মুহাম্মদ জাভেদ হাকিম
সময় এখন লটকনের। টুক করে মুখে পুরে স্বাদ গ্রহণের সঙ্গে লটকন বাগানে ঘুরে নিজ হাতে এই ফল পেড়ে খাওয়ার মজাটা একেবারেই অন্যরকম। অনেকেই শুনে থাকবেন লটকনের জন্য বিখ্যাত নরসিংদীর গিলাব এলাকা। আমার বন্ধু কবির ভাইয়ের আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম সেখানে লটকন বাগান দেখতে। আগেভাগেই কোন কোন বাগানে ঘুরব, তা ঠিক করে রেখেছিল এক বন্ধু। নাম মনির।
তার বাড়িতেই গেলাম প্রথমে। বাড়িতে ঢুকতেই চোখ কপালে। আরে এ তো বসত বাড়ি নয়, যেন বাগান বাড়ি। আঙিনায় হরেক পদের ফল ও ফুল গাছ। কাঁচা–পাকা লটকন, আর বিশাল বিশাল কাঁঠাল ঝুলছে গাছে গাছে। খানিকক্ষণ ঘুরে ফিরে বের হয়ে গেলাম বাগান দেখতে। বাড়ি থেকে বাগান প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে। গাড়ি চলছে, অবারিত সবুজের মাঝে পিচঢালা সরু পথে। চারপাশ সবুজ আর সবুজ। প্রকৃতি যেন তার সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই পৌঁছাই নির্ধারিত বাগানে। সেখানে অপেক্ষায় ছিলেন আমাদের আরেক বন্ধু ও লটকন বাগান মালিক সালাম ভাই। বাগানে ঢুকতেই চোখে ধরা দেয় এক অন্যরকম প্রকৃতি। যতই এগিয়ে যাই ততই যেন মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ি। ধীরে ধীরে ডুবে যাই আমরা শত শত গাছে ঝুলে থাকা লটকনের স্তূপে। যত দূর চোখ যায়, শুধু লটকন আর লটকন। অনুমতি থাকায় আমরা নিজ হাতে লটকন পেড়ে খাই। গাছের ফল পেড়ে খাওয়ার মজাই আলাদা।
লটকন ফল নরসিংদীর দুটো উপজেলা বেলাব ও শিবপুরে মূলত বেশি উৎপন্ন হয়। তার মধ্যে গিলাব, বটেশ্বর, লাখপুর, আজলিতলা, ওয়ারি ও মরজাল গ্রাম বেশ প্রসিদ্ধ। এই গ্রামের প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় রয়েছে লটকন গাছ। সেই সঙ্গে পরিকল্পিত বাগান। কোনো কোনো গাছে ৩০০ কেজি পর্যন্ত লটকন ধরে। এসব গ্রামের অধিকাংশ পরিবারই লটকন ফল বিক্রির ওপর নির্ভরশীল। চারা রোপণের তিন বছরের মাথায় ফলন আসতে শুরু করে। প্রায় ষাট বছর বয়স পর্যন্ত গাছটিতে ফল ধরে থাকে।
লটকন ফলের জন্য দেশের ময়মনসিংহ, গাজীপুর ও নরসিংদী—এই তিন জেলা বেশ বিখ্যাত। তবে নরসিংদীর লটকন আকার ও স্বাদে অন্য দুই জেলা থেকে বেশি বড় ও সুস্বাদু। দেশের মোট উৎপাদনের ৮০ ভাগই উৎপন্ন হয় নরসিংদীতে। মরজাল হলো লটকনের বৃহৎ পাইকারি বাজার। লটকন কেনার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে পাইকারেরা আসেন। বর্তমানে লটকন দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। এ ফল জুন থেকে আগস্ট এই তিন মাস গাছে ধরে।
গোলাকৃতির এই ফল মাত্র এক দশক আগেও অনেক জেলার মানুষের কাছে জংলি ফল হিসেবে পরিচিত ছিল। থোকায় থোকায় এই ফল একেবারে গাছের গোড়া থেকে প্রায় মগডাল পর্যন্ত ধরে থাকে। পাকা ফল হলদে ও অনেকটা জাফরান রঙের। আর কাঁচা অবস্থায় প্রায় সবুজ রঙা থাকে এ ফল। লটকন ফল নানান জেলায় ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত।
দিন শেষে নানান গাছের লটকন চেখে, পছন্দমতো গাছের সুস্বাদু লটকন নিয়ে বাড়ির পথ ধরি।
ঢাকা থকে যেতে হলে: ঢাকার সায়েদাবাদ বা উত্তরা থেকে নরসিংদীর মরজাল বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত পরিবহন ভেদে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৮০ থেকে ১১০ টাকা। কমলাপুর থেকে ট্রেনেও রায়পুরা রেলস্টেশনে নামা যাবে। রায়পুরা থেকে অটো বা রিকশায় ঘুরে বেড়ানো যাবে লটকন বাগান।
সতর্কতা: অবশ্যই বিনা অনুমতিতে গাছ থেকে লটকন ছেঁড়া যাবে না।
সময় এখন লটকনের। টুক করে মুখে পুরে স্বাদ গ্রহণের সঙ্গে লটকন বাগানে ঘুরে নিজ হাতে এই ফল পেড়ে খাওয়ার মজাটা একেবারেই অন্যরকম। অনেকেই শুনে থাকবেন লটকনের জন্য বিখ্যাত নরসিংদীর গিলাব এলাকা। আমার বন্ধু কবির ভাইয়ের আমন্ত্রণে গিয়েছিলাম সেখানে লটকন বাগান দেখতে। আগেভাগেই কোন কোন বাগানে ঘুরব, তা ঠিক করে রেখেছিল এক বন্ধু। নাম মনির।
তার বাড়িতেই গেলাম প্রথমে। বাড়িতে ঢুকতেই চোখ কপালে। আরে এ তো বসত বাড়ি নয়, যেন বাগান বাড়ি। আঙিনায় হরেক পদের ফল ও ফুল গাছ। কাঁচা–পাকা লটকন, আর বিশাল বিশাল কাঁঠাল ঝুলছে গাছে গাছে। খানিকক্ষণ ঘুরে ফিরে বের হয়ে গেলাম বাগান দেখতে। বাড়ি থেকে বাগান প্রায় ২ কিলোমিটার দূরে। গাড়ি চলছে, অবারিত সবুজের মাঝে পিচঢালা সরু পথে। চারপাশ সবুজ আর সবুজ। প্রকৃতি যেন তার সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই পৌঁছাই নির্ধারিত বাগানে। সেখানে অপেক্ষায় ছিলেন আমাদের আরেক বন্ধু ও লটকন বাগান মালিক সালাম ভাই। বাগানে ঢুকতেই চোখে ধরা দেয় এক অন্যরকম প্রকৃতি। যতই এগিয়ে যাই ততই যেন মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ি। ধীরে ধীরে ডুবে যাই আমরা শত শত গাছে ঝুলে থাকা লটকনের স্তূপে। যত দূর চোখ যায়, শুধু লটকন আর লটকন। অনুমতি থাকায় আমরা নিজ হাতে লটকন পেড়ে খাই। গাছের ফল পেড়ে খাওয়ার মজাই আলাদা।
লটকন ফল নরসিংদীর দুটো উপজেলা বেলাব ও শিবপুরে মূলত বেশি উৎপন্ন হয়। তার মধ্যে গিলাব, বটেশ্বর, লাখপুর, আজলিতলা, ওয়ারি ও মরজাল গ্রাম বেশ প্রসিদ্ধ। এই গ্রামের প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় রয়েছে লটকন গাছ। সেই সঙ্গে পরিকল্পিত বাগান। কোনো কোনো গাছে ৩০০ কেজি পর্যন্ত লটকন ধরে। এসব গ্রামের অধিকাংশ পরিবারই লটকন ফল বিক্রির ওপর নির্ভরশীল। চারা রোপণের তিন বছরের মাথায় ফলন আসতে শুরু করে। প্রায় ষাট বছর বয়স পর্যন্ত গাছটিতে ফল ধরে থাকে।
লটকন ফলের জন্য দেশের ময়মনসিংহ, গাজীপুর ও নরসিংদী—এই তিন জেলা বেশ বিখ্যাত। তবে নরসিংদীর লটকন আকার ও স্বাদে অন্য দুই জেলা থেকে বেশি বড় ও সুস্বাদু। দেশের মোট উৎপাদনের ৮০ ভাগই উৎপন্ন হয় নরসিংদীতে। মরজাল হলো লটকনের বৃহৎ পাইকারি বাজার। লটকন কেনার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে পাইকারেরা আসেন। বর্তমানে লটকন দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। এ ফল জুন থেকে আগস্ট এই তিন মাস গাছে ধরে।
গোলাকৃতির এই ফল মাত্র এক দশক আগেও অনেক জেলার মানুষের কাছে জংলি ফল হিসেবে পরিচিত ছিল। থোকায় থোকায় এই ফল একেবারে গাছের গোড়া থেকে প্রায় মগডাল পর্যন্ত ধরে থাকে। পাকা ফল হলদে ও অনেকটা জাফরান রঙের। আর কাঁচা অবস্থায় প্রায় সবুজ রঙা থাকে এ ফল। লটকন ফল নানান জেলায় ভিন্ন ভিন্ন নামে পরিচিত।
দিন শেষে নানান গাছের লটকন চেখে, পছন্দমতো গাছের সুস্বাদু লটকন নিয়ে বাড়ির পথ ধরি।
ঢাকা থকে যেতে হলে: ঢাকার সায়েদাবাদ বা উত্তরা থেকে নরসিংদীর মরজাল বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত পরিবহন ভেদে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৮০ থেকে ১১০ টাকা। কমলাপুর থেকে ট্রেনেও রায়পুরা রেলস্টেশনে নামা যাবে। রায়পুরা থেকে অটো বা রিকশায় ঘুরে বেড়ানো যাবে লটকন বাগান।
সতর্কতা: অবশ্যই বিনা অনুমতিতে গাছ থেকে লটকন ছেঁড়া যাবে না।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
৩ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
৩ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
৩ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
৩ দিন আগে