অনলাইন ডেস্ক
সাক্ষাৎকার—চাকরিপ্রার্থীদের এই যুদ্ধক্ষেত্রে নামতেই হয়। এড়িয়ে যাওয়ার কোনো পথ নেই। অনেকের তো চাকরির সাক্ষাৎকারের কথা শুনলেই গলা কেমন শুকিয়ে যায়! তবে সাক্ষাৎকারে চাকরিদাতাদের মুখোমুখি হওয়ার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। এবার আসুন চাকরির সাক্ষাৎকারের কিছু সহজ টিপস জেনে নেওয়া যাক।
ধরুন, আজ আপনার সেই কাঙ্ক্ষিত সাক্ষাৎকারের দিন। আপনি আপনার প্রত্যাশিত অফিস থেকে বার্তা পেয়েছেন। এখন আপনার প্রয়োজন এ নিয়ে কিছুটা প্রস্তুতি নেওয়া। অনেক কিছু জানার পরও এমনকি যথেষ্ট স্মার্ট থাকার পরও সঠিক প্রস্তুতির অভাবে চাকরিটা হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। তাই দরকার একটু নিয়ম মেনে সবকিছু সামলানো।
চাকরি ও ক্যারিয়ারবিষয়ক ওয়েবসাইট মনস্টার ডটকম এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে সাক্ষাৎকার দিলে চাকরি পাওয়া অনেক সহজ হয়ে আসে। এবার তবে টিপসগুলো একনজরে দেখে নেওয়া যাক:
শরীরী ভাষা
আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আপনি যদি নিয়োগকর্তার সামনে হাসিমুখে দাঁড়ান, তবে পরিস্থিতি অনেকটা সহজ হয়ে যায়। তাই নিজেকে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা জরুরি। সে ক্ষেত্রে আপনার প্রতি ভিন্ন এক দৃষ্টিভঙ্গি হবে নিয়োগকর্তাদের।
সঠিক পোশাক বাছাই
পরিচ্ছন্ন ও রুচিশীল জামাকাপড় পরে, নিজেকে একটু গুছিয়ে ভাইভা বোর্ডে যেতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান সাক্ষাৎকারের ক্ষেত্রে ড্রেস কোড নির্ধারণ করে দেয়। সে ক্ষেত্রে তা মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে।
মনোযোগ দিয়ে শুনুন
সাক্ষাৎকারে একটি কঠিন কাজ হচ্ছে বোর্ডের সদস্যরা কী বলছেন, তা মনোযোগ দিয়ে শোনা। নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা আপনার সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় এমন অনেক তথ্য দেবেন, যা ওই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে নানা তথ্য দিতে পারে। সেই তথ্য আবার আপনি কোনো প্রশ্নের উত্তর তৈরিতে তাৎক্ষণিকভাবে কাজে লাগাতে পারবেন। আর যোগাযোগক্ষমতার দক্ষতা বাড়ানোর অন্যতম উপায় হচ্ছে মনোযোগ দিয়ে শোনা।
বেশি কথা নয়
সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীর সামনে প্রয়োজনের বেশি কথা না বলাই ভালো। এতে ভুলভাল কথা বলার সম্ভাবনা বাড়ে। প্রস্তুতি কম থাকলে হাসিমুখে নিজের অপারগতা প্রকাশ করুন। ইন্টারভিউর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার অন্যতম উপায় হচ্ছে পদের জন্য কী কী চাওয়া হয়েছে, তা বোঝা। আপনার দক্ষতার সঙ্গে মিল রেখে সেই তথ্যগুলো সম্পর্কিত করে ইন্টারভিউর জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আর মনে রাখতে হবে, চাকরির সাক্ষাৎকারে পুরোপুরি পেশাদার থাকতে হবে। এটা নতুন বন্ধু তৈরির জায়গা নয়। সুতরাং আচরণে সেই পরিমিতিবোধ নিয়ে আসতে হবে।
সঠিক ভাষার ব্যবহার
সাক্ষাৎকারে পেশাদার ভাষা ব্যবহার করা উচিত। বয়স, জাতি, ধর্ম, রাজনীতি সম্বন্ধীয় বিতর্কিত কোনো শব্দ বা রেফারেন্স ব্যবহার করা যাবে না। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। নইলে শুকনো মুখে পত্রপাঠ বিদায়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
উদ্ধত হবেন না
আপনার সাক্ষাৎকারের মূল বিষয়টি নির্ভর করে আপনার আচরণ কেমন হবে তার ওপর। আত্মবিশ্বাস, পেশাদারিত্ব ও বিনয়ের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য রয়েছে। সেটি বজায় রাখতে হবে। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
প্রশ্নের উত্তর দেওয়ায় সচেতনতা
যখন সাক্ষাৎকারীরা কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন, তখন আপনার বুঝে নিতে হবে এটি আপনাকে যাচাই করারই একটি পন্থা। এই প্রশ্নের উত্তরের মধ্য দিয়েই আপনার আচরণ প্রকাশিত হবে। তাই সব সময় সচেতনভাবে উত্তর দিতে হবে। না হলে আপনার বিষয়ে ভুল বার্তা যেতে পারে নিয়োগকর্তার কাছে।
প্রশ্ন করায় দ্বিধা নয়
সাক্ষাৎকার শেষে যখন কোনো প্রার্থীকে জিজ্ঞেস করা হয়, তাদের কোনো প্রশ্ন আছে কি না, তখন অনেক প্রার্থীই বলেন—‘না’। কিন্তু এটি সব সময় ভালো ফল বয়ে আনে না। সাক্ষাৎকারদাতাও কিছু সাধারণ প্রশ্ন করতেই পারেন। এর মধ্য দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতি আপনার আগ্রহও প্রকাশ পাবে। প্রতিষ্ঠানের অবস্থা কেমন, এটি কেমন চলছে—এসব প্রশ্ন করাই যায়। আবার এসব প্রশ্নের বিপরীতে পাওয়া জবাব শুনে আপনি বুঝতে পারবেন, ওই কোম্পানিতে আপনি আদৌ কাজ করতে চান কি না।
মরিয়া ভাব দেখাবেন না
সাক্ষাৎকার গ্রহণের সময় নিয়োগকর্তার সামনে মরিয়া ভাব দেখাবেন না। চাকরিতে নেওয়ার জন্য কখনো অনুরোধ বা অনুনয় করবেন না। সব সময় সুস্থির, শান্ত ও আত্মবিশ্বাসী থাকতে হবে।
মোদ্দা কথা, সাক্ষাৎকারে নিয়োগকর্তার সামনে নিজের যোগ্যতার জানান দিতে হবে। সেখানে টেবিলের ওপাশ থেকে কেমন প্রশ্নবাণ ধেয়ে আসতে পারে, সে ব্যাপারে কিছু অনুশীলনও করা যেতে পারে। তাহলে আর চাকরির সাক্ষাৎকার আপনার জন্য ‘দুর্গম গিরি, কান্তার মরু’ হবে না।
সাক্ষাৎকার—চাকরিপ্রার্থীদের এই যুদ্ধক্ষেত্রে নামতেই হয়। এড়িয়ে যাওয়ার কোনো পথ নেই। অনেকের তো চাকরির সাক্ষাৎকারের কথা শুনলেই গলা কেমন শুকিয়ে যায়! তবে সাক্ষাৎকারে চাকরিদাতাদের মুখোমুখি হওয়ার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। এবার আসুন চাকরির সাক্ষাৎকারের কিছু সহজ টিপস জেনে নেওয়া যাক।
ধরুন, আজ আপনার সেই কাঙ্ক্ষিত সাক্ষাৎকারের দিন। আপনি আপনার প্রত্যাশিত অফিস থেকে বার্তা পেয়েছেন। এখন আপনার প্রয়োজন এ নিয়ে কিছুটা প্রস্তুতি নেওয়া। অনেক কিছু জানার পরও এমনকি যথেষ্ট স্মার্ট থাকার পরও সঠিক প্রস্তুতির অভাবে চাকরিটা হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। তাই দরকার একটু নিয়ম মেনে সবকিছু সামলানো।
চাকরি ও ক্যারিয়ারবিষয়ক ওয়েবসাইট মনস্টার ডটকম এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে সাক্ষাৎকার দিলে চাকরি পাওয়া অনেক সহজ হয়ে আসে। এবার তবে টিপসগুলো একনজরে দেখে নেওয়া যাক:
শরীরী ভাষা
আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আপনি যদি নিয়োগকর্তার সামনে হাসিমুখে দাঁড়ান, তবে পরিস্থিতি অনেকটা সহজ হয়ে যায়। তাই নিজেকে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা জরুরি। সে ক্ষেত্রে আপনার প্রতি ভিন্ন এক দৃষ্টিভঙ্গি হবে নিয়োগকর্তাদের।
সঠিক পোশাক বাছাই
পরিচ্ছন্ন ও রুচিশীল জামাকাপড় পরে, নিজেকে একটু গুছিয়ে ভাইভা বোর্ডে যেতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান সাক্ষাৎকারের ক্ষেত্রে ড্রেস কোড নির্ধারণ করে দেয়। সে ক্ষেত্রে তা মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে।
মনোযোগ দিয়ে শুনুন
সাক্ষাৎকারে একটি কঠিন কাজ হচ্ছে বোর্ডের সদস্যরা কী বলছেন, তা মনোযোগ দিয়ে শোনা। নিয়োগ বোর্ডের সদস্যরা আপনার সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় এমন অনেক তথ্য দেবেন, যা ওই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে নানা তথ্য দিতে পারে। সেই তথ্য আবার আপনি কোনো প্রশ্নের উত্তর তৈরিতে তাৎক্ষণিকভাবে কাজে লাগাতে পারবেন। আর যোগাযোগক্ষমতার দক্ষতা বাড়ানোর অন্যতম উপায় হচ্ছে মনোযোগ দিয়ে শোনা।
বেশি কথা নয়
সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীর সামনে প্রয়োজনের বেশি কথা না বলাই ভালো। এতে ভুলভাল কথা বলার সম্ভাবনা বাড়ে। প্রস্তুতি কম থাকলে হাসিমুখে নিজের অপারগতা প্রকাশ করুন। ইন্টারভিউর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার অন্যতম উপায় হচ্ছে পদের জন্য কী কী চাওয়া হয়েছে, তা বোঝা। আপনার দক্ষতার সঙ্গে মিল রেখে সেই তথ্যগুলো সম্পর্কিত করে ইন্টারভিউর জন্য প্রস্তুত হতে হবে। আর মনে রাখতে হবে, চাকরির সাক্ষাৎকারে পুরোপুরি পেশাদার থাকতে হবে। এটা নতুন বন্ধু তৈরির জায়গা নয়। সুতরাং আচরণে সেই পরিমিতিবোধ নিয়ে আসতে হবে।
সঠিক ভাষার ব্যবহার
সাক্ষাৎকারে পেশাদার ভাষা ব্যবহার করা উচিত। বয়স, জাতি, ধর্ম, রাজনীতি সম্বন্ধীয় বিতর্কিত কোনো শব্দ বা রেফারেন্স ব্যবহার করা যাবে না। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। নইলে শুকনো মুখে পত্রপাঠ বিদায়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।
উদ্ধত হবেন না
আপনার সাক্ষাৎকারের মূল বিষয়টি নির্ভর করে আপনার আচরণ কেমন হবে তার ওপর। আত্মবিশ্বাস, পেশাদারিত্ব ও বিনয়ের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য রয়েছে। সেটি বজায় রাখতে হবে। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দেখানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
প্রশ্নের উত্তর দেওয়ায় সচেতনতা
যখন সাক্ষাৎকারীরা কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন, তখন আপনার বুঝে নিতে হবে এটি আপনাকে যাচাই করারই একটি পন্থা। এই প্রশ্নের উত্তরের মধ্য দিয়েই আপনার আচরণ প্রকাশিত হবে। তাই সব সময় সচেতনভাবে উত্তর দিতে হবে। না হলে আপনার বিষয়ে ভুল বার্তা যেতে পারে নিয়োগকর্তার কাছে।
প্রশ্ন করায় দ্বিধা নয়
সাক্ষাৎকার শেষে যখন কোনো প্রার্থীকে জিজ্ঞেস করা হয়, তাদের কোনো প্রশ্ন আছে কি না, তখন অনেক প্রার্থীই বলেন—‘না’। কিন্তু এটি সব সময় ভালো ফল বয়ে আনে না। সাক্ষাৎকারদাতাও কিছু সাধারণ প্রশ্ন করতেই পারেন। এর মধ্য দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতি আপনার আগ্রহও প্রকাশ পাবে। প্রতিষ্ঠানের অবস্থা কেমন, এটি কেমন চলছে—এসব প্রশ্ন করাই যায়। আবার এসব প্রশ্নের বিপরীতে পাওয়া জবাব শুনে আপনি বুঝতে পারবেন, ওই কোম্পানিতে আপনি আদৌ কাজ করতে চান কি না।
মরিয়া ভাব দেখাবেন না
সাক্ষাৎকার গ্রহণের সময় নিয়োগকর্তার সামনে মরিয়া ভাব দেখাবেন না। চাকরিতে নেওয়ার জন্য কখনো অনুরোধ বা অনুনয় করবেন না। সব সময় সুস্থির, শান্ত ও আত্মবিশ্বাসী থাকতে হবে।
মোদ্দা কথা, সাক্ষাৎকারে নিয়োগকর্তার সামনে নিজের যোগ্যতার জানান দিতে হবে। সেখানে টেবিলের ওপাশ থেকে কেমন প্রশ্নবাণ ধেয়ে আসতে পারে, সে ব্যাপারে কিছু অনুশীলনও করা যেতে পারে। তাহলে আর চাকরির সাক্ষাৎকার আপনার জন্য ‘দুর্গম গিরি, কান্তার মরু’ হবে না।
জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ১টি শূন্য পদে ২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। রোববার (২৪ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
৭ ঘণ্টা আগেকানাডিয়ান হাইকমিশনে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ২ জন কর্মকর্তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য নিয়মিত বেতনের বাইরেও নানা সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেইউনাইটেড ন্যাশন্স ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে (ডব্লিউএফপি) জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির একটি শূন্য ২ জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রতিষ্ঠানটির কক্সবাজার অফিসে নিয়োগ পাবেন।
২ দিন আগেঅর্থ বিভাগের আওতাধীন জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিলের (এনএইচআরডিএফ) চার পদে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির জিএম (প্রশাসন ও ফাইন্যান্স) মোহাম্মদ জহিরুল কাইউম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ দিন আগে