জীবনধারা ডেস্ক
ঢাকা: ‘ইয়াস’ শব্দটি মূলত পার্সি। এর ইংরেজি প্রতিশব্দ জেসমিন। বাংলায় যাকে বলা হয় জুঁই ফুল। ফুলের নামে নাম হলেও এটি মোটেও ফুলের মতো পেলব কোনো বিষয় নয়। এটি ঘূর্ণিঝড়ের নাম। ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরে তার জন্ম হয়েছে। ধেয়ে আসছে উপকূলের দিকে। যদিও আবহাওয়াবিদেরা জানাচ্ছেন, দিক পরিবর্তন না করলে এটির বাংলাদেশে ভয়ংকরভাবে আঘাত হানার কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু পথ ঘুরে গেলেই আমাদের বিপদে পড়তে হবে। আঘাত হানবে কি হানবে না সেটা পরের বিষয়। আগেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে, যাতে সহজেই এড়ানো যায় বিভিন্ন ধরনের বিপদ।
সতর্ক সংকেত জানতে হবে
‘সতর্ক সংকেত’ ঝড়ের ভয়াবহতা বুঝতে সহায়তা করে। আবহাওয়া অফিস থেকে দেওয়া সতর্ক সংকেতের ওপর ভিত্তি করে সরকার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। ফলে সতর্ক সংকেত খেয়াল রাখার কোনো বিকল্প নেই। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর বিপজ্জনক অবস্থায় থাকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। এবারও তার ব্যতিক্রম নেই। ফলে এসব অঞ্চল এবং এর সংলগ্ন অঞ্চলগুলোতে দেওয়া সতর্ক সংকেত ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে সমুদ্রে থাকা বিভিন্ন যানবাহন তাদের মতো করে ব্যবস্থা নেবে।
আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হবে
ঝড়ের ভয়াবহতার ওপর নির্ভর করে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হবে। অথবা স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজটি করুন। ঝড়ে জীবন ও সম্পদ রক্ষা করার জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার বিকল্প নেই।
অতিপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র
ঝড় এলে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য কিছু প্রস্তুতি রাখতে হবে, যাতে সেখানে গিয়ে এক বা দুদিন বিপদ না হয়। এ সময় সঙ্গে রাখতে হবে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি এবং আলোর উৎস যেমন দেশলাই বা গ্যাস লাইটার, মোমবাতি বা হারিকেন, টর্চ লাইট এবং মোবাইল ফোন, মোবাইল চার্জার ও পাওয়ার ব্যাংক। এগুলো বিদ্যুৎব্যবস্থার বিপর্যয় হলে কাজে লাগবে। সম্ভব হলে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামও রাখতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, ডায়েরিয়ায় প্রাথমিকভাবে ব্যবহার হয় এমন কিছু ওষুধ। আর রাখতে হবে ওরস্যালাইন। খুব জরুরি এসব জিনিস প্লাস্টিকজাতীয় ব্যাগে ভরে রাখতে হবে, যাতে পানি এগুলোর কোনো ক্ষতি করতে না পারে।
এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে লাগতে পারে এমন কাগজপত্রও সঙ্গে রাখুন যেমন পরিচয়পত্র, ওষুধের প্রেসক্রিপশন ইত্যাদি। অতি জরুরি এসব জিনিসপত্র আগেই সংগ্রহ করে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখুন, যাতে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় সহজে খুঁজে পান।
সঙ্গে রাখুন মাস্ক
এ বছর করোনাভাইরাসেরর কারণে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য সঙ্গে রাখতে হবে মাস্ক। আশ্রয়কেন্দ্রে অনেক মানুষ একসঙ্গে থাকতে হবে। এ জন্য মাস্ক অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। প্রয়োজনে বেশি করে মাস্ক কিনে রাখুন। ইতিমধ্যেই যদি কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি নিজ দায়িত্বে অন্যদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখবেন এবং চিকিৎসক যে পরামর্শ আগেই দিয়েছেন, সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।
গবাদিপশু নিরাপদে রাখুন
গ্রামে কোনো কোনো বাড়িতে গবাদিপশু যেমন গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি থাকে। সম্ভব হলে সেগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। এটি সম্ভব না হলে এদের জন্য স্থানীয়ভাবে ব্যবহৃত প্রক্রিয়ায় নিরাপদে রাখতে হবে।
মোবাইল ফোনে সেবা পেতে
মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে সরকার এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের সেবার ব্যবস্থা করেছে। চাইলেই যেকোনো সময় সেসব সেবা পাওয়া যায়।
আবাহাওয়াসংক্রান্ত সেবা
৪৮১২২৪৯৬, ৪৮১১৯৮৮২ নম্বরে ডায়াল করতে হবে। নিজেদের ফোন থেকে ১০৯০ নম্বরে ডায়াল করে ১ ডায়াল করলে সমুদ্রগামী জেলেদের জন্য আবহাওয়া বার্তা, ২ ডায়াল করলে নদী
বন্দরসমূহের জন্য সতর্ক সংকেত, ৩ ডায়াল করলে দৈনন্দিন আবহাওয়া বার্তা, ৪ ডায়াল করলে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক সংকেত, ৫ ডায়াল করলে দেশের বন্যা তথা বিভিন্ন নদ–নদীর পানি হ্রাস–বৃদ্ধি অবস্থাসম্পর্কিত তথ্য অবহিত হওয়া যাবে।
জরুরি সেবা
যেকোনো ফোন থেকে ৯৯৯ নম্বরে ডায়াল করুন। পুলিশের অধীনে পরিচালিত জরুরি কল সেন্টার ৯৯৯ জরুরি সেবা দিয়ে থাকে। এখান থেকে শুধু পুলিশ নয়, জরুরি প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবাও পাওয়া যায়। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ এই সেবার জন্য ফোন করতে পারেন।
নাগরিক সেবা
নাগরিক সেবা পেতে ফোন করা যাবে ০৯৬৬৬৭৮৯৩৩৩ নম্বরে। শর্টকোড ৩৩৩ নম্বরেও কল করা যাবে। এখানে জাতীয় তথ্য বাতায়নের সব ওয়েবসাইটের তথ্য, সব সরকারি সেবা পাওয়ার পদ্ধতির তথ্য, বিভিন্ন জেলা ও উপজেলাসম্পর্কিত তথ্য, সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য ও সামাজিক সমস্যা প্রতিকারে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সঙ্গে সরাসরি বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলা যাবে।
ঢাকা: ‘ইয়াস’ শব্দটি মূলত পার্সি। এর ইংরেজি প্রতিশব্দ জেসমিন। বাংলায় যাকে বলা হয় জুঁই ফুল। ফুলের নামে নাম হলেও এটি মোটেও ফুলের মতো পেলব কোনো বিষয় নয়। এটি ঘূর্ণিঝড়ের নাম। ইতিমধ্যেই বঙ্গোপসাগরে তার জন্ম হয়েছে। ধেয়ে আসছে উপকূলের দিকে। যদিও আবহাওয়াবিদেরা জানাচ্ছেন, দিক পরিবর্তন না করলে এটির বাংলাদেশে ভয়ংকরভাবে আঘাত হানার কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু পথ ঘুরে গেলেই আমাদের বিপদে পড়তে হবে। আঘাত হানবে কি হানবে না সেটা পরের বিষয়। আগেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে, যাতে সহজেই এড়ানো যায় বিভিন্ন ধরনের বিপদ।
সতর্ক সংকেত জানতে হবে
‘সতর্ক সংকেত’ ঝড়ের ভয়াবহতা বুঝতে সহায়তা করে। আবহাওয়া অফিস থেকে দেওয়া সতর্ক সংকেতের ওপর ভিত্তি করে সরকার এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। ফলে সতর্ক সংকেত খেয়াল রাখার কোনো বিকল্প নেই। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর বিপজ্জনক অবস্থায় থাকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। এবারও তার ব্যতিক্রম নেই। ফলে এসব অঞ্চল এবং এর সংলগ্ন অঞ্চলগুলোতে দেওয়া সতর্ক সংকেত ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করে সমুদ্রে থাকা বিভিন্ন যানবাহন তাদের মতো করে ব্যবস্থা নেবে।
আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হবে
ঝড়ের ভয়াবহতার ওপর নির্ভর করে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে হবে। অথবা স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজটি করুন। ঝড়ে জীবন ও সম্পদ রক্ষা করার জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার বিকল্প নেই।
অতিপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র
ঝড় এলে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য কিছু প্রস্তুতি রাখতে হবে, যাতে সেখানে গিয়ে এক বা দুদিন বিপদ না হয়। এ সময় সঙ্গে রাখতে হবে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি এবং আলোর উৎস যেমন দেশলাই বা গ্যাস লাইটার, মোমবাতি বা হারিকেন, টর্চ লাইট এবং মোবাইল ফোন, মোবাইল চার্জার ও পাওয়ার ব্যাংক। এগুলো বিদ্যুৎব্যবস্থার বিপর্যয় হলে কাজে লাগবে। সম্ভব হলে প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামও রাখতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, ডায়েরিয়ায় প্রাথমিকভাবে ব্যবহার হয় এমন কিছু ওষুধ। আর রাখতে হবে ওরস্যালাইন। খুব জরুরি এসব জিনিস প্লাস্টিকজাতীয় ব্যাগে ভরে রাখতে হবে, যাতে পানি এগুলোর কোনো ক্ষতি করতে না পারে।
এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজনে লাগতে পারে এমন কাগজপত্রও সঙ্গে রাখুন যেমন পরিচয়পত্র, ওষুধের প্রেসক্রিপশন ইত্যাদি। অতি জরুরি এসব জিনিসপত্র আগেই সংগ্রহ করে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখুন, যাতে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় সহজে খুঁজে পান।
সঙ্গে রাখুন মাস্ক
এ বছর করোনাভাইরাসেরর কারণে বাড়তি নিরাপত্তার জন্য সঙ্গে রাখতে হবে মাস্ক। আশ্রয়কেন্দ্রে অনেক মানুষ একসঙ্গে থাকতে হবে। এ জন্য মাস্ক অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। প্রয়োজনে বেশি করে মাস্ক কিনে রাখুন। ইতিমধ্যেই যদি কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি নিজ দায়িত্বে অন্যদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখবেন এবং চিকিৎসক যে পরামর্শ আগেই দিয়েছেন, সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।
গবাদিপশু নিরাপদে রাখুন
গ্রামে কোনো কোনো বাড়িতে গবাদিপশু যেমন গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি থাকে। সম্ভব হলে সেগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। এটি সম্ভব না হলে এদের জন্য স্থানীয়ভাবে ব্যবহৃত প্রক্রিয়ায় নিরাপদে রাখতে হবে।
মোবাইল ফোনে সেবা পেতে
মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে সরকার এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের সেবার ব্যবস্থা করেছে। চাইলেই যেকোনো সময় সেসব সেবা পাওয়া যায়।
আবাহাওয়াসংক্রান্ত সেবা
৪৮১২২৪৯৬, ৪৮১১৯৮৮২ নম্বরে ডায়াল করতে হবে। নিজেদের ফোন থেকে ১০৯০ নম্বরে ডায়াল করে ১ ডায়াল করলে সমুদ্রগামী জেলেদের জন্য আবহাওয়া বার্তা, ২ ডায়াল করলে নদী
বন্দরসমূহের জন্য সতর্ক সংকেত, ৩ ডায়াল করলে দৈনন্দিন আবহাওয়া বার্তা, ৪ ডায়াল করলে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক সংকেত, ৫ ডায়াল করলে দেশের বন্যা তথা বিভিন্ন নদ–নদীর পানি হ্রাস–বৃদ্ধি অবস্থাসম্পর্কিত তথ্য অবহিত হওয়া যাবে।
জরুরি সেবা
যেকোনো ফোন থেকে ৯৯৯ নম্বরে ডায়াল করুন। পুলিশের অধীনে পরিচালিত জরুরি কল সেন্টার ৯৯৯ জরুরি সেবা দিয়ে থাকে। এখান থেকে শুধু পুলিশ নয়, জরুরি প্রয়োজনে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবাও পাওয়া যায়। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ এই সেবার জন্য ফোন করতে পারেন।
নাগরিক সেবা
নাগরিক সেবা পেতে ফোন করা যাবে ০৯৬৬৬৭৮৯৩৩৩ নম্বরে। শর্টকোড ৩৩৩ নম্বরেও কল করা যাবে। এখানে জাতীয় তথ্য বাতায়নের সব ওয়েবসাইটের তথ্য, সব সরকারি সেবা পাওয়ার পদ্ধতির তথ্য, বিভিন্ন জেলা ও উপজেলাসম্পর্কিত তথ্য, সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য ও সামাজিক সমস্যা প্রতিকারে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সঙ্গে সরাসরি বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা বলা যাবে।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে