
দক্ষিণ কোরিয়া সরকার আয়োজিত উৎসব ‘দেইগু কালারফুল ফেস্টিভ্যাল ২০২২’-এ অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশের তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্যান্স থিয়েটার। দক্ষিণ কোরিয়ার দেইগু শহরে গত ৮ থেকে ১০ জুলাই এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তুরঙ্গমীর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর নৃত্যশিল্পী পূজা সেনগুপ্ত। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মন্টি বৈষ্ণব।
আজকের পত্রিকা: একজন নারী হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে নাচের মানুষ হিসেবে পরিচিতি তৈরি করা কতটা কঠিন বলে মনে হয়েছে আপনার?
পূজা সেনগুপ্ত: আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে কাজের সুযোগ পাবার একটাই মাপকাঠি, আর তা হলো যোগ্যতা। তবে আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরেকটু জটিল ছিল। কারণ আমি যখন নাচকে পেশা হিসেবে নেবার সিদ্ধান্ত নিই, তখন আমাদের দেশে নাচের কোনো পেশাদার ক্ষেত্র তৈরি হয়নি। তাই নিজের নাচের চর্চা আর সৃজনশীলতার পাশাপাশি আমাকে আমার নাচের মার্কেটও তৈরি করতে হয়েছে। আমাদের দেশে নাচের পরিধি অনেক ছোট। আবার সংগীতের পরিধি অনেক বড়। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে আবার নাচের পরিধিটা অনেক বেশি প্রসারিত ও শক্তিশালী। কারণ নাচের ভাষা বিশ্বজনীন। তাই আমি শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক মানের কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমি যখন দেশে কাজ শুরু করি, তখন এখানে নাচের কোনো মার্কেট ছিল না। যে অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করা হতো, সেখানে গান বা অন্য জনপ্রিয় মাধ্যমের শিল্পীদের প্রাধান্য থাকত। হয়তো কোনো শিল্পীর সংগীত সন্ধ্যা হবে, শুরুতে একটা নাচ। গান আমরা শুনি আর নাচ দেখি। নাচ করার সময় যদি পেছনে যন্ত্রপাতি থাকে, সেটা দেখতে ভালো দেখাবে না। সে সময় আয়োজকদের বিষয়টা বোঝানো খুব কঠিন বিষয় ছিল। আরেকটা জিনিস লক্ষ করলাম, নাচের শিল্পীদের সম্মানী অনেক কম। আমি শুরুতেই একটা স্ট্যান্ড নিলাম। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, আমার নাচকে ঠিকমতো তুলে ধরার জন্য যে রকম আয়োজন প্রয়োজন, আয়োজকেরা সেটা নিশ্চিত করতে পারলেই কাজ করব, আর আমি উপযুক্ত বাজেটে কাজ করব। আমি অনেক কাজ ফিরিয়ে দিলাম, কম কাজ করলাম, কিন্তু যে কাজগুলো করলাম সেগুলো ভালো হলো। সবচেয়ে বড় কথা, আমি ‘না’ বলতে শিখলাম। এতে আমার লাভ হলো। দেখা গেল, কিছুদিনের মধ্যেই আমার শর্তেই সবাই আমাকে কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। কারণ, তত দিনে আসলে আমাদের দর্শক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। শিল্পের মানের সঙ্গে আমি কখনোই আপস করিনি। অবস্থান আর সম্মান জোর করে আদায় করা যায় না, অর্জন করে নিতে হয়। কাজের মানের কারণে দেশের বাইরে মূলধারার আয়োজনেও অংশগ্রহণের জন্য সরাসরি আমন্ত্রণ পেলাম। দেশের বাইরে পারফর্ম করার সময় চেষ্টা করেছি বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করতে। সেখানে আরেকটা বিষয় সমস্যা তৈরি করে। সেটা হলো, বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের নামটা অনেক কম পরিচিত। অনেকে আমাদের ভারতের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলতেন। বাংলাদেশের একটা স্বতন্ত্র পরিচিতি তৈরি করা ছিল আমার জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। তাই আমি সব সময় আমার কাজে এমন শিল্প উপকরণ আর শৈলী প্রয়োগ করেছি, যা সম্পূর্ণ আমাদের নিজস্ব, যা বাংলাদেশি। তবে লোকসংস্কৃতির এই উপকরণগুলো তো তৈরি থাকে না, খুঁজে নিতে হয়, বারবার খুঁজতে হয়—এটাই রিসার্চ। আমাকেও দেশের মূল সংস্কৃতির বিষয়গুলো খুঁজে খুঁজে বের করতে হয়েছে। আমার মূল বিষয়টা ছিল বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতির রূপ তুলে ধরা। আসলে আমি একজন সামান্য ফেরিওয়ালা, আমার দেশের সংস্কৃতি নিয়ে সারা বিশ্বে ফেরি করছি।
আজকের পত্রিকা: সৃষ্টিশীল ভুবনে আমাদের নারীদের অবস্থান তৈরিতে সমস্যা আছে কি না? আপনার কী মনে হয়?
পূজা: প্রত্যেক মানুষের মধ্যে শক্তি আর সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে। প্রয়োজন সেটাকে জাগিয়ে তোলা। মানুষের ভেতরে লুকিয়ে থাকা শক্তিটা কিন্তু অনেক বড়। সেই শক্তিটাকে সবাই আবিষ্কার করতে পারেন না। যাঁরা পারেন, তাঁরা কোনো না কোনাভাবে সফল হন। এ বিষয়ে আমাদের দেশের নারীদের বলতে চাই, প্রতিবাদ করতে জানতে হবে। অন্যায় মুখ বুঝে সহ্য না করে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিত। প্রতিবাদের মাধ্যমেই প্রতিকার আসবে।
আজকের পত্রিকা: দক্ষিণ কোরিয়ায় নিজের দেশের সংস্কৃতিকে উপস্থাপনের অনুভূতি কেমন মনে হচ্ছে? উৎসবে আরতি নাচের আইডিয়াটা কীভাবে এল?
পূজা: দেশের বাইরে যখন নিজেদের কোনো পারফরম্যান্স বা পরিবেশনা নিয়ে যাই, তখন আমাদের বিবেচনায় থাকে কীভাবে দেশের সংস্কৃতিকে সেই দেশের মাটিতে তুলে ধরব। এ ক্ষেত্রে শুধু পারফরম্যান্সের সময় নয়, আমাদের কথাবার্তায়, চলাফেরায়, পোশাকে, কস্টিউম-প্রপ্স—সবকিছুর মাধ্যমেই কীভাবে দেশকে তুলে ধরব সে বিষয়েও আমরা সব সময় সচেতন থাকি। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এই আমন্ত্রণ ২০১৯ সালের শেষের দিকে এসেছিল। তখন করোনার কারণে ফেস্টিভ্যালটা হলো না। আর আমাদেরও যাওয়া হয়নি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করার ক্ষেত্রে দুটি চ্যালেঞ্জ কাজ করে। এক হলো, নিজের দেশের সংস্কৃতিকে খুঁজে বের করা। দুই হলো, সেটিকে ঠিক রেখে আন্তর্জাতিক দর্শকের উপযোগী করে নিজের কাজকে উপস্থাপন করা। এ বিষয় দুটিকে বিবেচনায় রেখেই আরতি নাচকে বেছে নিয়েছিলাম। আমি বিভিন্ন সময়ে দেখেছি, আরতি নাচ আমাদের লোকসংস্কৃতির অংশ। তবে এটা পুরোপুরি নাচ না, এর সাথে অ্যাক্রোবেটিক কৌশলও মিশে আছে। আমি এই নাচের নতুন স্টেপ বানানোর জন্য কাজ করতে শুরু করলাম, এটাকে একটা মূলধারায় পরিবেশনযোগ্য নাচের কাঠামো দেবার চেষ্টা করলাম। ভাবলাম, আমাদের মৃত্তিকাসংলগ্ন মানুষের নাচের আঙ্গিকের সঙ্গে যদি আরতি নাচকে ফিউশন করি, তাহলে এই নাচের পরিধি অনেক বেড়ে যাবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্যারেডে রাস্তায় নাচটা পরিবেশন করতে হবে আর নাচের মধ্য দিয়ে দেশের আরতি করব, তাই রবীন্দ্রনাথের ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ গানটি বেছে নিলাম। এই নাচ পরিবেশনের পর আমরা অনেক বেশি প্রশংসিত হয়েছি। নিজেরাও অনেক আনন্দিত ছিলাম।
আজকের পত্রিকা: আপনার শৈশব সম্পর্কে জানতে চাই। ছোটবেলা থেকেই কি নাচের প্রতি আগ্রহী ছিলেন?
পূজা: ছোটবেলা থেকে আমার ছকে বাঁধা জীবন ছিল। নিয়মের মধ্যে যে ধরাবাঁধা জীবন, সেই জীবনের বাইরেও যে সুন্দর একটা জীবন আছে, সেটা আমি প্রথম বুঝতে পারি যখন আমি আমার নেশাকে পেশা হিসেবে বেছে নেবার সিদ্ধান্ত নিই। নাচ নিয়ে ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাই। আমার আসলে যাওয়ার কথা ছিল জার্মানিতে। পদার্থবিজ্ঞানের ওপর পিএইচডি করার জন্য। কিন্তু তখন আমার শিক্ষক কবির স্যারের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে নাচকে আমি আমার ভবিষ্যৎ হিসেবে বেছে নিলাম। আমার স্যার বলতেন, ‘যে কাজে তোমার আনন্দ আছে, সেটাই যদি পেশা হয়, তাহলে তোমার জীবনটা আনন্দের হবে। তা না হলে একটা অনুশোচনা থেকে যাবে।’
তবে নিজের এই পেশাকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করাটা সহজ ছিল না। আমি পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে যেতাম না। কারণ যেখানেই যাই না কেন, আমি নাচ করি বা নিজেকে কোরিওগ্রাফার হিসেবে পরিচয় দিলে সবাই আরও জানতে চাইত নাচের পাশাপাশি আমি আর কী করি। এরপর যখন দেশে-বিদেশে অনেক কাজ করতে শুরু করলাম, পত্র-পত্রিকায় ভালো নিউজ হলো, স্বীকৃতি পেলাম, তখন আবার এই মানুষগুলোই আমার বাবা-মায়ের কাছে জানতে চান, পূজা কেন আজকের অনুষ্ঠানে এল না? এরপর দেখা গেল, আমাদের বাসায় দুটো আমন্ত্রণ কার্ড আসতে লাগল। একটা আমার পরিবারের নামে, আরেকটা আলাদা কার্ড, আমার নামে।
আজকের পত্রিকা: কেমন হতে পারে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা?
পূজা: আমি কখনো পরিচিত বা বিখ্যাত হওয়ার জন্য কাজ করিনি। আমি আমার কাজটা ভালোবেসেই করেছি। আমার ফোকাস হলো ভালো কাজ করা। মহাভারতের দ্রোণাচার্য যেমন সবাইকে তির-ধনুক হাতে দিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কী দেখতে পাও। একেকজন একেকটা বললেন, কেউ আকাশ, কেউ গাছ, কেউ পাখি দেখেন। কিন্তু অর্জুন বলেছিলেন আমি পাখির চোখ দেখি। সে রকম আমি আমার লক্ষ্যটাই দেখি। বাংলাদেশের নাচের অনেক ভালো একটা ভবিষ্যৎ হবে। আন্তর্জাতিক মূলধারায় বাংলাদেশের নিজস্ব নৃত্যধারাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা আর দেশে নাচের পেশাদার ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করাই আমার লক্ষ্য।
আজকের পত্রিকা: দেইগু কালারফুল ফেস্টিভ্যালে আপনারা বাংলাদেশের তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্যান্স থিয়েটারের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই থিয়েটার সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন।
পূজা: আমার দাদু আমার নাম তুরঙ্গমী রাখতে চেয়েছিলেন। কোনো কারণে আমার এই নাম রাখা হয়নি। তুরঙ্গমী নামের অর্থ ‘যে মেয়ে ঘোড়া চালাতে পারে’। অর্থাৎ অশ্বারোহী, ঘোড়সওয়ার। যখন এ ঘটনার কথা শুনেছি, তখন থেকে মনে মনে ভাবলাম, আমি নিজে এই নামে পরিচিত হইনি, কিন্তু বড় হয়ে যে কাজগুলো করব, সেই কাজগুলো তুরঙ্গমী নামে পরিচিত হবে। ২০১৪ সালে তুরঙ্গমীর জন্ম। এটি তরুণদের জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম। এই মুহূর্তে এই প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা আছে। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে এখানকার নৃত্যশিল্পী ও কলাকুশলীদের চাকরি দেওয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার উৎসবে আমাদের দুটি পরিবেশনা ছিল—একটি ‘পাঁচফোড়ন’, আরেকটি ‘নন্দিনী’। আমরা পাঁচফোড়নের পরিবেশনায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে দেখিয়েছি, যাদের ওপর ভিত্তি করে আমাদের দেশের অর্থনীতি টিকে আছে। যেমন–কৃষক, শ্রমিক, জেলে, মাঝি, মৌয়াল, গার্মেন্টসকর্মী। সব পেশার লোকের সমাবেশ আমাদের এই দেশ। সেটাই পাঁচফোড়নের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আরেকটা পরিবেশনা ছিল, যেটা আমরা প্যারেডে করেছি। সেটার নাম নন্দিনী। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের গানের সঙ্গে আরতি নৃত্য। আমরা আমাদের দেশমাতৃকাকে নন্দিনীরূপেই দেখানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের সর্বমোট ১০ জনের একটা দল ছিল।
আজকের পত্রিকা: আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনটা কেমন মনে হয় আপনার?
পূজা: আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনটা আসলে শৌখিন, কিন্তু অপেশাদারদের ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে। যদি এভাবে চলতে থাকে, তবে এখান থেকে ভালো কাজ হবে না। দুই-চারজন নিজের মতো করে ভালো কাজ করলেও সামগ্রিকভাবে কোনো লাভ হবে না। নাচ এ দেশে অনেক বড় কাজের ক্ষেত্র হতে পারে। কারণ এ দেশের প্রচুর মানুষ নাচ করে। কিন্তু তাদের সঠিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। শুধু নাচতে জানলেই হবে না। নাচের জন্য আলো, সেট, মিউজিকের দরকার হয়। মঞ্চে সেট ব্যবহার করব কি না, সেই সেটের আঙ্গিকটা কেমন হবে, মিউজিকটা কেমন হবে—নাচকে শিল্প হিসেবে তুলে ধরার জন্য এই বিষয়গুলো জানা খুব জরুরি। একজন কোরিওগ্রাফারের এই বিষয়গুলো জানা থাকলে তাঁর কাজ মানসম্পন্ন হবে। আরেকটা বিষয় হলো, এ দেশে নকল করার প্রবণতা অনেক বেশি। এটা যে একটি অপরাধ, সেটা অনেকে বুঝতে চান না। কপিরাইট আইনের সচেতনতা প্রয়োজন। তবে আমাদের তরুণ প্রজন্ম অনেক সম্ভাবনাময়। তাদের যদি সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া যায়, তাহলে নাচের সেক্টরে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব। সরকার যদি এ দিকটায় মনোযোগ দেয়, তাহলে ভালো হবে। আর এতে তো আসলে সরকারের লাভ হবে। কারণ দেশে শিল্প-সংস্কৃতির কাজের চর্চা যতই বাড়বে, অপরাধের মাত্রা ততই কমে আসবে। এ ছাড়া এটা একটা লাভজনক খাত হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। তখন সরকারকে আর শেষ বয়সে দুস্থ শিল্পীদের অনুদান দিতে হবে না, বরং শিল্পীরাই আয়কর দিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করতে পারবেন।

দক্ষিণ কোরিয়া সরকার আয়োজিত উৎসব ‘দেইগু কালারফুল ফেস্টিভ্যাল ২০২২’-এ অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশের তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্যান্স থিয়েটার। দক্ষিণ কোরিয়ার দেইগু শহরে গত ৮ থেকে ১০ জুলাই এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তুরঙ্গমীর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর নৃত্যশিল্পী পূজা সেনগুপ্ত। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মন্টি বৈষ্ণব।
আজকের পত্রিকা: একজন নারী হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে নাচের মানুষ হিসেবে পরিচিতি তৈরি করা কতটা কঠিন বলে মনে হয়েছে আপনার?
পূজা সেনগুপ্ত: আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে কাজের সুযোগ পাবার একটাই মাপকাঠি, আর তা হলো যোগ্যতা। তবে আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরেকটু জটিল ছিল। কারণ আমি যখন নাচকে পেশা হিসেবে নেবার সিদ্ধান্ত নিই, তখন আমাদের দেশে নাচের কোনো পেশাদার ক্ষেত্র তৈরি হয়নি। তাই নিজের নাচের চর্চা আর সৃজনশীলতার পাশাপাশি আমাকে আমার নাচের মার্কেটও তৈরি করতে হয়েছে। আমাদের দেশে নাচের পরিধি অনেক ছোট। আবার সংগীতের পরিধি অনেক বড়। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে আবার নাচের পরিধিটা অনেক বেশি প্রসারিত ও শক্তিশালী। কারণ নাচের ভাষা বিশ্বজনীন। তাই আমি শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক মানের কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমি যখন দেশে কাজ শুরু করি, তখন এখানে নাচের কোনো মার্কেট ছিল না। যে অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করা হতো, সেখানে গান বা অন্য জনপ্রিয় মাধ্যমের শিল্পীদের প্রাধান্য থাকত। হয়তো কোনো শিল্পীর সংগীত সন্ধ্যা হবে, শুরুতে একটা নাচ। গান আমরা শুনি আর নাচ দেখি। নাচ করার সময় যদি পেছনে যন্ত্রপাতি থাকে, সেটা দেখতে ভালো দেখাবে না। সে সময় আয়োজকদের বিষয়টা বোঝানো খুব কঠিন বিষয় ছিল। আরেকটা জিনিস লক্ষ করলাম, নাচের শিল্পীদের সম্মানী অনেক কম। আমি শুরুতেই একটা স্ট্যান্ড নিলাম। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, আমার নাচকে ঠিকমতো তুলে ধরার জন্য যে রকম আয়োজন প্রয়োজন, আয়োজকেরা সেটা নিশ্চিত করতে পারলেই কাজ করব, আর আমি উপযুক্ত বাজেটে কাজ করব। আমি অনেক কাজ ফিরিয়ে দিলাম, কম কাজ করলাম, কিন্তু যে কাজগুলো করলাম সেগুলো ভালো হলো। সবচেয়ে বড় কথা, আমি ‘না’ বলতে শিখলাম। এতে আমার লাভ হলো। দেখা গেল, কিছুদিনের মধ্যেই আমার শর্তেই সবাই আমাকে কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। কারণ, তত দিনে আসলে আমাদের দর্শক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। শিল্পের মানের সঙ্গে আমি কখনোই আপস করিনি। অবস্থান আর সম্মান জোর করে আদায় করা যায় না, অর্জন করে নিতে হয়। কাজের মানের কারণে দেশের বাইরে মূলধারার আয়োজনেও অংশগ্রহণের জন্য সরাসরি আমন্ত্রণ পেলাম। দেশের বাইরে পারফর্ম করার সময় চেষ্টা করেছি বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করতে। সেখানে আরেকটা বিষয় সমস্যা তৈরি করে। সেটা হলো, বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের নামটা অনেক কম পরিচিত। অনেকে আমাদের ভারতের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলতেন। বাংলাদেশের একটা স্বতন্ত্র পরিচিতি তৈরি করা ছিল আমার জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। তাই আমি সব সময় আমার কাজে এমন শিল্প উপকরণ আর শৈলী প্রয়োগ করেছি, যা সম্পূর্ণ আমাদের নিজস্ব, যা বাংলাদেশি। তবে লোকসংস্কৃতির এই উপকরণগুলো তো তৈরি থাকে না, খুঁজে নিতে হয়, বারবার খুঁজতে হয়—এটাই রিসার্চ। আমাকেও দেশের মূল সংস্কৃতির বিষয়গুলো খুঁজে খুঁজে বের করতে হয়েছে। আমার মূল বিষয়টা ছিল বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতির রূপ তুলে ধরা। আসলে আমি একজন সামান্য ফেরিওয়ালা, আমার দেশের সংস্কৃতি নিয়ে সারা বিশ্বে ফেরি করছি।
আজকের পত্রিকা: সৃষ্টিশীল ভুবনে আমাদের নারীদের অবস্থান তৈরিতে সমস্যা আছে কি না? আপনার কী মনে হয়?
পূজা: প্রত্যেক মানুষের মধ্যে শক্তি আর সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে। প্রয়োজন সেটাকে জাগিয়ে তোলা। মানুষের ভেতরে লুকিয়ে থাকা শক্তিটা কিন্তু অনেক বড়। সেই শক্তিটাকে সবাই আবিষ্কার করতে পারেন না। যাঁরা পারেন, তাঁরা কোনো না কোনাভাবে সফল হন। এ বিষয়ে আমাদের দেশের নারীদের বলতে চাই, প্রতিবাদ করতে জানতে হবে। অন্যায় মুখ বুঝে সহ্য না করে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিত। প্রতিবাদের মাধ্যমেই প্রতিকার আসবে।
আজকের পত্রিকা: দক্ষিণ কোরিয়ায় নিজের দেশের সংস্কৃতিকে উপস্থাপনের অনুভূতি কেমন মনে হচ্ছে? উৎসবে আরতি নাচের আইডিয়াটা কীভাবে এল?
পূজা: দেশের বাইরে যখন নিজেদের কোনো পারফরম্যান্স বা পরিবেশনা নিয়ে যাই, তখন আমাদের বিবেচনায় থাকে কীভাবে দেশের সংস্কৃতিকে সেই দেশের মাটিতে তুলে ধরব। এ ক্ষেত্রে শুধু পারফরম্যান্সের সময় নয়, আমাদের কথাবার্তায়, চলাফেরায়, পোশাকে, কস্টিউম-প্রপ্স—সবকিছুর মাধ্যমেই কীভাবে দেশকে তুলে ধরব সে বিষয়েও আমরা সব সময় সচেতন থাকি। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এই আমন্ত্রণ ২০১৯ সালের শেষের দিকে এসেছিল। তখন করোনার কারণে ফেস্টিভ্যালটা হলো না। আর আমাদেরও যাওয়া হয়নি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করার ক্ষেত্রে দুটি চ্যালেঞ্জ কাজ করে। এক হলো, নিজের দেশের সংস্কৃতিকে খুঁজে বের করা। দুই হলো, সেটিকে ঠিক রেখে আন্তর্জাতিক দর্শকের উপযোগী করে নিজের কাজকে উপস্থাপন করা। এ বিষয় দুটিকে বিবেচনায় রেখেই আরতি নাচকে বেছে নিয়েছিলাম। আমি বিভিন্ন সময়ে দেখেছি, আরতি নাচ আমাদের লোকসংস্কৃতির অংশ। তবে এটা পুরোপুরি নাচ না, এর সাথে অ্যাক্রোবেটিক কৌশলও মিশে আছে। আমি এই নাচের নতুন স্টেপ বানানোর জন্য কাজ করতে শুরু করলাম, এটাকে একটা মূলধারায় পরিবেশনযোগ্য নাচের কাঠামো দেবার চেষ্টা করলাম। ভাবলাম, আমাদের মৃত্তিকাসংলগ্ন মানুষের নাচের আঙ্গিকের সঙ্গে যদি আরতি নাচকে ফিউশন করি, তাহলে এই নাচের পরিধি অনেক বেড়ে যাবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্যারেডে রাস্তায় নাচটা পরিবেশন করতে হবে আর নাচের মধ্য দিয়ে দেশের আরতি করব, তাই রবীন্দ্রনাথের ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ গানটি বেছে নিলাম। এই নাচ পরিবেশনের পর আমরা অনেক বেশি প্রশংসিত হয়েছি। নিজেরাও অনেক আনন্দিত ছিলাম।
আজকের পত্রিকা: আপনার শৈশব সম্পর্কে জানতে চাই। ছোটবেলা থেকেই কি নাচের প্রতি আগ্রহী ছিলেন?
পূজা: ছোটবেলা থেকে আমার ছকে বাঁধা জীবন ছিল। নিয়মের মধ্যে যে ধরাবাঁধা জীবন, সেই জীবনের বাইরেও যে সুন্দর একটা জীবন আছে, সেটা আমি প্রথম বুঝতে পারি যখন আমি আমার নেশাকে পেশা হিসেবে বেছে নেবার সিদ্ধান্ত নিই। নাচ নিয়ে ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাই। আমার আসলে যাওয়ার কথা ছিল জার্মানিতে। পদার্থবিজ্ঞানের ওপর পিএইচডি করার জন্য। কিন্তু তখন আমার শিক্ষক কবির স্যারের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে নাচকে আমি আমার ভবিষ্যৎ হিসেবে বেছে নিলাম। আমার স্যার বলতেন, ‘যে কাজে তোমার আনন্দ আছে, সেটাই যদি পেশা হয়, তাহলে তোমার জীবনটা আনন্দের হবে। তা না হলে একটা অনুশোচনা থেকে যাবে।’
তবে নিজের এই পেশাকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করাটা সহজ ছিল না। আমি পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে যেতাম না। কারণ যেখানেই যাই না কেন, আমি নাচ করি বা নিজেকে কোরিওগ্রাফার হিসেবে পরিচয় দিলে সবাই আরও জানতে চাইত নাচের পাশাপাশি আমি আর কী করি। এরপর যখন দেশে-বিদেশে অনেক কাজ করতে শুরু করলাম, পত্র-পত্রিকায় ভালো নিউজ হলো, স্বীকৃতি পেলাম, তখন আবার এই মানুষগুলোই আমার বাবা-মায়ের কাছে জানতে চান, পূজা কেন আজকের অনুষ্ঠানে এল না? এরপর দেখা গেল, আমাদের বাসায় দুটো আমন্ত্রণ কার্ড আসতে লাগল। একটা আমার পরিবারের নামে, আরেকটা আলাদা কার্ড, আমার নামে।
আজকের পত্রিকা: কেমন হতে পারে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা?
পূজা: আমি কখনো পরিচিত বা বিখ্যাত হওয়ার জন্য কাজ করিনি। আমি আমার কাজটা ভালোবেসেই করেছি। আমার ফোকাস হলো ভালো কাজ করা। মহাভারতের দ্রোণাচার্য যেমন সবাইকে তির-ধনুক হাতে দিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কী দেখতে পাও। একেকজন একেকটা বললেন, কেউ আকাশ, কেউ গাছ, কেউ পাখি দেখেন। কিন্তু অর্জুন বলেছিলেন আমি পাখির চোখ দেখি। সে রকম আমি আমার লক্ষ্যটাই দেখি। বাংলাদেশের নাচের অনেক ভালো একটা ভবিষ্যৎ হবে। আন্তর্জাতিক মূলধারায় বাংলাদেশের নিজস্ব নৃত্যধারাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা আর দেশে নাচের পেশাদার ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করাই আমার লক্ষ্য।
আজকের পত্রিকা: দেইগু কালারফুল ফেস্টিভ্যালে আপনারা বাংলাদেশের তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্যান্স থিয়েটারের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই থিয়েটার সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন।
পূজা: আমার দাদু আমার নাম তুরঙ্গমী রাখতে চেয়েছিলেন। কোনো কারণে আমার এই নাম রাখা হয়নি। তুরঙ্গমী নামের অর্থ ‘যে মেয়ে ঘোড়া চালাতে পারে’। অর্থাৎ অশ্বারোহী, ঘোড়সওয়ার। যখন এ ঘটনার কথা শুনেছি, তখন থেকে মনে মনে ভাবলাম, আমি নিজে এই নামে পরিচিত হইনি, কিন্তু বড় হয়ে যে কাজগুলো করব, সেই কাজগুলো তুরঙ্গমী নামে পরিচিত হবে। ২০১৪ সালে তুরঙ্গমীর জন্ম। এটি তরুণদের জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম। এই মুহূর্তে এই প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা আছে। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে এখানকার নৃত্যশিল্পী ও কলাকুশলীদের চাকরি দেওয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার উৎসবে আমাদের দুটি পরিবেশনা ছিল—একটি ‘পাঁচফোড়ন’, আরেকটি ‘নন্দিনী’। আমরা পাঁচফোড়নের পরিবেশনায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে দেখিয়েছি, যাদের ওপর ভিত্তি করে আমাদের দেশের অর্থনীতি টিকে আছে। যেমন–কৃষক, শ্রমিক, জেলে, মাঝি, মৌয়াল, গার্মেন্টসকর্মী। সব পেশার লোকের সমাবেশ আমাদের এই দেশ। সেটাই পাঁচফোড়নের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আরেকটা পরিবেশনা ছিল, যেটা আমরা প্যারেডে করেছি। সেটার নাম নন্দিনী। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের গানের সঙ্গে আরতি নৃত্য। আমরা আমাদের দেশমাতৃকাকে নন্দিনীরূপেই দেখানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের সর্বমোট ১০ জনের একটা দল ছিল।
আজকের পত্রিকা: আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনটা কেমন মনে হয় আপনার?
পূজা: আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনটা আসলে শৌখিন, কিন্তু অপেশাদারদের ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে। যদি এভাবে চলতে থাকে, তবে এখান থেকে ভালো কাজ হবে না। দুই-চারজন নিজের মতো করে ভালো কাজ করলেও সামগ্রিকভাবে কোনো লাভ হবে না। নাচ এ দেশে অনেক বড় কাজের ক্ষেত্র হতে পারে। কারণ এ দেশের প্রচুর মানুষ নাচ করে। কিন্তু তাদের সঠিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। শুধু নাচতে জানলেই হবে না। নাচের জন্য আলো, সেট, মিউজিকের দরকার হয়। মঞ্চে সেট ব্যবহার করব কি না, সেই সেটের আঙ্গিকটা কেমন হবে, মিউজিকটা কেমন হবে—নাচকে শিল্প হিসেবে তুলে ধরার জন্য এই বিষয়গুলো জানা খুব জরুরি। একজন কোরিওগ্রাফারের এই বিষয়গুলো জানা থাকলে তাঁর কাজ মানসম্পন্ন হবে। আরেকটা বিষয় হলো, এ দেশে নকল করার প্রবণতা অনেক বেশি। এটা যে একটি অপরাধ, সেটা অনেকে বুঝতে চান না। কপিরাইট আইনের সচেতনতা প্রয়োজন। তবে আমাদের তরুণ প্রজন্ম অনেক সম্ভাবনাময়। তাদের যদি সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া যায়, তাহলে নাচের সেক্টরে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব। সরকার যদি এ দিকটায় মনোযোগ দেয়, তাহলে ভালো হবে। আর এতে তো আসলে সরকারের লাভ হবে। কারণ দেশে শিল্প-সংস্কৃতির কাজের চর্চা যতই বাড়বে, অপরাধের মাত্রা ততই কমে আসবে। এ ছাড়া এটা একটা লাভজনক খাত হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। তখন সরকারকে আর শেষ বয়সে দুস্থ শিল্পীদের অনুদান দিতে হবে না, বরং শিল্পীরাই আয়কর দিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করতে পারবেন।

দক্ষিণ কোরিয়া সরকার আয়োজিত উৎসব ‘দেইগু কালারফুল ফেস্টিভ্যাল ২০২২’-এ অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশের তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্যান্স থিয়েটার। দক্ষিণ কোরিয়ার দেইগু শহরে গত ৮ থেকে ১০ জুলাই এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তুরঙ্গমীর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর নৃত্যশিল্পী পূজা সেনগুপ্ত। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মন্টি বৈষ্ণব।
আজকের পত্রিকা: একজন নারী হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে নাচের মানুষ হিসেবে পরিচিতি তৈরি করা কতটা কঠিন বলে মনে হয়েছে আপনার?
পূজা সেনগুপ্ত: আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে কাজের সুযোগ পাবার একটাই মাপকাঠি, আর তা হলো যোগ্যতা। তবে আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরেকটু জটিল ছিল। কারণ আমি যখন নাচকে পেশা হিসেবে নেবার সিদ্ধান্ত নিই, তখন আমাদের দেশে নাচের কোনো পেশাদার ক্ষেত্র তৈরি হয়নি। তাই নিজের নাচের চর্চা আর সৃজনশীলতার পাশাপাশি আমাকে আমার নাচের মার্কেটও তৈরি করতে হয়েছে। আমাদের দেশে নাচের পরিধি অনেক ছোট। আবার সংগীতের পরিধি অনেক বড়। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে আবার নাচের পরিধিটা অনেক বেশি প্রসারিত ও শক্তিশালী। কারণ নাচের ভাষা বিশ্বজনীন। তাই আমি শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক মানের কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমি যখন দেশে কাজ শুরু করি, তখন এখানে নাচের কোনো মার্কেট ছিল না। যে অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করা হতো, সেখানে গান বা অন্য জনপ্রিয় মাধ্যমের শিল্পীদের প্রাধান্য থাকত। হয়তো কোনো শিল্পীর সংগীত সন্ধ্যা হবে, শুরুতে একটা নাচ। গান আমরা শুনি আর নাচ দেখি। নাচ করার সময় যদি পেছনে যন্ত্রপাতি থাকে, সেটা দেখতে ভালো দেখাবে না। সে সময় আয়োজকদের বিষয়টা বোঝানো খুব কঠিন বিষয় ছিল। আরেকটা জিনিস লক্ষ করলাম, নাচের শিল্পীদের সম্মানী অনেক কম। আমি শুরুতেই একটা স্ট্যান্ড নিলাম। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, আমার নাচকে ঠিকমতো তুলে ধরার জন্য যে রকম আয়োজন প্রয়োজন, আয়োজকেরা সেটা নিশ্চিত করতে পারলেই কাজ করব, আর আমি উপযুক্ত বাজেটে কাজ করব। আমি অনেক কাজ ফিরিয়ে দিলাম, কম কাজ করলাম, কিন্তু যে কাজগুলো করলাম সেগুলো ভালো হলো। সবচেয়ে বড় কথা, আমি ‘না’ বলতে শিখলাম। এতে আমার লাভ হলো। দেখা গেল, কিছুদিনের মধ্যেই আমার শর্তেই সবাই আমাকে কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। কারণ, তত দিনে আসলে আমাদের দর্শক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। শিল্পের মানের সঙ্গে আমি কখনোই আপস করিনি। অবস্থান আর সম্মান জোর করে আদায় করা যায় না, অর্জন করে নিতে হয়। কাজের মানের কারণে দেশের বাইরে মূলধারার আয়োজনেও অংশগ্রহণের জন্য সরাসরি আমন্ত্রণ পেলাম। দেশের বাইরে পারফর্ম করার সময় চেষ্টা করেছি বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করতে। সেখানে আরেকটা বিষয় সমস্যা তৈরি করে। সেটা হলো, বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের নামটা অনেক কম পরিচিত। অনেকে আমাদের ভারতের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলতেন। বাংলাদেশের একটা স্বতন্ত্র পরিচিতি তৈরি করা ছিল আমার জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। তাই আমি সব সময় আমার কাজে এমন শিল্প উপকরণ আর শৈলী প্রয়োগ করেছি, যা সম্পূর্ণ আমাদের নিজস্ব, যা বাংলাদেশি। তবে লোকসংস্কৃতির এই উপকরণগুলো তো তৈরি থাকে না, খুঁজে নিতে হয়, বারবার খুঁজতে হয়—এটাই রিসার্চ। আমাকেও দেশের মূল সংস্কৃতির বিষয়গুলো খুঁজে খুঁজে বের করতে হয়েছে। আমার মূল বিষয়টা ছিল বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতির রূপ তুলে ধরা। আসলে আমি একজন সামান্য ফেরিওয়ালা, আমার দেশের সংস্কৃতি নিয়ে সারা বিশ্বে ফেরি করছি।
আজকের পত্রিকা: সৃষ্টিশীল ভুবনে আমাদের নারীদের অবস্থান তৈরিতে সমস্যা আছে কি না? আপনার কী মনে হয়?
পূজা: প্রত্যেক মানুষের মধ্যে শক্তি আর সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে। প্রয়োজন সেটাকে জাগিয়ে তোলা। মানুষের ভেতরে লুকিয়ে থাকা শক্তিটা কিন্তু অনেক বড়। সেই শক্তিটাকে সবাই আবিষ্কার করতে পারেন না। যাঁরা পারেন, তাঁরা কোনো না কোনাভাবে সফল হন। এ বিষয়ে আমাদের দেশের নারীদের বলতে চাই, প্রতিবাদ করতে জানতে হবে। অন্যায় মুখ বুঝে সহ্য না করে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিত। প্রতিবাদের মাধ্যমেই প্রতিকার আসবে।
আজকের পত্রিকা: দক্ষিণ কোরিয়ায় নিজের দেশের সংস্কৃতিকে উপস্থাপনের অনুভূতি কেমন মনে হচ্ছে? উৎসবে আরতি নাচের আইডিয়াটা কীভাবে এল?
পূজা: দেশের বাইরে যখন নিজেদের কোনো পারফরম্যান্স বা পরিবেশনা নিয়ে যাই, তখন আমাদের বিবেচনায় থাকে কীভাবে দেশের সংস্কৃতিকে সেই দেশের মাটিতে তুলে ধরব। এ ক্ষেত্রে শুধু পারফরম্যান্সের সময় নয়, আমাদের কথাবার্তায়, চলাফেরায়, পোশাকে, কস্টিউম-প্রপ্স—সবকিছুর মাধ্যমেই কীভাবে দেশকে তুলে ধরব সে বিষয়েও আমরা সব সময় সচেতন থাকি। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এই আমন্ত্রণ ২০১৯ সালের শেষের দিকে এসেছিল। তখন করোনার কারণে ফেস্টিভ্যালটা হলো না। আর আমাদেরও যাওয়া হয়নি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করার ক্ষেত্রে দুটি চ্যালেঞ্জ কাজ করে। এক হলো, নিজের দেশের সংস্কৃতিকে খুঁজে বের করা। দুই হলো, সেটিকে ঠিক রেখে আন্তর্জাতিক দর্শকের উপযোগী করে নিজের কাজকে উপস্থাপন করা। এ বিষয় দুটিকে বিবেচনায় রেখেই আরতি নাচকে বেছে নিয়েছিলাম। আমি বিভিন্ন সময়ে দেখেছি, আরতি নাচ আমাদের লোকসংস্কৃতির অংশ। তবে এটা পুরোপুরি নাচ না, এর সাথে অ্যাক্রোবেটিক কৌশলও মিশে আছে। আমি এই নাচের নতুন স্টেপ বানানোর জন্য কাজ করতে শুরু করলাম, এটাকে একটা মূলধারায় পরিবেশনযোগ্য নাচের কাঠামো দেবার চেষ্টা করলাম। ভাবলাম, আমাদের মৃত্তিকাসংলগ্ন মানুষের নাচের আঙ্গিকের সঙ্গে যদি আরতি নাচকে ফিউশন করি, তাহলে এই নাচের পরিধি অনেক বেড়ে যাবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্যারেডে রাস্তায় নাচটা পরিবেশন করতে হবে আর নাচের মধ্য দিয়ে দেশের আরতি করব, তাই রবীন্দ্রনাথের ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ গানটি বেছে নিলাম। এই নাচ পরিবেশনের পর আমরা অনেক বেশি প্রশংসিত হয়েছি। নিজেরাও অনেক আনন্দিত ছিলাম।
আজকের পত্রিকা: আপনার শৈশব সম্পর্কে জানতে চাই। ছোটবেলা থেকেই কি নাচের প্রতি আগ্রহী ছিলেন?
পূজা: ছোটবেলা থেকে আমার ছকে বাঁধা জীবন ছিল। নিয়মের মধ্যে যে ধরাবাঁধা জীবন, সেই জীবনের বাইরেও যে সুন্দর একটা জীবন আছে, সেটা আমি প্রথম বুঝতে পারি যখন আমি আমার নেশাকে পেশা হিসেবে বেছে নেবার সিদ্ধান্ত নিই। নাচ নিয়ে ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাই। আমার আসলে যাওয়ার কথা ছিল জার্মানিতে। পদার্থবিজ্ঞানের ওপর পিএইচডি করার জন্য। কিন্তু তখন আমার শিক্ষক কবির স্যারের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে নাচকে আমি আমার ভবিষ্যৎ হিসেবে বেছে নিলাম। আমার স্যার বলতেন, ‘যে কাজে তোমার আনন্দ আছে, সেটাই যদি পেশা হয়, তাহলে তোমার জীবনটা আনন্দের হবে। তা না হলে একটা অনুশোচনা থেকে যাবে।’
তবে নিজের এই পেশাকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করাটা সহজ ছিল না। আমি পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে যেতাম না। কারণ যেখানেই যাই না কেন, আমি নাচ করি বা নিজেকে কোরিওগ্রাফার হিসেবে পরিচয় দিলে সবাই আরও জানতে চাইত নাচের পাশাপাশি আমি আর কী করি। এরপর যখন দেশে-বিদেশে অনেক কাজ করতে শুরু করলাম, পত্র-পত্রিকায় ভালো নিউজ হলো, স্বীকৃতি পেলাম, তখন আবার এই মানুষগুলোই আমার বাবা-মায়ের কাছে জানতে চান, পূজা কেন আজকের অনুষ্ঠানে এল না? এরপর দেখা গেল, আমাদের বাসায় দুটো আমন্ত্রণ কার্ড আসতে লাগল। একটা আমার পরিবারের নামে, আরেকটা আলাদা কার্ড, আমার নামে।
আজকের পত্রিকা: কেমন হতে পারে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা?
পূজা: আমি কখনো পরিচিত বা বিখ্যাত হওয়ার জন্য কাজ করিনি। আমি আমার কাজটা ভালোবেসেই করেছি। আমার ফোকাস হলো ভালো কাজ করা। মহাভারতের দ্রোণাচার্য যেমন সবাইকে তির-ধনুক হাতে দিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কী দেখতে পাও। একেকজন একেকটা বললেন, কেউ আকাশ, কেউ গাছ, কেউ পাখি দেখেন। কিন্তু অর্জুন বলেছিলেন আমি পাখির চোখ দেখি। সে রকম আমি আমার লক্ষ্যটাই দেখি। বাংলাদেশের নাচের অনেক ভালো একটা ভবিষ্যৎ হবে। আন্তর্জাতিক মূলধারায় বাংলাদেশের নিজস্ব নৃত্যধারাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা আর দেশে নাচের পেশাদার ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করাই আমার লক্ষ্য।
আজকের পত্রিকা: দেইগু কালারফুল ফেস্টিভ্যালে আপনারা বাংলাদেশের তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্যান্স থিয়েটারের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই থিয়েটার সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন।
পূজা: আমার দাদু আমার নাম তুরঙ্গমী রাখতে চেয়েছিলেন। কোনো কারণে আমার এই নাম রাখা হয়নি। তুরঙ্গমী নামের অর্থ ‘যে মেয়ে ঘোড়া চালাতে পারে’। অর্থাৎ অশ্বারোহী, ঘোড়সওয়ার। যখন এ ঘটনার কথা শুনেছি, তখন থেকে মনে মনে ভাবলাম, আমি নিজে এই নামে পরিচিত হইনি, কিন্তু বড় হয়ে যে কাজগুলো করব, সেই কাজগুলো তুরঙ্গমী নামে পরিচিত হবে। ২০১৪ সালে তুরঙ্গমীর জন্ম। এটি তরুণদের জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম। এই মুহূর্তে এই প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা আছে। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে এখানকার নৃত্যশিল্পী ও কলাকুশলীদের চাকরি দেওয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার উৎসবে আমাদের দুটি পরিবেশনা ছিল—একটি ‘পাঁচফোড়ন’, আরেকটি ‘নন্দিনী’। আমরা পাঁচফোড়নের পরিবেশনায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে দেখিয়েছি, যাদের ওপর ভিত্তি করে আমাদের দেশের অর্থনীতি টিকে আছে। যেমন–কৃষক, শ্রমিক, জেলে, মাঝি, মৌয়াল, গার্মেন্টসকর্মী। সব পেশার লোকের সমাবেশ আমাদের এই দেশ। সেটাই পাঁচফোড়নের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আরেকটা পরিবেশনা ছিল, যেটা আমরা প্যারেডে করেছি। সেটার নাম নন্দিনী। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের গানের সঙ্গে আরতি নৃত্য। আমরা আমাদের দেশমাতৃকাকে নন্দিনীরূপেই দেখানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের সর্বমোট ১০ জনের একটা দল ছিল।
আজকের পত্রিকা: আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনটা কেমন মনে হয় আপনার?
পূজা: আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনটা আসলে শৌখিন, কিন্তু অপেশাদারদের ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে। যদি এভাবে চলতে থাকে, তবে এখান থেকে ভালো কাজ হবে না। দুই-চারজন নিজের মতো করে ভালো কাজ করলেও সামগ্রিকভাবে কোনো লাভ হবে না। নাচ এ দেশে অনেক বড় কাজের ক্ষেত্র হতে পারে। কারণ এ দেশের প্রচুর মানুষ নাচ করে। কিন্তু তাদের সঠিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। শুধু নাচতে জানলেই হবে না। নাচের জন্য আলো, সেট, মিউজিকের দরকার হয়। মঞ্চে সেট ব্যবহার করব কি না, সেই সেটের আঙ্গিকটা কেমন হবে, মিউজিকটা কেমন হবে—নাচকে শিল্প হিসেবে তুলে ধরার জন্য এই বিষয়গুলো জানা খুব জরুরি। একজন কোরিওগ্রাফারের এই বিষয়গুলো জানা থাকলে তাঁর কাজ মানসম্পন্ন হবে। আরেকটা বিষয় হলো, এ দেশে নকল করার প্রবণতা অনেক বেশি। এটা যে একটি অপরাধ, সেটা অনেকে বুঝতে চান না। কপিরাইট আইনের সচেতনতা প্রয়োজন। তবে আমাদের তরুণ প্রজন্ম অনেক সম্ভাবনাময়। তাদের যদি সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া যায়, তাহলে নাচের সেক্টরে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব। সরকার যদি এ দিকটায় মনোযোগ দেয়, তাহলে ভালো হবে। আর এতে তো আসলে সরকারের লাভ হবে। কারণ দেশে শিল্প-সংস্কৃতির কাজের চর্চা যতই বাড়বে, অপরাধের মাত্রা ততই কমে আসবে। এ ছাড়া এটা একটা লাভজনক খাত হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। তখন সরকারকে আর শেষ বয়সে দুস্থ শিল্পীদের অনুদান দিতে হবে না, বরং শিল্পীরাই আয়কর দিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করতে পারবেন।

দক্ষিণ কোরিয়া সরকার আয়োজিত উৎসব ‘দেইগু কালারফুল ফেস্টিভ্যাল ২০২২’-এ অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশের তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্যান্স থিয়েটার। দক্ষিণ কোরিয়ার দেইগু শহরে গত ৮ থেকে ১০ জুলাই এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তুরঙ্গমীর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর নৃত্যশিল্পী পূজা সেনগুপ্ত। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মন্টি বৈষ্ণব।
আজকের পত্রিকা: একজন নারী হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে নাচের মানুষ হিসেবে পরিচিতি তৈরি করা কতটা কঠিন বলে মনে হয়েছে আপনার?
পূজা সেনগুপ্ত: আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে কাজের সুযোগ পাবার একটাই মাপকাঠি, আর তা হলো যোগ্যতা। তবে আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরেকটু জটিল ছিল। কারণ আমি যখন নাচকে পেশা হিসেবে নেবার সিদ্ধান্ত নিই, তখন আমাদের দেশে নাচের কোনো পেশাদার ক্ষেত্র তৈরি হয়নি। তাই নিজের নাচের চর্চা আর সৃজনশীলতার পাশাপাশি আমাকে আমার নাচের মার্কেটও তৈরি করতে হয়েছে। আমাদের দেশে নাচের পরিধি অনেক ছোট। আবার সংগীতের পরিধি অনেক বড়। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে আবার নাচের পরিধিটা অনেক বেশি প্রসারিত ও শক্তিশালী। কারণ নাচের ভাষা বিশ্বজনীন। তাই আমি শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক মানের কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমি যখন দেশে কাজ শুরু করি, তখন এখানে নাচের কোনো মার্কেট ছিল না। যে অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করা হতো, সেখানে গান বা অন্য জনপ্রিয় মাধ্যমের শিল্পীদের প্রাধান্য থাকত। হয়তো কোনো শিল্পীর সংগীত সন্ধ্যা হবে, শুরুতে একটা নাচ। গান আমরা শুনি আর নাচ দেখি। নাচ করার সময় যদি পেছনে যন্ত্রপাতি থাকে, সেটা দেখতে ভালো দেখাবে না। সে সময় আয়োজকদের বিষয়টা বোঝানো খুব কঠিন বিষয় ছিল। আরেকটা জিনিস লক্ষ করলাম, নাচের শিল্পীদের সম্মানী অনেক কম। আমি শুরুতেই একটা স্ট্যান্ড নিলাম। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, আমার নাচকে ঠিকমতো তুলে ধরার জন্য যে রকম আয়োজন প্রয়োজন, আয়োজকেরা সেটা নিশ্চিত করতে পারলেই কাজ করব, আর আমি উপযুক্ত বাজেটে কাজ করব। আমি অনেক কাজ ফিরিয়ে দিলাম, কম কাজ করলাম, কিন্তু যে কাজগুলো করলাম সেগুলো ভালো হলো। সবচেয়ে বড় কথা, আমি ‘না’ বলতে শিখলাম। এতে আমার লাভ হলো। দেখা গেল, কিছুদিনের মধ্যেই আমার শর্তেই সবাই আমাকে কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে। কারণ, তত দিনে আসলে আমাদের দর্শক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। শিল্পের মানের সঙ্গে আমি কখনোই আপস করিনি। অবস্থান আর সম্মান জোর করে আদায় করা যায় না, অর্জন করে নিতে হয়। কাজের মানের কারণে দেশের বাইরে মূলধারার আয়োজনেও অংশগ্রহণের জন্য সরাসরি আমন্ত্রণ পেলাম। দেশের বাইরে পারফর্ম করার সময় চেষ্টা করেছি বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করতে। সেখানে আরেকটা বিষয় সমস্যা তৈরি করে। সেটা হলো, বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের নামটা অনেক কম পরিচিত। অনেকে আমাদের ভারতের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলতেন। বাংলাদেশের একটা স্বতন্ত্র পরিচিতি তৈরি করা ছিল আমার জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। তাই আমি সব সময় আমার কাজে এমন শিল্প উপকরণ আর শৈলী প্রয়োগ করেছি, যা সম্পূর্ণ আমাদের নিজস্ব, যা বাংলাদেশি। তবে লোকসংস্কৃতির এই উপকরণগুলো তো তৈরি থাকে না, খুঁজে নিতে হয়, বারবার খুঁজতে হয়—এটাই রিসার্চ। আমাকেও দেশের মূল সংস্কৃতির বিষয়গুলো খুঁজে খুঁজে বের করতে হয়েছে। আমার মূল বিষয়টা ছিল বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতির রূপ তুলে ধরা। আসলে আমি একজন সামান্য ফেরিওয়ালা, আমার দেশের সংস্কৃতি নিয়ে সারা বিশ্বে ফেরি করছি।
আজকের পত্রিকা: সৃষ্টিশীল ভুবনে আমাদের নারীদের অবস্থান তৈরিতে সমস্যা আছে কি না? আপনার কী মনে হয়?
পূজা: প্রত্যেক মানুষের মধ্যে শক্তি আর সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে। প্রয়োজন সেটাকে জাগিয়ে তোলা। মানুষের ভেতরে লুকিয়ে থাকা শক্তিটা কিন্তু অনেক বড়। সেই শক্তিটাকে সবাই আবিষ্কার করতে পারেন না। যাঁরা পারেন, তাঁরা কোনো না কোনাভাবে সফল হন। এ বিষয়ে আমাদের দেশের নারীদের বলতে চাই, প্রতিবাদ করতে জানতে হবে। অন্যায় মুখ বুঝে সহ্য না করে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিত। প্রতিবাদের মাধ্যমেই প্রতিকার আসবে।
আজকের পত্রিকা: দক্ষিণ কোরিয়ায় নিজের দেশের সংস্কৃতিকে উপস্থাপনের অনুভূতি কেমন মনে হচ্ছে? উৎসবে আরতি নাচের আইডিয়াটা কীভাবে এল?
পূজা: দেশের বাইরে যখন নিজেদের কোনো পারফরম্যান্স বা পরিবেশনা নিয়ে যাই, তখন আমাদের বিবেচনায় থাকে কীভাবে দেশের সংস্কৃতিকে সেই দেশের মাটিতে তুলে ধরব। এ ক্ষেত্রে শুধু পারফরম্যান্সের সময় নয়, আমাদের কথাবার্তায়, চলাফেরায়, পোশাকে, কস্টিউম-প্রপ্স—সবকিছুর মাধ্যমেই কীভাবে দেশকে তুলে ধরব সে বিষয়েও আমরা সব সময় সচেতন থাকি। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এই আমন্ত্রণ ২০১৯ সালের শেষের দিকে এসেছিল। তখন করোনার কারণে ফেস্টিভ্যালটা হলো না। আর আমাদেরও যাওয়া হয়নি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কাজ করার ক্ষেত্রে দুটি চ্যালেঞ্জ কাজ করে। এক হলো, নিজের দেশের সংস্কৃতিকে খুঁজে বের করা। দুই হলো, সেটিকে ঠিক রেখে আন্তর্জাতিক দর্শকের উপযোগী করে নিজের কাজকে উপস্থাপন করা। এ বিষয় দুটিকে বিবেচনায় রেখেই আরতি নাচকে বেছে নিয়েছিলাম। আমি বিভিন্ন সময়ে দেখেছি, আরতি নাচ আমাদের লোকসংস্কৃতির অংশ। তবে এটা পুরোপুরি নাচ না, এর সাথে অ্যাক্রোবেটিক কৌশলও মিশে আছে। আমি এই নাচের নতুন স্টেপ বানানোর জন্য কাজ করতে শুরু করলাম, এটাকে একটা মূলধারায় পরিবেশনযোগ্য নাচের কাঠামো দেবার চেষ্টা করলাম। ভাবলাম, আমাদের মৃত্তিকাসংলগ্ন মানুষের নাচের আঙ্গিকের সঙ্গে যদি আরতি নাচকে ফিউশন করি, তাহলে এই নাচের পরিধি অনেক বেড়ে যাবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় প্যারেডে রাস্তায় নাচটা পরিবেশন করতে হবে আর নাচের মধ্য দিয়ে দেশের আরতি করব, তাই রবীন্দ্রনাথের ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ গানটি বেছে নিলাম। এই নাচ পরিবেশনের পর আমরা অনেক বেশি প্রশংসিত হয়েছি। নিজেরাও অনেক আনন্দিত ছিলাম।
আজকের পত্রিকা: আপনার শৈশব সম্পর্কে জানতে চাই। ছোটবেলা থেকেই কি নাচের প্রতি আগ্রহী ছিলেন?
পূজা: ছোটবেলা থেকে আমার ছকে বাঁধা জীবন ছিল। নিয়মের মধ্যে যে ধরাবাঁধা জীবন, সেই জীবনের বাইরেও যে সুন্দর একটা জীবন আছে, সেটা আমি প্রথম বুঝতে পারি যখন আমি আমার নেশাকে পেশা হিসেবে বেছে নেবার সিদ্ধান্ত নিই। নাচ নিয়ে ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাই। আমার আসলে যাওয়ার কথা ছিল জার্মানিতে। পদার্থবিজ্ঞানের ওপর পিএইচডি করার জন্য। কিন্তু তখন আমার শিক্ষক কবির স্যারের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে নাচকে আমি আমার ভবিষ্যৎ হিসেবে বেছে নিলাম। আমার স্যার বলতেন, ‘যে কাজে তোমার আনন্দ আছে, সেটাই যদি পেশা হয়, তাহলে তোমার জীবনটা আনন্দের হবে। তা না হলে একটা অনুশোচনা থেকে যাবে।’
তবে নিজের এই পেশাকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করাটা সহজ ছিল না। আমি পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে যেতাম না। কারণ যেখানেই যাই না কেন, আমি নাচ করি বা নিজেকে কোরিওগ্রাফার হিসেবে পরিচয় দিলে সবাই আরও জানতে চাইত নাচের পাশাপাশি আমি আর কী করি। এরপর যখন দেশে-বিদেশে অনেক কাজ করতে শুরু করলাম, পত্র-পত্রিকায় ভালো নিউজ হলো, স্বীকৃতি পেলাম, তখন আবার এই মানুষগুলোই আমার বাবা-মায়ের কাছে জানতে চান, পূজা কেন আজকের অনুষ্ঠানে এল না? এরপর দেখা গেল, আমাদের বাসায় দুটো আমন্ত্রণ কার্ড আসতে লাগল। একটা আমার পরিবারের নামে, আরেকটা আলাদা কার্ড, আমার নামে।
আজকের পত্রিকা: কেমন হতে পারে আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা?
পূজা: আমি কখনো পরিচিত বা বিখ্যাত হওয়ার জন্য কাজ করিনি। আমি আমার কাজটা ভালোবেসেই করেছি। আমার ফোকাস হলো ভালো কাজ করা। মহাভারতের দ্রোণাচার্য যেমন সবাইকে তির-ধনুক হাতে দিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কী দেখতে পাও। একেকজন একেকটা বললেন, কেউ আকাশ, কেউ গাছ, কেউ পাখি দেখেন। কিন্তু অর্জুন বলেছিলেন আমি পাখির চোখ দেখি। সে রকম আমি আমার লক্ষ্যটাই দেখি। বাংলাদেশের নাচের অনেক ভালো একটা ভবিষ্যৎ হবে। আন্তর্জাতিক মূলধারায় বাংলাদেশের নিজস্ব নৃত্যধারাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা আর দেশে নাচের পেশাদার ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করাই আমার লক্ষ্য।
আজকের পত্রিকা: দেইগু কালারফুল ফেস্টিভ্যালে আপনারা বাংলাদেশের তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্যান্স থিয়েটারের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই থিয়েটার সম্পর্কে যদি কিছু বলতেন।
পূজা: আমার দাদু আমার নাম তুরঙ্গমী রাখতে চেয়েছিলেন। কোনো কারণে আমার এই নাম রাখা হয়নি। তুরঙ্গমী নামের অর্থ ‘যে মেয়ে ঘোড়া চালাতে পারে’। অর্থাৎ অশ্বারোহী, ঘোড়সওয়ার। যখন এ ঘটনার কথা শুনেছি, তখন থেকে মনে মনে ভাবলাম, আমি নিজে এই নামে পরিচিত হইনি, কিন্তু বড় হয়ে যে কাজগুলো করব, সেই কাজগুলো তুরঙ্গমী নামে পরিচিত হবে। ২০১৪ সালে তুরঙ্গমীর জন্ম। এটি তরুণদের জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম। এই মুহূর্তে এই প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা আছে। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে এখানকার নৃত্যশিল্পী ও কলাকুশলীদের চাকরি দেওয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার উৎসবে আমাদের দুটি পরিবেশনা ছিল—একটি ‘পাঁচফোড়ন’, আরেকটি ‘নন্দিনী’। আমরা পাঁচফোড়নের পরিবেশনায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে দেখিয়েছি, যাদের ওপর ভিত্তি করে আমাদের দেশের অর্থনীতি টিকে আছে। যেমন–কৃষক, শ্রমিক, জেলে, মাঝি, মৌয়াল, গার্মেন্টসকর্মী। সব পেশার লোকের সমাবেশ আমাদের এই দেশ। সেটাই পাঁচফোড়নের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। আরেকটা পরিবেশনা ছিল, যেটা আমরা প্যারেডে করেছি। সেটার নাম নন্দিনী। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের গানের সঙ্গে আরতি নৃত্য। আমরা আমাদের দেশমাতৃকাকে নন্দিনীরূপেই দেখানোর চেষ্টা করেছি। আমাদের সর্বমোট ১০ জনের একটা দল ছিল।
আজকের পত্রিকা: আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনটা কেমন মনে হয় আপনার?
পূজা: আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনটা আসলে শৌখিন, কিন্তু অপেশাদারদের ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে। যদি এভাবে চলতে থাকে, তবে এখান থেকে ভালো কাজ হবে না। দুই-চারজন নিজের মতো করে ভালো কাজ করলেও সামগ্রিকভাবে কোনো লাভ হবে না। নাচ এ দেশে অনেক বড় কাজের ক্ষেত্র হতে পারে। কারণ এ দেশের প্রচুর মানুষ নাচ করে। কিন্তু তাদের সঠিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। শুধু নাচতে জানলেই হবে না। নাচের জন্য আলো, সেট, মিউজিকের দরকার হয়। মঞ্চে সেট ব্যবহার করব কি না, সেই সেটের আঙ্গিকটা কেমন হবে, মিউজিকটা কেমন হবে—নাচকে শিল্প হিসেবে তুলে ধরার জন্য এই বিষয়গুলো জানা খুব জরুরি। একজন কোরিওগ্রাফারের এই বিষয়গুলো জানা থাকলে তাঁর কাজ মানসম্পন্ন হবে। আরেকটা বিষয় হলো, এ দেশে নকল করার প্রবণতা অনেক বেশি। এটা যে একটি অপরাধ, সেটা অনেকে বুঝতে চান না। কপিরাইট আইনের সচেতনতা প্রয়োজন। তবে আমাদের তরুণ প্রজন্ম অনেক সম্ভাবনাময়। তাদের যদি সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া যায়, তাহলে নাচের সেক্টরে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব। সরকার যদি এ দিকটায় মনোযোগ দেয়, তাহলে ভালো হবে। আর এতে তো আসলে সরকারের লাভ হবে। কারণ দেশে শিল্প-সংস্কৃতির কাজের চর্চা যতই বাড়বে, অপরাধের মাত্রা ততই কমে আসবে। এ ছাড়া এটা একটা লাভজনক খাত হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে। তখন সরকারকে আর শেষ বয়সে দুস্থ শিল্পীদের অনুদান দিতে হবে না, বরং শিল্পীরাই আয়কর দিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করতে পারবেন।

বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
১ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
২ ঘণ্টা আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৩ ঘণ্টা আগেনিশাত তামান্না

বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
পোশাক
বিজয় দিবসের পোশাকের রং লাল-সবুজ। সাধারণত সবুজকে বেছে নেওয়া হয় পোশাকের মূল রং হিসেবে। এরপর শাড়ি হলে পাড়ে, কামিজের সঙ্গে ওড়না, পাঞ্জাবির কলার ও হাত—এসব জায়গায় উজ্জ্বল আভা ছড়ায় লাল রং। এসব নকশায় সাধারণত থাকে দেশীয় আলপনা, বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি, ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছাপচিত্র, জাতীয় ফুল কিংবা জাতীয় পাখি, লতাপাতাসহ নানা রকম দেশীয় আবহ। এসব পোশাকের মধ্যে শাড়ি, কুর্তি, সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, টপ, পাঞ্জাবি বা টি-শার্টই হয়ে উঠবে একখণ্ড ক্যানভাস। তবে ডিসেম্বর মাস মানে গায়ে অল্প হলেও শীতের পোশাক তুলতে হচ্ছে। ফলে বিজয় উৎসবের পোশাকের সঙ্গে ম্যাড়মেড়ে শীতের পোশাক যে একেবারেই মানানসই নয়, তা সবার জানা। রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাস বলেন, ‘পোশাক পরার ক্ষেত্রে শীতের হিম আবহাওয়াকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাই এমন পোশাক বেছে নিতে হবে, যা আরামদায়ক কিন্তু একই সঙ্গে হালকা শীত এড়ানো যায়।’
সৌমিক দাস আরও বলেন, ‘বিজয় দিবসের পোশাকের নকশায় ডিজাইনাররা সুতি কাপড়কেই বেশি প্রাধান্য দেন। পোশাকে মার্জিত ভাব বজায় রাখতে ব্লক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, সুই-সুতার কাজ বেশি হয়। লাল-সবুজের শাড়ি, পাঞ্জাবি, কুর্তি, উত্তরীয়সহ নানা রকম পোশাক যেন হালকা শীতও মোকাবিলা করতে পারে, সেভাবে নকশা করা হয়েছে। পাশাপাশি ম্যাচিং করে পরার জন্য চাদরও নকশা করেছে রঙ বাংলাদেশ।’
সৌমিক দাস আরও বলেন, এ ধরনের উৎসবে পরিবারের সবাই মিলে একই পোশাক পরার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখা যায়। তাই পরিবারের সবার জন্য কম্বো সেটও এনেছে এই ব্র্যান্ড।
সাজ
এই দিনে ঘোরাঘুরির আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ঠিক কেমন করে কাটাতে চাইছেন দিনটি। দল বেঁধে দূরে কোথাও যেতে চাইলে কিংবা কাছাকাছি এদিক-ওদিক ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখতে হলে সাজের ধরনেও আসবে ভিন্নতা। সাজ তো কেবল পোশাক নয়, এর সঙ্গে থাকে আনুষঙ্গিক আরও অনেক কিছুর সমন্বয়। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গয়না, চোখের সাজ, মুখের সাজ, চুলের সাজ— বাদ যায় না হাতে বা কাঁধে বহনের ব্যাগটিও। তাই একটু ভেবেচিন্তে পরিকল্পনা করে নিলে সাজ ও ঘোরাঘুরির আনন্দ হবে ঠিকঠাক।

বিজয় দিবসের দিনটিতে সাজ কেমন হলে ভালো হয়, এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহা। তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসে পোশাকের রং লাল-সবুজ থাকে। কমবেশি সবাই এই রঙেই জড়িয়ে নেন নিজেদের। যেহেতু এটি গৌরবময় দিন, তাই সাজটিও হতে হবে মার্জিত ও স্নিগ্ধ। পাশাপাশি যেহেতু শীত, তাই ত্বক যেন মেকআপের ফলে অতিরিক্ত শুষ্ক না হয়ে ওঠে, সেদিকেও নজর দেওয়া চাই।’
শোভন সাহার মতে, সাজের আগে খেয়াল রাখতে হবে ত্বকের ধরনের বিষয়টি। শুষ্ক, মিশ্র ও স্বাভাবিক—ত্বক এই তিন ধরনের হয়। তবে ত্বক যেমনই হোক না কেন, প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার দিতে হবে। প্রাইমার ব্যবহার করলে দীর্ঘ সময় ত্বক সুন্দর দেখাবে।
এদিন সাজের ধরন ভারী না হলেই বরং ভালো। মুখের ত্বকে দাগ, ছোপ লুকিয়ে হালকা করে লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে ভালোভাবে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার হালকা ফেস পাউডার দিয়ে তার ওপর পিচ বা গোলাপি ব্লাশন বুলিয়ে নিলেই ত্বকের সাজ পূর্ণ হবে।
চোখের সাজের ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, চোখে গাঢ় করে ওয়াটারপ্রুফ কাজল দিন। পোশাকের রং যেহেতু লাল-সবুজ থাকবে, তাই ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার না করে ন্যুড কিংবা হালকা রঙের লিপস্টিক পরে নিলে ভালো দেখাবে। তবে শাড়ি পরলে চুলে গুঁজে দেওয়া যেতে পারে তাজা ফুল। সবশেষে ম্যাচিং চুড়ি, গয়না ও টিপ পরলেই সাজ পুরোপুরি সম্পন্ন।

বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
পোশাক
বিজয় দিবসের পোশাকের রং লাল-সবুজ। সাধারণত সবুজকে বেছে নেওয়া হয় পোশাকের মূল রং হিসেবে। এরপর শাড়ি হলে পাড়ে, কামিজের সঙ্গে ওড়না, পাঞ্জাবির কলার ও হাত—এসব জায়গায় উজ্জ্বল আভা ছড়ায় লাল রং। এসব নকশায় সাধারণত থাকে দেশীয় আলপনা, বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি, ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছাপচিত্র, জাতীয় ফুল কিংবা জাতীয় পাখি, লতাপাতাসহ নানা রকম দেশীয় আবহ। এসব পোশাকের মধ্যে শাড়ি, কুর্তি, সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, টপ, পাঞ্জাবি বা টি-শার্টই হয়ে উঠবে একখণ্ড ক্যানভাস। তবে ডিসেম্বর মাস মানে গায়ে অল্প হলেও শীতের পোশাক তুলতে হচ্ছে। ফলে বিজয় উৎসবের পোশাকের সঙ্গে ম্যাড়মেড়ে শীতের পোশাক যে একেবারেই মানানসই নয়, তা সবার জানা। রঙ বাংলাদেশের স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাস বলেন, ‘পোশাক পরার ক্ষেত্রে শীতের হিম আবহাওয়াকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাই এমন পোশাক বেছে নিতে হবে, যা আরামদায়ক কিন্তু একই সঙ্গে হালকা শীত এড়ানো যায়।’
সৌমিক দাস আরও বলেন, ‘বিজয় দিবসের পোশাকের নকশায় ডিজাইনাররা সুতি কাপড়কেই বেশি প্রাধান্য দেন। পোশাকে মার্জিত ভাব বজায় রাখতে ব্লক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, সুই-সুতার কাজ বেশি হয়। লাল-সবুজের শাড়ি, পাঞ্জাবি, কুর্তি, উত্তরীয়সহ নানা রকম পোশাক যেন হালকা শীতও মোকাবিলা করতে পারে, সেভাবে নকশা করা হয়েছে। পাশাপাশি ম্যাচিং করে পরার জন্য চাদরও নকশা করেছে রঙ বাংলাদেশ।’
সৌমিক দাস আরও বলেন, এ ধরনের উৎসবে পরিবারের সবাই মিলে একই পোশাক পরার ব্যাপারেও আগ্রহ দেখা যায়। তাই পরিবারের সবার জন্য কম্বো সেটও এনেছে এই ব্র্যান্ড।
সাজ
এই দিনে ঘোরাঘুরির আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ঠিক কেমন করে কাটাতে চাইছেন দিনটি। দল বেঁধে দূরে কোথাও যেতে চাইলে কিংবা কাছাকাছি এদিক-ওদিক ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন অনুষ্ঠান দেখতে হলে সাজের ধরনেও আসবে ভিন্নতা। সাজ তো কেবল পোশাক নয়, এর সঙ্গে থাকে আনুষঙ্গিক আরও অনেক কিছুর সমন্বয়। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে গয়না, চোখের সাজ, মুখের সাজ, চুলের সাজ— বাদ যায় না হাতে বা কাঁধে বহনের ব্যাগটিও। তাই একটু ভেবেচিন্তে পরিকল্পনা করে নিলে সাজ ও ঘোরাঘুরির আনন্দ হবে ঠিকঠাক।

বিজয় দিবসের দিনটিতে সাজ কেমন হলে ভালো হয়, এসব বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন কসমেটোলজিস্ট ও শোভন মেকওভারের স্বত্বাধিকারী শোভন সাহা। তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসে পোশাকের রং লাল-সবুজ থাকে। কমবেশি সবাই এই রঙেই জড়িয়ে নেন নিজেদের। যেহেতু এটি গৌরবময় দিন, তাই সাজটিও হতে হবে মার্জিত ও স্নিগ্ধ। পাশাপাশি যেহেতু শীত, তাই ত্বক যেন মেকআপের ফলে অতিরিক্ত শুষ্ক না হয়ে ওঠে, সেদিকেও নজর দেওয়া চাই।’
শোভন সাহার মতে, সাজের আগে খেয়াল রাখতে হবে ত্বকের ধরনের বিষয়টি। শুষ্ক, মিশ্র ও স্বাভাবিক—ত্বক এই তিন ধরনের হয়। তবে ত্বক যেমনই হোক না কেন, প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার দিতে হবে। প্রাইমার ব্যবহার করলে দীর্ঘ সময় ত্বক সুন্দর দেখাবে।
এদিন সাজের ধরন ভারী না হলেই বরং ভালো। মুখের ত্বকে দাগ, ছোপ লুকিয়ে হালকা করে লিকুইড ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে ভালোভাবে ত্বকের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার হালকা ফেস পাউডার দিয়ে তার ওপর পিচ বা গোলাপি ব্লাশন বুলিয়ে নিলেই ত্বকের সাজ পূর্ণ হবে।
চোখের সাজের ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, চোখে গাঢ় করে ওয়াটারপ্রুফ কাজল দিন। পোশাকের রং যেহেতু লাল-সবুজ থাকবে, তাই ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার না করে ন্যুড কিংবা হালকা রঙের লিপস্টিক পরে নিলে ভালো দেখাবে। তবে শাড়ি পরলে চুলে গুঁজে দেওয়া যেতে পারে তাজা ফুল। সবশেষে ম্যাচিং চুড়ি, গয়না ও টিপ পরলেই সাজ পুরোপুরি সম্পন্ন।

দক্ষিণ কোরিয়া সরকার আয়োজিত উৎসব ‘দেইগু কালারফুল ফেস্টিভ্যাল ২০২২’-এ অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশের তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্যান্স থিয়েটার। দক্ষিণ কোরিয়ার দেইগু শহরে গত ৮ থেকে ১০ জুলাই এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তুরঙ্গমীর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর নৃত্যশিল্পী পূজা সেনগুপ্ত
০৩ আগস্ট ২০২২
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
২ ঘণ্টা আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে। সাবধান! এই অর্থ আপনার একার, মহাজাগতিক ঋণের নয়। সারা দিন জনসেবার ইচ্ছা জাগবে, ভালো কথা। কিন্তু তার আগে নিজের বিলগুলো মেটানো জরুরি। ভাগ্য আজ আপনাকে দেখাবে—টাকা উপার্জন করা যতটা সহজ, সেটা ধরে রাখা তার চেয়েও কঠিন! আজকের মন্ত্র হোক: কফি খাব, তবে বিল দেব না।
বৃষ
সকাল থেকে একটা অদ্ভুত মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি আপনাকে তাড়া করবে। এর কারণ সম্ভবত গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্টুন দেখা। জ্যোতিষ বলছে, ‘কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু আপনাকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন।’ সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি আর কেউ নয়—সে হলো আপনার ফ্রিজের ভেতরে রাখা সেই মিষ্টির বাক্স, যেটি আপনাকে ডায়েট ভাঙতে উৎসাহিত করবে। ধ্যানের মাধ্যমে একাগ্রতা আনার চেষ্টা করুন। বস যদি সকালে কাজে ভুল ধরেন, তখন যোগাভ্যাস শুরু করে দিতে পারেন, হয়তো বস ভয় পাবেন। পেটের সমস্যা এড়াতে আজ অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। কিন্তু যদি দেখেন বন্ধু বিরিয়ানি খাওয়াতে চাচ্ছে, তাহলে এই উপদেশ ভুলে যান। মন খারাপ? মনকে বলুন, ‘বিকেলের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে, তার আগে ঘুমাও।’
মিথুন
সকালের দিকে মেজাজ এমন খিটখিটে থাকবে যে, পোষা প্রাণীটাও আপনাকে এড়িয়ে চলবে। তবে চিন্তা নেই, বিকেলের দিকে মুড ফ্রেশ হবে—যদি না কোনো অপ্রত্যাশিত ফোন কল আসে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম হতে পারে, যা আপনার অহংবোধকে একধাপ বাড়িয়ে দেবে। আজ কিছু নতুন পোশাক, মোবাইল ফোন ইত্যাদি কেনার যোগ রয়েছে। আপনার সম্মান বৃদ্ধির মূল কারণ হতে পারে নতুন ফোনের ক্যামেরা। তাই নিজেকে প্রমাণ করতে নয়, বরং ভালো সেলফি তোলার জন্য আজ মন দিন। সাবধানে অর্থ ব্যয় করুন। যদি অনলাইনে কোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস চোখে পড়ে, মনে রাখবেন—ওটা কালকেও থাকবে।
কর্কট
আজকের দিনটি আপনার জন্য বেশ ব্যয়বহুল হতে চলেছে। এর মানে এই নয় যে দামি কিছু কিনবেন, বরং মানে হলো—হয়তো অফিসের কলিগদের জন্য চা-কফি কিনে নিজের মাসকাবারি বাজেট শেষ করবেন। বসের কাছে প্রশংসা পাবেন, কারণ আপনি কাজের প্রতি খুবই দায়িত্বশীল। এই দায়িত্বশীলতা আপনাকে আরও বেশি কাজ এনে দেবে, যা ভবিষ্যতে মানসিক ভারসাম্য নষ্টের কারণ হবে। সরকারি কাজে অসুবিধা দেখা দেবে—কারণ সরকারি কাজ সব সময়ই অসুবিধা সৃষ্টি করে। ভদ্র থাকুন, নইলে টাকা শেষ হয়ে গেলে ধার চাওয়ার মুখ থাকবে না।
সিংহ
প্রতিদিনের স্বাভাবিক রুটিন বদলানোর চেষ্টা কেউ একজন করবে। সেই ‘কেউ একজন’ আর কেউ নয়, তিনি হলেন আপনার জীবনসঙ্গী, যিনি আপনাকে দিয়ে ঘরের কাজ করানোর চেষ্টা করবেন। সেদিকে বিশেষ নজর রাখুন। তবে দিনের শেষে রোমান্সের যোগ রয়েছে, যদি আপনি রুটিন বদলের এই চ্যালেঞ্জে হেরে যান এবং বশ্যতা স্বীকার করেন। আজ ব্যবসা বা পেশার জন্য অর্থ সংগ্রহে আপনি সফল হবেন। ঘরের কাজকে প্রেমের খেলা মনে করুন। হারলেও লাভ, জিতলেও!
কন্যা
সারা দিন আপনার কোনো বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। চেষ্টা করলেও, ভেতরের কণ্ঠস্বর আপনাকে মনে করিয়ে দেবে—কত কাজ বাকি আছে। আজ আপনার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সামান্য সর্দি-কাশিকে কঠিন ব্যামো ভেবে সারা দিন গুগল করতে পারেন। অফিসে পদোন্নতির যোগ রয়েছে, তবে এর মানে হলো—আপনার ওপর চাপ আরও বাড়বে। ব্যবসায়ীরা আজ আর্থিক বিষয়ে হতাশ হতে পারেন। সন্তানদের বিষয়ে একটু সতর্ক থাকুন। আজ হয়তো তারা আপনার গোপনে জমানো চকলেট খুঁজে পেতে পারে।
তুলা
ব্যবসায় খুব বেশি লাভ দেখতে পাওয়ার যোগ রয়েছে। এই লাভকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যের আগের থেকে উন্নতি দেখা যাবে। আজকের দিনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভদ্র থাকবেন এবং মানসিকভাবে ভারসাম্য বজায় রাখবেন। তবে সাবধান, এই ভদ্রতা যেন অতিরিক্ত বিনয়ে রূপ না নেয়। না হলে সবাই আপনাকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেবে। অতিরিক্ত লাভের খবর পেয়ে রাতে ঘুম ভাঙতে পারে। চিন্তা করবেন না, এটা শুধু গ্যাস।
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য ফলপ্রসূ হতে চলেছে। তবে এই ‘ফল’ হয়তো আপনার ই-মেইল ইনবক্সে জমা হওয়া হাজারো নতুন ই-মেইলের স্তূপ! কর্মজীবনের দিক থেকে নতুন সুযোগ পেতে পারেন। এটি হতে পারে—বসের নতুন প্রজেক্ট, যা আপনি একা সামলাবেন। অর্থের দিক থেকে দিনটি শুভ, কারণ আপনি আজ বুদ্ধি করে একটি অপ্রয়োজনীয় অনলাইন শপিং অর্ডার বাতিল করবেন। অর্থের দিক থেকে শুভ, মানে আপনি আজ অন্তত এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
ধনু
আপনার জন্য আজ একটি শুভ দিন হতে চলেছে। এতটা শুভ যে, হয়তো সকালে উঠে জুতা পরার সময় মোজা পরতে ভুলে যাবেন। ক্যারিয়ারে লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি পরিকল্পনা করুন। দিনের মূল প্ল্যানিং হবে, কীভাবে এই পরিকল্পনাকে আবার পরের দিনের জন্য স্থগিত করা যায়। গাড়ি চালানোর সময় অসতর্কতা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষত যখন আপনি ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। আপনার ভাগ্য আজ ভালো, শুধু নিজেকে বেশি সিরিয়াস না নিলেই হলো।
মকর
জ্যোতিষ বলছে, ‘সব জায়গায় ইতিবাচক মনোভাব দেখালে চলবে না।’ সত্যি কথা! আপনার ইতিবাচকতা দেখে অন্যরা ভয় পেতে পারে। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। ঝামেলার কারণ—আপনাকে দেখিয়ে কেউ যদি ভুল করে হাসে! বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন, যেমন—সকালের নাশতায় কী খাবেন, পাউরুটি নাকি পরোটা? আপনি মানসিক চাপে ভুগতে পারেন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন। যদি দেখেন কেউ আলু-পেঁয়াজ নিয়ে তর্ক করছে, সেখানে জড়াবেন না।
কুম্ভ
শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রচুর দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মানে শুধু একটাই—আপনার ছুটি বাতিল। রাজনৈতিক কোনো কাজ করার আগে খুব ভাবনাচিন্তা করার দরকার আছে। সামনে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ আসবে, কিন্তু আপনি এমন দায়িত্বশীল যে সেই সুযোগ নিতে পারবেন না। যদিও মন চাইবে, ‘যাই হোক, একটু ফাঁকি দেওয়া যাক।’ এই দোটানা মানসিক চাপ বাড়াবে। ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ এলেও, যদি দেখেন বস আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছেন, তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করুন।
মীন
আজ সৃজনশীল শক্তিতে পূর্ণ একটি দিন কাটাবেন। আপনার এই সৃজনশীলতা হয়তো কাজে লাগতে পারে—বাড়িতে ভেঙে যাওয়া দামি জিনিসটি মেরামত করার জন্য। অর্থের দিক থেকে ভাগ্যবান প্রমাণিত হতে পারেন। হয়তো পুরোনো কোনো প্যান্টের পকেটে একটি পাঁচশ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। কেউ কোনো দায়িত্ব দিলে একেবারেই নেবেন না, কারণ এটা আপনার জন্য একটি ফাঁদ হতে পারে। আজ উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে—কারণ আপনি ওই দায়িত্বটি না নিতে পারার অপরাধবোধে ভুগবেন। দাম্পত্য জীবন শান্ত ও সুখকর থাকবে। কারণ সঙ্গী আজ আপনার সৃজনশীলতা দেখে কথা বলার সাহস পাবেন না।

মেষ
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে। সাবধান! এই অর্থ আপনার একার, মহাজাগতিক ঋণের নয়। সারা দিন জনসেবার ইচ্ছা জাগবে, ভালো কথা। কিন্তু তার আগে নিজের বিলগুলো মেটানো জরুরি। ভাগ্য আজ আপনাকে দেখাবে—টাকা উপার্জন করা যতটা সহজ, সেটা ধরে রাখা তার চেয়েও কঠিন! আজকের মন্ত্র হোক: কফি খাব, তবে বিল দেব না।
বৃষ
সকাল থেকে একটা অদ্ভুত মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি আপনাকে তাড়া করবে। এর কারণ সম্ভবত গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্টুন দেখা। জ্যোতিষ বলছে, ‘কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু আপনাকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন।’ সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি আর কেউ নয়—সে হলো আপনার ফ্রিজের ভেতরে রাখা সেই মিষ্টির বাক্স, যেটি আপনাকে ডায়েট ভাঙতে উৎসাহিত করবে। ধ্যানের মাধ্যমে একাগ্রতা আনার চেষ্টা করুন। বস যদি সকালে কাজে ভুল ধরেন, তখন যোগাভ্যাস শুরু করে দিতে পারেন, হয়তো বস ভয় পাবেন। পেটের সমস্যা এড়াতে আজ অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। কিন্তু যদি দেখেন বন্ধু বিরিয়ানি খাওয়াতে চাচ্ছে, তাহলে এই উপদেশ ভুলে যান। মন খারাপ? মনকে বলুন, ‘বিকেলের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে, তার আগে ঘুমাও।’
মিথুন
সকালের দিকে মেজাজ এমন খিটখিটে থাকবে যে, পোষা প্রাণীটাও আপনাকে এড়িয়ে চলবে। তবে চিন্তা নেই, বিকেলের দিকে মুড ফ্রেশ হবে—যদি না কোনো অপ্রত্যাশিত ফোন কল আসে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম হতে পারে, যা আপনার অহংবোধকে একধাপ বাড়িয়ে দেবে। আজ কিছু নতুন পোশাক, মোবাইল ফোন ইত্যাদি কেনার যোগ রয়েছে। আপনার সম্মান বৃদ্ধির মূল কারণ হতে পারে নতুন ফোনের ক্যামেরা। তাই নিজেকে প্রমাণ করতে নয়, বরং ভালো সেলফি তোলার জন্য আজ মন দিন। সাবধানে অর্থ ব্যয় করুন। যদি অনলাইনে কোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস চোখে পড়ে, মনে রাখবেন—ওটা কালকেও থাকবে।
কর্কট
আজকের দিনটি আপনার জন্য বেশ ব্যয়বহুল হতে চলেছে। এর মানে এই নয় যে দামি কিছু কিনবেন, বরং মানে হলো—হয়তো অফিসের কলিগদের জন্য চা-কফি কিনে নিজের মাসকাবারি বাজেট শেষ করবেন। বসের কাছে প্রশংসা পাবেন, কারণ আপনি কাজের প্রতি খুবই দায়িত্বশীল। এই দায়িত্বশীলতা আপনাকে আরও বেশি কাজ এনে দেবে, যা ভবিষ্যতে মানসিক ভারসাম্য নষ্টের কারণ হবে। সরকারি কাজে অসুবিধা দেখা দেবে—কারণ সরকারি কাজ সব সময়ই অসুবিধা সৃষ্টি করে। ভদ্র থাকুন, নইলে টাকা শেষ হয়ে গেলে ধার চাওয়ার মুখ থাকবে না।
সিংহ
প্রতিদিনের স্বাভাবিক রুটিন বদলানোর চেষ্টা কেউ একজন করবে। সেই ‘কেউ একজন’ আর কেউ নয়, তিনি হলেন আপনার জীবনসঙ্গী, যিনি আপনাকে দিয়ে ঘরের কাজ করানোর চেষ্টা করবেন। সেদিকে বিশেষ নজর রাখুন। তবে দিনের শেষে রোমান্সের যোগ রয়েছে, যদি আপনি রুটিন বদলের এই চ্যালেঞ্জে হেরে যান এবং বশ্যতা স্বীকার করেন। আজ ব্যবসা বা পেশার জন্য অর্থ সংগ্রহে আপনি সফল হবেন। ঘরের কাজকে প্রেমের খেলা মনে করুন। হারলেও লাভ, জিতলেও!
কন্যা
সারা দিন আপনার কোনো বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। চেষ্টা করলেও, ভেতরের কণ্ঠস্বর আপনাকে মনে করিয়ে দেবে—কত কাজ বাকি আছে। আজ আপনার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সামান্য সর্দি-কাশিকে কঠিন ব্যামো ভেবে সারা দিন গুগল করতে পারেন। অফিসে পদোন্নতির যোগ রয়েছে, তবে এর মানে হলো—আপনার ওপর চাপ আরও বাড়বে। ব্যবসায়ীরা আজ আর্থিক বিষয়ে হতাশ হতে পারেন। সন্তানদের বিষয়ে একটু সতর্ক থাকুন। আজ হয়তো তারা আপনার গোপনে জমানো চকলেট খুঁজে পেতে পারে।
তুলা
ব্যবসায় খুব বেশি লাভ দেখতে পাওয়ার যোগ রয়েছে। এই লাভকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যের আগের থেকে উন্নতি দেখা যাবে। আজকের দিনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভদ্র থাকবেন এবং মানসিকভাবে ভারসাম্য বজায় রাখবেন। তবে সাবধান, এই ভদ্রতা যেন অতিরিক্ত বিনয়ে রূপ না নেয়। না হলে সবাই আপনাকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেবে। অতিরিক্ত লাভের খবর পেয়ে রাতে ঘুম ভাঙতে পারে। চিন্তা করবেন না, এটা শুধু গ্যাস।
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য ফলপ্রসূ হতে চলেছে। তবে এই ‘ফল’ হয়তো আপনার ই-মেইল ইনবক্সে জমা হওয়া হাজারো নতুন ই-মেইলের স্তূপ! কর্মজীবনের দিক থেকে নতুন সুযোগ পেতে পারেন। এটি হতে পারে—বসের নতুন প্রজেক্ট, যা আপনি একা সামলাবেন। অর্থের দিক থেকে দিনটি শুভ, কারণ আপনি আজ বুদ্ধি করে একটি অপ্রয়োজনীয় অনলাইন শপিং অর্ডার বাতিল করবেন। অর্থের দিক থেকে শুভ, মানে আপনি আজ অন্তত এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
ধনু
আপনার জন্য আজ একটি শুভ দিন হতে চলেছে। এতটা শুভ যে, হয়তো সকালে উঠে জুতা পরার সময় মোজা পরতে ভুলে যাবেন। ক্যারিয়ারে লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি পরিকল্পনা করুন। দিনের মূল প্ল্যানিং হবে, কীভাবে এই পরিকল্পনাকে আবার পরের দিনের জন্য স্থগিত করা যায়। গাড়ি চালানোর সময় অসতর্কতা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষত যখন আপনি ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। আপনার ভাগ্য আজ ভালো, শুধু নিজেকে বেশি সিরিয়াস না নিলেই হলো।
মকর
জ্যোতিষ বলছে, ‘সব জায়গায় ইতিবাচক মনোভাব দেখালে চলবে না।’ সত্যি কথা! আপনার ইতিবাচকতা দেখে অন্যরা ভয় পেতে পারে। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। ঝামেলার কারণ—আপনাকে দেখিয়ে কেউ যদি ভুল করে হাসে! বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন, যেমন—সকালের নাশতায় কী খাবেন, পাউরুটি নাকি পরোটা? আপনি মানসিক চাপে ভুগতে পারেন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন। যদি দেখেন কেউ আলু-পেঁয়াজ নিয়ে তর্ক করছে, সেখানে জড়াবেন না।
কুম্ভ
শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রচুর দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মানে শুধু একটাই—আপনার ছুটি বাতিল। রাজনৈতিক কোনো কাজ করার আগে খুব ভাবনাচিন্তা করার দরকার আছে। সামনে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ আসবে, কিন্তু আপনি এমন দায়িত্বশীল যে সেই সুযোগ নিতে পারবেন না। যদিও মন চাইবে, ‘যাই হোক, একটু ফাঁকি দেওয়া যাক।’ এই দোটানা মানসিক চাপ বাড়াবে। ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ এলেও, যদি দেখেন বস আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছেন, তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করুন।
মীন
আজ সৃজনশীল শক্তিতে পূর্ণ একটি দিন কাটাবেন। আপনার এই সৃজনশীলতা হয়তো কাজে লাগতে পারে—বাড়িতে ভেঙে যাওয়া দামি জিনিসটি মেরামত করার জন্য। অর্থের দিক থেকে ভাগ্যবান প্রমাণিত হতে পারেন। হয়তো পুরোনো কোনো প্যান্টের পকেটে একটি পাঁচশ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। কেউ কোনো দায়িত্ব দিলে একেবারেই নেবেন না, কারণ এটা আপনার জন্য একটি ফাঁদ হতে পারে। আজ উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে—কারণ আপনি ওই দায়িত্বটি না নিতে পারার অপরাধবোধে ভুগবেন। দাম্পত্য জীবন শান্ত ও সুখকর থাকবে। কারণ সঙ্গী আজ আপনার সৃজনশীলতা দেখে কথা বলার সাহস পাবেন না।

দক্ষিণ কোরিয়া সরকার আয়োজিত উৎসব ‘দেইগু কালারফুল ফেস্টিভ্যাল ২০২২’-এ অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশের তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্যান্স থিয়েটার। দক্ষিণ কোরিয়ার দেইগু শহরে গত ৮ থেকে ১০ জুলাই এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তুরঙ্গমীর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর নৃত্যশিল্পী পূজা সেনগুপ্ত
০৩ আগস্ট ২০২২
বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
১ ঘণ্টা আগে
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
২ ঘণ্টা আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

প্রশ্ন: চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়। চুলের যত্নে কীভাবে এর তরতাজা ভাব ধরে রাখা যায়?
স্নিগ্ধা বাহার, ঢাকা
উত্তর: হেয়ার ডিটক্স আপনার জন্য ভালো সমাধান। এর মাধ্যমে চুল পুনরুজ্জীবিত হয়। কিন্তু হেয়ার ডিটক্স ট্রিটমেন্ট বাড়িতে শতভাগ সম্ভব নয়। তবে হেয়ার ডিটক্স প্যাক লাগানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে, প্রথমে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। এরপর কোনো হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এই শ্যাম্পু তৈরি করে নিতে হবে আপেল সিডার ভিনেগার, নারকেলের দুধ, একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং অল্প পরিমাণে কোনো মাইল্ড শ্যাম্পু ভালো করে মিশিয়ে। এটি ব্যবহারে মাথার ত্বকে জমা হওয়া ধুলোবালি, ময়লা ও অতিরিক্ত তেল ধুয়ে যাবে।
এ ছাড়া এখন বাজারে সি-সল্ট পাওয়া যায়। একটি বাটিতে অ্যালোভেরা জেল, আপেল সিডার ভিনেগার এবং অল্প পরিমাণে সি-সল্ট একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে রাখতে হবে আধা ঘণ্টা। এরপর যেকোনো প্রোটিন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
প্রশ্ন: চুলের মসৃণ ভাব ফিরে পেতে ঘরে তৈরি হেয়ার রিপেয়ারিং মাস্কের পরামর্শ চাই। উপকরণগুলো সহজলভ্য হলে ভালো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, দিনাজপুর
উত্তর: বাড়িতে যত্ন নেওয়া গেলে পারলারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। একটি বাটিতে ডিম ভেঙে নিন। এর সঙ্গে টক দই ও অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এই মিশ্রণ শ্যাম্পু করা মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রাখতে হবে। এরপর আবার শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চুল সিল্কি হয়।
প্রশ্ন: শীতে পুরুষের ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখতে সহজ এবং সাধারণ কিছু টিপস প্রয়োজন। জানালে বিশেষ উপকৃত হব।
নীল মজুমদার, সোনারগাঁ
উত্তর: ত্বক পেলব রাখতে এখন থেকে প্রতিদিন রাতে অলিভ অয়েল ও গোলাপজল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে মেখে নেবেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পাকা টমেটোর প্যাক খুবই উপকারী। পাকা টমেটো পেস্টের সঙ্গে ২ চামচ টক দই এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধা শুকনো হয়ে এলে কিছুটা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
প্রশ্ন: শীতে সব সময় পা ঢাকা জুতা ব্যবহার করি। এর সঙ্গে মোজা তো পরতেই হয়। কিন্তু এ ধরনের জুতা পরার পর পায়ে গন্ধ হয়। এ ছাড়া শীতে পায়ের আঙুলের ফাঁকে খুব চুলকানি হয়। এর জন্য ট্যালকম পাউডার ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করি। পা ফ্রেশ রাখতে ভালো সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
পম্পা শেখ, লক্ষ্মীপুর
উত্তর: দীর্ঘক্ষণ পরিধান করার কারণে জুতার ভেতরে পা ঘেমে যেতে পারে। তাই কিছুক্ষণ পরপর জুতা খুলে রাখুন। সুতির মোজা ব্যবহার করুন। এ ধরনের মোজা পায়ের ঘাম শুষে নিতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ধোয়া পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করুন। অফিসে গিয়ে সম্ভব হলে জুতা-মোজা খুলে খোলা স্যান্ডেল পায়ে দিন। জুতা যদি পায়ে দিতেই হয়, তাহলে চামড়া বা কাপড়ের জুতা ব্যবহার করুন। এতে বাইরের বাতাস জুতার ভেতর যাওয়া-আসা করতে পারবে, এর ফলে পা ঘামবে কম। বাড়ি ফিরে হালকা গরম পানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমে যাবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বত্বাধিকারী বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার

প্রশ্ন: চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়। চুলের যত্নে কীভাবে এর তরতাজা ভাব ধরে রাখা যায়?
স্নিগ্ধা বাহার, ঢাকা
উত্তর: হেয়ার ডিটক্স আপনার জন্য ভালো সমাধান। এর মাধ্যমে চুল পুনরুজ্জীবিত হয়। কিন্তু হেয়ার ডিটক্স ট্রিটমেন্ট বাড়িতে শতভাগ সম্ভব নয়। তবে হেয়ার ডিটক্স প্যাক লাগানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে, প্রথমে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। এরপর কোনো হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এই শ্যাম্পু তৈরি করে নিতে হবে আপেল সিডার ভিনেগার, নারকেলের দুধ, একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং অল্প পরিমাণে কোনো মাইল্ড শ্যাম্পু ভালো করে মিশিয়ে। এটি ব্যবহারে মাথার ত্বকে জমা হওয়া ধুলোবালি, ময়লা ও অতিরিক্ত তেল ধুয়ে যাবে।
এ ছাড়া এখন বাজারে সি-সল্ট পাওয়া যায়। একটি বাটিতে অ্যালোভেরা জেল, আপেল সিডার ভিনেগার এবং অল্প পরিমাণে সি-সল্ট একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে রাখতে হবে আধা ঘণ্টা। এরপর যেকোনো প্রোটিন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
প্রশ্ন: চুলের মসৃণ ভাব ফিরে পেতে ঘরে তৈরি হেয়ার রিপেয়ারিং মাস্কের পরামর্শ চাই। উপকরণগুলো সহজলভ্য হলে ভালো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, দিনাজপুর
উত্তর: বাড়িতে যত্ন নেওয়া গেলে পারলারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। একটি বাটিতে ডিম ভেঙে নিন। এর সঙ্গে টক দই ও অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এই মিশ্রণ শ্যাম্পু করা মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রাখতে হবে। এরপর আবার শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চুল সিল্কি হয়।
প্রশ্ন: শীতে পুরুষের ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখতে সহজ এবং সাধারণ কিছু টিপস প্রয়োজন। জানালে বিশেষ উপকৃত হব।
নীল মজুমদার, সোনারগাঁ
উত্তর: ত্বক পেলব রাখতে এখন থেকে প্রতিদিন রাতে অলিভ অয়েল ও গোলাপজল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে মেখে নেবেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পাকা টমেটোর প্যাক খুবই উপকারী। পাকা টমেটো পেস্টের সঙ্গে ২ চামচ টক দই এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধা শুকনো হয়ে এলে কিছুটা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
প্রশ্ন: শীতে সব সময় পা ঢাকা জুতা ব্যবহার করি। এর সঙ্গে মোজা তো পরতেই হয়। কিন্তু এ ধরনের জুতা পরার পর পায়ে গন্ধ হয়। এ ছাড়া শীতে পায়ের আঙুলের ফাঁকে খুব চুলকানি হয়। এর জন্য ট্যালকম পাউডার ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করি। পা ফ্রেশ রাখতে ভালো সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
পম্পা শেখ, লক্ষ্মীপুর
উত্তর: দীর্ঘক্ষণ পরিধান করার কারণে জুতার ভেতরে পা ঘেমে যেতে পারে। তাই কিছুক্ষণ পরপর জুতা খুলে রাখুন। সুতির মোজা ব্যবহার করুন। এ ধরনের মোজা পায়ের ঘাম শুষে নিতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ধোয়া পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করুন। অফিসে গিয়ে সম্ভব হলে জুতা-মোজা খুলে খোলা স্যান্ডেল পায়ে দিন। জুতা যদি পায়ে দিতেই হয়, তাহলে চামড়া বা কাপড়ের জুতা ব্যবহার করুন। এতে বাইরের বাতাস জুতার ভেতর যাওয়া-আসা করতে পারবে, এর ফলে পা ঘামবে কম। বাড়ি ফিরে হালকা গরম পানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমে যাবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বত্বাধিকারী বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার

দক্ষিণ কোরিয়া সরকার আয়োজিত উৎসব ‘দেইগু কালারফুল ফেস্টিভ্যাল ২০২২’-এ অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশের তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্যান্স থিয়েটার। দক্ষিণ কোরিয়ার দেইগু শহরে গত ৮ থেকে ১০ জুলাই এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তুরঙ্গমীর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর নৃত্যশিল্পী পূজা সেনগুপ্ত
০৩ আগস্ট ২০২২
বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
১ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

দক্ষিণ কোরিয়া সরকার আয়োজিত উৎসব ‘দেইগু কালারফুল ফেস্টিভ্যাল ২০২২’-এ অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশের তুরঙ্গমী রেপার্টরি ড্যান্স থিয়েটার। দক্ষিণ কোরিয়ার দেইগু শহরে গত ৮ থেকে ১০ জুলাই এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তুরঙ্গমীর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর নৃত্যশিল্পী পূজা সেনগুপ্ত
০৩ আগস্ট ২০২২
বিজয় দিবসে লাল-সবুজের ফ্যাশন এখন দারুণ ট্রেন্ড। পতাকার এই রং ছড়িয়ে থাকে আমাদের মন, পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজগোজে। তবে হিম হিম শীতে কোন ধরনের লাল-সবুজ পোশাক বেছে নেবেন এবং এর সঙ্গে সাজ কেমন হবে, সেসব নিয়ে অনেকে আছেন দ্বিধায়। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। দেখে নিতে পারেন এখানে।
১ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
২ ঘণ্টা আগে