আজকের পত্রিকা: ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ কেমন? সাধারণত বছরের কোন কোন সময়টে ওয়ালটনে নিয়োগ দেওয়া হয়?
জাহিদ হাসান: আপনি জানেন যে এই মুহূর্তে আমাদের প্রায় ৩৩ হাজারের মতো সরাসরি বা স্থায়ী কর্মী রয়েছে। অন্যভাবে বললে, এই সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি হবে। আমরা সুনির্দিষ্ট একটা সময় ধরে নিয়োগ দিই তা কিন্তু নয়। সারা বছরই আমাদের নিয়োগ-প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। সেটা আমরা বিভিন্ন জব সাইটে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিই। অনেক সময় আমরা জব ফেয়ার করি এবং সেই জব ফেয়ারের মাধ্যমে কর্মী নিয়ে থাকি। আমাদের এখানে নির্দিষ্টভাবে দিন, ক্ষণ, মাস ধরে নিয়োগ হয় না। বলতে পারেন সারা বছরই নিয়োগ হয়। তবে আমাদের যেহেতু গরমকালে বিক্রিটা একটু বাড়ে, ওই সময় তুলনামূলকভাবে নিয়োগ একটু বেশি হয়। বছরের অন্যান্য সময় থেকে ফেব্রুয়ারি-মার্চে আমাদের নিয়োগ-প্রক্রিয়াটা একটু বেশি থাকে।
আজকের পত্রিকা: কোন কোন বিভাগে চাকরির সুযোগ আছে এবং কোন কোন বিভাগের শিক্ষার্থীরা চাকরির সুযোগ পান?
জাহিদ হাসান: আমাদের এখানে টেকনিক্যাল লোকবল বা ইঞ্জিনিয়াদের, যেমন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ভোকেশনাল থেকে পাস করা কিংবা বিভিন্ন টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউশন থেকে পাস করাদের অগ্রাধিকার থাকে। এ ছাড়া আমাদের সেলস আউটলেটগুলোতে সেলসে লোক লাগে। অ্যাকাউন্টস, অডিট, মার্কেটিং, ব্র্যান্ডিং, কল-সেন্টার, কাস্টমার কেয়ার ইত্যাদি বিভাগেও লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়। ওয়ালটনে আইএসও সার্টিফায়েড আফটার সেলস সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। সেখানেও লোকবল নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
আজকের পত্রিকা: ভাইভায় প্রার্থীর কোন কোন দক্ষতাকে যোগ্যতা হিসেবে মূল্যায়ন করেন? কোন দিকটিতে তাঁদের ঘাটতি রয়েছে?
জাহিদ হাসান: আমরা প্রথমত দেখি প্রার্থীর আত্মবিশ্বাস। বেশির ভাগই দেখা যায় যাঁরা ফ্রেশার, তাঁদের অনেকের প্রথমবার ভাইভা এটি। ফলে নার্ভাস থাকেন অনেকে। তাঁরা খুব একটা স্বাভাবিক হতে পারে না। লেখাপড়ার মানটা নিম্নমুখী। প্রার্থী যে বিষয়ে পড়াশোনা করুক না কেন, বিষয়ভিত্তিক বেসিক প্রশ্ন যখন তাঁকে করা হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা ভালো ফিডব্যাক পাই না। সাধারণ জ্ঞান কিংবা সমসাময়িক বিষয়ে সচেতন মানুষ হিসেবে সবারই জানা থাকা উচিত। এ ক্ষেত্রে আমরা তাঁদের কাছে ভালো ফিডব্যাক পাই না। অন্যদিকে শব্দ চয়ন কিংবা ভাষাগত ত্রুটি লক্ষ করে থাকি। আঞ্চলিকতাও প্রকট দেখা যায়। এগুলো চাকরিপ্রার্থীদের পরিহার করা উচিত। তাহলে ভাইভায় সমস্যা হওয়ার কথা না। আমরা প্রার্থীর যোগাযোগ দক্ষতা কমিউনিকেশন স্কিলটাও দেখে থাকি। সে ক্ষেত্রেও যে খুব ভালো পাচ্ছি তা কিন্তু না। এ বিষয়গুলো প্রার্থীদের খেয়াল রাখতে হবে।
আজকের পত্রিকা: চাকরিতে দক্ষ প্রার্থী কেমন পাওয়া যায়? যদি খুব একটা না পাওয়া যায়, তবে কারিকুলামে মডিফিকেশন দরকার কি না?
জাহিদ হাসান: পুরোপুরি যে পাই, সেটা বলব না। কারিকুলামের সঙ্গে বাস্তবতার অনেকাংশে মিল নেই। সেখানে হয়তো গতানুগতিক পড়া পড়ানো হয়। তারা যখন বাস্তব কাজে হাত দেন, তখন বলেন এ জিনিস তো আমরা পড়িনি বা এটি এই প্রথম দেখলাম। সুতরাং যাঁরা পাঠ্যক্রম নীতিনির্ধারক হিসেবে আছেন, তাঁদের কাছে আমার অনুরোধ, আমাদের মতো যাঁরা উৎপাদনকারী আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে উৎপাদন-প্রক্রিয়ায় কী ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি বা কী ধরনের প্রকৌশল সেখানে ব্যবহার হচ্ছে, সেটার সঙ্গে তার কারিকুলামটা মিল আছে কি না, সেটা দেখা। আর যদি মিল না থাকে তাহলে কতটুকু অমিল, সেটা ঠিক করে নতুন কারিকুলাম তৈরি করা। যার ফলে ফ্রেশ যাঁদের পাব তাঁরা কাজের উপযোগী হবেন। আমরা অনেক প্রার্থীর সঠিক ফরম্যাটে সিভি লেখা পাই না। কিংবা দেখা যায় তাঁরা ঠিকভাবে ই-মেইল লিখতে পারেন না। সিভি সঠিক ফরম্যাটে না লেখার কারণে শর্টলিস্টেই বাদ পড়ে যান। এসব বিষয়ও কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। আমি মনে করি, এখনকার সময়ে কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করবে, সেটাও শেখানো উচিত। সনাতনী পড়াশোনা দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে তাল মেলানো কঠিন। সে ক্ষেত্রে আমাদের সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপডেট হতে হবে।
আজকের পত্রিকা: ওয়ালটনে ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের চাকরির সুযোগ কেমন?
জাহিদ হাসান: ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের প্রথমত আমরা ইন্টার্ন করার সুযোগ দিয়ে থাকি। ক্ষেত্রবিশেষে তাঁদের কোনো টাকাপয়সা দিতে হয় না; বরং আমরাই তাঁদের টাকা দিই। তাঁরা খাবার সাব সিডিসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাঁদের ১২ সপ্তাহের ইন্টার্ন করানো হয়। এর মধ্যে যাঁরা ভালো করেন, তাঁদের সরাসরি আমাদের নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় সুযোগ দেওয়া হয়। সেখানে নিয়োগ-প্রক্রিয়ার ধাপগুলো অতিক্রম করতে পারলে তাঁদের চাকরির সুযোগ থাকে। এ ছাড়া আমাদের নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় ফ্রেশারদের সরাসরি নিয়োগেরও সুযোগ রয়েছে।
আজকের পত্রিকা: ওয়ালটনে চাকরির সুযোগ কেমন? সাধারণত বছরের কোন কোন সময়টে ওয়ালটনে নিয়োগ দেওয়া হয়?
জাহিদ হাসান: আপনি জানেন যে এই মুহূর্তে আমাদের প্রায় ৩৩ হাজারের মতো সরাসরি বা স্থায়ী কর্মী রয়েছে। অন্যভাবে বললে, এই সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি হবে। আমরা সুনির্দিষ্ট একটা সময় ধরে নিয়োগ দিই তা কিন্তু নয়। সারা বছরই আমাদের নিয়োগ-প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। সেটা আমরা বিভিন্ন জব সাইটে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নিই। অনেক সময় আমরা জব ফেয়ার করি এবং সেই জব ফেয়ারের মাধ্যমে কর্মী নিয়ে থাকি। আমাদের এখানে নির্দিষ্টভাবে দিন, ক্ষণ, মাস ধরে নিয়োগ হয় না। বলতে পারেন সারা বছরই নিয়োগ হয়। তবে আমাদের যেহেতু গরমকালে বিক্রিটা একটু বাড়ে, ওই সময় তুলনামূলকভাবে নিয়োগ একটু বেশি হয়। বছরের অন্যান্য সময় থেকে ফেব্রুয়ারি-মার্চে আমাদের নিয়োগ-প্রক্রিয়াটা একটু বেশি থাকে।
আজকের পত্রিকা: কোন কোন বিভাগে চাকরির সুযোগ আছে এবং কোন কোন বিভাগের শিক্ষার্থীরা চাকরির সুযোগ পান?
জাহিদ হাসান: আমাদের এখানে টেকনিক্যাল লোকবল বা ইঞ্জিনিয়াদের, যেমন বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ভোকেশনাল থেকে পাস করা কিংবা বিভিন্ন টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউশন থেকে পাস করাদের অগ্রাধিকার থাকে। এ ছাড়া আমাদের সেলস আউটলেটগুলোতে সেলসে লোক লাগে। অ্যাকাউন্টস, অডিট, মার্কেটিং, ব্র্যান্ডিং, কল-সেন্টার, কাস্টমার কেয়ার ইত্যাদি বিভাগেও লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়। ওয়ালটনে আইএসও সার্টিফায়েড আফটার সেলস সার্ভিস সেন্টার রয়েছে। সেখানেও লোকবল নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
আজকের পত্রিকা: ভাইভায় প্রার্থীর কোন কোন দক্ষতাকে যোগ্যতা হিসেবে মূল্যায়ন করেন? কোন দিকটিতে তাঁদের ঘাটতি রয়েছে?
জাহিদ হাসান: আমরা প্রথমত দেখি প্রার্থীর আত্মবিশ্বাস। বেশির ভাগই দেখা যায় যাঁরা ফ্রেশার, তাঁদের অনেকের প্রথমবার ভাইভা এটি। ফলে নার্ভাস থাকেন অনেকে। তাঁরা খুব একটা স্বাভাবিক হতে পারে না। লেখাপড়ার মানটা নিম্নমুখী। প্রার্থী যে বিষয়ে পড়াশোনা করুক না কেন, বিষয়ভিত্তিক বেসিক প্রশ্ন যখন তাঁকে করা হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা ভালো ফিডব্যাক পাই না। সাধারণ জ্ঞান কিংবা সমসাময়িক বিষয়ে সচেতন মানুষ হিসেবে সবারই জানা থাকা উচিত। এ ক্ষেত্রে আমরা তাঁদের কাছে ভালো ফিডব্যাক পাই না। অন্যদিকে শব্দ চয়ন কিংবা ভাষাগত ত্রুটি লক্ষ করে থাকি। আঞ্চলিকতাও প্রকট দেখা যায়। এগুলো চাকরিপ্রার্থীদের পরিহার করা উচিত। তাহলে ভাইভায় সমস্যা হওয়ার কথা না। আমরা প্রার্থীর যোগাযোগ দক্ষতা কমিউনিকেশন স্কিলটাও দেখে থাকি। সে ক্ষেত্রেও যে খুব ভালো পাচ্ছি তা কিন্তু না। এ বিষয়গুলো প্রার্থীদের খেয়াল রাখতে হবে।
আজকের পত্রিকা: চাকরিতে দক্ষ প্রার্থী কেমন পাওয়া যায়? যদি খুব একটা না পাওয়া যায়, তবে কারিকুলামে মডিফিকেশন দরকার কি না?
জাহিদ হাসান: পুরোপুরি যে পাই, সেটা বলব না। কারিকুলামের সঙ্গে বাস্তবতার অনেকাংশে মিল নেই। সেখানে হয়তো গতানুগতিক পড়া পড়ানো হয়। তারা যখন বাস্তব কাজে হাত দেন, তখন বলেন এ জিনিস তো আমরা পড়িনি বা এটি এই প্রথম দেখলাম। সুতরাং যাঁরা পাঠ্যক্রম নীতিনির্ধারক হিসেবে আছেন, তাঁদের কাছে আমার অনুরোধ, আমাদের মতো যাঁরা উৎপাদনকারী আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে উৎপাদন-প্রক্রিয়ায় কী ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি বা কী ধরনের প্রকৌশল সেখানে ব্যবহার হচ্ছে, সেটার সঙ্গে তার কারিকুলামটা মিল আছে কি না, সেটা দেখা। আর যদি মিল না থাকে তাহলে কতটুকু অমিল, সেটা ঠিক করে নতুন কারিকুলাম তৈরি করা। যার ফলে ফ্রেশ যাঁদের পাব তাঁরা কাজের উপযোগী হবেন। আমরা অনেক প্রার্থীর সঠিক ফরম্যাটে সিভি লেখা পাই না। কিংবা দেখা যায় তাঁরা ঠিকভাবে ই-মেইল লিখতে পারেন না। সিভি সঠিক ফরম্যাটে না লেখার কারণে শর্টলিস্টেই বাদ পড়ে যান। এসব বিষয়ও কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। আমি মনে করি, এখনকার সময়ে কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করবে, সেটাও শেখানো উচিত। সনাতনী পড়াশোনা দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে তাল মেলানো কঠিন। সে ক্ষেত্রে আমাদের সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপডেট হতে হবে।
আজকের পত্রিকা: ওয়ালটনে ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের চাকরির সুযোগ কেমন?
জাহিদ হাসান: ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েটদের প্রথমত আমরা ইন্টার্ন করার সুযোগ দিয়ে থাকি। ক্ষেত্রবিশেষে তাঁদের কোনো টাকাপয়সা দিতে হয় না; বরং আমরাই তাঁদের টাকা দিই। তাঁরা খাবার সাব সিডিসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাঁদের ১২ সপ্তাহের ইন্টার্ন করানো হয়। এর মধ্যে যাঁরা ভালো করেন, তাঁদের সরাসরি আমাদের নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় সুযোগ দেওয়া হয়। সেখানে নিয়োগ-প্রক্রিয়ার ধাপগুলো অতিক্রম করতে পারলে তাঁদের চাকরির সুযোগ থাকে। এ ছাড়া আমাদের নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় ফ্রেশারদের সরাসরি নিয়োগেরও সুযোগ রয়েছে।
কানাডিয়ান হাইকমিশনে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ২ জন কর্মকর্তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য নিয়মিত বেতনের বাইরেও নানা সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেইউনাইটেড ন্যাশন্স ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে (ডব্লিউএফপি) জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির একটি শূন্য ২ জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রতিষ্ঠানটির কক্সবাজার অফিসে নিয়োগ পাবেন।
১ দিন আগেঅর্থ বিভাগের আওতাধীন জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিলের (এনএইচআরডিএফ) চার পদে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির জিএম (প্রশাসন ও ফাইন্যান্স) মোহাম্মদ জহিরুল কাইউম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আদমজী ইপিজেড মেডিকেল সেন্টার। প্রতিষ্ঠানটিতে ছয় ধরনের পদে ছয়জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও প্রার্থীরা ডাকযোগে আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগে