ইউনেসকোর তালিকায় ৩ মুসলিম ঐতিহ্য

ইজাজুল হক
প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭: ৪১

এবারের ইউনেসকোর অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় বাংলাদেশের রিকশা ও রিকশাচিত্রসহ অনেক দেশের ঐতিহ্য স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে মুসলিম বিশ্বের এমন কিছু ঐতিহ্য স্থান পেয়েছে, যা ইসলামের ইতিহাস ও সভ্যতার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। এখানে তেমনই তিন ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেছেন ইজাজুল হক

ইফতার
ইফতারকে ইউনেসকো ইরান, আজারবাইজান, তুরস্ক ও উজবেকিস্তানের অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করেছে। যদিও পুরো পৃথিবীতেই ইফতার মুসলমানদের হাজার বছরের ঐতিহ্যের অংশ। হিজরি সনের নবম মাস রমজান মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। পুরো মাসে মুসলমানরা রোজা রাখে। ফজরের শুরু থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তারা মহান আল্লাহর জন্য উপোস থাকার ব্রত পালন করে। এরপর সন্ধ্যায় তারা একসঙ্গে বাহারি খাবারের আয়োজন করে। পরিবার ও সমাজের সবাই একত্র হয়ে খাবার পরিবেশন করে এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে মশগুল হয়। ইফতারকে ঘিরে এসব আয়োজন সামাজিক বন্ধন মজবুত করে এবং সমাজে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেয়।

 তেজহিব
তেজহিব মুসলিম শিল্পকলার একটি ধরন। একে তেজহিপ, জারহালকোরি, নাক্কসলিকও বলা হয়। এটি একটি অলংকরণ শিল্প। ইউনেসকো এটিকে ইরান, আজারবাইজান, তুরস্ক, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করেছে। এর বাইরে আরও অনেক দেশে এর চর্চা রয়েছে। পবিত্র কোরআন, কোরআনের আয়াতের ক্যালিগ্রাফি, ধর্মীয় ও অন্যান্য বই-পুস্তকে অলংকরণের জন্য মুসলমানরা হাজার বছর ধরে এই শিল্পের চর্চা করে আসছে। এ ছাড়া আজকাল এটি স্বতন্ত্র একটি শিল্প হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিয়ে থেকে শুরু করে বড় বড় বাণিজ্যিক চুক্তিপত্রের অলংকরণেও এখন তেজহিব ব্যবহৃত হচ্ছে। সোনালি বর্ণেই বেশি চর্চিত হয় তেজহিব। মুসলমানদের বিশ্বাস, সংস্কৃতি ও সভ্যতার আবেদন ফুটে ওঠে তেজহিবের বর্ণচ্ছটায়। 

 মাহাদরা
মৌরিতানিয়ার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য মাহাদরাকে মরুভূমির বিশ্ববিদ্যালয়ও বলা হয়। এটি জ্ঞানচর্চার একটি প্রাচীন পদ্ধতি। মৌখিকভাবে জ্ঞানচর্চা, মুখস্থকরণ এই পদ্ধতির প্রধান বৈশিষ্ট্য। কয়েক শ বছর আগে থেকেই এটি দেশটিতে বেশ জনপ্রিয় মাধ্যম। খোলা আকাশের নিচে চাটাই বিছিয়ে, তাঁবু টানিয়ে একজন শিক্ষক ছাত্রদের শেখান। সেই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয় সমাজের সব বয়সের মানুষ। ভাষা, সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সুফিবাদ, দর্শন, আধুনিক বিজ্ঞানসহ প্রায় সব বিষয়ে পাঠদান করা হয়। বিশেষ করে ভৌগোলিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেশটির জন্য উপযোগী জ্ঞানগুলো এখানে শিক্ষা দেওয়া হয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে তৈরি হয় এক আধ্যাত্মিক বন্ধন। কোরআন-হাদিসের ভান্ডার মুখস্থকরণে মৌরিতানিয়ার মানুষকে এই পদ্ধতি দারুণভাবে যুগ যুগ ধরে উৎসাহ জুগিয়ে আসছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত