সানজিদা সামরিন
বর্ষা মৌসুমটা কমবেশি সবার কাছেই সিনেমাটিক। ঝুম বৃষ্টিতে নীল শাড়ি পরে বাতাসে চুল ছড়িয়ে ঘুরে ঘুরে নেচে বেড়ানোর দিবাস্বপ্ন দেখতে কার না ভালো লাগে? কিন্তু বিপত্তিটা ঘটে ভেজার পর। বর্ষা মৌসুমজুড়ে অনেকে খুশকি ও মাথার ত্বকের চুলকানির সমস্যায় ভোগেন। নিয়মিত শ্যাম্পু করেও যেন চুলের আঠালো ভাব থেকে মুক্তি মেলে না। বর্ষাকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে বলে এ সময় মাথার ত্বকে প্রচুর খুশকি জন্মে। তা ছাড়া বৃষ্টির পানিতে অ্যাসিড থাকায় তা চুলের স্বাস্থ্যহানি ঘটায়। এসব থেকে মুক্ত থাকতে চুলের যত্নে রুটিন মেনে চলতে হবে।
সঠিক নিয়মে চুল আঁচড়ান
মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে হবে। ঘন ও চিকন দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে তা ভেঙে যায়। অনেকেই স্নানের পরপরই চুল আঁচড়ান। এতে চুল পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। কারণ, গোসলের পর চুলের গোড়া নরম থাকে। একই কারণে বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার পর চুল মুছেই মাথা আঁচড়াবেন না। শুকিয়ে নিয়ে তারপর চুল আঁচড়াবেন। রাতে ঘুমানোর আগে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভালোভাবে চুল আঁচড়ে ঢিলেঢালাভাবে বেঁধে ঘুমাতে হবে। ফাঙ্গাসের সংক্রমণ এড়াতে অন্যের চিরুনি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
নারকেল তেল ব্যবহার করুন
চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখার অন্যতম সহজ উপায় হচ্ছে নারকেল তেল ব্যবহার। বর্ষাকাল বলে নারকেল তেল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন না। শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে নারকেল তেল ব্যবহার করলে চুল ভালো থাকবে।
বৃষ্টিতে ভিজে গেলে চুল শ্যাম্পু করতে হবে
বৃষ্টিতে ভিজে গেলে বাড়ি ফিরে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। কারণ, বৃষ্টির পানি মাথার ত্বকের সিবাম উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুল তৈলাক্ত ও আঠালো হয়ে পড়ে। তাই এ সময় অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ ও ডিপ ক্লিনজিং শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার লাগিয়ে পর্যাপ্ত পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এরপর চুলে সেরাম লাগাতে ভুলবেন না।
চুল শুকনো রাখুন
এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে বলে চুল শুকাতে সময় লাগে। যাঁরা রাতে গোসল করেন, তাঁরা চুল ভালোভাবে না শুকিয়ে ঘুমাতে যাবেন না। ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে চুল ব্যাকটেরিয়ার আশ্রয়স্থল। প্রয়োজন হলে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে কুল এয়ারে ৬০ শতাংশ শুকিয়ে তারপর ফ্যানের বাতাসে পুরো শুকিয়ে নিন।
ভেষজ হেয়ারপ্যাক
ব্যবহার করুন
চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করার জন্য সপ্তাহে অন্তত এক দিন ভেষজ প্যাক লাগাতে পারেন। এ সময় চুল গভীরভাবে পরিষ্কারের জন্য রিঠা, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। অনেকের মাথায় খুশকি বা অ্যালার্জি হওয়ার প্রবণতা থাকে। সে ক্ষেত্রে নিমপাতা ভেজানো পানি ও মেথিবাটা একসঙ্গে পেস্ট করে চুলের গোড়ায় লাগাতে হবে। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। যাঁদের মাথায় প্রচুর খুশকি হয়, তাঁরা আধা কাপ লেবুর রসের সঙ্গে আধা কাপ পানি ও দুই চা-চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বক থেকে শুরু করে পুরো চুলে লাগিয়ে নিন। এরপর আধা ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে কন্ডিশনার লাগিয়ে চুল ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এ ছাড়া পারলারে গিয়ে নিয়মিত স্পা ও ওজন থেরাপি নেওয়া যেতে পারে।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
বর্ষাকালে পানি পানের পরিমাণ কমে যায়। কিন্তু সুস্থ থাকতে ও চুল ভালো রাখতে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। চুল ভাঙা ও রুক্ষতা দূর করতে পর্যাপ্ত পানি পানের বিকল্প নেই।
বর্ষা মৌসুমটা কমবেশি সবার কাছেই সিনেমাটিক। ঝুম বৃষ্টিতে নীল শাড়ি পরে বাতাসে চুল ছড়িয়ে ঘুরে ঘুরে নেচে বেড়ানোর দিবাস্বপ্ন দেখতে কার না ভালো লাগে? কিন্তু বিপত্তিটা ঘটে ভেজার পর। বর্ষা মৌসুমজুড়ে অনেকে খুশকি ও মাথার ত্বকের চুলকানির সমস্যায় ভোগেন। নিয়মিত শ্যাম্পু করেও যেন চুলের আঠালো ভাব থেকে মুক্তি মেলে না। বর্ষাকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে বলে এ সময় মাথার ত্বকে প্রচুর খুশকি জন্মে। তা ছাড়া বৃষ্টির পানিতে অ্যাসিড থাকায় তা চুলের স্বাস্থ্যহানি ঘটায়। এসব থেকে মুক্ত থাকতে চুলের যত্নে রুটিন মেনে চলতে হবে।
সঠিক নিয়মে চুল আঁচড়ান
মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াতে হবে। ঘন ও চিকন দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে তা ভেঙে যায়। অনেকেই স্নানের পরপরই চুল আঁচড়ান। এতে চুল পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। কারণ, গোসলের পর চুলের গোড়া নরম থাকে। একই কারণে বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার পর চুল মুছেই মাথা আঁচড়াবেন না। শুকিয়ে নিয়ে তারপর চুল আঁচড়াবেন। রাতে ঘুমানোর আগে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভালোভাবে চুল আঁচড়ে ঢিলেঢালাভাবে বেঁধে ঘুমাতে হবে। ফাঙ্গাসের সংক্রমণ এড়াতে অন্যের চিরুনি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
নারকেল তেল ব্যবহার করুন
চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখার অন্যতম সহজ উপায় হচ্ছে নারকেল তেল ব্যবহার। বর্ষাকাল বলে নারকেল তেল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন না। শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মাথার ত্বক ও চুলে নারকেল তেল ব্যবহার করলে চুল ভালো থাকবে।
বৃষ্টিতে ভিজে গেলে চুল শ্যাম্পু করতে হবে
বৃষ্টিতে ভিজে গেলে বাড়ি ফিরে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। কারণ, বৃষ্টির পানি মাথার ত্বকের সিবাম উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ফলে চুল তৈলাক্ত ও আঠালো হয়ে পড়ে। তাই এ সময় অ্যান্টি-ড্যানড্রাফ ও ডিপ ক্লিনজিং শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার লাগিয়ে পর্যাপ্ত পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এরপর চুলে সেরাম লাগাতে ভুলবেন না।
চুল শুকনো রাখুন
এ সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে বলে চুল শুকাতে সময় লাগে। যাঁরা রাতে গোসল করেন, তাঁরা চুল ভালোভাবে না শুকিয়ে ঘুমাতে যাবেন না। ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে চুল ব্যাকটেরিয়ার আশ্রয়স্থল। প্রয়োজন হলে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে কুল এয়ারে ৬০ শতাংশ শুকিয়ে তারপর ফ্যানের বাতাসে পুরো শুকিয়ে নিন।
ভেষজ হেয়ারপ্যাক
ব্যবহার করুন
চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করার জন্য সপ্তাহে অন্তত এক দিন ভেষজ প্যাক লাগাতে পারেন। এ সময় চুল গভীরভাবে পরিষ্কারের জন্য রিঠা, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। অনেকের মাথায় খুশকি বা অ্যালার্জি হওয়ার প্রবণতা থাকে। সে ক্ষেত্রে নিমপাতা ভেজানো পানি ও মেথিবাটা একসঙ্গে পেস্ট করে চুলের গোড়ায় লাগাতে হবে। আধা ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। যাঁদের মাথায় প্রচুর খুশকি হয়, তাঁরা আধা কাপ লেবুর রসের সঙ্গে আধা কাপ পানি ও দুই চা-চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মাথার ত্বক থেকে শুরু করে পুরো চুলে লাগিয়ে নিন। এরপর আধা ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে কন্ডিশনার লাগিয়ে চুল ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এ ছাড়া পারলারে গিয়ে নিয়মিত স্পা ও ওজন থেরাপি নেওয়া যেতে পারে।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
বর্ষাকালে পানি পানের পরিমাণ কমে যায়। কিন্তু সুস্থ থাকতে ও চুল ভালো রাখতে শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করুন। চুল ভাঙা ও রুক্ষতা দূর করতে পর্যাপ্ত পানি পানের বিকল্প নেই।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
১ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
১ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
১ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
১ দিন আগে