হালাল-হারামের ৫ মূলনীতি

মাহমুদ হাসান ফাহিম
Thumbnail image

ইসলামে যা বৈধ করা হয়েছে শরিয়তের পরিভাষায় তা হালাল এবং যা অবৈধ করা হয়েছে তা হারাম। (কাওয়ায়েদুল ফিকহ) হালাল-হারামের বিধান মানুষের কল্যাণেই আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রণীত হয়েছে। এখানে ইসলামে হালাল-হারামের কয়েকটি মূলনীতি তুলে ধরা হলো:

এক. ইসলাম যাকে হালাল বলবে তা হালাল আর যা হারাম বলবে তা হারাম। সুতরাং কেউ যদি হালালকে হারাম বা হারামকে হালাল সাব্যস্ত করতে চায় তাহলে সে আর মুসলমান থাকে না। এরশাদ হয়েছে, ‘তিনি তোমাদের জন্য যা হারাম করেছেন, তা বিশদভাবে তোমাদের কাছে বর্ণনা করে দিয়েছেন।’ (সুরা আনআম: ১৯)

দুই. সব ধরনের ক্ষতিকর বস্তু হারাম। যেসব বস্তু অপবিত্র, নিকৃষ্ট ও ক্ষতিকর, তা ইসলামে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। যেমন মদ, মৃতপ্রাণী, রক্ত ও শূকর। এরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের ওপর হারাম করা হয়েছে মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের গোশত এবং সেই পশু যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নামে জবাই করা হয়েছে। ...’ (সুরা মায়িদা: ৩)

তিন. যেসব উপকরণ হারাম কাজ সংঘটিত হওয়ার কারণ হয়, ইসলাম সেগুলোকেও হারাম ঘোষণা করেছে। কারণ যা কিছু হারামের দিকে ধাবিত করে তাও হারাম। যেমন ব্যভিচার হারাম। আর যে কাজ ব্যভিচারের পথ উন্মুক্ত করে, তাও হারাম করেছে। (ইসলামে হালাল-হারামের বিধান)

চার. হারাম কাজ করার জন্য কৌশল অবলম্বন করাও হারাম। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘ইহুদিরা যা করত, তোমরা তা করতে যেয়ো না। আল্লাহ যা হারাম করেছেন, তারা সেগুলো কৌশলে হালাল করার চেষ্টা করত।’ (গিয়াসাতুল লাহফান)

পাঁচ. যে বস্তুতে অন্যের অধিকার আছে, তা হারাম। যেমন চোরাই মাল, লুটতরাজের মাল, ছিনতাইকৃত মাল ইত্যাদি। এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা পরস্পরে একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করো না। ...’ (সুরা বাকারা: ১৮৮)

মাহমুদ হাসান ফাহিম, ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত