Ajker Patrika

বিসিএস লিখিত পরীক্ষা: পরীক্ষার হলে করণীয়

বিসিএস লিখিত পরীক্ষা: পরীক্ষার হলে করণীয়

৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা ২৭ নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হবে। ক্যাডার তালিকায় টিকে থাকতে বিসিএস লিখিত পরীক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে এবং পরীক্ষার হলে করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন ৪১তম বিসিএসের শিক্ষা ক্যাডার (সমাজকর্ম) পাওয়া মো. মাসুম কামাল।

■    বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় প্রস্তুতির চেয়ে পরীক্ষার হলে আপনি কতটুকু ভালোভাবে লিখলেন, অনেকাংশে তার ওপর নির্ভর করে। তাই প্রস্তুতি খারাপ হলেও আপনি ভালোভাবে লিখিত পরীক্ষা দেবেন, এ লক্ষ্যে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন।
■    প্রয়োজনীয় জিনিস আগে থেকেই প্রস্তুত রাখুন।
■    লিখিত পরীক্ষায় দ্রুত লেখার জন্য কলম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই যে কলম দিয়ে লিখবেন, সেটা দিয়ে এখন থেকেই অনুশীলন করুন। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভালো কলম আগে থেকেই প্রস্তুত রাখুন।
■    সময় ব্যবস্থাপনা পরীক্ষার হলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোন প্রশ্নের উত্তর কত সময় ধরে লিখবেন এবং কতটুকু লিখবেন, তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখবেন। সাধারণত ৫ নম্বরের জন্য ৬ মিনিট পাওয়া যায়। তবে আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী সময় বরাদ্দ করে রাখুন।
■    পরীক্ষার কেন্দ্রে কীভাবে যাবেন, আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন। সম্ভব হলে কাউকে সঙ্গে নিয়ে যান। তাহলে ব্যাগ, বই নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না। ঢাকায় যাঁরা পরীক্ষা দেবেন, তাঁরা সময় নিয়ে বের হবেন। সম্ভব হলে কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করবেন।
■    কেন্দ্রে প্রবেশের আগে দুই-এক মিনিট লিখে হাত চালু রাখবেন। এটা শুরু থেকেই দ্রুত লিখতে সাহায্য করে।
■    পরীক্ষা শুরুর পর বের হওয়া মানেই সময় নষ্ট। তাই পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রয়োজনীয় কাজ সেরে পরীক্ষার কক্ষে ঢুকবেন।
■    পরীক্ষা শুরু হলে ওপরে থাকা নাম, বিষয় লেখার পর রোল নম্বর, বিষয় কোড, কেন্দ্র কোড ভালোভাবে পূরণ করবেন। লিখিত পরীক্ষা নিয়ে পিএসসি অনেক আন্তরিক। তাই কোনো সমস্যা হলে টেনশন না করে পরীক্ষা শেষ করে হল গার্ড বা কেন্দ্রের কারও সাহায্যে পিএসসির দায়িত্বরত ব্যক্তিকে জানাবেন।
■    বাংলা ও ইংরেজি রচনা, বাংলাদেশ বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি লেখার ক্ষেত্রে শুরুতে এবং শেষে উপযুক্ত কোটেশন ব্যবহার করবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী ডেটা, চার্ট, মানচিত্র ব্যবহার করবেন। তবে ডেটা, চার্টের ক্ষেত্রে অবশ্যই রেফারেন্স উল্লেখ করবেন। সম্ভব হলে পয়েন্টগুলো নীল কালিতে লিখবেন। লেখার শেষে পত্রিকা, জার্নাল, ওয়েবসাইটের রেফারেন্স দেবেন। 
■    বিজ্ঞানে চিত্র, সমীকরণ, সংকেত ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। বিজ্ঞানে অল্প লেখেন, তবে ভুল লিখবেন না।
■    অঙ্ক করার সময় মাথা ঠান্ডা রাখুন। দুবার চেষ্টার পর কোনো অঙ্ক না মিললে পরেরটায় চলে যাবেন। দুই ঘণ্টায় অনেক অঙ্ক করতে হয়, তাই সময়ের দিকে খেয়াল রাখবেন। মানসিক দক্ষতার প্রশ্ন ভালোভাবে পড়ে উত্তর করবেন। 
■    পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর উপস্থাপন ভালো নম্বর পেতে সাহায্য করে। তাই বানান ও গ্রামার ভুল করবেন না। হাতের লেখা যথাসম্ভব সুন্দর করার চেষ্টা করবেন। লেখা সুন্দর না হলেও চিন্তার কারণ নেই। তবে কাটাকাটি, ঘষামাজা করবেন না।
■    একটা প্রশ্নের উত্তর বেশি, আরেকটা কম, এ রকম করা যাবে না। নম্বর অনুযায়ী লিখবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সব প্রশ্নের উত্তর শেষ করে আসতে হবে এবং কোনো প্রশ্নই ছেড়ে আসা যাবে না, এ বিষয়টা মাথায় রাখবেন।
■    কোনো একটা পরীক্ষা খারাপ হলে সেটা নিয়ে টেনশন করা যাবে না। পরের পরীক্ষাগুলো ভালোভাবে শেষ করতে হবে। কারণ, অন্য বিষয়গুলো ভালো করার মাধ্যমে আপনি খারাপ পরীক্ষাটি অতিক্রম করতে পারবেন।
■    লিখিত পরীক্ষার কয়েকটা দিন আপনার শরীরের ওপর দিয়ে একটা ধকল যাবে। এ জন্য  মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকবেন। প্রয়োজনীয় ওষুধপথ্য কাছেই রাখবেন।
আপনি আপনার সাধ্যমতো সব পরীক্ষা নির্ভুলভাবে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। অযথা চাপ নেবেন না। সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রাখুন। নিশ্চয় তিনিই উত্তম পরিকল্পনাকারী। সবার জন্য শুভকামনা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত