নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তুলা, রেশম, পাট, ফ্লেক্স কিংবা হেম্প বা গাঁজার গাছ থেকে সুতা বের করে পোশাক বানানোর কৌশল বহু আগে রপ্ত করেছে মানুষ। আনারসপাতার তন্তু দিয়েও পোশক বানাত কোনো কোনো প্রাচীন গোষ্ঠীর মানুষ। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে এখন আবার ফিরে আসছে আনারসপাতার সুতা থেকে বানানো পোশাক। এই তন্তুকে বলা হয়, পাইনা বা পিনা।
এই সুতা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাপড় তৈরি হচ্ছে ফিলিপাইনে। টেক্সটাইল কাপড় তৈরির জন্য সিল্ক ও পলিয়েস্টারের সঙ্গে মেশানো হয় পাইনা তন্তু।
হিসপানিকদের আমল থেকেই পাইনা দিয়ে কাপড় তৈরি হচ্ছে। এই কাপড় গ্রিস ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হতো। উনিশ শতকে এই কাপড়ের চাহিদা বেড়ে যায়। তবে সুতি কাপড়ের আরাম পেয়ে পাইনা কাপড়ের কথা ভুলতে শুরু করে মানুষ। ১৯৮০ সালের দিকেও এই তন্তুর কাপড় খুব দুর্লভ ছিল। কিন্তু দুই দশকের পুরোনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনেছে ফিলিপিনোরা। ধীরে ধীরে আবারও জনপ্রিয় হচ্ছে পাইনা কাপড়ের পোশাক। ফিলিপাইন থেকে পৌঁছে যাচ্ছে আমেরিকা ও ইউরোপের বড় বড় ফ্যাশন ব্র্যান্ডে।
উৎপাদন-প্রক্রিয়া
প্রথমে পাতা থেকে তন্তুগুলো বের করা হয়। বেশির ভাগ তন্তু হয় লম্বা ও শক্ত। এই তন্তু বের করা হয় হাত দিয়ে। পাতা ঘষে ঘষে পাতার সবুজ অংশ তুলে তন্তু বের করা হয়। ১ কিলোগ্রাম পাতা থেকে ৬০ সেন্টিমিটার লম্বা সুতা পাওয়া যায়। তন্তু বের করার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ৩০ জন মানুষের সাহায্য লাগে। একজন দক্ষ কর্মী ভাঙা প্লেট ও নারিকেলের খোল দিয়ে ঘষে ঘষে ৫০০ পাতা থেকে তন্তু বের করতে পারেন। তন্তু বের করে পানিতে ধোয়া হয়। এরপর সেগুলো শুকানো হয়।
তন্তুতে মোম ঘষা হয় মসৃণ করতে। তন্তু জোড়া দিয়ে দিয়ে সুতা তৈরি করা হয়। এরপর সুতার বুননে তৈরি হয় কাপড়।
কাপড়ের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে এমব্রয়ডারি করা হয়। ফিলিপাইনের স্থানীয় ভাষায় একে বলা হয় কালাডা।
পাইনার কাপড় খুব হালকা কিন্তু শক্ত। সিল্কের মতো মসৃণ বলে ফিলিপাইনের ঐতিহ্যবাহী পোশাক বারোং তাগালোগ (ফিলিপিনো টপস), রারোত সায়া ও অন্যান্য ফরমাল পোশাক তৈরিতে পাইনা কাপড় ব্যবহৃত হয়। ব্যাগ ও টেবিল ম্যাট তৈরিতেও পাইনা কাপড় কাজে লাগানো হয়।
সূত্র: টেক্সটাইল টুডে
তুলা, রেশম, পাট, ফ্লেক্স কিংবা হেম্প বা গাঁজার গাছ থেকে সুতা বের করে পোশাক বানানোর কৌশল বহু আগে রপ্ত করেছে মানুষ। আনারসপাতার তন্তু দিয়েও পোশক বানাত কোনো কোনো প্রাচীন গোষ্ঠীর মানুষ। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে এখন আবার ফিরে আসছে আনারসপাতার সুতা থেকে বানানো পোশাক। এই তন্তুকে বলা হয়, পাইনা বা পিনা।
এই সুতা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাপড় তৈরি হচ্ছে ফিলিপাইনে। টেক্সটাইল কাপড় তৈরির জন্য সিল্ক ও পলিয়েস্টারের সঙ্গে মেশানো হয় পাইনা তন্তু।
হিসপানিকদের আমল থেকেই পাইনা দিয়ে কাপড় তৈরি হচ্ছে। এই কাপড় গ্রিস ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হতো। উনিশ শতকে এই কাপড়ের চাহিদা বেড়ে যায়। তবে সুতি কাপড়ের আরাম পেয়ে পাইনা কাপড়ের কথা ভুলতে শুরু করে মানুষ। ১৯৮০ সালের দিকেও এই তন্তুর কাপড় খুব দুর্লভ ছিল। কিন্তু দুই দশকের পুরোনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে এনেছে ফিলিপিনোরা। ধীরে ধীরে আবারও জনপ্রিয় হচ্ছে পাইনা কাপড়ের পোশাক। ফিলিপাইন থেকে পৌঁছে যাচ্ছে আমেরিকা ও ইউরোপের বড় বড় ফ্যাশন ব্র্যান্ডে।
উৎপাদন-প্রক্রিয়া
প্রথমে পাতা থেকে তন্তুগুলো বের করা হয়। বেশির ভাগ তন্তু হয় লম্বা ও শক্ত। এই তন্তু বের করা হয় হাত দিয়ে। পাতা ঘষে ঘষে পাতার সবুজ অংশ তুলে তন্তু বের করা হয়। ১ কিলোগ্রাম পাতা থেকে ৬০ সেন্টিমিটার লম্বা সুতা পাওয়া যায়। তন্তু বের করার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ৩০ জন মানুষের সাহায্য লাগে। একজন দক্ষ কর্মী ভাঙা প্লেট ও নারিকেলের খোল দিয়ে ঘষে ঘষে ৫০০ পাতা থেকে তন্তু বের করতে পারেন। তন্তু বের করে পানিতে ধোয়া হয়। এরপর সেগুলো শুকানো হয়।
তন্তুতে মোম ঘষা হয় মসৃণ করতে। তন্তু জোড়া দিয়ে দিয়ে সুতা তৈরি করা হয়। এরপর সুতার বুননে তৈরি হয় কাপড়।
কাপড়ের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে এমব্রয়ডারি করা হয়। ফিলিপাইনের স্থানীয় ভাষায় একে বলা হয় কালাডা।
পাইনার কাপড় খুব হালকা কিন্তু শক্ত। সিল্কের মতো মসৃণ বলে ফিলিপাইনের ঐতিহ্যবাহী পোশাক বারোং তাগালোগ (ফিলিপিনো টপস), রারোত সায়া ও অন্যান্য ফরমাল পোশাক তৈরিতে পাইনা কাপড় ব্যবহৃত হয়। ব্যাগ ও টেবিল ম্যাট তৈরিতেও পাইনা কাপড় কাজে লাগানো হয়।
সূত্র: টেক্সটাইল টুডে
খাবার মজাদার করতে আমরা সাধারণভাবে তেল-মসলার খুব বাড়াবাড়ি করে ফেলি। সেখান থেকে বাদ যায় না পেঁয়াজ কিংবা রসুন। পেঁয়াজকে কায়দা করে সরিয়ে রাখলেও খাবার মজাদার হতে পারে। তেমনই কিছু রেসিপি...
২ দিন আগেবাংলা অঞ্চলে মিষ্টিজাতীয় প্রাচীন খাবারগুলোর মধ্যে সন্দেশের নাম আছে একেবারে প্রথম দিকে। সব মিষ্টির কিছু না কিছু বদল হলেও, এর বদল হয়েছে খুবই কম। যশোরের নলেন গুড়ের সন্দেশ, মানিকগঞ্জ বা নাগরপুরের প্যারা সন্দেশ, পাবনার মাছের পেটি সন্দেশ ইত্যাদি কে না খেতে পছন্দ করে!
২ দিন আগেজীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে দারুচিনি দ্বীপের কথা, তার রহস্যময় শ্যামলিমার কথা, সেই সবুজের গহিনে দিকহারা নাবিকের আশ্রয়-আকাঙ্ক্ষার কথা। এই দারুচিনি দ্বীপ কি আসলে কোনো সমুদ্রঘেরা ভূখণ্ড, নাকি বনলতা সেন নিজেই, তা নিয়ে কবিরা বিতর্ক করুক। আমরা বরং এই দ্বীপের তত্ত্বতালাশ করি।
২ দিন আগে‘প্রসেসেস’-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভাতের মাড় ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য একটি হজমযোগ্য স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে কাজ করে। এমনকি এটি ওজন কমাতে পারে।
২ দিন আগে