Ajker Patrika

হাতি আর কবুতরের প্রেম

জাহীদ রেজা নূর
আপডেট : ২১ জুলাই ২০২১, ১৮: ১১
হাতি আর কবুতরের প্রেম

কনের মা–বাবা এই জুটির নাম দিয়েছিলেন ‘হাতি আর কবুতর’। দেবেন না কেন, বর তো ছিল কনের চেয়ে ২১ বছরের বড়। ১০০ কিলোগ্রামের চেয়েও বেশি ছিল তাঁর ওজন। উচ্চতাও ছিল দেখার মতো।

তবে এ কথা সবাই স্বীকার করতেন যে, দিয়েগো রিভেরার ছিল এক রসিক মন, জীবনের আনন্দের প্রতি ছিল অপরিসীম আনুগত্য, আর হৃদয়টা ছিল খুবই স্পর্শকাতর আর কোমল।

১৯২২ সালেই মেক্সিকোর কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হয়েছিলেন তিনি। ১৯২৭–২৮ সালে গিয়েছিলেন সোভিয়েত ইউনিয়নে, তার কিছুদিন আগে নিজ বাড়িতে আতিথ্য দান করেছিলেন সোভিয়েত কবি মায়াকোভ্স্কিকে। তিনি বিয়ে করেছিলেন ফ্রিদা কাহলোকে। ফ্রিদা তখনো খ্যাতি পাননি।

ফ্রিদার বাবা গুয়েরমো কাহলো ছিলেন হাঙ্গেরি থেকে আসা এক ইহুদি। ছবি তোলাই ছিল তাঁর পেশা। মা ছিলেন অসাধারণ সুন্দরী মাতিলদা কালদেরন। দুই সন্তান ছিল তাঁদের সংসারে। বড়টিই ফ্রিদা। ফ্রিদার চেহারার সঙ্গে তাঁর মায়ের চেহারার ছিল অদ্ভুত মিল। বাবাও মেয়েটাকে ভালোবাসত হৃদয় দিয়ে। বুদ্ধিমতী ছিল মেয়েটি। স্কুলে মেয়েটা ছুটে বেড়াত, যেন এক রঙিন প্রজাপতি। যারা জানত, ছ’বছর বয়সে মেয়েটা পোলিও–আক্রান্ত হয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে, তারা ওর এই চঞ্চল চলাচলে অবাক হতো।

ফ্রিদার এই নান্দনিক ওড়াউড়ি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, যখন তাঁর বয়স সতেরো। যে বাসে করে ফ্রিদা যাচ্ছিল, তা অকস্মাৎ দুর্ঘটনায় পড়ে। একটি ট্রামের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। গুরুতর আহত হন ফ্রিদা। সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। কয়েক বছর ধরে চলে চিকিৎসা। তাঁর জীবনের আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তীব্র ব্যথায় মানসিকভাবে নিঃস্ব হয়ে যেতে থাকেন ফ্রিদা। মোট ৩৩টি অস্ত্রোপচার হয় তাঁর শরীরে। বলা হয়ে থাকে, নিশ্বাস নেওয়া ছাড়া তাঁর শরীরের কোনো অস্তিত্বই ছিল না। এ সময়টি নিয়ে ফ্রিদা তাঁর মাকে বলেছিলেন পরে, ‘শুধু ছবি আঁকতাম বলেই সে সময় বেঁচে ছিলাম।’

ফ্রিদা কাহলোর আঁকা ছবি ‘হেনরি ফোর্ড হাসপাতাল, উড়ন্ত বিছানা’ছবি আঁকার ঘটনাই ফ্রিদা আর দিয়েগো রিভেরার মধ্যে গড়ে দিয়েছিল সেতুবন্ধন। সেই যে স্কুলের দিনগুলোতে ফ্রিদা তন্ময় হয়ে দেখত শিক্ষক দিয়েগোকে, সে স্মৃতি মলিন হয়নি কখনো। কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দেয়াল রাঙিয়ে দিতেন দিয়েগো তাঁর নান্দনিক হাতের আঁচড়ে। কয়েক বছর পর সেই শিক্ষকের কাছে নিজের আঁকা ছবি নিয়ে গেলেন ফ্রিদা। ভয় ছিল মনে, বড় শিল্পী হয়তো তাঁকে পাত্তা দেবেন না, তাড়িয়ে দেবেন। কিন্তু ঘটল একেবারে উল্টো ব্যাপার। খুবই আগ্রহ নিয়ে ফ্রিদার ছবিগুলো দেখলেন দিয়েগো। তবে এ কথা এখন আর স্পষ্ট নয়, কোন বিষয়টি ভালো লেগেছিল দিয়েগোর—ফ্রিদার আঁকা ছবি নাকি স্বয়ং ফ্রিদা। সে রহস্যের জট না খুললেও আমরা অচিরেই দেখতে পাচ্ছি, ফ্রিদাকে বিয়ে করার প্রস্তাব পাঠিয়েছেন দিয়েগো, ফ্রিদার বাবার কাছে। তাতে গুয়েরমো তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন। মেয়ের প্রায় দ্বিগুণ বয়সী মানুষকে বর হিসেবে মেনে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু প্রগাঢ় ভালোবাসার কাছে পরাজিত হলেন বাবা। হার মানার আগে শুধু বললেন, ‘আমার মেয়ে সারা জীবন অসুস্থ থাকবে। এটা মেনে নিয়ে যদি বিয়ে করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারো, আমি রাজি আছি মেয়েকে তোমার হাতে তুলে দিতে।’

ফ্রিদা বিয়েতে দিলেন জমকালো সাজ। আগুন ছড়ানো কণ্ঠহার, বড় বড় কানের দুল, মেক্সিকোর ঐতিহ্যবাহী গাউনে তাঁকে লাগছিল অসাধারণ। ফ্রিদার অপার সৌন্দর্যে দিয়েগোর আগের বউ লুপে মারিনের মনে জ্বলে উঠল ঈর্ষার আগুন। ফ্রিদার খোঁড়া পা নিয়ে বিদ্রূপ করলেন তিনি, ‘দেখ, কি এক দেশলাই–সদৃশ পায়ের কাছে আমার লোভনীয় পা পরাজিত হয়েছে!’

সেখানেই শুরু হয়ে গেল তর্কযুদ্ধ। অন্যদের তর্কের মধ্যে তর্কে জড়িয়ে পড়লেন ফ্রিদা আর দিয়েগোও। শেষে ফ্রিদা সটান চলে এলেন বাবা–মায়ের কাছে। শুধু কয়েক দিন বাদে দিয়েগো ফ্রিদাকে নিজ ঘরে নিয়ে যেতে পারলেন।

বিয়ের কয়েক দিন পর লুপে মারিন নতুন বউ–বরের বাড়ি এলেন। তীক্ষ্ণ চোখে পর্যবেক্ষণ করলেন বাড়ি। দেখলেন তা ঠিকভাবে সাজানো গোছানো হয়েছে কিনা। তারপর ফ্রিদাকে নিয়ে বাজারে গেলেন। তাঁকে নিয়েই কিনলেন রান্নার সরঞ্জাম, দিয়েগোর পছন্দের রান্না শিখিয়ে দিলেন ফ্রিদাকে। বললেন, ‘দিয়েগো কাজ করতে করতেই নাশতা করে। একটা ট্রেতে করে ঢাকা দিয়ে খাবার নিয়ে যেতে হয় সেখানে। যে কাপড়ে ঢাকা থাকবে খাবার, সে কাপড়ে লেখা থাকতে হবে, ‘আমি তোমাকে শ্রদ্ধা করি।’ লুপে এই ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন ম্যাক্সিকান চাষিদের কাছ থেকে।

শিল্পী দিয়েগো রিভেরার আঁকা বিখ্যাত ছবি ‘ইন দ্য আরসেনাল’

নব্য দম্পতির জীবন এর পর থেকে সুখে–স্বাচ্ছন্দ্যে ভরে গিয়েছিল, এমন কথা যারা ভাবছেন, তারা ভুল করছেন। খুব দ্রুতই তাঁদের মধ্যে শুরু হলো ঝগড়াঝাঁটি। দিয়েগো তাঁর বদভ্যাসগুলো থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারছিলেন না। পুরোনো বান্ধবীদের সঙ্গে ঘোরাফেরার উৎসাহ তাঁর বিন্দুমাত্র কমেনি। তিনি সমালোচনা একেবারেই সহ্য করতে পারতেন না। আর ফ্রিদা নিজের নান্দনিক ঔৎসুক্যে জাজ্বল্যমান হয়ে স্বামীর পাপগুলো ধরিয়ে দিতে লাগলেন। দিয়েগো তা সহ্য করতে পারতেন না, হাতের তুলি ছুড়ে ফেলে তিনি ঘর থেকে বের হয়ে যেতেন। যাওয়ার সময় গালাগাল করতেন ফ্রিদাকে। কিন্তু বাড়ি তো ফিরতেই হতো। ফেরার সময় তাঁর হাত ভরে থাকত উপহারে—দামি দামি কানের দুল, গলার হারসহ কত কিছুই না উপহার দিতেন ফ্রিদাকে। ফ্রিদা খুব পছন্দ করতেন অলংকার। দামি পাথরের অলংকার হোক, হোক সস্তা কাচের—সবটাই ছিল ফ্রিদার পছন্দের। ফ্রিদা ম্যাক্সিকান পোশাক পরতে পছন্দ করতেন, নানা রঙের সুতোয় জড়িয়ে রাখতেন নিজের চুল।

খ্যাতনামা চিত্রকর দিয়েগোকে ফ্রিদা দেখতেন বড় এক খোকা হিসেবে। তিনি তাঁর ছবিতে দিয়েগোকে আঁকতেন তাঁর কোলে বসে আছেন, এমনভাবে। বড় দুর্ঘটনার পর ফ্রিদার সন্তান হবে না বলে শঙ্কা ছিল। তাই দিয়েগোর প্রতি তাঁর এক ধরনের অপত্যস্নেহ কাজ করত। বাথটাবে অনেক খেলনা ছড়িয়ে রেখে তিনি দিয়েগোকে স্নান করাতেন।

ফ্রিদা তিনবার সন্তানসম্ভবা হয়েছিলেন, তিনবারই অ্যাবরশন হয়ে গিয়েছিল। সন্তানের আশায় দিয়েগো এবার ফ্রিদাকে নিয়ে পাড়ি জমালেন যুক্তরাষ্ট্রে।

ফ্রিদা যুক্তরাষ্ট্রকে ভালো বাসেননি। তিনি তাঁর ডায়েরিতে লিখেছিলেন, ‘অভিজাত সমাজ আমাকে স্বস্তি দেয় না। বড়লোকদের আমার ভালো লাগে না। কারণ, আমি দেখেছি হাজার হাজার মানুষ বাস করছে চরম দারিদ্রের মধ্যে, তাদের খাবার নেই, থাকার মতো বাড়ি নেই, এটা আমাকে দারুণ আহত করে। হাজার হাজার ক্ষুধার্ত মানুষকে অভুক্ত রেখে বড়লোকেরা ফুর্তি করে বেড়ায়, যা আমাকে বিরক্ত করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে শিল্পের বিকাশ আমাকে মুগ্ধ করে। আমি দেখতে পাচ্ছি, যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ ভুগছে রুচির বিকারে...তারা যেন বাস করে মুরগির খোঁয়াড়ে, যা ময়লা আর অস্বস্তিতে ভরপুর। বাড়িগুলো যেন ওভেন, বাড়িগুলো সম্পর্কে যা বলা হয়, তা আসলে মিথ। হতে পারে আমি ভুল করছি, কিন্তু আমি সে কথাই বলছি, যা আমি অনুভব করছি।’

যুক্তরাষ্ট্র–ভ্রমণ ফ্রিদার জন্য একেবারেই সুখকর হয়নি। ডেট্রয়েটে থাকাকালীন তিনি অসুখে পড়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, তিনি আর মা হতে পারবেন না। এ সময় তিনি যে ছবিটি আঁকেন, তার নাম ছিল ‘হেনরি ফোর্ড হাসপাতাল, উড়ন্ত বিছানা’।

ফ্রিদার আঁকাআঁকিতে এ সময় লেগেছে নতুন হাওয়া। দিয়েগো এই সময়টি সম্পর্কে বলেছেন, ‘এ সময়ে ফ্রিদা যা এঁকেছে, তা এর আগে দেখেনি শিল্পের ইতিহাস—কঠোর সত্যের সামনে দাঁড়ানো নারীর ছবি।’

দিয়েগো রিভেরা অবশ্য হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি এ সময়। নেলসন রকফেলার তাঁকে রেডিও সিটিতে (এখন যা রকফেলার সেন্টার) ফ্রেসকো তৈরি করার কাজ দিয়েছেন। কিন্তু দিয়েগো কী আঁকলেন? তিনি প্রকাশ করলেন পুঁজিবাদকে সিফিলিসের শেষ অধ্যায় হিসেবে। আঁকলেন মার্ক্স, এঙ্গেলস, লেনিন, ত্রোৎস্কিসহ বিপ্লবের নায়কদের ছবি। ছবিগুলো, বিশেষ করে, লেনিনের ছবি দেখে খুবই বিরক্ত হলেন রকফেলার। তিনি ছবিগুলো বদলে দিতে বললেন। ফ্রিদা তাঁর স্বামীকে নতি স্বীকার করতে মানা করলেন। তাতে রকফেলারের নির্দেশে ধ্বংস করে ফেলা হলো দিয়েগোর কীর্তি।

বিপ্লবের প্রতি ওঁরা দুজনেই ছিলেন বিশ্বস্ত। ১৯৩৬ সালে লিয়েভ ত্রোৎস্কির সঙ্গে দেখা হয়েছিল তাঁদের। ত্রোৎস্কি তখন স্তালিনের রোষানলে পড়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। মেক্সিকোতে স্ত্রী নাতালিয়া সেদোভায়াসহ ত্রোৎস্কিকে সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন ফ্রিদা ও দিয়েগো। মেক্সিকোয় রুশ বিপ্লবের ‘খলনায়ক’কে অভ্যর্থনা জানানোর মতো কেউ ছিল না। এই দম্পতিই তাঁদের সঙ্গে সখ্য পাতিয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

হাদিকে গুলি: আসামি গ্রেপ্তারের আশা ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

জামায়াত প্রার্থীর সভায় গান গাওয়া সেই পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে: প্রেস উইং

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আজকের রাশিফল: ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠকানোর চেষ্টা করবে, সঙ্গী ঘরের কাজ করিয়ে নেবে

মেষ

আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে। সাবধান! এই অর্থ আপনার একার, মহাজাগতিক ঋণের নয়। সারা দিন জনসেবার ইচ্ছা জাগবে, ভালো কথা। কিন্তু তার আগে নিজের বিলগুলো মেটানো জরুরি। ভাগ্য আজ আপনাকে দেখাবে—টাকা উপার্জন করা যতটা সহজ, সেটা ধরে রাখা তার চেয়েও কঠিন! আজকের মন্ত্র হোক: কফি খাব, তবে বিল দেব না।

বৃষ

সকাল থেকে একটা অদ্ভুত মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি আপনাকে তাড়া করবে। এর কারণ সম্ভবত গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্টুন দেখা। জ্যোতিষ বলছে, ‘কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু আপনাকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন।’ সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি আর কেউ নয়—সে হলো আপনার ফ্রিজের ভেতরে রাখা সেই মিষ্টির বাক্স, যেটি আপনাকে ডায়েট ভাঙতে উৎসাহিত করবে। ধ্যানের মাধ্যমে একাগ্রতা আনার চেষ্টা করুন। বস যদি সকালে কাজে ভুল ধরেন, তখন যোগাভ্যাস শুরু করে দিতে পারেন, হয়তো বস ভয় পাবেন। পেটের সমস্যা এড়াতে আজ অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। কিন্তু যদি দেখেন বন্ধু বিরিয়ানি খাওয়াতে চাচ্ছে, তাহলে এই উপদেশ ভুলে যান। মন খারাপ? মনকে বলুন, ‘বিকেলের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে, তার আগে ঘুমাও।’

মিথুন

সকালের দিকে মেজাজ এমন খিটখিটে থাকবে যে, পোষা প্রাণীটাও আপনাকে এড়িয়ে চলবে। তবে চিন্তা নেই, বিকেলের দিকে মুড ফ্রেশ হবে—যদি না কোনো অপ্রত্যাশিত ফোন কল আসে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম হতে পারে, যা আপনার অহংবোধকে একধাপ বাড়িয়ে দেবে। আজ কিছু নতুন পোশাক, মোবাইল ফোন ইত্যাদি কেনার যোগ রয়েছে। আপনার সম্মান বৃদ্ধির মূল কারণ হতে পারে নতুন ফোনের ক্যামেরা। তাই নিজেকে প্রমাণ করতে নয়, বরং ভালো সেলফি তোলার জন্য আজ মন দিন। সাবধানে অর্থ ব্যয় করুন। যদি অনলাইনে কোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস চোখে পড়ে, মনে রাখবেন—ওটা কালকেও থাকবে।

কর্কট

আজকের দিনটি আপনার জন্য বেশ ব্যয়বহুল হতে চলেছে। এর মানে এই নয় যে দামি কিছু কিনবেন, বরং মানে হলো—হয়তো অফিসের কলিগদের জন্য চা-কফি কিনে নিজের মাসকাবারি বাজেট শেষ করবেন। বসের কাছে প্রশংসা পাবেন, কারণ আপনি কাজের প্রতি খুবই দায়িত্বশীল। এই দায়িত্বশীলতা আপনাকে আরও বেশি কাজ এনে দেবে, যা ভবিষ্যতে মানসিক ভারসাম্য নষ্টের কারণ হবে। সরকারি কাজে অসুবিধা দেখা দেবে—কারণ সরকারি কাজ সব সময়ই অসুবিধা সৃষ্টি করে। ভদ্র থাকুন, নইলে টাকা শেষ হয়ে গেলে ধার চাওয়ার মুখ থাকবে না।

সিংহ

প্রতিদিনের স্বাভাবিক রুটিন বদলানোর চেষ্টা কেউ একজন করবে। সেই ‘কেউ একজন’ আর কেউ নয়, তিনি হলেন আপনার জীবনসঙ্গী, যিনি আপনাকে দিয়ে ঘরের কাজ করানোর চেষ্টা করবেন। সেদিকে বিশেষ নজর রাখুন। তবে দিনের শেষে রোমান্সের যোগ রয়েছে, যদি আপনি রুটিন বদলের এই চ্যালেঞ্জে হেরে যান এবং বশ্যতা স্বীকার করেন। আজ ব্যবসা বা পেশার জন্য অর্থ সংগ্রহে আপনি সফল হবেন। ঘরের কাজকে প্রেমের খেলা মনে করুন। হারলেও লাভ, জিতলেও!

কন্যা

সারা দিন আপনার কোনো বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। চেষ্টা করলেও, ভেতরের কণ্ঠস্বর আপনাকে মনে করিয়ে দেবে—কত কাজ বাকি আছে। আজ আপনার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সামান্য সর্দি-কাশিকে কঠিন ব্যামো ভেবে সারা দিন গুগল করতে পারেন। অফিসে পদোন্নতির যোগ রয়েছে, তবে এর মানে হলো—আপনার ওপর চাপ আরও বাড়বে। ব্যবসায়ীরা আজ আর্থিক বিষয়ে হতাশ হতে পারেন। সন্তানদের বিষয়ে একটু সতর্ক থাকুন। আজ হয়তো তারা আপনার গোপনে জমানো চকলেট খুঁজে পেতে পারে।

তুলা

ব্যবসায় খুব বেশি লাভ দেখতে পাওয়ার যোগ রয়েছে। এই লাভকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যের আগের থেকে উন্নতি দেখা যাবে। আজকের দিনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভদ্র থাকবেন এবং মানসিকভাবে ভারসাম্য বজায় রাখবেন। তবে সাবধান, এই ভদ্রতা যেন অতিরিক্ত বিনয়ে রূপ না নেয়। না হলে সবাই আপনাকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেবে। অতিরিক্ত লাভের খবর পেয়ে রাতে ঘুম ভাঙতে পারে। চিন্তা করবেন না, এটা শুধু গ্যাস।

বৃশ্চিক

আজকের দিনটি আপনার জন্য ফলপ্রসূ হতে চলেছে। তবে এই ‘ফল’ হয়তো আপনার ই-মেইল ইনবক্সে জমা হওয়া হাজারো নতুন ই-মেইলের স্তূপ! কর্মজীবনের দিক থেকে নতুন সুযোগ পেতে পারেন। এটি হতে পারে—বসের নতুন প্রজেক্ট, যা আপনি একা সামলাবেন। অর্থের দিক থেকে দিনটি শুভ, কারণ আপনি আজ বুদ্ধি করে একটি অপ্রয়োজনীয় অনলাইন শপিং অর্ডার বাতিল করবেন। অর্থের দিক থেকে শুভ, মানে আপনি আজ অন্তত এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।

ধনু

আপনার জন্য আজ একটি শুভ দিন হতে চলেছে। এতটা শুভ যে, হয়তো সকালে উঠে জুতা পরার সময় মোজা পরতে ভুলে যাবেন। ক্যারিয়ারে লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি পরিকল্পনা করুন। দিনের মূল প্ল্যানিং হবে, কীভাবে এই পরিকল্পনাকে আবার পরের দিনের জন্য স্থগিত করা যায়। গাড়ি চালানোর সময় অসতর্কতা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষত যখন আপনি ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। আপনার ভাগ্য আজ ভালো, শুধু নিজেকে বেশি সিরিয়াস না নিলেই হলো।

মকর

জ্যোতিষ বলছে, ‘সব জায়গায় ইতিবাচক মনোভাব দেখালে চলবে না।’ সত্যি কথা! আপনার ইতিবাচকতা দেখে অন্যরা ভয় পেতে পারে। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। ঝামেলার কারণ—আপনাকে দেখিয়ে কেউ যদি ভুল করে হাসে! বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন, যেমন—সকালের নাশতায় কী খাবেন, পাউরুটি নাকি পরোটা? আপনি মানসিক চাপে ভুগতে পারেন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন। যদি দেখেন কেউ আলু-পেঁয়াজ নিয়ে তর্ক করছে, সেখানে জড়াবেন না।

কুম্ভ

শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রচুর দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মানে শুধু একটাই—আপনার ছুটি বাতিল। রাজনৈতিক কোনো কাজ করার আগে খুব ভাবনাচিন্তা করার দরকার আছে। সামনে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ আসবে, কিন্তু আপনি এমন দায়িত্বশীল যে সেই সুযোগ নিতে পারবেন না। যদিও মন চাইবে, ‘যাই হোক, একটু ফাঁকি দেওয়া যাক।’ এই দোটানা মানসিক চাপ বাড়াবে। ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ এলেও, যদি দেখেন বস আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছেন, তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করুন।

মীন

আজ সৃজনশীল শক্তিতে পূর্ণ একটি দিন কাটাবেন। আপনার এই সৃজনশীলতা হয়তো কাজে লাগতে পারে—বাড়িতে ভেঙে যাওয়া দামি জিনিসটি মেরামত করার জন্য। অর্থের দিক থেকে ভাগ্যবান প্রমাণিত হতে পারেন। হয়তো পুরোনো কোনো প্যান্টের পকেটে একটি পাঁচশ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। কেউ কোনো দায়িত্ব দিলে একেবারেই নেবেন না, কারণ এটা আপনার জন্য একটি ফাঁদ হতে পারে। আজ উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে—কারণ আপনি ওই দায়িত্বটি না নিতে পারার অপরাধবোধে ভুগবেন। দাম্পত্য জীবন শান্ত ও সুখকর থাকবে। কারণ সঙ্গী আজ আপনার সৃজনশীলতা দেখে কথা বলার সাহস পাবেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

হাদিকে গুলি: আসামি গ্রেপ্তারের আশা ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

জামায়াত প্রার্থীর সভায় গান গাওয়া সেই পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে: প্রেস উইং

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতে চামড়া বা কাপড়ের জুতা পরুন

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৪০
শীতে চামড়া বা কাপড়ের জুতা পরুন

প্রশ্ন: চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়। চুলের যত্নে কীভাবে এর তরতাজা ভাব ধরে রাখা যায়?

স্নিগ্ধা বাহার, ঢাকা

উত্তর: হেয়ার ডিটক্স আপনার জন্য ভালো সমাধান। এর মাধ্যমে চুল পুনরুজ্জীবিত হয়। কিন্তু হেয়ার ডিটক্স ট্রিটমেন্ট বাড়িতে শতভাগ সম্ভব নয়। তবে হেয়ার ডিটক্স প্যাক লাগানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে, প্রথমে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। এরপর কোনো হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এই শ্যাম্পু তৈরি করে নিতে হবে আপেল সিডার ভিনেগার, নারকেলের দুধ, একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং অল্প পরিমাণে কোনো মাইল্ড শ্যাম্পু ভালো করে মিশিয়ে। এটি ব্যবহারে মাথার ত্বকে জমা হওয়া ধুলোবালি, ময়লা ও অতিরিক্ত তেল ধুয়ে যাবে।

এ ছাড়া এখন বাজারে সি-সল্ট পাওয়া যায়। একটি বাটিতে অ্যালোভেরা জেল, আপেল সিডার ভিনেগার এবং অল্প পরিমাণে সি-সল্ট একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে রাখতে হবে আধা ঘণ্টা। এরপর যেকোনো প্রোটিন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।

প্রশ্ন: চুলের মসৃণ ভাব ফিরে পেতে ঘরে তৈরি হেয়ার রিপেয়ারিং মাস্কের পরামর্শ চাই। উপকরণগুলো সহজলভ্য হলে ভালো হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, দিনাজপুর

উত্তর: বাড়িতে যত্ন নেওয়া গেলে পারলারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। একটি বাটিতে ডিম ভেঙে নিন। এর সঙ্গে টক দই ও অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এই মিশ্রণ শ্যাম্পু করা মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রাখতে হবে। এরপর আবার শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চুল সিল্কি হয়।

প্রশ্ন: শীতে পুরুষের ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখতে সহজ এবং সাধারণ কিছু টিপস প্রয়োজন। জানালে বিশেষ উপকৃত হব।

নীল মজুমদার, সোনারগাঁ

উত্তর: ত্বক পেলব রাখতে এখন থেকে প্রতিদিন রাতে অলিভ অয়েল ও গোলাপজল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে মেখে নেবেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পাকা টমেটোর প্যাক খুবই উপকারী। পাকা টমেটো পেস্টের সঙ্গে ২ চামচ টক দই এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধা শুকনো হয়ে এলে কিছুটা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

প্রশ্ন: শীতে সব সময় পা ঢাকা জুতা ব্যবহার করি। এর সঙ্গে মোজা তো পরতেই হয়। কিন্তু এ ধরনের জুতা পরার পর পায়ে গন্ধ হয়। এ ছাড়া শীতে পায়ের আঙুলের ফাঁকে খুব চুলকানি হয়। এর জন্য ট্যালকম পাউডার ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করি। পা ফ্রেশ রাখতে ভালো সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।

পম্পা শেখ, লক্ষ্মীপুর

উত্তর: দীর্ঘক্ষণ পরিধান করার কারণে জুতার ভেতরে পা ঘেমে যেতে পারে। তাই কিছুক্ষণ পরপর জুতা খুলে রাখুন। সুতির মোজা ব্যবহার করুন। এ ধরনের মোজা পায়ের ঘাম শুষে নিতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ধোয়া পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করুন। অফিসে গিয়ে সম্ভব হলে জুতা-মোজা খুলে খোলা স্যান্ডেল পায়ে দিন। জুতা যদি পায়ে দিতেই হয়, তাহলে চামড়া বা কাপড়ের জুতা ব্যবহার করুন। এতে বাইরের বাতাস জুতার ভেতর যাওয়া-আসা করতে পারবে, এর ফলে পা ঘামবে কম। বাড়ি ফিরে হালকা গরম পানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমে যাবে।

পরামর্শ দিয়েছেন: শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বত্বাধিকারী বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

হাদিকে গুলি: আসামি গ্রেপ্তারের আশা ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

জামায়াত প্রার্থীর সভায় গান গাওয়া সেই পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে: প্রেস উইং

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পেট্রোলিয়াম জেলির যত ব্যবহার

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ৫২
পেট্রোলিয়াম জেলির যত ব্যবহার

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।

মেকআপ রিমুভার হিসেবে

বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।

নখের সুস্থতায়

নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।

সুগন্ধি দীর্ঘস্থায়ী করতে

যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।

ভ্রু ঘন করতে

অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

জেলি-২

হাইলাইটার হিসেবে

মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে

ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।

সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

হাদিকে গুলি: আসামি গ্রেপ্তারের আশা ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

জামায়াত প্রার্থীর সভায় গান গাওয়া সেই পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে: প্রেস উইং

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রঙিন চুলের বিশেষ যত্ন

ফিচার ডেস্ক
রঙিন চুলের বিশেষ যত্ন

চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়। ফলে রং করা চুল অনেকটাই ফ্যাকাশে হয়ে যায়। যাঁরা বাড়িতেই চুল রাঙান তাঁদের রং করার পর চুল ধোয়া থেকে শুরু করে শুকানোর পদ্ধতিতেও কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।

সঠিক শ্যাম্পু বাছাই

চুলে রং করার পর প্রথমে কালার প্রোটেকটিভ শ্যাম্পু বাছাই করুন। এই শ্যাম্পুগুলো দীর্ঘদিন চুলে রং বজায় রাখতে সহায়তা করে।

চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পু নয়

চুলে রং করার পর সপ্তাহে দু-তিনবার শ্যাম্পু করুন। তবে রোজ বাইরে গেলে প্রয়োজনে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।

নিয়মিত তেল ব্যবহার

রং করার পর; বিশেষ করে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেল ম্যাসাজ করে নিন।

স্টাইলিং কম করুন

রং করা চুলে স্ট্রেটনার কিংবা কার্লার যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। কারণ, এর ফলে চুল আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।

নিয়ম করে প্যাক মাখু

পাকা কলা ও মধু পেস্ট করে সপ্তাহে দুদিন চুলে মেখে রাখুন ২০ মিনিট করে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে মসৃণ।

সূত্র: ল’রিয়েল প্যারিস ইউকে ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের স্ত্রীসহ আরও তিনজন গ্রেপ্তার

হাদিকে গুলি: আসামি গ্রেপ্তারের আশা ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে জামায়াতের দুই ছাত্রনেতা আশরাফ ও মুঈনুদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল

জামায়াত প্রার্থীর সভায় গান গাওয়া সেই পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে: প্রেস উইং

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত