ড. মো. আজহারুল ইসলাম

হঠাৎ একদিন
জুবায়েরের বয়স ৩৫ পেরিয়েছে। সুঠাম দেহ আর চাঙা মনের মানুষ বলে বন্ধুমহলে পরিচিত। একদিন শোয়া থেকে উঠতে গিয়ে জুবায়েরের চারপাশ হঠাৎ অন্ধকার হয়ে এল। টানা দুই দিন একই রকম ঘটনা ঘটল। শোয়া থেকে বসা, বসা থেকে দাঁড়াতে গেলেই মাথা চক্কর দেয়, অন্ধকার দেখেন কিছুক্ষণ। একটু পরে অবশ্য স্বাভাবিক হয়ে যান। তবে ক্লান্তিবোধ থাকে সারা দিন। কী ব্যাপার? দেরি না করে কাছের চিকিৎসকের কাছে গেলেন তিনি। চিকিৎসক রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা করালেন। সব ঠিক আছে, শুধু রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেছে। ওষুধ নয়, খাদ্যাভ্যাস আর জীবনযাপন নিয়ে দিলেন একগাদা পরামর্শ।
জীবনের পড়ন্ত বিকেল
সমস্যা গুরুতর নয়। বয়স বেড়েছে, এটা তারই নিদর্শন। বিভিন্ন চিন্তা জুবায়েরের মাথায় ঘুরতে লাগল। মনে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন। রাত নেই দিন নেই, অবিরাম ছুটে চলেছেন, কোনো সমস্যা হয়নি। এখন এক রাতে ঘুমের ঘাটতি হলে পরের দিনটা ম্যাজমেজে লাগে।
জুবায়েরের এই সময়টাকে মধ্য বয়স বলা যায়। মধ্য বয়স আসলে কোন সময়টা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। দেশ, জাতি ও সংস্কৃতিভেদে মধ্য বয়সের পরিধির পার্থক্য হয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ৩৫ থেকে ৫০ বছরের সীমাকে মধ্য বয়স ধরা যায়। এই বয়সে প্রবেশ করলে মানুষ কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে পারেন, যাকে অনেকেই ‘মধ্য বয়সের সংকট’ নামে চিত্রিত করেন।
লাভ-ক্ষতির হিসাব
জীবনকে কয়েকটা ধাপে ভাগ করলে মধ্য বয়স অন্যতম একটা ধাপ। প্রতিটি ধাপের কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও চাহিদা রয়েছে। একটি ধাপের চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ হলে পরবর্তী ধাপ স্বাচ্ছন্দ্যে কাটে। এই বয়সে একজন ব্যক্তি হঠাৎ আবিষ্কার করেন, তাঁর ওপর পড়েছে গুরুদায়িত্ব। একদিকে তাঁকে ছোটদের লালনপালন করতে হচ্ছে, অন্যদিকে যত্ন নিতে হচ্ছে বয়স্কদের। তাঁর কাঁধে পড়েছে পরিবারের বিশাল অর্থনৈতিক চাপ। এই চাপ সামলাতে সামলাতে ব্যক্তিটি খেয়াল করেন, জীবনের প্রায় অর্ধেকটা চলে গেছে। এত দিন অন্যের ঘাড়ে দায়িত্ব দিয়ে চলা মানুষটি এখন নিজেই অনেকের ভরসার জায়গা। শুরু হয় লাভ-ক্ষতির হিসাব।
আগের মতো নেই
মধ্য বয়সে বাহ্যিক অবয়বের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। তারুণ্যের উচ্ছলতা উবে গিয়ে বয়সের ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নারীদের ক্ষেত্রে মেনোপোজ ঘটে। নারী-পুরুষ উভয়ের শরীরে দেখা যায় নানা অসুখ। অন্যকে সহজে আকৃষ্ট করতে পারার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় মনের ভেতরে জ্বলে আগুন। অনেকেই এ সময়ে কাছের মানুষকে নিয়ে দ্বিধায় পড়েন। মানুষটা কি আসলেই ভালোবাসে, নাকি শুধু অভিনয় করেই গেল! কেউ কেউ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন।
সমস্যা কেন হয়
মধ্য বয়সে যদি জীবনের লক্ষ্য, ক্যারিয়ারের লক্ষ্য অস্বচ্ছ থাকে, প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে বিরাট ফারাক দেখা দেয়, দাম্পত্য বা রোমান্টিক সম্পর্ক নাজুক থাকে, আধ্যাত্মিক চেতনা পরিষ্কার না হয়, তাহলে একজন ব্যক্তির এ রকম মানসিক সংকটে ভোগার আশঙ্কা বেশি থাকে।
সমস্যার প্রকাশ যেভাবে
এই সংকটে পড়লে অনেকের মন ভার হয়ে যায়, মেজাজ খিটখিটে হতে পারে। কোনো কাজেই আনন্দ বা উদ্যম থাকে না। জীবনকে উদ্দেশ্যহীন মনে হয়। মৃত্যুচিন্তা আসতে পারে। জীবন, সংসার, কাজ নিয়ে বিরক্তিবোধ দেখা দিতে পারে। যৌন আগ্রহ কমে যেতে পারে। এসব উপসর্গের সঙ্গে বিষণ্নতার উপসর্গের অনেক মিল থাকলেও এগুলোকে সাধারণত মধ্য বয়সের উপসর্গ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। অন্যদিকে, যেকোনো বয়সের যে কেউ বিষণ্নতায় ভুগতে পারেন।
কী করবেন
আপনার শারীরিক পরিবর্তনগুলো সাধারণত বিকাশজনিত। আর সামাজিক পরিবর্তনগুলো হয় সাংস্কৃতিক কারণে। কমবেশি প্রত্যেক মানুষ এসবের মধ্য দিয়ে যায়। বিরক্ত বা হতাশ না হয়ে মনোযোগী হোন। পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে খেয়াল করুন। কোন কোন জায়গায় ঠিক কী কী ভিন্নতা লক্ষ করছেন? এই ভিন্নতার ফলে আপনি কেমন বোধ করছেন?
যেহেতু শারীরিক পরিবর্তনগুলো প্রাকৃতিক, বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই সেগুলোকে এড়িয়ে চলার সুযোগ নেই। এই অবধারিত অবস্থাকে ঘৃণা না করে আলিঙ্গন করাই বুদ্ধিমানের কাজ। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ভাবা শুরু করলে, নিজের সঙ্গে নিজের একটা স্বস্তির সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে নতুন অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুন্দর উপায় আপনি নিজেই বের করতে পারবেন।
সম্পর্কগুলোর যত্ন নিতে ভুলবেন না। সম্পর্ক মানুষের তৈরি, তার যত্নের দরকার আছে। এতে প্রয়োজন হতে পারে সংযোজন কিংবা বিয়োজনের। একসময়ের বন্ধুর দেখা হয়তো এখন না-ও পেতে পারেন, নতুন কারও সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়াতে অসুবিধা নেই। সম্পর্ক শক্তির উৎস, আবার কষ্টেরও উৎস। খেয়াল করুন, অযত্ন অথবা অবহেলায় আপনার সম্পর্কগুলো আপনাকে শক্তি না দিয়ে কষ্ট দিচ্ছে কি না।
আধ্যাত্মিকতা নিয়ে স্বচ্ছ থাকা খুবই জরুরি। আধ্যাত্মিকতা অনুধাবনের বিষয়, শেখানোর কিছু নেই। নিজেকে সময় দিন। যত দ্রুত এ বিষয়ে স্বচ্ছতায় পৌঁছাতে পারবেন, ততই মঙ্গল। বস্তুগত জিনিসের পেছনে ছুটতে গিয়ে জীবনে যেন চরম মূল্য দিতে না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি থাকা ভালো।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং, সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

হঠাৎ একদিন
জুবায়েরের বয়স ৩৫ পেরিয়েছে। সুঠাম দেহ আর চাঙা মনের মানুষ বলে বন্ধুমহলে পরিচিত। একদিন শোয়া থেকে উঠতে গিয়ে জুবায়েরের চারপাশ হঠাৎ অন্ধকার হয়ে এল। টানা দুই দিন একই রকম ঘটনা ঘটল। শোয়া থেকে বসা, বসা থেকে দাঁড়াতে গেলেই মাথা চক্কর দেয়, অন্ধকার দেখেন কিছুক্ষণ। একটু পরে অবশ্য স্বাভাবিক হয়ে যান। তবে ক্লান্তিবোধ থাকে সারা দিন। কী ব্যাপার? দেরি না করে কাছের চিকিৎসকের কাছে গেলেন তিনি। চিকিৎসক রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা করালেন। সব ঠিক আছে, শুধু রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেছে। ওষুধ নয়, খাদ্যাভ্যাস আর জীবনযাপন নিয়ে দিলেন একগাদা পরামর্শ।
জীবনের পড়ন্ত বিকেল
সমস্যা গুরুতর নয়। বয়স বেড়েছে, এটা তারই নিদর্শন। বিভিন্ন চিন্তা জুবায়েরের মাথায় ঘুরতে লাগল। মনে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন। রাত নেই দিন নেই, অবিরাম ছুটে চলেছেন, কোনো সমস্যা হয়নি। এখন এক রাতে ঘুমের ঘাটতি হলে পরের দিনটা ম্যাজমেজে লাগে।
জুবায়েরের এই সময়টাকে মধ্য বয়স বলা যায়। মধ্য বয়স আসলে কোন সময়টা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। দেশ, জাতি ও সংস্কৃতিভেদে মধ্য বয়সের পরিধির পার্থক্য হয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ৩৫ থেকে ৫০ বছরের সীমাকে মধ্য বয়স ধরা যায়। এই বয়সে প্রবেশ করলে মানুষ কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে পারেন, যাকে অনেকেই ‘মধ্য বয়সের সংকট’ নামে চিত্রিত করেন।
লাভ-ক্ষতির হিসাব
জীবনকে কয়েকটা ধাপে ভাগ করলে মধ্য বয়স অন্যতম একটা ধাপ। প্রতিটি ধাপের কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও চাহিদা রয়েছে। একটি ধাপের চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ হলে পরবর্তী ধাপ স্বাচ্ছন্দ্যে কাটে। এই বয়সে একজন ব্যক্তি হঠাৎ আবিষ্কার করেন, তাঁর ওপর পড়েছে গুরুদায়িত্ব। একদিকে তাঁকে ছোটদের লালনপালন করতে হচ্ছে, অন্যদিকে যত্ন নিতে হচ্ছে বয়স্কদের। তাঁর কাঁধে পড়েছে পরিবারের বিশাল অর্থনৈতিক চাপ। এই চাপ সামলাতে সামলাতে ব্যক্তিটি খেয়াল করেন, জীবনের প্রায় অর্ধেকটা চলে গেছে। এত দিন অন্যের ঘাড়ে দায়িত্ব দিয়ে চলা মানুষটি এখন নিজেই অনেকের ভরসার জায়গা। শুরু হয় লাভ-ক্ষতির হিসাব।
আগের মতো নেই
মধ্য বয়সে বাহ্যিক অবয়বের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। তারুণ্যের উচ্ছলতা উবে গিয়ে বয়সের ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নারীদের ক্ষেত্রে মেনোপোজ ঘটে। নারী-পুরুষ উভয়ের শরীরে দেখা যায় নানা অসুখ। অন্যকে সহজে আকৃষ্ট করতে পারার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় মনের ভেতরে জ্বলে আগুন। অনেকেই এ সময়ে কাছের মানুষকে নিয়ে দ্বিধায় পড়েন। মানুষটা কি আসলেই ভালোবাসে, নাকি শুধু অভিনয় করেই গেল! কেউ কেউ বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন।
সমস্যা কেন হয়
মধ্য বয়সে যদি জীবনের লক্ষ্য, ক্যারিয়ারের লক্ষ্য অস্বচ্ছ থাকে, প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে বিরাট ফারাক দেখা দেয়, দাম্পত্য বা রোমান্টিক সম্পর্ক নাজুক থাকে, আধ্যাত্মিক চেতনা পরিষ্কার না হয়, তাহলে একজন ব্যক্তির এ রকম মানসিক সংকটে ভোগার আশঙ্কা বেশি থাকে।
সমস্যার প্রকাশ যেভাবে
এই সংকটে পড়লে অনেকের মন ভার হয়ে যায়, মেজাজ খিটখিটে হতে পারে। কোনো কাজেই আনন্দ বা উদ্যম থাকে না। জীবনকে উদ্দেশ্যহীন মনে হয়। মৃত্যুচিন্তা আসতে পারে। জীবন, সংসার, কাজ নিয়ে বিরক্তিবোধ দেখা দিতে পারে। যৌন আগ্রহ কমে যেতে পারে। এসব উপসর্গের সঙ্গে বিষণ্নতার উপসর্গের অনেক মিল থাকলেও এগুলোকে সাধারণত মধ্য বয়সের উপসর্গ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। অন্যদিকে, যেকোনো বয়সের যে কেউ বিষণ্নতায় ভুগতে পারেন।
কী করবেন
আপনার শারীরিক পরিবর্তনগুলো সাধারণত বিকাশজনিত। আর সামাজিক পরিবর্তনগুলো হয় সাংস্কৃতিক কারণে। কমবেশি প্রত্যেক মানুষ এসবের মধ্য দিয়ে যায়। বিরক্ত বা হতাশ না হয়ে মনোযোগী হোন। পরিবর্তনগুলো নিবিড়ভাবে খেয়াল করুন। কোন কোন জায়গায় ঠিক কী কী ভিন্নতা লক্ষ করছেন? এই ভিন্নতার ফলে আপনি কেমন বোধ করছেন?
যেহেতু শারীরিক পরিবর্তনগুলো প্রাকৃতিক, বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই সেগুলোকে এড়িয়ে চলার সুযোগ নেই। এই অবধারিত অবস্থাকে ঘৃণা না করে আলিঙ্গন করাই বুদ্ধিমানের কাজ। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ভাবা শুরু করলে, নিজের সঙ্গে নিজের একটা স্বস্তির সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে নতুন অবস্থার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুন্দর উপায় আপনি নিজেই বের করতে পারবেন।
সম্পর্কগুলোর যত্ন নিতে ভুলবেন না। সম্পর্ক মানুষের তৈরি, তার যত্নের দরকার আছে। এতে প্রয়োজন হতে পারে সংযোজন কিংবা বিয়োজনের। একসময়ের বন্ধুর দেখা হয়তো এখন না-ও পেতে পারেন, নতুন কারও সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়াতে অসুবিধা নেই। সম্পর্ক শক্তির উৎস, আবার কষ্টেরও উৎস। খেয়াল করুন, অযত্ন অথবা অবহেলায় আপনার সম্পর্কগুলো আপনাকে শক্তি না দিয়ে কষ্ট দিচ্ছে কি না।
আধ্যাত্মিকতা নিয়ে স্বচ্ছ থাকা খুবই জরুরি। আধ্যাত্মিকতা অনুধাবনের বিষয়, শেখানোর কিছু নেই। নিজেকে সময় দিন। যত দ্রুত এ বিষয়ে স্বচ্ছতায় পৌঁছাতে পারবেন, ততই মঙ্গল। বস্তুগত জিনিসের পেছনে ছুটতে গিয়ে জীবনে যেন চরম মূল্য দিতে না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি থাকা ভালো।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং, সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৩৫ মিনিট আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
৯ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
মেকআপ রিমুভার হিসেবে
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের সুস্থতায়
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
সুগন্ধি দীর্ঘস্থায়ী করতে
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
ভ্রু ঘন করতে
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

হাইলাইটার হিসেবে
মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
মেকআপ রিমুভার হিসেবে
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের সুস্থতায়
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
সুগন্ধি দীর্ঘস্থায়ী করতে
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
ভ্রু ঘন করতে
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

হাইলাইটার হিসেবে
মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

সমস্যা গুরুতর নয়। বয়স বেড়েছে, এটা তারই নিদর্শন। বিভিন্ন চিন্তা জুবায়েরের মাথায় ঘুরতে লাগল। মনে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন। রাত নেই দিন নেই, অবিরাম ছুটে চলেছেন, কোনো সমস্যা হয়নি। এখন এক রাতে ঘুমের ঘাটতি হলে পরের দিনটা ম্যাজমেজে লাগে।
০২ জানুয়ারি ২০২২
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
৯ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়। ফলে রং করা চুল অনেকটাই ফ্যাকাশে হয়ে যায়। যাঁরা বাড়িতেই চুল রাঙান তাঁদের রং করার পর চুল ধোয়া থেকে শুরু করে শুকানোর পদ্ধতিতেও কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
সঠিক শ্যাম্পু বাছাই
চুলে রং করার পর প্রথমে কালার প্রোটেকটিভ শ্যাম্পু বাছাই করুন। এই শ্যাম্পুগুলো দীর্ঘদিন চুলে রং বজায় রাখতে সহায়তা করে।
চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পু নয়
চুলে রং করার পর সপ্তাহে দু-তিনবার শ্যাম্পু করুন। তবে রোজ বাইরে গেলে প্রয়োজনে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত তেল ব্যবহার
রং করার পর; বিশেষ করে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেল ম্যাসাজ করে নিন।
স্টাইলিং কম করুন
রং করা চুলে স্ট্রেটনার কিংবা কার্লার যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। কারণ, এর ফলে চুল আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
নিয়ম করে প্যাক মাখুন
পাকা কলা ও মধু পেস্ট করে সপ্তাহে দুদিন চুলে মেখে রাখুন ২০ মিনিট করে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে মসৃণ।
সূত্র: ল’রিয়েল প্যারিস ইউকে ও অন্যান্য

চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়। ফলে রং করা চুল অনেকটাই ফ্যাকাশে হয়ে যায়। যাঁরা বাড়িতেই চুল রাঙান তাঁদের রং করার পর চুল ধোয়া থেকে শুরু করে শুকানোর পদ্ধতিতেও কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
সঠিক শ্যাম্পু বাছাই
চুলে রং করার পর প্রথমে কালার প্রোটেকটিভ শ্যাম্পু বাছাই করুন। এই শ্যাম্পুগুলো দীর্ঘদিন চুলে রং বজায় রাখতে সহায়তা করে।
চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পু নয়
চুলে রং করার পর সপ্তাহে দু-তিনবার শ্যাম্পু করুন। তবে রোজ বাইরে গেলে প্রয়োজনে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত তেল ব্যবহার
রং করার পর; বিশেষ করে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেল ম্যাসাজ করে নিন।
স্টাইলিং কম করুন
রং করা চুলে স্ট্রেটনার কিংবা কার্লার যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। কারণ, এর ফলে চুল আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
নিয়ম করে প্যাক মাখুন
পাকা কলা ও মধু পেস্ট করে সপ্তাহে দুদিন চুলে মেখে রাখুন ২০ মিনিট করে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে মসৃণ।
সূত্র: ল’রিয়েল প্যারিস ইউকে ও অন্যান্য

সমস্যা গুরুতর নয়। বয়স বেড়েছে, এটা তারই নিদর্শন। বিভিন্ন চিন্তা জুবায়েরের মাথায় ঘুরতে লাগল। মনে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন। রাত নেই দিন নেই, অবিরাম ছুটে চলেছেন, কোনো সমস্যা হয়নি। এখন এক রাতে ঘুমের ঘাটতি হলে পরের দিনটা ম্যাজমেজে লাগে।
০২ জানুয়ারি ২০২২
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৩৫ মিনিট আগে
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
৯ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
২০ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা।
অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
অশ্রু আর্কাইভের এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল কুষ্টিয়ার সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সাইনোটাইপ মাধ্যমে নতুনভাবে উপস্থাপন করা এবং স্থানীয় শিল্পচর্চাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা থেকে আসা বর্তমান, সাবেক শিক্ষার্থীসহ দেশবরেণ্য গুণী শিল্পীরা অংশ নেন।
তিন দিনব্যাপী এই নিবিড় কর্মশালায় মেন্টর ও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন স্টুডিও শব্দর কর্ণধার শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন। অশ্রু আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট শিল্পী ও গবেষক শাওন আকন্দ কর্মশালা কিউরেট করেন।
কর্মশালার প্রথম দিনে সাইনোটাইপ শিল্পের ইতিহাস ও তাত্ত্বিক দিক তুলে ধরা হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নিজেরাই সাইনোটাইপ প্রিন্ট তৈরি করার সুযোগ পান। আলো, কেমিক্যাল ও নকশার সঠিক ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন বলেন, ‘সাইনোটাইপ শুধু একটি বিকল্প ফটোগ্রাফিক প্রক্রিয়া নয়; এটি সময়, স্মৃতি ও স্থানকে ধারণ করার একধরনের নীরব ভাষা।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিল্পী তানজুম নাহার পর্ণা বলেন, ‘তিন দিনব্যাপী কর্মশালাটি আমাদের জন্য শুধু একটি কারিগরি প্রশিক্ষণই ছিল না; বরং এটি ছিল সময়, স্মৃতি এবং স্থানের সঙ্গে এক গভীর শিল্পভাষার সংযোগ। সাইনোটাইপের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ইতিহাস, লোকজ সংস্কৃতি ও সামাজিক বাস্তবতাকে নতুনভাবে অনুধাবন করার সুযোগ পেয়েছি; বিশেষ করে রাসায়নিকের অনুপাত নির্ধারণ, কোটিং, এক্সপোজার, ওয়াশিং, টোনিং ও ড্রয়িং—প্রতিটি ধাপ হাতেকলমে শেখার অভিজ্ঞতা আমাদের অ্যানালগ ফটোগ্রাফির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও গভীর করেছে।’
কিউরেটর শাওন আকন্দ বলেন, কুষ্টিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি এ ধরনের সৃজনশীল এবং ঐতিহ্যবাহী ফটোগ্রাফিক কার্যক্রম নিয়ে ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে কর্মশালা আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
১৮৪২ সালে স্যার জন হার্শেল আবিষ্কৃত সাইনোটাইপ বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও ক্যামেরাবিহীন ফটোগ্রাফিক মুদ্রণ পদ্ধতি। এই প্রক্রিয়ায় অতিবেগুনি রশ্মি বা সূর্যালোকের সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ে গাঢ় নীল রঙের (প্রুশিয়ান ব্লু) নান্দনিক ছাপ তৈরি করা হয়

কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা।
অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
অশ্রু আর্কাইভের এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল কুষ্টিয়ার সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সাইনোটাইপ মাধ্যমে নতুনভাবে উপস্থাপন করা এবং স্থানীয় শিল্পচর্চাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা থেকে আসা বর্তমান, সাবেক শিক্ষার্থীসহ দেশবরেণ্য গুণী শিল্পীরা অংশ নেন।
তিন দিনব্যাপী এই নিবিড় কর্মশালায় মেন্টর ও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন স্টুডিও শব্দর কর্ণধার শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন। অশ্রু আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট শিল্পী ও গবেষক শাওন আকন্দ কর্মশালা কিউরেট করেন।
কর্মশালার প্রথম দিনে সাইনোটাইপ শিল্পের ইতিহাস ও তাত্ত্বিক দিক তুলে ধরা হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নিজেরাই সাইনোটাইপ প্রিন্ট তৈরি করার সুযোগ পান। আলো, কেমিক্যাল ও নকশার সঠিক ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন বলেন, ‘সাইনোটাইপ শুধু একটি বিকল্প ফটোগ্রাফিক প্রক্রিয়া নয়; এটি সময়, স্মৃতি ও স্থানকে ধারণ করার একধরনের নীরব ভাষা।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিল্পী তানজুম নাহার পর্ণা বলেন, ‘তিন দিনব্যাপী কর্মশালাটি আমাদের জন্য শুধু একটি কারিগরি প্রশিক্ষণই ছিল না; বরং এটি ছিল সময়, স্মৃতি এবং স্থানের সঙ্গে এক গভীর শিল্পভাষার সংযোগ। সাইনোটাইপের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ইতিহাস, লোকজ সংস্কৃতি ও সামাজিক বাস্তবতাকে নতুনভাবে অনুধাবন করার সুযোগ পেয়েছি; বিশেষ করে রাসায়নিকের অনুপাত নির্ধারণ, কোটিং, এক্সপোজার, ওয়াশিং, টোনিং ও ড্রয়িং—প্রতিটি ধাপ হাতেকলমে শেখার অভিজ্ঞতা আমাদের অ্যানালগ ফটোগ্রাফির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও গভীর করেছে।’
কিউরেটর শাওন আকন্দ বলেন, কুষ্টিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি এ ধরনের সৃজনশীল এবং ঐতিহ্যবাহী ফটোগ্রাফিক কার্যক্রম নিয়ে ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে কর্মশালা আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
১৮৪২ সালে স্যার জন হার্শেল আবিষ্কৃত সাইনোটাইপ বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও ক্যামেরাবিহীন ফটোগ্রাফিক মুদ্রণ পদ্ধতি। এই প্রক্রিয়ায় অতিবেগুনি রশ্মি বা সূর্যালোকের সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ে গাঢ় নীল রঙের (প্রুশিয়ান ব্লু) নান্দনিক ছাপ তৈরি করা হয়

সমস্যা গুরুতর নয়। বয়স বেড়েছে, এটা তারই নিদর্শন। বিভিন্ন চিন্তা জুবায়েরের মাথায় ঘুরতে লাগল। মনে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন। রাত নেই দিন নেই, অবিরাম ছুটে চলেছেন, কোনো সমস্যা হয়নি। এখন এক রাতে ঘুমের ঘাটতি হলে পরের দিনটা ম্যাজমেজে লাগে।
০২ জানুয়ারি ২০২২
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৩৫ মিনিট আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
২০ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
নতুন বছরে আপনি কী কী করতে চান, তা এখনই ভেবে ফেলুন। একটু স্থির হয়ে বসে খাতা-কলমে লিখে আপনার নতুন বছরের উদ্দেশ্য স্থির করে নিন। লিখে রাখলে তা বিভিন্নভাবে উদ্দেশ্য পূরণে সহায়তা করবে।
পুরোনো বছরকে সুন্দর করে বিদায় দিতেই হোক বা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে—ঘর সাজান সুন্দর করে। কিছু ওয়ার্ম লাইট ও জানালা বা টেবিলে কিছু গাছ রেখে ঘরে দিন একটু উষ্ণতার ছোঁয়া। সঙ্গে পুরোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস অন্য কাউকে দিয়ে দিন। দেখবেন বাসায় একটা শান্ত ও পরিচ্ছন্ন ভাব আসবে।
পিঠা সংস্কৃতির অংশ। তাই ঐতিহ্য ধরে রাখাতে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে সময় করে একদিন বিভিন্ন রকম পিঠা বানাতে পারেন। বড় আয়োজন নয়, বরং চা-বিস্কুট আর পিঠা নিয়ে একটি ঘরোয়া আড্ডা জমান। পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করুন। দেখবেন, মন থেকে অনেকখানি ভার নেমে গেছে।
ডিসেম্বরের আবহাওয়া বই পড়ার জন্য উপযুক্ত। ছুটির দিনে দুপুরগুলো কাজে লাগান। গায়ে হালকা কাঁথা জড়িয়ে একটা অলস দুপুর বই পড়ে দেখুন। অথবা একটা ভালো উপন্যাস নিয়ে শীতের মিষ্টি রোদে বসে পড়ুন। সঙ্গে রাখুন এক কাপ চা। দেখবেন, খুব ভালো লাগবে।
বছরের এই শেষ সময় এসেও নিজের জন্য সময় বের করুন। নিজের যত্ন নিন, নিজেকে নিজেই কিছু উপহার দিন। দেখবেন নিজেকে মূল্যবান ও যোগ্য মনে হবে। তা ছাড়া কাউকে কিছু উপহার দিতে চাইলেও দিতে পারেন। সেটাও কিন্তু নিজেকে সময় দেওয়ার কাজ করবে।

শীতকালে অনেক জায়গায় পিঠা মেলা বা হস্তশিল্প মেলা বসে। এই মেলাগুলোতে ঘুরে বেড়ান। উৎসবের কেনাকাটায় বড় শপিং মল এড়িয়ে স্থানীয় কারিগরদের কাছ থেকে কিছু কিনুন এবং শীতের খাবার চেখে দেখুন। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন। মনে রাখবেন, উদ্যোক্তাদের সহায়তা না করলে তারা বড় হতে পারবে না। তাদের বড় করতে সহায়তা করাও একটা উদ্যোগ বটে।
শীতকালে অসহায় মানুষদের কষ্ট কমাতে গরম কাপড় ও কম্বল দান করুন। ছোট ছোট কাজ করে অন্যের মুখে হাসি ফোটান; যেমন কাউকে চা বা কফি খাওয়ান, বাসে বয়স্ক কারও জন্য আসন ছেড়ে দিন, কাউকে রাস্তা পার করিয়ে দিন। ছোট একটি মানবিক কাজ আপনার জীবনকে অর্থবহ করে তুলবে।

পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বসে অথবা একা বসে এই বছর কী কী ভালো ও খারাপ হয়েছে, তা নিয়ে ভাবুন। কী কী ভুল করেছেন, সেগুলো ভেবে দেখুন। সামনের বছরগুলোতে এসব ভুল যেন না হয়, সে জন্য সতর্ক হোন। এই বছর যা কিছু ইতিবাচক হয়েছে, সেগুলো একটি ডায়েরিতে লিখে সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানান। কারও সঙ্গে মনোমালিন্য হয়ে থাকলে তা মিটিয়ে নিন। অযথা মনে রাগ পুষে রেখে নিজেকে কষ্ট দেবেন না।
পুরোনো বন্ধুরা আসলে মানুষের ব্রিদিং স্পেস বা নিশ্বাস ফেলার জায়গা। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সবার সঙ্গে সম্ভব না হলেও যাঁদের বা যাঁর সঙ্গে সম্ভব, তাঁদের বা তাঁর সঙ্গে দেখা করে কিছু সময় কাটিয়ে আসুন। মন খুলে হাসুন। স্মৃতিচারণা করুন। অন্তত এক বেলা একসঙ্গে বসে খেয়ে ফেলুন মনের মতো কোনো খাবার। দেখবেন নতুন বছর অন্য রকমভাবে শুরু হবে।
সূত্র: ক্যামিলিস্টাইল ও অন্যান্য

ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।
নতুন বছরে আপনি কী কী করতে চান, তা এখনই ভেবে ফেলুন। একটু স্থির হয়ে বসে খাতা-কলমে লিখে আপনার নতুন বছরের উদ্দেশ্য স্থির করে নিন। লিখে রাখলে তা বিভিন্নভাবে উদ্দেশ্য পূরণে সহায়তা করবে।
পুরোনো বছরকে সুন্দর করে বিদায় দিতেই হোক বা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে—ঘর সাজান সুন্দর করে। কিছু ওয়ার্ম লাইট ও জানালা বা টেবিলে কিছু গাছ রেখে ঘরে দিন একটু উষ্ণতার ছোঁয়া। সঙ্গে পুরোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস অন্য কাউকে দিয়ে দিন। দেখবেন বাসায় একটা শান্ত ও পরিচ্ছন্ন ভাব আসবে।
পিঠা সংস্কৃতির অংশ। তাই ঐতিহ্য ধরে রাখাতে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে সময় করে একদিন বিভিন্ন রকম পিঠা বানাতে পারেন। বড় আয়োজন নয়, বরং চা-বিস্কুট আর পিঠা নিয়ে একটি ঘরোয়া আড্ডা জমান। পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করুন। দেখবেন, মন থেকে অনেকখানি ভার নেমে গেছে।
ডিসেম্বরের আবহাওয়া বই পড়ার জন্য উপযুক্ত। ছুটির দিনে দুপুরগুলো কাজে লাগান। গায়ে হালকা কাঁথা জড়িয়ে একটা অলস দুপুর বই পড়ে দেখুন। অথবা একটা ভালো উপন্যাস নিয়ে শীতের মিষ্টি রোদে বসে পড়ুন। সঙ্গে রাখুন এক কাপ চা। দেখবেন, খুব ভালো লাগবে।
বছরের এই শেষ সময় এসেও নিজের জন্য সময় বের করুন। নিজের যত্ন নিন, নিজেকে নিজেই কিছু উপহার দিন। দেখবেন নিজেকে মূল্যবান ও যোগ্য মনে হবে। তা ছাড়া কাউকে কিছু উপহার দিতে চাইলেও দিতে পারেন। সেটাও কিন্তু নিজেকে সময় দেওয়ার কাজ করবে।

শীতকালে অনেক জায়গায় পিঠা মেলা বা হস্তশিল্প মেলা বসে। এই মেলাগুলোতে ঘুরে বেড়ান। উৎসবের কেনাকাটায় বড় শপিং মল এড়িয়ে স্থানীয় কারিগরদের কাছ থেকে কিছু কিনুন এবং শীতের খাবার চেখে দেখুন। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন। মনে রাখবেন, উদ্যোক্তাদের সহায়তা না করলে তারা বড় হতে পারবে না। তাদের বড় করতে সহায়তা করাও একটা উদ্যোগ বটে।
শীতকালে অসহায় মানুষদের কষ্ট কমাতে গরম কাপড় ও কম্বল দান করুন। ছোট ছোট কাজ করে অন্যের মুখে হাসি ফোটান; যেমন কাউকে চা বা কফি খাওয়ান, বাসে বয়স্ক কারও জন্য আসন ছেড়ে দিন, কাউকে রাস্তা পার করিয়ে দিন। ছোট একটি মানবিক কাজ আপনার জীবনকে অর্থবহ করে তুলবে।

পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বসে অথবা একা বসে এই বছর কী কী ভালো ও খারাপ হয়েছে, তা নিয়ে ভাবুন। কী কী ভুল করেছেন, সেগুলো ভেবে দেখুন। সামনের বছরগুলোতে এসব ভুল যেন না হয়, সে জন্য সতর্ক হোন। এই বছর যা কিছু ইতিবাচক হয়েছে, সেগুলো একটি ডায়েরিতে লিখে সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানান। কারও সঙ্গে মনোমালিন্য হয়ে থাকলে তা মিটিয়ে নিন। অযথা মনে রাগ পুষে রেখে নিজেকে কষ্ট দেবেন না।
পুরোনো বন্ধুরা আসলে মানুষের ব্রিদিং স্পেস বা নিশ্বাস ফেলার জায়গা। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সবার সঙ্গে সম্ভব না হলেও যাঁদের বা যাঁর সঙ্গে সম্ভব, তাঁদের বা তাঁর সঙ্গে দেখা করে কিছু সময় কাটিয়ে আসুন। মন খুলে হাসুন। স্মৃতিচারণা করুন। অন্তত এক বেলা একসঙ্গে বসে খেয়ে ফেলুন মনের মতো কোনো খাবার। দেখবেন নতুন বছর অন্য রকমভাবে শুরু হবে।
সূত্র: ক্যামিলিস্টাইল ও অন্যান্য

সমস্যা গুরুতর নয়। বয়স বেড়েছে, এটা তারই নিদর্শন। বিভিন্ন চিন্তা জুবায়েরের মাথায় ঘুরতে লাগল। মনে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবন। রাত নেই দিন নেই, অবিরাম ছুটে চলেছেন, কোনো সমস্যা হয়নি। এখন এক রাতে ঘুমের ঘাটতি হলে পরের দিনটা ম্যাজমেজে লাগে।
০২ জানুয়ারি ২০২২
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
৩৫ মিনিট আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা। অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল তিন দিনব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন।
৯ ঘণ্টা আগে