ইজাজুল হক, ঢাকা
পবিত্র মাস রমজান জীবনে পরিবর্তন আনার সুবর্ণ সময়। কোরআনের আলোকে জীবন রাঙিয়ে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে প্রয়োজন রমজানের শিষ্টাচারগুলো যথাযথভাবে পালন করা। রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় তা দারুণ সহায়ক হয় এবং রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি কাটিয়ে পরিপূর্ণ ফজিলত ও সওয়াব লাভের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। নিচে রমজানের আটটি শিষ্টাচারের আলোচনা করা হলো—
এক. আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ
ইসলাম শব্দের অর্থই আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে সঁপে দেওয়া। আর রোজা ইসলামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিধান। তাই রমজানের ফজিলত পেতে হলে প্রথমেই আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করে তাঁর মনোনীত ধর্ম ইসলামে পূর্ণ আত্মসমর্পণ করতে হবে। প্রবৃত্তির অনুসরণ ও শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে নিজেকে মুক্ত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। ইসলামের সকল আবশ্যকীয় বিধান মান্য করার ব্রত গ্রহণ করতে হবে। নিষিদ্ধ কাজ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, সর্বাত্মকভাবে ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০৮)
দুই. একনিষ্ঠ মনে ইবাদত
কোনো কাজে ইখলাস অবলম্বন বা একনিষ্ঠ হওয়ার অর্থ হলো, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যেই কাজটি সম্পাদন করা। লৌকিকতা বা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সন্তুষ্ট করার জন্য ইবাদত করা ইখলাসের পথে অন্তরায়। অন্য যেকোনো ইবাদতের মতো রোজাও ইখলাস ছাড়া আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। রোজায় একনিষ্ঠ হওয়াকে হাদিসের ভাষায় ‘ইহতিসাব’ বলা হয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে তাঁর সন্তুষ্টি ও পুরস্কার লাভের আশায় রোজা রাখবে, তার অতীতের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি, হাদিস: ২০১৪; মুসলিম, হাদিস: ১৮১৭)
তিন. মহানবী (সা.)-এর অনুসরণ
ইবাদত যতই ইখলাসপূর্ণ হোক না কেন, তা যদি মহানবী (সা.)-এর সুন্নত অনুসারে না হয়, তবে তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ, মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমার নির্দেশ নেই এমন বিষয়ে কেউ আমল করলে তা প্রত্যাখ্যাত হবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ৪৫৯০) তাই রমজানে আমাদের সকল কার্যক্রম হতে হবে মহানবী (সা.)-এর সুন্নত মোতাবেক। তিনি যেভাবে রোজা রেখেছেন, সাহরি ও ইফতার করেছেন, আমাদেরও সেভাবে তা সম্পাদন করতে হবে। সব ক্ষেত্রে তাঁকে এবং তাঁর সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সাহাবিদের অনুসরণ করতে হবে। তাঁর মতো বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত ও নফল ইবাদত করতে হবে।
চার. অন্যায় থেকে বিরত থাকা
অন্যায় কাজ সব সময় গুনাহের কারণ। তবে পবিত্র রমজান মাসে রোজা রেখে তাতে লিপ্ত হওয়া আরও গর্হিত কাজ। তাই রোজা রেখে কোনো ধরনের অযথা কথাবার্তা ও ঝগড়া-বিবাদে জড়ানো যাবে না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকার নামই রোজা নয়। বরং রোজা হলো অনর্থক-অশ্লীল কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকা। যদি তোমার সঙ্গে কেউ ঝগড়া-বিবাদ কিংবা মারামারিতে লিপ্ত হতে চায়, অথবা মূর্খ আচরণ করে, তবে তাকে বলে দেবে আমি রোজাদার।’ (মুসতাদরাকে হাকিম, হাদিস: ১৫২০)
অন্য হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা, মিথ্যা কাজ ও মূর্খতা পরিত্যাগ করতে পারে না, তার পানাহার বর্জনে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।’ (বুখারি, হাদিস: ৬০৫৭)
পাঁচ. রোজা নষ্ট হওয়ার কারণ পরিহার
রোজাদারকে এমন সব কাজ পরিহার করতে হবে, যা রোজা নষ্ট করে। বিশেষ করে দিনের বেলায় স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এড়িয়ে চলতে হবে। খাওয়া-দাওয়া থেকে বিরত হয়ে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকতে হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা নষ্ট হয়—এমন কোনো কাজ করলে অনেক ক্ষেত্রে কাফফারাও আদায় করতে হয়। আর কাফফারা কঠিন এক বিধান। তাই এ বিষয়ে যত্নবান হতে হবে।
ছয়. কোরআন তিলাওয়াত
রমজান কোরআন নাজিলের মাস। এ কারণেই রমজান মাসের এত মর্যাদা। তাই এ মাসে অন্য সকল সময়ের চেয়ে বেশি করে কোরআন তিলাওয়াত করা উচিত। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘রোজা ও কোরআন কেয়ামতের দিন মানুষের জন্য এভাবে সুপারিশ করবে যে, সিয়াম বলবে হে প্রতিপালক, আমি দিনের বেলা তাকে পানাহার ও যৌনতা থেকে বিরত রেখেছি। তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। কোরআন বলবে হে প্রতিপালক, আমি তাকে রাতে নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছি। তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। তিনি বলেন, এর পর উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হবে।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ৬৬২৬)
সাত. আর্তমানবতার সেবা
রোজা রাখার মাধ্যমে অসহায়, সম্বলহীন ও অভুক্ত মানুষের দুঃখ-কষ্ট অনুভব করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তাই এ দান-প্রতিদানের পবিত্র মাসে তাদের জন্য বেশি করে কল্যাণকর কাজ করা উচিত। ইফতার করানো, সদকাতুল ফিতর, জাকাত আদায় করা ছাড়াও ব্যাপকভাবে দান-সদকা করা যেতে পারে। হাদিসে এসেছে, ‘মহানবী (সা.) ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল। আর রমজানে তাঁর দানশীলতা আরও বেড়ে যেত।’ (মুসলিম, হাদিস: ৩২০৮) তা ছাড়া রোজাদারকে ইফতার করালে রোজা রাখার সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। এবং রোজাদারের সওয়াবও কমানো হবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৮০৭)
আট. খাওয়া-ঘুমে ভারসাম্য
রোজা ত্যাগের মাস, সংযমের মাস। এ মাসে খাওয়া-দাওয়া, ঘুমসহ যাবতীয় জৈবিক চাহিদা কমিয়ে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকতে বলা হয়েছে। তাই দিনের বেলা রোজা রেখে রাতের বেলায় অধিক পরিমাণে পানাহার করা শিষ্টাচার পরিপন্থী। সাহরি ও ইফতারে বিলাসী আয়োজন ইসলাম নিরুৎসাহিত করে। বিশেষ করে সাহরি ও ইফতারে অপচয় করা মোটেও অনুমোদিত নয়। তা ছাড়া সারা দিন ঘুমিয়ে অলস সময় যাপন করাও ঠিক নয়। বরং আয়-রোজগার ও স্বাভাবিক কাজকর্ম এবং ইবাদত অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ খাবার-দাবার, সময়, শক্তি কোনো কিছুই অপচয় করা ইসলাম অনুমোদন করে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা অপচয় করো না। নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই আর শয়তান তার পালনকর্তার প্রতি অকৃতজ্ঞ।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত ২৬-২৭)
পবিত্র মাস রমজান জীবনে পরিবর্তন আনার সুবর্ণ সময়। কোরআনের আলোকে জীবন রাঙিয়ে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে প্রয়োজন রমজানের শিষ্টাচারগুলো যথাযথভাবে পালন করা। রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় তা দারুণ সহায়ক হয় এবং রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি কাটিয়ে পরিপূর্ণ ফজিলত ও সওয়াব লাভের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। নিচে রমজানের আটটি শিষ্টাচারের আলোচনা করা হলো—
এক. আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ
ইসলাম শব্দের অর্থই আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে সঁপে দেওয়া। আর রোজা ইসলামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিধান। তাই রমজানের ফজিলত পেতে হলে প্রথমেই আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করে তাঁর মনোনীত ধর্ম ইসলামে পূর্ণ আত্মসমর্পণ করতে হবে। প্রবৃত্তির অনুসরণ ও শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে নিজেকে মুক্ত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। ইসলামের সকল আবশ্যকীয় বিধান মান্য করার ব্রত গ্রহণ করতে হবে। নিষিদ্ধ কাজ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, সর্বাত্মকভাবে ইসলামে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০৮)
দুই. একনিষ্ঠ মনে ইবাদত
কোনো কাজে ইখলাস অবলম্বন বা একনিষ্ঠ হওয়ার অর্থ হলো, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যেই কাজটি সম্পাদন করা। লৌকিকতা বা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে সন্তুষ্ট করার জন্য ইবাদত করা ইখলাসের পথে অন্তরায়। অন্য যেকোনো ইবাদতের মতো রোজাও ইখলাস ছাড়া আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। রোজায় একনিষ্ঠ হওয়াকে হাদিসের ভাষায় ‘ইহতিসাব’ বলা হয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে তাঁর সন্তুষ্টি ও পুরস্কার লাভের আশায় রোজা রাখবে, তার অতীতের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (বুখারি, হাদিস: ২০১৪; মুসলিম, হাদিস: ১৮১৭)
তিন. মহানবী (সা.)-এর অনুসরণ
ইবাদত যতই ইখলাসপূর্ণ হোক না কেন, তা যদি মহানবী (সা.)-এর সুন্নত অনুসারে না হয়, তবে তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ, মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমার নির্দেশ নেই এমন বিষয়ে কেউ আমল করলে তা প্রত্যাখ্যাত হবে।’ (মুসলিম, হাদিস: ৪৫৯০) তাই রমজানে আমাদের সকল কার্যক্রম হতে হবে মহানবী (সা.)-এর সুন্নত মোতাবেক। তিনি যেভাবে রোজা রেখেছেন, সাহরি ও ইফতার করেছেন, আমাদেরও সেভাবে তা সম্পাদন করতে হবে। সব ক্ষেত্রে তাঁকে এবং তাঁর সান্নিধ্যপ্রাপ্ত সাহাবিদের অনুসরণ করতে হবে। তাঁর মতো বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত ও নফল ইবাদত করতে হবে।
চার. অন্যায় থেকে বিরত থাকা
অন্যায় কাজ সব সময় গুনাহের কারণ। তবে পবিত্র রমজান মাসে রোজা রেখে তাতে লিপ্ত হওয়া আরও গর্হিত কাজ। তাই রোজা রেখে কোনো ধরনের অযথা কথাবার্তা ও ঝগড়া-বিবাদে জড়ানো যাবে না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকার নামই রোজা নয়। বরং রোজা হলো অনর্থক-অশ্লীল কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকা। যদি তোমার সঙ্গে কেউ ঝগড়া-বিবাদ কিংবা মারামারিতে লিপ্ত হতে চায়, অথবা মূর্খ আচরণ করে, তবে তাকে বলে দেবে আমি রোজাদার।’ (মুসতাদরাকে হাকিম, হাদিস: ১৫২০)
অন্য হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা, মিথ্যা কাজ ও মূর্খতা পরিত্যাগ করতে পারে না, তার পানাহার বর্জনে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।’ (বুখারি, হাদিস: ৬০৫৭)
পাঁচ. রোজা নষ্ট হওয়ার কারণ পরিহার
রোজাদারকে এমন সব কাজ পরিহার করতে হবে, যা রোজা নষ্ট করে। বিশেষ করে দিনের বেলায় স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এড়িয়ে চলতে হবে। খাওয়া-দাওয়া থেকে বিরত হয়ে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকতে হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা নষ্ট হয়—এমন কোনো কাজ করলে অনেক ক্ষেত্রে কাফফারাও আদায় করতে হয়। আর কাফফারা কঠিন এক বিধান। তাই এ বিষয়ে যত্নবান হতে হবে।
ছয়. কোরআন তিলাওয়াত
রমজান কোরআন নাজিলের মাস। এ কারণেই রমজান মাসের এত মর্যাদা। তাই এ মাসে অন্য সকল সময়ের চেয়ে বেশি করে কোরআন তিলাওয়াত করা উচিত। হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘রোজা ও কোরআন কেয়ামতের দিন মানুষের জন্য এভাবে সুপারিশ করবে যে, সিয়াম বলবে হে প্রতিপালক, আমি দিনের বেলা তাকে পানাহার ও যৌনতা থেকে বিরত রেখেছি। তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। কোরআন বলবে হে প্রতিপালক, আমি তাকে রাতে নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছি। তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। তিনি বলেন, এর পর উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হবে।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ৬৬২৬)
সাত. আর্তমানবতার সেবা
রোজা রাখার মাধ্যমে অসহায়, সম্বলহীন ও অভুক্ত মানুষের দুঃখ-কষ্ট অনুভব করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তাই এ দান-প্রতিদানের পবিত্র মাসে তাদের জন্য বেশি করে কল্যাণকর কাজ করা উচিত। ইফতার করানো, সদকাতুল ফিতর, জাকাত আদায় করা ছাড়াও ব্যাপকভাবে দান-সদকা করা যেতে পারে। হাদিসে এসেছে, ‘মহানবী (সা.) ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল। আর রমজানে তাঁর দানশীলতা আরও বেড়ে যেত।’ (মুসলিম, হাদিস: ৩২০৮) তা ছাড়া রোজাদারকে ইফতার করালে রোজা রাখার সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। এবং রোজাদারের সওয়াবও কমানো হবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৮০৭)
আট. খাওয়া-ঘুমে ভারসাম্য
রোজা ত্যাগের মাস, সংযমের মাস। এ মাসে খাওয়া-দাওয়া, ঘুমসহ যাবতীয় জৈবিক চাহিদা কমিয়ে ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকতে বলা হয়েছে। তাই দিনের বেলা রোজা রেখে রাতের বেলায় অধিক পরিমাণে পানাহার করা শিষ্টাচার পরিপন্থী। সাহরি ও ইফতারে বিলাসী আয়োজন ইসলাম নিরুৎসাহিত করে। বিশেষ করে সাহরি ও ইফতারে অপচয় করা মোটেও অনুমোদিত নয়। তা ছাড়া সারা দিন ঘুমিয়ে অলস সময় যাপন করাও ঠিক নয়। বরং আয়-রোজগার ও স্বাভাবিক কাজকর্ম এবং ইবাদত অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ খাবার-দাবার, সময়, শক্তি কোনো কিছুই অপচয় করা ইসলাম অনুমোদন করে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা অপচয় করো না। নিশ্চয়ই অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই আর শয়তান তার পালনকর্তার প্রতি অকৃতজ্ঞ।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত ২৬-২৭)
ভ্রমণের সময় নামাজের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিয়েছে ইসলাম। কোনো ব্যক্তি নিজের আবাসস্থল থেকে ৪৮ মাইল তথা ৭৮ কিলোমিটার দূরের কোনো গন্তব্যে ভ্রমণের নিয়তে বের হয়ে তাঁর এলাকা পেরিয়ে গেলেই শরিয়তের দৃষ্টিতে সে মুসাফির হয়ে যায়। (জাওয়াহিরুল ফিকহ: ১/৪৩৬)
২ ঘণ্টা আগেজুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
১ দিন আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
১ দিন আগে