ইমরান খান

মীম কাঁদছে। এই পৃথিবীতে আপন বলতে আর কেউ না থাকার বেদনায় তার এ কান্না। মাত্রই ২৬টি লাশের সারি থেকে মা-বাবা ও দুই বোনের লাশ শনাক্তের দগদগে ক্ষত তৈরি হয়েছে নয় বছরের এ শিশুর বুকে। ব্যাগ আঁকড়ে ডুবতে ডুবতে নিজে বেঁচে গেলেও সর্বনাশা পদ্মায় তার অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তার এ বেদনা, অশ্রু সবাইকে স্পর্শ করেছে। তার সামনে দাঁড়িয়ে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা, প্রশ্ন খুঁজে পান না সাংবাদিকেরা।
দাদার মৃত্যুর খবর পেয়ে খুলনার তেরখাদায় যাওয়ার পথে ৩ মে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়িতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় জীবনের এ মর্মান্তিক বাঁকে এসে দাঁড়াতে হয়েছে নয় বছরের মীমকে। কাঁদতে কাঁদতে মীমের শরীর শিথিল হয়ে আসে, কান্না বন্ধ হয়; আবার ফুঁপিয়ে শুরু হওয়া কান্না বিলাপ পর্যন্ত গিয়ে থামে। কান্না ছাড়া তার আর কী–বা করার আছে?
কান্না এমনই। কান্নার কাছে `আকবর বাদশা থেকেহরিপদ কেরানি' কারও ভেদ নেই। সত্যিই কি ভেদ নেই? মোঘল সম্রাট আকবর কি সত্যিই কাঁদতেন? সম্রাট আকবর তো ইতিহাসের পাতার আড়ালে লুকিয়েছেন। তাঁর কান্নার হদিস নেওয়া তাই কঠিনই বটে। মহারানি ভিক্টোরিয়ার যুগও গত। তবে আছেন একজন। মহারানি এলিজাবেথ। আচ্ছা ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথ কি কাঁদেন?
এত দিন এই প্রশ্নের উত্তর অজানা ছিল। ডিউক অব এডিনবার্গ প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে রানির অশ্রুসিক্ত চোখ বিশ্বকে এই প্রশ্নের উত্তর জানিয়ে দিল। রানির দুচোখ দিয়ে অঝোরে অশ্রু ঝরার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই ছবির ক্যাপশন লিখেছেন, ‘আজ কোনো প্রটোকল নেই, রানি কাঁদছেন।’
এই কান্না স্বামী হারানোর, সাত দশকের জীবনসঙ্গীর বিদায়ের। এ অশ্রু এক বিশ্বস্ত সঙ্গীর সাহচর্য হারানোর বেদনার। এ কান্না এমন মর্মবেদনার, যা থামিয়ে রাখতে ৭৩০ জন নিরাপত্তাকর্মী কোনো সংখ্যাই নয়। এ যেন রানির ল্যাক্রিমাল গ্রন্থিতে উৎপন্ন সব পানি চোখ থেকে উপচে পড়ার প্রতিজ্ঞার ফল।
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী ডিউক অব এডিনবার্গ প্রিন্স ফিলিপ গত ৯ এপ্রিল মারা গেলেন, ১৭ এপ্রিল হলো তাঁর শেষকৃত্য। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সম্ভবত প্রথমবারের মতো রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে কাঁদতে দেখল বিশ্ব। ফিলিপের সঙ্গে রানির বহু হাস্যোজ্জ্বল ছবির পাশে রানির এ অশ্রুসজল চোখ যে কারও মনে ধাক্কা দেয়। একইসঙ্গে স্পষ্ট ঘোষণা দেয়—কান্না সর্বজনীন; সবাই কাঁদে।
অশ্রু কী?
অক্সফোর্ড ডিকশনারি অনুযায়ী—আবেগ, অসুস্থতা বা ব্যথার কারণে চোখ থেকে প্রবাহিত নোনতা তরলের ফোঁটাকে অশ্রু বলে। আর স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বিজ্ঞানবর্তিকা বলছে—অশ্রু হচ্ছে পানি, লবণ, কিছু অ্যান্টিবডি ও কিছু অ্যান্টি–মাইক্রোবেয়াল এজেন্টের সংমিশ্রণ, যা মানুষের চোখের ঠিক পাশে থাকা অশ্রু গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়।
আমেরিকান একাডেমি অব অপথালমোলজি ওয়েবসাইটের ফ্যাক্টস অ্যাবাউট টিয়ারস বলছে, বেসল অশ্রু চোখের কর্নিয়াকে ভেজা ও সুরক্ষিত রাখে। চোখে ধোঁয়া, ধূলিকণা বা অন্যকিছু গেলে, তা ধুয়ে ফেলার জন্য উৎপন্ন হয় রিফ্লেক্স অশ্রু।
মানুষ, গরিলা ও হাতির শরীরে আবেগময় অশ্রু নামে আরেক ধরনের অশ্রু পাওয়া যায়। নানা ধরনের মানসিক উত্তেজনা প্রশমনে এ অশ্রু নিঃসৃত হয়। এ অশ্রুতে থাকা বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেস হরমোন ন্যাচারাল পেইন কিলার হিসেবে কাজ করে বলেও উল্লেখ করেছে বিজ্ঞানবর্তিকা।
বৈচিত্র্যময় কান্না
কান্নার ধরনে অনেক বৈচিত্র্য আছে। এর মধ্যে মায়া কান্না, চাপা কান্না, বিলাপ করে কান্না, মাতম করে কান্না অন্যতম। অনেকের সামান্য কান্নায় অশ্রুতে চিবুক ভিজে যায়। অনেকে জোরে শব্দ করে বিলাপ করলেও অশ্রুর দেখা মেলে না। কারও কান্নায় শব্দহীন অশ্রু ঝরে, কেউ আবার জনসম্মুখে না কেঁদে একাকী বালিশ ভেজায়।
কে কতবার কাঁদে, তা নিয়েও আছে গবেষণা। আলজেইমার্স রিসার্চ সেন্টারের বর্তমান পরিচালক উইলিয়াম ফ্রে ১৯৮০ সালে এ নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। মার্কিন এই প্রাণরসায়নবিদ তাঁর গবেষণায় দেখান, নারীরা মাসে গড়ে ৫ দশমিক ৩ বার কাঁদে। অন্যদিকে পুরুষ কাঁদে মাসে ১ দশমিক ৩ বার। ২০১১ সালে সেইজ জার্নালসে প্রকাশিত এক গবেষণায়ও একই ফল উঠে এসেছে। গবেষণায় দরিদ্র দেশের তুলনায় ধনী দেশের নাগরিকদের কান্নার হার বেশি বলেও তথ্য উঠে আসে।
মানুষ কেন কাঁদে?
মানুষ নানা কারণে কাঁদতে পারে। নানা কারণে চোখে অশ্রু আসতে পারে। শারীরিক ব্যথা, মানসিক দুঃখ, ক্রোধ বা ভয়ে অনেকে কাঁদেন। অনেকর সুখ প্রকাশের মাধ্যমও অশ্রু। বাংলা চলচ্চিত্রে নায়কের সাফল্যে তাঁর মায়ের উক্তি, ‘আজ তোর বাবা বেঁচে থাকলে’ বলে কেঁদে ফেলার দৃশ্যও কোনো বানোয়াট বিষয় নয়। বাস্তব জীবনেও এমন দৃশ্য দেখা যায়। ফল প্রকাশের দিন জিপিএ ৫ পেয়ে মাকে জড়িয়ে কান্নার দৃশ্যও উঠে আসছে পত্রিকার পাতায়। আমাদের নিজের জীবনেও এমন ঘটনা হয়তো অনুপস্থিত নয়।
এই যেমন মন ভাঙায় বেশ কয়েকবারই কেঁদেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাহুরা তাবাসসুম (২৩)। কখনো খুশি, আবার কখনো হতাশা থেকে তাঁর অশ্রু ঝরেছে। তবে কান্না তাঁর মনের নেতিবাচকতা দূর করে মন ফ্রেশ করেছে; সুন্দর করে নতুন চিন্তা করতে সহায়তা করেছে।
আবার একাকীত্ব বা দুর্ভাবনাও হতে পারে কান্নার কারণ। নতুন চাকরির দ্বিতীয় মাসে করোনা আক্রান্ত হন নাবিউল বাপ্পি (২৮)। কিছুদিন আগে পিতৃবিয়োগ, অফিসে যেতে না পারা, অসুস্থতা, ঘর থেকে বের হতে না পারা মিলে হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর কান্না চলে আসে। কান্না শেষে হাত–মুখ ধুয়ে এলে নিজেকে ভারমুক্ত মনে হয়েছে বলে তিনি জানান।
আবার অন্যের জন্য নয়, মেহেরুন নাহার মেঘলা (২৫) কাঁদেন একান্তই নিজের জন্য। এতে চাপ কমে, চোখ পরিষ্কার হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন। কান্না পেলে কাঁদাই উপকারী বলে মনে করেন এ তরুণী। আর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আসমা ইসলাম (২৪) কাঁদেন রাগ, অভিমান, দুঃসংবাদের জেরে। বললেন, `কান্না আমাকে মানসিক স্থিতিশীলতা দিয়েছে, ভারাক্রান্ত মনে স্বস্তি জুগিয়েছে, সহজে কষ্ট ভুলতে সহায়তা করেছে।’
মূলত মনের ভাব প্রকাশের জন্যই মানুষ কাঁদে। পরিস্থিতি অনুযায়ী অনেক সময় অনিচ্ছায়ও কান্না চলে আসে। হেলথলাইন ডটকমে কান্নার ছয়টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে—
* অন্যের সহায়তা পেতে কান্না বেশ সহায়ক। ২০১৩ সালের এক সমীক্ষায় দেখা যায়—কেঁদে সাহায্য চাওয়া লোকেদের সাহায্য পাওয়ার হার বেশি।
* রোগের যন্ত্রণা কমাতে কান্না সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে, কান্নায় শরীরে এন্ডোরফিনস ও অক্সিটোসিন নিঃসৃত হয়। এসব উপাদান মানসিক কষ্টের পাশাপাশি শারীরিক কষ্ট দূর করতে সহায়তা করে। দীর্ঘস্থায়ী ও সাময়িক রোগের যন্ত্রণায় কান্না সাময়িক স্বস্তি দেয়।
* সামাজিক বন্ধনের ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা আছে। একজনকে কাঁদতে দেখলে অনেকে তার পাশে দাঁড়ায়; কান্নার কারণ জানতে চায়। এতে সমাজের মানুষের মধ্যে অর্থপূর্ণ সংযোগ সৃষ্টি হতে পারে।
* কোনো অনুভূতি চরম আকার ধারণ করলে, তা থেকে মুক্তির জন্য মানুষ কাঁদে। দুঃখ, অপরাধবোধ, উদ্বেগ, প্রেম, আনন্দ, কৃতজ্ঞতার মতো বহু আবেগ এমন চরম আকার ধারণ করতে পারে।
* মানুষ অনেক সময় অন্যের অনুভূতির সঙ্গে একীভূত হয়ে যায়। একে সহানুভূতি, সমানুভূতি বলা যায়। এ ধারণার মূল কথা হলো অন্যের পরিস্থিতি দেখে বা ওই পরিস্থিতিতে নিজেকে চিন্তা করেও কান্না আসতে পারে। মৃতের বাড়িতে প্রতিবেশীর কান্না এর একটি উদাহরণ।
* দাবি আদায়ের জন্য অনেকে কাঁদেন। পরিবারের সদস্যদের অনেক দাবি সহজে পূরণ না হলে কেঁদে দাবি আদায়, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জনগণের কাছে কান্নাবিজড়িত আহ্বান, সৃষ্টিকর্তার কাছে কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে অপরাধের ক্ষমা ও নতুন কিছু চাওয়া এর উদাহরণ। ‘না কাঁদলে মা–ও দুধ দেয় না’ তো প্রবাদই হয়ে গেছে।
কান্নাতন্ত্র
পুরুষতান্ত্রিক দেশে পুরুষদের ছোটবেলা থেকেই শেখানো হয়—কান্না পুরুষের জন্য নয়। ছেলেরা আছাড় খেয়ে পড়ে গেলে ‘এটুকু ব্যাথায় পুরুষ মানুষের কী হয়’, বলে কান্না থামানোর রেওয়াজও বেশ প্রচলিত। ছোটবেলা থেকে এই ধারণা মনে গেঁথে যাওয়ায় পরবর্তী জীবনেও এর প্রভাব থাকে। হয়তো তাই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সংসার চালাতে হিমশিম খাওয়া কর্তাকেও কাঁদতে দেখা যায় না।
বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা যায়, দরিদ্র দেশের তুলনায় ধনী দেশের লোকেদের কান্নার প্রবণতা বেশি। এর পেছনেও আছে জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের ধারণা। ধনী দেশের চেয়ে দরিদ্র দেশের নাগরিকেরা সহজেই মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে বলে এমন হয়।
কান্না কি শেখানোর বিষয়?
২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিবিসি বাংলার এক ভিডিও প্রতিবেদনে দেখানো হয়, প্রথাগতভাবে জাপানিদের কান্না নিষিদ্ধ। ছোটবেলা থেকে তাদের না কাঁদতে শেখানো হয়। এটি হয়তো শ্রেষ্ঠত্বের ধারণারই প্রতীক। কিন্তু দেশটির মনোবিদ ও কান্নার প্রশিক্ষক (ক্রায়িং থেরাপিস্ট) হিদেফুমি ইওশিদা মনে করেন, এটা ঠিক নয়। তাঁর মতে, না কাঁদতে পারাটা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কান্না মানুষকে চাপা যন্ত্রণা থেকে সান্ত্বনা দেয়, মন ভালো করে। মানুষের যত অনুভূতি আছে, তার মধ্যে কান্না আসল সত্তাকে বের করে আনে। তাই মানুষকে কান্না করা শেখাতে সেমিনার করছেন ইওশিদা। গত আট বছরে তাঁর প্রচেষ্টায় প্রায় ৫০ হাজার লোকের চোখে পানি এসেছে। মানুষকে কাঁদাতে তিনি সিনেমা, প্রাকৃতিক দৃশ্য, চিঠি ও বই ব্যবহার করেন।
কান্না পেলে কাঁদুন
আবেগ ও ভালো থাকা নিয়ে গবেষণা করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন নেদারল্যান্ডসের টিলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ভিঞ্জারহয়েটস। তাঁর মতে, সাধারণভাবে অনেক মনোবিদই মনে করেন কান্না দমিয়ে রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তিনি গবেষণা করে দেখেছেন, ‘বেশির ভাগ লোকই মনে করেন কান্না মনকে হালকা করে। তবে কারও কাছে তাঁর সর্বশেষ কান্নার কারণ জানতে চাইলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মন খারাপ হয়ে যায়।’

মীম কাঁদছে। এই পৃথিবীতে আপন বলতে আর কেউ না থাকার বেদনায় তার এ কান্না। মাত্রই ২৬টি লাশের সারি থেকে মা-বাবা ও দুই বোনের লাশ শনাক্তের দগদগে ক্ষত তৈরি হয়েছে নয় বছরের এ শিশুর বুকে। ব্যাগ আঁকড়ে ডুবতে ডুবতে নিজে বেঁচে গেলেও সর্বনাশা পদ্মায় তার অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তার এ বেদনা, অশ্রু সবাইকে স্পর্শ করেছে। তার সামনে দাঁড়িয়ে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা, প্রশ্ন খুঁজে পান না সাংবাদিকেরা।
দাদার মৃত্যুর খবর পেয়ে খুলনার তেরখাদায় যাওয়ার পথে ৩ মে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়িতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় জীবনের এ মর্মান্তিক বাঁকে এসে দাঁড়াতে হয়েছে নয় বছরের মীমকে। কাঁদতে কাঁদতে মীমের শরীর শিথিল হয়ে আসে, কান্না বন্ধ হয়; আবার ফুঁপিয়ে শুরু হওয়া কান্না বিলাপ পর্যন্ত গিয়ে থামে। কান্না ছাড়া তার আর কী–বা করার আছে?
কান্না এমনই। কান্নার কাছে `আকবর বাদশা থেকেহরিপদ কেরানি' কারও ভেদ নেই। সত্যিই কি ভেদ নেই? মোঘল সম্রাট আকবর কি সত্যিই কাঁদতেন? সম্রাট আকবর তো ইতিহাসের পাতার আড়ালে লুকিয়েছেন। তাঁর কান্নার হদিস নেওয়া তাই কঠিনই বটে। মহারানি ভিক্টোরিয়ার যুগও গত। তবে আছেন একজন। মহারানি এলিজাবেথ। আচ্ছা ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথ কি কাঁদেন?
এত দিন এই প্রশ্নের উত্তর অজানা ছিল। ডিউক অব এডিনবার্গ প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে রানির অশ্রুসিক্ত চোখ বিশ্বকে এই প্রশ্নের উত্তর জানিয়ে দিল। রানির দুচোখ দিয়ে অঝোরে অশ্রু ঝরার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই ছবির ক্যাপশন লিখেছেন, ‘আজ কোনো প্রটোকল নেই, রানি কাঁদছেন।’
এই কান্না স্বামী হারানোর, সাত দশকের জীবনসঙ্গীর বিদায়ের। এ অশ্রু এক বিশ্বস্ত সঙ্গীর সাহচর্য হারানোর বেদনার। এ কান্না এমন মর্মবেদনার, যা থামিয়ে রাখতে ৭৩০ জন নিরাপত্তাকর্মী কোনো সংখ্যাই নয়। এ যেন রানির ল্যাক্রিমাল গ্রন্থিতে উৎপন্ন সব পানি চোখ থেকে উপচে পড়ার প্রতিজ্ঞার ফল।
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী ডিউক অব এডিনবার্গ প্রিন্স ফিলিপ গত ৯ এপ্রিল মারা গেলেন, ১৭ এপ্রিল হলো তাঁর শেষকৃত্য। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সম্ভবত প্রথমবারের মতো রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে কাঁদতে দেখল বিশ্ব। ফিলিপের সঙ্গে রানির বহু হাস্যোজ্জ্বল ছবির পাশে রানির এ অশ্রুসজল চোখ যে কারও মনে ধাক্কা দেয়। একইসঙ্গে স্পষ্ট ঘোষণা দেয়—কান্না সর্বজনীন; সবাই কাঁদে।
অশ্রু কী?
অক্সফোর্ড ডিকশনারি অনুযায়ী—আবেগ, অসুস্থতা বা ব্যথার কারণে চোখ থেকে প্রবাহিত নোনতা তরলের ফোঁটাকে অশ্রু বলে। আর স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট বিজ্ঞানবর্তিকা বলছে—অশ্রু হচ্ছে পানি, লবণ, কিছু অ্যান্টিবডি ও কিছু অ্যান্টি–মাইক্রোবেয়াল এজেন্টের সংমিশ্রণ, যা মানুষের চোখের ঠিক পাশে থাকা অশ্রু গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়।
আমেরিকান একাডেমি অব অপথালমোলজি ওয়েবসাইটের ফ্যাক্টস অ্যাবাউট টিয়ারস বলছে, বেসল অশ্রু চোখের কর্নিয়াকে ভেজা ও সুরক্ষিত রাখে। চোখে ধোঁয়া, ধূলিকণা বা অন্যকিছু গেলে, তা ধুয়ে ফেলার জন্য উৎপন্ন হয় রিফ্লেক্স অশ্রু।
মানুষ, গরিলা ও হাতির শরীরে আবেগময় অশ্রু নামে আরেক ধরনের অশ্রু পাওয়া যায়। নানা ধরনের মানসিক উত্তেজনা প্রশমনে এ অশ্রু নিঃসৃত হয়। এ অশ্রুতে থাকা বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেস হরমোন ন্যাচারাল পেইন কিলার হিসেবে কাজ করে বলেও উল্লেখ করেছে বিজ্ঞানবর্তিকা।
বৈচিত্র্যময় কান্না
কান্নার ধরনে অনেক বৈচিত্র্য আছে। এর মধ্যে মায়া কান্না, চাপা কান্না, বিলাপ করে কান্না, মাতম করে কান্না অন্যতম। অনেকের সামান্য কান্নায় অশ্রুতে চিবুক ভিজে যায়। অনেকে জোরে শব্দ করে বিলাপ করলেও অশ্রুর দেখা মেলে না। কারও কান্নায় শব্দহীন অশ্রু ঝরে, কেউ আবার জনসম্মুখে না কেঁদে একাকী বালিশ ভেজায়।
কে কতবার কাঁদে, তা নিয়েও আছে গবেষণা। আলজেইমার্স রিসার্চ সেন্টারের বর্তমান পরিচালক উইলিয়াম ফ্রে ১৯৮০ সালে এ নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। মার্কিন এই প্রাণরসায়নবিদ তাঁর গবেষণায় দেখান, নারীরা মাসে গড়ে ৫ দশমিক ৩ বার কাঁদে। অন্যদিকে পুরুষ কাঁদে মাসে ১ দশমিক ৩ বার। ২০১১ সালে সেইজ জার্নালসে প্রকাশিত এক গবেষণায়ও একই ফল উঠে এসেছে। গবেষণায় দরিদ্র দেশের তুলনায় ধনী দেশের নাগরিকদের কান্নার হার বেশি বলেও তথ্য উঠে আসে।
মানুষ কেন কাঁদে?
মানুষ নানা কারণে কাঁদতে পারে। নানা কারণে চোখে অশ্রু আসতে পারে। শারীরিক ব্যথা, মানসিক দুঃখ, ক্রোধ বা ভয়ে অনেকে কাঁদেন। অনেকর সুখ প্রকাশের মাধ্যমও অশ্রু। বাংলা চলচ্চিত্রে নায়কের সাফল্যে তাঁর মায়ের উক্তি, ‘আজ তোর বাবা বেঁচে থাকলে’ বলে কেঁদে ফেলার দৃশ্যও কোনো বানোয়াট বিষয় নয়। বাস্তব জীবনেও এমন দৃশ্য দেখা যায়। ফল প্রকাশের দিন জিপিএ ৫ পেয়ে মাকে জড়িয়ে কান্নার দৃশ্যও উঠে আসছে পত্রিকার পাতায়। আমাদের নিজের জীবনেও এমন ঘটনা হয়তো অনুপস্থিত নয়।
এই যেমন মন ভাঙায় বেশ কয়েকবারই কেঁদেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাহুরা তাবাসসুম (২৩)। কখনো খুশি, আবার কখনো হতাশা থেকে তাঁর অশ্রু ঝরেছে। তবে কান্না তাঁর মনের নেতিবাচকতা দূর করে মন ফ্রেশ করেছে; সুন্দর করে নতুন চিন্তা করতে সহায়তা করেছে।
আবার একাকীত্ব বা দুর্ভাবনাও হতে পারে কান্নার কারণ। নতুন চাকরির দ্বিতীয় মাসে করোনা আক্রান্ত হন নাবিউল বাপ্পি (২৮)। কিছুদিন আগে পিতৃবিয়োগ, অফিসে যেতে না পারা, অসুস্থতা, ঘর থেকে বের হতে না পারা মিলে হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর কান্না চলে আসে। কান্না শেষে হাত–মুখ ধুয়ে এলে নিজেকে ভারমুক্ত মনে হয়েছে বলে তিনি জানান।
আবার অন্যের জন্য নয়, মেহেরুন নাহার মেঘলা (২৫) কাঁদেন একান্তই নিজের জন্য। এতে চাপ কমে, চোখ পরিষ্কার হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন। কান্না পেলে কাঁদাই উপকারী বলে মনে করেন এ তরুণী। আর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আসমা ইসলাম (২৪) কাঁদেন রাগ, অভিমান, দুঃসংবাদের জেরে। বললেন, `কান্না আমাকে মানসিক স্থিতিশীলতা দিয়েছে, ভারাক্রান্ত মনে স্বস্তি জুগিয়েছে, সহজে কষ্ট ভুলতে সহায়তা করেছে।’
মূলত মনের ভাব প্রকাশের জন্যই মানুষ কাঁদে। পরিস্থিতি অনুযায়ী অনেক সময় অনিচ্ছায়ও কান্না চলে আসে। হেলথলাইন ডটকমে কান্নার ছয়টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে—
* অন্যের সহায়তা পেতে কান্না বেশ সহায়ক। ২০১৩ সালের এক সমীক্ষায় দেখা যায়—কেঁদে সাহায্য চাওয়া লোকেদের সাহায্য পাওয়ার হার বেশি।
* রোগের যন্ত্রণা কমাতে কান্না সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে, কান্নায় শরীরে এন্ডোরফিনস ও অক্সিটোসিন নিঃসৃত হয়। এসব উপাদান মানসিক কষ্টের পাশাপাশি শারীরিক কষ্ট দূর করতে সহায়তা করে। দীর্ঘস্থায়ী ও সাময়িক রোগের যন্ত্রণায় কান্না সাময়িক স্বস্তি দেয়।
* সামাজিক বন্ধনের ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা আছে। একজনকে কাঁদতে দেখলে অনেকে তার পাশে দাঁড়ায়; কান্নার কারণ জানতে চায়। এতে সমাজের মানুষের মধ্যে অর্থপূর্ণ সংযোগ সৃষ্টি হতে পারে।
* কোনো অনুভূতি চরম আকার ধারণ করলে, তা থেকে মুক্তির জন্য মানুষ কাঁদে। দুঃখ, অপরাধবোধ, উদ্বেগ, প্রেম, আনন্দ, কৃতজ্ঞতার মতো বহু আবেগ এমন চরম আকার ধারণ করতে পারে।
* মানুষ অনেক সময় অন্যের অনুভূতির সঙ্গে একীভূত হয়ে যায়। একে সহানুভূতি, সমানুভূতি বলা যায়। এ ধারণার মূল কথা হলো অন্যের পরিস্থিতি দেখে বা ওই পরিস্থিতিতে নিজেকে চিন্তা করেও কান্না আসতে পারে। মৃতের বাড়িতে প্রতিবেশীর কান্না এর একটি উদাহরণ।
* দাবি আদায়ের জন্য অনেকে কাঁদেন। পরিবারের সদস্যদের অনেক দাবি সহজে পূরণ না হলে কেঁদে দাবি আদায়, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের জনগণের কাছে কান্নাবিজড়িত আহ্বান, সৃষ্টিকর্তার কাছে কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে অপরাধের ক্ষমা ও নতুন কিছু চাওয়া এর উদাহরণ। ‘না কাঁদলে মা–ও দুধ দেয় না’ তো প্রবাদই হয়ে গেছে।
কান্নাতন্ত্র
পুরুষতান্ত্রিক দেশে পুরুষদের ছোটবেলা থেকেই শেখানো হয়—কান্না পুরুষের জন্য নয়। ছেলেরা আছাড় খেয়ে পড়ে গেলে ‘এটুকু ব্যাথায় পুরুষ মানুষের কী হয়’, বলে কান্না থামানোর রেওয়াজও বেশ প্রচলিত। ছোটবেলা থেকে এই ধারণা মনে গেঁথে যাওয়ায় পরবর্তী জীবনেও এর প্রভাব থাকে। হয়তো তাই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সংসার চালাতে হিমশিম খাওয়া কর্তাকেও কাঁদতে দেখা যায় না।
বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণায় দেখা যায়, দরিদ্র দেশের তুলনায় ধনী দেশের লোকেদের কান্নার প্রবণতা বেশি। এর পেছনেও আছে জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের ধারণা। ধনী দেশের চেয়ে দরিদ্র দেশের নাগরিকেরা সহজেই মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে বলে এমন হয়।
কান্না কি শেখানোর বিষয়?
২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিবিসি বাংলার এক ভিডিও প্রতিবেদনে দেখানো হয়, প্রথাগতভাবে জাপানিদের কান্না নিষিদ্ধ। ছোটবেলা থেকে তাদের না কাঁদতে শেখানো হয়। এটি হয়তো শ্রেষ্ঠত্বের ধারণারই প্রতীক। কিন্তু দেশটির মনোবিদ ও কান্নার প্রশিক্ষক (ক্রায়িং থেরাপিস্ট) হিদেফুমি ইওশিদা মনে করেন, এটা ঠিক নয়। তাঁর মতে, না কাঁদতে পারাটা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কান্না মানুষকে চাপা যন্ত্রণা থেকে সান্ত্বনা দেয়, মন ভালো করে। মানুষের যত অনুভূতি আছে, তার মধ্যে কান্না আসল সত্তাকে বের করে আনে। তাই মানুষকে কান্না করা শেখাতে সেমিনার করছেন ইওশিদা। গত আট বছরে তাঁর প্রচেষ্টায় প্রায় ৫০ হাজার লোকের চোখে পানি এসেছে। মানুষকে কাঁদাতে তিনি সিনেমা, প্রাকৃতিক দৃশ্য, চিঠি ও বই ব্যবহার করেন।
কান্না পেলে কাঁদুন
আবেগ ও ভালো থাকা নিয়ে গবেষণা করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন নেদারল্যান্ডসের টিলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ভিঞ্জারহয়েটস। তাঁর মতে, সাধারণভাবে অনেক মনোবিদই মনে করেন কান্না দমিয়ে রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তিনি গবেষণা করে দেখেছেন, ‘বেশির ভাগ লোকই মনে করেন কান্না মনকে হালকা করে। তবে কারও কাছে তাঁর সর্বশেষ কান্নার কারণ জানতে চাইলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মন খারাপ হয়ে যায়।’

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৩১ মিনিট আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
৯ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
মেকআপ রিমুভার হিসেবে
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের সুস্থতায়
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
সুগন্ধি দীর্ঘস্থায়ী করতে
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
ভ্রু ঘন করতে
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

হাইলাইটার হিসেবে
মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
মেকআপ রিমুভার হিসেবে
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের সুস্থতায়
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
সুগন্ধি দীর্ঘস্থায়ী করতে
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
ভ্রু ঘন করতে
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

হাইলাইটার হিসেবে
মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

মীম কাঁদছে। এই পৃথিবীতে আপন বলতে আর কেউ না থাকার বেদনায় তার এ কান্না। মাত্রই ২৬টি লাশের সারি থেকে মা-বাবা ও দুই বোনের লাশ শনাক্তের দগদগে ক্ষত তৈরি হয়েছে নয় বছরের এ শিশুর বুকে। ব্যাগ আঁকড়ে ডুবতে ডুবতে নিজে বেঁচে গেলেও সর্বনাশা পদ্মায় তার অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তার এ বেদনা, অশ্রু সবাইকে স্পর্শ করেছে। তার
০৫ মে ২০২১
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
৯ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়। ফলে রং করা চুল অনেকটাই ফ্যাকাশে হয়ে যায়। যাঁরা বাড়িতেই চুল রাঙান তাঁদের রং করার পর চুল ধোয়া থেকে শুরু করে শুকানোর পদ্ধতিতেও কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
সঠিক শ্যাম্পু বাছাই
চুলে রং করার পর প্রথমে কালার প্রোটেকটিভ শ্যাম্পু বাছাই করুন। এই শ্যাম্পুগুলো দীর্ঘদিন চুলে রং বজায় রাখতে সহায়তা করে।
চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পু নয়
চুলে রং করার পর সপ্তাহে দু-তিনবার শ্যাম্পু করুন। তবে রোজ বাইরে গেলে প্রয়োজনে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত তেল ব্যবহার
রং করার পর; বিশেষ করে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেল ম্যাসাজ করে নিন।
স্টাইলিং কম করুন
রং করা চুলে স্ট্রেটনার কিংবা কার্লার যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। কারণ, এর ফলে চুল আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
নিয়ম করে প্যাক মাখুন
পাকা কলা ও মধু পেস্ট করে সপ্তাহে দুদিন চুলে মেখে রাখুন ২০ মিনিট করে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে মসৃণ।
সূত্র: ল’রিয়েল প্যারিস ইউকে ও অন্যান্য

চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়। ফলে রং করা চুল অনেকটাই ফ্যাকাশে হয়ে যায়। যাঁরা বাড়িতেই চুল রাঙান তাঁদের রং করার পর চুল ধোয়া থেকে শুরু করে শুকানোর পদ্ধতিতেও কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
সঠিক শ্যাম্পু বাছাই
চুলে রং করার পর প্রথমে কালার প্রোটেকটিভ শ্যাম্পু বাছাই করুন। এই শ্যাম্পুগুলো দীর্ঘদিন চুলে রং বজায় রাখতে সহায়তা করে।
চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পু নয়
চুলে রং করার পর সপ্তাহে দু-তিনবার শ্যাম্পু করুন। তবে রোজ বাইরে গেলে প্রয়োজনে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত তেল ব্যবহার
রং করার পর; বিশেষ করে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেল ম্যাসাজ করে নিন।
স্টাইলিং কম করুন
রং করা চুলে স্ট্রেটনার কিংবা কার্লার যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। কারণ, এর ফলে চুল আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
নিয়ম করে প্যাক মাখুন
পাকা কলা ও মধু পেস্ট করে সপ্তাহে দুদিন চুলে মেখে রাখুন ২০ মিনিট করে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে মসৃণ।
সূত্র: ল’রিয়েল প্যারিস ইউকে ও অন্যান্য

মীম কাঁদছে। এই পৃথিবীতে আপন বলতে আর কেউ না থাকার বেদনায় তার এ কান্না। মাত্রই ২৬টি লাশের সারি থেকে মা-বাবা ও দুই বোনের লাশ শনাক্তের দগদগে ক্ষত তৈরি হয়েছে নয় বছরের এ শিশুর বুকে। ব্যাগ আঁকড়ে ডুবতে ডুবতে নিজে বেঁচে গেলেও সর্বনাশা পদ্মায় তার অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তার এ বেদনা, অশ্রু সবাইকে স্পর্শ করেছে। তার
০৫ মে ২০২১
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৩১ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
৯ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
২০ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা।
অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
অশ্রু আর্কাইভের এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল কুষ্টিয়ার সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সাইনোটাইপ মাধ্যমে নতুনভাবে উপস্থাপন করা এবং স্থানীয় শিল্পচর্চাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা থেকে আসা বর্তমান, সাবেক শিক্ষার্থীসহ দেশবরেণ্য গুণী শিল্পীরা অংশ নেন।
তিন দিনব্যাপী এই নিবিড় কর্মশালায় মেন্টর ও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন স্টুডিও শব্দর কর্ণধার শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন। অশ্রু আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট শিল্পী ও গবেষক শাওন আকন্দ কর্মশালা কিউরেট করেন।
কর্মশালার প্রথম দিনে সাইনোটাইপ শিল্পের ইতিহাস ও তাত্ত্বিক দিক তুলে ধরা হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নিজেরাই সাইনোটাইপ প্রিন্ট তৈরি করার সুযোগ পান। আলো, কেমিক্যাল ও নকশার সঠিক ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন বলেন, ‘সাইনোটাইপ শুধু একটি বিকল্প ফটোগ্রাফিক প্রক্রিয়া নয়; এটি সময়, স্মৃতি ও স্থানকে ধারণ করার একধরনের নীরব ভাষা।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিল্পী তানজুম নাহার পর্ণা বলেন, ‘তিন দিনব্যাপী কর্মশালাটি আমাদের জন্য শুধু একটি কারিগরি প্রশিক্ষণই ছিল না; বরং এটি ছিল সময়, স্মৃতি এবং স্থানের সঙ্গে এক গভীর শিল্পভাষার সংযোগ। সাইনোটাইপের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ইতিহাস, লোকজ সংস্কৃতি ও সামাজিক বাস্তবতাকে নতুনভাবে অনুধাবন করার সুযোগ পেয়েছি; বিশেষ করে রাসায়নিকের অনুপাত নির্ধারণ, কোটিং, এক্সপোজার, ওয়াশিং, টোনিং ও ড্রয়িং—প্রতিটি ধাপ হাতেকলমে শেখার অভিজ্ঞতা আমাদের অ্যানালগ ফটোগ্রাফির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও গভীর করেছে।’
কিউরেটর শাওন আকন্দ বলেন, কুষ্টিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি এ ধরনের সৃজনশীল এবং ঐতিহ্যবাহী ফটোগ্রাফিক কার্যক্রম নিয়ে ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে কর্মশালা আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
১৮৪২ সালে স্যার জন হার্শেল আবিষ্কৃত সাইনোটাইপ বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও ক্যামেরাবিহীন ফটোগ্রাফিক মুদ্রণ পদ্ধতি। এই প্রক্রিয়ায় অতিবেগুনি রশ্মি বা সূর্যালোকের সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ে গাঢ় নীল রঙের (প্রুশিয়ান ব্লু) নান্দনিক ছাপ তৈরি করা হয়

কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা।
অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
অশ্রু আর্কাইভের এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল কুষ্টিয়ার সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সাইনোটাইপ মাধ্যমে নতুনভাবে উপস্থাপন করা এবং স্থানীয় শিল্পচর্চাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা থেকে আসা বর্তমান, সাবেক শিক্ষার্থীসহ দেশবরেণ্য গুণী শিল্পীরা অংশ নেন।
তিন দিনব্যাপী এই নিবিড় কর্মশালায় মেন্টর ও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন স্টুডিও শব্দর কর্ণধার শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন। অশ্রু আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট শিল্পী ও গবেষক শাওন আকন্দ কর্মশালা কিউরেট করেন।
কর্মশালার প্রথম দিনে সাইনোটাইপ শিল্পের ইতিহাস ও তাত্ত্বিক দিক তুলে ধরা হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নিজেরাই সাইনোটাইপ প্রিন্ট তৈরি করার সুযোগ পান। আলো, কেমিক্যাল ও নকশার সঠিক ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন বলেন, ‘সাইনোটাইপ শুধু একটি বিকল্প ফটোগ্রাফিক প্রক্রিয়া নয়; এটি সময়, স্মৃতি ও স্থানকে ধারণ করার একধরনের নীরব ভাষা।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিল্পী তানজুম নাহার পর্ণা বলেন, ‘তিন দিনব্যাপী কর্মশালাটি আমাদের জন্য শুধু একটি কারিগরি প্রশিক্ষণই ছিল না; বরং এটি ছিল সময়, স্মৃতি এবং স্থানের সঙ্গে এক গভীর শিল্পভাষার সংযোগ। সাইনোটাইপের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ইতিহাস, লোকজ সংস্কৃতি ও সামাজিক বাস্তবতাকে নতুনভাবে অনুধাবন করার সুযোগ পেয়েছি; বিশেষ করে রাসায়নিকের অনুপাত নির্ধারণ, কোটিং, এক্সপোজার, ওয়াশিং, টোনিং ও ড্রয়িং—প্রতিটি ধাপ হাতেকলমে শেখার অভিজ্ঞতা আমাদের অ্যানালগ ফটোগ্রাফির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও গভীর করেছে।’
কিউরেটর শাওন আকন্দ বলেন, কুষ্টিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি এ ধরনের সৃজনশীল এবং ঐতিহ্যবাহী ফটোগ্রাফিক কার্যক্রম নিয়ে ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে কর্মশালা আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
১৮৪২ সালে স্যার জন হার্শেল আবিষ্কৃত সাইনোটাইপ বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও ক্যামেরাবিহীন ফটোগ্রাফিক মুদ্রণ পদ্ধতি। এই প্রক্রিয়ায় অতিবেগুনি রশ্মি বা সূর্যালোকের সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ে গাঢ় নীল রঙের (প্রুশিয়ান ব্লু) নান্দনিক ছাপ তৈরি করা হয়

মীম কাঁদছে। এই পৃথিবীতে আপন বলতে আর কেউ না থাকার বেদনায় তার এ কান্না। মাত্রই ২৬টি লাশের সারি থেকে মা-বাবা ও দুই বোনের লাশ শনাক্তের দগদগে ক্ষত তৈরি হয়েছে নয় বছরের এ শিশুর বুকে। ব্যাগ আঁকড়ে ডুবতে ডুবতে নিজে বেঁচে গেলেও সর্বনাশা পদ্মায় তার অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তার এ বেদনা, অশ্রু সবাইকে স্পর্শ করেছে। তার
০৫ মে ২০২১
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৩১ মিনিট আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
২০ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
নতুন বছরে আপনি কী কী করতে চান, তা এখনই ভেবে ফেলুন। একটু স্থির হয়ে বসে খাতা-কলমে লিখে আপনার নতুন বছরের উদ্দেশ্য স্থির করে নিন। লিখে রাখলে তা বিভিন্নভাবে উদ্দেশ্য পূরণে সহায়তা করবে।
পুরোনো বছরকে সুন্দর করে বিদায় দিতেই হোক বা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে—ঘর সাজান সুন্দর করে। কিছু ওয়ার্ম লাইট ও জানালা বা টেবিলে কিছু গাছ রেখে ঘরে দিন একটু উষ্ণতার ছোঁয়া। সঙ্গে পুরোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস অন্য কাউকে দিয়ে দিন। দেখবেন বাসায় একটা শান্ত ও পরিচ্ছন্ন ভাব আসবে।
পিঠা সংস্কৃতির অংশ। তাই ঐতিহ্য ধরে রাখাতে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে সময় করে একদিন বিভিন্ন রকম পিঠা বানাতে পারেন। বড় আয়োজন নয়, বরং চা-বিস্কুট আর পিঠা নিয়ে একটি ঘরোয়া আড্ডা জমান। পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করুন। দেখবেন, মন থেকে অনেকখানি ভার নেমে গেছে।
ডিসেম্বরের আবহাওয়া বই পড়ার জন্য উপযুক্ত। ছুটির দিনে দুপুরগুলো কাজে লাগান। গায়ে হালকা কাঁথা জড়িয়ে একটা অলস দুপুর বই পড়ে দেখুন। অথবা একটা ভালো উপন্যাস নিয়ে শীতের মিষ্টি রোদে বসে পড়ুন। সঙ্গে রাখুন এক কাপ চা। দেখবেন, খুব ভালো লাগবে।
বছরের এই শেষ সময় এসেও নিজের জন্য সময় বের করুন। নিজের যত্ন নিন, নিজেকে নিজেই কিছু উপহার দিন। দেখবেন নিজেকে মূল্যবান ও যোগ্য মনে হবে। তা ছাড়া কাউকে কিছু উপহার দিতে চাইলেও দিতে পারেন। সেটাও কিন্তু নিজেকে সময় দেওয়ার কাজ করবে।

শীতকালে অনেক জায়গায় পিঠা মেলা বা হস্তশিল্প মেলা বসে। এই মেলাগুলোতে ঘুরে বেড়ান। উৎসবের কেনাকাটায় বড় শপিং মল এড়িয়ে স্থানীয় কারিগরদের কাছ থেকে কিছু কিনুন এবং শীতের খাবার চেখে দেখুন। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন। মনে রাখবেন, উদ্যোক্তাদের সহায়তা না করলে তারা বড় হতে পারবে না। তাদের বড় করতে সহায়তা করাও একটা উদ্যোগ বটে।
শীতকালে অসহায় মানুষদের কষ্ট কমাতে গরম কাপড় ও কম্বল দান করুন। ছোট ছোট কাজ করে অন্যের মুখে হাসি ফোটান; যেমন কাউকে চা বা কফি খাওয়ান, বাসে বয়স্ক কারও জন্য আসন ছেড়ে দিন, কাউকে রাস্তা পার করিয়ে দিন। ছোট একটি মানবিক কাজ আপনার জীবনকে অর্থবহ করে তুলবে।

পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বসে অথবা একা বসে এই বছর কী কী ভালো ও খারাপ হয়েছে, তা নিয়ে ভাবুন। কী কী ভুল করেছেন, সেগুলো ভেবে দেখুন। সামনের বছরগুলোতে এসব ভুল যেন না হয়, সে জন্য সতর্ক হোন। এই বছর যা কিছু ইতিবাচক হয়েছে, সেগুলো একটি ডায়েরিতে লিখে সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানান। কারও সঙ্গে মনোমালিন্য হয়ে থাকলে তা মিটিয়ে নিন। অযথা মনে রাগ পুষে রেখে নিজেকে কষ্ট দেবেন না।
পুরোনো বন্ধুরা আসলে মানুষের ব্রিদিং স্পেস বা নিশ্বাস ফেলার জায়গা। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সবার সঙ্গে সম্ভব না হলেও যাঁদের বা যাঁর সঙ্গে সম্ভব, তাঁদের বা তাঁর সঙ্গে দেখা করে কিছু সময় কাটিয়ে আসুন। মন খুলে হাসুন। স্মৃতিচারণা করুন। অন্তত এক বেলা একসঙ্গে বসে খেয়ে ফেলুন মনের মতো কোনো খাবার। দেখবেন নতুন বছর অন্য রকমভাবে শুরু হবে।
সূত্র: ক্যামিলিস্টাইল ও অন্যান্য

ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
নতুন বছরে আপনি কী কী করতে চান, তা এখনই ভেবে ফেলুন। একটু স্থির হয়ে বসে খাতা-কলমে লিখে আপনার নতুন বছরের উদ্দেশ্য স্থির করে নিন। লিখে রাখলে তা বিভিন্নভাবে উদ্দেশ্য পূরণে সহায়তা করবে।
পুরোনো বছরকে সুন্দর করে বিদায় দিতেই হোক বা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে—ঘর সাজান সুন্দর করে। কিছু ওয়ার্ম লাইট ও জানালা বা টেবিলে কিছু গাছ রেখে ঘরে দিন একটু উষ্ণতার ছোঁয়া। সঙ্গে পুরোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস অন্য কাউকে দিয়ে দিন। দেখবেন বাসায় একটা শান্ত ও পরিচ্ছন্ন ভাব আসবে।
পিঠা সংস্কৃতির অংশ। তাই ঐতিহ্য ধরে রাখাতে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে সময় করে একদিন বিভিন্ন রকম পিঠা বানাতে পারেন। বড় আয়োজন নয়, বরং চা-বিস্কুট আর পিঠা নিয়ে একটি ঘরোয়া আড্ডা জমান। পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করুন। দেখবেন, মন থেকে অনেকখানি ভার নেমে গেছে।
ডিসেম্বরের আবহাওয়া বই পড়ার জন্য উপযুক্ত। ছুটির দিনে দুপুরগুলো কাজে লাগান। গায়ে হালকা কাঁথা জড়িয়ে একটা অলস দুপুর বই পড়ে দেখুন। অথবা একটা ভালো উপন্যাস নিয়ে শীতের মিষ্টি রোদে বসে পড়ুন। সঙ্গে রাখুন এক কাপ চা। দেখবেন, খুব ভালো লাগবে।
বছরের এই শেষ সময় এসেও নিজের জন্য সময় বের করুন। নিজের যত্ন নিন, নিজেকে নিজেই কিছু উপহার দিন। দেখবেন নিজেকে মূল্যবান ও যোগ্য মনে হবে। তা ছাড়া কাউকে কিছু উপহার দিতে চাইলেও দিতে পারেন। সেটাও কিন্তু নিজেকে সময় দেওয়ার কাজ করবে।

শীতকালে অনেক জায়গায় পিঠা মেলা বা হস্তশিল্প মেলা বসে। এই মেলাগুলোতে ঘুরে বেড়ান। উৎসবের কেনাকাটায় বড় শপিং মল এড়িয়ে স্থানীয় কারিগরদের কাছ থেকে কিছু কিনুন এবং শীতের খাবার চেখে দেখুন। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন। মনে রাখবেন, উদ্যোক্তাদের সহায়তা না করলে তারা বড় হতে পারবে না। তাদের বড় করতে সহায়তা করাও একটা উদ্যোগ বটে।
শীতকালে অসহায় মানুষদের কষ্ট কমাতে গরম কাপড় ও কম্বল দান করুন। ছোট ছোট কাজ করে অন্যের মুখে হাসি ফোটান; যেমন কাউকে চা বা কফি খাওয়ান, বাসে বয়স্ক কারও জন্য আসন ছেড়ে দিন, কাউকে রাস্তা পার করিয়ে দিন। ছোট একটি মানবিক কাজ আপনার জীবনকে অর্থবহ করে তুলবে।

পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বসে অথবা একা বসে এই বছর কী কী ভালো ও খারাপ হয়েছে, তা নিয়ে ভাবুন। কী কী ভুল করেছেন, সেগুলো ভেবে দেখুন। সামনের বছরগুলোতে এসব ভুল যেন না হয়, সে জন্য সতর্ক হোন। এই বছর যা কিছু ইতিবাচক হয়েছে, সেগুলো একটি ডায়েরিতে লিখে সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানান। কারও সঙ্গে মনোমালিন্য হয়ে থাকলে তা মিটিয়ে নিন। অযথা মনে রাগ পুষে রেখে নিজেকে কষ্ট দেবেন না।
পুরোনো বন্ধুরা আসলে মানুষের ব্রিদিং স্পেস বা নিশ্বাস ফেলার জায়গা। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সবার সঙ্গে সম্ভব না হলেও যাঁদের বা যাঁর সঙ্গে সম্ভব, তাঁদের বা তাঁর সঙ্গে দেখা করে কিছু সময় কাটিয়ে আসুন। মন খুলে হাসুন। স্মৃতিচারণা করুন। অন্তত এক বেলা একসঙ্গে বসে খেয়ে ফেলুন মনের মতো কোনো খাবার। দেখবেন নতুন বছর অন্য রকমভাবে শুরু হবে।
সূত্র: ক্যামিলিস্টাইল ও অন্যান্য

মীম কাঁদছে। এই পৃথিবীতে আপন বলতে আর কেউ না থাকার বেদনায় তার এ কান্না। মাত্রই ২৬টি লাশের সারি থেকে মা-বাবা ও দুই বোনের লাশ শনাক্তের দগদগে ক্ষত তৈরি হয়েছে নয় বছরের এ শিশুর বুকে। ব্যাগ আঁকড়ে ডুবতে ডুবতে নিজে বেঁচে গেলেও সর্বনাশা পদ্মায় তার অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তার এ বেদনা, অশ্রু সবাইকে স্পর্শ করেছে। তার
০৫ মে ২০২১
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৩১ মিনিট আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
৯ ঘণ্টা আগে