রাগ সংবরণ করার ৪ আমল

আমজাদ ইউনুস 
আপডেট : ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭: ২১
Thumbnail image

রাগ মানুষের একটি আচরণগত দিক। এর মন্দ প্রভাবই বেশি। রাগী মানুষকে কেউ ভালোবাসে না। এ কারণে রাসুল (সা.) তাঁর উম্মতকে রাগ করতে নিষেধ করেছেন এবং রাগ সংবরণকারীকে শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের অধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কুস্তি লড়ে অন্যকে ধরাশায়ী করে সে শক্তিশালী নয়; বরং যে ব্যক্তি রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সে-ই প্রকৃত শক্তিশালী।’ (বুখারি) রাগ সংবরণ করার এবং রাগ দূর করার জন্য কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন রাসুল (সা.)। যথা—

আউজুবিল্লাহ পড়া: আউজুবিল্লাহর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে শয়তানের প্ররোচনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়। দুই ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে বসে পরস্পরে গালাগাল করছিল। একজনের চোখ লাল হয়ে যায় এবং শিরা ফুলে ওঠে। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমি একটি বাক্য জানি, যদি সে তা পড়ে তবে তার এ অবস্থা কেটে যাবে। বাক্যটি হলো, আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম।’ (মুসলিম)

চুপ হয়ে যাওয়া: আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা শিক্ষা দাও এবং সহজ করো। কঠিন করো না। যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো।’ (মুসনাদে আহমদ)

শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন: রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের কারও রাগ হয় তখন সে যদি দাঁড়ানো থাকে, তবে যেন বসে পড়ে। যদি তাতে রাগ চলে যায় ভালো। আর যদি না যায়, তবে শুয়ে পড়বে।’ (আবু দাউদ)

অজু করা: রাসুল (সা.) বলেন, ‘রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে আসে। শয়তান আগুনের তৈরি। পানি দিয়ে আগুন নির্বাপিত হয়। সুতরাং তোমাদের কেউ যখন রাগান্বিত হবে, সে যেন অজু করে নেয়।’ (আবু দাউদ)

লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শপথ নিয়েই বাইডেনের নীতি বাতিল ও ১০০ নির্বাহী আদেশের ঘোষণা ট্রাম্পের

শাহজালাল বিমানবন্দরে চাকরি নেননি মনোজ কুমার, বিজ্ঞাপনচিত্র নিয়ে বিভ্রান্তি

বিচার বিভাগের সমস্যা তুলে ধরলেন বিচারক, আনিসুল হক বললেন ‘সমস্যা কেটে যাবে’

বিদ্যালয়ে একই পরিবারের ১৬ জনের চাকরি, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

ভাতা নয়, সঞ্চয়পত্র কিনে দিচ্ছে সরকার

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত