তাপসের স্বপ্ন ছিল মেডিকেলে পড়ার। প্রথমবার ব্যর্থ হয়ে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি অনুষদে ভর্তি হন। কিছুদিন ক্লাস করার পর মেডিকেলের ইচ্ছা থেকে পুনরায় কোচিং করেন রংপুরে। কিন্তু সেবারও ব্যর্থ। ফিরে যান ক্যাম্পাসে।
বিসিএস প্রস্তুতি ও সাফল্য
তাপস তৃতীয় বর্ষে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে শুরু করেন বিসিএস প্রস্তুতি। সমাধান করেন বিসিএস প্রশ্নব্যাংক। এরপর কয়েকজন মিলে মাস্টার্স করতে ঢাকা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। মাস্টার্স ক্লাস, ল্যাবের ফাঁকে ফাঁকে চলত চাকরির প্রস্তুতি।
প্রিলিমিনারির জন্য তিনি কোনো কোচিং করেননি। বরং নিজে থেকে প্রতিটি বিষয় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তেন। ফোনের গুগল ম্যাপ দেখে দেখে আন্তর্জাতিক স্থান, রাজনৈতিক বিষয়গুলো পড়তেন। ইংরেজিটা একটু সময় দিয়ে পড়ার চেষ্টা করতেন। মাঝে মাঝে অন্যান্য চাকরির পরীক্ষাও দিতে হতো। সে প্রশ্নগুলো ভালোভাবে সমাধান করায় পরবর্তী সময়ে অনেক সুফল পেয়েছেন। হঠাৎ দেশে করোনা মহামারি এলে হল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে জীবনের প্রথম ৪১তম বিসিএস পরীক্ষা দিতে হয় অনেক অনিশ্চয়তার মধ্যে। ৪১তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাস করেন। পরে লিখিত প্রস্তুতির জন্য হল বন্ধ থাকায় পুনরায় চলে আসেন দিনাজপুর তথা পুরোনো ক্যাম্পাসে। পাশাপাশি মেস নিয়ে কয়েকজন বন্ধু মিলে শুরু করেন লিখিত প্রস্তুতি। প্রথম দিকে ক্যাম্পাসের বড়দের নির্দেশনায় কয়েকজন বন্ধু নিয়মিত অনুবাদ চর্চা করতেন। পরে নিজেরাই সাধারণ জ্ঞান ও বাংলার মতো বিষয়গুলো প্রশ্ন বানিয়ে পরীক্ষা দিতে থাকেন। করোনার কারণে সব বন্ধ থাকায় দলগত শিক্ষা বিশেষভাবে সাহায্য করেছিল। লিখিত পরীক্ষার জন্য কোচিংয়ে মডেল টেস্ট দিতেন নিয়মিত। এতে হাতের লেখার গতি আসে এবং নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করার সুযোগ তৈরি হয়। লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে, ঘন ঘন মডেল টেস্ট এবং নিজে থেকে পরীক্ষা দিয়ে অবশেষে লিখিত পরীক্ষায়ও পাস করেছেন। পরবর্তীকালে শুরু করেন ভাইভা প্রস্তুতি। প্রথম বিসিএস হওয়ায় শুরুর দিকে ভয় পেলেও নিয়মিত গ্রুপ স্টাডি করায় সে ভীতি কমে যায়। চার বন্ধু মিলে হলের ছাদে নিয়মিত ভাইভা অনুশীলন করতেন। তা ছাড়া নিয়মিত অন্যদের সঙ্গেও ভাইভা অনুশীলন করতেন, যা ভাইভা বোর্ডের সামনে ভীতি কাটাতে বিশেষভাবে সাহায্য করেছিল। দলগত শিক্ষা আর দৃঢ় সংকল্পের মধ্য দিয়েই তিনি ৪১তম বিসিএস কৃষি ক্যাডারে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তা ছাড়া ব্যাংক ও বিভিন্ন সরকারি চাকরির সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
সবারই নিজস্ব কিছু কৌশল থাকে। যার জন্য তিনি সফল হন। কেউ দলগত শিক্ষা, কেউ একা পড়েই সফলতা পান। তবে সফল হতে হলে দলগত শিক্ষাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির জন্য শুরুতেই পুরোনো প্রশ্নগুলো সমাধান করে সে আলোকে পড়া চালিয়ে যেতে হবে। আর লিখিত পরীক্ষার জন্য নিয়মিত লেখার অনুশীলন ও যেকোনো কোচিং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে উপকৃত হওয়া যাবে। ঘন ঘন মডেল টেস্ট এবং নিজে থেকে পরীক্ষা দিলে হাত চালু হবে। আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।
ভাইভার জন্য নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বেশি জরুরি। ভুল কোনো বিষয়ে আত্মবিশ্বাস না থাকাই ভালো। ভাইভা বোর্ডে নিজেকে যতটা সম্ভব বিনয়ী এবং সৎ রাখার চেষ্টা করতে হবে। কোনো মিথ্যাকে সুন্দরভাবে সাজাতে গিয়ে বোর্ডের স্যারদের কাছে ধরা পড়া যাবে না। তাই যতটা সম্ভব সৎ এবং নির্ভয় থাকার চেষ্টা করতে হবে। বিসিএসসহ বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় সফলতা পেতে যেটি সবচেয়ে বেশি জরুরি, তা হলো লক্ষ্য স্থির রাখা। কেননা, বেকারত্বের পুরোটা সময় ব্যর্থতার কারণে ডিপ্রেশন আসে। কিন্তু লক্ষ্য স্থির রেখে সামনে চলতে হবে।
তাপসের স্বপ্ন ছিল মেডিকেলে পড়ার। প্রথমবার ব্যর্থ হয়ে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি অনুষদে ভর্তি হন। কিছুদিন ক্লাস করার পর মেডিকেলের ইচ্ছা থেকে পুনরায় কোচিং করেন রংপুরে। কিন্তু সেবারও ব্যর্থ। ফিরে যান ক্যাম্পাসে।
বিসিএস প্রস্তুতি ও সাফল্য
তাপস তৃতীয় বর্ষে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে শুরু করেন বিসিএস প্রস্তুতি। সমাধান করেন বিসিএস প্রশ্নব্যাংক। এরপর কয়েকজন মিলে মাস্টার্স করতে ঢাকা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। মাস্টার্স ক্লাস, ল্যাবের ফাঁকে ফাঁকে চলত চাকরির প্রস্তুতি।
প্রিলিমিনারির জন্য তিনি কোনো কোচিং করেননি। বরং নিজে থেকে প্রতিটি বিষয় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তেন। ফোনের গুগল ম্যাপ দেখে দেখে আন্তর্জাতিক স্থান, রাজনৈতিক বিষয়গুলো পড়তেন। ইংরেজিটা একটু সময় দিয়ে পড়ার চেষ্টা করতেন। মাঝে মাঝে অন্যান্য চাকরির পরীক্ষাও দিতে হতো। সে প্রশ্নগুলো ভালোভাবে সমাধান করায় পরবর্তী সময়ে অনেক সুফল পেয়েছেন। হঠাৎ দেশে করোনা মহামারি এলে হল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে জীবনের প্রথম ৪১তম বিসিএস পরীক্ষা দিতে হয় অনেক অনিশ্চয়তার মধ্যে। ৪১তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাস করেন। পরে লিখিত প্রস্তুতির জন্য হল বন্ধ থাকায় পুনরায় চলে আসেন দিনাজপুর তথা পুরোনো ক্যাম্পাসে। পাশাপাশি মেস নিয়ে কয়েকজন বন্ধু মিলে শুরু করেন লিখিত প্রস্তুতি। প্রথম দিকে ক্যাম্পাসের বড়দের নির্দেশনায় কয়েকজন বন্ধু নিয়মিত অনুবাদ চর্চা করতেন। পরে নিজেরাই সাধারণ জ্ঞান ও বাংলার মতো বিষয়গুলো প্রশ্ন বানিয়ে পরীক্ষা দিতে থাকেন। করোনার কারণে সব বন্ধ থাকায় দলগত শিক্ষা বিশেষভাবে সাহায্য করেছিল। লিখিত পরীক্ষার জন্য কোচিংয়ে মডেল টেস্ট দিতেন নিয়মিত। এতে হাতের লেখার গতি আসে এবং নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করার সুযোগ তৈরি হয়। লিখিত পরীক্ষার জন্য সময় ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে, ঘন ঘন মডেল টেস্ট এবং নিজে থেকে পরীক্ষা দিয়ে অবশেষে লিখিত পরীক্ষায়ও পাস করেছেন। পরবর্তীকালে শুরু করেন ভাইভা প্রস্তুতি। প্রথম বিসিএস হওয়ায় শুরুর দিকে ভয় পেলেও নিয়মিত গ্রুপ স্টাডি করায় সে ভীতি কমে যায়। চার বন্ধু মিলে হলের ছাদে নিয়মিত ভাইভা অনুশীলন করতেন। তা ছাড়া নিয়মিত অন্যদের সঙ্গেও ভাইভা অনুশীলন করতেন, যা ভাইভা বোর্ডের সামনে ভীতি কাটাতে বিশেষভাবে সাহায্য করেছিল। দলগত শিক্ষা আর দৃঢ় সংকল্পের মধ্য দিয়েই তিনি ৪১তম বিসিএস কৃষি ক্যাডারে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। তা ছাড়া ব্যাংক ও বিভিন্ন সরকারি চাকরির সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
নতুনদের জন্য পরামর্শ
সবারই নিজস্ব কিছু কৌশল থাকে। যার জন্য তিনি সফল হন। কেউ দলগত শিক্ষা, কেউ একা পড়েই সফলতা পান। তবে সফল হতে হলে দলগত শিক্ষাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রিলিমিনারি প্রস্তুতির জন্য শুরুতেই পুরোনো প্রশ্নগুলো সমাধান করে সে আলোকে পড়া চালিয়ে যেতে হবে। আর লিখিত পরীক্ষার জন্য নিয়মিত লেখার অনুশীলন ও যেকোনো কোচিং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে উপকৃত হওয়া যাবে। ঘন ঘন মডেল টেস্ট এবং নিজে থেকে পরীক্ষা দিলে হাত চালু হবে। আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।
ভাইভার জন্য নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বেশি জরুরি। ভুল কোনো বিষয়ে আত্মবিশ্বাস না থাকাই ভালো। ভাইভা বোর্ডে নিজেকে যতটা সম্ভব বিনয়ী এবং সৎ রাখার চেষ্টা করতে হবে। কোনো মিথ্যাকে সুন্দরভাবে সাজাতে গিয়ে বোর্ডের স্যারদের কাছে ধরা পড়া যাবে না। তাই যতটা সম্ভব সৎ এবং নির্ভয় থাকার চেষ্টা করতে হবে। বিসিএসসহ বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় সফলতা পেতে যেটি সবচেয়ে বেশি জরুরি, তা হলো লক্ষ্য স্থির রাখা। কেননা, বেকারত্বের পুরোটা সময় ব্যর্থতার কারণে ডিপ্রেশন আসে। কিন্তু লক্ষ্য স্থির রেখে সামনে চলতে হবে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ৮৬টি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। হিসাবরক্ষক, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারীসহ বিভিন্ন পদে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪।
২ দিন আগেসাভারে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। হাসপাতালটিতে ইমারজেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটি সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে ৯ ধরনের পদে মোট ১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
২ দিন আগেবাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই নিরস্ত্র)-২০২৫ এর লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেবাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (বিআইডিএস) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৪ ধরনের পদে ৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা সরাসরি আবেদন করতে পারবেন।
২ দিন আগে