মুফতি আবু দারদা
ইসলাম সব ধরনের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে। লৈঙ্গিক সমস্যার কারণে আমাদের সমাজে যারা হিজড়া হিসেবে চিহ্নিত, তাদের অধিকার ও বিধিবিধান সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে ইসলামি শরিয়তে। তাদের একঘরে করা বা সমাজচ্যুত করা ইসলামের নির্দেশনার বিপরীত। তবে যাদের লৈঙ্গিক সমস্যা নেই, এমন কোনো নারী বা পুরুষের জন্য লিঙ্গ পরিবর্তন করে বিপরীত লিঙ্গের পরিচয় গ্রহণ করা ইসলামে অনুমোদিত নয়। এ বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞার কথা এসেছে।
হিজড়াদের সম্পর্কে শরিয়তের বিধান
ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষ মৌলিকভাবে দুই ধরনের—পুরুষ ও নারী। হিজড়াদের ইসলাম আলাদা মানব শ্রেণি হিসেবে বিবেচনা করে না। বরং তারা নারী বা পুরুষ শ্রেণিরই অন্তর্ভুক্ত। বিধানের দিক থেকে হিজড়া তিন ধরনের হয়ে থাকে।
এক. পুরুষ হিজড়া: যাদের মধ্যে পুরুষ হওয়ার প্রবণতাই প্রবল। যেমন পুরুষাঙ্গ আছে, দাড়ি-গোঁফ আছে, স্বপ্নদোষ হয়, যৌনমিলনের সক্ষমতা আছে ইত্যাদি। এ শ্রেণির মানুষের নারীসুলভ কিছু লক্ষণ দেখা গেলেও পুরুষই গণ্য করা হবে। সুতরাং শরিয়তের বিধান পালনের ক্ষেত্রে পুরুষদের সবকিছু তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং চিকিৎসার মাধ্যমে নারীত্বের ছাপ দূর করাও যাবে।
দুই. নারী হিজড়া: যাদের মধ্যে নারী হওয়ার আলামতই প্রবল। যেমন তাদের ঋতুস্রাব হয়, যোনি থাকে, গর্ভে সন্তান আসে ইত্যাদি। এদের মধ্যে পুরুষসুলভ কোনো আলামত দেখা গেলেও প্রবলতার বিবেচনায় তারা নারী হিসেবেই গণ্য হবে। সুতরাং শরিয়তের বিধান পালনের ক্ষেত্রে নারীদের সবকিছু তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এদের জন্য পুরুষত্বের ছাপ দূর করে ফেলা ইসলামে বৈধ।
তিন. জটিল হিজড়া: যাদের সুনির্দিষ্টভাবে পুরুষ বা নারীর কোনো একটি শ্রেণিতে ফেলা যায় না। তাদের মধ্যে উভয় ধরনের লক্ষণই সমানভাবে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলেন আলিমগণ। যেমন ইবাদত পালনের ক্ষেত্রে তাদের নারীদের মতো ইবাদত সম্পাদন করতে হয়। হজের সময় নারীদের মতো ইহরাম পরতে হয়। তাদের ওপর জুমা ফরজ হয় না। গাইরে মাহরাম পুরুষদের সঙ্গে পর্দা করতে হয়। ইত্যাদি। (আল-মাবসুত লি-সারাখসি)
হিজড়াদের মানবাধিকার
হিজড়ারা আমাদের সমাজের বাইরের কেউ নয়। তাদের সব মানবিক অধিকার রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। তাদের সমাজচ্যুত করা ইসলাম অনুমোদন করে না। তাদের মধ্যে যাদের ওপরে উল্লিখিত ইসলামের নীতি অনুসারে পুরুষ হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে, তারা পুরুষ হিসেবেই সমাজে পরিচিত হবে এবং যাদের নারী হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে, তারা নারী হিসেবে সমাজে পরিচিত হবে। সম্পদের উত্তরাধিকার থেকে শুরু করে সব মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে এই নীতি অনুসৃত হবে। তবে জটিল হিজড়াদের ক্ষেত্রে যেহেতু লিঙ্গ নির্ধারণ জটিল হয়ে যায়, তাই তাদের সম্পদের উত্তরাধিকারে তুলনামূলক কম অংশটি দেওয়া হবে। অর্থাৎ তাকে পুরুষ ধরা হলে যদি তার অংশ বেশি হয়, তবে তাকে নারী ধরে হিসাব করতে হবে। পক্ষান্তরে যদি নারী হিসাব করলে তার অংশ বেশি হয়ে যায়, তবে তাকে পুরুষ হিসেবে বিবেচনা করে সম্পদ ভাগ করতে হবে। (আল-মাবসুত লি-সারাখসি)
হিজড়া হওয়া যেহেতু এক ধরনের প্রতিবন্ধিত্ব ও শারীরিক জটিলতা, তাই এর চিকিৎসা করানো সব অভিভাবকের কর্তব্য। কারণ, সন্তান যেমনই হোক, তাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ করা ইসলামে বৈধ নয়। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সন্তানদের মধ্যে সমতা বজায় রাখো।’ (বুখারি ও মুসলিম) বিশেষ করে এই শ্রেণির মানুষের চিকিৎসা করিয়ে তাদের মূলধারায় যুক্ত করা, বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করা এবং অন্য প্রতিবন্ধীদের মতো সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
হিজড়াদের ভরণপোষণের দায়িত্ব
হিজড়ারা নিজ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ সদস্য। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও অভিভাবকেরা তাদের ভরণপোষণ দিতে অস্বীকৃতি জানালে আদালত তাঁদের বাধ্য করবেন। আর অভিভাবক অক্ষম হলে আদালত তাঁর জন্য রাষ্ট্রীয় ভাতা বরাদ্দ করার নির্দেশ দেবেন। (ফাতাওয়া আলমগিরি) আর হিজড়াদের যখন উপার্জন করার শক্তি ও সামর্থ্য অর্জিত হবে, তখন নিজেই নিজের খরচ বহন করবে। কোনো ধরনের অনৈতিক কাজ, চাঁদাবাজি, মানুষকে হয়রানি ও অসম্মান করার অধিকার তাদের থাকবে না। হিজড়াদের অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে রাষ্ট্রের আন্তরিক হবে হবে। উপার্জনক্ষম হিজড়াদের জন্য বৈষম্যহীন কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের জরিপ মতে, বাংলাদেশে হিজড়ার সংখ্যা মাত্র ১০ হাজার। সরকার চাইলেই তাদের মধ্যে যারা উপার্জনক্ষম, তাদের কর্মসংস্থান এবং অক্ষমদের জন্য যথাযথ ভাতার ব্যবস্থা করতে পারে এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ঘিরে গড়ে ওঠা বিশাল নৈরাজ্য বন্ধ করতে পারে।
ইসলামের আলোকে লিঙ্গ রূপান্তর
সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত লিঙ্গ রূপান্তরবাদের সারকথা হলো, কোনো পুরুষের যদি নিজেকে নারী বলে মনে হয়, তাহলে সে একজন নারী। সমাজ ও আইন তাকে নারী বলেই বিবেচনা করবে। একইভাবে কোনো নারীরও যদি নিজেকে পুরুষ মনে হয়, তাহলে সে পুরুষ হিসেবে বিবেচিত হবে। এবং তারা চিকিৎসার মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করার অধিকার রাখে। এমন দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামে অনুমোদিত নয়। লিঙ্গ রূপান্তরকামীদের অনেকে মূলত সম্পূর্ণরূপে পুরুষ বা নারী হিসেবে জন্মগ্রহণ করে এবং পরে ওই লিঙ্গের প্রতি অসন্তুষ্টির কারণে লিঙ্গ পরিবর্তন করে। এটি ইসলামে দেহ বিকৃতির শামিল, সব মাজহাবের আলিমদের মতে এটি হারাম ও কবিরা গুনাহ। হাদিসে এসেছে, হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) নারীর বেশধারী পুরুষদের এবং পুরুষের বেশধারী নারীদের অভিসম্পাত করেছেন। (বুখারি: ৫৮৮৫)
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক
ইসলাম সব ধরনের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করে। লৈঙ্গিক সমস্যার কারণে আমাদের সমাজে যারা হিজড়া হিসেবে চিহ্নিত, তাদের অধিকার ও বিধিবিধান সম্পর্কে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে ইসলামি শরিয়তে। তাদের একঘরে করা বা সমাজচ্যুত করা ইসলামের নির্দেশনার বিপরীত। তবে যাদের লৈঙ্গিক সমস্যা নেই, এমন কোনো নারী বা পুরুষের জন্য লিঙ্গ পরিবর্তন করে বিপরীত লিঙ্গের পরিচয় গ্রহণ করা ইসলামে অনুমোদিত নয়। এ বিষয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞার কথা এসেছে।
হিজড়াদের সম্পর্কে শরিয়তের বিধান
ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষ মৌলিকভাবে দুই ধরনের—পুরুষ ও নারী। হিজড়াদের ইসলাম আলাদা মানব শ্রেণি হিসেবে বিবেচনা করে না। বরং তারা নারী বা পুরুষ শ্রেণিরই অন্তর্ভুক্ত। বিধানের দিক থেকে হিজড়া তিন ধরনের হয়ে থাকে।
এক. পুরুষ হিজড়া: যাদের মধ্যে পুরুষ হওয়ার প্রবণতাই প্রবল। যেমন পুরুষাঙ্গ আছে, দাড়ি-গোঁফ আছে, স্বপ্নদোষ হয়, যৌনমিলনের সক্ষমতা আছে ইত্যাদি। এ শ্রেণির মানুষের নারীসুলভ কিছু লক্ষণ দেখা গেলেও পুরুষই গণ্য করা হবে। সুতরাং শরিয়তের বিধান পালনের ক্ষেত্রে পুরুষদের সবকিছু তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে এবং চিকিৎসার মাধ্যমে নারীত্বের ছাপ দূর করাও যাবে।
দুই. নারী হিজড়া: যাদের মধ্যে নারী হওয়ার আলামতই প্রবল। যেমন তাদের ঋতুস্রাব হয়, যোনি থাকে, গর্ভে সন্তান আসে ইত্যাদি। এদের মধ্যে পুরুষসুলভ কোনো আলামত দেখা গেলেও প্রবলতার বিবেচনায় তারা নারী হিসেবেই গণ্য হবে। সুতরাং শরিয়তের বিধান পালনের ক্ষেত্রে নারীদের সবকিছু তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এদের জন্য পুরুষত্বের ছাপ দূর করে ফেলা ইসলামে বৈধ।
তিন. জটিল হিজড়া: যাদের সুনির্দিষ্টভাবে পুরুষ বা নারীর কোনো একটি শ্রেণিতে ফেলা যায় না। তাদের মধ্যে উভয় ধরনের লক্ষণই সমানভাবে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলেন আলিমগণ। যেমন ইবাদত পালনের ক্ষেত্রে তাদের নারীদের মতো ইবাদত সম্পাদন করতে হয়। হজের সময় নারীদের মতো ইহরাম পরতে হয়। তাদের ওপর জুমা ফরজ হয় না। গাইরে মাহরাম পুরুষদের সঙ্গে পর্দা করতে হয়। ইত্যাদি। (আল-মাবসুত লি-সারাখসি)
হিজড়াদের মানবাধিকার
হিজড়ারা আমাদের সমাজের বাইরের কেউ নয়। তাদের সব মানবিক অধিকার রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। তাদের সমাজচ্যুত করা ইসলাম অনুমোদন করে না। তাদের মধ্যে যাদের ওপরে উল্লিখিত ইসলামের নীতি অনুসারে পুরুষ হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে, তারা পুরুষ হিসেবেই সমাজে পরিচিত হবে এবং যাদের নারী হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে, তারা নারী হিসেবে সমাজে পরিচিত হবে। সম্পদের উত্তরাধিকার থেকে শুরু করে সব মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রে এই নীতি অনুসৃত হবে। তবে জটিল হিজড়াদের ক্ষেত্রে যেহেতু লিঙ্গ নির্ধারণ জটিল হয়ে যায়, তাই তাদের সম্পদের উত্তরাধিকারে তুলনামূলক কম অংশটি দেওয়া হবে। অর্থাৎ তাকে পুরুষ ধরা হলে যদি তার অংশ বেশি হয়, তবে তাকে নারী ধরে হিসাব করতে হবে। পক্ষান্তরে যদি নারী হিসাব করলে তার অংশ বেশি হয়ে যায়, তবে তাকে পুরুষ হিসেবে বিবেচনা করে সম্পদ ভাগ করতে হবে। (আল-মাবসুত লি-সারাখসি)
হিজড়া হওয়া যেহেতু এক ধরনের প্রতিবন্ধিত্ব ও শারীরিক জটিলতা, তাই এর চিকিৎসা করানো সব অভিভাবকের কর্তব্য। কারণ, সন্তান যেমনই হোক, তাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ করা ইসলামে বৈধ নয়। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সন্তানদের মধ্যে সমতা বজায় রাখো।’ (বুখারি ও মুসলিম) বিশেষ করে এই শ্রেণির মানুষের চিকিৎসা করিয়ে তাদের মূলধারায় যুক্ত করা, বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা করা এবং অন্য প্রতিবন্ধীদের মতো সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
হিজড়াদের ভরণপোষণের দায়িত্ব
হিজড়ারা নিজ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ সদস্য। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও অভিভাবকেরা তাদের ভরণপোষণ দিতে অস্বীকৃতি জানালে আদালত তাঁদের বাধ্য করবেন। আর অভিভাবক অক্ষম হলে আদালত তাঁর জন্য রাষ্ট্রীয় ভাতা বরাদ্দ করার নির্দেশ দেবেন। (ফাতাওয়া আলমগিরি) আর হিজড়াদের যখন উপার্জন করার শক্তি ও সামর্থ্য অর্জিত হবে, তখন নিজেই নিজের খরচ বহন করবে। কোনো ধরনের অনৈতিক কাজ, চাঁদাবাজি, মানুষকে হয়রানি ও অসম্মান করার অধিকার তাদের থাকবে না। হিজড়াদের অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে রাষ্ট্রের আন্তরিক হবে হবে। উপার্জনক্ষম হিজড়াদের জন্য বৈষম্যহীন কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের জরিপ মতে, বাংলাদেশে হিজড়ার সংখ্যা মাত্র ১০ হাজার। সরকার চাইলেই তাদের মধ্যে যারা উপার্জনক্ষম, তাদের কর্মসংস্থান এবং অক্ষমদের জন্য যথাযথ ভাতার ব্যবস্থা করতে পারে এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীকে ঘিরে গড়ে ওঠা বিশাল নৈরাজ্য বন্ধ করতে পারে।
ইসলামের আলোকে লিঙ্গ রূপান্তর
সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত লিঙ্গ রূপান্তরবাদের সারকথা হলো, কোনো পুরুষের যদি নিজেকে নারী বলে মনে হয়, তাহলে সে একজন নারী। সমাজ ও আইন তাকে নারী বলেই বিবেচনা করবে। একইভাবে কোনো নারীরও যদি নিজেকে পুরুষ মনে হয়, তাহলে সে পুরুষ হিসেবে বিবেচিত হবে। এবং তারা চিকিৎসার মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করার অধিকার রাখে। এমন দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামে অনুমোদিত নয়। লিঙ্গ রূপান্তরকামীদের অনেকে মূলত সম্পূর্ণরূপে পুরুষ বা নারী হিসেবে জন্মগ্রহণ করে এবং পরে ওই লিঙ্গের প্রতি অসন্তুষ্টির কারণে লিঙ্গ পরিবর্তন করে। এটি ইসলামে দেহ বিকৃতির শামিল, সব মাজহাবের আলিমদের মতে এটি হারাম ও কবিরা গুনাহ। হাদিসে এসেছে, হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) নারীর বেশধারী পুরুষদের এবং পুরুষের বেশধারী নারীদের অভিসম্পাত করেছেন। (বুখারি: ৫৮৮৫)
লেখক: শিক্ষক ও গবেষক
জুবাইদা বিনতে জাফর ইবনে মানসুর পঞ্চম আব্বাসি খলিফা হারুনুর রশিদের স্ত্রী ও জাফর ইবনুল মানসুরের কন্যা। তাঁর মা ছিলেন আল-খায়জুরানের বড় বোন সালসাল ইবনে আত্তা। জুবাইদার আসল নাম আমাতুল আজিজ। দাদা আল-মানসুর তাঁকে আদর করে জুবাইদা (ছোট মাখনের টুকরা) নামে ডাকতেন এবং এ নামেই তিনি ইতিহাসে বিখ্যাত।
৯ ঘণ্টা আগেকুয়েতে অনুষ্ঠিত ১৩তম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছেন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ। বিশ্বের ৭৪টি দেশের প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে দেশের জন্য এ গৌরব বয়ে আনেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগেবিয়ে ইসলামি জীবনব্যবস্থার একটি মৌলিক অংশ। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি ও স্থিতি নিয়ে আসে। তবে বিয়ের আগে আর্থিক সচ্ছলতা অর্জন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিয়ে-পরবর্তী জীবনে দায়িত্ব পালনের জন্য ব্যক্তিকে সক্ষম করে।
৯ ঘণ্টা আগে