ইসলাম আগমনের আগেই নবী (সা.) যেসব গুণের জন্য সবার প্রিয় ছিলেন, তার মধ্যে একটি মেহমানদারি বা অতিথিপরায়ণতা। মেহমানদারি ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্যমণ্ডিত মানবিক দিক। নবী (সা.) নিজেই মেহমানদারি করতেন এবং সাহাবায়ে কেরামগণকেও উৎসাহিত করতেন।
একটি বছর শেষ হওয়া মানে নতুন আরেকটি বছরের শুরু। ফেলে আসা দিনগুলোর পথ বেয়ে আসে নতুন বছর। প্রতিটি মানুষের উচিত, ফেলে আসা দিনগুলোর কথা ভেবে চিন্তিত হওয়া এবং নতুন বছরের জন্য সুন্দর পরিকল্পনা করা।
হিংসা মানুষের চরিত্রের মন্দ দিক। এটি সমাজকে বিষিয়ে তোলে। পরিবার, সমাজ থেকে নিয়ে সর্বত্র ঘৃণা ও হানাহানির জন্য দায়ী এই হিংসা। তাই এটি পরিহার করার নির্দেশ দেয় ইসলাম। পরকালে হিংসুকদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। কোরআন-হাদিসে হিংসা পরিহারের ফজিলতের কথাও বর্ণিত হয়েছে।
‘শালীনতা ও হিজাব সংস্কৃতি’ প্রচারের উদ্দেশ্যে পাস করা এই আইনে বলা হয়েছে, যারা নগ্নতা, অশালীনতা বা অশ্লীল পোশাকের প্রচার করবেন, তাদের সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১২,৫০০ ইউরো জরিমানা হতে পারে।
আরবি ফাসাদ শব্দের অর্থ কল্যাণের পরিপন্থী কাজ করা। মানুষের জন্য কল্যাণকর নয় জেনেও কোনো কাজ করলে, তা ইসলামের দৃষ্টিতে ফাসাদ বা বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি। সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা ইসলামে বিশ্বাসীদের কাজ নয়।
খাঁটি তওবা অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে। ইসলামে তওবা হলো, অতীতের সব গুনাহের জন্য অনুশোচনা করে ভবিষ্যতে কখনো তা না করার দৃঢ়প্রত্যয় করে আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করা। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা করো।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন আয়াতে নিজের প্রিয় বান্দাদের আলোচনা করেছেন। অনেক স্থানে আবার অপছন্দের ব্যক্তিদের কথাও তুলে ধরেছেন। এখানে কোরআনে বর্ণিত আল্লাহর অপছন্দের ব্যক্তিদের কথা আলোচনা করা হলো।
ইবাদতের নিয়তে করা সব কাজই নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত। আর নেক আমল মানুষের জীবনের প্রকৃত সম্পদ। এর মাধ্যমে পাওয়া যাবে জান্নাত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং যারা ইমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, তারাই জান্নাতের অধিকারী, তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।’ (সুরা বাকারা: ৮২)
ভ্রমণের সময় নামাজের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিয়েছে ইসলাম। কোনো ব্যক্তি নিজের আবাসস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরের কোনো গন্তব্যে ভ্রমণের নিয়তে বের হয়ে তাঁর এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬)
সড়ককে মানুষের চলাচলের উপযোগী করা ইমানের পরিচায়ক। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে, এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান শাখা হলো, এ কথার স্বীকৃতি দেওয়া যে, আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো, সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (
ওয়াজ মাহফিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অংশ। আবহমানকাল থেকে বাঙালি মুসলিম সমাজে এটি প্রচলিত। ওয়াজের মঞ্চ থেকে মুসলমানদের আদর্শ মুসলমান হওয়ার দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। তাই এসব মাহফিল পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন হলে সমাজে নীতিনৈতিকতার চর্চা বাড়বে, অপরাধ প্রবণতা কমবে, সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ গড়ে তোলা সহজ হয়
উত্তম চরিত্র অমূল্য নেয়ামত। এটি মুমিনের ইমানকে পূর্ণতা দেয়। মহানবী (সা.) ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী। তাঁর অনুসারীরা কখনো মন্দ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ধারণ করতে পারে না। তাই মুসলমান মাত্রেরই উচিত, সব ধরনের উত্তম চারিত্রিক গুণাবলি ধারণ করা এবং মন্দ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এড়িয়ে চলা।
ঐক্য মানবজীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। ইসলাম সব সময় ঐক্যের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে। ইমানের পরে যে ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি তাগিদ দেওয়া হয়েছে, তা হলো ঐক্য। ঐক্যের ফলে মানবজাতি ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সত্য, সুন্দর ও সুশৃঙ্খল সমাজ গড়তে সক্ষম হয়। ঐক্যবদ্ধভাবে জীবন যাপন করা মুমিনের অপরিহার্য কর্তব্য।
গিবত বা পরনিন্দা ইসলামে জঘন্য অপরাধ। এটি নীরব ঘাতকের মতো নেকির ভান্ডার নিঃশেষ করে দেয়। ফলে অজান্তেই মানুষের আমলনামা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে যায়। গিবত বা পরনিন্দা বলতে বোঝায়, কারও অগোচরে তার এমন দোষত্রুটি অন্যের কাছে প্রকাশ করা, যা শুনতে পেলে সে কষ্ট পায়।
পরকালে সব বান্দাকেই মহান আল্লাহর কাছে নিজেদের কৃতকর্মের হিসাব দিতে হবে। সেদিন আল্লাহ তাআলা বান্দাদের প্রতি পূর্ণ ইনসাফ করবেন। যার যার প্রাপ্য বুঝিয়ে দেবেন।
সৎ কাজের আদেশ দেওয়া এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা মুমিনদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। ইসলাম তার অনুসারীদের অন্যায়ের প্রতিবাদের নির্দেশ দেয়। ইসলামে মন্দ প্রতিরোধের আদেশের পাশাপাশি মন্দ প্রতিরোধের নীতিও প্রদান করা হয়েছে। ইসলাম উৎকৃষ্ট ও সুন্দর পন্থায় মন্দ প্রতিরোধে নির্দেশ দেয়।
ইসলামে ভুল শুধরে দেওয়ার সুনির্দিষ্ট আদব রয়েছে। ব্যক্তির সম্মানের প্রতি লক্ষ রেখেই তা করতে হয়। কাউকে সবার সামনে অপমানিত করে ভুল শুধরে দেওয়ার পদ্ধতি ইসলাম অনুমোদন করে না।