ভাইভা হয়েছিল ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। সালাম দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই চেয়ারম্যান স্যার বসতে বললেন। আমি চেয়ারে বসলাম।
চেয়ারম্যান: ছোটবেলা থেকে কোথায় পড়াশোনা করছেন? শেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোথায় ছিল?
আমি: স্যার, ছোটবেলায় আমি আমার পাশের গ্রাম কুমড়ী আলিম মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করি, তারপর সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, গোপালগঞ্জ থেকে এইচএসসি পাস করি। সর্বশেষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে এমএ পাস করেছি।
চেয়ারম্যান: আপনি এখন কী করেন?
আমি: স্যার, এখন আমি বাংলাদেশ পুলিশের এসআই হিসেবে খুলনা জেলার ডিএসবিতে শিক্ষানবিশ হিসেবে কর্মরত।
চেয়ারম্যান: আপনার চাকরি কত দিন হলো?
আমি: স্যার, আট মাস শেষ হতে চলেছে।
চেয়ারম্যান: আপনি এসআই থেকে কত দূর পদোন্নতি পাবেন?
আমি: স্যার, আমরা সাধারণত সবাই ইন্সপেক্টর হতে পারি। তবে খুবই অল্পসংখ্যক এএসপি, এসপি, এমনকি আরও পদোন্নতি পেয়েছেন, তবে তা উল্লেখ করার মতো নয়।
চেয়ারম্যান: আপনার মূল দায়িত্ব কী?
আমি: স্যার, সিআরপিসি অনুযায়ী আমরা মামলা তদন্ত করি, ওয়ারেন্ট তামিল করি, ডিউটি অফিসারের দায়িত্ব পালন করি, নিয়মিত ডিউটি করি, অভিযোগ, জিডি তদন্ত করি। তা ছাড়া যাঁরা অফিসে জব করেন তাঁরা বিভিন্ন অফিশিয়াল কাজ করেন, এসব ছাড়াও আমরা ভিভিআইপি, ভিআইপি ডিউটি পালন করি। তবে মূল কাজ আমাদের মামলা তদন্ত করা।
চেয়ারম্যান: আচ্ছা, দেশের উন্নয়নে আইনশৃঙ্খলা ঠিক থাকা অতীব জরুরি। এ ক্ষেত্রে আপনারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কী দায়িত্ব পালন করেন?
আমি: স্যার, পুলিশের ভূমিকা নিঃসন্দেহে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখা। বাংলাদেশ পুলিশ সব সময় এ বিষয়ে সজাগ। আমাদের খেয়াল রাখতে হয়, যেন দেশের পরিস্থিতি কোনোভাবেই খারাপ না হয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের নিয়মিত জনবল নিয়োগ হচ্ছে, প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, বিদেশেও প্রশিক্ষণ হয়। আইন মেনে চলে পুলিশ নিজেও, নিয়মিত সরকারের বৈধ আদেশ পালন করে, নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত ডিউটি পালন করছে, জরুরি কলসেবা চালু করা, নারীদের জন্য আলাদা কল সেন্টার চালু, বডি অন ক্যামেরা চালু, মামলা যথাসময়ে শেষ করার বিষয় তাগিদ দেওয়া ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
এক্সটার্নাল-১: আচ্ছা, বর্তমানে বাংলাদেশের কিছু স্থাপনা সম্পর্কে পত্রপত্রিকায় বেশ সাড়া জাগিয়ে প্রচার করা হয়েছে, এমন কয়েকটি নাম বলতে পারবেন?
আমি: স্যার, টাঙ্গাইলের ১০০ গম্বুজ মসজিদ, সিরাজগঞ্জের বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ ইত্যাদি।
এক্সটার্নাল-১: ১০০ গম্বুজ, নাকি ২০০ গম্বুজ হবে?
আমি: সরি স্যার, ঠিক বলতে পারছি না। (তখন স্যার বললেন, এটা ২০০ গম্বুজ হবে)।
চেয়ারম্যান: বিভিন্ন আমলে পুলিশকে কী বলা হতো?
আমি: দুঃখিত স্যার, মনে পড়ছে না। তবে আব্বাসীয় আমলে পুলিশকে মুহতাসিব বলা হতো, এটি মনে আছে।
এক্সটার্নাল-১: কোতোয়ালি থানা কোনগুলোকে বলা হতো?
আমি: স্যার, দেশের বড় শহরগুলোর সদর থানাগুলোকে সাধারণত কোতোয়ালি থানা বলা হয়।
এক্সটার্নাল-১: মোগল আমলে আপনাদের মতো তদন্তকারী কর্মকর্তাকে কী বলা হতো?
আমি: সরি স্যার, জানি না। (স্যার বললেন, কোতোয়াল বলতে আপনাদের মতো তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বোঝাত)।
এক্সটার্নাল-১: ছয় দফার দাবিগুলো ধারাবাহিকভাবে বলুন।
আমি:
১. লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করে পাকিস্তানকে একটি ফেডারেশনে পরিণত করতে হবে, যেখানে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার থাকবে এবং প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত আইন পরিষদ সার্বভৌম হবে।
২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা কেবল দুটি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে। যথা—দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি। অবশিষ্ট বিষয়গুলো অঙ্গ রাজ্যগুলোতে ন্যস্ত করা।
৩. মুদ্রার ব্যাপারে নিম্নলিখিত দুটির যেকোনো একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা চলতে পারে। (ক) সারা দেশের জন্য দুটি পৃথক, অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা চালু থাকবে। অথবা (খ) বর্তমান নিয়মে সারা দেশের জন্য কেবল একটি মুদ্রাই চালু থাকতে পারে।
৪. ফেডারেশনের অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর কর বা শুল্ক ধার্যের ব্যাপারে সার্বভৌম ক্ষমতা থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনোরূপ কর ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। তবে প্রয়োজনীয় ব্যয়নির্বাহের জন্য অঙ্গরাষ্ট্রীয় রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাপ্য হবে। অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর সব রকমের করের শতকরা একই হারে আদায় করা অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল গঠিত হবে।
৫. ফেডারেশনভুক্ত প্রতিটি রাজ্যের বহিঃবাণিজ্যের পৃথক হিসাব রক্ষা করতে হবে। বহিঃবাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অঙ্গরাজ্যগুলোর এখতিয়ারাধীন থাকবে। কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা সমান হারে অথবা সর্বসম্মত কোনো হারে অঙ্গরাষ্ট্রগুলোই মেটাবে। অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দেশজ দ্রব্য চলাচলের ক্ষেত্রে শুল্ক বা করজাতীয় কোনো রকম বাধানিষেধ থাকবে না। শাসনতন্ত্রে অঙ্গরাষ্ট্রগুলোকে বিদেশে নিজ নিজ বাণিজ্যিক প্রতিনিধি প্রেরণ এবং স্ব-স্বার্থে বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদনের ক্ষমতা দিতে হবে।
৬. আঞ্চলিক সংহতি ও শাসনতন্ত্র রক্ষার জন্য শাসনতন্ত্রে অঙ্গরাষ্ট্রগুলোকে স্বীয় কর্তৃত্বাধীন আধা সামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন ও রাখার ক্ষমতা দিতে হবে।
এক্সটার্নাল-১: ছয় দফায় পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের একই স্বার্থের কথা বলা হয়েছে, তাহলে কেন পশ্চিম পাকিস্তান মেনে নিল না?
আমি: স্যার, তাদের ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ হয়ে যাবে, তারা এত দিন যেভাবে শাসন করে আসছে সেটা তারা হারাবে, আমাদেরও রাজনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে—এগুলো কারণ হিসেবে বলা যায়
এক্সটার্নাল-১: কিন্তু এসব তো তারাও সেইমভাবে ভোগ করত, তাহলে ছয় দফা মেনে নিতে তাদের সমস্যা কেন?
আমি: সরি স্যার।
এক্সটার্নাল-২: অনার্স-মাস্টার্সে কী কী কোর্স ছিল, কোন কোন বিষয় পাঠ করা হয়েছে?
আমি: (আমার ডিপার্টমেন্ট সংশ্লিষ্ট কোর্সগুলো বললাম)।
এক্সটার্নাল-২: সিন্ধু বিজয়ী বীরের নাম কী?
আমি: মোহাম্মদ বিন কাসিম।
এক্সটার্নাল-২: বর্তমান সিন্ধু জায়গাটা কোথায়?
আমি: সিন্ধু বর্তমান পাকিস্তানের একটি প্রদেশ।
এক্সটার্নাল-২: সিন্ধু বিজয়ের সময় খলিফা কে ছিলেন?
আমি: খলিফা আল ওয়ালিদ।
এক্সটার্নাল-২: তখন ইরাকের শাসনকর্তা কে ছিলেন?
আমি: হাজ্জাজ বিন ইউসুফ।
এক্সটার্নাল-২: স্পেন বিজয়ী বীরের নাম কী, কত সালে স্পেন বিজয় হয়?
আমি: তারিক বিন যিয়াদ। ৭১১ সালে।
এক্সটার্নাল-২: স্পেন বিজয়ের সময় উত্তর আফ্রিকার শাসনকর্তা কে ছিলেন, খলিফা কে ছিলেন?
আমি: উত্তর আফ্রিকার শাসনকর্তা ছিলেন মুসা বিন নুসায়ের এবং খলিফা আল ওয়ালিদ।
চেয়ারম্যান: আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি: আপনাকেও।
ভাইভা হয়েছিল ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। সালাম দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই চেয়ারম্যান স্যার বসতে বললেন। আমি চেয়ারে বসলাম।
চেয়ারম্যান: ছোটবেলা থেকে কোথায় পড়াশোনা করছেন? শেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোথায় ছিল?
আমি: স্যার, ছোটবেলায় আমি আমার পাশের গ্রাম কুমড়ী আলিম মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করি, তারপর সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, গোপালগঞ্জ থেকে এইচএসসি পাস করি। সর্বশেষ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে এমএ পাস করেছি।
চেয়ারম্যান: আপনি এখন কী করেন?
আমি: স্যার, এখন আমি বাংলাদেশ পুলিশের এসআই হিসেবে খুলনা জেলার ডিএসবিতে শিক্ষানবিশ হিসেবে কর্মরত।
চেয়ারম্যান: আপনার চাকরি কত দিন হলো?
আমি: স্যার, আট মাস শেষ হতে চলেছে।
চেয়ারম্যান: আপনি এসআই থেকে কত দূর পদোন্নতি পাবেন?
আমি: স্যার, আমরা সাধারণত সবাই ইন্সপেক্টর হতে পারি। তবে খুবই অল্পসংখ্যক এএসপি, এসপি, এমনকি আরও পদোন্নতি পেয়েছেন, তবে তা উল্লেখ করার মতো নয়।
চেয়ারম্যান: আপনার মূল দায়িত্ব কী?
আমি: স্যার, সিআরপিসি অনুযায়ী আমরা মামলা তদন্ত করি, ওয়ারেন্ট তামিল করি, ডিউটি অফিসারের দায়িত্ব পালন করি, নিয়মিত ডিউটি করি, অভিযোগ, জিডি তদন্ত করি। তা ছাড়া যাঁরা অফিসে জব করেন তাঁরা বিভিন্ন অফিশিয়াল কাজ করেন, এসব ছাড়াও আমরা ভিভিআইপি, ভিআইপি ডিউটি পালন করি। তবে মূল কাজ আমাদের মামলা তদন্ত করা।
চেয়ারম্যান: আচ্ছা, দেশের উন্নয়নে আইনশৃঙ্খলা ঠিক থাকা অতীব জরুরি। এ ক্ষেত্রে আপনারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কী দায়িত্ব পালন করেন?
আমি: স্যার, পুলিশের ভূমিকা নিঃসন্দেহে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখা। বাংলাদেশ পুলিশ সব সময় এ বিষয়ে সজাগ। আমাদের খেয়াল রাখতে হয়, যেন দেশের পরিস্থিতি কোনোভাবেই খারাপ না হয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের নিয়মিত জনবল নিয়োগ হচ্ছে, প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, বিদেশেও প্রশিক্ষণ হয়। আইন মেনে চলে পুলিশ নিজেও, নিয়মিত সরকারের বৈধ আদেশ পালন করে, নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত ডিউটি পালন করছে, জরুরি কলসেবা চালু করা, নারীদের জন্য আলাদা কল সেন্টার চালু, বডি অন ক্যামেরা চালু, মামলা যথাসময়ে শেষ করার বিষয় তাগিদ দেওয়া ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
এক্সটার্নাল-১: আচ্ছা, বর্তমানে বাংলাদেশের কিছু স্থাপনা সম্পর্কে পত্রপত্রিকায় বেশ সাড়া জাগিয়ে প্রচার করা হয়েছে, এমন কয়েকটি নাম বলতে পারবেন?
আমি: স্যার, টাঙ্গাইলের ১০০ গম্বুজ মসজিদ, সিরাজগঞ্জের বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ ইত্যাদি।
এক্সটার্নাল-১: ১০০ গম্বুজ, নাকি ২০০ গম্বুজ হবে?
আমি: সরি স্যার, ঠিক বলতে পারছি না। (তখন স্যার বললেন, এটা ২০০ গম্বুজ হবে)।
চেয়ারম্যান: বিভিন্ন আমলে পুলিশকে কী বলা হতো?
আমি: দুঃখিত স্যার, মনে পড়ছে না। তবে আব্বাসীয় আমলে পুলিশকে মুহতাসিব বলা হতো, এটি মনে আছে।
এক্সটার্নাল-১: কোতোয়ালি থানা কোনগুলোকে বলা হতো?
আমি: স্যার, দেশের বড় শহরগুলোর সদর থানাগুলোকে সাধারণত কোতোয়ালি থানা বলা হয়।
এক্সটার্নাল-১: মোগল আমলে আপনাদের মতো তদন্তকারী কর্মকর্তাকে কী বলা হতো?
আমি: সরি স্যার, জানি না। (স্যার বললেন, কোতোয়াল বলতে আপনাদের মতো তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বোঝাত)।
এক্সটার্নাল-১: ছয় দফার দাবিগুলো ধারাবাহিকভাবে বলুন।
আমি:
১. লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করে পাকিস্তানকে একটি ফেডারেশনে পরিণত করতে হবে, যেখানে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার থাকবে এবং প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের ভোটে নির্বাচিত আইন পরিষদ সার্বভৌম হবে।
২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা কেবল দুটি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে। যথা—দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি। অবশিষ্ট বিষয়গুলো অঙ্গ রাজ্যগুলোতে ন্যস্ত করা।
৩. মুদ্রার ব্যাপারে নিম্নলিখিত দুটির যেকোনো একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা চলতে পারে। (ক) সারা দেশের জন্য দুটি পৃথক, অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা চালু থাকবে। অথবা (খ) বর্তমান নিয়মে সারা দেশের জন্য কেবল একটি মুদ্রাই চালু থাকতে পারে।
৪. ফেডারেশনের অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর কর বা শুল্ক ধার্যের ব্যাপারে সার্বভৌম ক্ষমতা থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনোরূপ কর ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। তবে প্রয়োজনীয় ব্যয়নির্বাহের জন্য অঙ্গরাষ্ট্রীয় রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাপ্য হবে। অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর সব রকমের করের শতকরা একই হারে আদায় করা অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল গঠিত হবে।
৫. ফেডারেশনভুক্ত প্রতিটি রাজ্যের বহিঃবাণিজ্যের পৃথক হিসাব রক্ষা করতে হবে। বহিঃবাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অঙ্গরাজ্যগুলোর এখতিয়ারাধীন থাকবে। কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা সমান হারে অথবা সর্বসম্মত কোনো হারে অঙ্গরাষ্ট্রগুলোই মেটাবে। অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর মধ্যে দেশজ দ্রব্য চলাচলের ক্ষেত্রে শুল্ক বা করজাতীয় কোনো রকম বাধানিষেধ থাকবে না। শাসনতন্ত্রে অঙ্গরাষ্ট্রগুলোকে বিদেশে নিজ নিজ বাণিজ্যিক প্রতিনিধি প্রেরণ এবং স্ব-স্বার্থে বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদনের ক্ষমতা দিতে হবে।
৬. আঞ্চলিক সংহতি ও শাসনতন্ত্র রক্ষার জন্য শাসনতন্ত্রে অঙ্গরাষ্ট্রগুলোকে স্বীয় কর্তৃত্বাধীন আধা সামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন ও রাখার ক্ষমতা দিতে হবে।
এক্সটার্নাল-১: ছয় দফায় পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের একই স্বার্থের কথা বলা হয়েছে, তাহলে কেন পশ্চিম পাকিস্তান মেনে নিল না?
আমি: স্যার, তাদের ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ হয়ে যাবে, তারা এত দিন যেভাবে শাসন করে আসছে সেটা তারা হারাবে, আমাদেরও রাজনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে—এগুলো কারণ হিসেবে বলা যায়
এক্সটার্নাল-১: কিন্তু এসব তো তারাও সেইমভাবে ভোগ করত, তাহলে ছয় দফা মেনে নিতে তাদের সমস্যা কেন?
আমি: সরি স্যার।
এক্সটার্নাল-২: অনার্স-মাস্টার্সে কী কী কোর্স ছিল, কোন কোন বিষয় পাঠ করা হয়েছে?
আমি: (আমার ডিপার্টমেন্ট সংশ্লিষ্ট কোর্সগুলো বললাম)।
এক্সটার্নাল-২: সিন্ধু বিজয়ী বীরের নাম কী?
আমি: মোহাম্মদ বিন কাসিম।
এক্সটার্নাল-২: বর্তমান সিন্ধু জায়গাটা কোথায়?
আমি: সিন্ধু বর্তমান পাকিস্তানের একটি প্রদেশ।
এক্সটার্নাল-২: সিন্ধু বিজয়ের সময় খলিফা কে ছিলেন?
আমি: খলিফা আল ওয়ালিদ।
এক্সটার্নাল-২: তখন ইরাকের শাসনকর্তা কে ছিলেন?
আমি: হাজ্জাজ বিন ইউসুফ।
এক্সটার্নাল-২: স্পেন বিজয়ী বীরের নাম কী, কত সালে স্পেন বিজয় হয়?
আমি: তারিক বিন যিয়াদ। ৭১১ সালে।
এক্সটার্নাল-২: স্পেন বিজয়ের সময় উত্তর আফ্রিকার শাসনকর্তা কে ছিলেন, খলিফা কে ছিলেন?
আমি: উত্তর আফ্রিকার শাসনকর্তা ছিলেন মুসা বিন নুসায়ের এবং খলিফা আল ওয়ালিদ।
চেয়ারম্যান: আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি: আপনাকেও।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে ৮৬টি পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি। হিসাবরক্ষক, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারীসহ বিভিন্ন পদে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪।
১ দিন আগেসাভারে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। হাসপাতালটিতে ইমারজেন্সি অ্যান্ড ক্যাজুয়ালটি সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে ৯ ধরনের পদে মোট ১৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
২ দিন আগেবাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই নিরস্ত্র)-২০২৫ এর লিখিত ও মনস্তত্ত্ব পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেবাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (বিআইডিএস) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৪ ধরনের পদে ৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা সরাসরি আবেদন করতে পারবেন।
২ দিন আগে