স্বপ্ন দেখো
স্বপ্ন মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন। স্বপ্ন দেখার কোনো বয়স নেই। আদর্শ হিন্দু হোটেল উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হাজারি ঠাকুর ৪৬ বছর বয়সী একজন রসুয়ে বামুনে তথা একজন রাঁধুনি। তিনি রানাঘাট স্টেশনের পাশে বেচু চক্কত্তির হোটেলে মাত্র ৭ টাকা মাসিক বেতনে চাকরি করেন। অর্থবিত্তহীন এই মধ্যবয়সী মানুষটার দুই চোখ ভরা স্বপ্ন। তার স্বপ্ন, একদিন তার নিজের হোটেল হবে। হোটেলের বাইরে লেখা থাকবে ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’। ৬ বছর ধরে বেচু চক্কত্তির হোটেলে কাজ করেন। কিন্তু বেতন তার এক পয়সাও বাড়ে না। তবুও হাজারি ঠাকুর প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখেন তার নিজের হোটেল হবে। নানা রকম বাধাবিঘ্ন, সংকট, শত অপমান পেরিয়ে একদিন তার স্বপ্ন সত্যি হয়। ওই রানাঘাটের স্টেশনের পাশেই আদর্শ হিন্দু হোটেল নামে নিজের হোটেল হয়। তারপর রেল স্টেশনের মধ্যে উন্নত মানের আরেকটি হোটেল হয়। বোম্বে থেকে বড় একটি কোম্পানির লোক এসে হাজারি ঠাকুরকে তাদের হোটেলগুলোর রান্না দেখাশোনা করার জন্য দেড় শ টাকা মাইনেতে চাকরি দেয়; সঙ্গে একজন চাকর ও ফ্রি কোয়ার্টার এবং পরবর্তীকালে কোম্পানির অংশীদার করে দেওয়ার অফার দেয়। হাজারি ঠাকুরের জীবন বদলে যায়। ‘বোম্বাই! সে বোম্বাই যাইতেছে! দেড়শো টাকা মাহিনায়! বিশ্বাস হয় না। সব যেন স্বপ্নের মত ঘটিয়া গেল। টাকার জন্য নয়। টাকা এখানে সে মাসে দেড়শো টাকার বেশি ছাড়া কম রোজগার করে না। কিন্তু মানুষের জীবনে টাকাটাই কি সব? পাঁচটা দেশ দেখিয়া বেড়ানো, পাঁচজনের কাছে মান-খাতির পাওয়া, নূতনতর জীবনযাত্রার আস্বাদ—এসবই তো আসল।’
সৎ থাকো
সততা যে মানুষকে অনেক বড় করে তোলে, তার অন্যতম উদাহরণ আদর্শ হিন্দু হোটেলের হাজারি ঠাকুর। হাজারি ঠাকুর জীবনে অনেক অর্থকষ্টে থাকলেও তিনি কখনো অসৎ হননি। রানাঘাটের স্টেশনের পাশে বেচু চক্কত্তির হোটেলে কাজ করার সময় তার সহকর্মী পদ্ম ঝি হোটেল থেকে বিভিন্ন জিনিস চুরি করত, খদ্দেরকে ঠকাত। সেসব দেখে রসুয়ে-বামুন হাজারি ঠাকুর স্বপ্ন দেখত, একটি হোটেল দেবে; ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’। যেখানে কোনো খদ্দেরকে ঠকানো হবে না। সেই হোটেলের খাবার হবে সতেজ-সুস্বাদু-পুষ্টিকর। তা ছাড়া হাজারি ঠাকুরের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল বিধর্মা মেয়ে কুসুম, অতসি, নতুন পাড়ের গোয়ালা বাড়ির বউয়ের। কিন্তু তাদের সঙ্গে কখনো অনৈতিক সম্পর্ক করেননি। বরং তাদের নিজের মেয়ের মতো ভালোবেসেছে। তাদের কাছে হাজারি ঠাকুর এতটাই বিশ্বস্ত হয়েছিল যে তারা গোপনে হাজারি ঠাকুরকে টাকা দিয়েছিল, হোটেল দেওয়ার জন্য। সততার কারণে হাজারি ঠাকুর অবশেষে সফল হন। তার স্বপ্নের চেয়েও অনেক বেশি সফল হন।
বিনয়ী হও
বিনয়ী হতে জানা মস্ত বড় একটা আর্ট। হাজারি ঠাকুর যখন হোটেলের কর্মচারী ছিলেন, তখনো যেমন বিনয়ী ছিলেন, পরে হোটেলের মালিক হওয়ার পরও তিনি তেমনি বিনয়ী ছিলেন। সফলতা তার মধ্যে অহংকারের জন্ম দেয়নি। হোটেলের মালিক বেচু চক্কত্তি হাজারি ঠাকুরকে চুরির অপবাদ দিয়ে জেল খাটালেন, হোটেলের চাকরি থেকে বের করে দিলেন। পদ্ম ঝি সব সময় অপমান, খারাপ ব্যবহার করলেন, নিজে চুরি করে হাজারি ঠাকুরকে অপবাদ দিয়ে জেল খাটালেন। এদের শত অপমান, বঞ্চনা সহ্য করার পরও হাজারি ঠাকুর যখন সফল হলেন, তখনো তাদের সঙ্গে আগের মতো বিনয়ী ব্যবহার করলেন। এমনকি বেচু চক্কত্তি ও পদ্ম ঝি দুজনেই হাজারি ঠাকুরের হোটেলে চাকরি নিল, সেদিনও হাজারি ঠাকুর আগের মতই বিনয় দেখিয়ে তাদের সঙ্গে ব্যবহার করল। ‘হাজারি বিনীতভাবে বলিল—বাবু একটা কথা বলতে এলাম। বাবু আপনি আমার অন্নদাতা ছিলেন একসময়েও, আজও আপনাকে তাই বলেই ভাবি। আপনার এখানে কাজ না শিখলে আজ আমি পেটের ভাত করে খেতে পারতাম না। আপনি ব্রাহ্মণ, আমার মনিব। আমাকে এভাবে বিপদে না ফেলে যদি বলেন—হাজারি তুই হোটেল উঠিয়ে দাও, তাই আমি দেবো। আপনি হুকুম করুন।’
কর্মঠ হও
হাজারি ঠাকুর ছিলেন অত্যন্ত কর্মঠ একজন ব্যক্তি। তার পারদর্শিতার জায়গা হলো রান্না। তিনি সেই রান্না করেই এক সময় সফল হন। তিনি যখন হোটেলের কর্মচারী ছিলেন, তখনো তিনি কাজে বিন্দুমাত্র ফাঁকি দিতেন না। অন্যরা ফাঁকি দিলেও তিনি আপন মনে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজগুলো করে যেতেন। ফলে তার রান্নার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। অনেক দূরদূরান্ত থেকে তার রান্না খাওয়ার জন্য হোটেলে মানুষ আসত। যারা রান্না খেত সকলেই প্রশংসা করত। শুধু প্রশংসা করত না হোটেলের মালিক বেচু চক্কত্তি ও সহকর্মী পদ্ম ঝি। তার মাইনেও বাড়াত না। তবু তিনি আপন মনে কাজ করে যেতেন। আর এই কর্মঠ হওয়ার ফলেই একদিন তিনি তার স্বপ্নের চেয়েও বড় জায়গায় পৌঁছে যান। সততা, পরিশ্রম, বিনয়, স্বপ্ন যার মধ্যে আছে, সে যে একদিন তার স্বপ্নের সমান বড় হতে পারে, তার অনন্য দৃষ্টান্ত আদর্শ হিন্দু হোটেল উপন্যাসের হাজারি ঠাকুর। এটি একটি সামাজিক উপন্যাসের বই হলেও এটি যেন এক অনুপ্রেরণার বাতিঘর।
স্বপ্ন দেখো
স্বপ্ন মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন। স্বপ্ন দেখার কোনো বয়স নেই। আদর্শ হিন্দু হোটেল উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হাজারি ঠাকুর ৪৬ বছর বয়সী একজন রসুয়ে বামুনে তথা একজন রাঁধুনি। তিনি রানাঘাট স্টেশনের পাশে বেচু চক্কত্তির হোটেলে মাত্র ৭ টাকা মাসিক বেতনে চাকরি করেন। অর্থবিত্তহীন এই মধ্যবয়সী মানুষটার দুই চোখ ভরা স্বপ্ন। তার স্বপ্ন, একদিন তার নিজের হোটেল হবে। হোটেলের বাইরে লেখা থাকবে ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’। ৬ বছর ধরে বেচু চক্কত্তির হোটেলে কাজ করেন। কিন্তু বেতন তার এক পয়সাও বাড়ে না। তবুও হাজারি ঠাকুর প্রতিনিয়ত স্বপ্ন দেখেন তার নিজের হোটেল হবে। নানা রকম বাধাবিঘ্ন, সংকট, শত অপমান পেরিয়ে একদিন তার স্বপ্ন সত্যি হয়। ওই রানাঘাটের স্টেশনের পাশেই আদর্শ হিন্দু হোটেল নামে নিজের হোটেল হয়। তারপর রেল স্টেশনের মধ্যে উন্নত মানের আরেকটি হোটেল হয়। বোম্বে থেকে বড় একটি কোম্পানির লোক এসে হাজারি ঠাকুরকে তাদের হোটেলগুলোর রান্না দেখাশোনা করার জন্য দেড় শ টাকা মাইনেতে চাকরি দেয়; সঙ্গে একজন চাকর ও ফ্রি কোয়ার্টার এবং পরবর্তীকালে কোম্পানির অংশীদার করে দেওয়ার অফার দেয়। হাজারি ঠাকুরের জীবন বদলে যায়। ‘বোম্বাই! সে বোম্বাই যাইতেছে! দেড়শো টাকা মাহিনায়! বিশ্বাস হয় না। সব যেন স্বপ্নের মত ঘটিয়া গেল। টাকার জন্য নয়। টাকা এখানে সে মাসে দেড়শো টাকার বেশি ছাড়া কম রোজগার করে না। কিন্তু মানুষের জীবনে টাকাটাই কি সব? পাঁচটা দেশ দেখিয়া বেড়ানো, পাঁচজনের কাছে মান-খাতির পাওয়া, নূতনতর জীবনযাত্রার আস্বাদ—এসবই তো আসল।’
সৎ থাকো
সততা যে মানুষকে অনেক বড় করে তোলে, তার অন্যতম উদাহরণ আদর্শ হিন্দু হোটেলের হাজারি ঠাকুর। হাজারি ঠাকুর জীবনে অনেক অর্থকষ্টে থাকলেও তিনি কখনো অসৎ হননি। রানাঘাটের স্টেশনের পাশে বেচু চক্কত্তির হোটেলে কাজ করার সময় তার সহকর্মী পদ্ম ঝি হোটেল থেকে বিভিন্ন জিনিস চুরি করত, খদ্দেরকে ঠকাত। সেসব দেখে রসুয়ে-বামুন হাজারি ঠাকুর স্বপ্ন দেখত, একটি হোটেল দেবে; ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’। যেখানে কোনো খদ্দেরকে ঠকানো হবে না। সেই হোটেলের খাবার হবে সতেজ-সুস্বাদু-পুষ্টিকর। তা ছাড়া হাজারি ঠাকুরের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল বিধর্মা মেয়ে কুসুম, অতসি, নতুন পাড়ের গোয়ালা বাড়ির বউয়ের। কিন্তু তাদের সঙ্গে কখনো অনৈতিক সম্পর্ক করেননি। বরং তাদের নিজের মেয়ের মতো ভালোবেসেছে। তাদের কাছে হাজারি ঠাকুর এতটাই বিশ্বস্ত হয়েছিল যে তারা গোপনে হাজারি ঠাকুরকে টাকা দিয়েছিল, হোটেল দেওয়ার জন্য। সততার কারণে হাজারি ঠাকুর অবশেষে সফল হন। তার স্বপ্নের চেয়েও অনেক বেশি সফল হন।
বিনয়ী হও
বিনয়ী হতে জানা মস্ত বড় একটা আর্ট। হাজারি ঠাকুর যখন হোটেলের কর্মচারী ছিলেন, তখনো যেমন বিনয়ী ছিলেন, পরে হোটেলের মালিক হওয়ার পরও তিনি তেমনি বিনয়ী ছিলেন। সফলতা তার মধ্যে অহংকারের জন্ম দেয়নি। হোটেলের মালিক বেচু চক্কত্তি হাজারি ঠাকুরকে চুরির অপবাদ দিয়ে জেল খাটালেন, হোটেলের চাকরি থেকে বের করে দিলেন। পদ্ম ঝি সব সময় অপমান, খারাপ ব্যবহার করলেন, নিজে চুরি করে হাজারি ঠাকুরকে অপবাদ দিয়ে জেল খাটালেন। এদের শত অপমান, বঞ্চনা সহ্য করার পরও হাজারি ঠাকুর যখন সফল হলেন, তখনো তাদের সঙ্গে আগের মতো বিনয়ী ব্যবহার করলেন। এমনকি বেচু চক্কত্তি ও পদ্ম ঝি দুজনেই হাজারি ঠাকুরের হোটেলে চাকরি নিল, সেদিনও হাজারি ঠাকুর আগের মতই বিনয় দেখিয়ে তাদের সঙ্গে ব্যবহার করল। ‘হাজারি বিনীতভাবে বলিল—বাবু একটা কথা বলতে এলাম। বাবু আপনি আমার অন্নদাতা ছিলেন একসময়েও, আজও আপনাকে তাই বলেই ভাবি। আপনার এখানে কাজ না শিখলে আজ আমি পেটের ভাত করে খেতে পারতাম না। আপনি ব্রাহ্মণ, আমার মনিব। আমাকে এভাবে বিপদে না ফেলে যদি বলেন—হাজারি তুই হোটেল উঠিয়ে দাও, তাই আমি দেবো। আপনি হুকুম করুন।’
কর্মঠ হও
হাজারি ঠাকুর ছিলেন অত্যন্ত কর্মঠ একজন ব্যক্তি। তার পারদর্শিতার জায়গা হলো রান্না। তিনি সেই রান্না করেই এক সময় সফল হন। তিনি যখন হোটেলের কর্মচারী ছিলেন, তখনো তিনি কাজে বিন্দুমাত্র ফাঁকি দিতেন না। অন্যরা ফাঁকি দিলেও তিনি আপন মনে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজগুলো করে যেতেন। ফলে তার রান্নার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। অনেক দূরদূরান্ত থেকে তার রান্না খাওয়ার জন্য হোটেলে মানুষ আসত। যারা রান্না খেত সকলেই প্রশংসা করত। শুধু প্রশংসা করত না হোটেলের মালিক বেচু চক্কত্তি ও সহকর্মী পদ্ম ঝি। তার মাইনেও বাড়াত না। তবু তিনি আপন মনে কাজ করে যেতেন। আর এই কর্মঠ হওয়ার ফলেই একদিন তিনি তার স্বপ্নের চেয়েও বড় জায়গায় পৌঁছে যান। সততা, পরিশ্রম, বিনয়, স্বপ্ন যার মধ্যে আছে, সে যে একদিন তার স্বপ্নের সমান বড় হতে পারে, তার অনন্য দৃষ্টান্ত আদর্শ হিন্দু হোটেল উপন্যাসের হাজারি ঠাকুর। এটি একটি সামাজিক উপন্যাসের বই হলেও এটি যেন এক অনুপ্রেরণার বাতিঘর।
ইউনাইটেড ন্যাশন্স ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে (ডব্লিউএফপি) জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির একটি শূন্য ২ জনকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রতিষ্ঠানটির কক্সবাজার অফিসে নিয়োগ পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগেঅর্থ বিভাগের আওতাধীন জাতীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন তহবিলের (এনএইচআরডিএফ) চার পদে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির জিএম (প্রশাসন ও ফাইন্যান্স) মোহাম্মদ জহিরুল কাইউম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেজনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আদমজী ইপিজেড মেডিকেল সেন্টার। প্রতিষ্ঠানটিতে ছয় ধরনের পদে ছয়জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও প্রার্থীরা ডাকযোগে আবেদন করতে পারবেন।
১৭ ঘণ্টা আগেঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডে (ডেসকো) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির শূন্য পদে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা প্রতিষ্ঠানটির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগে