ভাস্কর বসু

‘ওই সিন্ধুর টিপ সিংহল দ্বীপ কাঞ্চনময় দেশ!
ওই চন্দন যার অঙ্গের বাস তাম্বুল বন কেশ!’
—সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
আজ যতই সংকটে জর্জরিত থাকুক না কেন শ্রীলঙ্কা আমার দেখা এক মনোরম অভিজ্ঞতা হয়েই থাকবে—সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতার পঙ্ক্তিগুলির মতোই।
অনেকেই হয়তো জানেন! তবু শুরুতেই জানাই, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশ অচ্ছেদ্য বন্ধনে জড়িত। সেই বন্ধন দুটির নাম রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় সংগীত। ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতে রবিঠাকুরের কথা আলাদা করে বলার কিছু নেই—সে আমরা সকলেই জানি। শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীতেও তাঁর অবদান রয়ে গেছে। একটি প্রবন্ধে শ্রী সুজন দাশগুপ্ত তার দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। লিখেছেন—
‘শ্রীলঙ্কা থেকে আনন্দ সামারাকুন নামে একটি ছাত্র বিশ্বভারতীতে এসেছিলেন পড়াশোনা করতে এবং অল্পদিনের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথের প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠেন। আনন্দের অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ নাকি বাংলায় “নমো নমো শ্রীলঙ্কা মাতা” গানটি লিখে সুর করে আনন্দকে দেন। আনন্দ দেশে ফিরে গিয়ে এটিকে সিংহলিতে অনুবাদ করে রেকর্ড করেন। পরে ১৯৫১ সালে গানটি শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়।’ (অবসর ডট নেট)

এ ছাড়া সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ‘আমাদের ছেলে বিজয় সিংহ/হেলায় লঙ্কা করিয়া জয়/সিংহল নামে রেখে গেছে/নিজ শৌর্যের পরিচয়’ বা দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ‘একদা যাহার বিজয় সেনানী হেলায় লঙ্কা করিল জয়/একদা যাহার অর্ণবপোত ভ্রমিল ভারত সাগরময়।’ এমন কবিতা লিখে বাঙালির গৌরবগাথায় শ্রীলঙ্কাকে জুড়ে রেখেছেন। গৌতম বুদ্ধের আশীর্বাদধন্য শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে তাই আমাদের বেশ আগ্রহ ছিল।
যাঁরা ভারত থেকে অন্য দেশ ভ্রমণে যান, তাঁরা জানেন, সেই দেশের এয়ারপোর্টে অবতরণ করার আগে নতুন দেশের সঙ্গে ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে নিতে হয়। একটিমাত্র দেশের সঙ্গেই তা করতে হয় না। সেই দেশটির নাম শ্রীলঙ্কা, যার সঙ্গে ভারতের সময় কাঁটায় কাঁটায় মিলে যায়।
কলম্বোয় নেমে তাই আমাদের মনে হলো, একেবারেই পরিচিত কোনো জায়গায় এসেছি। তবে এই জায়গার রাস্তাঘাটের অবস্থা আমাদের তুলনায় বেশ ভালো। এমনকি সেখানে যানবাহনের সুশৃঙ্খল অবস্থা তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতোই ছিল। তার কারণ জানা গেল আমাদের পথপ্রদর্শক শ্রী প্রসাদের কাছ থেকে। শ্রীলঙ্কার পুলিশ নাকি এই ব্যাপারে রীতিমতো কড়া—নিয়ম ভাঙলেই হাজতে যেতে হয়। ফলে তার সুফল পরিদৃশ্যমান।
কলম্বো থেকে বেরিয়ে প্রথম দ্রষ্টব্য ছিল ডামবুলার বিখ্যাত মন্দির। গুহার মধ্যে এই মন্দিরের গায়ে আছে বেশ কিছু চিত্র।
শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে পর্যটন শিল্পের খুবই বড় অবদান। তাই তার জন্য সরকার বিশেষ মনোযোগী। বিভিন্ন কলেজে এ বিষয়ে পড়ানো হয়। সেটি সফলভাবে সম্পূর্ণ করলেই মেলে গাইড হওয়ার সুযোগ। আমাদের গাইড প্রসাদও তেমনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং অভিজ্ঞ। শ্রীলঙ্কার ইতিহাস তাঁর ভালোমতোই জানা। তাঁকে তাই আমরা নির্দ্বিধায় বিজয় সিংহের জয়গাথার কথা জিজ্ঞেস করলাম। প্রসাদ অবশ্য বিজয় সিংহের ব্যাপারে একটু ভিন্নমত পোষণ করেন। তাঁর ধারণা, বিজয় সিংহ তাঁর দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েই শ্রীলঙ্কায় পাড়ি দিয়েছিলেন। এ কথার সত্যতা নির্ধারণও করেছি। তার ফলে প্রসাদ এবং তাঁদের পঠন ও প্রশিক্ষণের ওপর শ্রদ্ধাও বেড়ে গেছে।
আমরা যাত্রা শুরু করেই দেখতে পেয়েছি পিনাওয়ালার অনাথ হাতিদের। হ্যাঁ, ঠিকই। যেসব হাতি মায়েরা শিশু হাতিদের ভরণপোষণ করতে পারে না, তাদের জন্যই শ্রীলঙ্কা সরকারের এই রাজকীয় ব্যবস্থা। অভাবনীয়, তাই না! আজ যেখানে মানুষেরাই খাদ্যসংকটে আছে, কয়েক বছর আগে তারা পরম মমতায় ‘হাতির খোরাক’ জোটাত! আমাদের পরের দর্শনীয় স্থান ছিল সিগরিয়া।
সিগরিয়ার একটি ঐতিহাসিক তাৎপর্য আছে। রাজা প্রথম কশ্যপ (৪৭৩-৪৯৫ খ্রিষ্টাব্দ) সিংহাসনে আরোহণের পর সিলনের নতুন রাজধানী নির্বাচন করেন সিগরিয়াকে। ৪৯৫ খ্রিষ্টাব্দে কশ্যপের পতন ঘটলে সিলনের রাজধানী অনুরাধাপুরে স্থানান্তর করা হয়। এর পর তেরো থেকে চৌদ্দ শতক পর্যন্ত এটি বৌদ্ধ মঠ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর পর উনিশ শতকের প্রথমার্ধের শেষের দিকে এসে এটি দৃষ্টি কাড়তে শুরু করে প্রত্নতত্ত্ববিদদের। প্রাচীন নগর-পরিকল্পনার অন্যতম শ্রেষ্ঠ এ নিদর্শনকে ১৯৮২ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেসকো। সিগরিয়াতে একটি খুব সুন্দর মিউজিয়ামও আছে। সেটি জাপান সরকারের উপহার। ২০০৯ সালে এই মিউজিয়ামের উদ্বোধন করা হয়।
শ্রীলঙ্কার শৈল শহর ক্যানডি ভ্রমণকারীদের বেশ পছন্দের জায়গা। কারণ সম্ভবত আবহাওয়া। ক্যানডিতে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও ছিলেন তাঁর দল নিয়ে, ১৯৩৪ সালে। সেখানে আমাদেরও সৌভাগ্য হয়েছিল একটি নৃত্যানুষ্ঠান দেখার। তবে শ্রীলঙ্কার বড় পরিচিতি রাবণের দেশ বলে। আমাদের পরের যাত্রা ছিল অশোক বনের উদ্দেশে। এখন অবশ্য তার নাম নুয়ারা এলিয়া।
ক্যানডির মতো নুয়ারা এলিয়ার আবহাওয়াও রীতমতো মনোরম। তাই এই শহরের অন্য নাম ছোট্ট ইংল্যান্ড। সেখানে চিরবসন্ত বিরাজমান। শহরজুড়ে সুন্দর সব ভিউ পয়েন্ট। আরও আছে সুদর্শন চা বাগান। আমাদের মন একেবারে কেড়ে নিয়েছিল এই শহর ও তার আশপাশের চমৎকার নৈসর্গিক দৃশ্যাবলি। জায়গাটি এতই উপভোগ্য যে মনে হয় বেশ তিন-চার দিন থেকে বিশ্রাম নেওয়া যায়।
সেখানকার প্রকৃতি এবং রাস্তাঘাট খুবই মনোগ্রাহী। সদলবলে ঘুরতে ঘুরতে প্রকৃতির নিবিড় স্পর্শ পাওয়া যায়। আর দেখতে পাওয়া যায় রামচন্দ্র ও সীতার স্মৃতি বিজড়িত অশোকবন। চা বাগান ও চা কারখানার অভিজ্ঞতাও বেশ উপভোগ্য।
আমাদের শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ সমাপ্ত হয়েছিল বেনটোটার সমুদ্রতীরে এসে। বেনটোটা হলো একটি অতি বিখ্যাত সমুদ্রশহর। শ্রীলঙ্কা ভ্রমণের সমাপ্তিতে সাধারণত সকলেই একটু হাত-পা ছড়িয়ে একটি বা দুটি দিন এই বিখ্যাত সমুদ্রতীরে এসে কাটাতে চায়। এখানে এসে আমাদের সৌভাগ্য হয়েছিল প্রায় জলের ওপরে, অনেকটা হাউসবোটের মতো একটি হোটেলে থাকার। স্থল থেকে সেই হোটেলে যেতে হয় স্টিমারে চড়ে।
আজ শ্রীলঙ্কার চরম দুর্দিনেও আমার কাছে বড় প্রিয় ওই ক’টি দিনের স্মৃতি। ছবি দেখতে দেখতে বারংবার মন ফিরে যাচ্ছিল সেই ফেলে আসা দিনগুলোতে। ২০১৫ সালে আমরা যখন গিয়েছিলাম তার আগেও দুটি বড় দুর্যোগ কাটিয়ে উঠেছিল দেশটি—২০০৫ সালের সেই ভয়ংকর সুনামি এবং ২০১০ অবধি চলা গৃহযুদ্ধ। শাক্যমুনির আশীর্বাদধন্য দেশটি আশা করছি আবারও সে অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবে।
ঐতিহাসিক দীনেশচন্দ্র সেন সিংহলিরা আর বাঙালিরা যে ‘তুতো’ ভাই তা বেশ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করে ছেড়েছেন। প্রায় হাজার দু-এক বাংলা আর সিংহলি শব্দের মিল খুঁজে বার করেছেন সেন মহাশয়। সেই গরিমা আবার ফিরে আসুক শ্রীলঙ্কায়।
আমাদের প্রতিবেশী ‘সিন্ধুর টিপ’ আবার কাঞ্চনময় দেশ হয়ে উঠবে—তারই প্রতীক্ষা রইল।

‘ওই সিন্ধুর টিপ সিংহল দ্বীপ কাঞ্চনময় দেশ!
ওই চন্দন যার অঙ্গের বাস তাম্বুল বন কেশ!’
—সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
আজ যতই সংকটে জর্জরিত থাকুক না কেন শ্রীলঙ্কা আমার দেখা এক মনোরম অভিজ্ঞতা হয়েই থাকবে—সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতার পঙ্ক্তিগুলির মতোই।
অনেকেই হয়তো জানেন! তবু শুরুতেই জানাই, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশ অচ্ছেদ্য বন্ধনে জড়িত। সেই বন্ধন দুটির নাম রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় সংগীত। ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতে রবিঠাকুরের কথা আলাদা করে বলার কিছু নেই—সে আমরা সকলেই জানি। শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীতেও তাঁর অবদান রয়ে গেছে। একটি প্রবন্ধে শ্রী সুজন দাশগুপ্ত তার দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। লিখেছেন—
‘শ্রীলঙ্কা থেকে আনন্দ সামারাকুন নামে একটি ছাত্র বিশ্বভারতীতে এসেছিলেন পড়াশোনা করতে এবং অল্পদিনের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথের প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠেন। আনন্দের অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ নাকি বাংলায় “নমো নমো শ্রীলঙ্কা মাতা” গানটি লিখে সুর করে আনন্দকে দেন। আনন্দ দেশে ফিরে গিয়ে এটিকে সিংহলিতে অনুবাদ করে রেকর্ড করেন। পরে ১৯৫১ সালে গানটি শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়।’ (অবসর ডট নেট)

এ ছাড়া সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ‘আমাদের ছেলে বিজয় সিংহ/হেলায় লঙ্কা করিয়া জয়/সিংহল নামে রেখে গেছে/নিজ শৌর্যের পরিচয়’ বা দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ‘একদা যাহার বিজয় সেনানী হেলায় লঙ্কা করিল জয়/একদা যাহার অর্ণবপোত ভ্রমিল ভারত সাগরময়।’ এমন কবিতা লিখে বাঙালির গৌরবগাথায় শ্রীলঙ্কাকে জুড়ে রেখেছেন। গৌতম বুদ্ধের আশীর্বাদধন্য শ্রীলঙ্কা ভ্রমণে তাই আমাদের বেশ আগ্রহ ছিল।
যাঁরা ভারত থেকে অন্য দেশ ভ্রমণে যান, তাঁরা জানেন, সেই দেশের এয়ারপোর্টে অবতরণ করার আগে নতুন দেশের সঙ্গে ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে নিতে হয়। একটিমাত্র দেশের সঙ্গেই তা করতে হয় না। সেই দেশটির নাম শ্রীলঙ্কা, যার সঙ্গে ভারতের সময় কাঁটায় কাঁটায় মিলে যায়।
কলম্বোয় নেমে তাই আমাদের মনে হলো, একেবারেই পরিচিত কোনো জায়গায় এসেছি। তবে এই জায়গার রাস্তাঘাটের অবস্থা আমাদের তুলনায় বেশ ভালো। এমনকি সেখানে যানবাহনের সুশৃঙ্খল অবস্থা তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতোই ছিল। তার কারণ জানা গেল আমাদের পথপ্রদর্শক শ্রী প্রসাদের কাছ থেকে। শ্রীলঙ্কার পুলিশ নাকি এই ব্যাপারে রীতিমতো কড়া—নিয়ম ভাঙলেই হাজতে যেতে হয়। ফলে তার সুফল পরিদৃশ্যমান।
কলম্বো থেকে বেরিয়ে প্রথম দ্রষ্টব্য ছিল ডামবুলার বিখ্যাত মন্দির। গুহার মধ্যে এই মন্দিরের গায়ে আছে বেশ কিছু চিত্র।
শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে পর্যটন শিল্পের খুবই বড় অবদান। তাই তার জন্য সরকার বিশেষ মনোযোগী। বিভিন্ন কলেজে এ বিষয়ে পড়ানো হয়। সেটি সফলভাবে সম্পূর্ণ করলেই মেলে গাইড হওয়ার সুযোগ। আমাদের গাইড প্রসাদও তেমনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং অভিজ্ঞ। শ্রীলঙ্কার ইতিহাস তাঁর ভালোমতোই জানা। তাঁকে তাই আমরা নির্দ্বিধায় বিজয় সিংহের জয়গাথার কথা জিজ্ঞেস করলাম। প্রসাদ অবশ্য বিজয় সিংহের ব্যাপারে একটু ভিন্নমত পোষণ করেন। তাঁর ধারণা, বিজয় সিংহ তাঁর দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েই শ্রীলঙ্কায় পাড়ি দিয়েছিলেন। এ কথার সত্যতা নির্ধারণও করেছি। তার ফলে প্রসাদ এবং তাঁদের পঠন ও প্রশিক্ষণের ওপর শ্রদ্ধাও বেড়ে গেছে।
আমরা যাত্রা শুরু করেই দেখতে পেয়েছি পিনাওয়ালার অনাথ হাতিদের। হ্যাঁ, ঠিকই। যেসব হাতি মায়েরা শিশু হাতিদের ভরণপোষণ করতে পারে না, তাদের জন্যই শ্রীলঙ্কা সরকারের এই রাজকীয় ব্যবস্থা। অভাবনীয়, তাই না! আজ যেখানে মানুষেরাই খাদ্যসংকটে আছে, কয়েক বছর আগে তারা পরম মমতায় ‘হাতির খোরাক’ জোটাত! আমাদের পরের দর্শনীয় স্থান ছিল সিগরিয়া।
সিগরিয়ার একটি ঐতিহাসিক তাৎপর্য আছে। রাজা প্রথম কশ্যপ (৪৭৩-৪৯৫ খ্রিষ্টাব্দ) সিংহাসনে আরোহণের পর সিলনের নতুন রাজধানী নির্বাচন করেন সিগরিয়াকে। ৪৯৫ খ্রিষ্টাব্দে কশ্যপের পতন ঘটলে সিলনের রাজধানী অনুরাধাপুরে স্থানান্তর করা হয়। এর পর তেরো থেকে চৌদ্দ শতক পর্যন্ত এটি বৌদ্ধ মঠ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর পর উনিশ শতকের প্রথমার্ধের শেষের দিকে এসে এটি দৃষ্টি কাড়তে শুরু করে প্রত্নতত্ত্ববিদদের। প্রাচীন নগর-পরিকল্পনার অন্যতম শ্রেষ্ঠ এ নিদর্শনকে ১৯৮২ সালে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেসকো। সিগরিয়াতে একটি খুব সুন্দর মিউজিয়ামও আছে। সেটি জাপান সরকারের উপহার। ২০০৯ সালে এই মিউজিয়ামের উদ্বোধন করা হয়।
শ্রীলঙ্কার শৈল শহর ক্যানডি ভ্রমণকারীদের বেশ পছন্দের জায়গা। কারণ সম্ভবত আবহাওয়া। ক্যানডিতে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও ছিলেন তাঁর দল নিয়ে, ১৯৩৪ সালে। সেখানে আমাদেরও সৌভাগ্য হয়েছিল একটি নৃত্যানুষ্ঠান দেখার। তবে শ্রীলঙ্কার বড় পরিচিতি রাবণের দেশ বলে। আমাদের পরের যাত্রা ছিল অশোক বনের উদ্দেশে। এখন অবশ্য তার নাম নুয়ারা এলিয়া।
ক্যানডির মতো নুয়ারা এলিয়ার আবহাওয়াও রীতমতো মনোরম। তাই এই শহরের অন্য নাম ছোট্ট ইংল্যান্ড। সেখানে চিরবসন্ত বিরাজমান। শহরজুড়ে সুন্দর সব ভিউ পয়েন্ট। আরও আছে সুদর্শন চা বাগান। আমাদের মন একেবারে কেড়ে নিয়েছিল এই শহর ও তার আশপাশের চমৎকার নৈসর্গিক দৃশ্যাবলি। জায়গাটি এতই উপভোগ্য যে মনে হয় বেশ তিন-চার দিন থেকে বিশ্রাম নেওয়া যায়।
সেখানকার প্রকৃতি এবং রাস্তাঘাট খুবই মনোগ্রাহী। সদলবলে ঘুরতে ঘুরতে প্রকৃতির নিবিড় স্পর্শ পাওয়া যায়। আর দেখতে পাওয়া যায় রামচন্দ্র ও সীতার স্মৃতি বিজড়িত অশোকবন। চা বাগান ও চা কারখানার অভিজ্ঞতাও বেশ উপভোগ্য।
আমাদের শ্রীলঙ্কা ভ্রমণ সমাপ্ত হয়েছিল বেনটোটার সমুদ্রতীরে এসে। বেনটোটা হলো একটি অতি বিখ্যাত সমুদ্রশহর। শ্রীলঙ্কা ভ্রমণের সমাপ্তিতে সাধারণত সকলেই একটু হাত-পা ছড়িয়ে একটি বা দুটি দিন এই বিখ্যাত সমুদ্রতীরে এসে কাটাতে চায়। এখানে এসে আমাদের সৌভাগ্য হয়েছিল প্রায় জলের ওপরে, অনেকটা হাউসবোটের মতো একটি হোটেলে থাকার। স্থল থেকে সেই হোটেলে যেতে হয় স্টিমারে চড়ে।
আজ শ্রীলঙ্কার চরম দুর্দিনেও আমার কাছে বড় প্রিয় ওই ক’টি দিনের স্মৃতি। ছবি দেখতে দেখতে বারংবার মন ফিরে যাচ্ছিল সেই ফেলে আসা দিনগুলোতে। ২০১৫ সালে আমরা যখন গিয়েছিলাম তার আগেও দুটি বড় দুর্যোগ কাটিয়ে উঠেছিল দেশটি—২০০৫ সালের সেই ভয়ংকর সুনামি এবং ২০১০ অবধি চলা গৃহযুদ্ধ। শাক্যমুনির আশীর্বাদধন্য দেশটি আশা করছি আবারও সে অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবে।
ঐতিহাসিক দীনেশচন্দ্র সেন সিংহলিরা আর বাঙালিরা যে ‘তুতো’ ভাই তা বেশ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করে ছেড়েছেন। প্রায় হাজার দু-এক বাংলা আর সিংহলি শব্দের মিল খুঁজে বার করেছেন সেন মহাশয়। সেই গরিমা আবার ফিরে আসুক শ্রীলঙ্কায়।
আমাদের প্রতিবেশী ‘সিন্ধুর টিপ’ আবার কাঞ্চনময় দেশ হয়ে উঠবে—তারই প্রতীক্ষা রইল।

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৩২ মিনিট আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
৯ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
মেকআপ রিমুভার হিসেবে
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের সুস্থতায়
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
সুগন্ধি দীর্ঘস্থায়ী করতে
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
ভ্রু ঘন করতে
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

হাইলাইটার হিসেবে
মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
মেকআপ রিমুভার হিসেবে
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের সুস্থতায়
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
সুগন্ধি দীর্ঘস্থায়ী করতে
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
ভ্রু ঘন করতে
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

হাইলাইটার হিসেবে
মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

আজ যতই সংকটে জর্জরিত থাকুক না কেন, শ্রীলঙ্কা আমার দেখা এক মনোরম অভিজ্ঞতা হয়েই থাকবে—সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতার পঙ্ক্তিগুলির মতোই। অনেকেই হয়তো জানেন! তবু শুরুতেই জানাই, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশ অচ্ছেদ্য...
২৭ মে ২০২২
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
৯ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়। ফলে রং করা চুল অনেকটাই ফ্যাকাশে হয়ে যায়। যাঁরা বাড়িতেই চুল রাঙান তাঁদের রং করার পর চুল ধোয়া থেকে শুরু করে শুকানোর পদ্ধতিতেও কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
সঠিক শ্যাম্পু বাছাই
চুলে রং করার পর প্রথমে কালার প্রোটেকটিভ শ্যাম্পু বাছাই করুন। এই শ্যাম্পুগুলো দীর্ঘদিন চুলে রং বজায় রাখতে সহায়তা করে।
চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পু নয়
চুলে রং করার পর সপ্তাহে দু-তিনবার শ্যাম্পু করুন। তবে রোজ বাইরে গেলে প্রয়োজনে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত তেল ব্যবহার
রং করার পর; বিশেষ করে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেল ম্যাসাজ করে নিন।
স্টাইলিং কম করুন
রং করা চুলে স্ট্রেটনার কিংবা কার্লার যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। কারণ, এর ফলে চুল আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
নিয়ম করে প্যাক মাখুন
পাকা কলা ও মধু পেস্ট করে সপ্তাহে দুদিন চুলে মেখে রাখুন ২০ মিনিট করে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে মসৃণ।
সূত্র: ল’রিয়েল প্যারিস ইউকে ও অন্যান্য

চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়। ফলে রং করা চুল অনেকটাই ফ্যাকাশে হয়ে যায়। যাঁরা বাড়িতেই চুল রাঙান তাঁদের রং করার পর চুল ধোয়া থেকে শুরু করে শুকানোর পদ্ধতিতেও কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
সঠিক শ্যাম্পু বাছাই
চুলে রং করার পর প্রথমে কালার প্রোটেকটিভ শ্যাম্পু বাছাই করুন। এই শ্যাম্পুগুলো দীর্ঘদিন চুলে রং বজায় রাখতে সহায়তা করে।
চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পু নয়
চুলে রং করার পর সপ্তাহে দু-তিনবার শ্যাম্পু করুন। তবে রোজ বাইরে গেলে প্রয়োজনে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত তেল ব্যবহার
রং করার পর; বিশেষ করে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেল ম্যাসাজ করে নিন।
স্টাইলিং কম করুন
রং করা চুলে স্ট্রেটনার কিংবা কার্লার যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। কারণ, এর ফলে চুল আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
নিয়ম করে প্যাক মাখুন
পাকা কলা ও মধু পেস্ট করে সপ্তাহে দুদিন চুলে মেখে রাখুন ২০ মিনিট করে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে মসৃণ।
সূত্র: ল’রিয়েল প্যারিস ইউকে ও অন্যান্য

আজ যতই সংকটে জর্জরিত থাকুক না কেন, শ্রীলঙ্কা আমার দেখা এক মনোরম অভিজ্ঞতা হয়েই থাকবে—সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতার পঙ্ক্তিগুলির মতোই। অনেকেই হয়তো জানেন! তবু শুরুতেই জানাই, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশ অচ্ছেদ্য...
২৭ মে ২০২২
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৩২ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
৯ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
২০ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা।
অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
অশ্রু আর্কাইভের এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল কুষ্টিয়ার সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সাইনোটাইপ মাধ্যমে নতুনভাবে উপস্থাপন করা এবং স্থানীয় শিল্পচর্চাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা থেকে আসা বর্তমান, সাবেক শিক্ষার্থীসহ দেশবরেণ্য গুণী শিল্পীরা অংশ নেন।
তিন দিনব্যাপী এই নিবিড় কর্মশালায় মেন্টর ও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন স্টুডিও শব্দর কর্ণধার শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন। অশ্রু আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট শিল্পী ও গবেষক শাওন আকন্দ কর্মশালা কিউরেট করেন।
কর্মশালার প্রথম দিনে সাইনোটাইপ শিল্পের ইতিহাস ও তাত্ত্বিক দিক তুলে ধরা হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নিজেরাই সাইনোটাইপ প্রিন্ট তৈরি করার সুযোগ পান। আলো, কেমিক্যাল ও নকশার সঠিক ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন বলেন, ‘সাইনোটাইপ শুধু একটি বিকল্প ফটোগ্রাফিক প্রক্রিয়া নয়; এটি সময়, স্মৃতি ও স্থানকে ধারণ করার একধরনের নীরব ভাষা।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিল্পী তানজুম নাহার পর্ণা বলেন, ‘তিন দিনব্যাপী কর্মশালাটি আমাদের জন্য শুধু একটি কারিগরি প্রশিক্ষণই ছিল না; বরং এটি ছিল সময়, স্মৃতি এবং স্থানের সঙ্গে এক গভীর শিল্পভাষার সংযোগ। সাইনোটাইপের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ইতিহাস, লোকজ সংস্কৃতি ও সামাজিক বাস্তবতাকে নতুনভাবে অনুধাবন করার সুযোগ পেয়েছি; বিশেষ করে রাসায়নিকের অনুপাত নির্ধারণ, কোটিং, এক্সপোজার, ওয়াশিং, টোনিং ও ড্রয়িং—প্রতিটি ধাপ হাতেকলমে শেখার অভিজ্ঞতা আমাদের অ্যানালগ ফটোগ্রাফির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও গভীর করেছে।’
কিউরেটর শাওন আকন্দ বলেন, কুষ্টিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি এ ধরনের সৃজনশীল এবং ঐতিহ্যবাহী ফটোগ্রাফিক কার্যক্রম নিয়ে ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে কর্মশালা আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
১৮৪২ সালে স্যার জন হার্শেল আবিষ্কৃত সাইনোটাইপ বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও ক্যামেরাবিহীন ফটোগ্রাফিক মুদ্রণ পদ্ধতি। এই প্রক্রিয়ায় অতিবেগুনি রশ্মি বা সূর্যালোকের সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ে গাঢ় নীল রঙের (প্রুশিয়ান ব্লু) নান্দনিক ছাপ তৈরি করা হয়

কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা।
অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
অশ্রু আর্কাইভের এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল কুষ্টিয়ার সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সাইনোটাইপ মাধ্যমে নতুনভাবে উপস্থাপন করা এবং স্থানীয় শিল্পচর্চাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা থেকে আসা বর্তমান, সাবেক শিক্ষার্থীসহ দেশবরেণ্য গুণী শিল্পীরা অংশ নেন।
তিন দিনব্যাপী এই নিবিড় কর্মশালায় মেন্টর ও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন স্টুডিও শব্দর কর্ণধার শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন। অশ্রু আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট শিল্পী ও গবেষক শাওন আকন্দ কর্মশালা কিউরেট করেন।
কর্মশালার প্রথম দিনে সাইনোটাইপ শিল্পের ইতিহাস ও তাত্ত্বিক দিক তুলে ধরা হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নিজেরাই সাইনোটাইপ প্রিন্ট তৈরি করার সুযোগ পান। আলো, কেমিক্যাল ও নকশার সঠিক ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন বলেন, ‘সাইনোটাইপ শুধু একটি বিকল্প ফটোগ্রাফিক প্রক্রিয়া নয়; এটি সময়, স্মৃতি ও স্থানকে ধারণ করার একধরনের নীরব ভাষা।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিল্পী তানজুম নাহার পর্ণা বলেন, ‘তিন দিনব্যাপী কর্মশালাটি আমাদের জন্য শুধু একটি কারিগরি প্রশিক্ষণই ছিল না; বরং এটি ছিল সময়, স্মৃতি এবং স্থানের সঙ্গে এক গভীর শিল্পভাষার সংযোগ। সাইনোটাইপের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ইতিহাস, লোকজ সংস্কৃতি ও সামাজিক বাস্তবতাকে নতুনভাবে অনুধাবন করার সুযোগ পেয়েছি; বিশেষ করে রাসায়নিকের অনুপাত নির্ধারণ, কোটিং, এক্সপোজার, ওয়াশিং, টোনিং ও ড্রয়িং—প্রতিটি ধাপ হাতেকলমে শেখার অভিজ্ঞতা আমাদের অ্যানালগ ফটোগ্রাফির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও গভীর করেছে।’
কিউরেটর শাওন আকন্দ বলেন, কুষ্টিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি এ ধরনের সৃজনশীল এবং ঐতিহ্যবাহী ফটোগ্রাফিক কার্যক্রম নিয়ে ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে কর্মশালা আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
১৮৪২ সালে স্যার জন হার্শেল আবিষ্কৃত সাইনোটাইপ বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও ক্যামেরাবিহীন ফটোগ্রাফিক মুদ্রণ পদ্ধতি। এই প্রক্রিয়ায় অতিবেগুনি রশ্মি বা সূর্যালোকের সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ে গাঢ় নীল রঙের (প্রুশিয়ান ব্লু) নান্দনিক ছাপ তৈরি করা হয়

আজ যতই সংকটে জর্জরিত থাকুক না কেন, শ্রীলঙ্কা আমার দেখা এক মনোরম অভিজ্ঞতা হয়েই থাকবে—সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতার পঙ্ক্তিগুলির মতোই। অনেকেই হয়তো জানেন! তবু শুরুতেই জানাই, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশ অচ্ছেদ্য...
২৭ মে ২০২২
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৩২ মিনিট আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
২০ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
নতুন বছরে আপনি কী কী করতে চান, তা এখনই ভেবে ফেলুন। একটু স্থির হয়ে বসে খাতা-কলমে লিখে আপনার নতুন বছরের উদ্দেশ্য স্থির করে নিন। লিখে রাখলে তা বিভিন্নভাবে উদ্দেশ্য পূরণে সহায়তা করবে।
পুরোনো বছরকে সুন্দর করে বিদায় দিতেই হোক বা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে—ঘর সাজান সুন্দর করে। কিছু ওয়ার্ম লাইট ও জানালা বা টেবিলে কিছু গাছ রেখে ঘরে দিন একটু উষ্ণতার ছোঁয়া। সঙ্গে পুরোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস অন্য কাউকে দিয়ে দিন। দেখবেন বাসায় একটা শান্ত ও পরিচ্ছন্ন ভাব আসবে।
পিঠা সংস্কৃতির অংশ। তাই ঐতিহ্য ধরে রাখাতে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে সময় করে একদিন বিভিন্ন রকম পিঠা বানাতে পারেন। বড় আয়োজন নয়, বরং চা-বিস্কুট আর পিঠা নিয়ে একটি ঘরোয়া আড্ডা জমান। পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করুন। দেখবেন, মন থেকে অনেকখানি ভার নেমে গেছে।
ডিসেম্বরের আবহাওয়া বই পড়ার জন্য উপযুক্ত। ছুটির দিনে দুপুরগুলো কাজে লাগান। গায়ে হালকা কাঁথা জড়িয়ে একটা অলস দুপুর বই পড়ে দেখুন। অথবা একটা ভালো উপন্যাস নিয়ে শীতের মিষ্টি রোদে বসে পড়ুন। সঙ্গে রাখুন এক কাপ চা। দেখবেন, খুব ভালো লাগবে।
বছরের এই শেষ সময় এসেও নিজের জন্য সময় বের করুন। নিজের যত্ন নিন, নিজেকে নিজেই কিছু উপহার দিন। দেখবেন নিজেকে মূল্যবান ও যোগ্য মনে হবে। তা ছাড়া কাউকে কিছু উপহার দিতে চাইলেও দিতে পারেন। সেটাও কিন্তু নিজেকে সময় দেওয়ার কাজ করবে।

শীতকালে অনেক জায়গায় পিঠা মেলা বা হস্তশিল্প মেলা বসে। এই মেলাগুলোতে ঘুরে বেড়ান। উৎসবের কেনাকাটায় বড় শপিং মল এড়িয়ে স্থানীয় কারিগরদের কাছ থেকে কিছু কিনুন এবং শীতের খাবার চেখে দেখুন। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন। মনে রাখবেন, উদ্যোক্তাদের সহায়তা না করলে তারা বড় হতে পারবে না। তাদের বড় করতে সহায়তা করাও একটা উদ্যোগ বটে।
শীতকালে অসহায় মানুষদের কষ্ট কমাতে গরম কাপড় ও কম্বল দান করুন। ছোট ছোট কাজ করে অন্যের মুখে হাসি ফোটান; যেমন কাউকে চা বা কফি খাওয়ান, বাসে বয়স্ক কারও জন্য আসন ছেড়ে দিন, কাউকে রাস্তা পার করিয়ে দিন। ছোট একটি মানবিক কাজ আপনার জীবনকে অর্থবহ করে তুলবে।

পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বসে অথবা একা বসে এই বছর কী কী ভালো ও খারাপ হয়েছে, তা নিয়ে ভাবুন। কী কী ভুল করেছেন, সেগুলো ভেবে দেখুন। সামনের বছরগুলোতে এসব ভুল যেন না হয়, সে জন্য সতর্ক হোন। এই বছর যা কিছু ইতিবাচক হয়েছে, সেগুলো একটি ডায়েরিতে লিখে সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানান। কারও সঙ্গে মনোমালিন্য হয়ে থাকলে তা মিটিয়ে নিন। অযথা মনে রাগ পুষে রেখে নিজেকে কষ্ট দেবেন না।
পুরোনো বন্ধুরা আসলে মানুষের ব্রিদিং স্পেস বা নিশ্বাস ফেলার জায়গা। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সবার সঙ্গে সম্ভব না হলেও যাঁদের বা যাঁর সঙ্গে সম্ভব, তাঁদের বা তাঁর সঙ্গে দেখা করে কিছু সময় কাটিয়ে আসুন। মন খুলে হাসুন। স্মৃতিচারণা করুন। অন্তত এক বেলা একসঙ্গে বসে খেয়ে ফেলুন মনের মতো কোনো খাবার। দেখবেন নতুন বছর অন্য রকমভাবে শুরু হবে।
সূত্র: ক্যামিলিস্টাইল ও অন্যান্য

ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
নতুন বছরে আপনি কী কী করতে চান, তা এখনই ভেবে ফেলুন। একটু স্থির হয়ে বসে খাতা-কলমে লিখে আপনার নতুন বছরের উদ্দেশ্য স্থির করে নিন। লিখে রাখলে তা বিভিন্নভাবে উদ্দেশ্য পূরণে সহায়তা করবে।
পুরোনো বছরকে সুন্দর করে বিদায় দিতেই হোক বা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে—ঘর সাজান সুন্দর করে। কিছু ওয়ার্ম লাইট ও জানালা বা টেবিলে কিছু গাছ রেখে ঘরে দিন একটু উষ্ণতার ছোঁয়া। সঙ্গে পুরোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস অন্য কাউকে দিয়ে দিন। দেখবেন বাসায় একটা শান্ত ও পরিচ্ছন্ন ভাব আসবে।
পিঠা সংস্কৃতির অংশ। তাই ঐতিহ্য ধরে রাখাতে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে সময় করে একদিন বিভিন্ন রকম পিঠা বানাতে পারেন। বড় আয়োজন নয়, বরং চা-বিস্কুট আর পিঠা নিয়ে একটি ঘরোয়া আড্ডা জমান। পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করুন। দেখবেন, মন থেকে অনেকখানি ভার নেমে গেছে।
ডিসেম্বরের আবহাওয়া বই পড়ার জন্য উপযুক্ত। ছুটির দিনে দুপুরগুলো কাজে লাগান। গায়ে হালকা কাঁথা জড়িয়ে একটা অলস দুপুর বই পড়ে দেখুন। অথবা একটা ভালো উপন্যাস নিয়ে শীতের মিষ্টি রোদে বসে পড়ুন। সঙ্গে রাখুন এক কাপ চা। দেখবেন, খুব ভালো লাগবে।
বছরের এই শেষ সময় এসেও নিজের জন্য সময় বের করুন। নিজের যত্ন নিন, নিজেকে নিজেই কিছু উপহার দিন। দেখবেন নিজেকে মূল্যবান ও যোগ্য মনে হবে। তা ছাড়া কাউকে কিছু উপহার দিতে চাইলেও দিতে পারেন। সেটাও কিন্তু নিজেকে সময় দেওয়ার কাজ করবে।

শীতকালে অনেক জায়গায় পিঠা মেলা বা হস্তশিল্প মেলা বসে। এই মেলাগুলোতে ঘুরে বেড়ান। উৎসবের কেনাকাটায় বড় শপিং মল এড়িয়ে স্থানীয় কারিগরদের কাছ থেকে কিছু কিনুন এবং শীতের খাবার চেখে দেখুন। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন। মনে রাখবেন, উদ্যোক্তাদের সহায়তা না করলে তারা বড় হতে পারবে না। তাদের বড় করতে সহায়তা করাও একটা উদ্যোগ বটে।
শীতকালে অসহায় মানুষদের কষ্ট কমাতে গরম কাপড় ও কম্বল দান করুন। ছোট ছোট কাজ করে অন্যের মুখে হাসি ফোটান; যেমন কাউকে চা বা কফি খাওয়ান, বাসে বয়স্ক কারও জন্য আসন ছেড়ে দিন, কাউকে রাস্তা পার করিয়ে দিন। ছোট একটি মানবিক কাজ আপনার জীবনকে অর্থবহ করে তুলবে।

পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বসে অথবা একা বসে এই বছর কী কী ভালো ও খারাপ হয়েছে, তা নিয়ে ভাবুন। কী কী ভুল করেছেন, সেগুলো ভেবে দেখুন। সামনের বছরগুলোতে এসব ভুল যেন না হয়, সে জন্য সতর্ক হোন। এই বছর যা কিছু ইতিবাচক হয়েছে, সেগুলো একটি ডায়েরিতে লিখে সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানান। কারও সঙ্গে মনোমালিন্য হয়ে থাকলে তা মিটিয়ে নিন। অযথা মনে রাগ পুষে রেখে নিজেকে কষ্ট দেবেন না।
পুরোনো বন্ধুরা আসলে মানুষের ব্রিদিং স্পেস বা নিশ্বাস ফেলার জায়গা। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সবার সঙ্গে সম্ভব না হলেও যাঁদের বা যাঁর সঙ্গে সম্ভব, তাঁদের বা তাঁর সঙ্গে দেখা করে কিছু সময় কাটিয়ে আসুন। মন খুলে হাসুন। স্মৃতিচারণা করুন। অন্তত এক বেলা একসঙ্গে বসে খেয়ে ফেলুন মনের মতো কোনো খাবার। দেখবেন নতুন বছর অন্য রকমভাবে শুরু হবে।
সূত্র: ক্যামিলিস্টাইল ও অন্যান্য

আজ যতই সংকটে জর্জরিত থাকুক না কেন, শ্রীলঙ্কা আমার দেখা এক মনোরম অভিজ্ঞতা হয়েই থাকবে—সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতার পঙ্ক্তিগুলির মতোই। অনেকেই হয়তো জানেন! তবু শুরুতেই জানাই, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশ অচ্ছেদ্য...
২৭ মে ২০২২
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৩২ মিনিট আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
৯ ঘণ্টা আগে