গোলাম সামদানি ডন
কোনো একটা কাজ আজ করব, কাল করব বলে ফেলে রেখেছেন? সেই কাজ কি আর করাই হয়ে উঠছে না? গড়িমসি করতে করতে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে শেষ দিন পার হয়ে যায়। আবার আজ চিকিৎসকের কাছে যাব কি যাব না, ভাবতে ভাবতে দিনই পার হয়ে যায়। কখনো কখনো কোনো কাজ করব করব বলে আলস্যের কারণে আর করা হয়ে ওঠে না। এই কর্মবিমুখতার নামই ‘অলসতা’। জীবনে সজীবতা নেই বলে আমরা পেশাজীবনে যেমন আলস্য দেখাই, তেমনি ব্যক্তিজীবনে হয়ে উঠি বর্ণহীন। অলসতা এড়ানোর কাজটি পরিপূর্ণভাবে আমাদের মন থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অলসতা থেকে বাঁচতে আমাদের জানা চাই অলসতা দূর করার উপায়। চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক কীভাবে অলসতা দূর করা যায়।
দিনের শুরুটা হোক প্রাণবন্ত
ভালো একটা দিন কাটাতে দিনের শুরুটা হওয়া উচিত প্রাণবন্ত। নিজের ভালোলাগা থেকেই চিন্তা করতে পারেন কীভাবে শুরুটা প্রাণবন্ত করা যায়। খুব সকালে কেউ শরীরচর্চা করে, কেউবা দিন শুরু করে গান শুনে। মেডিটেশন, জগিং বা যোগব্যায়াম শরীরকে চাঙা রাখবে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট শারীরিক পরিশ্রম হয়, এ রকম কাজ করুন। যেমন, ১০ মিনিট নাচ বা শারীরিক অঙ্গভঙ্গির অনুশীলন, দুপুরের খাবারের পর ১০ মিনিট হাঁটাহাঁটি, ১০ মিনিট বাগানে কাজ করা ইত্যাদি।
সবুজ একটা বৃক্ষ দেখলে মস্তিষ্কে ইতিবাচক বার্তা যায়। তাই এটা সহজেই অনুমেয় যে, সকালে সবুজের মধ্যে হাঁটাহাঁটি কতটা উপকারী। এমনকি প্রকৃতির ছবি দেখলেও চোখ ও মস্তিষ্ক
আরাম পায়। এতে আপনার শরীর ও মন চাঙা থাকবে। এমন অনেক উপায় হতে হতে পারে প্রাণবন্তভাবে শুরু করার। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠে শরীরচর্চা করলে স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকে, তেমনি অলসতা দূর হয়। নাশতার তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখুন। ঘর থেকে বের হওয়ার আগে হাসিমুখে পরিবারের সবার সঙ্গে কথা বলুন।
গুরুত্ব ও প্রয়োজন বুঝে কাজ ভাগ করুন
ব্যক্তিজীবন ও কর্মক্ষেত্রে কোন কাজের গুরুত্ব কেমন, তা বুঝে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। যদি গুরুত্ব ও প্রয়োজন বুঝে কাজ ভাগ করতে পারেন, তাহলে সহজেই অলসতা কাটানো যায়।
গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজের সময় ফেসবুক, ই-মেইল বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার বন্ধ রাখুন। আমেরিকান জনপ্রিয় গিটারিস্ট জিমি লায়ন অলসতা নিয়ে বলেন, অলস ব্যক্তির জীবনে সারা বছরে একটিই দিন, তা হলো আগামীকাল। কিন্তু এই আগামীকাল তো আর আসে না। আর তাই অলসতা ঝেড়ে ফেলতে অনেক রকম কাজ করবেন ভেবে রেখে লম্বা লিস্ট করে রেখেছেন। এ কাজ ভুলেও করবেন না। এতে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না করতে পেরে আরও হতাশায় ভুগতে হতে পারে। জমা কাজগুলো বরং ভাগ করে নিন। একসঙ্গে না করে একেক দিন একেকটি কাজ রাখুন। আমাদের মন একসঙ্গে অনেক কিছু চিন্তা করতে থাকে। ধ্যানের মাধ্যমে একটি বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার অভ্যাস তৈরি হতে পারে। আপনার কাছে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ হলে বাড়িঘর পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন।
সঠিক সংস্কৃতি গড়ে তুলুন
করপোরেট অফিসে অনেকেই আট ঘণ্টা বা তার বেশি সময় কাটান। কিন্তু দিনের গুরুত্বপূর্ণ এই সময়টা নেতিবাচক পরিবেশে কাটাতে হয়। তাই মনোবল ঠিক রাখা কঠিন। এ কারণে কর্মক্ষেত্রে সঠিক সংস্কৃতি তৈরি করা প্রয়োজন। সঠিক সংস্কৃতি তৈরির শুরুটা নিজে থেকেই করতে পারেন। কাজের সময়কে সুবিন্যস্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কোন সময়টায় আপনি ভালো কাজ করতে পারেন, তা খুঁজে বের করুন এবং সেই সময়টাকে যথাযথভাবে বাঁচিয়ে রাখুন।
অফিসে যদি রাজনীতির আভাস পান, তবে তা এড়িয়ে চলুন। সব সময় নিজেকে ইতিবাচক রাখুন এবং সবার সঙ্গে হাসিমুখে ভাববিনিময় করুন। এটা একসময় সবার মধ্যে ছড়িয়ে যেতে দেখবেন। অফিসের সহকর্মীদের মধ্যে হালকা পরিবেশ থাকলে সবার জন্য সুবিধা হয়।
কাজকে নিজের বলে মনে করুন
অফিসে শুধু নিয়মমাফিক কাজ করা আর সর্বোচ্চ নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে কাজ করার মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। যেকোনো কাজে নিজের সেরাটা দেওয়ার প্রত্যয় রাখুন। এতে আপনার চাঙা ভাব বাড়বে। কাজকে নিজের বলে মনে করার মধ্যে একধরনের কর্মস্পৃহা বাড়তে দেখা যায়। এতে লক্ষ্য ঠিক থাকবে এবং পেশাগত জীবনে সন্তুষ্টি আসবে। একটানা কোনো কাজ করতে করতে বিরক্তি এসে গেলে বিরতি নিন। একটু ঘুরে আসুন, গান শুনুন, আড্ডা দিন। এমনকি দুপুরে ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নিলে মনোযোগ আরও বেড়ে যায়।
নিজেকে দোষ দেওয়া বন্ধ করুন
চোরাবালি দেখেছেন কখনো? কিছু পড়লেই চোরাবালি যেমন গিলে খায়, নিজেকে দোষ দেওয়াও এমন একটি অভ্যাস। নিজের দোষ নিয়ে যত ভাববেন, ততই আপনি ডুবে যাবেন। নিজের ওপর দোষ দিতে থাকলে আসলে নিজের আত্মবিশ্বাস কমে যায়। কাজে কী সমস্যা, কাজে কেন দেরি হচ্ছে, কাজের মান খারাপ কেন? এসব নিয়ে ভাবুন, সমাধানে মনোযোগ দিন। দোষারোপ বাদ দিন।
অগ্রিম পরিকল্পনা
প্রতিটি বৈঠকের আগে অপরাহ উইনফ্রে নিজেকে তিনটি প্রশ্ন করেন: ‘এই বৈঠকের লক্ষ্য কী? কোনটি গুরুত্বপূর্ণ? এতে কি কাজ হবে?’ বৈঠক শুরুর আগে এমন তিনটি বিষয় সামনে রাখেন অপরাহ। তিনি মনে করেন, বৈঠকে উপস্থিত প্রত্যেকের মধ্যে সম্ভাবনা আছে। তিনি নিজে বৈঠকের লক্ষ্যের ওপর আলোকপাত করেন, উপস্থিত অন্যদেরও তা করতে বলেন। মার্কিন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, অভিনেত্রী, টকশোর জনপ্রিয় উপস্থাপক অপরাহ উইনফ্রে বলেন, এভাবে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা অভিপ্রায় ঠিক করার গুণটি তাঁর পেশাগত জীবনকে শাণিত করতে সহায়তা করেছে। তাঁর এই কৌশলের সঙ্গে একমত মনোবিদেরাও। গবেষণা বলছে, অফিসের বৈঠকের আগে এবং বৈঠকের সময়ে কী করবেন বা বলবেন বা উদ্দেশ্য কী, তা আগে ভেবে রাখলে বৈঠকটি হবে ফলপ্রসূ এবং তা বিষয়বস্তুতে আলোকপাত করতে ও আলোচনাকে কার্যকরী করতে সহায়তা করে। ক্যারেন ল্যাম্ব অলসতা নিয়ে দারুণ উক্তি দিয়েছিলেন, সেটি হলো জীবনে যদি কিছু ত্যাগ করতেই হয়, তবে ত্যাগ করো অলসতা, বাহানা এবং সঠিক সময়ের অপেক্ষা করা।
নতুন অভ্যাস গড়ে তুলুন
পুরোনো যা অভ্যাস আছে, যা কাটানোর জন্য নতুন অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়। পুরোনোকে বাদ দেওয়ার চেয়ে নতুন অভ্যাস গড়ে তুললে নিজের আলস্য কাটানো যায়। ছোট ছোট অভ্যাসে নিজের অলসতা কাটানো শুরু করুন। ভুলে যাওয়ার সমস্যা ইদানীং প্রায় সবাইকে ভোগাচ্ছে। তাই কোনো কিছু শোনার সঙ্গে সঙ্গে বা পড়ার পর লিখে ফেললে মনোযোগ অন্য কিছুতে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। কেউ কথা বলার সময় মন দিয়ে শুনুন।
মাঝখানে কিছু বলতে গেলে মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে। আর অন্যের কথা মন দিয়ে শোনা স্বাভাবিক শিষ্টাচারের মধ্যেও পড়ে। ইন্টারনেট ব্যবহারের নির্দিষ্ট কিছু সময় ঠিক করে নিন। এটা এক দিনে হবে না, অভ্যাস করুন একটু একটু করে। ইন্টারনেটের বাইরেও পৃথিবী যে বৈচিত্র্যময়, এটা আগে বিশ্বাস করতে হবে। আজই লিফটে না চড়ে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটুন কিংবা পুরো পত্রিকা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আজই শুরু করুন।
বিশ্রাম
সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকতে বিশ্রাম ও ঘুমেরও প্রয়োজন আছে, যা আপনার মন ও মস্তিষ্ককে পুনরায় সচল রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন অন্তত ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুমান। মাঝেমধ্যে কাজে বিরতি নিন। বেড়াতে যান। বিল গেটস নিজস্ব একটি রীতি মেনে চলেন। তিনি প্রতিবছর পুরো দুই সপ্তাহ সময় কাটান জঙ্গলে। প্রকৃতি থেকে তুলে নেন ‘নির্যাস’। এই রীতির নাম দিয়েছেন তিনি ‘থিং উইক’ মানে ‘ভাবনার সপ্তাহ’। সপ্তাহজুড়ে কর্মযজ্ঞ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হন। এমনকি কাজের সময় দুপুরের খাবারের বিরতিতে চলে যেতে পারি আশপাশের পার্কে। এগুলো আপনার ফিটনেস ধরে রাখতে সহায়ক হবে।
কোনো একটা কাজ আজ করব, কাল করব বলে ফেলে রেখেছেন? সেই কাজ কি আর করাই হয়ে উঠছে না? গড়িমসি করতে করতে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে শেষ দিন পার হয়ে যায়। আবার আজ চিকিৎসকের কাছে যাব কি যাব না, ভাবতে ভাবতে দিনই পার হয়ে যায়। কখনো কখনো কোনো কাজ করব করব বলে আলস্যের কারণে আর করা হয়ে ওঠে না। এই কর্মবিমুখতার নামই ‘অলসতা’। জীবনে সজীবতা নেই বলে আমরা পেশাজীবনে যেমন আলস্য দেখাই, তেমনি ব্যক্তিজীবনে হয়ে উঠি বর্ণহীন। অলসতা এড়ানোর কাজটি পরিপূর্ণভাবে আমাদের মন থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অলসতা থেকে বাঁচতে আমাদের জানা চাই অলসতা দূর করার উপায়। চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক কীভাবে অলসতা দূর করা যায়।
দিনের শুরুটা হোক প্রাণবন্ত
ভালো একটা দিন কাটাতে দিনের শুরুটা হওয়া উচিত প্রাণবন্ত। নিজের ভালোলাগা থেকেই চিন্তা করতে পারেন কীভাবে শুরুটা প্রাণবন্ত করা যায়। খুব সকালে কেউ শরীরচর্চা করে, কেউবা দিন শুরু করে গান শুনে। মেডিটেশন, জগিং বা যোগব্যায়াম শরীরকে চাঙা রাখবে। প্রতিদিন ৩০ মিনিট শারীরিক পরিশ্রম হয়, এ রকম কাজ করুন। যেমন, ১০ মিনিট নাচ বা শারীরিক অঙ্গভঙ্গির অনুশীলন, দুপুরের খাবারের পর ১০ মিনিট হাঁটাহাঁটি, ১০ মিনিট বাগানে কাজ করা ইত্যাদি।
সবুজ একটা বৃক্ষ দেখলে মস্তিষ্কে ইতিবাচক বার্তা যায়। তাই এটা সহজেই অনুমেয় যে, সকালে সবুজের মধ্যে হাঁটাহাঁটি কতটা উপকারী। এমনকি প্রকৃতির ছবি দেখলেও চোখ ও মস্তিষ্ক
আরাম পায়। এতে আপনার শরীর ও মন চাঙা থাকবে। এমন অনেক উপায় হতে হতে পারে প্রাণবন্তভাবে শুরু করার। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠে শরীরচর্চা করলে স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকে, তেমনি অলসতা দূর হয়। নাশতার তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখুন। ঘর থেকে বের হওয়ার আগে হাসিমুখে পরিবারের সবার সঙ্গে কথা বলুন।
গুরুত্ব ও প্রয়োজন বুঝে কাজ ভাগ করুন
ব্যক্তিজীবন ও কর্মক্ষেত্রে কোন কাজের গুরুত্ব কেমন, তা বুঝে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। যদি গুরুত্ব ও প্রয়োজন বুঝে কাজ ভাগ করতে পারেন, তাহলে সহজেই অলসতা কাটানো যায়।
গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজের সময় ফেসবুক, ই-মেইল বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার বন্ধ রাখুন। আমেরিকান জনপ্রিয় গিটারিস্ট জিমি লায়ন অলসতা নিয়ে বলেন, অলস ব্যক্তির জীবনে সারা বছরে একটিই দিন, তা হলো আগামীকাল। কিন্তু এই আগামীকাল তো আর আসে না। আর তাই অলসতা ঝেড়ে ফেলতে অনেক রকম কাজ করবেন ভেবে রেখে লম্বা লিস্ট করে রেখেছেন। এ কাজ ভুলেও করবেন না। এতে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না করতে পেরে আরও হতাশায় ভুগতে হতে পারে। জমা কাজগুলো বরং ভাগ করে নিন। একসঙ্গে না করে একেক দিন একেকটি কাজ রাখুন। আমাদের মন একসঙ্গে অনেক কিছু চিন্তা করতে থাকে। ধ্যানের মাধ্যমে একটি বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার অভ্যাস তৈরি হতে পারে। আপনার কাছে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ হলে বাড়িঘর পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন।
সঠিক সংস্কৃতি গড়ে তুলুন
করপোরেট অফিসে অনেকেই আট ঘণ্টা বা তার বেশি সময় কাটান। কিন্তু দিনের গুরুত্বপূর্ণ এই সময়টা নেতিবাচক পরিবেশে কাটাতে হয়। তাই মনোবল ঠিক রাখা কঠিন। এ কারণে কর্মক্ষেত্রে সঠিক সংস্কৃতি তৈরি করা প্রয়োজন। সঠিক সংস্কৃতি তৈরির শুরুটা নিজে থেকেই করতে পারেন। কাজের সময়কে সুবিন্যস্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কোন সময়টায় আপনি ভালো কাজ করতে পারেন, তা খুঁজে বের করুন এবং সেই সময়টাকে যথাযথভাবে বাঁচিয়ে রাখুন।
অফিসে যদি রাজনীতির আভাস পান, তবে তা এড়িয়ে চলুন। সব সময় নিজেকে ইতিবাচক রাখুন এবং সবার সঙ্গে হাসিমুখে ভাববিনিময় করুন। এটা একসময় সবার মধ্যে ছড়িয়ে যেতে দেখবেন। অফিসের সহকর্মীদের মধ্যে হালকা পরিবেশ থাকলে সবার জন্য সুবিধা হয়।
কাজকে নিজের বলে মনে করুন
অফিসে শুধু নিয়মমাফিক কাজ করা আর সর্বোচ্চ নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে কাজ করার মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। যেকোনো কাজে নিজের সেরাটা দেওয়ার প্রত্যয় রাখুন। এতে আপনার চাঙা ভাব বাড়বে। কাজকে নিজের বলে মনে করার মধ্যে একধরনের কর্মস্পৃহা বাড়তে দেখা যায়। এতে লক্ষ্য ঠিক থাকবে এবং পেশাগত জীবনে সন্তুষ্টি আসবে। একটানা কোনো কাজ করতে করতে বিরক্তি এসে গেলে বিরতি নিন। একটু ঘুরে আসুন, গান শুনুন, আড্ডা দিন। এমনকি দুপুরে ‘পাওয়ার ন্যাপ’ নিলে মনোযোগ আরও বেড়ে যায়।
নিজেকে দোষ দেওয়া বন্ধ করুন
চোরাবালি দেখেছেন কখনো? কিছু পড়লেই চোরাবালি যেমন গিলে খায়, নিজেকে দোষ দেওয়াও এমন একটি অভ্যাস। নিজের দোষ নিয়ে যত ভাববেন, ততই আপনি ডুবে যাবেন। নিজের ওপর দোষ দিতে থাকলে আসলে নিজের আত্মবিশ্বাস কমে যায়। কাজে কী সমস্যা, কাজে কেন দেরি হচ্ছে, কাজের মান খারাপ কেন? এসব নিয়ে ভাবুন, সমাধানে মনোযোগ দিন। দোষারোপ বাদ দিন।
অগ্রিম পরিকল্পনা
প্রতিটি বৈঠকের আগে অপরাহ উইনফ্রে নিজেকে তিনটি প্রশ্ন করেন: ‘এই বৈঠকের লক্ষ্য কী? কোনটি গুরুত্বপূর্ণ? এতে কি কাজ হবে?’ বৈঠক শুরুর আগে এমন তিনটি বিষয় সামনে রাখেন অপরাহ। তিনি মনে করেন, বৈঠকে উপস্থিত প্রত্যেকের মধ্যে সম্ভাবনা আছে। তিনি নিজে বৈঠকের লক্ষ্যের ওপর আলোকপাত করেন, উপস্থিত অন্যদেরও তা করতে বলেন। মার্কিন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, অভিনেত্রী, টকশোর জনপ্রিয় উপস্থাপক অপরাহ উইনফ্রে বলেন, এভাবে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা অভিপ্রায় ঠিক করার গুণটি তাঁর পেশাগত জীবনকে শাণিত করতে সহায়তা করেছে। তাঁর এই কৌশলের সঙ্গে একমত মনোবিদেরাও। গবেষণা বলছে, অফিসের বৈঠকের আগে এবং বৈঠকের সময়ে কী করবেন বা বলবেন বা উদ্দেশ্য কী, তা আগে ভেবে রাখলে বৈঠকটি হবে ফলপ্রসূ এবং তা বিষয়বস্তুতে আলোকপাত করতে ও আলোচনাকে কার্যকরী করতে সহায়তা করে। ক্যারেন ল্যাম্ব অলসতা নিয়ে দারুণ উক্তি দিয়েছিলেন, সেটি হলো জীবনে যদি কিছু ত্যাগ করতেই হয়, তবে ত্যাগ করো অলসতা, বাহানা এবং সঠিক সময়ের অপেক্ষা করা।
নতুন অভ্যাস গড়ে তুলুন
পুরোনো যা অভ্যাস আছে, যা কাটানোর জন্য নতুন অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়। পুরোনোকে বাদ দেওয়ার চেয়ে নতুন অভ্যাস গড়ে তুললে নিজের আলস্য কাটানো যায়। ছোট ছোট অভ্যাসে নিজের অলসতা কাটানো শুরু করুন। ভুলে যাওয়ার সমস্যা ইদানীং প্রায় সবাইকে ভোগাচ্ছে। তাই কোনো কিছু শোনার সঙ্গে সঙ্গে বা পড়ার পর লিখে ফেললে মনোযোগ অন্য কিছুতে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। কেউ কথা বলার সময় মন দিয়ে শুনুন।
মাঝখানে কিছু বলতে গেলে মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে। আর অন্যের কথা মন দিয়ে শোনা স্বাভাবিক শিষ্টাচারের মধ্যেও পড়ে। ইন্টারনেট ব্যবহারের নির্দিষ্ট কিছু সময় ঠিক করে নিন। এটা এক দিনে হবে না, অভ্যাস করুন একটু একটু করে। ইন্টারনেটের বাইরেও পৃথিবী যে বৈচিত্র্যময়, এটা আগে বিশ্বাস করতে হবে। আজই লিফটে না চড়ে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটুন কিংবা পুরো পত্রিকা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আজই শুরু করুন।
বিশ্রাম
সুস্থ ও কর্মক্ষম থাকতে বিশ্রাম ও ঘুমেরও প্রয়োজন আছে, যা আপনার মন ও মস্তিষ্ককে পুনরায় সচল রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন অন্তত ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুমান। মাঝেমধ্যে কাজে বিরতি নিন। বেড়াতে যান। বিল গেটস নিজস্ব একটি রীতি মেনে চলেন। তিনি প্রতিবছর পুরো দুই সপ্তাহ সময় কাটান জঙ্গলে। প্রকৃতি থেকে তুলে নেন ‘নির্যাস’। এই রীতির নাম দিয়েছেন তিনি ‘থিং উইক’ মানে ‘ভাবনার সপ্তাহ’। সপ্তাহজুড়ে কর্মযজ্ঞ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হন। এমনকি কাজের সময় দুপুরের খাবারের বিরতিতে চলে যেতে পারি আশপাশের পার্কে। এগুলো আপনার ফিটনেস ধরে রাখতে সহায়ক হবে।
জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ১টি শূন্য পদে ২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। রোববার (২৪ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেকানাডিয়ান হাইকমিশনে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ২ জন কর্মকর্তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য নিয়মিত বেতনের বাইরেও নানা সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেইউনাইটেড ন্যাশন্স ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে (ডব্লিউএফপি) জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির একটি শূন্য ২ জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রতিষ্ঠানটির কক্সবাজার অফিসে নিয়োগ পাবেন।
১ দিন আগেঅর্থ বিভাগের আওতাধীন জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিলের (এনএইচআরডিএফ) চার পদে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির জিএম (প্রশাসন ও ফাইন্যান্স) মোহাম্মদ জহিরুল কাইউম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১ দিন আগে