পবিত্র কোরআনের ২৪টি সুরায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অসংখ্যবার আল্লাহ তাআলা হজরত লুত (আ.)-এর প্রসঙ্গ টেনেছেন। তাঁর জাতি যে ঘৃণ্য অপরাধের মাধ্যমে চূড়ান্ত অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়েছিল, তা থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দিয়েছেন। এখানে ঐতিহাসিক বিভিন্ন বর্ণনা এড়িয়ে কেবল পবিত্র কোরআনের আলোকে কওমে লুতের পরিণতির কথা সংক্ষেপে তুলে এনেছেন ইজাজুল হক।
ইজাজুল হক
হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতার কাজ করছ, যা বিশ্বজগতে তোমাদের আগে কেউ করেনি। তোমরা যৌন তাড়নায় নারীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের কাছে গমন করছ। তোমরা এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা আরাফ: ৮০-৮১)
তবে কেবল এমন বিকৃত যৌনাচারই নয়, বরং তারা আরও নানা অপকর্মে যুক্ত ছিল। ডাকাতি, রাহাজানি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত ছিল। প্রকাশ্য সমাবেশে আরও বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা (কামতাড়িত হয়ে) পুরুষদের কাছে যাওয়া-আসা করো, রাহাজানি করো এবং নিজেদের মজলিশে ঘৃণ্য কর্ম করো। তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
লুত (আ.) যখন তাদের এসব অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে বললেন, তখন তারা তা-ই বলল, যা অন্য অবাধ্য জাতিগুলো তাদের নবীদের বলত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার জাতির এ ছাড়া আর কোনো জবাব ছিল না যে তোমাদের জনপদ থেকে এদের (লুত ও তার অনুসারীদের) বের করে দাও, এরা এমন লোক, যারা খুব পবিত্র হতে চায়।’ (সুরা আরাফ: ৮২)
এমনকি লুত (আ.) যখন তাদের আল্লাহর আজাবের ভয় দেখালেন, তারা তা নিয়ে ঠাট্টা করল এবং আজাব নিয়ে আসার আহ্বান জানাল। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো। তিনি বললেন—হে আমার প্রতিপালক, বিশৃঙ্খল জাতির বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করুন।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
এভাবে কওমে লুত অবাধ্যতার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ করলে আল্লাহ তাআলা আজাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার আগে অপরাধের পূর্ণতা দানের জন্য তাদের আরও একবার পরীক্ষা করেন। সুদর্শন পুরুষের বেশে কয়েকজন ফেরেশতাকে লুত (আ.)-এর কাছে পাঠান। উদ্দেশ্য ছিল, তাদের অপরাধের ষোলোকলায় পূর্ণ করা। কারণ তারা এই কাজকে কেবল বৈধই মনে করত না, এর পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করত। নারীরাও এই কাজের সমর্থনে কাজ করত। এমনকি হজরত লুত (আ.)-এর স্ত্রীও এদের পক্ষে কাজ করত। লুত (আ.) ফেরেশতাদের প্রথমে চিনতে পারেননি। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘আমার প্রেরিত বার্তাবাহকগণ যখন লুতের কাছে এল, তাদের আগমনে সে ঘাবড়ে গেল। (তাদের রক্ষায়) নিজেকে অসমর্থ মনে করল আর বলল—আজ বড়ই বিপদের দিন।’ (সুরা হুদ: ৭৭)
তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
লুত (আ.)-এর আশঙ্কা অমূলক ছিল না। ঠিকই তারা এসে গেল এবং যুবকদের তাদের হাতে সোপর্দ করতে জোরাজুরি করতে লাগল। লুত (আ.) আবার তাদের নসিহত করলেন এবং আল্লাহর আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘তার কওমের লোকজন হুড়মুড় করে তার কাছে ছুটে এল। আগে থেকেই তারা এ রকম অসৎ কাজে অভ্যস্ত ছিল। সে বলল—হে আমার সম্প্রদায়, আমার (জাতির) কন্যারা আছে, তারা তোমাদের জন্য অধিক পবিত্র (যদি তোমরা বিয়ে করো), কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আমার মেহমানদের ব্যাপারে আমাকে লজ্জিত কোরো না, তোমাদের মধ্যে কি ভালো মানুষ একজনও নেই? তারা বলল—তোমার তো জানাই আছে যে তোমার (জাতির) কন্যাদের আমাদের কোনো দরকার নেই, আমরা কী চাই—তা তো তুমি অবশ্যই জানো।’ (সুরা হুদ: ৭৮-৭৯)
লুত (আ.) হতাশ হলেন এবং নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করলেন। তখন ফেরেশতারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করলেন এবং লুত (আ.)-কে আজাবের ব্যাপারে জানালেন। তাঁরা তাঁকে পরিবার ও গুটিকয়েক অনুসারীদের নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে বললেন। তবে অবাধ্যতার কারণে তাঁর স্ত্রীকে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো না। অবশেষে রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহ তাআলার আজাব এল। ফেরেশতারা ওই ভূখণ্ডকে উল্টে দিয়ে ধ্বংস করে দিলেন। পবিত্র কোরআনের বেশ কিছু আয়াতে এই আজাবের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে।
যেমন এরশাদ হয়েছে, ‘তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। যে পাথর খণ্ডের প্রতিটিই তোমার প্রতিপালকের কাছে চিহ্নিত ছিল। জালিমদের জন্য এ শাস্তি বেশি দূরের ব্যাপার নয়।’ (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘লুতের জাতি সতর্কবাণী প্রত্যাখ্যান করেছিল, আমি তাদের ওপর পাঠিয়েছিলাম পাথরবর্ষী প্রচণ্ড বাতাস, (যা তাদের ধ্বংস করে দিয়েছিল)। লুতের পরিবারকে বাদ দিয়ে। আমি তাদের রাতের শেষ প্রহরে উদ্ধার করে নিয়েছিলাম। আমার পক্ষ হতে অনুগ্রহস্বরূপ; এভাবেই আমি তাকে প্রতিফল দিই যে কৃতজ্ঞ হয়। লুত আমার কঠোর পাকড়াও সম্পর্কে তাদের সতর্ক করেছিল, কিন্তু তারা সতর্কবাণীর বিষয়ে বাগ্বিতণ্ডা করেছিল। তারা লুতকে তার মেহমানদের সুরক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করল, তখন আমি তাদের চোখগুলোকে অন্ধ করে দিলাম আর বললাম—আমার আজাব ও সতর্কবাণীর স্বাদ গ্রহণ করো। অতি সকালে নির্ধারিত শাস্তি তাদের গ্রাস করল।’ (সুরা কামার: ৩৩-৩৮)
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
হজরত লুত (আ.)-কে আল্লাহ তাআলা যে জনপদে পাঠান, তার বাসিন্দারা বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ছিল। পুরুষেরা নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের প্রতি আসক্ত ছিল। হজরত লুত (আ.) তাদের এই অনাচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আমি লুতকে পাঠিয়েছিলাম। যখন সে তার জাতিকে বলেছিল—তোমরা এমন নির্লজ্জতার কাজ করছ, যা বিশ্বজগতে তোমাদের আগে কেউ করেনি। তোমরা যৌন তাড়নায় নারীদের বাদ দিয়ে পুরুষদের কাছে গমন করছ। তোমরা এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা আরাফ: ৮০-৮১)
তবে কেবল এমন বিকৃত যৌনাচারই নয়, বরং তারা আরও নানা অপকর্মে যুক্ত ছিল। ডাকাতি, রাহাজানি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত ছিল। প্রকাশ্য সমাবেশে আরও বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা (কামতাড়িত হয়ে) পুরুষদের কাছে যাওয়া-আসা করো, রাহাজানি করো এবং নিজেদের মজলিশে ঘৃণ্য কর্ম করো। তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
লুত (আ.) যখন তাদের এসব অপকর্ম থেকে বিরত থাকতে বললেন, তখন তারা তা-ই বলল, যা অন্য অবাধ্য জাতিগুলো তাদের নবীদের বলত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার জাতির এ ছাড়া আর কোনো জবাব ছিল না যে তোমাদের জনপদ থেকে এদের (লুত ও তার অনুসারীদের) বের করে দাও, এরা এমন লোক, যারা খুব পবিত্র হতে চায়।’ (সুরা আরাফ: ৮২)
এমনকি লুত (আ.) যখন তাদের আল্লাহর আজাবের ভয় দেখালেন, তারা তা নিয়ে ঠাট্টা করল এবং আজাব নিয়ে আসার আহ্বান জানাল। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘তার সম্প্রদায়ের এ কথা বলা ছাড়া কোনো জবাব ছিল না যে তুমি সত্যবাদী হলে আমাদের ওপর আল্লাহর আজাব নিয়ে এসো। তিনি বললেন—হে আমার প্রতিপালক, বিশৃঙ্খল জাতির বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করুন।’ (সুরা আনকাবুত: ২৯)
এভাবে কওমে লুত অবাধ্যতার চূড়ান্ত রূপ প্রকাশ করলে আল্লাহ তাআলা আজাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার আগে অপরাধের পূর্ণতা দানের জন্য তাদের আরও একবার পরীক্ষা করেন। সুদর্শন পুরুষের বেশে কয়েকজন ফেরেশতাকে লুত (আ.)-এর কাছে পাঠান। উদ্দেশ্য ছিল, তাদের অপরাধের ষোলোকলায় পূর্ণ করা। কারণ তারা এই কাজকে কেবল বৈধই মনে করত না, এর পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করত। নারীরাও এই কাজের সমর্থনে কাজ করত। এমনকি হজরত লুত (আ.)-এর স্ত্রীও এদের পক্ষে কাজ করত। লুত (আ.) ফেরেশতাদের প্রথমে চিনতে পারেননি। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘আমার প্রেরিত বার্তাবাহকগণ যখন লুতের কাছে এল, তাদের আগমনে সে ঘাবড়ে গেল। (তাদের রক্ষায়) নিজেকে অসমর্থ মনে করল আর বলল—আজ বড়ই বিপদের দিন।’ (সুরা হুদ: ৭৭)
তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
লুত (আ.)-এর আশঙ্কা অমূলক ছিল না। ঠিকই তারা এসে গেল এবং যুবকদের তাদের হাতে সোপর্দ করতে জোরাজুরি করতে লাগল। লুত (আ.) আবার তাদের নসিহত করলেন এবং আল্লাহর আজাবের ব্যাপারে সতর্ক করলেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা! আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘তার কওমের লোকজন হুড়মুড় করে তার কাছে ছুটে এল। আগে থেকেই তারা এ রকম অসৎ কাজে অভ্যস্ত ছিল। সে বলল—হে আমার সম্প্রদায়, আমার (জাতির) কন্যারা আছে, তারা তোমাদের জন্য অধিক পবিত্র (যদি তোমরা বিয়ে করো), কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আমার মেহমানদের ব্যাপারে আমাকে লজ্জিত কোরো না, তোমাদের মধ্যে কি ভালো মানুষ একজনও নেই? তারা বলল—তোমার তো জানাই আছে যে তোমার (জাতির) কন্যাদের আমাদের কোনো দরকার নেই, আমরা কী চাই—তা তো তুমি অবশ্যই জানো।’ (সুরা হুদ: ৭৮-৭৯)
লুত (আ.) হতাশ হলেন এবং নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করলেন। তখন ফেরেশতারা নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করলেন এবং লুত (আ.)-কে আজাবের ব্যাপারে জানালেন। তাঁরা তাঁকে পরিবার ও গুটিকয়েক অনুসারীদের নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে যেতে বললেন। তবে অবাধ্যতার কারণে তাঁর স্ত্রীকে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হলো না। অবশেষে রাতের শেষ প্রহরে আল্লাহ তাআলার আজাব এল। ফেরেশতারা ওই ভূখণ্ডকে উল্টে দিয়ে ধ্বংস করে দিলেন। পবিত্র কোরআনের বেশ কিছু আয়াতে এই আজাবের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে।
যেমন এরশাদ হয়েছে, ‘তারপর আমার নির্দেশ যখন এসে গেল, তখন আমি সেই জনপদকে ওপর-নিচ করে উল্টে দিলাম, আর তাদের ওপর স্তরে স্তরে পাকানো মাটির পাথর বর্ষণ করলাম। যে পাথর খণ্ডের প্রতিটিই তোমার প্রতিপালকের কাছে চিহ্নিত ছিল। জালিমদের জন্য এ শাস্তি বেশি দূরের ব্যাপার নয়।’ (সুরা হুদ: ৮২-৮৩)
অন্য আয়াতে এসেছে, ‘লুতের জাতি সতর্কবাণী প্রত্যাখ্যান করেছিল, আমি তাদের ওপর পাঠিয়েছিলাম পাথরবর্ষী প্রচণ্ড বাতাস, (যা তাদের ধ্বংস করে দিয়েছিল)। লুতের পরিবারকে বাদ দিয়ে। আমি তাদের রাতের শেষ প্রহরে উদ্ধার করে নিয়েছিলাম। আমার পক্ষ হতে অনুগ্রহস্বরূপ; এভাবেই আমি তাকে প্রতিফল দিই যে কৃতজ্ঞ হয়। লুত আমার কঠোর পাকড়াও সম্পর্কে তাদের সতর্ক করেছিল, কিন্তু তারা সতর্কবাণীর বিষয়ে বাগ্বিতণ্ডা করেছিল। তারা লুতকে তার মেহমানদের সুরক্ষা দেওয়া থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করল, তখন আমি তাদের চোখগুলোকে অন্ধ করে দিলাম আর বললাম—আমার আজাব ও সতর্কবাণীর স্বাদ গ্রহণ করো। অতি সকালে নির্ধারিত শাস্তি তাদের গ্রাস করল।’ (সুরা কামার: ৩৩-৩৮)
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগে যত নবী-রাসুল পৃথিবীতে এসেছেন, সবার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা ইসলামের মৌলিক আকিদার অন্তর্ভুক্ত। হজরত ঈসা (আ.) ছিলেন বনি ইসরাইলের সর্বশেষ নবী ও কিতাবধারী রাসুল। পবিত্র কোরআনের ১৫টি সুরার ৯৮টি আয়াতে তাঁর জীবনের নানা দিক আলোকপাত করা হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেইসলামের সব বিধানই নবী (সা.) সাহাবিদের সামনে বর্ণনা করতেন। তবে মাঝেমধ্যে কোনো কোনো সাহাবিকে এককভাবে ডেকে বিশেষ কিছু নসিহত করতেন। তেমনই একদিন হজরত আলী (রা.)-কে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নসিহত করলেন। নাসায়ির হাদিসে এসেছে, তিনি আলী (রা.)-কে তিনটি কাজে দেরি না করার নির্দেশ দেন।
২ দিন আগেহিংসা মানুষের চরিত্রের মন্দ দিক। এটি সমাজকে বিষিয়ে তোলে। পরিবার, সমাজ থেকে নিয়ে সর্বত্র ঘৃণা ও হানাহানির জন্য দায়ী এই হিংসা। তাই এটি পরিহার করার নির্দেশ দেয় ইসলাম। পরকালে হিংসুকদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। কোরআন-হাদিসে হিংসা পরিহারের ফজিলতের কথাও বর্ণিত হয়েছে।
৩ দিন আগেদূরে কোথাও সফরে গেলে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। বিভিন্ন সফরে তিনি স্ত্রীদের মধ্য থেকে একজনকে সঙ্গে নিতেন। হজ-ওমরাহসহ বিভিন্ন যুদ্ধেও স্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে গেছেন বলে একাধিক হাদিস থেকে জানা যায়।
৪ দিন আগে