জ আরও কমিয়ে আনার উদ্যোগ চলমান রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমকে আরও জনবান্ধব, উন্নয়নমুখী করার উপায় কী?
মো. ফসিউল্লাহ: ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমকে আরও জনবান্ধব ও উন্নয়নমুখী এবং টেকসই করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ খাতে তহবিল সংকট নিরসনে জোর দেওয়া হচ্ছে। যাতে ক্ষুদ্রঋণ গ্রাহকদের আরও কম সার্ভিস চার্জে ঋণ দেওয়া যায়। ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমকে পুরো ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনার কাজ চলছে। এর ফলে তাদের কাজকে আরও জনবান্ধব ও উন্নয়নমুখী করা সম্ভব হবে।
আজকের পত্রিকা: মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি মূলত কাদের নিয়ে কাজ করে?
মো. ফসিউল্লাহ: ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে দারিদ্র্য বিমোচন ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক দক্ষ ও টেকসই ক্ষুদ্রঋণ খাত বিনির্মাণে সরকার মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) প্রতিষ্ঠা করে। এর আওতায় গ্রামীণ ব্যাংকসহ ৭৪৬টি ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান দেশের প্রায় ৪ কোটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবা প্রদান করছে। এর তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ২১ হাজার শাখার মাধ্যমে প্রায় ৩ কোটি ৩৩ লাখ গ্রাহকসুবিধা পাচ্ছে। এরা বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়। আদায়ের হার ৯৭ শতাংশ। আর সঞ্চয় জমা করে প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা।
আজকের পত্রিকা: সংস্থাটির মূল কাজ কী?
মো. ফসিউল্লাহ: এমআরএর প্রধান কাজ হলো ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে সনদ দেওয়া, প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন ও অনিয়ম-অসংগতির সমাধান করা। এ ছাড়া ক্ষুদ্রঋণ খাতের জন্য নীতিমালা তৈরি ও বাস্তবায়ন, গ্রাহক স্বার্থবিরোধী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া, দেশি-বিদেশি ঋণদানকারী সংস্থা বা ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার যোগ্যতাবিষয়ক প্রত্যয়ন প্রদান এবং পুঁজিবাজার থেকে তহবিল সংগ্রহে অনুমতি দিয়ে থাকে। পাশাপাশি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণ, রেমিট্যান্স, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবা, এজেন্ট ব্যাংকিং ইত্যাদি পরিচালনায় অনাপত্তি দেওয়া, মেয়াদি আমানত গ্রহণে অনুমোদন দেওয়া, তাদের ক্ষুদ্রঋণবহির্ভূত বিভিন্ন ধরনের আয়বর্ধক কাজের অনুমতি দেওয়ার কাজও করে এমআরএ।
আজকের পত্রিকা: বর্তমানে দেশের ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম কেমন চলছে?
মো. ফসিউল্লাহ: করোনার মারাত্মক প্রভাব ক্ষুদ্রঋণ খাতেও পড়েছে। এ অবস্থায় তারা করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে ঋণ কার্যক্রম ও তদারকি জোরদার করা, গ্রাহকদের পুনঃঅর্থায়ন, ঋণের কিস্তি নিয়মিতকরণ, পরিচালনব্যয় কমানোসহ এ খাতের স্থিতিশীলতা বজায় রেখে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি এরা সামাজিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্যানিটেশন ইত্যাদি সেবা দিয়ে থাকে।
আজকের পত্রিকা: তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে এমআরএর অবস্থান কী?
মো. ফসিউল্লাহ: এমআরএ গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণকে সব সময় সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে থাকে। ফলে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অথরিটিতে একটি অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। ওই কমিটি অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। পাশাপাশি এমআরএ এবং সরকার কর্তৃক সার্ভিস চার্জের সর্বোচ্চ হার, সঞ্চয়ের বিপরীতে ন্যূনতম মুনাফা ইত্যাদি নির্ধারণ করে দেওয়াসহ গ্রাহকস্বার্থ সংরক্ষণে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত সরেজমিনে পরিদর্শন ও নজরদারি করে থাকে।
আজকের পত্রিকা: ঋণগ্রহীতারা কি স্বাবলম্বী হতে পারছে? সুদ ও ঋণ আদায় নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
মো. ফসিউল্লাহ: ঋণের টাকার যথাযথ বিনিয়োগ ও এর ব্যবহার বিষয়ে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হয়। ফলে গ্রহীতারা ঋণকে যথাযথ ব্যবহার করে অধিক কর্মসংস্থান বা আয় বৃদ্ধি করতে পারে। এভাবে গ্রাহকেরা নিজেদের জীবনে সচ্ছলতা আনছেন। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানসমূহের আর্থিক, প্রশাসনিক ও অন্যান্য ব্যয় এবং ঋণ ক্ষতি সঞ্চিতি ইত্যাদি পর্যালোচনা করে এমআরএ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে থাকে। বর্তমানে যে আদায় প্রক্রিয়া তা অনেকটাই সহনীয়। ব্যয় কমিয়ে এবং কার্যক্রম পরিচালনায় সাশ্রয়ী হওয়ার মাধ্যমে বিদ্যমান সার্ভিস চার্জ আরও কমিয়ে আনার উদ্যোগ চলমান রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমকে আরও জনবান্ধব, উন্নয়নমুখী করার উপায় কী?
মো. ফসিউল্লাহ: ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমকে আরও জনবান্ধব ও উন্নয়নমুখী এবং টেকসই করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ খাতে তহবিল সংকট নিরসনে জোর দেওয়া হচ্ছে। যাতে ক্ষুদ্রঋণ গ্রাহকদের আরও কম সার্ভিস চার্জে ঋণ দেওয়া যায়। ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমকে পুরো ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনার কাজ চলছে। এর ফলে তাদের কাজকে আরও জনবান্ধব ও উন্নয়নমুখী করা সম্ভব হবে।
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪