Ajker Patrika

বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ: খাদ্য প্রকৌশল নিয়ে পড়াশোনা এবং ক্যারিয়ার

আনিসুল ইসলাম নাঈম
বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ: খাদ্য প্রকৌশল নিয়ে পড়াশোনা এবং ক্যারিয়ার

খাদ্য প্রকৌশল হলো প্রকৌশলবিদ্যার সেই শাখা, যেখানে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, গুণগত মান নির্ণয়, উৎপাদন ও বাজারজাতকরণসংক্রান্ত তাত্ত্বিক ও বাস্তবধর্মী জ্ঞান অর্জন এবং প্রয়োগ করা হয়। বিশ্বজুড়ে ফুড ইঞ্জিনিয়াররা সবচেয়ে কম খরচে সর্বোচ্চ পরিমাণ মানসম্মত খাদ্য উৎপাদন এবং বাণিজ্যিকীকরণে নিরলস অবদান রেখে চলেছেন। এ বিষয়ে পড়াশোনা এবং ক্যারিয়ার গঠনের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবীর হোসেন।

পড়ার যোগ্যতা
বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বা খাদ্য প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতক করতে চাইলে অবশ্যই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অথবা ফুড টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে) নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়। এরপর প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে কৃতকার্য প্রথম সারির ভর্তি-ইচ্ছুকেরা স্নাতক পড়ার সুযোগ পান। বস্তুত গণিত, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান এবং জীববিজ্ঞান বিষয়ে পারদর্শী শিক্ষার্থীরা ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।

কোথায় কোথায় ভর্তি হওয়া যায়
বাংলাদেশে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সূচনা হয় ১৯৬৪ সালে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড রুরাল ইন্ডাস্ট্রিজ বিভাগে ‘ফুড টেকনোলজি’ নামক মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু করার মাধ্যমে। কালের পরিক্রমায়, একই বিভাগ ২০০২ সালে দেশের প্রথম ‘বিএসসি ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং’ স্নাতক প্রোগ্রামে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করে। এই ধারা আজ অবধি সগৌরবে চলমান। যুগের চাহিদায় একে একে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অন্যান্য সামঞ্জস্যপূর্ণ নামে দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ডিগ্রি প্রদান শুরু করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ফুড অ্যান্ড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং), ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (অ্যাগ্রো প্রসেস অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং) ইত্যাদি। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এ বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি দিয়ে থাকে।

কী কী বিষয় পড়ানো হয়
ফুড ইঞ্জিনিয়ারিংকে বলা হয় একটি ‘মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি’ প্রোগ্রাম; অর্থাৎ আধুনিক প্রকৌশলবিদ্যার প্রায় সব অঙ্গনেরই কিছু না কিছু পড়াশোনা এখানে জরুরি। উদাহরণস্বরূপ স্নাতকের বিভিন্ন বর্ষে একজন ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীকে স্ট্রাকচারাল, ইলেকট্রিক্যাল, কম্পিউটার সায়েন্স, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি নানাবিধ কোর্স সম্পন্ন করতে হয়। আর বিভাগীয় কোর্সের মধ্যে প্রধান হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে ফুড প্রসেসিং অ্যান্ড প্রিজারভেশন, ফুড কেমিস্ট্রি, বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ফুড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল মাইক্রোবায়োলজি, প্রসেস ডিজাইন, ফুড সেফটি ম্যানেজমেন্ট, কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ইত্যাদি। এ ছাড়া স্নাতক শেষ বর্ষে বাধ্যতামূলকভাবে একটি রিসার্চ প্রজেক্ট এবং একটি ইন্টার্নশিপ অথবা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং সম্পন্ন করতে হয়।

কর্মসংস্থান বা চাকরির সুযোগ
ফুড ইঞ্জিনিয়ারদের প্রধান কাজের স্থান অত্যাধুনিক ফুড ইন্ডাস্ট্রি এবং ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিগুলো। নেসলে, ড্যান ফুডস, পারফেট্টিসহ বিভিন্ন বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের ফুড ইঞ্জিনিয়াররা সুনামের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। প্রতিবছর খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকারী বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রাণ, আকিজ, এসিআই, স্কয়ার, হক, নাবিস্কো, ইগলু, পোলার, কাজী ফার্মস, আড়ং, সিপি ফুডস, ইস্পাহানি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েটদের ব্যাপক কর্মসংস্থান করে থাকে। আর এনজিওর ক্ষেত্রে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান যেমন গেইন, নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল ইত্যাদি উচ্চ বেতনে ফুড ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে। এসবের বাইরে অর্জিত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতার আলোকে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজস্ব খাদ্য ব্যবসা গড়ে তোলারও নজির রয়েছে যথেষ্ট। পাশাপাশি সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে প্রথমেই চলে আসে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা এবং সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর ইনস্ট্রাক্টর পদের কথা। এ ছাড়া বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বিএসটিআই প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েটদের চাকরির সুযোগ রয়েছে।

ফুড ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজনীয়তা 
‘খাদ্যনিরাপত্তা’ এবং ‘নিরাপদ খাদ্য’ একটি দেশের সুখ-সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের অন্যতম চাবিকাঠিস্বরূপ। আয়তন না বাড়লেও, প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে বাংলাদেশের জনসংখ্যা। বর্ধিত জনগোষ্ঠীর জন্য অতিরিক্ত খাদ্য জোগানের পাশাপাশি সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তাও অপরিসীম। ফুড ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্ব এবং কর্তব্যের মধ্যে প্রধান হলো খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, মূল্যায়ন এবং সংরক্ষণে ভূমিকা রাখা। কাজেই একটি জনবহুল দেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে ফুড ইঞ্জিনিয়ারদের অবস্থান অনস্বীকার্য। এমতাবস্থায় ‘নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩’-এর আলোকে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে দেশে ফুড ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের পরিধি আগের থেকে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন বিশ্বে খাদ্যের বিপুল চাহিদার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ফুড ইঞ্জিনিয়ারদের দৃঢ় অবস্থান ও কঠোর পরিশ্রম আরও জরুরি হয়ে পড়বে বলেই বিশ্বাস রাখা যায়।

পড়ার খরচ কেমন
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অন্যান্য ডিগ্রির মতোই নামমাত্র খরচে এ বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন সম্ভব। আর স্বীকৃত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত আড়াই থেকে পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে স্নাতক পড়াশোনা সম্পন্ন করা যায়। যেখানে ভালো ফলাফলের ভিত্তিতে অনেক সময় পড়াশোনার খরচ কমিয়ে আনা সম্ভব।

উচ্চশিক্ষার সুযোগ-সুবিধা
বাংলাদেশের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ফুড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি দেয়, তাদের অধিকাংশই স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) ডিগ্রিও দিয়ে থাকে। এর মাঝে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনেরও সুযোগ রয়েছে। ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টি বাংলাদেশে তুলনামূলক নতুন হলেও বহির্বিশ্বে বহু আগে থেকেই ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বা সামঞ্জস্যপূর্ণ ক্ষেত্রে ব্যাপক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালু আছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, জার্মানি, ইতালি, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস এবং বিশ্বের বহু দেশে পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাবৃত্তিসহ উচ্চশিক্ষার সুবিধা রয়েছে। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েট এসব সম্মানজনক স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। দেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপ্রেক্ষিতে স্নাতক ফলাফল, ভাষা দক্ষতা, জিআরই স্কোর, গবেষণাপত্র ইত্যাদির ভিত্তিতে স্কলারশিপ প্রাপ্তি বিবেচনা করা হয়।

অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৬২ জনের চাকরি

চাকরি ডেস্ক 
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৬২ জনের চাকরি

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ৬ ক্যাটাগরির শূন্য পদে মোট ৬২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৪ ডিসেম্বর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

পদের নাম ও সংখ্যা: সহকারী লাইব্রেরিয়ান, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকতে হবে।

বয়সসীমা: ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, ১৭টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতা থাকতে হবে এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় সর্বনিম্ন ২০ শব্দ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দের গতি থাকতে হবে।

বয়সসীমা: ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

বেতন : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, ৩টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ এবং ইংরেজিতে ২০ শব্দের গতি থাকতে হবে।

বয়সসীমা: ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: ওয়ার্ড মাস্টার, ৪টি।

যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং কম্পিউটার চালনার দক্ষতা থাকতে হবে।

বয়সসীমা: ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: টেলিফোন অপারেটর, ১টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান এবং কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে।

বয়সসীমা: ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।

বেতন: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা।

পদের নাম ও সংখ্যা: অফিস সহায়ক, ৩৬ টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বয়সসীমা: অনূর্ধ্ব ৩২ বছর।

বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।

আবেদন ফি: ১ থেকে ৫ নম্বর ক্রমিকের জন্য আবেদন ফি বাবদ ১০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা । ৬ নম্বর ক্রমিকের জন্য ফি বাবদ ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা।

আবেদনের পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫; বিকেল ৫টা।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২০ কর্মী নেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ২০তম গ্রেডে বেতন

চাকরি ডেস্ক 
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩ ক্যাটাগরির শূন্য পদে মোট ২০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ১০ ডিসেম্বর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ১১ ডিসেম্বর থেকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম ও সংখ্যা: নিরাপত্তাপ্রহরী, ৭টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: কমপক্ষে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং মহিলা প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট থাকতে হবে।

বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)।

পদের নাম ও সংখ্যা: মালি, ৩টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)।

পদের নাম ও সংখ্যা: পরিচ্ছন্নতাকর্মী, ১০টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।

বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)।

আবেদন ফি: আবেদন ফি বাবদ ১০০ টাকা অনলাইনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের (রকেট) মাধ্যমে পেমেন্ট করে পেমেন্ট স্লিপ আবেদনপত্রের একটির সঙ্গে সংযুক্ত করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদিসহ ৩ সেট আবেদনপত্র নির্ধারিত ঠিকানায় পাঠাতে হবে।

আবেদনের পদ্ধতি: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং নিয়মাবলি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। অনলাইন আবেদন ছাড়া কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।

আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: ‘অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা’।

আবেদনের শেষ সময়: ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫; বিকেল ৫টা।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, পদ ৪৮৩

চাকরি ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জনবল নিয়োগের সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব খাতভুক্ত ১ ক্যাটাগরির শূন্য পদে ৪৮৩ জনের নিয়োগের বড় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। গত ২৫ নভেম্বর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ৩ ডিসেম্বর থেকে আবেদনপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

পদের নাম ও সংখ্যা: ভেটেরিনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট (ডিএফএ), ৪৮৩টি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিজ্ঞান বিভাগে অন্যূন এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। সরকারি ভেটেরিনারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বা লাইভস্টক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এক বছরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে।

বয়সসীমা: সব প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১ নভেম্বর পর্যন্ত বয়সসীমা ১৮-৩২ বছর হতে হবে। বয়স প্রমাণের জন্য এফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না।

ডিক্লারেশন: প্রার্থীকে অনলাইন আবেদনপত্রের ডিক্লারেশন অংশে এই মর্মে ঘোষণা করতে হবে যে প্রার্থী কর্তৃক আবেদনপত্রের প্রদত্ত সব তথ্য সঠিক ও সত্য। প্রদত্ত তথ্য অসত্য বা মিথ্যা প্রমাণিত হলে অথবা কোনো অযোগ্যতা ধরা পড়লে কিংবা কোনো প্রতারণা বা দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করলে কিংবা পরীক্ষায় নকল বা অসদুপায় অবলম্বন করলে, পরীক্ষার পূর্বে বা পরে অথবা নিয়োগের পরে যেকোনো পর্যায়ে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।

আবেদনের অযোগ্যতা: বাংলাদেশের নাগরিক না হন, বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা না হন অথবা বাংলাদেশের ডমিসাইল না হন; এরূপ কোনো ব্যক্তিকে বিয়ে করেন অথবা বিয়ে করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন যিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন; ফৌজদারি আদালত কর্তৃক নৈতিক স্খলনজনিত অভিযোগে দণ্ডিত হন; তবে তিনি আবেদন করার জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন না।

মৌখিক পরীক্ষার সময় যেসব কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হবে: অনলাইন আবেদনপত্রের হার্ড কপি, সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি, সব শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতার সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনাপত্তিপত্র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভার মেয়র/সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদ ও জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদর্শন করতে হবে। এসব কাগজপত্রের মূল কপি প্রদর্শনপূর্বক প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার মাধ্যমে সব সনদের সত্যায়িত ছায়ালিপি দাখিল করতে হবে।

প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ—উভয় প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবে।

বেতন: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা।

আবেদন পদ্ধতি: প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্র দাখিলের নিয়মাবলি ও শর্তাবলি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের মেনুতে ‘অনলাইন নিয়োগ’ অপশনে অথবা ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

আবেদনের শেষ সময়: আগামী ৩১ জানুয়ারি, ২০২৬; বিকেল ৫টা।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আকিজ ফুডে চাকরির সুযোগ, ২১ বছরেই করা যাবে আবেদন

চাকরি ডেস্ক 
আকিজ ফুডে চাকরির সুযোগ, ২১ বছরেই করা যাবে আবেদন

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিতে ‘সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার’ পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৭ ডিসেম্বর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

পদের নাম: সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, (পিপিএস প্ল্যান্ট)।

পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: ডিপ্লোমা (মেকানিক্যাল/ইলেক্ট্রিক্যাল)।

অভিজ্ঞতা: ১-৩ বছর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

চাকরির ধরন: ফুলটাইম।

প্রার্থীর ধরন: শুধু পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

বয়সসীমা: ২১-২৮ বছর।

কর্মস্থল: ঢাকা (ধামরাই)।

বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে।

সুযোগ–সুবিধা: প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বেতন ছাড়াও আরও সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।

আবেদনের পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত