ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও মানবতার মুক্তির দূত। তিনি বিভিন্ন সময় সাহাবিদের প্রশ্নের উত্তরে অথবা নতুন বিষয়ে জ্ঞানদানের জন্য উপদেশ দিতেন। তেমনি একজন বিশিষ্ট সাহাবি হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.)।
মহানবী (সা.) তাঁকে জীবনঘনিষ্ঠ ১০টি উপদেশ প্রদান করেন, যা পালন করা প্রতিটি যুগের মুসলমানদের একান্ত দায়িত্ব। এ সম্পর্কে মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) আমাকে ১০টি বিষয়ে উপদেশ দেন। উপদেশগুলো হলো—
এক. আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না, যদিও তোমাকে হত্যা করা হয় অথবা আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
দুই. মা-বাবার অবাধ্য হবে না, যদিও মা-বাবা তোমাকে তোমার পরিবার-পরিজন বা ধনসম্পদ ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
তিন. ইচ্ছাকৃতভাবে কখনো কোনো ফরজ নামাজ ছেড়ে দেবে না। কারণ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ছেড়ে দেয়, আল্লাহ তার ওপর থেকে নিজের দায় উঠিয়ে নেন।
চার. মদ পান থেকে বিরত থাকবে। কেননা তা সব অশ্লীলতার মূল।
পাঁচ. সাবধান! আল্লাহর নাফরমানি ও গোনাহ থেকে বেঁচে থাকবে।কেননা নাফরমানি দ্বারা আল্লাহর ক্রোধ অবধারিত হয়ে যায়।
ছয়. যুদ্ধের ময়দান থেকে কখনো পালিয়ে যাবে না, যদিও সব লোক মৃত্যুবরণ করে।
সাত. যখন মানুষের মধ্যে মহামারি ছড়িয়ে পড়ে আর তুমি সেখানেই রয়েছ, তখন তুমি সেখানেই অবস্থান করবে; পালিয়ে যাবে না।
আট. শক্তি-সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের পরিবার-পরিজনের জন্য ব্যয় করবে; কৃপণতা করে তাদের কষ্ট দেবে না।
নয়. পরিবারের সদস্যদের আদব-আখলাক শেখাতে গিয়ে কখনো শাসন থেকে বিরত থাকবে না।
দশ. মহান আল্লাহ সম্পর্কে তাদের ভীতি প্রদর্শন করতে থাকবে।
ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান, অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও মানবতার মুক্তির দূত। তিনি বিভিন্ন সময় সাহাবিদের প্রশ্নের উত্তরে অথবা নতুন বিষয়ে জ্ঞানদানের জন্য উপদেশ দিতেন। তেমনি একজন বিশিষ্ট সাহাবি হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.)।
মহানবী (সা.) তাঁকে জীবনঘনিষ্ঠ ১০টি উপদেশ প্রদান করেন, যা পালন করা প্রতিটি যুগের মুসলমানদের একান্ত দায়িত্ব। এ সম্পর্কে মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) আমাকে ১০টি বিষয়ে উপদেশ দেন। উপদেশগুলো হলো—
এক. আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না, যদিও তোমাকে হত্যা করা হয় অথবা আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
দুই. মা-বাবার অবাধ্য হবে না, যদিও মা-বাবা তোমাকে তোমার পরিবার-পরিজন বা ধনসম্পদ ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
তিন. ইচ্ছাকৃতভাবে কখনো কোনো ফরজ নামাজ ছেড়ে দেবে না। কারণ যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ ছেড়ে দেয়, আল্লাহ তার ওপর থেকে নিজের দায় উঠিয়ে নেন।
চার. মদ পান থেকে বিরত থাকবে। কেননা তা সব অশ্লীলতার মূল।
পাঁচ. সাবধান! আল্লাহর নাফরমানি ও গোনাহ থেকে বেঁচে থাকবে।কেননা নাফরমানি দ্বারা আল্লাহর ক্রোধ অবধারিত হয়ে যায়।
ছয়. যুদ্ধের ময়দান থেকে কখনো পালিয়ে যাবে না, যদিও সব লোক মৃত্যুবরণ করে।
সাত. যখন মানুষের মধ্যে মহামারি ছড়িয়ে পড়ে আর তুমি সেখানেই রয়েছ, তখন তুমি সেখানেই অবস্থান করবে; পালিয়ে যাবে না।
আট. শক্তি-সামর্থ্য অনুযায়ী নিজের পরিবার-পরিজনের জন্য ব্যয় করবে; কৃপণতা করে তাদের কষ্ট দেবে না।
নয়. পরিবারের সদস্যদের আদব-আখলাক শেখাতে গিয়ে কখনো শাসন থেকে বিরত থাকবে না।
দশ. মহান আল্লাহ সম্পর্কে তাদের ভীতি প্রদর্শন করতে থাকবে।
ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান, অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
পূর্ণ ধৈর্য ধারণ করে ইসলামের মহত্ত তুলে ধরার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের। যাদের ওপরে কোনো বিপদ এলে তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর দিকেই আমরা ফিরে যাব।
৩ ঘণ্টা আগেদুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
১ দিন আগেএকজন মুমিনের জন্য তার জীবনকে ইসলামের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত করা এবং ইসলামে যা কিছু নিষিদ্ধ, তা ত্যাগ করা আবশ্যক। হাদিস শরিফে এটাকে উত্তম ধার্মিকতা আখ্যা দেওয়া হয়েছে। হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন...
২ দিন আগেআসর শব্দের অর্থ সময়। পবিত্র কোরআনে আসর নামে একটি সুরা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা আসর বা সময়ের শপথ করেছেন। মুসলিমরা দৈনন্দিন যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তার তৃতীয় ওয়াক্তকে আসর নামে অভিহিত করা হয়। এ ছাড়াও পবিত্র কোরআনে এটিকে সালাত আল-ওসতা বা মধ্যবর্তী নামাজ হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।
৩ দিন আগে