ইজাজুল হক
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে আল্লাহ তাআলা হজের বিধান দেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাতে ব্যাপক বিকৃতি ঘটায় এবং একসময় কাবাঘরে মূর্তি স্থাপন করে সেই বিকৃতির চূড়ান্ত রূপ দেয়। ইসলাম-পূর্ব যুগের এই নৈরাজ্যপূর্ণ সময়কে জাহিলি যুগ বলা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবে আরবে নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়। পবিত্র হজ ঘিরে গড়ে ওঠা জাহিলি যুগের সব কুপ্রথা রহিত হয়। হজ হয়ে ওঠে মহান আল্লাহর একনিষ্ঠ ইবাদত এবং সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির বিশ্বসম্মিলন।
শিরক থেকে মুক্তি
জাহিলি যুগে পবিত্র কাবাঘর মূর্তিতে ঠাসা ছিল। মক্কার পৌত্তলিকেরা এসব মূর্তিকে আল্লাহর প্রতিনিধি ভেবে পূজা করত। তাদের এই কাজের সমর্থনে হজের তালবিয়া তথা লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইকের সুমধুর স্লোগানও বিকৃত করে ফেলা হয়। তালবিয়ায় যুক্ত করেছিল পৌত্তলিকতার অনুমোদনসংবলিত কথা—‘আপনি যাদের অনুমোদন দিয়েছেন, তারা ছাড়া আপনার কোনো অংশীদার নেই। আপনি তাদের প্রভু এবং তারা যা কিছুর মালিক তারও প্রভু।’ মক্কা বিজয়ের পরপরই মহানবী (সা.) কাবাঘরকে এসব শিরক থেকে মুক্ত করেন। কাবাঘরের সব মূর্তি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত নিষিদ্ধ করেন। বাতিল করেন সব ধরনের শিরকি কথাবার্তা ও আচার-অনুষ্ঠান।
অনৈতিকতার অবসান
মাদক ও অবাধ যৌনাচার সহজাত ছিল তখন। এসব অনৈতিকতা হজের রীতিনীতিকেও আক্রান্ত করেছিল। হজ ঘিরে গড়ে উঠত অশ্লীলতায় ভরা আনন্দমেলা। উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করাকে সওয়াব মনে করা হতো। নারী-পুরুষ উভয়েই সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করত। তারা বলত, ‘আমাদের মায়েরা যেভাবে আমাদের জন্ম দিয়েছে, সেভাবেই আমরা আল্লাহর সামনে হাজির হব।’ ইসলামের আগমনে এসব অসভ্যতা বন্ধ হয়ে যায়। উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করা নিষিদ্ধ করা হয়। পবিত্র কোরআনের আয়াত নাজিল হয়, ‘বলো, যেসব সৌন্দর্য-শোভামণ্ডিত বস্তু (কাপড়) ও পবিত্র জীবিকা তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন, তা কে হারাম করল?’ (সুরা আরাফ: ৩২) অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়, ‘হজের সময় কোনো অশ্লীল কাজ ও ঝগড়াবিবাদ করা যাবে না।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
পবিত্র মাসে যুদ্ধ নয়
তখন হানাহানির শেষ ছিল না। হজের মৌসুম হিসেবে পরিচিত চার মাস—শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ ও মহররমেও এসব থামত না। পবিত্র মাসগুলোতেও যুদ্ধ বাধিয়ে তারা বলত, ‘এই মাসে যুদ্ধ করে নিই, আগামী বছর আরেকটি মাস কাফফারা হিসেবে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকব।’ ইসলাম এই মাসগুলোতে যুদ্ধ হারাম করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিষিদ্ধ মাসকে পিছিয়ে দেওয়া কুফরির ওপর আরেক কুফরি কাজ, এর মাধ্যমে কাফিরদের পথভ্রষ্ট করা হয়। এক বছর তারা একটি মাস হালাল করে, আরেক বছর ওই মাসকে হারাম করে, যাতে আল্লাহর হারাম করা মাসগুলোর সংখ্যা পূর্ণ করা যায়।’ (সুরা তাওবা: ৩৭)
বংশগৌরব নিষিদ্ধ
অন্য সময়ের মতো হজের সময়ও কবিরা গোত্রের বীরদের সাহস, কীর্তি, মর্যাদা, শক্তি ও বদান্যতার প্রশংসা করত। একই সঙ্গে অন্য গোত্রগুলোর কাপুরুষতা, কৃপণতা, দুর্বলতা ইত্যাদি নিয়ে অতিরঞ্জিত বয়ান হাজির করত এবং ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করত। নিজেদের সেরা প্রমাণ করতে গোত্র সরদাররা এখানে-ওখানে বড় বড় কড়াই বসাত; একের পর এক উট জবাই করত। নিজেদের পূর্বপুরুষদের গুণকীর্তনে নিজেদের ব্যস্ত রাখত। ইসলামে এসব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘এরপর যখন হজের আচার-অনুষ্ঠান শেষ করবে, তখন আল্লাহর স্মরণে মশগুল হও, যেমন তোমরা নিজেদের বাপ-দাদাদের স্মরণে মশগুল থাকো; বরং তার চেয়েও বেশি স্মরণ করো।’ (সুরা বাকারা: ২০০)
কোরবানির প্রাণ ইখলাস
কোরবানি আল্লাহর নামেই দেওয়া হতো ঠিক, তবে কোরবানির পশুর মাংস ও রক্ত কাবাঘরের দেয়ালে ছিটানো হতো। তাদের বিশ্বাস ছিল, আল্লাহ রক্ত-মাংস দুটোই চান। আবার অনেকে আল্লাহ ছাড়া দেবতাদের নামে প্রাণী উৎসর্গ করত। ইসলাম এসব নিষিদ্ধ করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর কাছে ওগুলোর গোশতও পৌঁছায় না, রক্তও পৌঁছায় না; বরং তাঁর কাছে তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছায়।’ (সুরা হজ: ৩৭) অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুতরাং যখন এসব প্রাণী সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে, তখন এগুলোর ওপর (জবাই করার সময়) আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো। যখন তা এক পাশে পড়ে যায় (মারা যায়), তখন তা থেকে খাও। যারা (ভিক্ষা না করে) তৃপ্ত থাকে, তাদেরও খাওয়াও এবং যারা আকুতি-মিনতি করে ভিক্ষা করে, তাদেরও খাওয়াও।’ (সুরা হজ: ৩৬)
অন্যান্য প্রথা
একশ্রেণির ধার্মিক ছিল, যারা হজের পথ পাড়ি দেওয়ার পাথেয় জোগাড় না করেই হজ করতে বেরিয়ে পড়ত। পথে পথে ভিক্ষা করতে করতেই তারা মক্কায় পৌঁছাত। এই ভিক্ষাবৃত্তিকে তারা দীনদারি মনে করত। নবীজি এই কাজও নিষেধ করেন। পবিত্র কোরআনে আয়াত নাজিল হয়, ‘তোমরা (হজের জন্য) পাথেয়র ব্যবস্থা করবে। (কারণ পৃথিবীর কোনো ভ্রমণের জন্য পাথেয় না নেওয়া পরকালের পাথেয় নেওয়ার সমার্থক নয়।) আর আল্লাহর ভয়ই (পরকালের) শ্রেষ্ঠ পাথেয়।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
হজের যাত্রাপথে জীবিকা নির্বাহের জন্য ব্যবসা করা বা অন্য কোনো কাজ করাকে হারাম মনে করা হতো। নবীজি এ ধারণা বাতিল করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের কোনো গুনাহ নেই—যদি তোমরা (ব্যবসা ইত্যাদির মাধ্যমে) তোমাদের রবের অনুগ্রহ খোঁজ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৮)
এ ছাড়া পানাহার থেকে বিরত থাকাকে অনেকে হজের অংশ মনে করত। কেউ কেউ হজের সময়জুড়ে কথা বলা থেকেও বিরত থাকত। মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল হাততালি, বাঁশি বাজানো ও শিঙায় ফুঁক দেওয়ার আচারও। এসবও নবীজি বাতিল করে দেন।
সূত্র: আরব নিউজ ও অ্যাবাউট ইসলাম ডটনেট
হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সময়ে আল্লাহ তাআলা হজের বিধান দেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাতে ব্যাপক বিকৃতি ঘটায় এবং একসময় কাবাঘরে মূর্তি স্থাপন করে সেই বিকৃতির চূড়ান্ত রূপ দেয়। ইসলাম-পূর্ব যুগের এই নৈরাজ্যপূর্ণ সময়কে জাহিলি যুগ বলা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবে আরবে নতুন বিপ্লবের সূচনা হয়। পবিত্র হজ ঘিরে গড়ে ওঠা জাহিলি যুগের সব কুপ্রথা রহিত হয়। হজ হয়ে ওঠে মহান আল্লাহর একনিষ্ঠ ইবাদত এবং সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির বিশ্বসম্মিলন।
শিরক থেকে মুক্তি
জাহিলি যুগে পবিত্র কাবাঘর মূর্তিতে ঠাসা ছিল। মক্কার পৌত্তলিকেরা এসব মূর্তিকে আল্লাহর প্রতিনিধি ভেবে পূজা করত। তাদের এই কাজের সমর্থনে হজের তালবিয়া তথা লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইকের সুমধুর স্লোগানও বিকৃত করে ফেলা হয়। তালবিয়ায় যুক্ত করেছিল পৌত্তলিকতার অনুমোদনসংবলিত কথা—‘আপনি যাদের অনুমোদন দিয়েছেন, তারা ছাড়া আপনার কোনো অংশীদার নেই। আপনি তাদের প্রভু এবং তারা যা কিছুর মালিক তারও প্রভু।’ মক্কা বিজয়ের পরপরই মহানবী (সা.) কাবাঘরকে এসব শিরক থেকে মুক্ত করেন। কাবাঘরের সব মূর্তি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও ইবাদত নিষিদ্ধ করেন। বাতিল করেন সব ধরনের শিরকি কথাবার্তা ও আচার-অনুষ্ঠান।
অনৈতিকতার অবসান
মাদক ও অবাধ যৌনাচার সহজাত ছিল তখন। এসব অনৈতিকতা হজের রীতিনীতিকেও আক্রান্ত করেছিল। হজ ঘিরে গড়ে উঠত অশ্লীলতায় ভরা আনন্দমেলা। উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করাকে সওয়াব মনে করা হতো। নারী-পুরুষ উভয়েই সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করত। তারা বলত, ‘আমাদের মায়েরা যেভাবে আমাদের জন্ম দিয়েছে, সেভাবেই আমরা আল্লাহর সামনে হাজির হব।’ ইসলামের আগমনে এসব অসভ্যতা বন্ধ হয়ে যায়। উলঙ্গ হয়ে তাওয়াফ করা নিষিদ্ধ করা হয়। পবিত্র কোরআনের আয়াত নাজিল হয়, ‘বলো, যেসব সৌন্দর্য-শোভামণ্ডিত বস্তু (কাপড়) ও পবিত্র জীবিকা তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন, তা কে হারাম করল?’ (সুরা আরাফ: ৩২) অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়, ‘হজের সময় কোনো অশ্লীল কাজ ও ঝগড়াবিবাদ করা যাবে না।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
পবিত্র মাসে যুদ্ধ নয়
তখন হানাহানির শেষ ছিল না। হজের মৌসুম হিসেবে পরিচিত চার মাস—শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ ও মহররমেও এসব থামত না। পবিত্র মাসগুলোতেও যুদ্ধ বাধিয়ে তারা বলত, ‘এই মাসে যুদ্ধ করে নিই, আগামী বছর আরেকটি মাস কাফফারা হিসেবে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকব।’ ইসলাম এই মাসগুলোতে যুদ্ধ হারাম করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিষিদ্ধ মাসকে পিছিয়ে দেওয়া কুফরির ওপর আরেক কুফরি কাজ, এর মাধ্যমে কাফিরদের পথভ্রষ্ট করা হয়। এক বছর তারা একটি মাস হালাল করে, আরেক বছর ওই মাসকে হারাম করে, যাতে আল্লাহর হারাম করা মাসগুলোর সংখ্যা পূর্ণ করা যায়।’ (সুরা তাওবা: ৩৭)
বংশগৌরব নিষিদ্ধ
অন্য সময়ের মতো হজের সময়ও কবিরা গোত্রের বীরদের সাহস, কীর্তি, মর্যাদা, শক্তি ও বদান্যতার প্রশংসা করত। একই সঙ্গে অন্য গোত্রগুলোর কাপুরুষতা, কৃপণতা, দুর্বলতা ইত্যাদি নিয়ে অতিরঞ্জিত বয়ান হাজির করত এবং ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করত। নিজেদের সেরা প্রমাণ করতে গোত্র সরদাররা এখানে-ওখানে বড় বড় কড়াই বসাত; একের পর এক উট জবাই করত। নিজেদের পূর্বপুরুষদের গুণকীর্তনে নিজেদের ব্যস্ত রাখত। ইসলামে এসব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘এরপর যখন হজের আচার-অনুষ্ঠান শেষ করবে, তখন আল্লাহর স্মরণে মশগুল হও, যেমন তোমরা নিজেদের বাপ-দাদাদের স্মরণে মশগুল থাকো; বরং তার চেয়েও বেশি স্মরণ করো।’ (সুরা বাকারা: ২০০)
কোরবানির প্রাণ ইখলাস
কোরবানি আল্লাহর নামেই দেওয়া হতো ঠিক, তবে কোরবানির পশুর মাংস ও রক্ত কাবাঘরের দেয়ালে ছিটানো হতো। তাদের বিশ্বাস ছিল, আল্লাহ রক্ত-মাংস দুটোই চান। আবার অনেকে আল্লাহ ছাড়া দেবতাদের নামে প্রাণী উৎসর্গ করত। ইসলাম এসব নিষিদ্ধ করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর কাছে ওগুলোর গোশতও পৌঁছায় না, রক্তও পৌঁছায় না; বরং তাঁর কাছে তোমাদের তাকওয়াই পৌঁছায়।’ (সুরা হজ: ৩৭) অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুতরাং যখন এসব প্রাণী সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে, তখন এগুলোর ওপর (জবাই করার সময়) আল্লাহর নাম উচ্চারণ করো। যখন তা এক পাশে পড়ে যায় (মারা যায়), তখন তা থেকে খাও। যারা (ভিক্ষা না করে) তৃপ্ত থাকে, তাদেরও খাওয়াও এবং যারা আকুতি-মিনতি করে ভিক্ষা করে, তাদেরও খাওয়াও।’ (সুরা হজ: ৩৬)
অন্যান্য প্রথা
একশ্রেণির ধার্মিক ছিল, যারা হজের পথ পাড়ি দেওয়ার পাথেয় জোগাড় না করেই হজ করতে বেরিয়ে পড়ত। পথে পথে ভিক্ষা করতে করতেই তারা মক্কায় পৌঁছাত। এই ভিক্ষাবৃত্তিকে তারা দীনদারি মনে করত। নবীজি এই কাজও নিষেধ করেন। পবিত্র কোরআনে আয়াত নাজিল হয়, ‘তোমরা (হজের জন্য) পাথেয়র ব্যবস্থা করবে। (কারণ পৃথিবীর কোনো ভ্রমণের জন্য পাথেয় না নেওয়া পরকালের পাথেয় নেওয়ার সমার্থক নয়।) আর আল্লাহর ভয়ই (পরকালের) শ্রেষ্ঠ পাথেয়।’ (সুরা বাকারা: ১৯৭)
হজের যাত্রাপথে জীবিকা নির্বাহের জন্য ব্যবসা করা বা অন্য কোনো কাজ করাকে হারাম মনে করা হতো। নবীজি এ ধারণা বাতিল করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের কোনো গুনাহ নেই—যদি তোমরা (ব্যবসা ইত্যাদির মাধ্যমে) তোমাদের রবের অনুগ্রহ খোঁজ করো।’ (সুরা বাকারা: ১৯৮)
এ ছাড়া পানাহার থেকে বিরত থাকাকে অনেকে হজের অংশ মনে করত। কেউ কেউ হজের সময়জুড়ে কথা বলা থেকেও বিরত থাকত। মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল হাততালি, বাঁশি বাজানো ও শিঙায় ফুঁক দেওয়ার আচারও। এসবও নবীজি বাতিল করে দেন।
সূত্র: আরব নিউজ ও অ্যাবাউট ইসলাম ডটনেট
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
১৫ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
১৫ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
১৫ ঘণ্টা আগে