ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন

পৃথিবীর উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক উপকরণটি হলো শ্রম। আর নিরলস শ্রমের পরাকাষ্ঠা যারা বহন করেন তাঁরাই শ্রমিক। ইসলামে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা যথাযথভাবে স্বীকৃত। ইবনে মাজাহর হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) ওফাতকালীন যে উপদেশ দিয়েছেন তা হলো, তোমরা নামাজ এবং অধীনস্থদের ব্যাপারে সাবধান থেকো। এখানে অধীনস্থ বলতে কাজের লোক বা শ্রমিক—যারা কারও অধীনে শ্রমের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আঞ্জাম দিয়ে থাকেন তাঁদের বোঝানো হয়েছে।
শ্রমের গুরুত্ব সম্পর্কে একটি ঐতিহাসিক তথ্য খুবই প্রাসঙ্গিক। তা হলো, নবী-রাসুলগণের প্রায় সকলেই প্রত্যক্ষভাবে শ্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। মুসনাদে আহমদের হাদিস মতে, সব নবী-রাসুলই মেষ চড়িয়েছেন; এমনকি শ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজেও মেষ চড়াতেন। শ্রমের অনেক ফজিলতের কথাও হাদিসে এসেছে। বুখারির হাদিস মতে, কারও কাছে হাত পাতার চেয়ে কারও বোঝা বহন করে রোজগার করা উত্তম। কেউ কিছু দিক আর না দিক, কারও কাছে কিছু চাওয়ার চেয়ে নিজ পিঠে করে কাঠের বোঝা নিয়ে বাজারে বিক্রি করা অনেক ভালো। এখানেও সেই শ্রমেরই গুরুত্ব ফুটে ওঠে। বিখ্যাত বুজুর্গ ও ইসলামি পণ্ডিতেরা নিজেদের নামের সঙ্গে আত্তার বা আতর ব্যবসায়ী, খাব্বাজ বা রুটি ব্যবসায়ী, কাত্তান বা তুলা উৎপাদনকারী প্রভৃতি পেশাভিত্তিক উপাধি ধারণ করতে দ্বিধাবোধ করেননি।
আবু দাউদের হাদিস মতে, যে ব্যক্তি আয়-রোজগারের জন্য শ্রম ব্যয় করবে সে যেন আল্লাহর পথে জিহাদে রত রয়েছে। কেউ যদি তার সন্তান বা স্ত্রী অথবা বাবা-মায়ের জীবিকা নির্বাহের জন্য কোনো কাজে লিপ্ত থাকে তবে সে নিঃসন্দেহে আল্লাহর পথেই বিচরণ করছে। তাবরানির হাদিস মতে, ক্লান্ত-শ্রান্ত অবস্থায় যে শ্রমিক সন্ধ্যাযাপন করল, সে নিঃসন্দেহে যাবতীয় অপরাধ থেকে ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে সন্ধ্যা অতিক্রম করল। একজন শ্রমিকের জন্য এটি সর্বোত্তম এক প্রণোদনা—যা ইসলাম তাকে দিয়েছে।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজেকে শ্রমিক শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত করে পৃথিবীর সকল শ্রমিককে ধন্য ও মর্যাদাশীল করেছেন। তিনি তাঁর প্রিয়তমা কন্যা ফাতেমাকে একজন উত্তম শ্রমিকের কাছে পাত্রস্থ করেছিলেন; যিনি শিক্ষা ও বীরত্বের দিক থেকেও ছিলেন সমান পারদর্শী। হজরত আলি (রা.) নিজে জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসেবে শ্রমিকের জীবন বেছে নিয়েছিলেন। রাসুল (সা.)-এর সবচেয়ে প্রিয় সাহাবি হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ছিলেন কাপড়ের ব্যবসায়ী, আল্লাহর নবী দাউদ (আ.) নিজেই শ্রমের বিনিময়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। রাসুলের (সা.) ঘোষণা—সর্বোত্তম খাবার সেটিই, যা নিজের হাতে উপার্জিত। বুখারির ভাষ্যমতে, রাসুল (সা.) কিয়ামতের দিন যাদের প্রতিপক্ষ হবেন তাদের মধ্যে এক শ্রেণি হলো—যারা শ্রমিক নিয়োগ করবে এবং শ্রমিকের মাধ্যমে ষোলো আনা কার্যসিদ্ধি করে নেবে কিন্তু শ্রমিককে তার প্রাপ্য মজুরি দেবে না। রাসুল (সা.) যার বা যাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেকে সাব্যস্ত করবেন তাদের অবস্থা বা পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
এখানে সাহাবি হজরত আবু মাসউদ (রা.)-এর জীবনের একটি ঘটনার অবতারণা করতে পারি। মুসলিম শরিফে বিবৃত আছে, আবু মাসউদ একদিন তাঁর এক ক্রীতদাসের গায়ে হাত তোলেন, তাকে মারধর করেন। এরই মধ্যে তিনি শুনতে পান, ‘হে আবু মাসউদ, তোমার ক্রীতদাসের ওপর তোমার যতটা ক্ষমতা আর প্রভাব রয়েছে, তোমার ওপরে তোমার প্রভুর তার চেয়েও বেশি ক্ষমতা ও প্রভাব রয়েছে।’ মাসউদ (রা.) পেছন ফিরে দেখেন তিনি আর কেউ নন; তিনি হচ্ছেন মানবতার পরম সুহৃদ দয়ার নবী মুহাম্মদ (সা.)। মাসউদ (রা.) খুবই লজ্জিত হলেন এবং অধীনস্থ শ্রমিককে মুক্ত করে দিলেন। দয়াল নবী (সা.) বললেন, ‘তুমি যদি একে মুক্ত না করতে, তবে তুমি নিশ্চিতভাবে জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে।’
আবু দাউদ শরিফের হাদিস মতে, শ্রমিকের কোনো অপরাধ হলে তা ক্ষমা করে দিতে হবে। এক সাহাবি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘হে রাসুল, শ্রমিকের অপরাধ কয়বার ক্ষমা করব?’ রাসুল (সা.) চুপ থাকলেন। আবারও তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, রাসুল (সা.) আবারও চুপ থাকলেন। তৃতীয়বার যখন জিজ্ঞেস করা হলো যে, ‘শ্রমিককে কয়বার মাফ করব?’ রাসুল (সা.) তখন গাম্ভীর্যের সঙ্গে ঘোষণা করলেন, ‘শ্রমিক যদি দিনে সত্তরবারও অপরাধ করে তবে প্রতিবারই তাকে ক্ষমা করে দাও।’
পাশাপাশি রাসুল (সা.) শ্রমিকের ব্যাপারেও সতর্কবার্তা দিয়েছেন যে, শ্রমিক যেন তার মালিকের কাজে কোনো ফাঁকি না দেয়। বরং রাসুল (সা.) বলেন, ‘সেই শ্রমিক উত্তম, যে তার মালিকের কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে শ্রমিক তার মালিকের হক আদায় করবে এবং আল্লাহর হকও আদায় করবে, মহান আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ পুরস্কার দেবেন। কাজে ফাঁকি দিয়ে অথবা শুধু হাজিরা দিয়ে কাজ না করে যে শ্রমিক মজুরি গ্রহণ করবে, সে নিঃসন্দেহে গর্হিত কাজ করল; এ জন্য তার জবাবদিহি করতে হবে এবং কিয়ামতের দিন তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
শ্রম এবং শ্রমিকের ব্যাপারে মহানবী (সা.)-এর সবচেয়ে তাৎপর্যমণ্ডিত ঘোষণাটি হলো, ‘শ্রমিক মহান আল্লাহর বন্ধু।’ আমরা রাসুল (সা.)-কে জানি আল্লাহর বন্ধু হিসেবে। অথচ মহানবী (সা.) একজন শ্রমিককে তার শ্রমের মর্যাদা ও গুরুত্ব প্রদান করতে গিয়ে তাকে আল্লাহর বন্ধু হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। রাসুল (সা.)-এর অপর তাগিদটি হলো শ্রমিকের প্রাপ্য নিয়ে। তিনি বলেন, ‘শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তার প্রাপ্য মজুরি পরিশোধ করে দাও।’
মহানবী (সা.)-এর উল্লিখিত দুটি বাণীতে শ্রম ও শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদার বিষয়টি অভূতপূর্ব স্বীকৃতি পেয়েছে। পবিত্র কোরআনের বাণী অনুযায়ী ইসলামের অন্যতম মূলনীতি হচ্ছে, মহান আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না। সুতরাং শ্রম-ঘণ্টা তথা শ্রমিকের কাজের সময়সীমার ব্যাপারেও সংশ্লিষ্টদের সচেতন থাকার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোনোমতেই অধিক পরিশ্রম বা অধিক সময়ের শ্রম কারও ওপরে চাপিয়ে দেওয়া ইসলামসম্মত নয়।
কোরআনে কারিমে শ্রমকে মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। সুরা বালাদের ৪ নম্বর আয়াতে এরশাদ হচ্ছে—‘সুনিশ্চিতভাবে আমি মানুষকে শ্রম নির্ভররূপে সৃষ্টি করেছি।’ এই শ্রম নির্ভরতা বা শ্রমিকের বৈশিষ্ট্য পৃথিবীর সব মানুষের মধ্যেই রয়েছে। সুতরাং শ্রম এবং শ্রমিকের পেশাটি একটি সর্বজনীন রূপ নেয়। এ কারণে যেকোনো শ্রমকেই আমাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত এবং শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার সুরক্ষায় সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টাই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি-রাষ্ট্রের এক অনিবার্য অনুষঙ্গ হওয়া চাই।
লেখক: অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

পৃথিবীর উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক উপকরণটি হলো শ্রম। আর নিরলস শ্রমের পরাকাষ্ঠা যারা বহন করেন তাঁরাই শ্রমিক। ইসলামে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা যথাযথভাবে স্বীকৃত। ইবনে মাজাহর হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) ওফাতকালীন যে উপদেশ দিয়েছেন তা হলো, তোমরা নামাজ এবং অধীনস্থদের ব্যাপারে সাবধান থেকো। এখানে অধীনস্থ বলতে কাজের লোক বা শ্রমিক—যারা কারও অধীনে শ্রমের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আঞ্জাম দিয়ে থাকেন তাঁদের বোঝানো হয়েছে।
শ্রমের গুরুত্ব সম্পর্কে একটি ঐতিহাসিক তথ্য খুবই প্রাসঙ্গিক। তা হলো, নবী-রাসুলগণের প্রায় সকলেই প্রত্যক্ষভাবে শ্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। মুসনাদে আহমদের হাদিস মতে, সব নবী-রাসুলই মেষ চড়িয়েছেন; এমনকি শ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজেও মেষ চড়াতেন। শ্রমের অনেক ফজিলতের কথাও হাদিসে এসেছে। বুখারির হাদিস মতে, কারও কাছে হাত পাতার চেয়ে কারও বোঝা বহন করে রোজগার করা উত্তম। কেউ কিছু দিক আর না দিক, কারও কাছে কিছু চাওয়ার চেয়ে নিজ পিঠে করে কাঠের বোঝা নিয়ে বাজারে বিক্রি করা অনেক ভালো। এখানেও সেই শ্রমেরই গুরুত্ব ফুটে ওঠে। বিখ্যাত বুজুর্গ ও ইসলামি পণ্ডিতেরা নিজেদের নামের সঙ্গে আত্তার বা আতর ব্যবসায়ী, খাব্বাজ বা রুটি ব্যবসায়ী, কাত্তান বা তুলা উৎপাদনকারী প্রভৃতি পেশাভিত্তিক উপাধি ধারণ করতে দ্বিধাবোধ করেননি।
আবু দাউদের হাদিস মতে, যে ব্যক্তি আয়-রোজগারের জন্য শ্রম ব্যয় করবে সে যেন আল্লাহর পথে জিহাদে রত রয়েছে। কেউ যদি তার সন্তান বা স্ত্রী অথবা বাবা-মায়ের জীবিকা নির্বাহের জন্য কোনো কাজে লিপ্ত থাকে তবে সে নিঃসন্দেহে আল্লাহর পথেই বিচরণ করছে। তাবরানির হাদিস মতে, ক্লান্ত-শ্রান্ত অবস্থায় যে শ্রমিক সন্ধ্যাযাপন করল, সে নিঃসন্দেহে যাবতীয় অপরাধ থেকে ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে সন্ধ্যা অতিক্রম করল। একজন শ্রমিকের জন্য এটি সর্বোত্তম এক প্রণোদনা—যা ইসলাম তাকে দিয়েছে।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজেকে শ্রমিক শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত করে পৃথিবীর সকল শ্রমিককে ধন্য ও মর্যাদাশীল করেছেন। তিনি তাঁর প্রিয়তমা কন্যা ফাতেমাকে একজন উত্তম শ্রমিকের কাছে পাত্রস্থ করেছিলেন; যিনি শিক্ষা ও বীরত্বের দিক থেকেও ছিলেন সমান পারদর্শী। হজরত আলি (রা.) নিজে জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসেবে শ্রমিকের জীবন বেছে নিয়েছিলেন। রাসুল (সা.)-এর সবচেয়ে প্রিয় সাহাবি হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ছিলেন কাপড়ের ব্যবসায়ী, আল্লাহর নবী দাউদ (আ.) নিজেই শ্রমের বিনিময়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। রাসুলের (সা.) ঘোষণা—সর্বোত্তম খাবার সেটিই, যা নিজের হাতে উপার্জিত। বুখারির ভাষ্যমতে, রাসুল (সা.) কিয়ামতের দিন যাদের প্রতিপক্ষ হবেন তাদের মধ্যে এক শ্রেণি হলো—যারা শ্রমিক নিয়োগ করবে এবং শ্রমিকের মাধ্যমে ষোলো আনা কার্যসিদ্ধি করে নেবে কিন্তু শ্রমিককে তার প্রাপ্য মজুরি দেবে না। রাসুল (সা.) যার বা যাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেকে সাব্যস্ত করবেন তাদের অবস্থা বা পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
এখানে সাহাবি হজরত আবু মাসউদ (রা.)-এর জীবনের একটি ঘটনার অবতারণা করতে পারি। মুসলিম শরিফে বিবৃত আছে, আবু মাসউদ একদিন তাঁর এক ক্রীতদাসের গায়ে হাত তোলেন, তাকে মারধর করেন। এরই মধ্যে তিনি শুনতে পান, ‘হে আবু মাসউদ, তোমার ক্রীতদাসের ওপর তোমার যতটা ক্ষমতা আর প্রভাব রয়েছে, তোমার ওপরে তোমার প্রভুর তার চেয়েও বেশি ক্ষমতা ও প্রভাব রয়েছে।’ মাসউদ (রা.) পেছন ফিরে দেখেন তিনি আর কেউ নন; তিনি হচ্ছেন মানবতার পরম সুহৃদ দয়ার নবী মুহাম্মদ (সা.)। মাসউদ (রা.) খুবই লজ্জিত হলেন এবং অধীনস্থ শ্রমিককে মুক্ত করে দিলেন। দয়াল নবী (সা.) বললেন, ‘তুমি যদি একে মুক্ত না করতে, তবে তুমি নিশ্চিতভাবে জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে।’
আবু দাউদ শরিফের হাদিস মতে, শ্রমিকের কোনো অপরাধ হলে তা ক্ষমা করে দিতে হবে। এক সাহাবি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘হে রাসুল, শ্রমিকের অপরাধ কয়বার ক্ষমা করব?’ রাসুল (সা.) চুপ থাকলেন। আবারও তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, রাসুল (সা.) আবারও চুপ থাকলেন। তৃতীয়বার যখন জিজ্ঞেস করা হলো যে, ‘শ্রমিককে কয়বার মাফ করব?’ রাসুল (সা.) তখন গাম্ভীর্যের সঙ্গে ঘোষণা করলেন, ‘শ্রমিক যদি দিনে সত্তরবারও অপরাধ করে তবে প্রতিবারই তাকে ক্ষমা করে দাও।’
পাশাপাশি রাসুল (সা.) শ্রমিকের ব্যাপারেও সতর্কবার্তা দিয়েছেন যে, শ্রমিক যেন তার মালিকের কাজে কোনো ফাঁকি না দেয়। বরং রাসুল (সা.) বলেন, ‘সেই শ্রমিক উত্তম, যে তার মালিকের কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে শ্রমিক তার মালিকের হক আদায় করবে এবং আল্লাহর হকও আদায় করবে, মহান আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ পুরস্কার দেবেন। কাজে ফাঁকি দিয়ে অথবা শুধু হাজিরা দিয়ে কাজ না করে যে শ্রমিক মজুরি গ্রহণ করবে, সে নিঃসন্দেহে গর্হিত কাজ করল; এ জন্য তার জবাবদিহি করতে হবে এবং কিয়ামতের দিন তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
শ্রম এবং শ্রমিকের ব্যাপারে মহানবী (সা.)-এর সবচেয়ে তাৎপর্যমণ্ডিত ঘোষণাটি হলো, ‘শ্রমিক মহান আল্লাহর বন্ধু।’ আমরা রাসুল (সা.)-কে জানি আল্লাহর বন্ধু হিসেবে। অথচ মহানবী (সা.) একজন শ্রমিককে তার শ্রমের মর্যাদা ও গুরুত্ব প্রদান করতে গিয়ে তাকে আল্লাহর বন্ধু হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। রাসুল (সা.)-এর অপর তাগিদটি হলো শ্রমিকের প্রাপ্য নিয়ে। তিনি বলেন, ‘শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তার প্রাপ্য মজুরি পরিশোধ করে দাও।’
মহানবী (সা.)-এর উল্লিখিত দুটি বাণীতে শ্রম ও শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদার বিষয়টি অভূতপূর্ব স্বীকৃতি পেয়েছে। পবিত্র কোরআনের বাণী অনুযায়ী ইসলামের অন্যতম মূলনীতি হচ্ছে, মহান আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না। সুতরাং শ্রম-ঘণ্টা তথা শ্রমিকের কাজের সময়সীমার ব্যাপারেও সংশ্লিষ্টদের সচেতন থাকার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোনোমতেই অধিক পরিশ্রম বা অধিক সময়ের শ্রম কারও ওপরে চাপিয়ে দেওয়া ইসলামসম্মত নয়।
কোরআনে কারিমে শ্রমকে মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। সুরা বালাদের ৪ নম্বর আয়াতে এরশাদ হচ্ছে—‘সুনিশ্চিতভাবে আমি মানুষকে শ্রম নির্ভররূপে সৃষ্টি করেছি।’ এই শ্রম নির্ভরতা বা শ্রমিকের বৈশিষ্ট্য পৃথিবীর সব মানুষের মধ্যেই রয়েছে। সুতরাং শ্রম এবং শ্রমিকের পেশাটি একটি সর্বজনীন রূপ নেয়। এ কারণে যেকোনো শ্রমকেই আমাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত এবং শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার সুরক্ষায় সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টাই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি-রাষ্ট্রের এক অনিবার্য অনুষঙ্গ হওয়া চাই।
লেখক: অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন

পৃথিবীর উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক উপকরণটি হলো শ্রম। আর নিরলস শ্রমের পরাকাষ্ঠা যারা বহন করেন তাঁরাই শ্রমিক। ইসলামে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা যথাযথভাবে স্বীকৃত। ইবনে মাজাহর হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) ওফাতকালীন যে উপদেশ দিয়েছেন তা হলো, তোমরা নামাজ এবং অধীনস্থদের ব্যাপারে সাবধান থেকো। এখানে অধীনস্থ বলতে কাজের লোক বা শ্রমিক—যারা কারও অধীনে শ্রমের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আঞ্জাম দিয়ে থাকেন তাঁদের বোঝানো হয়েছে।
শ্রমের গুরুত্ব সম্পর্কে একটি ঐতিহাসিক তথ্য খুবই প্রাসঙ্গিক। তা হলো, নবী-রাসুলগণের প্রায় সকলেই প্রত্যক্ষভাবে শ্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। মুসনাদে আহমদের হাদিস মতে, সব নবী-রাসুলই মেষ চড়িয়েছেন; এমনকি শ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজেও মেষ চড়াতেন। শ্রমের অনেক ফজিলতের কথাও হাদিসে এসেছে। বুখারির হাদিস মতে, কারও কাছে হাত পাতার চেয়ে কারও বোঝা বহন করে রোজগার করা উত্তম। কেউ কিছু দিক আর না দিক, কারও কাছে কিছু চাওয়ার চেয়ে নিজ পিঠে করে কাঠের বোঝা নিয়ে বাজারে বিক্রি করা অনেক ভালো। এখানেও সেই শ্রমেরই গুরুত্ব ফুটে ওঠে। বিখ্যাত বুজুর্গ ও ইসলামি পণ্ডিতেরা নিজেদের নামের সঙ্গে আত্তার বা আতর ব্যবসায়ী, খাব্বাজ বা রুটি ব্যবসায়ী, কাত্তান বা তুলা উৎপাদনকারী প্রভৃতি পেশাভিত্তিক উপাধি ধারণ করতে দ্বিধাবোধ করেননি।
আবু দাউদের হাদিস মতে, যে ব্যক্তি আয়-রোজগারের জন্য শ্রম ব্যয় করবে সে যেন আল্লাহর পথে জিহাদে রত রয়েছে। কেউ যদি তার সন্তান বা স্ত্রী অথবা বাবা-মায়ের জীবিকা নির্বাহের জন্য কোনো কাজে লিপ্ত থাকে তবে সে নিঃসন্দেহে আল্লাহর পথেই বিচরণ করছে। তাবরানির হাদিস মতে, ক্লান্ত-শ্রান্ত অবস্থায় যে শ্রমিক সন্ধ্যাযাপন করল, সে নিঃসন্দেহে যাবতীয় অপরাধ থেকে ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে সন্ধ্যা অতিক্রম করল। একজন শ্রমিকের জন্য এটি সর্বোত্তম এক প্রণোদনা—যা ইসলাম তাকে দিয়েছে।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজেকে শ্রমিক শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত করে পৃথিবীর সকল শ্রমিককে ধন্য ও মর্যাদাশীল করেছেন। তিনি তাঁর প্রিয়তমা কন্যা ফাতেমাকে একজন উত্তম শ্রমিকের কাছে পাত্রস্থ করেছিলেন; যিনি শিক্ষা ও বীরত্বের দিক থেকেও ছিলেন সমান পারদর্শী। হজরত আলি (রা.) নিজে জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসেবে শ্রমিকের জীবন বেছে নিয়েছিলেন। রাসুল (সা.)-এর সবচেয়ে প্রিয় সাহাবি হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ছিলেন কাপড়ের ব্যবসায়ী, আল্লাহর নবী দাউদ (আ.) নিজেই শ্রমের বিনিময়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। রাসুলের (সা.) ঘোষণা—সর্বোত্তম খাবার সেটিই, যা নিজের হাতে উপার্জিত। বুখারির ভাষ্যমতে, রাসুল (সা.) কিয়ামতের দিন যাদের প্রতিপক্ষ হবেন তাদের মধ্যে এক শ্রেণি হলো—যারা শ্রমিক নিয়োগ করবে এবং শ্রমিকের মাধ্যমে ষোলো আনা কার্যসিদ্ধি করে নেবে কিন্তু শ্রমিককে তার প্রাপ্য মজুরি দেবে না। রাসুল (সা.) যার বা যাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেকে সাব্যস্ত করবেন তাদের অবস্থা বা পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
এখানে সাহাবি হজরত আবু মাসউদ (রা.)-এর জীবনের একটি ঘটনার অবতারণা করতে পারি। মুসলিম শরিফে বিবৃত আছে, আবু মাসউদ একদিন তাঁর এক ক্রীতদাসের গায়ে হাত তোলেন, তাকে মারধর করেন। এরই মধ্যে তিনি শুনতে পান, ‘হে আবু মাসউদ, তোমার ক্রীতদাসের ওপর তোমার যতটা ক্ষমতা আর প্রভাব রয়েছে, তোমার ওপরে তোমার প্রভুর তার চেয়েও বেশি ক্ষমতা ও প্রভাব রয়েছে।’ মাসউদ (রা.) পেছন ফিরে দেখেন তিনি আর কেউ নন; তিনি হচ্ছেন মানবতার পরম সুহৃদ দয়ার নবী মুহাম্মদ (সা.)। মাসউদ (রা.) খুবই লজ্জিত হলেন এবং অধীনস্থ শ্রমিককে মুক্ত করে দিলেন। দয়াল নবী (সা.) বললেন, ‘তুমি যদি একে মুক্ত না করতে, তবে তুমি নিশ্চিতভাবে জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে।’
আবু দাউদ শরিফের হাদিস মতে, শ্রমিকের কোনো অপরাধ হলে তা ক্ষমা করে দিতে হবে। এক সাহাবি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘হে রাসুল, শ্রমিকের অপরাধ কয়বার ক্ষমা করব?’ রাসুল (সা.) চুপ থাকলেন। আবারও তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, রাসুল (সা.) আবারও চুপ থাকলেন। তৃতীয়বার যখন জিজ্ঞেস করা হলো যে, ‘শ্রমিককে কয়বার মাফ করব?’ রাসুল (সা.) তখন গাম্ভীর্যের সঙ্গে ঘোষণা করলেন, ‘শ্রমিক যদি দিনে সত্তরবারও অপরাধ করে তবে প্রতিবারই তাকে ক্ষমা করে দাও।’
পাশাপাশি রাসুল (সা.) শ্রমিকের ব্যাপারেও সতর্কবার্তা দিয়েছেন যে, শ্রমিক যেন তার মালিকের কাজে কোনো ফাঁকি না দেয়। বরং রাসুল (সা.) বলেন, ‘সেই শ্রমিক উত্তম, যে তার মালিকের কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে শ্রমিক তার মালিকের হক আদায় করবে এবং আল্লাহর হকও আদায় করবে, মহান আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ পুরস্কার দেবেন। কাজে ফাঁকি দিয়ে অথবা শুধু হাজিরা দিয়ে কাজ না করে যে শ্রমিক মজুরি গ্রহণ করবে, সে নিঃসন্দেহে গর্হিত কাজ করল; এ জন্য তার জবাবদিহি করতে হবে এবং কিয়ামতের দিন তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
শ্রম এবং শ্রমিকের ব্যাপারে মহানবী (সা.)-এর সবচেয়ে তাৎপর্যমণ্ডিত ঘোষণাটি হলো, ‘শ্রমিক মহান আল্লাহর বন্ধু।’ আমরা রাসুল (সা.)-কে জানি আল্লাহর বন্ধু হিসেবে। অথচ মহানবী (সা.) একজন শ্রমিককে তার শ্রমের মর্যাদা ও গুরুত্ব প্রদান করতে গিয়ে তাকে আল্লাহর বন্ধু হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। রাসুল (সা.)-এর অপর তাগিদটি হলো শ্রমিকের প্রাপ্য নিয়ে। তিনি বলেন, ‘শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তার প্রাপ্য মজুরি পরিশোধ করে দাও।’
মহানবী (সা.)-এর উল্লিখিত দুটি বাণীতে শ্রম ও শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদার বিষয়টি অভূতপূর্ব স্বীকৃতি পেয়েছে। পবিত্র কোরআনের বাণী অনুযায়ী ইসলামের অন্যতম মূলনীতি হচ্ছে, মহান আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না। সুতরাং শ্রম-ঘণ্টা তথা শ্রমিকের কাজের সময়সীমার ব্যাপারেও সংশ্লিষ্টদের সচেতন থাকার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোনোমতেই অধিক পরিশ্রম বা অধিক সময়ের শ্রম কারও ওপরে চাপিয়ে দেওয়া ইসলামসম্মত নয়।
কোরআনে কারিমে শ্রমকে মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। সুরা বালাদের ৪ নম্বর আয়াতে এরশাদ হচ্ছে—‘সুনিশ্চিতভাবে আমি মানুষকে শ্রম নির্ভররূপে সৃষ্টি করেছি।’ এই শ্রম নির্ভরতা বা শ্রমিকের বৈশিষ্ট্য পৃথিবীর সব মানুষের মধ্যেই রয়েছে। সুতরাং শ্রম এবং শ্রমিকের পেশাটি একটি সর্বজনীন রূপ নেয়। এ কারণে যেকোনো শ্রমকেই আমাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত এবং শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার সুরক্ষায় সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টাই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি-রাষ্ট্রের এক অনিবার্য অনুষঙ্গ হওয়া চাই।
লেখক: অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

পৃথিবীর উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক উপকরণটি হলো শ্রম। আর নিরলস শ্রমের পরাকাষ্ঠা যারা বহন করেন তাঁরাই শ্রমিক। ইসলামে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা যথাযথভাবে স্বীকৃত। ইবনে মাজাহর হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) ওফাতকালীন যে উপদেশ দিয়েছেন তা হলো, তোমরা নামাজ এবং অধীনস্থদের ব্যাপারে সাবধান থেকো। এখানে অধীনস্থ বলতে কাজের লোক বা শ্রমিক—যারা কারও অধীনে শ্রমের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আঞ্জাম দিয়ে থাকেন তাঁদের বোঝানো হয়েছে।
শ্রমের গুরুত্ব সম্পর্কে একটি ঐতিহাসিক তথ্য খুবই প্রাসঙ্গিক। তা হলো, নবী-রাসুলগণের প্রায় সকলেই প্রত্যক্ষভাবে শ্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। মুসনাদে আহমদের হাদিস মতে, সব নবী-রাসুলই মেষ চড়িয়েছেন; এমনকি শ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজেও মেষ চড়াতেন। শ্রমের অনেক ফজিলতের কথাও হাদিসে এসেছে। বুখারির হাদিস মতে, কারও কাছে হাত পাতার চেয়ে কারও বোঝা বহন করে রোজগার করা উত্তম। কেউ কিছু দিক আর না দিক, কারও কাছে কিছু চাওয়ার চেয়ে নিজ পিঠে করে কাঠের বোঝা নিয়ে বাজারে বিক্রি করা অনেক ভালো। এখানেও সেই শ্রমেরই গুরুত্ব ফুটে ওঠে। বিখ্যাত বুজুর্গ ও ইসলামি পণ্ডিতেরা নিজেদের নামের সঙ্গে আত্তার বা আতর ব্যবসায়ী, খাব্বাজ বা রুটি ব্যবসায়ী, কাত্তান বা তুলা উৎপাদনকারী প্রভৃতি পেশাভিত্তিক উপাধি ধারণ করতে দ্বিধাবোধ করেননি।
আবু দাউদের হাদিস মতে, যে ব্যক্তি আয়-রোজগারের জন্য শ্রম ব্যয় করবে সে যেন আল্লাহর পথে জিহাদে রত রয়েছে। কেউ যদি তার সন্তান বা স্ত্রী অথবা বাবা-মায়ের জীবিকা নির্বাহের জন্য কোনো কাজে লিপ্ত থাকে তবে সে নিঃসন্দেহে আল্লাহর পথেই বিচরণ করছে। তাবরানির হাদিস মতে, ক্লান্ত-শ্রান্ত অবস্থায় যে শ্রমিক সন্ধ্যাযাপন করল, সে নিঃসন্দেহে যাবতীয় অপরাধ থেকে ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে সন্ধ্যা অতিক্রম করল। একজন শ্রমিকের জন্য এটি সর্বোত্তম এক প্রণোদনা—যা ইসলাম তাকে দিয়েছে।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজেকে শ্রমিক শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত করে পৃথিবীর সকল শ্রমিককে ধন্য ও মর্যাদাশীল করেছেন। তিনি তাঁর প্রিয়তমা কন্যা ফাতেমাকে একজন উত্তম শ্রমিকের কাছে পাত্রস্থ করেছিলেন; যিনি শিক্ষা ও বীরত্বের দিক থেকেও ছিলেন সমান পারদর্শী। হজরত আলি (রা.) নিজে জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসেবে শ্রমিকের জীবন বেছে নিয়েছিলেন। রাসুল (সা.)-এর সবচেয়ে প্রিয় সাহাবি হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ছিলেন কাপড়ের ব্যবসায়ী, আল্লাহর নবী দাউদ (আ.) নিজেই শ্রমের বিনিময়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। রাসুলের (সা.) ঘোষণা—সর্বোত্তম খাবার সেটিই, যা নিজের হাতে উপার্জিত। বুখারির ভাষ্যমতে, রাসুল (সা.) কিয়ামতের দিন যাদের প্রতিপক্ষ হবেন তাদের মধ্যে এক শ্রেণি হলো—যারা শ্রমিক নিয়োগ করবে এবং শ্রমিকের মাধ্যমে ষোলো আনা কার্যসিদ্ধি করে নেবে কিন্তু শ্রমিককে তার প্রাপ্য মজুরি দেবে না। রাসুল (সা.) যার বা যাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেকে সাব্যস্ত করবেন তাদের অবস্থা বা পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
এখানে সাহাবি হজরত আবু মাসউদ (রা.)-এর জীবনের একটি ঘটনার অবতারণা করতে পারি। মুসলিম শরিফে বিবৃত আছে, আবু মাসউদ একদিন তাঁর এক ক্রীতদাসের গায়ে হাত তোলেন, তাকে মারধর করেন। এরই মধ্যে তিনি শুনতে পান, ‘হে আবু মাসউদ, তোমার ক্রীতদাসের ওপর তোমার যতটা ক্ষমতা আর প্রভাব রয়েছে, তোমার ওপরে তোমার প্রভুর তার চেয়েও বেশি ক্ষমতা ও প্রভাব রয়েছে।’ মাসউদ (রা.) পেছন ফিরে দেখেন তিনি আর কেউ নন; তিনি হচ্ছেন মানবতার পরম সুহৃদ দয়ার নবী মুহাম্মদ (সা.)। মাসউদ (রা.) খুবই লজ্জিত হলেন এবং অধীনস্থ শ্রমিককে মুক্ত করে দিলেন। দয়াল নবী (সা.) বললেন, ‘তুমি যদি একে মুক্ত না করতে, তবে তুমি নিশ্চিতভাবে জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে।’
আবু দাউদ শরিফের হাদিস মতে, শ্রমিকের কোনো অপরাধ হলে তা ক্ষমা করে দিতে হবে। এক সাহাবি জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘হে রাসুল, শ্রমিকের অপরাধ কয়বার ক্ষমা করব?’ রাসুল (সা.) চুপ থাকলেন। আবারও তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, রাসুল (সা.) আবারও চুপ থাকলেন। তৃতীয়বার যখন জিজ্ঞেস করা হলো যে, ‘শ্রমিককে কয়বার মাফ করব?’ রাসুল (সা.) তখন গাম্ভীর্যের সঙ্গে ঘোষণা করলেন, ‘শ্রমিক যদি দিনে সত্তরবারও অপরাধ করে তবে প্রতিবারই তাকে ক্ষমা করে দাও।’
পাশাপাশি রাসুল (সা.) শ্রমিকের ব্যাপারেও সতর্কবার্তা দিয়েছেন যে, শ্রমিক যেন তার মালিকের কাজে কোনো ফাঁকি না দেয়। বরং রাসুল (সা.) বলেন, ‘সেই শ্রমিক উত্তম, যে তার মালিকের কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে থাকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে শ্রমিক তার মালিকের হক আদায় করবে এবং আল্লাহর হকও আদায় করবে, মহান আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ পুরস্কার দেবেন। কাজে ফাঁকি দিয়ে অথবা শুধু হাজিরা দিয়ে কাজ না করে যে শ্রমিক মজুরি গ্রহণ করবে, সে নিঃসন্দেহে গর্হিত কাজ করল; এ জন্য তার জবাবদিহি করতে হবে এবং কিয়ামতের দিন তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
শ্রম এবং শ্রমিকের ব্যাপারে মহানবী (সা.)-এর সবচেয়ে তাৎপর্যমণ্ডিত ঘোষণাটি হলো, ‘শ্রমিক মহান আল্লাহর বন্ধু।’ আমরা রাসুল (সা.)-কে জানি আল্লাহর বন্ধু হিসেবে। অথচ মহানবী (সা.) একজন শ্রমিককে তার শ্রমের মর্যাদা ও গুরুত্ব প্রদান করতে গিয়ে তাকে আল্লাহর বন্ধু হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। রাসুল (সা.)-এর অপর তাগিদটি হলো শ্রমিকের প্রাপ্য নিয়ে। তিনি বলেন, ‘শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তার প্রাপ্য মজুরি পরিশোধ করে দাও।’
মহানবী (সা.)-এর উল্লিখিত দুটি বাণীতে শ্রম ও শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদার বিষয়টি অভূতপূর্ব স্বীকৃতি পেয়েছে। পবিত্র কোরআনের বাণী অনুযায়ী ইসলামের অন্যতম মূলনীতি হচ্ছে, মহান আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না। সুতরাং শ্রম-ঘণ্টা তথা শ্রমিকের কাজের সময়সীমার ব্যাপারেও সংশ্লিষ্টদের সচেতন থাকার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোনোমতেই অধিক পরিশ্রম বা অধিক সময়ের শ্রম কারও ওপরে চাপিয়ে দেওয়া ইসলামসম্মত নয়।
কোরআনে কারিমে শ্রমকে মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। সুরা বালাদের ৪ নম্বর আয়াতে এরশাদ হচ্ছে—‘সুনিশ্চিতভাবে আমি মানুষকে শ্রম নির্ভররূপে সৃষ্টি করেছি।’ এই শ্রম নির্ভরতা বা শ্রমিকের বৈশিষ্ট্য পৃথিবীর সব মানুষের মধ্যেই রয়েছে। সুতরাং শ্রম এবং শ্রমিকের পেশাটি একটি সর্বজনীন রূপ নেয়। এ কারণে যেকোনো শ্রমকেই আমাদের গুরুত্ব দেওয়া উচিত এবং শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার সুরক্ষায় সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টাই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি-রাষ্ট্রের এক অনিবার্য অনুষঙ্গ হওয়া চাই।
লেখক: অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পৃথিবীর উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক উপকরণটি হলো শ্রম। আর নিরলস শ্রমের পরাকাষ্ঠা যারা বহন করেন তাঁরাই শ্রমিক। ইসলামে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা যথাযথভাবে স্বীকৃত। ইবনে মাজাহর হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) ওফাতকালীন যে উপদেশ দিয়েছেন তা হলো, তোমরা নামাজ এবং অধীনস্থদের ব্যাপারে সাবধান থেকো। এখানে অধীনস্থ
০১ মে ২০২৩
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

পৃথিবীর উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক উপকরণটি হলো শ্রম। আর নিরলস শ্রমের পরাকাষ্ঠা যারা বহন করেন তাঁরাই শ্রমিক। ইসলামে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা যথাযথভাবে স্বীকৃত। ইবনে মাজাহর হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) ওফাতকালীন যে উপদেশ দিয়েছেন তা হলো, তোমরা নামাজ এবং অধীনস্থদের ব্যাপারে সাবধান থেকো। এখানে অধীনস্থ
০১ মে ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পৃথিবীর উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক উপকরণটি হলো শ্রম। আর নিরলস শ্রমের পরাকাষ্ঠা যারা বহন করেন তাঁরাই শ্রমিক। ইসলামে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা যথাযথভাবে স্বীকৃত। ইবনে মাজাহর হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) ওফাতকালীন যে উপদেশ দিয়েছেন তা হলো, তোমরা নামাজ এবং অধীনস্থদের ব্যাপারে সাবধান থেকো। এখানে অধীনস্থ
০১ মে ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

পৃথিবীর উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক উপকরণটি হলো শ্রম। আর নিরলস শ্রমের পরাকাষ্ঠা যারা বহন করেন তাঁরাই শ্রমিক। ইসলামে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা যথাযথভাবে স্বীকৃত। ইবনে মাজাহর হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) ওফাতকালীন যে উপদেশ দিয়েছেন তা হলো, তোমরা নামাজ এবং অধীনস্থদের ব্যাপারে সাবধান থেকো। এখানে অধীনস্থ
০১ মে ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগে