জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমাজ’ এর আহ্বায়ক ও ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. পারভীন জলী। পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নেন বেলাল হোসেন।
বেলাল হোসেন , জাবি
আজকের পত্রিকা: ‘ধর্ষক কোনো ছাত্রসংগঠনের না’ বহুল প্রচলিত এ ভাষ্যকে কীভাবে দেখেন?
ড. পারভীন জলী: ধর্ষণের পর থেকেই ধর্ষকের সাংগঠনিক পরিচয় আড়াল করতে একটি মহল ব্যস্ত। অনেকে আবার ভয়ে কিংবা বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে ধর্ষকের সাংগঠনিক পরিচয় নিয়ে কথা বলছেন না। এ ধরনের তৎপরতা খোদ নিপীড়নের মূল উৎসকে আড়াল করে। ছাত্রসংগঠনের কোনো সদস্য যখন ভালো কিছু করে, তা সবাই মিলে উদ্যাপন করে। কিন্তু কেউ নিপীড়ন করলে বা নিপীড়ন ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে সংগঠন কোনো ধরনের দায়িত্ব নিতে চায় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংগঠনগুলো তার নিপীড়ক সদস্যের নিপীড়নের ঘটনা আড়াল করে, তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। আমাদের মনে রাখা জরুরি, ধর্ষকের সাংগঠনিক পরিচয় আড়াল করলে নিপীড়নের বলয়কে স্পষ্টভাবে বোঝা সম্ভব নয়।
আজকের পত্রিকা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত নিপীড়নের ঘটনা, নারীর অধিকার আন্দোলনের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যকে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে?
ড. পারভীন জলী: আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গত কয়েক বছরে ধর্ষক, নিপীড়ক, মাদক কারবারি, র্যাগ দেওয়া শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের তৎপরতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চপর্যায়ের প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল ও মেধাবী শিক্ষকদের বাইরে রাখা হচ্ছে। বর্তমানে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা অনেক শিক্ষকই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন, অনেকে আবার প্রশাসক হিসেবে অত্যন্ত দুর্বল। এ শিক্ষকদের অনেকেই কেবল দলীয় লেজুড়বৃত্তির কারণেই দায়িত্ব পাচ্ছেন। ফলে দুর্বল ও নতজানু প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জাহাঙ্গীরনগরে নিপীড়নের ঘটনা অনেক বেড়েছে। এতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
আজকের পত্রিকা: আপনি কি মনে করেন চলমান ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান ক্ষমতা কাঠামোকে নিপীড়নের পৃষ্ঠপোষণ থেকে নিবৃত্ত রাখতে পারবে?
ড. পারভীন জলী: চলমান আন্দোলনের মাধ্যমে যদি ক্ষমতা কাঠামোতে একটি বড় পরিবর্তন আনা যায়, তাহলে নিপীড়নের পৃষ্ঠপোষকতা কমবে। নানা সময়ে বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত শিক্ষকেরা যত দায়িত্বপূর্ণ পদে থাকবেন, অন্যায় তত বাড়বে।
আজকের পত্রিকা: বহিরাগতের প্রবেশ-সংক্রান্ত যে নির্দেশনা জরুরি সিন্ডিকেট দিয়েছে, সেটি কি ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবে? আর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বহিরাগত তকমা দেওয়াকে আপনি কীভাবে দেখেন?
ড. পারভীন জলী: সর্বজনের বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ জনগণের প্রবেশাধিকার থাকতে হবে এটা যেমন ঠিক; তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়কে পিকনিক স্পষ্ট বানিয়ে ফেলাও কাম্য নয়। শিক্ষা ও গবেষণার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে বহিরাগতদের ব্যাপারে যৌক্তিক নির্দেশনা থাকা জরুরি। তবে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই, প্রাক্তনদের বহিরাগত তকমা দেওয়া অনুচিত, তাঁরা এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই অংশ। তবে বর্তমান শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ বিঘ্নিত করে, প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করে, এমন আয়োজন থেকে প্রাক্তন ও বর্তমানদের বিরত থাকা উচিত।
আজকের পত্রিকা: এই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল থেকে বিতাড়নের কথা উঠেছে। অথচ প্রশাসন কি নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এসব শিক্ষার্থীকে প্রতিবছর সেশনভিত্তিক বিদায় দিতে পারে না? না পারলে মূল প্রতিবন্ধকতাগুলো কোথায়?
ড. পারভীন জলী: প্রশাসনের উচিত নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে যথাসময়ে নতুন শিক্ষার্থীদের হলে আসন নিশ্চিত করা ও পুরোনোদের সিট ছাড়তে ব্যবস্থা নেওয়া; কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রশাসন তা করে না। কারণ ক্ষমতাশীল ছাত্রসংগঠনের নেতারা যেহেতু সাধারণ শিক্ষার্থীদের দমন করতে এসব মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে ব্যবহার করেন, তাই প্রশাসন নিজেদের ক্ষমতার স্বার্থেই ক্ষমতাশীল ছাত্রনেতাদের কাছে নতজানু আচরণ করে।
আজকের পত্রিকা: আপাতত ও দীর্ঘ মেয়াদে এই আন্দোলন থেকে কী ধরনের ফল প্রত্যাশা করেন?
ড. পারভীন জলী: আমরা নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ থেকে বেশ কিছু দাবি জানিয়েছি। উপাচার্যকে সেগুলো মৌখিক ও লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে ধর্ষক ও তাঁর সহযোগীদের রাষ্ট্রীয় আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, ধর্ষক ও তাঁর সহযোগিতাকারীদের সনদ ও ছাত্রত্ব বাতিল করা, ধর্ষককে পালিয়ে যেতে প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের সম্পৃক্ততা তদন্ত করা এবং এই হলসহ অন্যান্য হলে নিপীড়ন বন্ধে প্রভোস্টদের নির্লিপ্ততা রয়েছে কি না তা তদন্ত করা, ক্যাম্পাসে মাদক সেবন ও মাদক সরবরাহের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
আজকের পত্রিকা: বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারণ ছাত্র মোস্তাফিজের ধর্ষক হয়ে ওঠার পেছনে মৌলিক কারণ কী? একজন শিক্ষার্থীকে ধর্ষক কিংবা মাদক কারবারি হওয়া থেকে রক্ষা করতে বর্তমান শিক্ষকদের ভূমিকা কি পর্যাপ্ত বলে মনে করেন?
ড. পারভীন জলী: মোস্তাফিজের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীকে ধর্ষক ও মাদক কারবারি বানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা কাঠামো, যাতে ক্ষমতাবান শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই যুক্ত থাকেন। এ কাঠামোয় সম্পৃক্ত থেকে মোস্তাফিজ জেনে যান, তিনি অপরাধ করলে বাঁচানোর জন্য অনেকেই তাঁর পাশে দাঁড়াবেন। তা ছাড়া শিক্ষার্থীদের সঠিক পথ দেখাতে শিক্ষকেরা ব্যর্থ।
আরও পড়ুন:
আজকের পত্রিকা: ‘ধর্ষক কোনো ছাত্রসংগঠনের না’ বহুল প্রচলিত এ ভাষ্যকে কীভাবে দেখেন?
ড. পারভীন জলী: ধর্ষণের পর থেকেই ধর্ষকের সাংগঠনিক পরিচয় আড়াল করতে একটি মহল ব্যস্ত। অনেকে আবার ভয়ে কিংবা বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে ধর্ষকের সাংগঠনিক পরিচয় নিয়ে কথা বলছেন না। এ ধরনের তৎপরতা খোদ নিপীড়নের মূল উৎসকে আড়াল করে। ছাত্রসংগঠনের কোনো সদস্য যখন ভালো কিছু করে, তা সবাই মিলে উদ্যাপন করে। কিন্তু কেউ নিপীড়ন করলে বা নিপীড়ন ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে সংগঠন কোনো ধরনের দায়িত্ব নিতে চায় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংগঠনগুলো তার নিপীড়ক সদস্যের নিপীড়নের ঘটনা আড়াল করে, তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। আমাদের মনে রাখা জরুরি, ধর্ষকের সাংগঠনিক পরিচয় আড়াল করলে নিপীড়নের বলয়কে স্পষ্টভাবে বোঝা সম্ভব নয়।
আজকের পত্রিকা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত নিপীড়নের ঘটনা, নারীর অধিকার আন্দোলনের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যকে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে?
ড. পারভীন জলী: আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গত কয়েক বছরে ধর্ষক, নিপীড়ক, মাদক কারবারি, র্যাগ দেওয়া শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের তৎপরতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চপর্যায়ের প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবেদনশীল ও মেধাবী শিক্ষকদের বাইরে রাখা হচ্ছে। বর্তমানে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা অনেক শিক্ষকই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন, অনেকে আবার প্রশাসক হিসেবে অত্যন্ত দুর্বল। এ শিক্ষকদের অনেকেই কেবল দলীয় লেজুড়বৃত্তির কারণেই দায়িত্ব পাচ্ছেন। ফলে দুর্বল ও নতজানু প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জাহাঙ্গীরনগরে নিপীড়নের ঘটনা অনেক বেড়েছে। এতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যকে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
আজকের পত্রিকা: আপনি কি মনে করেন চলমান ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান ক্ষমতা কাঠামোকে নিপীড়নের পৃষ্ঠপোষণ থেকে নিবৃত্ত রাখতে পারবে?
ড. পারভীন জলী: চলমান আন্দোলনের মাধ্যমে যদি ক্ষমতা কাঠামোতে একটি বড় পরিবর্তন আনা যায়, তাহলে নিপীড়নের পৃষ্ঠপোষকতা কমবে। নানা সময়ে বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত শিক্ষকেরা যত দায়িত্বপূর্ণ পদে থাকবেন, অন্যায় তত বাড়বে।
আজকের পত্রিকা: বহিরাগতের প্রবেশ-সংক্রান্ত যে নির্দেশনা জরুরি সিন্ডিকেট দিয়েছে, সেটি কি ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবে? আর প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বহিরাগত তকমা দেওয়াকে আপনি কীভাবে দেখেন?
ড. পারভীন জলী: সর্বজনের বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ জনগণের প্রবেশাধিকার থাকতে হবে এটা যেমন ঠিক; তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়কে পিকনিক স্পষ্ট বানিয়ে ফেলাও কাম্য নয়। শিক্ষা ও গবেষণার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে বহিরাগতদের ব্যাপারে যৌক্তিক নির্দেশনা থাকা জরুরি। তবে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই, প্রাক্তনদের বহিরাগত তকমা দেওয়া অনুচিত, তাঁরা এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই অংশ। তবে বর্তমান শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পরিবেশ বিঘ্নিত করে, প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করে, এমন আয়োজন থেকে প্রাক্তন ও বর্তমানদের বিরত থাকা উচিত।
আজকের পত্রিকা: এই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল থেকে বিতাড়নের কথা উঠেছে। অথচ প্রশাসন কি নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এসব শিক্ষার্থীকে প্রতিবছর সেশনভিত্তিক বিদায় দিতে পারে না? না পারলে মূল প্রতিবন্ধকতাগুলো কোথায়?
ড. পারভীন জলী: প্রশাসনের উচিত নিয়মিত তদারকির মাধ্যমে যথাসময়ে নতুন শিক্ষার্থীদের হলে আসন নিশ্চিত করা ও পুরোনোদের সিট ছাড়তে ব্যবস্থা নেওয়া; কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রশাসন তা করে না। কারণ ক্ষমতাশীল ছাত্রসংগঠনের নেতারা যেহেতু সাধারণ শিক্ষার্থীদের দমন করতে এসব মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীকে ব্যবহার করেন, তাই প্রশাসন নিজেদের ক্ষমতার স্বার্থেই ক্ষমতাশীল ছাত্রনেতাদের কাছে নতজানু আচরণ করে।
আজকের পত্রিকা: আপাতত ও দীর্ঘ মেয়াদে এই আন্দোলন থেকে কী ধরনের ফল প্রত্যাশা করেন?
ড. পারভীন জলী: আমরা নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ থেকে বেশ কিছু দাবি জানিয়েছি। উপাচার্যকে সেগুলো মৌখিক ও লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে ধর্ষক ও তাঁর সহযোগীদের রাষ্ট্রীয় আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, ধর্ষক ও তাঁর সহযোগিতাকারীদের সনদ ও ছাত্রত্ব বাতিল করা, ধর্ষককে পালিয়ে যেতে প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের সম্পৃক্ততা তদন্ত করা এবং এই হলসহ অন্যান্য হলে নিপীড়ন বন্ধে প্রভোস্টদের নির্লিপ্ততা রয়েছে কি না তা তদন্ত করা, ক্যাম্পাসে মাদক সেবন ও মাদক সরবরাহের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
আজকের পত্রিকা: বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাধারণ ছাত্র মোস্তাফিজের ধর্ষক হয়ে ওঠার পেছনে মৌলিক কারণ কী? একজন শিক্ষার্থীকে ধর্ষক কিংবা মাদক কারবারি হওয়া থেকে রক্ষা করতে বর্তমান শিক্ষকদের ভূমিকা কি পর্যাপ্ত বলে মনে করেন?
ড. পারভীন জলী: মোস্তাফিজের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীকে ধর্ষক ও মাদক কারবারি বানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা কাঠামো, যাতে ক্ষমতাবান শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই যুক্ত থাকেন। এ কাঠামোয় সম্পৃক্ত থেকে মোস্তাফিজ জেনে যান, তিনি অপরাধ করলে বাঁচানোর জন্য অনেকেই তাঁর পাশে দাঁড়াবেন। তা ছাড়া শিক্ষার্থীদের সঠিক পথ দেখাতে শিক্ষকেরা ব্যর্থ।
আরও পড়ুন:
ইউনিক গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত হোসেন। পর্যটনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মনজুরুল ইসলাম।
০৩ অক্টোবর ২০২৪বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, সুফি এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কোনো বিভাজনমূলক এজেন্ডায় রাজনীতির দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহৃত না হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা দৃঢ়ভাবে কোনো সাম্প্রদায়িক ফাঁদে আটকা পড়তে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪‘আমি এটাকে ঠিক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ বলব না। আমি এটাকে বলব, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, সেটা আমার পারিবারিক শিক্ষা। আমাদের ঘরের ডাইনিং টেবিল থেকে শুরু করে যেকোনো ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পরিবারের বড়দের সাথে আমরা দ্বিমত পোষণ করতে পেরেছি। ছোট থেকে বড়, কারও কোনো কথা বা কাজ ভুল মনে হলে সেটাকে আমরা তার প্রতি স
৩১ আগস্ট ২০২৪একেক মানুষ বেছে নেন একেক পেশা। তাঁদের মধ্যে কারও কারও পেশা একটু ভিন্ন ধরনের। যেমন—মো. মুনসুর আলী ওরফে মন্টু খলিফা। বাপ-দাদার পেশাকে ভালোবেসে শিশুদের খতনা করানো বা হাজামের কাজ বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। জীবনে পার করেছেন প্রায় ৮৫ বছর। জানিয়েছেন গত ৬০ বছরে ২ লাখের বেশি শিশুর মুসলমানি বা সুন্নতে খতনা দিয়
৩০ মার্চ ২০২৪