আতিক জাফর
আতিক জাফর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিং বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। ব্যাংকে চাকরি পাওয়া ও ব্যাংক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
বাংলাদেশ ব্যাংক মূলত ডিরেক্টরি কাজ করে, যা গতানুগতিক ব্যাংকের সঙ্গে কোনোভাবেই মেলে না। আমার খুব ইচ্ছা ছিল আমি রেগুলেটরি বডিতে পলিসি মেকিং পর্যায়ে কাজ করব। আমার অনুভূতি বলতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকার হওয়ার স্বপ্ন অনেকের ছোটবেলা থেকেই থাকে। ক্যাডার সার্ভিসের পাশাপাশি আমার এটাও স্বপ্নের চাকরি ছিল। সেই স্বপ্ন সত্যি হওয়ায় আমার পরিবারের সবাই অনেক খুশি। তাদের খুশি আমার সাফল্যে অতিরিক্ত মাত্রা যুক্ত করেছে।
আগ্রহ থেকেই ব্যাংকার হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম
আমার বড় মামা-মামিকে আমি ছোটবেলা থেকেই ব্যাংকে চাকরি করতে দেখে এসেছি। বড় মামা শওকত ওসমান রূপালী ব্যাংকে ডিজিএম পদে অবসর গ্রহণ করেন। আর মামি মিসেস ইলিম আখতার জাহান বাংলাদেশ ব্যাংকে বর্তমানে অতিরিক্ত পরিচালক পদে কর্মরত। বিশেষ করে বড় মামির কাছ থেকে আমি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজের পরিধি ও কর্মপরিবেশ সম্পর্কে জানতে পারি। এ ছাড়া আমি নিজেও বিজনেস স্টাডিজ ব্যাকগ্রাউন্ডের হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যপরিধি সম্পর্কে জানা ছিল। তা ছাড়া বর্তমান জব মার্কেটে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরির চাহিদাও আমাকে আকৃষ্ট করে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকার হওয়ার ইচ্ছা আরও বাড়তে থাকে। তবে আমার কমার্শিয়াল ব্যাংকে চাকরির প্রতি তেমন আগ্রহ ছিল না।
চাকরি ছেড়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাই
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজটের কারণে আমাদের অনার্স শেষ হয় ২০১৮ সালে। মূলত আমার প্রস্তুতি ২০১৯-এর শেষের দিকে শুরু করি। গুছিয়ে ওঠার আগেই আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ১০ম গ্রেডে ফিল্ড অফিসার পদে চাকরি পেয়ে যাই, যেটি আমার চাকরিজীবনে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। আমি নিজের সক্ষমতা সম্পর্কে আইডিয়া পেয়ে যাই। আমার ধারণা ছিল, একটু গুছিয়ে পড়তে পারলে প্রথম শ্রেণির চাকরি পাব। চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু এ ক্ষেত্রে পরিকল্পনামাফিক পড়াশোনা হচ্ছিল না। এ ছাড়া একটু পারিবারিক সমস্যার কারণে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে পুরোদমে পড়াশোনা চালিয়ে যাই। গণিত ও ইংরেজির দক্ষতা আমাকে সব সময় এগিয়ে রেখেছে। মূলত গোছানো প্রস্তুতিই আমার দ্রুত সফলতার কারণ।
গুছিয়ে পড়লে ভালো ফল পাওয়া যায়
যাঁরা ব্যাংক প্রস্তুতি নিতে চান, তাঁদের জন্য আমার পরামর্শ থাকবে পড়াশোনাকে বিভিন্ন সেগমেন্টে গুছিয়ে নিয়ে পড়া শুরু করবেন। গোছানো প্রস্তুতি প্রার্থীদের সব সময় এগিয়ে রাখে। প্রিলিতে বাংলা, সাধারণ জ্ঞান ও আইসিটি বিগত বছরের প্রশ্নব্যাংক অ্যানালাইসিস করে টপিক নির্ধারণ করে ফেলা। এরপর সেই টপিকের বিস্তারিত বাজারের কোনো বই থেকে পড়ে ফেলা। গণিত ও ইংরেজির জন্য প্রিলিমিনারি ও লিখিত একসঙ্গে প্রস্তুতি নিতে হবে। বেসিক বুঝে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের গণিত শেষ করা, ইংরেজিতে গ্রামারের জন্য ক্লিফস টোফেল শেষ করে বাজারের কোনো একটা বই থেকে গ্রামারের টপিকগুলোর অনুশীলনী চর্চা করতে হবে। লিখিতের ক্ষেত্রে ইংরেজির জন্য যেকোনো দুটি জাতীয় দৈনিক অথবা সম্পাদকীয় যেকোনো বই থেকে প্রতি সপ্তাহে অনুবাদ প্র্যাকটিস করা। ফোকাস রাইটিংয়ের জন্য ফ্রি হ্যান্ড প্র্যাকটিস করার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করা। লিখিততে বর্তমানে সাধারণ জ্ঞান থেকে প্রশ্ন দেখা যায়। এর জন্য বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম, মুদ্রা, নোবেল লরিয়েটদের লেখা বই, আন্তর্জাতিক পুরস্কারসমূহ, করোনাভাইরাস, খেলাধুলা, বাজেট, সাম্প্রতিক ইস্যু এবং ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন টার্মস পড়লেই যথেষ্ট। এভাবে গুছিয়ে পড়তে পারলে আমার মতে খুব দ্রুত ফল আসবে।
ভাইবাতে কনফিডেন্স ধরে রাখাটা মুখ্য বিষয়
মূলত ব্যাংকে ভাইবার প্রস্তুতি তেমন কষ্টকর নয়। ২৫ নম্বরের বরাদ্দ থাকার কারণে এই নম্বর খুব বেশি পার্থক্য করতে দেখা যায় না। নিজের অনার্সের বিষয়, ব্যাংকিং বিভিন্ন টার্মস, সঙ্গে সাম্প্রতিক বিষয়াবলি। এগুলো সম্পর্কে ধারণা নিয়ে গেলেই ভাইবাতে ভালো করা যায়। আর ভাইবাতে কনফিডেন্স ধরে রাখাটা মুখ্য বিষয়।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
আতিক জাফর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিং বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। ব্যাংকে চাকরি পাওয়া ও ব্যাংক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
বাংলাদেশ ব্যাংক মূলত ডিরেক্টরি কাজ করে, যা গতানুগতিক ব্যাংকের সঙ্গে কোনোভাবেই মেলে না। আমার খুব ইচ্ছা ছিল আমি রেগুলেটরি বডিতে পলিসি মেকিং পর্যায়ে কাজ করব। আমার অনুভূতি বলতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকার হওয়ার স্বপ্ন অনেকের ছোটবেলা থেকেই থাকে। ক্যাডার সার্ভিসের পাশাপাশি আমার এটাও স্বপ্নের চাকরি ছিল। সেই স্বপ্ন সত্যি হওয়ায় আমার পরিবারের সবাই অনেক খুশি। তাদের খুশি আমার সাফল্যে অতিরিক্ত মাত্রা যুক্ত করেছে।
আগ্রহ থেকেই ব্যাংকার হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম
আমার বড় মামা-মামিকে আমি ছোটবেলা থেকেই ব্যাংকে চাকরি করতে দেখে এসেছি। বড় মামা শওকত ওসমান রূপালী ব্যাংকে ডিজিএম পদে অবসর গ্রহণ করেন। আর মামি মিসেস ইলিম আখতার জাহান বাংলাদেশ ব্যাংকে বর্তমানে অতিরিক্ত পরিচালক পদে কর্মরত। বিশেষ করে বড় মামির কাছ থেকে আমি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজের পরিধি ও কর্মপরিবেশ সম্পর্কে জানতে পারি। এ ছাড়া আমি নিজেও বিজনেস স্টাডিজ ব্যাকগ্রাউন্ডের হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যপরিধি সম্পর্কে জানা ছিল। তা ছাড়া বর্তমান জব মার্কেটে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরির চাহিদাও আমাকে আকৃষ্ট করে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকার হওয়ার ইচ্ছা আরও বাড়তে থাকে। তবে আমার কমার্শিয়াল ব্যাংকে চাকরির প্রতি তেমন আগ্রহ ছিল না।
চাকরি ছেড়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাই
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজটের কারণে আমাদের অনার্স শেষ হয় ২০১৮ সালে। মূলত আমার প্রস্তুতি ২০১৯-এর শেষের দিকে শুরু করি। গুছিয়ে ওঠার আগেই আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ১০ম গ্রেডে ফিল্ড অফিসার পদে চাকরি পেয়ে যাই, যেটি আমার চাকরিজীবনে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। আমি নিজের সক্ষমতা সম্পর্কে আইডিয়া পেয়ে যাই। আমার ধারণা ছিল, একটু গুছিয়ে পড়তে পারলে প্রথম শ্রেণির চাকরি পাব। চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু এ ক্ষেত্রে পরিকল্পনামাফিক পড়াশোনা হচ্ছিল না। এ ছাড়া একটু পারিবারিক সমস্যার কারণে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে পুরোদমে পড়াশোনা চালিয়ে যাই। গণিত ও ইংরেজির দক্ষতা আমাকে সব সময় এগিয়ে রেখেছে। মূলত গোছানো প্রস্তুতিই আমার দ্রুত সফলতার কারণ।
গুছিয়ে পড়লে ভালো ফল পাওয়া যায়
যাঁরা ব্যাংক প্রস্তুতি নিতে চান, তাঁদের জন্য আমার পরামর্শ থাকবে পড়াশোনাকে বিভিন্ন সেগমেন্টে গুছিয়ে নিয়ে পড়া শুরু করবেন। গোছানো প্রস্তুতি প্রার্থীদের সব সময় এগিয়ে রাখে। প্রিলিতে বাংলা, সাধারণ জ্ঞান ও আইসিটি বিগত বছরের প্রশ্নব্যাংক অ্যানালাইসিস করে টপিক নির্ধারণ করে ফেলা। এরপর সেই টপিকের বিস্তারিত বাজারের কোনো বই থেকে পড়ে ফেলা। গণিত ও ইংরেজির জন্য প্রিলিমিনারি ও লিখিত একসঙ্গে প্রস্তুতি নিতে হবে। বেসিক বুঝে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের গণিত শেষ করা, ইংরেজিতে গ্রামারের জন্য ক্লিফস টোফেল শেষ করে বাজারের কোনো একটা বই থেকে গ্রামারের টপিকগুলোর অনুশীলনী চর্চা করতে হবে। লিখিতের ক্ষেত্রে ইংরেজির জন্য যেকোনো দুটি জাতীয় দৈনিক অথবা সম্পাদকীয় যেকোনো বই থেকে প্রতি সপ্তাহে অনুবাদ প্র্যাকটিস করা। ফোকাস রাইটিংয়ের জন্য ফ্রি হ্যান্ড প্র্যাকটিস করার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করা। লিখিততে বর্তমানে সাধারণ জ্ঞান থেকে প্রশ্ন দেখা যায়। এর জন্য বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নাম, মুদ্রা, নোবেল লরিয়েটদের লেখা বই, আন্তর্জাতিক পুরস্কারসমূহ, করোনাভাইরাস, খেলাধুলা, বাজেট, সাম্প্রতিক ইস্যু এবং ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন টার্মস পড়লেই যথেষ্ট। এভাবে গুছিয়ে পড়তে পারলে আমার মতে খুব দ্রুত ফল আসবে।
ভাইবাতে কনফিডেন্স ধরে রাখাটা মুখ্য বিষয়
মূলত ব্যাংকে ভাইবার প্রস্তুতি তেমন কষ্টকর নয়। ২৫ নম্বরের বরাদ্দ থাকার কারণে এই নম্বর খুব বেশি পার্থক্য করতে দেখা যায় না। নিজের অনার্সের বিষয়, ব্যাংকিং বিভিন্ন টার্মস, সঙ্গে সাম্প্রতিক বিষয়াবলি। এগুলো সম্পর্কে ধারণা নিয়ে গেলেই ভাইবাতে ভালো করা যায়। আর ভাইবাতে কনফিডেন্স ধরে রাখাটা মুখ্য বিষয়।
অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের এমটি অপারেটর (ক্যাজুয়াল) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষা (ড্রাইভিং টেস্ট) ১২ মার্চ থেকে শুরু হয়ে চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত।
৫ ঘণ্টা আগেপল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অধীন সমবায় অধিদপ্তরের একটি পদের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী ১৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
৩ দিন আগেকর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) বিভিন্ন পদের মৌখিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. মঞ্জুরুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ দিন আগেস্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও অডিট ইউনিটের একাধিক পদের নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
৩ দিন আগে