রাহুল শর্মা, ঢাকা
একটা সময় ছিল, যখন বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানচর্চার সুযোগ নেই–এমন সরকারি চাকরির প্রতি আগ্রহ দেখাতেন না। বর্তমানে সেই পরিস্থিতি আর নেই। বাংলাদেশে সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা এখন পুলিশ, প্রশাসনসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্যাডার পদে আসীন হচ্ছেন। শুধু তা-ই নয়, বিসিএসে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি চাকরি পাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছেন ব্যবসায় শিক্ষায় ডিগ্রিধারীরা।
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছে পিএসসি। গত বৃহস্পতিবার এটি জাতীয় সংসদেও উপস্থাপন করা হয়েছে। ২০২৩ সালের এই বার্ষিক প্রতিবেদনে ৪১ তম বিসিএস ও ৪৩ তম বিসিএসে চাকরি পাওয়া শিক্ষার্থীদের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ৪১ তম বিসিএসে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা ৩৬ দশমিক ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী চাকরি পেয়েছেন। ৪৩ তম বিসিএসে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা ৩৮ দশমিক ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী চাকরি পেয়েছেন।
বিসিএসের চাকরিতে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা বেশি সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক তাহমিনা আখতার বলেন,
মূলত পিএসসির সিলেবাসের কারণেই বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বেশি পরিমাণে সুপারিশপ্রাপ্ত হচ্ছেন। বলা যায়, অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
পিএসসির বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ৪১ তম বিসিএসের ২ হাজার ৫১৬ জনকে চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিল পিএসসি, যাঁদের মধ্যে ৩৬ দশমিক ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা। আর মানবিক বিভাগের ২৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, প্রকৌশলের ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ ও অন্যান্য বিভাগ থেকে ২ দশমিক ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী চাকরি পেয়েছেন। ৪১ তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সালে।
৪৩ তম বিসিএসে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা ৩৮ দশমিক ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী চাকরি পেয়েছেন। আর মানবিক বিভাগের ২৩ দশমিক ৯০ শতাংশ, প্রকৌশলের ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ, ব্যবসায় শিক্ষার ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ৪ দশমিক ৬২ এবং অন্যান্য বিভাগের ২ দশমিক ৮ শতাংশ চাকরি পেয়েছেন। ৪৩ তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল ২০২০ সালে। ওই বিসিএসে ২ হাজার ১৬৩ জনকে চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিল পিএসসি।
পিছিয়ে পড়ছেন নারীরা
বিসিএস পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়ছেন নারীরা। গত পাঁচটি বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত নারী প্রার্থীর হার ক্রমান্বয়ে কমছে। পিএসসির ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ৩৯ তম বিশেষ বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের মধ্যে নারী ছিলেন ৪৭ শতাংশ (৩ হাজার ১৯২ জন), ৪০ তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের মধ্যে নারী কমে দাঁড়ায় ২৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ (৫১১ জন), ৪১ তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হন ২৬ দশমিক ৭১ শতাংশ (৬৭২ জন), ৪২ তম বিশেষ বিসিএসে এ হার ছিল ৪৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ (১ হাজার ৯৬১ জন) এবং ৪৩ তম বিসিএসে এ হার ছিল ১৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ (৪২১ জন)।
প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিশেষ দুই বিসিএস ছাড়া সুপারিশপ্রাপ্ত নারী প্রার্থীদের সংখ্যা প্রায় প্রতিটি সাধারণ বিসিএসেই কমছে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিএসসির এক সদস্য বলেন, মোটাদাগে বলা হয়, বিসিএসে নারী কোটা বাতিল হওয়ায় এ হার কমছে।
একটা সময় ছিল, যখন বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানচর্চার সুযোগ নেই–এমন সরকারি চাকরির প্রতি আগ্রহ দেখাতেন না। বর্তমানে সেই পরিস্থিতি আর নেই। বাংলাদেশে সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা এখন পুলিশ, প্রশাসনসহ গুরুত্বপূর্ণ ক্যাডার পদে আসীন হচ্ছেন। শুধু তা-ই নয়, বিসিএসে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি চাকরি পাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছেন ব্যবসায় শিক্ষায় ডিগ্রিধারীরা।
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিয়েছে পিএসসি। গত বৃহস্পতিবার এটি জাতীয় সংসদেও উপস্থাপন করা হয়েছে। ২০২৩ সালের এই বার্ষিক প্রতিবেদনে ৪১ তম বিসিএস ও ৪৩ তম বিসিএসে চাকরি পাওয়া শিক্ষার্থীদের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ৪১ তম বিসিএসে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা ৩৬ দশমিক ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী চাকরি পেয়েছেন। ৪৩ তম বিসিএসে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা ৩৮ দশমিক ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী চাকরি পেয়েছেন।
বিসিএসের চাকরিতে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা বেশি সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক তাহমিনা আখতার বলেন,
মূলত পিএসসির সিলেবাসের কারণেই বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বেশি পরিমাণে সুপারিশপ্রাপ্ত হচ্ছেন। বলা যায়, অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
পিএসসির বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ৪১ তম বিসিএসের ২ হাজার ৫১৬ জনকে চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিল পিএসসি, যাঁদের মধ্যে ৩৬ দশমিক ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা। আর মানবিক বিভাগের ২৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, প্রকৌশলের ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ ও অন্যান্য বিভাগ থেকে ২ দশমিক ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী চাকরি পেয়েছেন। ৪১ তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সালে।
৪৩ তম বিসিএসে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাস করা ৩৮ দশমিক ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী চাকরি পেয়েছেন। আর মানবিক বিভাগের ২৩ দশমিক ৯০ শতাংশ, প্রকৌশলের ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ, ব্যবসায় শিক্ষার ৮ দশমিক ১৮ শতাংশ, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ৪ দশমিক ৬২ এবং অন্যান্য বিভাগের ২ দশমিক ৮ শতাংশ চাকরি পেয়েছেন। ৪৩ তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল ২০২০ সালে। ওই বিসিএসে ২ হাজার ১৬৩ জনকে চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিল পিএসসি।
পিছিয়ে পড়ছেন নারীরা
বিসিএস পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়ছেন নারীরা। গত পাঁচটি বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত নারী প্রার্থীর হার ক্রমান্বয়ে কমছে। পিএসসির ২০২৩ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ৩৯ তম বিশেষ বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের মধ্যে নারী ছিলেন ৪৭ শতাংশ (৩ হাজার ১৯২ জন), ৪০ তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের মধ্যে নারী কমে দাঁড়ায় ২৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ (৫১১ জন), ৪১ তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত হন ২৬ দশমিক ৭১ শতাংশ (৬৭২ জন), ৪২ তম বিশেষ বিসিএসে এ হার ছিল ৪৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ (১ হাজার ৯৬১ জন) এবং ৪৩ তম বিসিএসে এ হার ছিল ১৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ (৪২১ জন)।
প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিশেষ দুই বিসিএস ছাড়া সুপারিশপ্রাপ্ত নারী প্রার্থীদের সংখ্যা প্রায় প্রতিটি সাধারণ বিসিএসেই কমছে। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিএসসির এক সদস্য বলেন, মোটাদাগে বলা হয়, বিসিএসে নারী কোটা বাতিল হওয়ায় এ হার কমছে।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) আওতাধীন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসমূহে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ৩ ধরনের শূন্য পদে মোট ৪৮১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
৩২ মিনিট আগেট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে (টিআইবি) জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ‘এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট ফাইন্যান্স’ প্রকল্পের অধীনে একটি শূন্য পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনে (বিসিক) জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির অধীনে পাবনার কেন্দ্রে খণ্ডকালীন প্রশিক্ষকের ২টি শূন্য পদে ২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকা ব্যাংক পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির ইন্টারনাল অডিটরের শূন্য পদে একাধিক লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগে