আব্দুস সামাদ আহমেদ ৪৩তম বিসিএসে ট্যাক্স ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাঁর ভাইভা অভিজ্ঞতা শুনেছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম।
আমি: অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করলাম। (স্যার বসতে বলার পর বসলাম)
চেয়ারম্যান: আব্দুস সামাদ আহমেদ। আপনি পড়াশোনা করেছেন কোথায়?
আমি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চাঁদপুর সরকারি কলেজে।
চেয়ারম্যান: বর্তমানে কী করেন?
আমি: জনতা ব্যাংক পিএলসি, নতুন বাজার করপোরেট শাখা, চাঁদপুরে কর্মরত।
চেয়ারম্যান: অফিসার পদে?
আমি: সিনিয়র অফিসার পদে, স্যার।
চেয়ারম্যান: আপনি সিনিয়র অফিসার হিসেবে আছেন। ৪১তমে সুপারিশপ্রাপ্ত, আবার ভাইভা দিচ্ছেন। আচ্ছা, আপনার পছন্দ ক্রমটা বলেন তো?
আমি: পুলিশ, অ্যাডমিন, কাস্টমস, কর.
চেয়ারম্যান: পুলিশ প্রথম পছন্দ কেন?
আমি: দেশের নিরাপত্তা স্থিতি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, সর্বোপরি আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের আর্থসামাজিক নিরাপত্তার মূল দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীর হাতে ন্যস্ত। আমি এই মহান দায়িত্বের অংশীদার হতে চাই। তা ছাড়া পুলিশের ইউনিফর্ম, সুশৃঙ্খল কর্মধারা আমাকে এ পেশায় টানে। এজন্য পুলিশ আমার প্রথম পছন্দ।
চেয়ারম্যান: ডিএমপি সম্পর্কে জানেন?
আমি: জি, স্যার। মোটামুটি জানি।
চেয়ারম্যান: ডিএমপি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
আমি: স্যার, ঢাকা শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা, মাদক-চোরাচালান নির্মূল; এসবের জন্য ডিএমপি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।
চেয়ারম্যান: আপনি কি মনে করেন ডিএমপি তার দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করছে?
আমি: জি স্যার, ডিএমপি তার দায়িত্ব পালনে সফল।
চেয়ারম্যান: ডিএমপিকে আপনি সফল বলছেন, কিন্তু একটা বিষয়ে ডিএমপি পুরোপুরি সফল নয়। কোনটা বলতে পারেন?
আমি: স্যরি স্যার! (কিছুক্ষণ চুপ থেকে)
চেয়ারম্যান: আজকে আপনি ফেস করছেন হয়তো ব্যাপারটা।
আমি: স্যরি স্যার। এ মুহূর্তে মনে করতে পারছি না।
চেয়ারম্যান: ‘ট্রাফিক জ্যাম’ এ সমস্যা সমাধানে ডিএমপি এখনো পুরোপুরি সফল নয়। (একথা বলেই স্যার হেসে বললেন, কেন? আজকে কি জ্যাম পাননি?)
আমি: না স্যার, আজকে রাস্তা পুরোই ফাঁকা। (সেদিন হরতাল বা অবরোধ ছিল মনে হয়)
চেয়ারম্যান: ডিএমপির আধুনিকায়নে কী কী উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে?
আমি: জনবল সম্প্রসারণ, প্রযুক্তির ব্যবহার—এ সবকিছু বলেছিলাম। (গুছিয়ে বলতে পারিনি, উত্তরে স্যার সন্তুষ্ট ছিলেন মনে হয়নি)
চেয়ারম্যান: পুলিশের সঙ্গে জনগণের আস্থার কিছুটা গ্যাপ আছে। কীভাবে পুলিশের সঙ্গে জনগণের এ দূরত্ব কমানো যায়?
আমি: পাবলিক-পুলিশ কানেকটিভিটি বৃদ্ধি, কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং; এসব প্রক্রিয়া জোরালোকরণের মাধ্যমে।
চেয়ারম্যান: তেজগাঁও, কারওয়ান বাজার এসব এলাকা খুবই অপরাধপ্রবণ এবং মাদকপ্রবণ। এসব এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণে ও অপরাধ দমনে আপনি কী কী পদক্ষেপ নেবেন?
আমি: আইনের যথাযথ প্রয়োগ, পুলিশি টহল বৃদ্ধি, বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করব, স্যার।
চেয়ারম্যান: ঢাকা শহরে বিট পুলিশিং কতটা কঠিন আপনি জানেন? মানুষকে বারবার চিঠি দিয়ে, মাইকিং করেও আনা যায় না। আর মানুষ আসবেই বা কীভাবে?
সারা সপ্তাহ অফিস করে শুক্রবার
রেস্ট নেবে বা পরিবারকে সময়
দেবে। আর আপনি বললেন,
আসেন আমরা আপনার সঙ্গে মিটিং করব, তাঁরা তখন স্বভাবতই আসবেন না। (স্যার এভাবেই বলছিলেন কথাগুলো)
আমি: শুধু জি স্যার, বলছিলাম। (তারপর স্যার বললেন, এসব সামাজিক সমস্যার সমাধানের জন্য সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করা দরকার। পরিবারের এখানে মূল ভূমিকা পালন করতে হবে)
এক্সটার্নাল-১: আপনি একটা সমীকরণ লিখুন যা x-অক্ষ সাপেক্ষে সিমেট্রিক।
আমি: একটি পরাবৃত্তের সমীকরণ লিখলাম।
এক্সটার্নাল-১: এই সমীকরণ কী নির্দেশ করে?
আমি: স্যার, একটি প্যারাবোলা নির্দেশ করে।
এক্সটার্নাল-১: এর ফোকাস কোনটা?
আমি: চিহ্নিত করলাম এবং লিখেও দিলাম।
এক্সটার্নাল-২: আপনি আইওটি নাম শুনেছেন?
আমি: কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে... এ মুহূর্তে ঠিক মাথায় আসছে না, স্যরি স্যার।
এক্সটার্নাল-২: আপনি এ ব্যাপারে জানেন, স্মরণ করার চেষ্টা করুন।
আমি: স্যরি স্যার, মনে আসছে না।
এক্সটার্নাল-২: চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের নাম শুনেছেন?
আমি: জি স্যার।
এক্সটার্নাল-২: তাহলে তো আইওটি জানার কথা।
আমি: জি স্যার, আইওটির পূর্ণরূপ হলো ‘ইন্টারনেট অব থটস’
এক্সটার্নাল-২: ‘ম্যাগনাকার্টা’ শব্দটা শুনেছেন?
আমি: জি স্যার।
এক্সটার্নাল-২: আচ্ছা ঠিক আছে। ৬ দফা দিবস কবে?
আমি: ৭ই জুন।
এক্সটার্নাল-২: কেন?
আমি: স্যার, প্রথম দফায় প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন তথা বাঙালির স্বাধিকারের কথা বলা হয়েছে, যার অনিবার্য ফল আমাদের স্বাধীনতা। এজন্য প্রথম দফাটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এক্সটার্নাল-২: স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র কবে গৃহীত হয়?
আমি: ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১। (আচ্ছা এবার আপনি আসতে পারেন। আমি কাগজপত্র গুছিয়ে, সবাইকে সালাম দিয়ে চলে আসলাম)
আব্দুস সামাদ আহমেদ ৪৩তম বিসিএসে ট্যাক্স ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাঁর ভাইভা অভিজ্ঞতা শুনেছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম।
আমি: অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করলাম। (স্যার বসতে বলার পর বসলাম)
চেয়ারম্যান: আব্দুস সামাদ আহমেদ। আপনি পড়াশোনা করেছেন কোথায়?
আমি: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চাঁদপুর সরকারি কলেজে।
চেয়ারম্যান: বর্তমানে কী করেন?
আমি: জনতা ব্যাংক পিএলসি, নতুন বাজার করপোরেট শাখা, চাঁদপুরে কর্মরত।
চেয়ারম্যান: অফিসার পদে?
আমি: সিনিয়র অফিসার পদে, স্যার।
চেয়ারম্যান: আপনি সিনিয়র অফিসার হিসেবে আছেন। ৪১তমে সুপারিশপ্রাপ্ত, আবার ভাইভা দিচ্ছেন। আচ্ছা, আপনার পছন্দ ক্রমটা বলেন তো?
আমি: পুলিশ, অ্যাডমিন, কাস্টমস, কর.
চেয়ারম্যান: পুলিশ প্রথম পছন্দ কেন?
আমি: দেশের নিরাপত্তা স্থিতি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, সর্বোপরি আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের আর্থসামাজিক নিরাপত্তার মূল দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীর হাতে ন্যস্ত। আমি এই মহান দায়িত্বের অংশীদার হতে চাই। তা ছাড়া পুলিশের ইউনিফর্ম, সুশৃঙ্খল কর্মধারা আমাকে এ পেশায় টানে। এজন্য পুলিশ আমার প্রথম পছন্দ।
চেয়ারম্যান: ডিএমপি সম্পর্কে জানেন?
আমি: জি, স্যার। মোটামুটি জানি।
চেয়ারম্যান: ডিএমপি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল?
আমি: স্যার, ঢাকা শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা, মাদক-চোরাচালান নির্মূল; এসবের জন্য ডিএমপি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।
চেয়ারম্যান: আপনি কি মনে করেন ডিএমপি তার দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করছে?
আমি: জি স্যার, ডিএমপি তার দায়িত্ব পালনে সফল।
চেয়ারম্যান: ডিএমপিকে আপনি সফল বলছেন, কিন্তু একটা বিষয়ে ডিএমপি পুরোপুরি সফল নয়। কোনটা বলতে পারেন?
আমি: স্যরি স্যার! (কিছুক্ষণ চুপ থেকে)
চেয়ারম্যান: আজকে আপনি ফেস করছেন হয়তো ব্যাপারটা।
আমি: স্যরি স্যার। এ মুহূর্তে মনে করতে পারছি না।
চেয়ারম্যান: ‘ট্রাফিক জ্যাম’ এ সমস্যা সমাধানে ডিএমপি এখনো পুরোপুরি সফল নয়। (একথা বলেই স্যার হেসে বললেন, কেন? আজকে কি জ্যাম পাননি?)
আমি: না স্যার, আজকে রাস্তা পুরোই ফাঁকা। (সেদিন হরতাল বা অবরোধ ছিল মনে হয়)
চেয়ারম্যান: ডিএমপির আধুনিকায়নে কী কী উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে?
আমি: জনবল সম্প্রসারণ, প্রযুক্তির ব্যবহার—এ সবকিছু বলেছিলাম। (গুছিয়ে বলতে পারিনি, উত্তরে স্যার সন্তুষ্ট ছিলেন মনে হয়নি)
চেয়ারম্যান: পুলিশের সঙ্গে জনগণের আস্থার কিছুটা গ্যাপ আছে। কীভাবে পুলিশের সঙ্গে জনগণের এ দূরত্ব কমানো যায়?
আমি: পাবলিক-পুলিশ কানেকটিভিটি বৃদ্ধি, কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং; এসব প্রক্রিয়া জোরালোকরণের মাধ্যমে।
চেয়ারম্যান: তেজগাঁও, কারওয়ান বাজার এসব এলাকা খুবই অপরাধপ্রবণ এবং মাদকপ্রবণ। এসব এলাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণে ও অপরাধ দমনে আপনি কী কী পদক্ষেপ নেবেন?
আমি: আইনের যথাযথ প্রয়োগ, পুলিশি টহল বৃদ্ধি, বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করব, স্যার।
চেয়ারম্যান: ঢাকা শহরে বিট পুলিশিং কতটা কঠিন আপনি জানেন? মানুষকে বারবার চিঠি দিয়ে, মাইকিং করেও আনা যায় না। আর মানুষ আসবেই বা কীভাবে?
সারা সপ্তাহ অফিস করে শুক্রবার
রেস্ট নেবে বা পরিবারকে সময়
দেবে। আর আপনি বললেন,
আসেন আমরা আপনার সঙ্গে মিটিং করব, তাঁরা তখন স্বভাবতই আসবেন না। (স্যার এভাবেই বলছিলেন কথাগুলো)
আমি: শুধু জি স্যার, বলছিলাম। (তারপর স্যার বললেন, এসব সামাজিক সমস্যার সমাধানের জন্য সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করা দরকার। পরিবারের এখানে মূল ভূমিকা পালন করতে হবে)
এক্সটার্নাল-১: আপনি একটা সমীকরণ লিখুন যা x-অক্ষ সাপেক্ষে সিমেট্রিক।
আমি: একটি পরাবৃত্তের সমীকরণ লিখলাম।
এক্সটার্নাল-১: এই সমীকরণ কী নির্দেশ করে?
আমি: স্যার, একটি প্যারাবোলা নির্দেশ করে।
এক্সটার্নাল-১: এর ফোকাস কোনটা?
আমি: চিহ্নিত করলাম এবং লিখেও দিলাম।
এক্সটার্নাল-২: আপনি আইওটি নাম শুনেছেন?
আমি: কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে... এ মুহূর্তে ঠিক মাথায় আসছে না, স্যরি স্যার।
এক্সটার্নাল-২: আপনি এ ব্যাপারে জানেন, স্মরণ করার চেষ্টা করুন।
আমি: স্যরি স্যার, মনে আসছে না।
এক্সটার্নাল-২: চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের নাম শুনেছেন?
আমি: জি স্যার।
এক্সটার্নাল-২: তাহলে তো আইওটি জানার কথা।
আমি: জি স্যার, আইওটির পূর্ণরূপ হলো ‘ইন্টারনেট অব থটস’
এক্সটার্নাল-২: ‘ম্যাগনাকার্টা’ শব্দটা শুনেছেন?
আমি: জি স্যার।
এক্সটার্নাল-২: আচ্ছা ঠিক আছে। ৬ দফা দিবস কবে?
আমি: ৭ই জুন।
এক্সটার্নাল-২: কেন?
আমি: স্যার, প্রথম দফায় প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন তথা বাঙালির স্বাধিকারের কথা বলা হয়েছে, যার অনিবার্য ফল আমাদের স্বাধীনতা। এজন্য প্রথম দফাটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এক্সটার্নাল-২: স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র কবে গৃহীত হয়?
আমি: ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১। (আচ্ছা এবার আপনি আসতে পারেন। আমি কাগজপত্র গুছিয়ে, সবাইকে সালাম দিয়ে চলে আসলাম)
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ৮৬টি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। হিসাবরক্ষক, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারীসহ বিভিন্ন পদে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪।
২ দিন আগেসাভারে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। হাসপাতালটিতে ইমারজেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটি সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে ৯ ধরনের পদে মোট ১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
২ দিন আগেবাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই নিরস্ত্র)-২০২৫ এর লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেবাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (বিআইডিএস) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৪ ধরনের পদে ৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা সরাসরি আবেদন করতে পারবেন।
২ দিন আগে