হিমায়িত মাছ রপ্তানি কমেছে ৭৫ শতাংশ

আজকের পত্রিকা
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২১, ১১: ০০
আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২১, ১১: ০৬

প্রশ্ন: করোনায় হিমায়িত মৎস্য রপ্তানি খাতে কী প্রভাব পড়েছে? 
আশরাফ মাসুদ: করোনায় আমাদের রপ্তানি খাত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ৭৫ শতাংশ বাজার হারিয়েছি আমরা। চট্টগ্রামে বছর পাঁচেক আগে হিমায়িত মৎস্য রপ্তানি করে এমন প্রায় ৭৫টি প্রতিষ্ঠান ছিল। বন্ধ হতে হতে করোনার আগে ৪৪টি প্রতিষ্ঠানে এসে ঠেকে। এখন মাত্র বড় ১০–১২টি প্রতিষ্ঠান চলছে। তাদের অবস্থাও খুব নাজুক। 
প্রশ্ন: রপ্তানি কেমন কমেছে? 
আশরাফ মাসুদ: ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত আমাদের রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা। ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত হয়েছে ৩ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা। প্রায় ৫২৭ কোটি টাকা রপ্তানি কমেছে এ বছর। বর্তমান অবস্থা আরও খারাপ। 
প্রশ্ন: বাংলাদেশ থেকে কী কী ধরনের মাছ রপ্তানি হয়? কোন কোন দেশে? 
আশরাফ মাসুদ: সামুদ্রিক বড় চিংড়ি, ইলিশ, রূপচাঁদা, কোরাল থেকে শুরু করে নানা ধরনের মাছ রপ্তানি হয়। মিঠা পানির রুই, কাতল, তেলাপিয়া, পাঙাশসহ কার্পজাতীয় মাছ। এ ছাড়া কুচিয়া, কাঁকড়া এবং অল্প ঝিনুকও রপ্তানি হয়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বিশেষ করে সৌদি আরব আমাদের প্রধান ক্রেতা। এর বাইরে ইউরোপ, আমেরিকারসহ বিশ্বের অন্তত ২৫টি দেশ ক্রেতা। 
প্রশ্ন: রপ্তানিতে ধস নামার পেছনে কী কারণ দেখছেন? 
আশরাফ মাসুদ: করোনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লকডাউনে হোটেল, রেস্তোরাঁ বন্ধ। পর্যটন খাতও স্থবির। তাই রপ্তানি কমেছে। তা ছাড়া সৌদি আরব আমাদের থেকে আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের সাগরে মাছের পরিমাণও কমেছে, বাগদা চিংড়ির উৎপাদনও কমে গেছে। 
প্রশ্ন: সরকারের কাছে কী সুপারিশ করবেন? 
আশরাফ মাসুদ: আমাদের চট্টগ্রামেই প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক কাজ হারিয়েছে এ খাতে। আমাদের টিকিয়ে রাখতে হলে শিগগিরই সৌদি আরবের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাজার খুলে দেওয়া জরুরি। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে এ খাতকে ঘুরে দাঁড়াতে সহযোগিতা করতে হবে সরকারকে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত