ইউশা আসরার
ইস্পাহান ইরানের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ও প্রধান পর্যটন নগরী। সমৃদ্ধ মুসলিম ঐতিহ্য ও নান্দনিক স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত এটি। একসময় শহরটিকে ‘ইস্পাহান নিসফে জানান’ বলা হতো, যার অর্থ ইস্পাহান পৃথিবীর অর্ধেক। ছন্দোবদ্ধ এই প্রবাদ আসলেই সত্য। এটি পৃথিবীর অন্যতম বড় শহর ছিল এবং দুবার ইরানের রাজধানী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিল।
আকিমিনীয়দের থেকে শুরু করে কাজার রাজবংশ পর্যন্ত—অনেকেরই পরপর আক্রমণের বিস্তৃত ইতিহাসের শহর ইস্পাহান। সর্বমোট ১৪টি ভিন্ন ভিন্ন সাম্রাজ্য এই শহর শাসন করেছে। এই দীর্ঘ সময়ে অনেক উত্থান-পতনের সাক্ষী হয়েছে ইস্পাহানের পথঘাট।
৬৫১ সালে মুসলমানদের পারস্য জয়ের পর থেকেই ইরান মুসলিম খেলাফতের অধীনে ছিল। ১২২০ সালে ইরানিরা পারস্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে। এই সময়ে নিজামুল মুলকের নির্মিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো মসজিদে জামে ইস্পাহান। প্রায় হাজার বছরের ইতিহাস গায়ে মেখে মসজিদটি এখনো সৌন্দর্যপিপাসুদের আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে।
মঙ্গোল আমলে ইস্পাহানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শাসক ছিলেন ওলজিতু খান। শিল্পের প্রতি তাঁর প্রবল আকর্ষণ ছিল। তিনি মসজিদে জামে ইস্পাহানের সৌন্দর্যবর্ধনে অনেক কাজ করেন। তিনিই প্রথম মঙ্গোল শাসক, যিনি শিয়া ধর্মবিশ্বাস গ্রহণ করেছিলেন।
ইস্পাহান শাসন করা আরেকটি রাজবংশ আলে মুজাফফর। ইরানের শ্রেষ্ঠ কবি ও দার্শনিক হাফিজ এই সময়েরই কবি ছিলেন। এরপর আসে তিমুরি সাম্রাজ্য। এরপর কারাকাইউনলুলার সাম্রাজ্য, যাঁরা ইস্পাহানের বিখ্যাত দারবে ইমান নামের নান্দনিক স্থাপত্যের একটি সমাধি নির্মাণ করেছিলেন।
এরপর আসে সাফাভিরা। ইস্পাহানে স্বর্ণযুগের সূচনা হয় সাফাভিদেরই হাত ধরে। খাজৌ সেতু, মসজিদে হাকিম, তালার-ই-আশরাফ ও চেহেল সোতোনের মতো সুরম্য প্রাসাদগুলো এই আমলেই নির্মিত হয়।
আফগানদের শাসনকালে একটিমাত্র স্থাপনা তৈরি হয়। তা হলো মসজিদে জামে ইস্পাহানের পোর্চ অব ওমর নামের মিহরাবটি। ১৭৫৩ সালে করিম খান শাসনক্ষমতা হাতে নিলে শিরাজকে রাজধানী করেন।
কাজার আমলে রাজধানী তেহরানে স্থানান্তরিত হলে ইস্পাহানের স্থাপনা নির্মাণে ভাটা পড়ে। এই সময়ে মসজিদে সৈয়্যদ নামে একটিমাত্র স্থাপনা ইস্পাহানে নির্মিত হয়।
মুসলিম ঐতিহ্যের শহর ইস্পাহানকে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে। ব্রিটিশ পর্যটক রবার্ট বায়রন এথেন্স বা রোমের মতো বিরল স্থানগুলোর সঙ্গে ইস্পাহানকে তুলনা করেছেন। ইস্পাহানের ইতিহাস ও চিত্তাকর্ষক স্থাপত্যের কারণে শহরটিকে ‘ইরানের লুকানো রত্ন’ও বলা হয়।
ইস্পাহান ইরানের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ও প্রধান পর্যটন নগরী। সমৃদ্ধ মুসলিম ঐতিহ্য ও নান্দনিক স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত এটি। একসময় শহরটিকে ‘ইস্পাহান নিসফে জানান’ বলা হতো, যার অর্থ ইস্পাহান পৃথিবীর অর্ধেক। ছন্দোবদ্ধ এই প্রবাদ আসলেই সত্য। এটি পৃথিবীর অন্যতম বড় শহর ছিল এবং দুবার ইরানের রাজধানী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিল।
আকিমিনীয়দের থেকে শুরু করে কাজার রাজবংশ পর্যন্ত—অনেকেরই পরপর আক্রমণের বিস্তৃত ইতিহাসের শহর ইস্পাহান। সর্বমোট ১৪টি ভিন্ন ভিন্ন সাম্রাজ্য এই শহর শাসন করেছে। এই দীর্ঘ সময়ে অনেক উত্থান-পতনের সাক্ষী হয়েছে ইস্পাহানের পথঘাট।
৬৫১ সালে মুসলমানদের পারস্য জয়ের পর থেকেই ইরান মুসলিম খেলাফতের অধীনে ছিল। ১২২০ সালে ইরানিরা পারস্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে। এই সময়ে নিজামুল মুলকের নির্মিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো মসজিদে জামে ইস্পাহান। প্রায় হাজার বছরের ইতিহাস গায়ে মেখে মসজিদটি এখনো সৌন্দর্যপিপাসুদের আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে।
মঙ্গোল আমলে ইস্পাহানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শাসক ছিলেন ওলজিতু খান। শিল্পের প্রতি তাঁর প্রবল আকর্ষণ ছিল। তিনি মসজিদে জামে ইস্পাহানের সৌন্দর্যবর্ধনে অনেক কাজ করেন। তিনিই প্রথম মঙ্গোল শাসক, যিনি শিয়া ধর্মবিশ্বাস গ্রহণ করেছিলেন।
ইস্পাহান শাসন করা আরেকটি রাজবংশ আলে মুজাফফর। ইরানের শ্রেষ্ঠ কবি ও দার্শনিক হাফিজ এই সময়েরই কবি ছিলেন। এরপর আসে তিমুরি সাম্রাজ্য। এরপর কারাকাইউনলুলার সাম্রাজ্য, যাঁরা ইস্পাহানের বিখ্যাত দারবে ইমান নামের নান্দনিক স্থাপত্যের একটি সমাধি নির্মাণ করেছিলেন।
এরপর আসে সাফাভিরা। ইস্পাহানে স্বর্ণযুগের সূচনা হয় সাফাভিদেরই হাত ধরে। খাজৌ সেতু, মসজিদে হাকিম, তালার-ই-আশরাফ ও চেহেল সোতোনের মতো সুরম্য প্রাসাদগুলো এই আমলেই নির্মিত হয়।
আফগানদের শাসনকালে একটিমাত্র স্থাপনা তৈরি হয়। তা হলো মসজিদে জামে ইস্পাহানের পোর্চ অব ওমর নামের মিহরাবটি। ১৭৫৩ সালে করিম খান শাসনক্ষমতা হাতে নিলে শিরাজকে রাজধানী করেন।
কাজার আমলে রাজধানী তেহরানে স্থানান্তরিত হলে ইস্পাহানের স্থাপনা নির্মাণে ভাটা পড়ে। এই সময়ে মসজিদে সৈয়্যদ নামে একটিমাত্র স্থাপনা ইস্পাহানে নির্মিত হয়।
মুসলিম ঐতিহ্যের শহর ইস্পাহানকে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে। ব্রিটিশ পর্যটক রবার্ট বায়রন এথেন্স বা রোমের মতো বিরল স্থানগুলোর সঙ্গে ইস্পাহানকে তুলনা করেছেন। ইস্পাহানের ইতিহাস ও চিত্তাকর্ষক স্থাপত্যের কারণে শহরটিকে ‘ইরানের লুকানো রত্ন’ও বলা হয়।
প্রত্যেক মুসলমানের জন্যই ইমানের অতি আবশ্যকীয় বিষয়গুলোর প্রতি ইমান আনা জরুরি। তবে মুমিন বান্দার ইমানের অবস্থা সব সময় সমান থাকে না। কখনো বাড়ে। কখনো কমে। তাই আমাদের উচিত, কীভাবে নিজের ইমান মজবুত ও তাজা রাখা যায়, সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখা। এখানে ইমানি শক্তি বৃদ্ধির তিনটি আমলের কথা তুলে ধরা হলো..
৫ ঘণ্টা আগেনামাজের ইমামতি শুদ্ধ হওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত পূরণ করা আবশ্যক। প্রাথমিক শর্তের মধ্যে রয়েছে পুরুষ হওয়া, মুসলমান হওয়া ও বালেগ হওয়া। (সুনানে কুবরা লিল-বায়হাকি: ৬০৬৯) এ ছাড়া মানসিকভাবে সুস্থ হওয়াও আবশ্যক।
১ দিন আগেপূর্ণ ধৈর্য ধারণ করে ইসলামের মহত্ত তুলে ধরার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সুসংবাদ দাও ধৈর্যশীলদের। যাদের ওপরে কোনো বিপদ এলে তারা বলে, নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর দিকেই আমরা ফিরে যাব।
২ দিন আগেদুনিয়ার সফরের শেষ গন্তব্য মৃত্যু। মৃত্যু এক অপ্রিয় সত্য, যা সুনিশ্চিত অনিবার্য ও অবশ্যম্ভাবী। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রতিটি প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)
৩ দিন আগে