আমজাদ ইউনুস
ইসলাম সম্প্রীতি, সহানুভূতি, শান্তি, সৌহার্দ্য, কোমলতা, নম্রতা, কল্যাণকামিতা ও মমতার ধর্ম। কল্যাণকামিতা হলো দ্বীনের ভিত্তি ও মূল উপকরণ। বরং দ্বীনের পুরোটাই হলো কল্যাণকামিতা। ইসলাম কল্যাণকামিতাকে শুধু দ্বীনের সঙ্গে সম্পৃক্তই করেনি; বরং একে দ্বীন বা ধর্মের সমার্থক আখ্যা দিয়েছে। অন্যের মঙ্গল ও কল্যাণ কামনা করাই ধর্মের অন্যতম উদ্দেশ্য।
হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘দ্বীন হলো সদুপদেশ ও কল্যাণকামিতা।’ আমরা (সাহাবিগণ) আরজ করলাম, ‘কার জন্য কল্যাণকামিতা হে আল্লাহর রাসুল?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর কিতাবের, তাঁর রাসুলের, মুসলিম শাসক এবং মুসলিম জনগণের।’ (মুসলিম)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বড় কল্যাণকামী মানুষ ছিলেন। শিশুকাল থেকেই তিনি এই গুণের ধারক ছিলেন। নবুওয়াত লাভের আগ থেকে তিনি অভাবগ্রস্তদের অভাব পূরণ করতেন। অন্যের কল্যাণ বা উপকার সাধন করে আত্মতৃপ্তি লাভ করতেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর কল্যাণকামিতা সম্পর্কে বলেন, ‘তোমাদের কাছে তোমাদের মধ্য থেকে একজন রাসুল এসেছেন, যিনি তোমাদের বিপন্নতায় কষ্ট পান; তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল ও পরম দয়ালু।’ (সুরা তওবা: ১২৮)
যারা অন্যের কল্যাণ কামনা করে, তারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা। রাসুল (সা.) কল্যাণকামিতাকে মুমিন ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং কল্যাণকামী লোককে উত্তম ব্যক্তি আখ্যা দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের কেউ প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য সেটিই পছন্দ করবে, যা তার নিজের জন্য পছন্দ করে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
হাদিসে এসেছে, ‘উত্তম ব্যক্তি সে, যে অন্যের কল্যাণসাধন করে।’ (সহিহ আল-জামি) আরেক হাদিসে এসেছে, ‘বান্দা যতক্ষণ তার অন্য মুসলিম ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহ ততক্ষণ তার সাহায্য করেন।’ (মুসলিম)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলাম সম্প্রীতি, সহানুভূতি, শান্তি, সৌহার্দ্য, কোমলতা, নম্রতা, কল্যাণকামিতা ও মমতার ধর্ম। কল্যাণকামিতা হলো দ্বীনের ভিত্তি ও মূল উপকরণ। বরং দ্বীনের পুরোটাই হলো কল্যাণকামিতা। ইসলাম কল্যাণকামিতাকে শুধু দ্বীনের সঙ্গে সম্পৃক্তই করেনি; বরং একে দ্বীন বা ধর্মের সমার্থক আখ্যা দিয়েছে। অন্যের মঙ্গল ও কল্যাণ কামনা করাই ধর্মের অন্যতম উদ্দেশ্য।
হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘দ্বীন হলো সদুপদেশ ও কল্যাণকামিতা।’ আমরা (সাহাবিগণ) আরজ করলাম, ‘কার জন্য কল্যাণকামিতা হে আল্লাহর রাসুল?’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর কিতাবের, তাঁর রাসুলের, মুসলিম শাসক এবং মুসলিম জনগণের।’ (মুসলিম)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বড় কল্যাণকামী মানুষ ছিলেন। শিশুকাল থেকেই তিনি এই গুণের ধারক ছিলেন। নবুওয়াত লাভের আগ থেকে তিনি অভাবগ্রস্তদের অভাব পূরণ করতেন। অন্যের কল্যাণ বা উপকার সাধন করে আত্মতৃপ্তি লাভ করতেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর কল্যাণকামিতা সম্পর্কে বলেন, ‘তোমাদের কাছে তোমাদের মধ্য থেকে একজন রাসুল এসেছেন, যিনি তোমাদের বিপন্নতায় কষ্ট পান; তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল ও পরম দয়ালু।’ (সুরা তওবা: ১২৮)
যারা অন্যের কল্যাণ কামনা করে, তারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা। রাসুল (সা.) কল্যাণকামিতাকে মুমিন ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং কল্যাণকামী লোককে উত্তম ব্যক্তি আখ্যা দিয়েছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের কেউ প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য সেটিই পছন্দ করবে, যা তার নিজের জন্য পছন্দ করে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
হাদিসে এসেছে, ‘উত্তম ব্যক্তি সে, যে অন্যের কল্যাণসাধন করে।’ (সহিহ আল-জামি) আরেক হাদিসে এসেছে, ‘বান্দা যতক্ষণ তার অন্য মুসলিম ভাইয়ের সাহায্য করে, আল্লাহ ততক্ষণ তার সাহায্য করেন।’ (মুসলিম)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
রমজান রহমতের মাস। আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহের মাস। এ মাসে আল্লাহ তাআলা রহমতের দুয়ারগুলো খুলে দেন। তাই আমাদেরও উচিত, আল্লাহর অসহায় বান্দাদের প্রতি যথাসম্ভব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া; তাদের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও দুঃখ লাঘবের চেষ্টা করা। এ কাজে প্রথমেই এগিয়ে আসতে হবে সমাজের বিত্তবানদের। কারণ আল্লাহ তাআলা ত
১৩ মিনিট আগেযুগে যুগে ইসলামের অন্য সব বিধানের মতো রোজা নিয়েও নতুন জিজ্ঞাসা তৈরি হয়েছে। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান আবিষ্কারের কারণে সৃষ্ট এসব নতুন সমস্যার সমাধান দিয়েছেন বিজ্ঞ ফকিহরা। এখানে কিছু বিষয়ের সমাধান তুলে ধরা হলো
১৬ মিনিট আগেরমজান কোরআন তিলাওয়াতের মাস। এ মাসে পুরো বিশ্বের মসজিদগুলোতে ও মুসলমানদের ঘরে ঘরে কোরআন তিলাওয়াত করতে শোনা যায়। বিশেষ করে রমজানের ‘মোকাবিলা’ অনুষ্ঠান মুসলমানদের হাজার বছরের ঐতিহ্য।
২১ মিনিট আগেমহানবী (সা.)-এর নারী সাহাবিরা আমল-আখলাক ও তাকওয়া-পরহেজগারিতে কোনো অংশেই পুরুষ সাহাবিদের থেকে পিছিয়ে ছিলেন না। পবিত্র মাস রমজানেও তার ব্যতিক্রম হতো না। মাসজুড়ে সিয়ামসাধনায় তাঁরাও আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতেন। রোজা, নামাজ, তিলাওয়াত থেকে শুরু করে সব ইবাদতই তাঁরা পালন করতেন।
২৪ মিনিট আগে