ফিচার ডেস্ক
পিৎজাকে শুধু ইতালির খাবার বললে কমতি থেকে যায়। দেশটির ঐতিহ্যের অংশ এই খাবার। পুরো বিশ্বে পিৎজার রেসিপি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে এর উপাদান ও স্বাদেও বিভিন্ন পরিবর্তন এসেছে। তাই বলে যে পরিবর্তন কানাডীয় শেফ স্যাম পানাপুলোস এনেছেন, সেটি মানতে পারেনি ইতালিয়ানরা।
ঘটনার একটু বিবরণ টানা যাক। ১৯৬০ সালের দিকে স্যাম পানাপুলোস এবং তাঁর ভাই ঐতিহ্যবাহী পিৎজায় এক নতুন উপাদান যোগ করার সিদ্ধান্ত নেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী পিৎজার উপাদানের সঙ্গে যুক্ত হলো প্যাকেটজাত আনারস। এর নাম রাখা হয় হাওয়াইয়ান পিৎজা। মাসখানেকের মধ্যে এটি বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়ে গেল। প্যানোপোলাসের দাবি, তিনিই প্রথম ফল দিয়ে পিৎজা বানাতে শুরু করেন যা ১৯৬০ সালের পর কানাডায় বিখ্যাত হয়ে ওঠে।
প্যানোপোলাস এবং তাঁর ভাই কানাডার টরোন্টো থেকে দু শ নব্বই কিলোমিটার দূরে ওন্টারিওতে স্যাটেলাইট রেস্টুরেন্ট নামে একটি রেস্টুরেন্ট খুলেছিলেন। সেখানেই চাইনিজ ডিস এবং ব্রেকফাস্টের সঙ্গে এই পিৎজাও পরিবেশন করতে শুরু করেন তাঁরা। এই উদ্ভাবন যেমন ছিল চমকপ্রদ তেমনি বিতর্কিত। কিন্তু এত দিনে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় হাওয়াইয়ান পিৎজা বেশ জনপ্রিয় হয়ে গেছে।
ইতালিয়ানদের মতে, আনারস কখনো পিৎজার অংশ হতে পারে না। শুধু ইতালিয়ানরা নয়, ইতালির পরে যেসব দেশে পিৎজা বহু বছর ধরে জনপ্রিয়, তাদের বেশির ভাগই এই আনারস পিৎজার বিরুদ্ধে। ইদানীং এই বিতর্ক নতুন করে আলোচনায় এনেছে ইংল্যান্ডের নরউইচ শহরের লুপা পিৎজা।
আনারস পিৎজার দাম ১০০ পাউন্ড বা প্রায় ১৫ হাজার টাকা
যুক্তরাজ্যের নরউইচ শহরের লুপা পিৎজা তাদের মেন্যুতে যোগ করেছে আনারস পিৎজা। এর মূল্য ১০০ পাউন্ড বা প্রায় ১৫ হাজার টাকা। তবে এটি কিন্তু বিক্রির উদ্দেশে তৈরি নয়। আনারস পিৎজার বিতর্ককে আরও চাঙা করতে এমন অদ্ভুত কাজ করেছেন লুপা পিৎজার হেড শেফ কুইন জিয়ানোরান। এ ছাড়া এটি মূলত তাঁদের রেস্তোরাঁর প্রচারণার অংশ। তাঁরা চান, মানুষ যেন এটি নিয়ে আলোচনা করে এবং তাদের মেন্যুতে এই পিৎজার উপস্থিতি নিয়ে কৌতূহলী হয়। এখন পর্যন্ত এই আলোচিত আনারস পিৎজা কেউ অর্ডার করে চেখে দেখেনি। তবে অনলাইনে এর প্রতিক্রিয়া ছিল অভাবনীয়। লুপা পিৎজা জানায়, তারা স্থানীয় সংবাদপত্র ‘নরউইচ ইভনিং নিউজ’-এ একটি জরিপের ইতিবাচক ফলাফলের কারণে আনারস পিৎজা তাদের মেন্যুতে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এই জরিপে মেন্যুতে আনারস পিৎজা রাখার পক্ষে ভোট পড়েছিল ৬২ শতাংশ।
আনারস পিৎজা নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন আইসল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট
আনারস পিৎজার ঘোর বিরোধিতা করেন আইসল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট গুওনি জোহানেসন। তাঁর মতে, আইসল্যান্ড থেকে আনারস পিৎজা নিষিদ্ধ করা উচিত। এ সংবাদ দেশটির গণমাধ্যমে আসার পর বেশ আলোচনা এবং বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তিনি মন্তব্য করেন, খাবার সবার ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। এটি নিষিদ্ধের ক্ষমতা তাঁর নেই।
আনারস পিৎজার পক্ষে এক ইতালিয়ান শেফ
এটি শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। কারণ এই আনারস পিৎজার বিরুদ্ধে পুরো ইতালি। আর সে দেশেরই এক শেফ আছেন এর পক্ষে! কিন্তু এমনটাই হয়েছে। ইতালির বিখ্যাত পিৎজা মেকার এবং পিৎজা সরবিল্লো রেস্তোরাঁর মালিক গিনো সরবিল্লো তাঁর মেন্যুতে আনারস পিৎজা যোগ করে নতুন বিতর্কের জন্ম দেন। কিন্তু এসবের দিকে নজর না দিয়ে সরবিল্লো জানান, এটি খাবারের প্রতি পক্ষপাতিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করা। তাঁর এই উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল প্রথাগত খাবারের প্রতি মানুষের পক্ষপাতিত্ব এবং সামাজিক মনোভাবের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা।
ইতালিতে পিৎজা জাতীয় ঐতিহ্য এবং নির্দিষ্ট রেসিপির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল দীর্ঘকাল। আর আনারস পিৎজা মূলত কানাডার উদ্ভাবন। সরবিল্লো তাঁর মেন্যুতে আনারস পিৎজা যোগ করলেও ইতালীয় বিশেষত্ব রাখার চেষ্টা করেছেন।
পিৎজা প্রেমীদের কাছে আনারস পিৎজা কোনো স্বাভাবিক খাবার নয়। কারণ এটি কেবল একটি খাবার নয়, এর সঙ্গে আবেগ ও ঐতিহ্য জড়িত। কেউ এটি ভালোবেসে খায়, আবার কেউ হয়তো পছন্দই করে না। তবে এটি নিঃসন্দেহে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকায় চিরস্থায়ী চিহ্ন রেখে গেছে।
সূত্র: সিএনএন ট্রাভেল
পিৎজাকে শুধু ইতালির খাবার বললে কমতি থেকে যায়। দেশটির ঐতিহ্যের অংশ এই খাবার। পুরো বিশ্বে পিৎজার রেসিপি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে এর উপাদান ও স্বাদেও বিভিন্ন পরিবর্তন এসেছে। তাই বলে যে পরিবর্তন কানাডীয় শেফ স্যাম পানাপুলোস এনেছেন, সেটি মানতে পারেনি ইতালিয়ানরা।
ঘটনার একটু বিবরণ টানা যাক। ১৯৬০ সালের দিকে স্যাম পানাপুলোস এবং তাঁর ভাই ঐতিহ্যবাহী পিৎজায় এক নতুন উপাদান যোগ করার সিদ্ধান্ত নেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী পিৎজার উপাদানের সঙ্গে যুক্ত হলো প্যাকেটজাত আনারস। এর নাম রাখা হয় হাওয়াইয়ান পিৎজা। মাসখানেকের মধ্যে এটি বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়ে গেল। প্যানোপোলাসের দাবি, তিনিই প্রথম ফল দিয়ে পিৎজা বানাতে শুরু করেন যা ১৯৬০ সালের পর কানাডায় বিখ্যাত হয়ে ওঠে।
প্যানোপোলাস এবং তাঁর ভাই কানাডার টরোন্টো থেকে দু শ নব্বই কিলোমিটার দূরে ওন্টারিওতে স্যাটেলাইট রেস্টুরেন্ট নামে একটি রেস্টুরেন্ট খুলেছিলেন। সেখানেই চাইনিজ ডিস এবং ব্রেকফাস্টের সঙ্গে এই পিৎজাও পরিবেশন করতে শুরু করেন তাঁরা। এই উদ্ভাবন যেমন ছিল চমকপ্রদ তেমনি বিতর্কিত। কিন্তু এত দিনে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় হাওয়াইয়ান পিৎজা বেশ জনপ্রিয় হয়ে গেছে।
ইতালিয়ানদের মতে, আনারস কখনো পিৎজার অংশ হতে পারে না। শুধু ইতালিয়ানরা নয়, ইতালির পরে যেসব দেশে পিৎজা বহু বছর ধরে জনপ্রিয়, তাদের বেশির ভাগই এই আনারস পিৎজার বিরুদ্ধে। ইদানীং এই বিতর্ক নতুন করে আলোচনায় এনেছে ইংল্যান্ডের নরউইচ শহরের লুপা পিৎজা।
আনারস পিৎজার দাম ১০০ পাউন্ড বা প্রায় ১৫ হাজার টাকা
যুক্তরাজ্যের নরউইচ শহরের লুপা পিৎজা তাদের মেন্যুতে যোগ করেছে আনারস পিৎজা। এর মূল্য ১০০ পাউন্ড বা প্রায় ১৫ হাজার টাকা। তবে এটি কিন্তু বিক্রির উদ্দেশে তৈরি নয়। আনারস পিৎজার বিতর্ককে আরও চাঙা করতে এমন অদ্ভুত কাজ করেছেন লুপা পিৎজার হেড শেফ কুইন জিয়ানোরান। এ ছাড়া এটি মূলত তাঁদের রেস্তোরাঁর প্রচারণার অংশ। তাঁরা চান, মানুষ যেন এটি নিয়ে আলোচনা করে এবং তাদের মেন্যুতে এই পিৎজার উপস্থিতি নিয়ে কৌতূহলী হয়। এখন পর্যন্ত এই আলোচিত আনারস পিৎজা কেউ অর্ডার করে চেখে দেখেনি। তবে অনলাইনে এর প্রতিক্রিয়া ছিল অভাবনীয়। লুপা পিৎজা জানায়, তারা স্থানীয় সংবাদপত্র ‘নরউইচ ইভনিং নিউজ’-এ একটি জরিপের ইতিবাচক ফলাফলের কারণে আনারস পিৎজা তাদের মেন্যুতে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এই জরিপে মেন্যুতে আনারস পিৎজা রাখার পক্ষে ভোট পড়েছিল ৬২ শতাংশ।
আনারস পিৎজা নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন আইসল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট
আনারস পিৎজার ঘোর বিরোধিতা করেন আইসল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট গুওনি জোহানেসন। তাঁর মতে, আইসল্যান্ড থেকে আনারস পিৎজা নিষিদ্ধ করা উচিত। এ সংবাদ দেশটির গণমাধ্যমে আসার পর বেশ আলোচনা এবং বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তিনি মন্তব্য করেন, খাবার সবার ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। এটি নিষিদ্ধের ক্ষমতা তাঁর নেই।
আনারস পিৎজার পক্ষে এক ইতালিয়ান শেফ
এটি শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। কারণ এই আনারস পিৎজার বিরুদ্ধে পুরো ইতালি। আর সে দেশেরই এক শেফ আছেন এর পক্ষে! কিন্তু এমনটাই হয়েছে। ইতালির বিখ্যাত পিৎজা মেকার এবং পিৎজা সরবিল্লো রেস্তোরাঁর মালিক গিনো সরবিল্লো তাঁর মেন্যুতে আনারস পিৎজা যোগ করে নতুন বিতর্কের জন্ম দেন। কিন্তু এসবের দিকে নজর না দিয়ে সরবিল্লো জানান, এটি খাবারের প্রতি পক্ষপাতিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করা। তাঁর এই উদ্যোগের লক্ষ্য ছিল প্রথাগত খাবারের প্রতি মানুষের পক্ষপাতিত্ব এবং সামাজিক মনোভাবের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলা।
ইতালিতে পিৎজা জাতীয় ঐতিহ্য এবং নির্দিষ্ট রেসিপির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল দীর্ঘকাল। আর আনারস পিৎজা মূলত কানাডার উদ্ভাবন। সরবিল্লো তাঁর মেন্যুতে আনারস পিৎজা যোগ করলেও ইতালীয় বিশেষত্ব রাখার চেষ্টা করেছেন।
পিৎজা প্রেমীদের কাছে আনারস পিৎজা কোনো স্বাভাবিক খাবার নয়। কারণ এটি কেবল একটি খাবার নয়, এর সঙ্গে আবেগ ও ঐতিহ্য জড়িত। কেউ এটি ভালোবেসে খায়, আবার কেউ হয়তো পছন্দই করে না। তবে এটি নিঃসন্দেহে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকায় চিরস্থায়ী চিহ্ন রেখে গেছে।
সূত্র: সিএনএন ট্রাভেল
ঈদে ঘোরাঘুরি করলে তৃষ্ণা তো পাবেই। কী করবেন? মুড জখন ছুটির তখন জম্পেস কিছু চাইবেই মন। তাই বলে কোমোল পানীয় নয় কিন্তু। দেখে নিন দুটি ভিনদেশি জনপ্রিয় পানীয়ের রেসিপি। ঘরেই বানিয়ে চুমুক দিন। এ পানীয়গুলো এই গরমে বেশ আরাম দেবে। রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী সানিয়া সোমা।
৮ ঘণ্টা আগেছুটির দিন মানেই একটু বিশ্রাম, পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দঘন মুহূর্ত কাটানো। আর এবার ঈদুল ফিতরে তো অনেকেই দীর্ঘ ছুটি পেয়েছেন। অনেক দিন পর নাড়ির টানে গ্রামে ফিরেছেন। উদ্দেশ্য, প্রিয়জনদের সঙ্গে এই ছুটির সময়টা আনন্দে কাটানো।
১ দিন আগেইসলামিক সংস্কৃতিতে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার জন্য খাবারকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। চলুন একবার দেখে নেওয়া যাক কোন দেশে ঈদ উৎসবে কোন বিশেষ ধরনের খাবারগুলো খাওয়া হয়।
২ দিন আগেদেশের তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ি অন্যতম। এই জেলাটিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধারও বলে লোকজন। ফলে এখানে পর্যটকদের যাতায়াত আছে বেশ। যোগাযোগ ব্যবস্থাও দারুণ। ঈদের লম্বা ছুটিতে হাতে তিন থেকে চার দিনের সময় নিয়ে গেলে প্রকৃতির চোখ জুড়ানো রূপ দেখে আসা যাবে।
২ দিন আগে