জীবন কুমার সরকার
প্রশ্ন: বর্তমানে কোথায় এবং কী বিষয়ে পড়াশোনা করছেন?
নয়ন চৌধুরী: আমি বর্তমানে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অবস্থিত চিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেহিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর করছি।
প্রশ্ন: এত বিষয় থাকতে যানবাহন এবং গতিশীলতা বিষয়টি কেন বেছে নিয়েছেন?
নয়ন চৌধুরী: আমার ডিপ্লোমা ও ব্যাচেলর মেকানিক্যাল বিষয়ে হলেও মাস্টার্সে যানবাহন ও গতিশীলতা নিয়ে পড়ার প্রধান কারণ হলো চীনের উচ্চগতির গাড়ি তৈরির ইন্ডাস্ট্রি, যেটি আগামী কয়েক বছর পর পুরো বিশ্বের গাড়ির বাজারে নেতৃত্ব দেবে। এ ছাড়া চিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় ভেহিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য বিশ্বে প্রথম স্থানে আছে এবং বিশ্বের সব লাক্সারি গাড়ি ও মানববিহীন গাড়ির বিভিন্ন জিনিস এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ল্যাবের সঙ্গে সমন্বয় করে তৈরি করা হচ্ছে। তাই মেকানিক্যাল-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে থেকে এটি বেছে নিয়েছি।
প্রশ্ন: ব্যাচেলর সম্পন্ন করেছেন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে?
নয়ন চৌধুরী: আমি চীনের বেইজিংয়ে অবস্থিত নর্থ চায়না ইলেকট্রিক পাওয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি সম্পন্ন করেছি।
প্রশ্ন: চীনে পড়তে আসার কারণ কী?
নয়ন চৌধুরী: আমি ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছি দেশেই অবস্থিত বাংলাদেশ-সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে। তারপর ভারত, তুরস্ক, চীনসহ বিভিন্ন দেশে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে শুরু করি। বিভিন্ন দেশ থেকে বৃত্তি পেয়েও গেলাম। পরে চিন্তা করেছি, যেহেতু চীন তথ্যপ্রযুক্তির দিক দিয়ে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছে এবং চীনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বমানের; পাশাপাশি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার রয়েছে। তাই তথ্যপ্রযুক্তির দিক থেকে আমার জ্ঞান ও দক্ষতাকে বৃদ্ধির লক্ষ্য চীনে আসার সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেছে।
প্রশ্ন: বর্তমানে এশিয়ার টপ চিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। ভর্তির সময়টা কেমন ছিল?
নয়ন চৌধুরী: ভর্তির সময়টা অনেক বেশি কষ্টকর ছিল। কারণ, আমেরিকা, ইউরোপসহ বিশ্বের সেরা শিক্ষার্থীরা এশিয়ার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে মরিয়া এবং একই সঙ্গে মোট আবেদনকারীর মধ্য থেকে শতকরা ২ থেকে ৩ ভাগ শিক্ষার্থী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পান। তাহলে বুঝতেই পারছেন, ভর্তির সময় এগিয়ে থাকা কতটা কষ্টসাধ্য ছিল। এ ছাড়া ভর্তির সুযোগপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে মাত্র কয়েকজন চীনা সরকারি বৃত্তি পেয়ে থাকেন, আর এই বৃত্তি অর্জনের প্রতিযোগিতা ভর্তির সময়ের চাপ দ্বিগুণ করে তুলেছিল।
প্রশ্ন: কোন বিষয়গুলো আপনার এই ভর্তি পরীক্ষা সহজ করেছে?
নয়ন চৌধুরী: যেহেতু আগে থেকেই এশিয়ার সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন ছিল, তাই আমি পূর্ববর্তী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ভালো সিজিপিএ ধরে রাখার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাব, লিডারশিপ প্রোগ্রাম, সামার ক্যাম্প, কনফারেন্স, কম্পিটিশন ও স্বেচ্ছাসেবী কাজে অংশ নিয়েছিলাম। এ ছাড়া চীনা ও ইংরেজি ভাষাগত দক্ষতার পরীক্ষা এইচএসকে ফোর এবং আইইএলটিএস সম্পন্ন করি। সেই সঙ্গে নিজের প্রকাশিত কিছু গবেষণাপত্র ভর্তির সময় আমার গ্রহণযোগ্যতা আরও সহজ করে তোলে। এখানে বিশ্বের সব সেরা শিক্ষার্থী আবেদন করবেন, তাই নিজের অবস্থান এগিয়ে রাখতে সব দিক দিয়ে নিখুঁত থাকার চেষ্টা করেছি।
প্রশ্ন: যাঁরা চীন এবং আপনার প্রতিষ্ঠানে পড়তে চান, তাঁদের জন্য কী পরামর্শ দেবেন?
নয়ন চৌধুরী: নতুন শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা চিংহুয়ার মতো বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান, তাঁদের বলব যে ধৈর্য ধরে পরিকল্পনামাফিক কঠোর পরিশ্রম করুন। সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার মাধ্যমে অধ্যয়ন করার মধ্য দিয়ে নিজের দক্ষতা ও জ্ঞানকে বৃদ্ধি করে তুলুন। তবে আপনি নিজেকে যোগ্য হিসেবে প্রমাণ করতে সক্ষম হবেন।
প্রশ্ন: বর্তমানে কোথায় এবং কী বিষয়ে পড়াশোনা করছেন?
নয়ন চৌধুরী: আমি বর্তমানে চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অবস্থিত চিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেহিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর করছি।
প্রশ্ন: এত বিষয় থাকতে যানবাহন এবং গতিশীলতা বিষয়টি কেন বেছে নিয়েছেন?
নয়ন চৌধুরী: আমার ডিপ্লোমা ও ব্যাচেলর মেকানিক্যাল বিষয়ে হলেও মাস্টার্সে যানবাহন ও গতিশীলতা নিয়ে পড়ার প্রধান কারণ হলো চীনের উচ্চগতির গাড়ি তৈরির ইন্ডাস্ট্রি, যেটি আগামী কয়েক বছর পর পুরো বিশ্বের গাড়ির বাজারে নেতৃত্ব দেবে। এ ছাড়া চিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয় ভেহিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য বিশ্বে প্রথম স্থানে আছে এবং বিশ্বের সব লাক্সারি গাড়ি ও মানববিহীন গাড়ির বিভিন্ন জিনিস এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ল্যাবের সঙ্গে সমন্বয় করে তৈরি করা হচ্ছে। তাই মেকানিক্যাল-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে থেকে এটি বেছে নিয়েছি।
প্রশ্ন: ব্যাচেলর সম্পন্ন করেছেন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে?
নয়ন চৌধুরী: আমি চীনের বেইজিংয়ে অবস্থিত নর্থ চায়না ইলেকট্রিক পাওয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি সম্পন্ন করেছি।
প্রশ্ন: চীনে পড়তে আসার কারণ কী?
নয়ন চৌধুরী: আমি ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছি দেশেই অবস্থিত বাংলাদেশ-সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে। তারপর ভারত, তুরস্ক, চীনসহ বিভিন্ন দেশে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে শুরু করি। বিভিন্ন দেশ থেকে বৃত্তি পেয়েও গেলাম। পরে চিন্তা করেছি, যেহেতু চীন তথ্যপ্রযুক্তির দিক দিয়ে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে রয়েছে এবং চীনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বমানের; পাশাপাশি প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার রয়েছে। তাই তথ্যপ্রযুক্তির দিক থেকে আমার জ্ঞান ও দক্ষতাকে বৃদ্ধির লক্ষ্য চীনে আসার সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করেছে।
প্রশ্ন: বর্তমানে এশিয়ার টপ চিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। ভর্তির সময়টা কেমন ছিল?
নয়ন চৌধুরী: ভর্তির সময়টা অনেক বেশি কষ্টকর ছিল। কারণ, আমেরিকা, ইউরোপসহ বিশ্বের সেরা শিক্ষার্থীরা এশিয়ার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে মরিয়া এবং একই সঙ্গে মোট আবেদনকারীর মধ্য থেকে শতকরা ২ থেকে ৩ ভাগ শিক্ষার্থী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পান। তাহলে বুঝতেই পারছেন, ভর্তির সময় এগিয়ে থাকা কতটা কষ্টসাধ্য ছিল। এ ছাড়া ভর্তির সুযোগপ্রাপ্তদের মধ্য থেকে মাত্র কয়েকজন চীনা সরকারি বৃত্তি পেয়ে থাকেন, আর এই বৃত্তি অর্জনের প্রতিযোগিতা ভর্তির সময়ের চাপ দ্বিগুণ করে তুলেছিল।
প্রশ্ন: কোন বিষয়গুলো আপনার এই ভর্তি পরীক্ষা সহজ করেছে?
নয়ন চৌধুরী: যেহেতু আগে থেকেই এশিয়ার সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন ছিল, তাই আমি পূর্ববর্তী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ভালো সিজিপিএ ধরে রাখার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাব, লিডারশিপ প্রোগ্রাম, সামার ক্যাম্প, কনফারেন্স, কম্পিটিশন ও স্বেচ্ছাসেবী কাজে অংশ নিয়েছিলাম। এ ছাড়া চীনা ও ইংরেজি ভাষাগত দক্ষতার পরীক্ষা এইচএসকে ফোর এবং আইইএলটিএস সম্পন্ন করি। সেই সঙ্গে নিজের প্রকাশিত কিছু গবেষণাপত্র ভর্তির সময় আমার গ্রহণযোগ্যতা আরও সহজ করে তোলে। এখানে বিশ্বের সব সেরা শিক্ষার্থী আবেদন করবেন, তাই নিজের অবস্থান এগিয়ে রাখতে সব দিক দিয়ে নিখুঁত থাকার চেষ্টা করেছি।
প্রশ্ন: যাঁরা চীন এবং আপনার প্রতিষ্ঠানে পড়তে চান, তাঁদের জন্য কী পরামর্শ দেবেন?
নয়ন চৌধুরী: নতুন শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাঁরা চিংহুয়ার মতো বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চান, তাঁদের বলব যে ধৈর্য ধরে পরিকল্পনামাফিক কঠোর পরিশ্রম করুন। সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার মাধ্যমে অধ্যয়ন করার মধ্য দিয়ে নিজের দক্ষতা ও জ্ঞানকে বৃদ্ধি করে তুলুন। তবে আপনি নিজেকে যোগ্য হিসেবে প্রমাণ করতে সক্ষম হবেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ৮৬টি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। হিসাবরক্ষক, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারীসহ বিভিন্ন পদে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪।
২ দিন আগেসাভারে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। হাসপাতালটিতে ইমারজেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটি সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে ৯ ধরনের পদে মোট ১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
২ দিন আগেবাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই নিরস্ত্র)-২০২৫ এর লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেবাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (বিআইডিএস) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৪ ধরনের পদে ৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা সরাসরি আবেদন করতে পারবেন।
২ দিন আগে