
মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো তাঁর আত্মপ্রতিকৃতির জন্যই মূলত দৃষ্টি কেড়েছেন শিল্পবোদ্ধাদের। তাঁর আঁকা ছবিগুলো একান্তই তাঁর জীবন ও ভাবনাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। আত্মপ্রতিকৃতিগুলোর দিকে তাকালে সবটা বোঝা যায় না। ব্যাখ্যা করাও যায় না পুরোটা, অস্পষ্ট মনে হয়; মনে হয় রহস্য়ে ঘেরা। ফ্রিদা বলেছেন, ‘আমি স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন আঁকি না, আমি আমার নিজের বাস্তবতা আঁকি।’
১৯০৭ সালের ৬ জুলাই জন্ম ফ্রিদার। তাঁর শৈশব কেটেছে মেক্সিকো শহরে, এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে। বাবা ছিলেন জার্মান-হাঙ্গেরিয়ান। আর মা স্প্যানিশ ও তেহুয়ানা আদিবাসী মিশ্র রক্তের মানুষ। তাই জন্মের পর থেকেই এক মিশ্র সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠেন ফ্রিদা কাহলো।
ছয় বছর বয়সে পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে ফ্রিদার ডান পা আকারে ছোট ও নিস্তেজ হয়ে পড়তে শুরু করে। এ কারণে সহপাঠীদের কাছে কম হাসি-ঠাট্টার পাত্রী হতে হয়নি ছোট্ট ফ্রিদাকে। তিনি যে বড় ঝুলের জামা পরতেন, এর মূল কারণ ছিল শরীরের খুঁত ঢাকার চেষ্টা। দুই পা যেন মোটামুটি সমান দেখায়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য ডান পায়ে কয়েক স্তরবিশিষ্ট মোজা পরতে শুরু করেন তিনি। ১৮ বছর বয়সে বাস দুর্ঘটনায় তাঁর মেরুদণ্ডের দিকের প্রায় ২০টি হাড় ভেঙে যায়। প্রায় দুই মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ১৯২৭ সালে কিছুটা সুস্থ হন।
বাস দুর্ঘটনার পর মোট ৩০টি অপারেশন করতে হয়েছিল। একটু সেরে ওঠার পর ফ্রিদা পেইন্টিং করতে শুরু করেন। সুস্থ হওয়ার পর তিনি মেক্সিকান কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেন। ১৯২৮ সালে কাহলোর সঙ্গে দিয়েগো রিভেরার পরিচয় হয়। ১৯২৯ সালে কাহলো রিভেরাকে বিয়ে করেন। তবে বিবাহিত জীবন যে খুব সুখে কেটেছে, তা-ও নয়। ফলে কাহলোর আত্মপ্রতিকৃতিতে খুঁজে পাওয়া যায় তাঁর জীবনের ট্র্যাজেডি, ঐতিহ্যের প্রতি আগ্রহ এবং নারীত্বকে। তাঁর নামকরা চিত্রকর্মগুলোয় জীবনের দুটি বড় ঘটনা ঘুরেফিরে এসেছে। দিয়েগো রিভেরার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ এবং তরুণ বয়সে মারাত্মক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা—ক্যারিয়ারের পুরো সময়ে কাহলো ৫৫টি আত্মপ্রতিকৃতি এঁকেছেন।
ফ্রিদা চেয়েছিলেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ছবি আঁকবেন। তাঁর ভাষ্য ছিল, ‘যত দিন ছবি আঁকতে পারছি, তত দিন বেঁচে থাকলে আমি খুশি।’ ফ্রিদা কাহলোর সেরা কয়েকটি আত্মপ্রতিকৃতির কথাই হচ্ছে এখন—
সেলফ পোর্ট্রেট উইথ থর্ন নেকলেস অ্যান্ড হামিংবার্ড, ১৯৪০
একটু আগেই তো বলা হলো, ক্যারিয়ারের পুরো সময়ে কাহলো ৫৫টি আত্মপ্রতিকৃতি এঁকেছেন। এর মধ্য়ে ‘সেলফ পোর্ট্রেট উইথ থর্ন নেকলেস অ্যান্ড হামিংবার্ড’ উল্লেখযোগ্য।
কত মানুষ যে মোহিত হয়ে এই আত্মপ্রতিকৃতি দেখেছে, তার হিসাব নেই। ১৯৪০ সালে মেক্সিকান ম্যুরালিস্ট দিয়েগো রিভেরার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের এক বছর পরে এই চিত্রকর্ম শেষ করেন কাহলো। মনে করা হয়, বিবাহবিচ্ছেদের কারণে কাহলো যে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন, এই আত্মপ্রতিকৃতি তারই প্রতিচ্ছবি।
ছবিতে কাহলোর এক পাশে কালো চিতা, অন্য পাশে কালো বানর। এখানে বলে নেওয়া ভালো, কাহলো আর রিভেরা অনেক বানর পুষতেন। সেখান থেকেই এই বানরের প্রতিকৃতি নেওয়া হয়েছে। কাহলোর গলায় নেকলেসের মতো জড়িয়ে রয়েছে কাঁটাযুক্ত গাছের শাখা। যার মধ্যস্থলে ডানা মেলে রয়েছে হামিংবার্ড। কাঁটার আঘাতে গলার এখান-সেখান থেকে রক্ত ঝরছে। কিন্তু কাহলোর মুখে নির্লিপ্ত অভিব্যক্তিহীন ভাব। ব্যথিত হয়েও এই শান্ত দৃষ্টি ধরে রাখাই যেন কাহলোর আদর্শ। বিবাহবিচ্ছেদে বিধ্বস্ত হলেও কাহলো বলেছিলেন, ‘দিন শেষে আমরা যতটুকু ভাবতে পারি, তার চেয়ে অনেক বেশি সহ্য করতে পারি।’
দ্য টু ফ্রিদাস, ১৯৩৯
রিভেরার সঙ্গে ছাড়াছাড়ির প্রতিক্রিয়ায় ‘দ্য টু ফ্রিদাস’ এঁকেছিলেন কাহলো। এই ছবিতে কাহলো নিজের দুটি দিক সন্ধান করেন। বাঁ দিকের প্রতিকৃতিতে তিনি নিজের ভঙ্গুর রূপ দেখিয়েছেন। নিজেকে ঐতিহ্যবাহী ইউরোপীয় গাউন পরিহিত একটি ভাঙা হৃদয় বয়ে বেড়ানো নারী হিসেবে এঁকেছেন।
ডান দিকে নিজেকে আধুনিক মেক্সিকান পোশাক পরিয়েছেন। রিভেরার সঙ্গে বিয়ের সময় তিনি এমন পোশাক পরেছিলেন। দুটি প্রতিকৃতিই বসে রয়েছে একটি বেঞ্চে। দুজনেই বসে আছে হাত ধরাধরি করে। দুজনের হৃদয় থেকে একটি শিরা অঙ্কুরিত হয়ে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে। তাদের বাহুতেও জড়িয়ে যায় সেই শিরা। বাঁ দিকে যে ফ্রিদা বসে রয়েছে, সে সার্জিক্যাল কাঁচি দিয়ে শিরা কেটে দেয়, যার ফলে রক্তক্ষরণ হয়। ডান দিকে বসে থাকা কাহলোর শিরা রিভেরার একটি ছোট্ট প্রতিকৃতিতে নিয়ে যায়। এই প্রতিকৃতি তার হাতেই ছিল।
এই অনন্য আত্মপ্রতিকৃতি সম্ভবত বিবাহবিচ্ছেদের কারণে আত্ম অনুসন্ধানের যে সংগ্রাম করছিলেন কাহলো, তারই প্রতিনিধিত্ব করে। বিষয়বস্তুতে পরাবাস্তব হওয়া সত্ত্বেও কাহলো জোর দিয়েছিলেন, এজাতীয় চিত্রাবলি বাস্তব জীবনে মূল এবং তাই তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রত্যক্ষ প্রতিচ্ছবি। ফ্রিদা কাহলো ব্যাখ্যা করেন, ‘আমি কখনো স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন আঁকি না। আমি আমার নিজস্ব বাস্তবতা আঁকি।’
দ্য উন্ডেড ডিয়ার, ১৯৪৬
‘দ্য উন্ডেড ডিয়ার’ আরেকটি আত্মপ্রতিকৃতি, যা কাহলোর শারীরিক এবং মানসিক যন্ত্রণাকে প্রতীকীভাবে সমন্বয় করেছে। ছবিতে কাহলো নিজেকে হরিণ হিসেবে চিত্রিত করেছেন। কাহলোর পোষা হরিণ গ্রানিজো। গ্রানিজোর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ছবিটি এঁকেছেন। তিরের আঘাতে কাহলোর মুখশ্রী ধারণ করা এই হরিণ যে মৃত্যুর দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে, তা ছবিতে স্পষ্ট। এই ছবি আঁকার সময় কাহলোর শরীর ভেঙে পড়েছিল। শরীরে ব্যর্থ কাটাছেঁড়া, দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত শারীরিক ব্যথা ছাড়াও তিনি গ্যাংগ্রিন এবং অন্যান্য অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সেই যন্ত্রণার প্রকাশ রয়েছে ছবিটিতে।
সূত্র: মাই মডার্ন মেট ডট কম
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো তাঁর আত্মপ্রতিকৃতির জন্যই মূলত দৃষ্টি কেড়েছেন শিল্পবোদ্ধাদের। তাঁর আঁকা ছবিগুলো একান্তই তাঁর জীবন ও ভাবনাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। আত্মপ্রতিকৃতিগুলোর দিকে তাকালে সবটা বোঝা যায় না। ব্যাখ্যা করাও যায় না পুরোটা, অস্পষ্ট মনে হয়; মনে হয় রহস্য়ে ঘেরা। ফ্রিদা বলেছেন, ‘আমি স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন আঁকি না, আমি আমার নিজের বাস্তবতা আঁকি।’
১৯০৭ সালের ৬ জুলাই জন্ম ফ্রিদার। তাঁর শৈশব কেটেছে মেক্সিকো শহরে, এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে। বাবা ছিলেন জার্মান-হাঙ্গেরিয়ান। আর মা স্প্যানিশ ও তেহুয়ানা আদিবাসী মিশ্র রক্তের মানুষ। তাই জন্মের পর থেকেই এক মিশ্র সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠেন ফ্রিদা কাহলো।
ছয় বছর বয়সে পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে ফ্রিদার ডান পা আকারে ছোট ও নিস্তেজ হয়ে পড়তে শুরু করে। এ কারণে সহপাঠীদের কাছে কম হাসি-ঠাট্টার পাত্রী হতে হয়নি ছোট্ট ফ্রিদাকে। তিনি যে বড় ঝুলের জামা পরতেন, এর মূল কারণ ছিল শরীরের খুঁত ঢাকার চেষ্টা। দুই পা যেন মোটামুটি সমান দেখায়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য ডান পায়ে কয়েক স্তরবিশিষ্ট মোজা পরতে শুরু করেন তিনি। ১৮ বছর বয়সে বাস দুর্ঘটনায় তাঁর মেরুদণ্ডের দিকের প্রায় ২০টি হাড় ভেঙে যায়। প্রায় দুই মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ১৯২৭ সালে কিছুটা সুস্থ হন।
বাস দুর্ঘটনার পর মোট ৩০টি অপারেশন করতে হয়েছিল। একটু সেরে ওঠার পর ফ্রিদা পেইন্টিং করতে শুরু করেন। সুস্থ হওয়ার পর তিনি মেক্সিকান কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেন। ১৯২৮ সালে কাহলোর সঙ্গে দিয়েগো রিভেরার পরিচয় হয়। ১৯২৯ সালে কাহলো রিভেরাকে বিয়ে করেন। তবে বিবাহিত জীবন যে খুব সুখে কেটেছে, তা-ও নয়। ফলে কাহলোর আত্মপ্রতিকৃতিতে খুঁজে পাওয়া যায় তাঁর জীবনের ট্র্যাজেডি, ঐতিহ্যের প্রতি আগ্রহ এবং নারীত্বকে। তাঁর নামকরা চিত্রকর্মগুলোয় জীবনের দুটি বড় ঘটনা ঘুরেফিরে এসেছে। দিয়েগো রিভেরার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ এবং তরুণ বয়সে মারাত্মক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা—ক্যারিয়ারের পুরো সময়ে কাহলো ৫৫টি আত্মপ্রতিকৃতি এঁকেছেন।
ফ্রিদা চেয়েছিলেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ছবি আঁকবেন। তাঁর ভাষ্য ছিল, ‘যত দিন ছবি আঁকতে পারছি, তত দিন বেঁচে থাকলে আমি খুশি।’ ফ্রিদা কাহলোর সেরা কয়েকটি আত্মপ্রতিকৃতির কথাই হচ্ছে এখন—
সেলফ পোর্ট্রেট উইথ থর্ন নেকলেস অ্যান্ড হামিংবার্ড, ১৯৪০
একটু আগেই তো বলা হলো, ক্যারিয়ারের পুরো সময়ে কাহলো ৫৫টি আত্মপ্রতিকৃতি এঁকেছেন। এর মধ্য়ে ‘সেলফ পোর্ট্রেট উইথ থর্ন নেকলেস অ্যান্ড হামিংবার্ড’ উল্লেখযোগ্য।
কত মানুষ যে মোহিত হয়ে এই আত্মপ্রতিকৃতি দেখেছে, তার হিসাব নেই। ১৯৪০ সালে মেক্সিকান ম্যুরালিস্ট দিয়েগো রিভেরার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের এক বছর পরে এই চিত্রকর্ম শেষ করেন কাহলো। মনে করা হয়, বিবাহবিচ্ছেদের কারণে কাহলো যে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন, এই আত্মপ্রতিকৃতি তারই প্রতিচ্ছবি।
ছবিতে কাহলোর এক পাশে কালো চিতা, অন্য পাশে কালো বানর। এখানে বলে নেওয়া ভালো, কাহলো আর রিভেরা অনেক বানর পুষতেন। সেখান থেকেই এই বানরের প্রতিকৃতি নেওয়া হয়েছে। কাহলোর গলায় নেকলেসের মতো জড়িয়ে রয়েছে কাঁটাযুক্ত গাছের শাখা। যার মধ্যস্থলে ডানা মেলে রয়েছে হামিংবার্ড। কাঁটার আঘাতে গলার এখান-সেখান থেকে রক্ত ঝরছে। কিন্তু কাহলোর মুখে নির্লিপ্ত অভিব্যক্তিহীন ভাব। ব্যথিত হয়েও এই শান্ত দৃষ্টি ধরে রাখাই যেন কাহলোর আদর্শ। বিবাহবিচ্ছেদে বিধ্বস্ত হলেও কাহলো বলেছিলেন, ‘দিন শেষে আমরা যতটুকু ভাবতে পারি, তার চেয়ে অনেক বেশি সহ্য করতে পারি।’
দ্য টু ফ্রিদাস, ১৯৩৯
রিভেরার সঙ্গে ছাড়াছাড়ির প্রতিক্রিয়ায় ‘দ্য টু ফ্রিদাস’ এঁকেছিলেন কাহলো। এই ছবিতে কাহলো নিজের দুটি দিক সন্ধান করেন। বাঁ দিকের প্রতিকৃতিতে তিনি নিজের ভঙ্গুর রূপ দেখিয়েছেন। নিজেকে ঐতিহ্যবাহী ইউরোপীয় গাউন পরিহিত একটি ভাঙা হৃদয় বয়ে বেড়ানো নারী হিসেবে এঁকেছেন।
ডান দিকে নিজেকে আধুনিক মেক্সিকান পোশাক পরিয়েছেন। রিভেরার সঙ্গে বিয়ের সময় তিনি এমন পোশাক পরেছিলেন। দুটি প্রতিকৃতিই বসে রয়েছে একটি বেঞ্চে। দুজনেই বসে আছে হাত ধরাধরি করে। দুজনের হৃদয় থেকে একটি শিরা অঙ্কুরিত হয়ে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে। তাদের বাহুতেও জড়িয়ে যায় সেই শিরা। বাঁ দিকে যে ফ্রিদা বসে রয়েছে, সে সার্জিক্যাল কাঁচি দিয়ে শিরা কেটে দেয়, যার ফলে রক্তক্ষরণ হয়। ডান দিকে বসে থাকা কাহলোর শিরা রিভেরার একটি ছোট্ট প্রতিকৃতিতে নিয়ে যায়। এই প্রতিকৃতি তার হাতেই ছিল।
এই অনন্য আত্মপ্রতিকৃতি সম্ভবত বিবাহবিচ্ছেদের কারণে আত্ম অনুসন্ধানের যে সংগ্রাম করছিলেন কাহলো, তারই প্রতিনিধিত্ব করে। বিষয়বস্তুতে পরাবাস্তব হওয়া সত্ত্বেও কাহলো জোর দিয়েছিলেন, এজাতীয় চিত্রাবলি বাস্তব জীবনে মূল এবং তাই তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রত্যক্ষ প্রতিচ্ছবি। ফ্রিদা কাহলো ব্যাখ্যা করেন, ‘আমি কখনো স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন আঁকি না। আমি আমার নিজস্ব বাস্তবতা আঁকি।’
দ্য উন্ডেড ডিয়ার, ১৯৪৬
‘দ্য উন্ডেড ডিয়ার’ আরেকটি আত্মপ্রতিকৃতি, যা কাহলোর শারীরিক এবং মানসিক যন্ত্রণাকে প্রতীকীভাবে সমন্বয় করেছে। ছবিতে কাহলো নিজেকে হরিণ হিসেবে চিত্রিত করেছেন। কাহলোর পোষা হরিণ গ্রানিজো। গ্রানিজোর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ছবিটি এঁকেছেন। তিরের আঘাতে কাহলোর মুখশ্রী ধারণ করা এই হরিণ যে মৃত্যুর দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে, তা ছবিতে স্পষ্ট। এই ছবি আঁকার সময় কাহলোর শরীর ভেঙে পড়েছিল। শরীরে ব্যর্থ কাটাছেঁড়া, দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত শারীরিক ব্যথা ছাড়াও তিনি গ্যাংগ্রিন এবং অন্যান্য অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সেই যন্ত্রণার প্রকাশ রয়েছে ছবিটিতে।
সূত্র: মাই মডার্ন মেট ডট কম
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো তাঁর আত্মপ্রতিকৃতির জন্যই মূলত দৃষ্টি কেড়েছেন শিল্পবোদ্ধাদের। তাঁর আঁকা ছবিগুলো একান্তই তাঁর জীবন ও ভাবনাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। আত্মপ্রতিকৃতিগুলোর দিকে তাকালে সবটা বোঝা যায় না। ব্যাখ্যা করাও যায় না পুরোটা, অস্পষ্ট মনে হয়; মনে হয় রহস্য়ে ঘেরা। ফ্রিদা বলেছেন, ‘আমি স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন আঁকি না, আমি আমার নিজের বাস্তবতা আঁকি।’
১৯০৭ সালের ৬ জুলাই জন্ম ফ্রিদার। তাঁর শৈশব কেটেছে মেক্সিকো শহরে, এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে। বাবা ছিলেন জার্মান-হাঙ্গেরিয়ান। আর মা স্প্যানিশ ও তেহুয়ানা আদিবাসী মিশ্র রক্তের মানুষ। তাই জন্মের পর থেকেই এক মিশ্র সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠেন ফ্রিদা কাহলো।
ছয় বছর বয়সে পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে ফ্রিদার ডান পা আকারে ছোট ও নিস্তেজ হয়ে পড়তে শুরু করে। এ কারণে সহপাঠীদের কাছে কম হাসি-ঠাট্টার পাত্রী হতে হয়নি ছোট্ট ফ্রিদাকে। তিনি যে বড় ঝুলের জামা পরতেন, এর মূল কারণ ছিল শরীরের খুঁত ঢাকার চেষ্টা। দুই পা যেন মোটামুটি সমান দেখায়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য ডান পায়ে কয়েক স্তরবিশিষ্ট মোজা পরতে শুরু করেন তিনি। ১৮ বছর বয়সে বাস দুর্ঘটনায় তাঁর মেরুদণ্ডের দিকের প্রায় ২০টি হাড় ভেঙে যায়। প্রায় দুই মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ১৯২৭ সালে কিছুটা সুস্থ হন।
বাস দুর্ঘটনার পর মোট ৩০টি অপারেশন করতে হয়েছিল। একটু সেরে ওঠার পর ফ্রিদা পেইন্টিং করতে শুরু করেন। সুস্থ হওয়ার পর তিনি মেক্সিকান কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেন। ১৯২৮ সালে কাহলোর সঙ্গে দিয়েগো রিভেরার পরিচয় হয়। ১৯২৯ সালে কাহলো রিভেরাকে বিয়ে করেন। তবে বিবাহিত জীবন যে খুব সুখে কেটেছে, তা-ও নয়। ফলে কাহলোর আত্মপ্রতিকৃতিতে খুঁজে পাওয়া যায় তাঁর জীবনের ট্র্যাজেডি, ঐতিহ্যের প্রতি আগ্রহ এবং নারীত্বকে। তাঁর নামকরা চিত্রকর্মগুলোয় জীবনের দুটি বড় ঘটনা ঘুরেফিরে এসেছে। দিয়েগো রিভেরার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ এবং তরুণ বয়সে মারাত্মক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা—ক্যারিয়ারের পুরো সময়ে কাহলো ৫৫টি আত্মপ্রতিকৃতি এঁকেছেন।
ফ্রিদা চেয়েছিলেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ছবি আঁকবেন। তাঁর ভাষ্য ছিল, ‘যত দিন ছবি আঁকতে পারছি, তত দিন বেঁচে থাকলে আমি খুশি।’ ফ্রিদা কাহলোর সেরা কয়েকটি আত্মপ্রতিকৃতির কথাই হচ্ছে এখন—
সেলফ পোর্ট্রেট উইথ থর্ন নেকলেস অ্যান্ড হামিংবার্ড, ১৯৪০
একটু আগেই তো বলা হলো, ক্যারিয়ারের পুরো সময়ে কাহলো ৫৫টি আত্মপ্রতিকৃতি এঁকেছেন। এর মধ্য়ে ‘সেলফ পোর্ট্রেট উইথ থর্ন নেকলেস অ্যান্ড হামিংবার্ড’ উল্লেখযোগ্য।
কত মানুষ যে মোহিত হয়ে এই আত্মপ্রতিকৃতি দেখেছে, তার হিসাব নেই। ১৯৪০ সালে মেক্সিকান ম্যুরালিস্ট দিয়েগো রিভেরার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের এক বছর পরে এই চিত্রকর্ম শেষ করেন কাহলো। মনে করা হয়, বিবাহবিচ্ছেদের কারণে কাহলো যে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন, এই আত্মপ্রতিকৃতি তারই প্রতিচ্ছবি।
ছবিতে কাহলোর এক পাশে কালো চিতা, অন্য পাশে কালো বানর। এখানে বলে নেওয়া ভালো, কাহলো আর রিভেরা অনেক বানর পুষতেন। সেখান থেকেই এই বানরের প্রতিকৃতি নেওয়া হয়েছে। কাহলোর গলায় নেকলেসের মতো জড়িয়ে রয়েছে কাঁটাযুক্ত গাছের শাখা। যার মধ্যস্থলে ডানা মেলে রয়েছে হামিংবার্ড। কাঁটার আঘাতে গলার এখান-সেখান থেকে রক্ত ঝরছে। কিন্তু কাহলোর মুখে নির্লিপ্ত অভিব্যক্তিহীন ভাব। ব্যথিত হয়েও এই শান্ত দৃষ্টি ধরে রাখাই যেন কাহলোর আদর্শ। বিবাহবিচ্ছেদে বিধ্বস্ত হলেও কাহলো বলেছিলেন, ‘দিন শেষে আমরা যতটুকু ভাবতে পারি, তার চেয়ে অনেক বেশি সহ্য করতে পারি।’
দ্য টু ফ্রিদাস, ১৯৩৯
রিভেরার সঙ্গে ছাড়াছাড়ির প্রতিক্রিয়ায় ‘দ্য টু ফ্রিদাস’ এঁকেছিলেন কাহলো। এই ছবিতে কাহলো নিজের দুটি দিক সন্ধান করেন। বাঁ দিকের প্রতিকৃতিতে তিনি নিজের ভঙ্গুর রূপ দেখিয়েছেন। নিজেকে ঐতিহ্যবাহী ইউরোপীয় গাউন পরিহিত একটি ভাঙা হৃদয় বয়ে বেড়ানো নারী হিসেবে এঁকেছেন।
ডান দিকে নিজেকে আধুনিক মেক্সিকান পোশাক পরিয়েছেন। রিভেরার সঙ্গে বিয়ের সময় তিনি এমন পোশাক পরেছিলেন। দুটি প্রতিকৃতিই বসে রয়েছে একটি বেঞ্চে। দুজনেই বসে আছে হাত ধরাধরি করে। দুজনের হৃদয় থেকে একটি শিরা অঙ্কুরিত হয়ে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে। তাদের বাহুতেও জড়িয়ে যায় সেই শিরা। বাঁ দিকে যে ফ্রিদা বসে রয়েছে, সে সার্জিক্যাল কাঁচি দিয়ে শিরা কেটে দেয়, যার ফলে রক্তক্ষরণ হয়। ডান দিকে বসে থাকা কাহলোর শিরা রিভেরার একটি ছোট্ট প্রতিকৃতিতে নিয়ে যায়। এই প্রতিকৃতি তার হাতেই ছিল।
এই অনন্য আত্মপ্রতিকৃতি সম্ভবত বিবাহবিচ্ছেদের কারণে আত্ম অনুসন্ধানের যে সংগ্রাম করছিলেন কাহলো, তারই প্রতিনিধিত্ব করে। বিষয়বস্তুতে পরাবাস্তব হওয়া সত্ত্বেও কাহলো জোর দিয়েছিলেন, এজাতীয় চিত্রাবলি বাস্তব জীবনে মূল এবং তাই তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রত্যক্ষ প্রতিচ্ছবি। ফ্রিদা কাহলো ব্যাখ্যা করেন, ‘আমি কখনো স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন আঁকি না। আমি আমার নিজস্ব বাস্তবতা আঁকি।’
দ্য উন্ডেড ডিয়ার, ১৯৪৬
‘দ্য উন্ডেড ডিয়ার’ আরেকটি আত্মপ্রতিকৃতি, যা কাহলোর শারীরিক এবং মানসিক যন্ত্রণাকে প্রতীকীভাবে সমন্বয় করেছে। ছবিতে কাহলো নিজেকে হরিণ হিসেবে চিত্রিত করেছেন। কাহলোর পোষা হরিণ গ্রানিজো। গ্রানিজোর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ছবিটি এঁকেছেন। তিরের আঘাতে কাহলোর মুখশ্রী ধারণ করা এই হরিণ যে মৃত্যুর দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে, তা ছবিতে স্পষ্ট। এই ছবি আঁকার সময় কাহলোর শরীর ভেঙে পড়েছিল। শরীরে ব্যর্থ কাটাছেঁড়া, দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত শারীরিক ব্যথা ছাড়াও তিনি গ্যাংগ্রিন এবং অন্যান্য অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সেই যন্ত্রণার প্রকাশ রয়েছে ছবিটিতে।
সূত্র: মাই মডার্ন মেট ডট কম
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো তাঁর আত্মপ্রতিকৃতির জন্যই মূলত দৃষ্টি কেড়েছেন শিল্পবোদ্ধাদের। তাঁর আঁকা ছবিগুলো একান্তই তাঁর জীবন ও ভাবনাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। আত্মপ্রতিকৃতিগুলোর দিকে তাকালে সবটা বোঝা যায় না। ব্যাখ্যা করাও যায় না পুরোটা, অস্পষ্ট মনে হয়; মনে হয় রহস্য়ে ঘেরা। ফ্রিদা বলেছেন, ‘আমি স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন আঁকি না, আমি আমার নিজের বাস্তবতা আঁকি।’
১৯০৭ সালের ৬ জুলাই জন্ম ফ্রিদার। তাঁর শৈশব কেটেছে মেক্সিকো শহরে, এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে। বাবা ছিলেন জার্মান-হাঙ্গেরিয়ান। আর মা স্প্যানিশ ও তেহুয়ানা আদিবাসী মিশ্র রক্তের মানুষ। তাই জন্মের পর থেকেই এক মিশ্র সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে ওঠেন ফ্রিদা কাহলো।
ছয় বছর বয়সে পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে ফ্রিদার ডান পা আকারে ছোট ও নিস্তেজ হয়ে পড়তে শুরু করে। এ কারণে সহপাঠীদের কাছে কম হাসি-ঠাট্টার পাত্রী হতে হয়নি ছোট্ট ফ্রিদাকে। তিনি যে বড় ঝুলের জামা পরতেন, এর মূল কারণ ছিল শরীরের খুঁত ঢাকার চেষ্টা। দুই পা যেন মোটামুটি সমান দেখায়, সেটা নিশ্চিত করার জন্য ডান পায়ে কয়েক স্তরবিশিষ্ট মোজা পরতে শুরু করেন তিনি। ১৮ বছর বয়সে বাস দুর্ঘটনায় তাঁর মেরুদণ্ডের দিকের প্রায় ২০টি হাড় ভেঙে যায়। প্রায় দুই মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ১৯২৭ সালে কিছুটা সুস্থ হন।
বাস দুর্ঘটনার পর মোট ৩০টি অপারেশন করতে হয়েছিল। একটু সেরে ওঠার পর ফ্রিদা পেইন্টিং করতে শুরু করেন। সুস্থ হওয়ার পর তিনি মেক্সিকান কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেন। ১৯২৮ সালে কাহলোর সঙ্গে দিয়েগো রিভেরার পরিচয় হয়। ১৯২৯ সালে কাহলো রিভেরাকে বিয়ে করেন। তবে বিবাহিত জীবন যে খুব সুখে কেটেছে, তা-ও নয়। ফলে কাহলোর আত্মপ্রতিকৃতিতে খুঁজে পাওয়া যায় তাঁর জীবনের ট্র্যাজেডি, ঐতিহ্যের প্রতি আগ্রহ এবং নারীত্বকে। তাঁর নামকরা চিত্রকর্মগুলোয় জীবনের দুটি বড় ঘটনা ঘুরেফিরে এসেছে। দিয়েগো রিভেরার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ এবং তরুণ বয়সে মারাত্মক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা—ক্যারিয়ারের পুরো সময়ে কাহলো ৫৫টি আত্মপ্রতিকৃতি এঁকেছেন।
ফ্রিদা চেয়েছিলেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ছবি আঁকবেন। তাঁর ভাষ্য ছিল, ‘যত দিন ছবি আঁকতে পারছি, তত দিন বেঁচে থাকলে আমি খুশি।’ ফ্রিদা কাহলোর সেরা কয়েকটি আত্মপ্রতিকৃতির কথাই হচ্ছে এখন—
সেলফ পোর্ট্রেট উইথ থর্ন নেকলেস অ্যান্ড হামিংবার্ড, ১৯৪০
একটু আগেই তো বলা হলো, ক্যারিয়ারের পুরো সময়ে কাহলো ৫৫টি আত্মপ্রতিকৃতি এঁকেছেন। এর মধ্য়ে ‘সেলফ পোর্ট্রেট উইথ থর্ন নেকলেস অ্যান্ড হামিংবার্ড’ উল্লেখযোগ্য।
কত মানুষ যে মোহিত হয়ে এই আত্মপ্রতিকৃতি দেখেছে, তার হিসাব নেই। ১৯৪০ সালে মেক্সিকান ম্যুরালিস্ট দিয়েগো রিভেরার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের এক বছর পরে এই চিত্রকর্ম শেষ করেন কাহলো। মনে করা হয়, বিবাহবিচ্ছেদের কারণে কাহলো যে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন, এই আত্মপ্রতিকৃতি তারই প্রতিচ্ছবি।
ছবিতে কাহলোর এক পাশে কালো চিতা, অন্য পাশে কালো বানর। এখানে বলে নেওয়া ভালো, কাহলো আর রিভেরা অনেক বানর পুষতেন। সেখান থেকেই এই বানরের প্রতিকৃতি নেওয়া হয়েছে। কাহলোর গলায় নেকলেসের মতো জড়িয়ে রয়েছে কাঁটাযুক্ত গাছের শাখা। যার মধ্যস্থলে ডানা মেলে রয়েছে হামিংবার্ড। কাঁটার আঘাতে গলার এখান-সেখান থেকে রক্ত ঝরছে। কিন্তু কাহলোর মুখে নির্লিপ্ত অভিব্যক্তিহীন ভাব। ব্যথিত হয়েও এই শান্ত দৃষ্টি ধরে রাখাই যেন কাহলোর আদর্শ। বিবাহবিচ্ছেদে বিধ্বস্ত হলেও কাহলো বলেছিলেন, ‘দিন শেষে আমরা যতটুকু ভাবতে পারি, তার চেয়ে অনেক বেশি সহ্য করতে পারি।’
দ্য টু ফ্রিদাস, ১৯৩৯
রিভেরার সঙ্গে ছাড়াছাড়ির প্রতিক্রিয়ায় ‘দ্য টু ফ্রিদাস’ এঁকেছিলেন কাহলো। এই ছবিতে কাহলো নিজের দুটি দিক সন্ধান করেন। বাঁ দিকের প্রতিকৃতিতে তিনি নিজের ভঙ্গুর রূপ দেখিয়েছেন। নিজেকে ঐতিহ্যবাহী ইউরোপীয় গাউন পরিহিত একটি ভাঙা হৃদয় বয়ে বেড়ানো নারী হিসেবে এঁকেছেন।
ডান দিকে নিজেকে আধুনিক মেক্সিকান পোশাক পরিয়েছেন। রিভেরার সঙ্গে বিয়ের সময় তিনি এমন পোশাক পরেছিলেন। দুটি প্রতিকৃতিই বসে রয়েছে একটি বেঞ্চে। দুজনেই বসে আছে হাত ধরাধরি করে। দুজনের হৃদয় থেকে একটি শিরা অঙ্কুরিত হয়ে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে। তাদের বাহুতেও জড়িয়ে যায় সেই শিরা। বাঁ দিকে যে ফ্রিদা বসে রয়েছে, সে সার্জিক্যাল কাঁচি দিয়ে শিরা কেটে দেয়, যার ফলে রক্তক্ষরণ হয়। ডান দিকে বসে থাকা কাহলোর শিরা রিভেরার একটি ছোট্ট প্রতিকৃতিতে নিয়ে যায়। এই প্রতিকৃতি তার হাতেই ছিল।
এই অনন্য আত্মপ্রতিকৃতি সম্ভবত বিবাহবিচ্ছেদের কারণে আত্ম অনুসন্ধানের যে সংগ্রাম করছিলেন কাহলো, তারই প্রতিনিধিত্ব করে। বিষয়বস্তুতে পরাবাস্তব হওয়া সত্ত্বেও কাহলো জোর দিয়েছিলেন, এজাতীয় চিত্রাবলি বাস্তব জীবনে মূল এবং তাই তাঁর ব্যক্তিত্বের প্রত্যক্ষ প্রতিচ্ছবি। ফ্রিদা কাহলো ব্যাখ্যা করেন, ‘আমি কখনো স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন আঁকি না। আমি আমার নিজস্ব বাস্তবতা আঁকি।’
দ্য উন্ডেড ডিয়ার, ১৯৪৬
‘দ্য উন্ডেড ডিয়ার’ আরেকটি আত্মপ্রতিকৃতি, যা কাহলোর শারীরিক এবং মানসিক যন্ত্রণাকে প্রতীকীভাবে সমন্বয় করেছে। ছবিতে কাহলো নিজেকে হরিণ হিসেবে চিত্রিত করেছেন। কাহলোর পোষা হরিণ গ্রানিজো। গ্রানিজোর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ছবিটি এঁকেছেন। তিরের আঘাতে কাহলোর মুখশ্রী ধারণ করা এই হরিণ যে মৃত্যুর দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে, তা ছবিতে স্পষ্ট। এই ছবি আঁকার সময় কাহলোর শরীর ভেঙে পড়েছিল। শরীরে ব্যর্থ কাটাছেঁড়া, দুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত শারীরিক ব্যথা ছাড়াও তিনি গ্যাংগ্রিন এবং অন্যান্য অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সেই যন্ত্রণার প্রকাশ রয়েছে ছবিটিতে।
সূত্র: মাই মডার্ন মেট ডট কম
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা

বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
৪ মিনিট আগে
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
৪২ মিনিট আগে
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
১ ঘণ্টা আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
২ ঘণ্টা আগেনিশাত তামান্না

বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
পোশাক
বিজয় দিবসের পোশাকের রং লাল-সবুজ। সাধারণত সবুজকে বেছে নেওয়া হয় পোশাকের মূল রং হিসেবে। এরপর শাড়ি হলে পাড়ে, কামিজের সঙ্গে ওড়না, পাঞ্জাবির কলার ও হাত—এসব জায়গায় উজ্জ্বল আভা ছড়ায় লাল রং। এসব নকশায় সাধারণত থাকে দেশীয় আলপনা, বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি, ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছাপচিত্র, জাতীয় ফুল কিংবা জাতীয় পাখি, লতাপাতাসহ নানা রকম দেশীয় আবহ। এসব পোশাকের মধ্যে শাড়ি, কুর্তি, সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, টপ, পাঞ্জাবি বা টি-শার্টই হয়ে উঠবে একখণ্ড ক্যানভাস। তবে ডিসেম্বর মাস মানে গায়ে অল্প হলেও শীতের পোশাক তুলতে হচ্ছে। ফলে বিজয় উৎসবের পোশাকের সঙ্গে ম্যাড়মেড়ে শীতের পোশাক যে একেবারেই মানানসই নয়, তা সবার জানা। রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাস বলেন, ‘পোশাক পরার ক্ষেত্রে শীতের হিম আবহাওয়াকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাই এমন পোশাক বেছে নিতে হবে, যা আরামদায়ক কিন্তু একই সঙ্গে হালকা শীত এড়ানো যায়।’
সৌমিক দাস আরও বলেন, ‘বিজয় দিবসের পোশাকের নকশায় ডিজাইনাররা সুতি কাপড়কেই বেশি প্রাধান্য দেন। পোশাকে মার্জিত ভাব বজায় রাখতে ব্লক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, সুই-সুতার কাজ বেশি হয়। লাল-সবুজের শাড়ি, পাঞ্জাবি, কুর্তি, উত্তরীয়সহ নানা রকম পোশাক যেন হালকা শীতও মোকাবিলা করতে পারে, সেভাবে নকশা করা হয়েছে। পাশাপাশি ম্যাচিং করে পরার জন্য চাদরও নকশা করেছে রঙ বাংলাদেশ।’
সৌমিক দাস আরও বলেন, এ ধরনের উৎসবে পরিবারের সবাই মিলে একই পোশাক পরার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখা যায়। তাই পরিবারের সবার জন্য কম্বো সেটও এনেছে এই ব্র্যান্ড।
সাজ
এই দিনে ঘোরাঘুরির আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ঠিক কেমন করে কাটাতে চাইছেন দিনটি। দল বেঁধে দূরে কোথাও যেতে চাইলে কিংবা কাছাকাছি এদিক-ওদিক ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখতে হলে সাজের ধরনেও আসবে ভিন্নতা। সাজ তো কেবল পোশাক নয়, এর সঙ্গে থাকে আনুষঙ্গিক আরও অনেক কিছুর সমন্বয়। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গয়না, চোখের সাজ, মুখের সাজ, চুলের সাজ— বাদ যায় না হাতে বা কাঁধে বহনের ব্যাগটিও। তাই একটু ভেবেচিন্তে পরিকল্পনা করে নিলে সাজ ও ঘোরাঘুরির আনন্দ হবে ঠিকঠাক।

বিজয় দিবসের দিনটিতে সাজ কেমন হলে ভালো হয়, এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহা। তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসে পোশাকের রং লাল-সবুজ থাকে। কমবেশি সবাই এই রঙেই জড়িয়ে নেন নিজেদের। যেহেতু এটি গৌরবময় দিন, তাই সাজটিও হতে হবে মার্জিত ও স্নিগ্ধ। পাশাপাশি যেহেতু শীত, তাই ত্বক যেন মেকআপের ফলে অতিরিক্ত শুষ্ক না হয়ে ওঠে, সেদিকেও নজর দেওয়া চাই।’
শোভন সাহার মতে, সাজের আগে খেয়াল রাখতে হবে ত্বকের ধরনের বিষয়টি। শুষ্ক, মিশ্র ও স্বাভাবিক—ত্বক এই তিন ধরনের হয়। তবে ত্বক যেমনই হোক না কেন, প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার দিতে হবে। প্রাইমার ব্যবহার করলে দীর্ঘ সময় ত্বক সুন্দর দেখাবে।
এদিন সাজের ধরন ভারী না হলেই বরং ভালো। মুখের ত্বকে দাগ, ছোপ লুকিয়ে হালকা করে লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে ভালোভাবে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার হালকা ফেস পাউডার দিয়ে তার ওপর পিচ বা গোলাপি ব্লাশন বুলিয়ে নিলেই ত্বকের সাজ পূর্ণ হবে।
চোখের সাজের ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, চোখে গাঢ় করে ওয়াটারপ্রুফ কাজল দিন। পোশাকের রং যেহেতু লাল-সবুজ থাকবে, তাই ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার না করে ন্যুড কিংবা হালকা রঙের লিপস্টিক পরে নিলে ভালো দেখাবে। তবে শাড়ি পরলে চুলে গুঁজে দেওয়া যেতে পারে তাজা ফুল। সবশেষে ম্যাচিং চুড়ি, গয়না ও টিপ পরলেই সাজ পুরোপুরি সম্পন্ন।

বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
পোশাক
বিজয় দিবসের পোশাকের রং লাল-সবুজ। সাধারণত সবুজকে বেছে নেওয়া হয় পোশাকের মূল রং হিসেবে। এরপর শাড়ি হলে পাড়ে, কামিজের সঙ্গে ওড়না, পাঞ্জাবির কলার ও হাত—এসব জায়গায় উজ্জ্বল আভা ছড়ায় লাল রং। এসব নকশায় সাধারণত থাকে দেশীয় আলপনা, বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি, ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছাপচিত্র, জাতীয় ফুল কিংবা জাতীয় পাখি, লতাপাতাসহ নানা রকম দেশীয় আবহ। এসব পোশাকের মধ্যে শাড়ি, কুর্তি, সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, টপ, পাঞ্জাবি বা টি-শার্টই হয়ে উঠবে একখণ্ড ক্যানভাস। তবে ডিসেম্বর মাস মানে গায়ে অল্প হলেও শীতের পোশাক তুলতে হচ্ছে। ফলে বিজয় উৎসবের পোশাকের সঙ্গে ম্যাড়মেড়ে শীতের পোশাক যে একেবারেই মানানসই নয়, তা সবার জানা। রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাস বলেন, ‘পোশাক পরার ক্ষেত্রে শীতের হিম আবহাওয়াকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাই এমন পোশাক বেছে নিতে হবে, যা আরামদায়ক কিন্তু একই সঙ্গে হালকা শীত এড়ানো যায়।’
সৌমিক দাস আরও বলেন, ‘বিজয় দিবসের পোশাকের নকশায় ডিজাইনাররা সুতি কাপড়কেই বেশি প্রাধান্য দেন। পোশাকে মার্জিত ভাব বজায় রাখতে ব্লক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, সুই-সুতার কাজ বেশি হয়। লাল-সবুজের শাড়ি, পাঞ্জাবি, কুর্তি, উত্তরীয়সহ নানা রকম পোশাক যেন হালকা শীতও মোকাবিলা করতে পারে, সেভাবে নকশা করা হয়েছে। পাশাপাশি ম্যাচিং করে পরার জন্য চাদরও নকশা করেছে রঙ বাংলাদেশ।’
সৌমিক দাস আরও বলেন, এ ধরনের উৎসবে পরিবারের সবাই মিলে একই পোশাক পরার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখা যায়। তাই পরিবারের সবার জন্য কম্বো সেটও এনেছে এই ব্র্যান্ড।
সাজ
এই দিনে ঘোরাঘুরির আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ঠিক কেমন করে কাটাতে চাইছেন দিনটি। দল বেঁধে দূরে কোথাও যেতে চাইলে কিংবা কাছাকাছি এদিক-ওদিক ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখতে হলে সাজের ধরনেও আসবে ভিন্নতা। সাজ তো কেবল পোশাক নয়, এর সঙ্গে থাকে আনুষঙ্গিক আরও অনেক কিছুর সমন্বয়। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গয়না, চোখের সাজ, মুখের সাজ, চুলের সাজ— বাদ যায় না হাতে বা কাঁধে বহনের ব্যাগটিও। তাই একটু ভেবেচিন্তে পরিকল্পনা করে নিলে সাজ ও ঘোরাঘুরির আনন্দ হবে ঠিকঠাক।

বিজয় দিবসের দিনটিতে সাজ কেমন হলে ভালো হয়, এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহা। তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসে পোশাকের রং লাল-সবুজ থাকে। কমবেশি সবাই এই রঙেই জড়িয়ে নেন নিজেদের। যেহেতু এটি গৌরবময় দিন, তাই সাজটিও হতে হবে মার্জিত ও স্নিগ্ধ। পাশাপাশি যেহেতু শীত, তাই ত্বক যেন মেকআপের ফলে অতিরিক্ত শুষ্ক না হয়ে ওঠে, সেদিকেও নজর দেওয়া চাই।’
শোভন সাহার মতে, সাজের আগে খেয়াল রাখতে হবে ত্বকের ধরনের বিষয়টি। শুষ্ক, মিশ্র ও স্বাভাবিক—ত্বক এই তিন ধরনের হয়। তবে ত্বক যেমনই হোক না কেন, প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার দিতে হবে। প্রাইমার ব্যবহার করলে দীর্ঘ সময় ত্বক সুন্দর দেখাবে।
এদিন সাজের ধরন ভারী না হলেই বরং ভালো। মুখের ত্বকে দাগ, ছোপ লুকিয়ে হালকা করে লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে ভালোভাবে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার হালকা ফেস পাউডার দিয়ে তার ওপর পিচ বা গোলাপি ব্লাশন বুলিয়ে নিলেই ত্বকের সাজ পূর্ণ হবে।
চোখের সাজের ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, চোখে গাঢ় করে ওয়াটারপ্রুফ কাজল দিন। পোশাকের রং যেহেতু লাল-সবুজ থাকবে, তাই ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার না করে ন্যুড কিংবা হালকা রঙের লিপস্টিক পরে নিলে ভালো দেখাবে। তবে শাড়ি পরলে চুলে গুঁজে দেওয়া যেতে পারে তাজা ফুল। সবশেষে ম্যাচিং চুড়ি, গয়না ও টিপ পরলেই সাজ পুরোপুরি সম্পন্ন।

মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো তাঁর আত্মপ্রতিকৃতির জন্যই মূলত দৃষ্টি কেড়েছে রসিক শিল্পবোদ্ধাদের। তাঁর আঁকা ছবিগুলো একান্তই তাঁর জীবন ও ভাবনাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। আত্মপ্রতিকৃতিগুলোর দিকে তাকালে সবটা বোঝা যায় না। ব্যাখ্যা করাও যায় না পুরোটা, অস্পষ্ট মনে হয়; মনে হয় রহস্য়ে ঘেরা। ফ্রিদা বলেছেন, ‘আমি
২৩ এপ্রিল ২০২৩
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
৪২ মিনিট আগে
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
১ ঘণ্টা আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে। সাবধান! এই অর্থ আপনার একার, মহাজাগতিক ঋণের নয়। সারা দিন জনসেবার ইচ্ছা জাগবে, ভালো কথা। কিন্তু তার আগে নিজের বিলগুলো মেটানো জরুরি। ভাগ্য আজ আপনাকে দেখাবে—টাকা উপার্জন করা যতটা সহজ, সেটা ধরে রাখা তার চেয়েও কঠিন! আজকের মন্ত্র হোক: কফি খাব, তবে বিল দেব না।
বৃষ
সকাল থেকে একটা অদ্ভুত মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি আপনাকে তাড়া করবে। এর কারণ সম্ভবত গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্টুন দেখা। জ্যোতিষ বলছে, ‘কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু আপনাকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন।’ সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি আর কেউ নয়—সে হলো আপনার ফ্রিজের ভেতরে রাখা সেই মিষ্টির বাক্স, যেটি আপনাকে ডায়েট ভাঙতে উৎসাহিত করবে। ধ্যানের মাধ্যমে একাগ্রতা আনার চেষ্টা করুন। বস যদি সকালে কাজে ভুল ধরেন, তখন যোগাভ্যাস শুরু করে দিতে পারেন, হয়তো বস ভয় পাবেন। পেটের সমস্যা এড়াতে আজ অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। কিন্তু যদি দেখেন বন্ধু বিরিয়ানি খাওয়াতে চাচ্ছে, তাহলে এই উপদেশ ভুলে যান। মন খারাপ? মনকে বলুন, ‘বিকেলের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে, তার আগে ঘুমাও।’
মিথুন
সকালের দিকে মেজাজ এমন খিটখিটে থাকবে যে, পোষা প্রাণীটাও আপনাকে এড়িয়ে চলবে। তবে চিন্তা নেই, বিকেলের দিকে মুড ফ্রেশ হবে—যদি না কোনো অপ্রত্যাশিত ফোন কল আসে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম হতে পারে, যা আপনার অহংবোধকে একধাপ বাড়িয়ে দেবে। আজ কিছু নতুন পোশাক, মোবাইল ফোন ইত্যাদি কেনার যোগ রয়েছে। আপনার সম্মান বৃদ্ধির মূল কারণ হতে পারে নতুন ফোনের ক্যামেরা। তাই নিজেকে প্রমাণ করতে নয়, বরং ভালো সেলফি তোলার জন্য আজ মন দিন। সাবধানে অর্থ ব্যয় করুন। যদি অনলাইনে কোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস চোখে পড়ে, মনে রাখবেন—ওটা কালকেও থাকবে।
কর্কট
আজকের দিনটি আপনার জন্য বেশ ব্যয়বহুল হতে চলেছে। এর মানে এই নয় যে দামি কিছু কিনবেন, বরং মানে হলো—হয়তো অফিসের কলিগদের জন্য চা-কফি কিনে নিজের মাসকাবারি বাজেট শেষ করবেন। বসের কাছে প্রশংসা পাবেন, কারণ আপনি কাজের প্রতি খুবই দায়িত্বশীল। এই দায়িত্বশীলতা আপনাকে আরও বেশি কাজ এনে দেবে, যা ভবিষ্যতে মানসিক ভারসাম্য নষ্টের কারণ হবে। সরকারি কাজে অসুবিধা দেখা দেবে—কারণ সরকারি কাজ সব সময়ই অসুবিধা সৃষ্টি করে। ভদ্র থাকুন, নইলে টাকা শেষ হয়ে গেলে ধার চাওয়ার মুখ থাকবে না।
সিংহ
প্রতিদিনের স্বাভাবিক রুটিন বদলানোর চেষ্টা কেউ একজন করবে। সেই ‘কেউ একজন’ আর কেউ নয়, তিনি হলেন আপনার জীবনসঙ্গী, যিনি আপনাকে দিয়ে ঘরের কাজ করানোর চেষ্টা করবেন। সেদিকে বিশেষ নজর রাখুন। তবে দিনের শেষে রোমান্সের যোগ রয়েছে, যদি আপনি রুটিন বদলের এই চ্যালেঞ্জে হেরে যান এবং বশ্যতা স্বীকার করেন। আজ ব্যবসা বা পেশার জন্য অর্থ সংগ্রহে আপনি সফল হবেন। ঘরের কাজকে প্রেমের খেলা মনে করুন। হারলেও লাভ, জিতলেও!
কন্যা
সারা দিন আপনার কোনো বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। চেষ্টা করলেও, ভেতরের কণ্ঠস্বর আপনাকে মনে করিয়ে দেবে—কত কাজ বাকি আছে। আজ আপনার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সামান্য সর্দি-কাশিকে কঠিন ব্যামো ভেবে সারা দিন গুগল করতে পারেন। অফিসে পদোন্নতির যোগ রয়েছে, তবে এর মানে হলো—আপনার ওপর চাপ আরও বাড়বে। ব্যবসায়ীরা আজ আর্থিক বিষয়ে হতাশ হতে পারেন। সন্তানদের বিষয়ে একটু সতর্ক থাকুন। আজ হয়তো তারা আপনার গোপনে জমানো চকলেট খুঁজে পেতে পারে।
তুলা
ব্যবসায় খুব বেশি লাভ দেখতে পাওয়ার যোগ রয়েছে। এই লাভকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যের আগের থেকে উন্নতি দেখা যাবে। আজকের দিনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভদ্র থাকবেন এবং মানসিকভাবে ভারসাম্য বজায় রাখবেন। তবে সাবধান, এই ভদ্রতা যেন অতিরিক্ত বিনয়ে রূপ না নেয়। না হলে সবাই আপনাকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেবে। অতিরিক্ত লাভের খবর পেয়ে রাতে ঘুম ভাঙতে পারে। চিন্তা করবেন না, এটা শুধু গ্যাস।
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য ফলপ্রসূ হতে চলেছে। তবে এই ‘ফল’ হয়তো আপনার ই-মেইল ইনবক্সে জমা হওয়া হাজারো নতুন ই-মেইলের স্তূপ! কর্মজীবনের দিক থেকে নতুন সুযোগ পেতে পারেন। এটি হতে পারে—বসের নতুন প্রজেক্ট, যা আপনি একা সামলাবেন। অর্থের দিক থেকে দিনটি শুভ, কারণ আপনি আজ বুদ্ধি করে একটি অপ্রয়োজনীয় অনলাইন শপিং অর্ডার বাতিল করবেন। অর্থের দিক থেকে শুভ, মানে আপনি আজ অন্তত এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
ধনু
আপনার জন্য আজ একটি শুভ দিন হতে চলেছে। এতটা শুভ যে, হয়তো সকালে উঠে জুতা পরার সময় মোজা পরতে ভুলে যাবেন। ক্যারিয়ারে লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি পরিকল্পনা করুন। দিনের মূল প্ল্যানিং হবে, কীভাবে এই পরিকল্পনাকে আবার পরের দিনের জন্য স্থগিত করা যায়। গাড়ি চালানোর সময় অসতর্কতা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষত যখন আপনি ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। আপনার ভাগ্য আজ ভালো, শুধু নিজেকে বেশি সিরিয়াস না নিলেই হলো।
মকর
জ্যোতিষ বলছে, ‘সব জায়গায় ইতিবাচক মনোভাব দেখালে চলবে না।’ সত্যি কথা! আপনার ইতিবাচকতা দেখে অন্যরা ভয় পেতে পারে। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। ঝামেলার কারণ—আপনাকে দেখিয়ে কেউ যদি ভুল করে হাসে! বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন, যেমন—সকালের নাশতায় কী খাবেন, পাউরুটি নাকি পরোটা? আপনি মানসিক চাপে ভুগতে পারেন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন। যদি দেখেন কেউ আলু-পেঁয়াজ নিয়ে তর্ক করছে, সেখানে জড়াবেন না।
কুম্ভ
শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রচুর দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মানে শুধু একটাই—আপনার ছুটি বাতিল। রাজনৈতিক কোনো কাজ করার আগে খুব ভাবনাচিন্তা করার দরকার আছে। সামনে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ আসবে, কিন্তু আপনি এমন দায়িত্বশীল যে সেই সুযোগ নিতে পারবেন না। যদিও মন চাইবে, ‘যাই হোক, একটু ফাঁকি দেওয়া যাক।’ এই দোটানা মানসিক চাপ বাড়াবে। ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ এলেও, যদি দেখেন বস আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছেন, তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করুন।
মীন
আজ সৃজনশীল শক্তিতে পূর্ণ একটি দিন কাটাবেন। আপনার এই সৃজনশীলতা হয়তো কাজে লাগতে পারে—বাড়িতে ভেঙে যাওয়া দামি জিনিসটি মেরামত করার জন্য। অর্থের দিক থেকে ভাগ্যবান প্রমাণিত হতে পারেন। হয়তো পুরোনো কোনো প্যান্টের পকেটে একটি পাঁচশ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। কেউ কোনো দায়িত্ব দিলে একেবারেই নেবেন না, কারণ এটা আপনার জন্য একটি ফাঁদ হতে পারে। আজ উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে—কারণ আপনি ওই দায়িত্বটি না নিতে পারার অপরাধবোধে ভুগবেন। দাম্পত্য জীবন শান্ত ও সুখকর থাকবে। কারণ সঙ্গী আজ আপনার সৃজনশীলতা দেখে কথা বলার সাহস পাবেন না।

মেষ
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে। সাবধান! এই অর্থ আপনার একার, মহাজাগতিক ঋণের নয়। সারা দিন জনসেবার ইচ্ছা জাগবে, ভালো কথা। কিন্তু তার আগে নিজের বিলগুলো মেটানো জরুরি। ভাগ্য আজ আপনাকে দেখাবে—টাকা উপার্জন করা যতটা সহজ, সেটা ধরে রাখা তার চেয়েও কঠিন! আজকের মন্ত্র হোক: কফি খাব, তবে বিল দেব না।
বৃষ
সকাল থেকে একটা অদ্ভুত মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি আপনাকে তাড়া করবে। এর কারণ সম্ভবত গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্টুন দেখা। জ্যোতিষ বলছে, ‘কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু আপনাকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন।’ সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি আর কেউ নয়—সে হলো আপনার ফ্রিজের ভেতরে রাখা সেই মিষ্টির বাক্স, যেটি আপনাকে ডায়েট ভাঙতে উৎসাহিত করবে। ধ্যানের মাধ্যমে একাগ্রতা আনার চেষ্টা করুন। বস যদি সকালে কাজে ভুল ধরেন, তখন যোগাভ্যাস শুরু করে দিতে পারেন, হয়তো বস ভয় পাবেন। পেটের সমস্যা এড়াতে আজ অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। কিন্তু যদি দেখেন বন্ধু বিরিয়ানি খাওয়াতে চাচ্ছে, তাহলে এই উপদেশ ভুলে যান। মন খারাপ? মনকে বলুন, ‘বিকেলের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে, তার আগে ঘুমাও।’
মিথুন
সকালের দিকে মেজাজ এমন খিটখিটে থাকবে যে, পোষা প্রাণীটাও আপনাকে এড়িয়ে চলবে। তবে চিন্তা নেই, বিকেলের দিকে মুড ফ্রেশ হবে—যদি না কোনো অপ্রত্যাশিত ফোন কল আসে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম হতে পারে, যা আপনার অহংবোধকে একধাপ বাড়িয়ে দেবে। আজ কিছু নতুন পোশাক, মোবাইল ফোন ইত্যাদি কেনার যোগ রয়েছে। আপনার সম্মান বৃদ্ধির মূল কারণ হতে পারে নতুন ফোনের ক্যামেরা। তাই নিজেকে প্রমাণ করতে নয়, বরং ভালো সেলফি তোলার জন্য আজ মন দিন। সাবধানে অর্থ ব্যয় করুন। যদি অনলাইনে কোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস চোখে পড়ে, মনে রাখবেন—ওটা কালকেও থাকবে।
কর্কট
আজকের দিনটি আপনার জন্য বেশ ব্যয়বহুল হতে চলেছে। এর মানে এই নয় যে দামি কিছু কিনবেন, বরং মানে হলো—হয়তো অফিসের কলিগদের জন্য চা-কফি কিনে নিজের মাসকাবারি বাজেট শেষ করবেন। বসের কাছে প্রশংসা পাবেন, কারণ আপনি কাজের প্রতি খুবই দায়িত্বশীল। এই দায়িত্বশীলতা আপনাকে আরও বেশি কাজ এনে দেবে, যা ভবিষ্যতে মানসিক ভারসাম্য নষ্টের কারণ হবে। সরকারি কাজে অসুবিধা দেখা দেবে—কারণ সরকারি কাজ সব সময়ই অসুবিধা সৃষ্টি করে। ভদ্র থাকুন, নইলে টাকা শেষ হয়ে গেলে ধার চাওয়ার মুখ থাকবে না।
সিংহ
প্রতিদিনের স্বাভাবিক রুটিন বদলানোর চেষ্টা কেউ একজন করবে। সেই ‘কেউ একজন’ আর কেউ নয়, তিনি হলেন আপনার জীবনসঙ্গী, যিনি আপনাকে দিয়ে ঘরের কাজ করানোর চেষ্টা করবেন। সেদিকে বিশেষ নজর রাখুন। তবে দিনের শেষে রোমান্সের যোগ রয়েছে, যদি আপনি রুটিন বদলের এই চ্যালেঞ্জে হেরে যান এবং বশ্যতা স্বীকার করেন। আজ ব্যবসা বা পেশার জন্য অর্থ সংগ্রহে আপনি সফল হবেন। ঘরের কাজকে প্রেমের খেলা মনে করুন। হারলেও লাভ, জিতলেও!
কন্যা
সারা দিন আপনার কোনো বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। চেষ্টা করলেও, ভেতরের কণ্ঠস্বর আপনাকে মনে করিয়ে দেবে—কত কাজ বাকি আছে। আজ আপনার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সামান্য সর্দি-কাশিকে কঠিন ব্যামো ভেবে সারা দিন গুগল করতে পারেন। অফিসে পদোন্নতির যোগ রয়েছে, তবে এর মানে হলো—আপনার ওপর চাপ আরও বাড়বে। ব্যবসায়ীরা আজ আর্থিক বিষয়ে হতাশ হতে পারেন। সন্তানদের বিষয়ে একটু সতর্ক থাকুন। আজ হয়তো তারা আপনার গোপনে জমানো চকলেট খুঁজে পেতে পারে।
তুলা
ব্যবসায় খুব বেশি লাভ দেখতে পাওয়ার যোগ রয়েছে। এই লাভকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যের আগের থেকে উন্নতি দেখা যাবে। আজকের দিনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভদ্র থাকবেন এবং মানসিকভাবে ভারসাম্য বজায় রাখবেন। তবে সাবধান, এই ভদ্রতা যেন অতিরিক্ত বিনয়ে রূপ না নেয়। না হলে সবাই আপনাকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেবে। অতিরিক্ত লাভের খবর পেয়ে রাতে ঘুম ভাঙতে পারে। চিন্তা করবেন না, এটা শুধু গ্যাস।
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য ফলপ্রসূ হতে চলেছে। তবে এই ‘ফল’ হয়তো আপনার ই-মেইল ইনবক্সে জমা হওয়া হাজারো নতুন ই-মেইলের স্তূপ! কর্মজীবনের দিক থেকে নতুন সুযোগ পেতে পারেন। এটি হতে পারে—বসের নতুন প্রজেক্ট, যা আপনি একা সামলাবেন। অর্থের দিক থেকে দিনটি শুভ, কারণ আপনি আজ বুদ্ধি করে একটি অপ্রয়োজনীয় অনলাইন শপিং অর্ডার বাতিল করবেন। অর্থের দিক থেকে শুভ, মানে আপনি আজ অন্তত এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
ধনু
আপনার জন্য আজ একটি শুভ দিন হতে চলেছে। এতটা শুভ যে, হয়তো সকালে উঠে জুতা পরার সময় মোজা পরতে ভুলে যাবেন। ক্যারিয়ারে লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি পরিকল্পনা করুন। দিনের মূল প্ল্যানিং হবে, কীভাবে এই পরিকল্পনাকে আবার পরের দিনের জন্য স্থগিত করা যায়। গাড়ি চালানোর সময় অসতর্কতা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষত যখন আপনি ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। আপনার ভাগ্য আজ ভালো, শুধু নিজেকে বেশি সিরিয়াস না নিলেই হলো।
মকর
জ্যোতিষ বলছে, ‘সব জায়গায় ইতিবাচক মনোভাব দেখালে চলবে না।’ সত্যি কথা! আপনার ইতিবাচকতা দেখে অন্যরা ভয় পেতে পারে। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। ঝামেলার কারণ—আপনাকে দেখিয়ে কেউ যদি ভুল করে হাসে! বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন, যেমন—সকালের নাশতায় কী খাবেন, পাউরুটি নাকি পরোটা? আপনি মানসিক চাপে ভুগতে পারেন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন। যদি দেখেন কেউ আলু-পেঁয়াজ নিয়ে তর্ক করছে, সেখানে জড়াবেন না।
কুম্ভ
শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রচুর দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মানে শুধু একটাই—আপনার ছুটি বাতিল। রাজনৈতিক কোনো কাজ করার আগে খুব ভাবনাচিন্তা করার দরকার আছে। সামনে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ আসবে, কিন্তু আপনি এমন দায়িত্বশীল যে সেই সুযোগ নিতে পারবেন না। যদিও মন চাইবে, ‘যাই হোক, একটু ফাঁকি দেওয়া যাক।’ এই দোটানা মানসিক চাপ বাড়াবে। ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ এলেও, যদি দেখেন বস আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছেন, তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করুন।
মীন
আজ সৃজনশীল শক্তিতে পূর্ণ একটি দিন কাটাবেন। আপনার এই সৃজনশীলতা হয়তো কাজে লাগতে পারে—বাড়িতে ভেঙে যাওয়া দামি জিনিসটি মেরামত করার জন্য। অর্থের দিক থেকে ভাগ্যবান প্রমাণিত হতে পারেন। হয়তো পুরোনো কোনো প্যান্টের পকেটে একটি পাঁচশ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। কেউ কোনো দায়িত্ব দিলে একেবারেই নেবেন না, কারণ এটা আপনার জন্য একটি ফাঁদ হতে পারে। আজ উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে—কারণ আপনি ওই দায়িত্বটি না নিতে পারার অপরাধবোধে ভুগবেন। দাম্পত্য জীবন শান্ত ও সুখকর থাকবে। কারণ সঙ্গী আজ আপনার সৃজনশীলতা দেখে কথা বলার সাহস পাবেন না।

মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো তাঁর আত্মপ্রতিকৃতির জন্যই মূলত দৃষ্টি কেড়েছে রসিক শিল্পবোদ্ধাদের। তাঁর আঁকা ছবিগুলো একান্তই তাঁর জীবন ও ভাবনাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। আত্মপ্রতিকৃতিগুলোর দিকে তাকালে সবটা বোঝা যায় না। ব্যাখ্যা করাও যায় না পুরোটা, অস্পষ্ট মনে হয়; মনে হয় রহস্য়ে ঘেরা। ফ্রিদা বলেছেন, ‘আমি
২৩ এপ্রিল ২০২৩
বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
৪ মিনিট আগে
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
১ ঘণ্টা আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

প্রশ্ন: চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়। চুলের যত্নে কীভাবে এর তরতাজা ভাব ধরে রাখা যায়?
স্নিগ্ধা বাহার, ঢাকা
উত্তর: হেয়ার ডিটক্স আপনার জন্য ভালো সমাধান। এর মাধ্যমে চুল পুনরুজ্জীবিত হয়। কিন্তু হেয়ার ডিটক্স ট্রিটমেন্ট বাড়িতে শতভাগ সম্ভব নয়। তবে হেয়ার ডিটক্স প্যাক লাগানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে, প্রথমে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। এরপর কোনো হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এই শ্যাম্পু তৈরি করে নিতে হবে আপেল সিডার ভিনেগার, নারকেলের দুধ, একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং অল্প পরিমাণে কোনো মাইল্ড শ্যাম্পু ভালো করে মিশিয়ে। এটি ব্যবহারে মাথার ত্বকে জমা হওয়া ধুলোবালি, ময়লা ও অতিরিক্ত তেল ধুয়ে যাবে।
এ ছাড়া এখন বাজারে সি-সল্ট পাওয়া যায়। একটি বাটিতে অ্যালোভেরা জেল, আপেল সিডার ভিনেগার এবং অল্প পরিমাণে সি-সল্ট একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে রাখতে হবে আধা ঘণ্টা। এরপর যেকোনো প্রোটিন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
প্রশ্ন: চুলের মসৃণ ভাব ফিরে পেতে ঘরে তৈরি হেয়ার রিপেয়ারিং মাস্কের পরামর্শ চাই। উপকরণগুলো সহজলভ্য হলে ভালো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, দিনাজপুর
উত্তর: বাড়িতে যত্ন নেওয়া গেলে পারলারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। একটি বাটিতে ডিম ভেঙে নিন। এর সঙ্গে টক দই ও অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এই মিশ্রণ শ্যাম্পু করা মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রাখতে হবে। এরপর আবার শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চুল সিল্কি হয়।
প্রশ্ন: শীতে পুরুষের ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখতে সহজ এবং সাধারণ কিছু টিপস প্রয়োজন। জানালে বিশেষ উপকৃত হব।
নীল মজুমদার, সোনারগাঁ
উত্তর: ত্বক পেলব রাখতে এখন থেকে প্রতিদিন রাতে অলিভ অয়েল ও গোলাপজল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে মেখে নেবেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পাকা টমেটোর প্যাক খুবই উপকারী। পাকা টমেটো পেস্টের সঙ্গে ২ চামচ টক দই এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধা শুকনো হয়ে এলে কিছুটা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
প্রশ্ন: শীতে সব সময় পা ঢাকা জুতা ব্যবহার করি। এর সঙ্গে মোজা তো পরতেই হয়। কিন্তু এ ধরনের জুতা পরার পর পায়ে গন্ধ হয়। এ ছাড়া শীতে পায়ের আঙুলের ফাঁকে খুব চুলকানি হয়। এর জন্য ট্যালকম পাউডার ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করি। পা ফ্রেশ রাখতে ভালো সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
পম্পা শেখ, লক্ষ্মীপুর
উত্তর: দীর্ঘক্ষণ পরিধান করার কারণে জুতার ভেতরে পা ঘেমে যেতে পারে। তাই কিছুক্ষণ পরপর জুতা খুলে রাখুন। সুতির মোজা ব্যবহার করুন। এ ধরনের মোজা পায়ের ঘাম শুষে নিতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ধোয়া পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করুন। অফিসে গিয়ে সম্ভব হলে জুতা-মোজা খুলে খোলা স্যান্ডেল পায়ে দিন। জুতা যদি পায়ে দিতেই হয়, তাহলে চামড়া বা কাপড়ের জুতা ব্যবহার করুন। এতে বাইরের বাতাস জুতার ভেতর যাওয়া-আসা করতে পারবে, এর ফলে পা ঘামবে কম। বাড়ি ফিরে হালকা গরম পানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমে যাবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বত্বাধিকারী বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার

প্রশ্ন: চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়। চুলের যত্নে কীভাবে এর তরতাজা ভাব ধরে রাখা যায়?
স্নিগ্ধা বাহার, ঢাকা
উত্তর: হেয়ার ডিটক্স আপনার জন্য ভালো সমাধান। এর মাধ্যমে চুল পুনরুজ্জীবিত হয়। কিন্তু হেয়ার ডিটক্স ট্রিটমেন্ট বাড়িতে শতভাগ সম্ভব নয়। তবে হেয়ার ডিটক্স প্যাক লাগানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে, প্রথমে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। এরপর কোনো হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এই শ্যাম্পু তৈরি করে নিতে হবে আপেল সিডার ভিনেগার, নারকেলের দুধ, একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং অল্প পরিমাণে কোনো মাইল্ড শ্যাম্পু ভালো করে মিশিয়ে। এটি ব্যবহারে মাথার ত্বকে জমা হওয়া ধুলোবালি, ময়লা ও অতিরিক্ত তেল ধুয়ে যাবে।
এ ছাড়া এখন বাজারে সি-সল্ট পাওয়া যায়। একটি বাটিতে অ্যালোভেরা জেল, আপেল সিডার ভিনেগার এবং অল্প পরিমাণে সি-সল্ট একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে রাখতে হবে আধা ঘণ্টা। এরপর যেকোনো প্রোটিন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
প্রশ্ন: চুলের মসৃণ ভাব ফিরে পেতে ঘরে তৈরি হেয়ার রিপেয়ারিং মাস্কের পরামর্শ চাই। উপকরণগুলো সহজলভ্য হলে ভালো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, দিনাজপুর
উত্তর: বাড়িতে যত্ন নেওয়া গেলে পারলারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। একটি বাটিতে ডিম ভেঙে নিন। এর সঙ্গে টক দই ও অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এই মিশ্রণ শ্যাম্পু করা মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রাখতে হবে। এরপর আবার শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চুল সিল্কি হয়।
প্রশ্ন: শীতে পুরুষের ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখতে সহজ এবং সাধারণ কিছু টিপস প্রয়োজন। জানালে বিশেষ উপকৃত হব।
নীল মজুমদার, সোনারগাঁ
উত্তর: ত্বক পেলব রাখতে এখন থেকে প্রতিদিন রাতে অলিভ অয়েল ও গোলাপজল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে মেখে নেবেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পাকা টমেটোর প্যাক খুবই উপকারী। পাকা টমেটো পেস্টের সঙ্গে ২ চামচ টক দই এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধা শুকনো হয়ে এলে কিছুটা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
প্রশ্ন: শীতে সব সময় পা ঢাকা জুতা ব্যবহার করি। এর সঙ্গে মোজা তো পরতেই হয়। কিন্তু এ ধরনের জুতা পরার পর পায়ে গন্ধ হয়। এ ছাড়া শীতে পায়ের আঙুলের ফাঁকে খুব চুলকানি হয়। এর জন্য ট্যালকম পাউডার ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করি। পা ফ্রেশ রাখতে ভালো সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
পম্পা শেখ, লক্ষ্মীপুর
উত্তর: দীর্ঘক্ষণ পরিধান করার কারণে জুতার ভেতরে পা ঘেমে যেতে পারে। তাই কিছুক্ষণ পরপর জুতা খুলে রাখুন। সুতির মোজা ব্যবহার করুন। এ ধরনের মোজা পায়ের ঘাম শুষে নিতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ধোয়া পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করুন। অফিসে গিয়ে সম্ভব হলে জুতা-মোজা খুলে খোলা স্যান্ডেল পায়ে দিন। জুতা যদি পায়ে দিতেই হয়, তাহলে চামড়া বা কাপড়ের জুতা ব্যবহার করুন। এতে বাইরের বাতাস জুতার ভেতর যাওয়া-আসা করতে পারবে, এর ফলে পা ঘামবে কম। বাড়ি ফিরে হালকা গরম পানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমে যাবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বত্বাধিকারী বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার

মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো তাঁর আত্মপ্রতিকৃতির জন্যই মূলত দৃষ্টি কেড়েছে রসিক শিল্পবোদ্ধাদের। তাঁর আঁকা ছবিগুলো একান্তই তাঁর জীবন ও ভাবনাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। আত্মপ্রতিকৃতিগুলোর দিকে তাকালে সবটা বোঝা যায় না। ব্যাখ্যা করাও যায় না পুরোটা, অস্পষ্ট মনে হয়; মনে হয় রহস্য়ে ঘেরা। ফ্রিদা বলেছেন, ‘আমি
২৩ এপ্রিল ২০২৩
বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
৪ মিনিট আগে
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
৪২ মিনিট আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
২ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

মেক্সিকান চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো তাঁর আত্মপ্রতিকৃতির জন্যই মূলত দৃষ্টি কেড়েছে রসিক শিল্পবোদ্ধাদের। তাঁর আঁকা ছবিগুলো একান্তই তাঁর জীবন ও ভাবনাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। আত্মপ্রতিকৃতিগুলোর দিকে তাকালে সবটা বোঝা যায় না। ব্যাখ্যা করাও যায় না পুরোটা, অস্পষ্ট মনে হয়; মনে হয় রহস্য়ে ঘেরা। ফ্রিদা বলেছেন, ‘আমি
২৩ এপ্রিল ২০২৩
বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
৪ মিনিট আগে
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
৪২ মিনিট আগে
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
১ ঘণ্টা আগে