ড. তৈফুর রহমান

সুচেতনা, তুমি এক দূরতর দ্বীপ
বিকেলের নক্ষত্রের কাছে;
সেইখানে দারুচিনি-বনানীর ফাঁকে
নির্জনতা আছে।…
সুচেতনা, জীবনানন্দ দাশ
জীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে দারুচিনি দ্বীপের কথা, তার রহস্যময় শ্যামলিমার কথা, সেই সবুজের গহিনে দিকহারা নাবিকের আশ্রয়-আকাঙ্ক্ষার কথা। এই দারুচিনি দ্বীপ কি আসলে কোনো সমুদ্রঘেরা ভূখণ্ড, নাকি বনলতা সেন নিজেই—তা নিয়ে কবিরা বিতর্ক করুক। আমরা বরং এই দারুচিনি দ্বীপের তত্ত্ব তালাশ করি।
দারুচিনি দ্বীপের কথা শুনলেই আপনার মনে কোন দেশের কথা মনে হয়? নির্ঘাত শ্রীলঙ্কা। কিন্তু কেন? আমরা যে মিষ্টি কিন্তু ঝাঁজালো মসলা ব্যবহার করি প্রতিদিন, সেই দারুচিনি কি শ্রীলঙ্কা বা সিংহল থেকে আসে? যদি বলি ‘না’, তাহলে কি খানিক ধাক্কা লাগবে? লাগারই কথা।
দুনিয়ায় দারুচিনি দুই প্রকারের। একটা দেখতে গাছের বাকলের মতো, মুখে দিয়ে কামড় বসালে সুতীব্র ঘ্রাণ আর ঝাঁজালো মিষ্টি স্বাদে প্রাণ ভরিয়ে দেয়। এটি আমাদের মায়েরা প্রতিদিন ব্যবহার করছেন, হোটেলে-রেস্তোরাঁ-বিয়েবাড়িতে সুবাস ছোটাচ্ছে, এটি আমাদের অতিপরিচিত দারুচিনি—যার কেতাবি নাম কাসিয়া।
আরেক প্রকার অনেকটাই আলাদা, গাছের পাতলা বাকল পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে হাভানা চুরুটের মতন পাকিয়ে লম্বা লাঠির মতো বানিয়ে ইঞ্চি কয়েক করে কেটে সুদৃশ্য কাচের বোতলে বন্দী হয়ে বিক্রি হয় ইউরোপের দোকানে। সেই বস্তুর নাম সিনামন। গন্ধে ও স্বাদে আমাদের দারুচিনির মতো হলেও তীব্রতায় অনেক কম, অনেক ম্রিয়মাণ। অথচ তার দাম ক্যাসিয়ার চেয়ে অনেক বেশি। তাই সিনামন একরকমের দারুচিনি হলেও আমাদের ‘সাথে তার হয় নাকো দেখা!’
বোঝার সুবিধার জন্য আমাদের দারুচিনিকে ‘দারুচিনি’ আর উঁচুতলার চৌধুরী সাহেবের নামীদামি মসলাকে আপাতত ‘সিনামন’ বলেই ডাকা যাক।
অবাক করা বিষয় হচ্ছে, আমাদের অতিপরিচিত দারুচিনি শ্রীলঙ্কায় জন্মায় না! এর আদি নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব চীন দেশ। পরে কালের পরিক্রমায় মালয় সাগর বা ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপে বিস্তার লাভ করে। শ্রীলঙ্কায় জন্মে অতিমূল্যবান সিনামন, যা আমাদের দারুচিনি থেকে রূপে-গুণে-ঘ্রাণে আলাদা।

দক্ষিণ চীনদেশ থেকে আরব আর পারস্যের বণিকেরা জাহাজ বোঝাই করে যে বস্তু মালয় সাগর, বঙ্গোপসাগর আর ভারত মহাসাগরেরর উপকূলের নগর-বন্দরে-বাজারে বিক্রি করে অবশিষ্টাংশ ইউরোপে পাঠাত আকেলজান্দ্রিয়া হয়ে রোমে অথবা ভেনিসে, তাই-ই আমাদের পরিচিত দারুচিনি। আর সেই বণিকদের আরেক অংশ সিংহল দ্বীপ থেকে অথবা মালাবার বন্দর থেকে অনেক মূল্য দিয়ে আঁটি বেঁধে নিয়ে যেত সিনামন। শুনতে অনেকটা ধাঁধার মতো লাগে। যা লাউ তাই-ই কদু—এমন হলেও এখানে লাউ আর কদুর জাত আলাদা।
আসলে দারুচিনি নামের ভেতরেই এই ধাঁধার উত্তর আছে।
‘দারুচিনি’ ফারসি শব্দ, যা ভাঙলে হয় দার-এ-চিনি বা অর্থাৎ ‘চীন দেশের বাকল!’ আশাকরি এখন ব্যাপারটি পরিষ্কার।
খুব সম্ভবত, কবি জীবনানন্দ দাশ নিজেও এই কাহিনি জানতেন। তাই দারুচিনি দ্বীপের অবস্থান তাঁর বনলতা সেন কবিতায় রহস্যাবৃত রেখেছেন এই বলে যে, তা সিংহল সাগরেও হতে পারে, হতে পারে মালয় সাগরে। হয়তো, এই দুই সাগরে সব দ্বীপই দারুচিনি দ্বীপ।
তা ক্যাসিয়াই হোক আর সিনামনই হোক, এই পুরু বা পাতলা বাকল আসলে একই গোত্রের গাছ থেকে আসে। তাদের মিষ্টি ঘ্রাণ আর স্বাদ মানবসভ্যতাকে বিমোহিত করে রেখেছে আজ হাজার হাজার বছর ধরে। মিসরের ফারাও বা ফেরাউনেরা তাদের যজ্ঞ, দেবতার তুষ্টি, উৎসব বা শোকে দারুচিনি পুড়িয়ে অর্ঘ্য দিতেন। এমনকি মমিতেও দেওয়া হতো দারুচিনির গুঁড়ো। প্রাচীন প্যাপিরাস পুঁথিতে সুদূর কোনো দেশ থেকে যাওয়া দারুচিনির কথা বলা আছে। বাদশা সোলায়মানের দরবারে শিবার রানি দেখা করতে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন বিরাট এক বস্তা দারুচিনি ধনকুবের বাদশা সোলায়মানের আক্কেল গুড়ুম করে দেওয়ার জন্য।
কেননা, সেই সময় দারুচিনি ছিল অতিমূল্যবান এক বিলাসদ্রব্য। বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টের কয়েক জায়গায় দারুচিনির উল্লেখ। অর্থাৎ এশিয়ার সুদূরতম প্রান্তের বিচ্ছিন্ন কিছু দ্বীপের কথা কিছুমাত্র না জানলেও সারা মধ্যপ্রাচ্য, মিসর এবং ইউরোপ দারুচিনির প্রেমে দিওয়ানা ছিল—যেকোনো মূল্যেই তার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে তারা পিছপা হতো না।
এই দারুচিনিসহ অন্যান্য লোভনীয় মসলা ইউরোপে পৌঁছাত মূলত আরব বণিকদের হাত ঘুরে। তারা একাধারে ছিল বণিক এবং মধ্যস্বত্বভোগী। এরা কোনোভাবেই জানতে দিতে চাইত না এই দারুচিনি দ্বীপের উৎস কোথায়। তাই নানা রকম গালগল্প এদের মুখ থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল সারা পশ্চিমে। ইতিহাসের জনক বলে খ্যাত হেরোডোটাস তাঁর বিখ্যাত ‘দ্য হিস্টোরি’ বইয়ে দারুচিনি কোথা থেকে কীভাবে আসে, তার বয়ান দিয়েছেন এভাবে,

‘গহিন এবং শ্বাপদসংকুল জঙ্গল থেকে দারুচিনির ডাল সংগ্রহ করে পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে কাদামাটি মাখিয়ে বাসা বানায় অতিকায় এক রাক্ষস-পক্ষী। সেই পাহাড় দেখা গেলেও, তার ঢাল এতই খাড়া যে তা বেয়ে বেয়ে উঠে দারুচিনি নিয়ে আসা সম্ভব নয় কাঁধে করে। আর পাখির হাতে মরার আশঙ্কাও প্রচুর। তাহলে আনে কী করে? বণিকেরা বড়ই ধুরন্ধর, তারা একটা গরু না মহিষ কেটে বিরাট বিরাট মাংসের টুকরা পাহাড়ের নিচে ফেলে রেখে, তারপরে কাছের জঙ্গলে ঘাপটি মেরে বসে থাকে। বোকা পাখি সেই মাংসের টুকরোগুলো তার বাসায় নিতে থাকে জমিয়ে মজা করে খাওয়ার জন্য। কিন্তু অতিলোভে তাঁতি নষ্ট এই বাণী তাদের জানা ছিল না। তাই একসময় সেই মাংসের ভারেই পাখির বাসা ভেঙে গুঁড়িয়ে পাহাড়ের নিচে চলে আসে। তখন সেই চালাক বণিকেরা সেগুলো টপাটপ কুড়িয়ে বস্তায় ভরে নিয়ে দেয় চম্পট।’
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চাহিদা, লোভ এবং সাগর পাড়ি দেওয়ার সক্ষমতা বাড়ে। তারা আর এই সব গালগল্প খুব একটা বিশ্বাস করতে চায় না। তাই প্রথমে পূর্ব এবং পরে পশ্চিম—দুই দিক থেকেই শুধু বাণিজ্য নয়; বরং দখলদারত্বের উদগ্র আকাঙ্ক্ষায় তারা ছুটে আসতে থাকে দারুচিনি দ্বীপের দিকে।
প্রথমে আসে চীনারা। ১৪০০ সালের দিকে চীনের মিং রাজারা পরিকল্পনা করে, বিরাট নৌবহর নিয়ে মালয় এবং ভারত মহাসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করবে। শুরুতে তা নিতান্তই শুভেচ্ছা আর উপঢৌকন বিনিমিয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরে প্রভাব বিস্তার আর নিজেদের পছন্দসই রাজাকে মসনদে বসানোর খেলায় তারা যুক্ত হয়, যা অধুনা ‘রেজিম চেঞ্জ’ নামে কুখ্যাতি পেয়েছে। এদের কয়েকটা দল আমাদের বঙ্গভূমিতেও কয়েকবার এসেছিল সেই সময়ে। আমাদের কূটনীতিকেরাও তখন চীন দেশে যেতেন—সেই গল্প আরও চিত্তাকর্ষক।
১৪১০ সালের ভেতরে মালয় সাগরের ছোট ছোট রাজা-সুলতানকে সরিয়ে, চীনের নজর পরে শ্রীলঙ্কার দিকে। শুভেচ্ছা ভ্রমণের নাম করে হাজার হাজার নৌসেনা নিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কার দক্ষিণের এক বন্দরে। রাজা বদল শুধু নয়, তাদের বদনজর ছিল মধ্য-শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডি নামক নগরে শত শত বছরের রক্ষিত গৌতম বুদ্ধের একটি দাঁতের ওপরে। কারণ তা মহামূল্যবান আর এই দাঁত যার হাতে থাকবে সিংহলের জনগণ তার কথা শুনতে বাধ্য হবে। সেই অভিযান সফল না হলেও তারা সেই দাঁত চুরি করে নিয়ে পালাল। পরে সেই দাঁত কীভাবে যেন উদ্ধার পায় এবং ক্যান্ডিতে ফেরত আসে।
আরও ২০০ বছর মোটামুটি শান্তিতে থাকার পরে, সেই দারুচিনির গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে হায়েনার মতো এগিয়ে আসে পর্তুগিজ হার্মাদেরা। তারা ১৫০০ সালের মধ্যে ভারতের মালাবার উপকূলে ঘাঁটি গেড়ে বসলেও এবং সেখানের বাজারে সিনামন কিনতে পারলেও এই মসলার ব্যবসা পুরোপুরি কবজায় আনতে পারছিল না। কারণ মালাবার উপকূলে গোলমরিচ উৎপন্ন হলেও, সিনামন আসে সিংহল বা শ্রীলঙ্কা থেকে। এদিকে পর্তুগিজরা শ্রীলঙ্কার অবস্থান কোনোভাবেই বের করতে পারছিল না। কারণ পর্তুগিজরা তাদের অনুসরণ করবে এই ভয়ে আরব জাহাজ আর আগের মতো মালাবার হয়ে শ্রীলঙ্কা যেত না। আরব আর পারস্যের জাহাজ তাদের নজর এড়িয়ে মালদ্বীপ হয়ে শ্রীলঙ্কায় যেত এবং জাহাজ ভরে সিনামন বা দারুচিনি নিয়ে সেই পথে সটকে পড়ত।
১৫০৬ সালের দিকে পর্তুগিজদের এক জাহাজ আরব জাহাজকে ধরে শ্রীলঙ্কা থেকে আহরিত সব সিনামন কেড়ে নেবে সেই আশায় মালদ্বীপের দিকে রওনা হলো। ভারত মহাসাগরের অচেনা এই অংশে এসে বিপরীত এক স্রোতে পথ হারিয়ে ভাসতে ভাসতে হাজির হলো খোদ শ্রীলঙ্কারই দক্ষিণের এক উপকূলে। এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। তারা স্থানীয় রাজাকে অনেক মিষ্টি কথা বলে মন ভোলাল। তার পরে অন্তর্দ্বন্দ্বে বিভক্ত সিংহলি রাজ্যগুলোর দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে পর্তুগিজরা সিনামনের ব্যবসায় একচ্ছত্র অধিকার নিয়ে নিল আরব, পারসি, গুজরাটি সব বণিককে সরিয়ে। চীনাদের মতো আধিপত্যের আশায় তারাও বদনজর দিয়েছিল বুদ্ধের দাঁতের দিকে। কিন্তু তেমন সুবিধা করতে পারেনি।
এর প্রায় দেড় শ বছর পরে ওলন্দাজরা পর্তুগিজদের হটিয়ে দিতে থাকে এশিয়া থেকে। তারা শ্রীলঙ্কার দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হয়ে বসে ১৬৫৮ সালের ভেতর। অকথ্য অত্যাচার করে, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে শুধু সিনামন চাষিদের। এরা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের আশায় হামলা চালায় ক্যান্ডিতে এবং ছিনিয়ে নেয় বুদ্ধের দাঁত। কিন্তু ক্যান্ডির জনতা আগেভাগেই আসল দাঁত সরিয়ে নকল দাঁত রেখে দিয়েছিল। তাই আসল দাঁতের বলে বলীয়ান হয়ে ওলন্দাজদের হটিয়ে দেয় ক্যান্ডি থেকে।
তবে শ্রীলঙ্কা থেকে এদের ঝেঁটিয়ে বের করার মতো হিম্মত শ্রীলঙ্কানদের ছিল না। শেষমেশ ১৭৯৬ সালে ফরাসি বিপ্লবের পরে ওলন্দাজরা যখন ফরাসিদের করায়ত্ত, গায়ের জোর কমে গেছে, সেই সুযোগে শ্রীলঙ্কানদের ইংরেজরা বোঝাল যে ইংরেজরা আদতে নিরীহ বণিক, খুব পরোপকারী। তারা যদি ওলন্দাজদের বের করে দেয় তাহলে কি তারা সামান্য বাণিজ্য অধিকারটুকু পাবে? শ্রীলঙ্কানরা তখনো হয়তো পলাশীর গল্প শোনেনি বা তাদের হয়তো উপায় ছিল না। মন্দের ভালো হিসেবে ইংরেজদের পথ করে দেয় তারা।
তার পরের ইতিহাস? দারুচিনি দ্বীপ অবশেষে ইংরেজমুক্ত হয় দেড় শ বছর পর, ১৯৪৮ সালে।
আসলেই কি শ্রীলঙ্কানরা মুক্ত হয়েছে? নাকি ১৪১০ সালের পুনরাবৃত্তিতে আবারও সেই মিংদের খপ্পরে পড়ে গিয়েছে পাক্কা ৬০০ বছর পরে এসে? এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো পাওয়া যাবে আরও অনেক পরে।
লেখক: প্রযুক্তিবিদ, ইনফিনিয়াম ইউকে লিমিটেড, অক্সফোর্ড, যুক্তরাজ্য

সুচেতনা, তুমি এক দূরতর দ্বীপ
বিকেলের নক্ষত্রের কাছে;
সেইখানে দারুচিনি-বনানীর ফাঁকে
নির্জনতা আছে।…
সুচেতনা, জীবনানন্দ দাশ
জীবনানন্দ দাশের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে দারুচিনি দ্বীপের কথা, তার রহস্যময় শ্যামলিমার কথা, সেই সবুজের গহিনে দিকহারা নাবিকের আশ্রয়-আকাঙ্ক্ষার কথা। এই দারুচিনি দ্বীপ কি আসলে কোনো সমুদ্রঘেরা ভূখণ্ড, নাকি বনলতা সেন নিজেই—তা নিয়ে কবিরা বিতর্ক করুক। আমরা বরং এই দারুচিনি দ্বীপের তত্ত্ব তালাশ করি।
দারুচিনি দ্বীপের কথা শুনলেই আপনার মনে কোন দেশের কথা মনে হয়? নির্ঘাত শ্রীলঙ্কা। কিন্তু কেন? আমরা যে মিষ্টি কিন্তু ঝাঁজালো মসলা ব্যবহার করি প্রতিদিন, সেই দারুচিনি কি শ্রীলঙ্কা বা সিংহল থেকে আসে? যদি বলি ‘না’, তাহলে কি খানিক ধাক্কা লাগবে? লাগারই কথা।
দুনিয়ায় দারুচিনি দুই প্রকারের। একটা দেখতে গাছের বাকলের মতো, মুখে দিয়ে কামড় বসালে সুতীব্র ঘ্রাণ আর ঝাঁজালো মিষ্টি স্বাদে প্রাণ ভরিয়ে দেয়। এটি আমাদের মায়েরা প্রতিদিন ব্যবহার করছেন, হোটেলে-রেস্তোরাঁ-বিয়েবাড়িতে সুবাস ছোটাচ্ছে, এটি আমাদের অতিপরিচিত দারুচিনি—যার কেতাবি নাম কাসিয়া।
আরেক প্রকার অনেকটাই আলাদা, গাছের পাতলা বাকল পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে হাভানা চুরুটের মতন পাকিয়ে লম্বা লাঠির মতো বানিয়ে ইঞ্চি কয়েক করে কেটে সুদৃশ্য কাচের বোতলে বন্দী হয়ে বিক্রি হয় ইউরোপের দোকানে। সেই বস্তুর নাম সিনামন। গন্ধে ও স্বাদে আমাদের দারুচিনির মতো হলেও তীব্রতায় অনেক কম, অনেক ম্রিয়মাণ। অথচ তার দাম ক্যাসিয়ার চেয়ে অনেক বেশি। তাই সিনামন একরকমের দারুচিনি হলেও আমাদের ‘সাথে তার হয় নাকো দেখা!’
বোঝার সুবিধার জন্য আমাদের দারুচিনিকে ‘দারুচিনি’ আর উঁচুতলার চৌধুরী সাহেবের নামীদামি মসলাকে আপাতত ‘সিনামন’ বলেই ডাকা যাক।
অবাক করা বিষয় হচ্ছে, আমাদের অতিপরিচিত দারুচিনি শ্রীলঙ্কায় জন্মায় না! এর আদি নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব চীন দেশ। পরে কালের পরিক্রমায় মালয় সাগর বা ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপে বিস্তার লাভ করে। শ্রীলঙ্কায় জন্মে অতিমূল্যবান সিনামন, যা আমাদের দারুচিনি থেকে রূপে-গুণে-ঘ্রাণে আলাদা।

দক্ষিণ চীনদেশ থেকে আরব আর পারস্যের বণিকেরা জাহাজ বোঝাই করে যে বস্তু মালয় সাগর, বঙ্গোপসাগর আর ভারত মহাসাগরেরর উপকূলের নগর-বন্দরে-বাজারে বিক্রি করে অবশিষ্টাংশ ইউরোপে পাঠাত আকেলজান্দ্রিয়া হয়ে রোমে অথবা ভেনিসে, তাই-ই আমাদের পরিচিত দারুচিনি। আর সেই বণিকদের আরেক অংশ সিংহল দ্বীপ থেকে অথবা মালাবার বন্দর থেকে অনেক মূল্য দিয়ে আঁটি বেঁধে নিয়ে যেত সিনামন। শুনতে অনেকটা ধাঁধার মতো লাগে। যা লাউ তাই-ই কদু—এমন হলেও এখানে লাউ আর কদুর জাত আলাদা।
আসলে দারুচিনি নামের ভেতরেই এই ধাঁধার উত্তর আছে।
‘দারুচিনি’ ফারসি শব্দ, যা ভাঙলে হয় দার-এ-চিনি বা অর্থাৎ ‘চীন দেশের বাকল!’ আশাকরি এখন ব্যাপারটি পরিষ্কার।
খুব সম্ভবত, কবি জীবনানন্দ দাশ নিজেও এই কাহিনি জানতেন। তাই দারুচিনি দ্বীপের অবস্থান তাঁর বনলতা সেন কবিতায় রহস্যাবৃত রেখেছেন এই বলে যে, তা সিংহল সাগরেও হতে পারে, হতে পারে মালয় সাগরে। হয়তো, এই দুই সাগরে সব দ্বীপই দারুচিনি দ্বীপ।
তা ক্যাসিয়াই হোক আর সিনামনই হোক, এই পুরু বা পাতলা বাকল আসলে একই গোত্রের গাছ থেকে আসে। তাদের মিষ্টি ঘ্রাণ আর স্বাদ মানবসভ্যতাকে বিমোহিত করে রেখেছে আজ হাজার হাজার বছর ধরে। মিসরের ফারাও বা ফেরাউনেরা তাদের যজ্ঞ, দেবতার তুষ্টি, উৎসব বা শোকে দারুচিনি পুড়িয়ে অর্ঘ্য দিতেন। এমনকি মমিতেও দেওয়া হতো দারুচিনির গুঁড়ো। প্রাচীন প্যাপিরাস পুঁথিতে সুদূর কোনো দেশ থেকে যাওয়া দারুচিনির কথা বলা আছে। বাদশা সোলায়মানের দরবারে শিবার রানি দেখা করতে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন বিরাট এক বস্তা দারুচিনি ধনকুবের বাদশা সোলায়মানের আক্কেল গুড়ুম করে দেওয়ার জন্য।
কেননা, সেই সময় দারুচিনি ছিল অতিমূল্যবান এক বিলাসদ্রব্য। বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টের কয়েক জায়গায় দারুচিনির উল্লেখ। অর্থাৎ এশিয়ার সুদূরতম প্রান্তের বিচ্ছিন্ন কিছু দ্বীপের কথা কিছুমাত্র না জানলেও সারা মধ্যপ্রাচ্য, মিসর এবং ইউরোপ দারুচিনির প্রেমে দিওয়ানা ছিল—যেকোনো মূল্যেই তার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে তারা পিছপা হতো না।
এই দারুচিনিসহ অন্যান্য লোভনীয় মসলা ইউরোপে পৌঁছাত মূলত আরব বণিকদের হাত ঘুরে। তারা একাধারে ছিল বণিক এবং মধ্যস্বত্বভোগী। এরা কোনোভাবেই জানতে দিতে চাইত না এই দারুচিনি দ্বীপের উৎস কোথায়। তাই নানা রকম গালগল্প এদের মুখ থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল সারা পশ্চিমে। ইতিহাসের জনক বলে খ্যাত হেরোডোটাস তাঁর বিখ্যাত ‘দ্য হিস্টোরি’ বইয়ে দারুচিনি কোথা থেকে কীভাবে আসে, তার বয়ান দিয়েছেন এভাবে,

‘গহিন এবং শ্বাপদসংকুল জঙ্গল থেকে দারুচিনির ডাল সংগ্রহ করে পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে কাদামাটি মাখিয়ে বাসা বানায় অতিকায় এক রাক্ষস-পক্ষী। সেই পাহাড় দেখা গেলেও, তার ঢাল এতই খাড়া যে তা বেয়ে বেয়ে উঠে দারুচিনি নিয়ে আসা সম্ভব নয় কাঁধে করে। আর পাখির হাতে মরার আশঙ্কাও প্রচুর। তাহলে আনে কী করে? বণিকেরা বড়ই ধুরন্ধর, তারা একটা গরু না মহিষ কেটে বিরাট বিরাট মাংসের টুকরা পাহাড়ের নিচে ফেলে রেখে, তারপরে কাছের জঙ্গলে ঘাপটি মেরে বসে থাকে। বোকা পাখি সেই মাংসের টুকরোগুলো তার বাসায় নিতে থাকে জমিয়ে মজা করে খাওয়ার জন্য। কিন্তু অতিলোভে তাঁতি নষ্ট এই বাণী তাদের জানা ছিল না। তাই একসময় সেই মাংসের ভারেই পাখির বাসা ভেঙে গুঁড়িয়ে পাহাড়ের নিচে চলে আসে। তখন সেই চালাক বণিকেরা সেগুলো টপাটপ কুড়িয়ে বস্তায় ভরে নিয়ে দেয় চম্পট।’
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চাহিদা, লোভ এবং সাগর পাড়ি দেওয়ার সক্ষমতা বাড়ে। তারা আর এই সব গালগল্প খুব একটা বিশ্বাস করতে চায় না। তাই প্রথমে পূর্ব এবং পরে পশ্চিম—দুই দিক থেকেই শুধু বাণিজ্য নয়; বরং দখলদারত্বের উদগ্র আকাঙ্ক্ষায় তারা ছুটে আসতে থাকে দারুচিনি দ্বীপের দিকে।
প্রথমে আসে চীনারা। ১৪০০ সালের দিকে চীনের মিং রাজারা পরিকল্পনা করে, বিরাট নৌবহর নিয়ে মালয় এবং ভারত মহাসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করবে। শুরুতে তা নিতান্তই শুভেচ্ছা আর উপঢৌকন বিনিমিয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরে প্রভাব বিস্তার আর নিজেদের পছন্দসই রাজাকে মসনদে বসানোর খেলায় তারা যুক্ত হয়, যা অধুনা ‘রেজিম চেঞ্জ’ নামে কুখ্যাতি পেয়েছে। এদের কয়েকটা দল আমাদের বঙ্গভূমিতেও কয়েকবার এসেছিল সেই সময়ে। আমাদের কূটনীতিকেরাও তখন চীন দেশে যেতেন—সেই গল্প আরও চিত্তাকর্ষক।
১৪১০ সালের ভেতরে মালয় সাগরের ছোট ছোট রাজা-সুলতানকে সরিয়ে, চীনের নজর পরে শ্রীলঙ্কার দিকে। শুভেচ্ছা ভ্রমণের নাম করে হাজার হাজার নৌসেনা নিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কার দক্ষিণের এক বন্দরে। রাজা বদল শুধু নয়, তাদের বদনজর ছিল মধ্য-শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডি নামক নগরে শত শত বছরের রক্ষিত গৌতম বুদ্ধের একটি দাঁতের ওপরে। কারণ তা মহামূল্যবান আর এই দাঁত যার হাতে থাকবে সিংহলের জনগণ তার কথা শুনতে বাধ্য হবে। সেই অভিযান সফল না হলেও তারা সেই দাঁত চুরি করে নিয়ে পালাল। পরে সেই দাঁত কীভাবে যেন উদ্ধার পায় এবং ক্যান্ডিতে ফেরত আসে।
আরও ২০০ বছর মোটামুটি শান্তিতে থাকার পরে, সেই দারুচিনির গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে হায়েনার মতো এগিয়ে আসে পর্তুগিজ হার্মাদেরা। তারা ১৫০০ সালের মধ্যে ভারতের মালাবার উপকূলে ঘাঁটি গেড়ে বসলেও এবং সেখানের বাজারে সিনামন কিনতে পারলেও এই মসলার ব্যবসা পুরোপুরি কবজায় আনতে পারছিল না। কারণ মালাবার উপকূলে গোলমরিচ উৎপন্ন হলেও, সিনামন আসে সিংহল বা শ্রীলঙ্কা থেকে। এদিকে পর্তুগিজরা শ্রীলঙ্কার অবস্থান কোনোভাবেই বের করতে পারছিল না। কারণ পর্তুগিজরা তাদের অনুসরণ করবে এই ভয়ে আরব জাহাজ আর আগের মতো মালাবার হয়ে শ্রীলঙ্কা যেত না। আরব আর পারস্যের জাহাজ তাদের নজর এড়িয়ে মালদ্বীপ হয়ে শ্রীলঙ্কায় যেত এবং জাহাজ ভরে সিনামন বা দারুচিনি নিয়ে সেই পথে সটকে পড়ত।
১৫০৬ সালের দিকে পর্তুগিজদের এক জাহাজ আরব জাহাজকে ধরে শ্রীলঙ্কা থেকে আহরিত সব সিনামন কেড়ে নেবে সেই আশায় মালদ্বীপের দিকে রওনা হলো। ভারত মহাসাগরের অচেনা এই অংশে এসে বিপরীত এক স্রোতে পথ হারিয়ে ভাসতে ভাসতে হাজির হলো খোদ শ্রীলঙ্কারই দক্ষিণের এক উপকূলে। এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। তারা স্থানীয় রাজাকে অনেক মিষ্টি কথা বলে মন ভোলাল। তার পরে অন্তর্দ্বন্দ্বে বিভক্ত সিংহলি রাজ্যগুলোর দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে পর্তুগিজরা সিনামনের ব্যবসায় একচ্ছত্র অধিকার নিয়ে নিল আরব, পারসি, গুজরাটি সব বণিককে সরিয়ে। চীনাদের মতো আধিপত্যের আশায় তারাও বদনজর দিয়েছিল বুদ্ধের দাঁতের দিকে। কিন্তু তেমন সুবিধা করতে পারেনি।
এর প্রায় দেড় শ বছর পরে ওলন্দাজরা পর্তুগিজদের হটিয়ে দিতে থাকে এশিয়া থেকে। তারা শ্রীলঙ্কার দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হয়ে বসে ১৬৫৮ সালের ভেতর। অকথ্য অত্যাচার করে, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে শুধু সিনামন চাষিদের। এরা পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের আশায় হামলা চালায় ক্যান্ডিতে এবং ছিনিয়ে নেয় বুদ্ধের দাঁত। কিন্তু ক্যান্ডির জনতা আগেভাগেই আসল দাঁত সরিয়ে নকল দাঁত রেখে দিয়েছিল। তাই আসল দাঁতের বলে বলীয়ান হয়ে ওলন্দাজদের হটিয়ে দেয় ক্যান্ডি থেকে।
তবে শ্রীলঙ্কা থেকে এদের ঝেঁটিয়ে বের করার মতো হিম্মত শ্রীলঙ্কানদের ছিল না। শেষমেশ ১৭৯৬ সালে ফরাসি বিপ্লবের পরে ওলন্দাজরা যখন ফরাসিদের করায়ত্ত, গায়ের জোর কমে গেছে, সেই সুযোগে শ্রীলঙ্কানদের ইংরেজরা বোঝাল যে ইংরেজরা আদতে নিরীহ বণিক, খুব পরোপকারী। তারা যদি ওলন্দাজদের বের করে দেয় তাহলে কি তারা সামান্য বাণিজ্য অধিকারটুকু পাবে? শ্রীলঙ্কানরা তখনো হয়তো পলাশীর গল্প শোনেনি বা তাদের হয়তো উপায় ছিল না। মন্দের ভালো হিসেবে ইংরেজদের পথ করে দেয় তারা।
তার পরের ইতিহাস? দারুচিনি দ্বীপ অবশেষে ইংরেজমুক্ত হয় দেড় শ বছর পর, ১৯৪৮ সালে।
আসলেই কি শ্রীলঙ্কানরা মুক্ত হয়েছে? নাকি ১৪১০ সালের পুনরাবৃত্তিতে আবারও সেই মিংদের খপ্পরে পড়ে গিয়েছে পাক্কা ৬০০ বছর পরে এসে? এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো পাওয়া যাবে আরও অনেক পরে।
লেখক: প্রযুক্তিবিদ, ইনফিনিয়াম ইউকে লিমিটেড, অক্সফোর্ড, যুক্তরাজ্য

আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
৩৭ মিনিট আগে
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
১ ঘণ্টা আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
২ ঘণ্টা আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে। সাবধান! এই অর্থ আপনার একার, মহাজাগতিক ঋণের নয়। সারা দিন জনসেবার ইচ্ছা জাগবে, ভালো কথা। কিন্তু তার আগে নিজের বিলগুলো মেটানো জরুরি। ভাগ্য আজ আপনাকে দেখাবে—টাকা উপার্জন করা যতটা সহজ, সেটা ধরে রাখা তার চেয়েও কঠিন! আজকের মন্ত্র হোক: কফি খাব, তবে বিল দেব না।
বৃষ
সকাল থেকে একটা অদ্ভুত মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি আপনাকে তাড়া করবে। এর কারণ সম্ভবত গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্টুন দেখা। জ্যোতিষ বলছে, ‘কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু আপনাকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন।’ সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি আর কেউ নয়—সে হলো আপনার ফ্রিজের ভেতরে রাখা সেই মিষ্টির বাক্স, যেটি আপনাকে ডায়েট ভাঙতে উৎসাহিত করবে। ধ্যানের মাধ্যমে একাগ্রতা আনার চেষ্টা করুন। বস যদি সকালে কাজে ভুল ধরেন, তখন যোগাভ্যাস শুরু করে দিতে পারেন, হয়তো বস ভয় পাবেন। পেটের সমস্যা এড়াতে আজ অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। কিন্তু যদি দেখেন বন্ধু বিরিয়ানি খাওয়াতে চাচ্ছে, তাহলে এই উপদেশ ভুলে যান। মন খারাপ? মনকে বলুন, ‘বিকেলের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে, তার আগে ঘুমাও।’
মিথুন
সকালের দিকে মেজাজ এমন খিটখিটে থাকবে যে, পোষা প্রাণীটাও আপনাকে এড়িয়ে চলবে। তবে চিন্তা নেই, বিকেলের দিকে মুড ফ্রেশ হবে—যদি না কোনো অপ্রত্যাশিত ফোন কল আসে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম হতে পারে, যা আপনার অহংবোধকে একধাপ বাড়িয়ে দেবে। আজ কিছু নতুন পোশাক, মোবাইল ফোন ইত্যাদি কেনার যোগ রয়েছে। আপনার সম্মান বৃদ্ধির মূল কারণ হতে পারে নতুন ফোনের ক্যামেরা। তাই নিজেকে প্রমাণ করতে নয়, বরং ভালো সেলফি তোলার জন্য আজ মন দিন। সাবধানে অর্থ ব্যয় করুন। যদি অনলাইনে কোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস চোখে পড়ে, মনে রাখবেন—ওটা কালকেও থাকবে।
কর্কট
আজকের দিনটি আপনার জন্য বেশ ব্যয়বহুল হতে চলেছে। এর মানে এই নয় যে দামি কিছু কিনবেন, বরং মানে হলো—হয়তো অফিসের কলিগদের জন্য চা-কফি কিনে নিজের মাসকাবারি বাজেট শেষ করবেন। বসের কাছে প্রশংসা পাবেন, কারণ আপনি কাজের প্রতি খুবই দায়িত্বশীল। এই দায়িত্বশীলতা আপনাকে আরও বেশি কাজ এনে দেবে, যা ভবিষ্যতে মানসিক ভারসাম্য নষ্টের কারণ হবে। সরকারি কাজে অসুবিধা দেখা দেবে—কারণ সরকারি কাজ সব সময়ই অসুবিধা সৃষ্টি করে। ভদ্র থাকুন, নইলে টাকা শেষ হয়ে গেলে ধার চাওয়ার মুখ থাকবে না।
সিংহ
প্রতিদিনের স্বাভাবিক রুটিন বদলানোর চেষ্টা কেউ একজন করবে। সেই ‘কেউ একজন’ আর কেউ নয়, তিনি হলেন আপনার জীবনসঙ্গী, যিনি আপনাকে দিয়ে ঘরের কাজ করানোর চেষ্টা করবেন। সেদিকে বিশেষ নজর রাখুন। তবে দিনের শেষে রোমান্সের যোগ রয়েছে, যদি আপনি রুটিন বদলের এই চ্যালেঞ্জে হেরে যান এবং বশ্যতা স্বীকার করেন। আজ ব্যবসা বা পেশার জন্য অর্থ সংগ্রহে আপনি সফল হবেন। ঘরের কাজকে প্রেমের খেলা মনে করুন। হারলেও লাভ, জিতলেও!
কন্যা
সারা দিন আপনার কোনো বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। চেষ্টা করলেও, ভেতরের কণ্ঠস্বর আপনাকে মনে করিয়ে দেবে—কত কাজ বাকি আছে। আজ আপনার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সামান্য সর্দি-কাশিকে কঠিন ব্যামো ভেবে সারা দিন গুগল করতে পারেন। অফিসে পদোন্নতির যোগ রয়েছে, তবে এর মানে হলো—আপনার ওপর চাপ আরও বাড়বে। ব্যবসায়ীরা আজ আর্থিক বিষয়ে হতাশ হতে পারেন। সন্তানদের বিষয়ে একটু সতর্ক থাকুন। আজ হয়তো তারা আপনার গোপনে জমানো চকলেট খুঁজে পেতে পারে।
তুলা
ব্যবসায় খুব বেশি লাভ দেখতে পাওয়ার যোগ রয়েছে। এই লাভকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যের আগের থেকে উন্নতি দেখা যাবে। আজকের দিনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভদ্র থাকবেন এবং মানসিকভাবে ভারসাম্য বজায় রাখবেন। তবে সাবধান, এই ভদ্রতা যেন অতিরিক্ত বিনয়ে রূপ না নেয়। না হলে সবাই আপনাকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেবে। অতিরিক্ত লাভের খবর পেয়ে রাতে ঘুম ভাঙতে পারে। চিন্তা করবেন না, এটা শুধু গ্যাস।
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য ফলপ্রসূ হতে চলেছে। তবে এই ‘ফল’ হয়তো আপনার ই-মেইল ইনবক্সে জমা হওয়া হাজারো নতুন ই-মেইলের স্তূপ! কর্মজীবনের দিক থেকে নতুন সুযোগ পেতে পারেন। এটি হতে পারে—বসের নতুন প্রজেক্ট, যা আপনি একা সামলাবেন। অর্থের দিক থেকে দিনটি শুভ, কারণ আপনি আজ বুদ্ধি করে একটি অপ্রয়োজনীয় অনলাইন শপিং অর্ডার বাতিল করবেন। অর্থের দিক থেকে শুভ, মানে আপনি আজ অন্তত এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
ধনু
আপনার জন্য আজ একটি শুভ দিন হতে চলেছে। এতটা শুভ যে, হয়তো সকালে উঠে জুতা পরার সময় মোজা পরতে ভুলে যাবেন। ক্যারিয়ারে লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি পরিকল্পনা করুন। দিনের মূল প্ল্যানিং হবে, কীভাবে এই পরিকল্পনাকে আবার পরের দিনের জন্য স্থগিত করা যায়। গাড়ি চালানোর সময় অসতর্কতা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষত যখন আপনি ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। আপনার ভাগ্য আজ ভালো, শুধু নিজেকে বেশি সিরিয়াস না নিলেই হলো।
মকর
জ্যোতিষ বলছে, ‘সব জায়গায় ইতিবাচক মনোভাব দেখালে চলবে না।’ সত্যি কথা! আপনার ইতিবাচকতা দেখে অন্যরা ভয় পেতে পারে। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। ঝামেলার কারণ—আপনাকে দেখিয়ে কেউ যদি ভুল করে হাসে! বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন, যেমন—সকালের নাশতায় কী খাবেন, পাউরুটি নাকি পরোটা? আপনি মানসিক চাপে ভুগতে পারেন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন। যদি দেখেন কেউ আলু-পেঁয়াজ নিয়ে তর্ক করছে, সেখানে জড়াবেন না।
কুম্ভ
শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রচুর দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মানে শুধু একটাই—আপনার ছুটি বাতিল। রাজনৈতিক কোনো কাজ করার আগে খুব ভাবনাচিন্তা করার দরকার আছে। সামনে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ আসবে, কিন্তু আপনি এমন দায়িত্বশীল যে সেই সুযোগ নিতে পারবেন না। যদিও মন চাইবে, ‘যাই হোক, একটু ফাঁকি দেওয়া যাক।’ এই দোটানা মানসিক চাপ বাড়াবে। ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ এলেও, যদি দেখেন বস আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছেন, তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করুন।
মীন
আজ সৃজনশীল শক্তিতে পূর্ণ একটি দিন কাটাবেন। আপনার এই সৃজনশীলতা হয়তো কাজে লাগতে পারে—বাড়িতে ভেঙে যাওয়া দামি জিনিসটি মেরামত করার জন্য। অর্থের দিক থেকে ভাগ্যবান প্রমাণিত হতে পারেন। হয়তো পুরোনো কোনো প্যান্টের পকেটে একটি পাঁচশ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। কেউ কোনো দায়িত্ব দিলে একেবারেই নেবেন না, কারণ এটা আপনার জন্য একটি ফাঁদ হতে পারে। আজ উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে—কারণ আপনি ওই দায়িত্বটি না নিতে পারার অপরাধবোধে ভুগবেন। দাম্পত্য জীবন শান্ত ও সুখকর থাকবে। কারণ সঙ্গী আজ আপনার সৃজনশীলতা দেখে কথা বলার সাহস পাবেন না।

মেষ
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে। সাবধান! এই অর্থ আপনার একার, মহাজাগতিক ঋণের নয়। সারা দিন জনসেবার ইচ্ছা জাগবে, ভালো কথা। কিন্তু তার আগে নিজের বিলগুলো মেটানো জরুরি। ভাগ্য আজ আপনাকে দেখাবে—টাকা উপার্জন করা যতটা সহজ, সেটা ধরে রাখা তার চেয়েও কঠিন! আজকের মন্ত্র হোক: কফি খাব, তবে বিল দেব না।
বৃষ
সকাল থেকে একটা অদ্ভুত মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি আপনাকে তাড়া করবে। এর কারণ সম্ভবত গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্টুন দেখা। জ্যোতিষ বলছে, ‘কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু আপনাকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন।’ সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি আর কেউ নয়—সে হলো আপনার ফ্রিজের ভেতরে রাখা সেই মিষ্টির বাক্স, যেটি আপনাকে ডায়েট ভাঙতে উৎসাহিত করবে। ধ্যানের মাধ্যমে একাগ্রতা আনার চেষ্টা করুন। বস যদি সকালে কাজে ভুল ধরেন, তখন যোগাভ্যাস শুরু করে দিতে পারেন, হয়তো বস ভয় পাবেন। পেটের সমস্যা এড়াতে আজ অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। কিন্তু যদি দেখেন বন্ধু বিরিয়ানি খাওয়াতে চাচ্ছে, তাহলে এই উপদেশ ভুলে যান। মন খারাপ? মনকে বলুন, ‘বিকেলের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে, তার আগে ঘুমাও।’
মিথুন
সকালের দিকে মেজাজ এমন খিটখিটে থাকবে যে, পোষা প্রাণীটাও আপনাকে এড়িয়ে চলবে। তবে চিন্তা নেই, বিকেলের দিকে মুড ফ্রেশ হবে—যদি না কোনো অপ্রত্যাশিত ফোন কল আসে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম হতে পারে, যা আপনার অহংবোধকে একধাপ বাড়িয়ে দেবে। আজ কিছু নতুন পোশাক, মোবাইল ফোন ইত্যাদি কেনার যোগ রয়েছে। আপনার সম্মান বৃদ্ধির মূল কারণ হতে পারে নতুন ফোনের ক্যামেরা। তাই নিজেকে প্রমাণ করতে নয়, বরং ভালো সেলফি তোলার জন্য আজ মন দিন। সাবধানে অর্থ ব্যয় করুন। যদি অনলাইনে কোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস চোখে পড়ে, মনে রাখবেন—ওটা কালকেও থাকবে।
কর্কট
আজকের দিনটি আপনার জন্য বেশ ব্যয়বহুল হতে চলেছে। এর মানে এই নয় যে দামি কিছু কিনবেন, বরং মানে হলো—হয়তো অফিসের কলিগদের জন্য চা-কফি কিনে নিজের মাসকাবারি বাজেট শেষ করবেন। বসের কাছে প্রশংসা পাবেন, কারণ আপনি কাজের প্রতি খুবই দায়িত্বশীল। এই দায়িত্বশীলতা আপনাকে আরও বেশি কাজ এনে দেবে, যা ভবিষ্যতে মানসিক ভারসাম্য নষ্টের কারণ হবে। সরকারি কাজে অসুবিধা দেখা দেবে—কারণ সরকারি কাজ সব সময়ই অসুবিধা সৃষ্টি করে। ভদ্র থাকুন, নইলে টাকা শেষ হয়ে গেলে ধার চাওয়ার মুখ থাকবে না।
সিংহ
প্রতিদিনের স্বাভাবিক রুটিন বদলানোর চেষ্টা কেউ একজন করবে। সেই ‘কেউ একজন’ আর কেউ নয়, তিনি হলেন আপনার জীবনসঙ্গী, যিনি আপনাকে দিয়ে ঘরের কাজ করানোর চেষ্টা করবেন। সেদিকে বিশেষ নজর রাখুন। তবে দিনের শেষে রোমান্সের যোগ রয়েছে, যদি আপনি রুটিন বদলের এই চ্যালেঞ্জে হেরে যান এবং বশ্যতা স্বীকার করেন। আজ ব্যবসা বা পেশার জন্য অর্থ সংগ্রহে আপনি সফল হবেন। ঘরের কাজকে প্রেমের খেলা মনে করুন। হারলেও লাভ, জিতলেও!
কন্যা
সারা দিন আপনার কোনো বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। চেষ্টা করলেও, ভেতরের কণ্ঠস্বর আপনাকে মনে করিয়ে দেবে—কত কাজ বাকি আছে। আজ আপনার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সামান্য সর্দি-কাশিকে কঠিন ব্যামো ভেবে সারা দিন গুগল করতে পারেন। অফিসে পদোন্নতির যোগ রয়েছে, তবে এর মানে হলো—আপনার ওপর চাপ আরও বাড়বে। ব্যবসায়ীরা আজ আর্থিক বিষয়ে হতাশ হতে পারেন। সন্তানদের বিষয়ে একটু সতর্ক থাকুন। আজ হয়তো তারা আপনার গোপনে জমানো চকলেট খুঁজে পেতে পারে।
তুলা
ব্যবসায় খুব বেশি লাভ দেখতে পাওয়ার যোগ রয়েছে। এই লাভকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যের আগের থেকে উন্নতি দেখা যাবে। আজকের দিনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভদ্র থাকবেন এবং মানসিকভাবে ভারসাম্য বজায় রাখবেন। তবে সাবধান, এই ভদ্রতা যেন অতিরিক্ত বিনয়ে রূপ না নেয়। না হলে সবাই আপনাকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেবে। অতিরিক্ত লাভের খবর পেয়ে রাতে ঘুম ভাঙতে পারে। চিন্তা করবেন না, এটা শুধু গ্যাস।
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য ফলপ্রসূ হতে চলেছে। তবে এই ‘ফল’ হয়তো আপনার ই-মেইল ইনবক্সে জমা হওয়া হাজারো নতুন ই-মেইলের স্তূপ! কর্মজীবনের দিক থেকে নতুন সুযোগ পেতে পারেন। এটি হতে পারে—বসের নতুন প্রজেক্ট, যা আপনি একা সামলাবেন। অর্থের দিক থেকে দিনটি শুভ, কারণ আপনি আজ বুদ্ধি করে একটি অপ্রয়োজনীয় অনলাইন শপিং অর্ডার বাতিল করবেন। অর্থের দিক থেকে শুভ, মানে আপনি আজ অন্তত এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
ধনু
আপনার জন্য আজ একটি শুভ দিন হতে চলেছে। এতটা শুভ যে, হয়তো সকালে উঠে জুতা পরার সময় মোজা পরতে ভুলে যাবেন। ক্যারিয়ারে লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি পরিকল্পনা করুন। দিনের মূল প্ল্যানিং হবে, কীভাবে এই পরিকল্পনাকে আবার পরের দিনের জন্য স্থগিত করা যায়। গাড়ি চালানোর সময় অসতর্কতা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষত যখন আপনি ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। আপনার ভাগ্য আজ ভালো, শুধু নিজেকে বেশি সিরিয়াস না নিলেই হলো।
মকর
জ্যোতিষ বলছে, ‘সব জায়গায় ইতিবাচক মনোভাব দেখালে চলবে না।’ সত্যি কথা! আপনার ইতিবাচকতা দেখে অন্যরা ভয় পেতে পারে। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। ঝামেলার কারণ—আপনাকে দেখিয়ে কেউ যদি ভুল করে হাসে! বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন, যেমন—সকালের নাশতায় কী খাবেন, পাউরুটি নাকি পরোটা? আপনি মানসিক চাপে ভুগতে পারেন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন। যদি দেখেন কেউ আলু-পেঁয়াজ নিয়ে তর্ক করছে, সেখানে জড়াবেন না।
কুম্ভ
শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রচুর দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মানে শুধু একটাই—আপনার ছুটি বাতিল। রাজনৈতিক কোনো কাজ করার আগে খুব ভাবনাচিন্তা করার দরকার আছে। সামনে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ আসবে, কিন্তু আপনি এমন দায়িত্বশীল যে সেই সুযোগ নিতে পারবেন না। যদিও মন চাইবে, ‘যাই হোক, একটু ফাঁকি দেওয়া যাক।’ এই দোটানা মানসিক চাপ বাড়াবে। ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ এলেও, যদি দেখেন বস আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছেন, তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করুন।
মীন
আজ সৃজনশীল শক্তিতে পূর্ণ একটি দিন কাটাবেন। আপনার এই সৃজনশীলতা হয়তো কাজে লাগতে পারে—বাড়িতে ভেঙে যাওয়া দামি জিনিসটি মেরামত করার জন্য। অর্থের দিক থেকে ভাগ্যবান প্রমাণিত হতে পারেন। হয়তো পুরোনো কোনো প্যান্টের পকেটে একটি পাঁচশ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। কেউ কোনো দায়িত্ব দিলে একেবারেই নেবেন না, কারণ এটা আপনার জন্য একটি ফাঁদ হতে পারে। আজ উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে—কারণ আপনি ওই দায়িত্বটি না নিতে পারার অপরাধবোধে ভুগবেন। দাম্পত্য জীবন শান্ত ও সুখকর থাকবে। কারণ সঙ্গী আজ আপনার সৃজনশীলতা দেখে কথা বলার সাহস পাবেন না।

খাবারের স্বাদ বাড়াতে মসলার গুরুত্ব অনেক। এ জন্য সেই প্রাচীনকাল থেকে মসলা নিয়ে ইউরোপীয়রা এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অভিযান চালিয়েছিল। বর্তমান শ্রীলঙ্কাতেও চালানো হয়েছিল তেমনি রক্তক্ষয়ী অভিযান, যার মূল লক্ষ্য ছিল দারুচিনি বা সিনামন। মসলা তাই শুধু স্বাদের গল্প নয়।
০৮ আগস্ট ২০২২
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
১ ঘণ্টা আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
২ ঘণ্টা আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

প্রশ্ন: চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়। চুলের যত্নে কীভাবে এর তরতাজা ভাব ধরে রাখা যায়?
স্নিগ্ধা বাহার, ঢাকা
উত্তর: হেয়ার ডিটক্স আপনার জন্য ভালো সমাধান। এর মাধ্যমে চুল পুনরুজ্জীবিত হয়। কিন্তু হেয়ার ডিটক্স ট্রিটমেন্ট বাড়িতে শতভাগ সম্ভব নয়। তবে হেয়ার ডিটক্স প্যাক লাগানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে, প্রথমে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। এরপর কোনো হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এই শ্যাম্পু তৈরি করে নিতে হবে আপেল সিডার ভিনেগার, নারকেলের দুধ, একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং অল্প পরিমাণে কোনো মাইল্ড শ্যাম্পু ভালো করে মিশিয়ে। এটি ব্যবহারে মাথার ত্বকে জমা হওয়া ধুলোবালি, ময়লা ও অতিরিক্ত তেল ধুয়ে যাবে।
এ ছাড়া এখন বাজারে সি-সল্ট পাওয়া যায়। একটি বাটিতে অ্যালোভেরা জেল, আপেল সিডার ভিনেগার এবং অল্প পরিমাণে সি-সল্ট একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে রাখতে হবে আধা ঘণ্টা। এরপর যেকোনো প্রোটিন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
প্রশ্ন: চুলের মসৃণ ভাব ফিরে পেতে ঘরে তৈরি হেয়ার রিপেয়ারিং মাস্কের পরামর্শ চাই। উপকরণগুলো সহজলভ্য হলে ভালো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, দিনাজপুর
উত্তর: বাড়িতে যত্ন নেওয়া গেলে পারলারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। একটি বাটিতে ডিম ভেঙে নিন। এর সঙ্গে টক দই ও অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এই মিশ্রণ শ্যাম্পু করা মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রাখতে হবে। এরপর আবার শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চুল সিল্কি হয়।
প্রশ্ন: শীতে পুরুষের ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখতে সহজ এবং সাধারণ কিছু টিপস প্রয়োজন। জানালে বিশেষ উপকৃত হব।
নীল মজুমদার, সোনারগাঁ
উত্তর: ত্বক পেলব রাখতে এখন থেকে প্রতিদিন রাতে অলিভ অয়েল ও গোলাপজল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে মেখে নেবেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পাকা টমেটোর প্যাক খুবই উপকারী। পাকা টমেটো পেস্টের সঙ্গে ২ চামচ টক দই এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধা শুকনো হয়ে এলে কিছুটা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
প্রশ্ন: শীতে সব সময় পা ঢাকা জুতা ব্যবহার করি। এর সঙ্গে মোজা তো পরতেই হয়। কিন্তু এ ধরনের জুতা পরার পর পায়ে গন্ধ হয়। এ ছাড়া শীতে পায়ের আঙুলের ফাঁকে খুব চুলকানি হয়। এর জন্য ট্যালকম পাউডার ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করি। পা ফ্রেশ রাখতে ভালো সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
পম্পা শেখ, লক্ষ্মীপুর
উত্তর: দীর্ঘক্ষণ পরিধান করার কারণে জুতার ভেতরে পা ঘেমে যেতে পারে। তাই কিছুক্ষণ পরপর জুতা খুলে রাখুন। সুতির মোজা ব্যবহার করুন। এ ধরনের মোজা পায়ের ঘাম শুষে নিতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ধোয়া পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করুন। অফিসে গিয়ে সম্ভব হলে জুতা-মোজা খুলে খোলা স্যান্ডেল পায়ে দিন। জুতা যদি পায়ে দিতেই হয়, তাহলে চামড়া বা কাপড়ের জুতা ব্যবহার করুন। এতে বাইরের বাতাস জুতার ভেতর যাওয়া-আসা করতে পারবে, এর ফলে পা ঘামবে কম। বাড়ি ফিরে হালকা গরম পানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমে যাবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বত্বাধিকারী বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার

প্রশ্ন: চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়। চুলের যত্নে কীভাবে এর তরতাজা ভাব ধরে রাখা যায়?
স্নিগ্ধা বাহার, ঢাকা
উত্তর: হেয়ার ডিটক্স আপনার জন্য ভালো সমাধান। এর মাধ্যমে চুল পুনরুজ্জীবিত হয়। কিন্তু হেয়ার ডিটক্স ট্রিটমেন্ট বাড়িতে শতভাগ সম্ভব নয়। তবে হেয়ার ডিটক্স প্যাক লাগানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে, প্রথমে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। এরপর কোনো হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এই শ্যাম্পু তৈরি করে নিতে হবে আপেল সিডার ভিনেগার, নারকেলের দুধ, একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং অল্প পরিমাণে কোনো মাইল্ড শ্যাম্পু ভালো করে মিশিয়ে। এটি ব্যবহারে মাথার ত্বকে জমা হওয়া ধুলোবালি, ময়লা ও অতিরিক্ত তেল ধুয়ে যাবে।
এ ছাড়া এখন বাজারে সি-সল্ট পাওয়া যায়। একটি বাটিতে অ্যালোভেরা জেল, আপেল সিডার ভিনেগার এবং অল্প পরিমাণে সি-সল্ট একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে রাখতে হবে আধা ঘণ্টা। এরপর যেকোনো প্রোটিন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
প্রশ্ন: চুলের মসৃণ ভাব ফিরে পেতে ঘরে তৈরি হেয়ার রিপেয়ারিং মাস্কের পরামর্শ চাই। উপকরণগুলো সহজলভ্য হলে ভালো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, দিনাজপুর
উত্তর: বাড়িতে যত্ন নেওয়া গেলে পারলারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। একটি বাটিতে ডিম ভেঙে নিন। এর সঙ্গে টক দই ও অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এই মিশ্রণ শ্যাম্পু করা মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রাখতে হবে। এরপর আবার শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চুল সিল্কি হয়।
প্রশ্ন: শীতে পুরুষের ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখতে সহজ এবং সাধারণ কিছু টিপস প্রয়োজন। জানালে বিশেষ উপকৃত হব।
নীল মজুমদার, সোনারগাঁ
উত্তর: ত্বক পেলব রাখতে এখন থেকে প্রতিদিন রাতে অলিভ অয়েল ও গোলাপজল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে মেখে নেবেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পাকা টমেটোর প্যাক খুবই উপকারী। পাকা টমেটো পেস্টের সঙ্গে ২ চামচ টক দই এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধা শুকনো হয়ে এলে কিছুটা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
প্রশ্ন: শীতে সব সময় পা ঢাকা জুতা ব্যবহার করি। এর সঙ্গে মোজা তো পরতেই হয়। কিন্তু এ ধরনের জুতা পরার পর পায়ে গন্ধ হয়। এ ছাড়া শীতে পায়ের আঙুলের ফাঁকে খুব চুলকানি হয়। এর জন্য ট্যালকম পাউডার ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করি। পা ফ্রেশ রাখতে ভালো সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
পম্পা শেখ, লক্ষ্মীপুর
উত্তর: দীর্ঘক্ষণ পরিধান করার কারণে জুতার ভেতরে পা ঘেমে যেতে পারে। তাই কিছুক্ষণ পরপর জুতা খুলে রাখুন। সুতির মোজা ব্যবহার করুন। এ ধরনের মোজা পায়ের ঘাম শুষে নিতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ধোয়া পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করুন। অফিসে গিয়ে সম্ভব হলে জুতা-মোজা খুলে খোলা স্যান্ডেল পায়ে দিন। জুতা যদি পায়ে দিতেই হয়, তাহলে চামড়া বা কাপড়ের জুতা ব্যবহার করুন। এতে বাইরের বাতাস জুতার ভেতর যাওয়া-আসা করতে পারবে, এর ফলে পা ঘামবে কম। বাড়ি ফিরে হালকা গরম পানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমে যাবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বত্বাধিকারী বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার

খাবারের স্বাদ বাড়াতে মসলার গুরুত্ব অনেক। এ জন্য সেই প্রাচীনকাল থেকে মসলা নিয়ে ইউরোপীয়রা এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অভিযান চালিয়েছিল। বর্তমান শ্রীলঙ্কাতেও চালানো হয়েছিল তেমনি রক্তক্ষয়ী অভিযান, যার মূল লক্ষ্য ছিল দারুচিনি বা সিনামন। মসলা তাই শুধু স্বাদের গল্প নয়।
০৮ আগস্ট ২০২২
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
৩৭ মিনিট আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
২ ঘণ্টা আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

খাবারের স্বাদ বাড়াতে মসলার গুরুত্ব অনেক। এ জন্য সেই প্রাচীনকাল থেকে মসলা নিয়ে ইউরোপীয়রা এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অভিযান চালিয়েছিল। বর্তমান শ্রীলঙ্কাতেও চালানো হয়েছিল তেমনি রক্তক্ষয়ী অভিযান, যার মূল লক্ষ্য ছিল দারুচিনি বা সিনামন। মসলা তাই শুধু স্বাদের গল্প নয়।
০৮ আগস্ট ২০২২
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
৩৭ মিনিট আগে
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
১ ঘণ্টা আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়। ফলে রং করা চুল অনেকটাই ফ্যাকাশে হয়ে যায়। যাঁরা বাড়িতেই চুল রাঙান তাঁদের রং করার পর চুল ধোয়া থেকে শুরু করে শুকানোর পদ্ধতিতেও কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
সঠিক শ্যাম্পু বাছাই
চুলে রং করার পর প্রথমে কালার প্রোটেকটিভ শ্যাম্পু বাছাই করুন। এই শ্যাম্পুগুলো দীর্ঘদিন চুলে রং বজায় রাখতে সহায়তা করে।
চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পু নয়
চুলে রং করার পর সপ্তাহে দু-তিনবার শ্যাম্পু করুন। তবে রোজ বাইরে গেলে প্রয়োজনে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত তেল ব্যবহার
রং করার পর; বিশেষ করে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেল ম্যাসাজ করে নিন।
স্টাইলিং কম করুন
রং করা চুলে স্ট্রেটনার কিংবা কার্লার যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। কারণ, এর ফলে চুল আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
নিয়ম করে প্যাক মাখুন
পাকা কলা ও মধু পেস্ট করে সপ্তাহে দুদিন চুলে মেখে রাখুন ২০ মিনিট করে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে মসৃণ।
সূত্র: ল’রিয়েল প্যারিস ইউকে ও অন্যান্য

চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়। ফলে রং করা চুল অনেকটাই ফ্যাকাশে হয়ে যায়। যাঁরা বাড়িতেই চুল রাঙান তাঁদের রং করার পর চুল ধোয়া থেকে শুরু করে শুকানোর পদ্ধতিতেও কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
সঠিক শ্যাম্পু বাছাই
চুলে রং করার পর প্রথমে কালার প্রোটেকটিভ শ্যাম্পু বাছাই করুন। এই শ্যাম্পুগুলো দীর্ঘদিন চুলে রং বজায় রাখতে সহায়তা করে।
চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পু নয়
চুলে রং করার পর সপ্তাহে দু-তিনবার শ্যাম্পু করুন। তবে রোজ বাইরে গেলে প্রয়োজনে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত তেল ব্যবহার
রং করার পর; বিশেষ করে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেল ম্যাসাজ করে নিন।
স্টাইলিং কম করুন
রং করা চুলে স্ট্রেটনার কিংবা কার্লার যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। কারণ, এর ফলে চুল আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
নিয়ম করে প্যাক মাখুন
পাকা কলা ও মধু পেস্ট করে সপ্তাহে দুদিন চুলে মেখে রাখুন ২০ মিনিট করে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে মসৃণ।
সূত্র: ল’রিয়েল প্যারিস ইউকে ও অন্যান্য

খাবারের স্বাদ বাড়াতে মসলার গুরুত্ব অনেক। এ জন্য সেই প্রাচীনকাল থেকে মসলা নিয়ে ইউরোপীয়রা এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অভিযান চালিয়েছিল। বর্তমান শ্রীলঙ্কাতেও চালানো হয়েছিল তেমনি রক্তক্ষয়ী অভিযান, যার মূল লক্ষ্য ছিল দারুচিনি বা সিনামন। মসলা তাই শুধু স্বাদের গল্প নয়।
০৮ আগস্ট ২০২২
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
৩৭ মিনিট আগে
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
১ ঘণ্টা আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
২ ঘণ্টা আগে