মাসুমা চৌধুরী
শাকসবজি, ফল-মূল আমাদের খাদ্যতালিকায় স্থান পেলেও ফুলের যে খাদ্যগুণ আছে, তা অনেকের কাছে অজানা বিষয়। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতায় মানুষ ফুল খাদ্য হিসেবে বেছে নিয়েছিল। অনেক ফুলের নির্যাস অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আমাদের দেশে ভর্তা, ভাজি বা তরকারি হিসেবে অনেক ফুল খাওয়া হয়ে থাকে। যেমন কুমড়ার ফুল, কলার মোচা, শাপলা ফুল, শজনে ফুল, শিমের ফুল, সরিষা ফুল, কচু ফুল, কাঞ্চন ফুল ইত্যাদি। এর সঙ্গে পার্বত্যাঞ্চলে বেশ কিছু ফুলের খাদ্য হিসেবে পরিচিতি আছে। যেমন শিমুল ফুল, আদা ফুল, হলুদ ফুল, মেস্তা ফুল ইত্যাদি। এই ফুলগুলোর যেমন আছে পুষ্টিগুণ, তেমনি আছে ভেষজগুণ।
কুমড়া ফুল
এই ফুলের মচমচে ভাজা বড়া অনেকের প্রিয় খাদ্যতালিকায় রয়েছে। এতে আছে ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম আর প্রোটিনের মতো প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান। এ ছাড়া রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, ও বি৬, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
কলার মোচা
কলার ফুল বা মোচা শরীরে ক্ষতিকারক পরজীবী জন্মাতে বাধা দেয়। এ ছাড়া প্রজেস্টেরন হরমোনের বৃদ্ধি ঘটায়; যার ফলে ঋতুকালীন রক্তপাত কিছুটা কম হয়। ক্যানসার প্রতিরোধে এর ভূমিকা রয়েছে বলে অনেক গবেষণায় জানা গেছে।
শিমুল ফুল
এই ফুলে রয়েছে পাঁচ থেকে সাতটি সাদা বৃন্তি ও মাঝে লালচে-কমলা টিউবের মতো বৃন্ত। আমাদের দেশে পাহাড়ি অঞ্চলে এই ফুল শুকিয়ে সবজি হিসেবে খাওয়ার রেওয়াজ আছে। এটি কলেরা, টিউবারকুলার ফিস্টুলা, কাশি, মূত্রনালির সমস্যাজনিত রোগ, আমাশয়ের কারণে পেটে ব্যথা এবং পুরুষত্বহীনতা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
শজনে ফুল
সুপার ফুড হিসেবে পুরো পৃথিবীতে এখন পরিচিত শজনে। এর ডাঁটা ও পাতা তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়। আবার এর ফুলও খাদ্য হিসেবে বেশ সুস্বাদু। গরম-গরম শজনে ফুলের বড়া খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। এতে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও প্রোটিন থাকে, যা শরীর গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া এটি অকাল বার্ধক্যজনিত সমস্যা দূর করে এবং ক্যানসারের বিরুদ্ধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
আদা ফুল
আদা ফুল দিয়ে আইড় মাছ, কাচকি মাছ বা শোল মাছ রান্না খুবই মুখরোচক একটি তরকারি। জ্বর, ঠান্ডা লাগা ও ব্যথায় আদা ফুল উপকারী। আবার ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় অতিরিক্ত ওজন ঝরাতেও আদা ফুলের গুরুত্ব রয়েছে। জয়েন্ট ব্যথা, হাঁপানি আক্রমণ, অন্ত্রের সমস্যা, ক্লান্তি ও অনিদ্রা দূর করতে আদা ফুলের বিশেষ ভূমিকা আছে।
হলুদ ফুল
হলুদের মতোই হলুদ ফুলের নির্যাস অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এতে শ্রমজনিত ক্লান্তি, শরীরের ব্যথা ইত্যাদি দূর হয়। চিংড়ি দেওয়া হলুদ ফুলের তরকারি কোনো কোনো অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয়।
শিমের ফুল
শিমের ফুল চুলার হালকা আঁচে ভেজে ভর্তা বানানো যায়। পেঁয়াজ, মরিচ আর সরিষার তেল মাখানো এই ভর্তা গরম ভাতের সঙ্গে খেতে ভালো লাগবে। এ ফুল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রোটিনসমৃদ্ধ।
সরিষা ফুল
সরিষা ফুল ক্যারোটিন, ফ্লেভোনয়েড অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এর ভিটামিন এ, সি ও কে বয়সের ছাপ দূর করে এবং অন্ত্রের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। বাতরোগ ও হাড়ের জোড়ায় ব্যথা উপশমে সহায়তা করবে এটি।
কচু ফুল
কচুতে আছে আয়রন, যা রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে। এতে আরও পাওয়া যায় ভিটামিন এ ও সি। এতে রক্তের কোলেস্টেরল কমে, তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ওলকচুর ফুল বেশ উপকারী। এই ফুলের গর্ভদণ্ড ফেলে দিয়ে পুরো অংশটি তরকারি হিসেবে খাওয়া হয় বড় মাছের মাথাসহযোগে কিংবা আলু দিয়ে রান্না করে। এ ছাড়া এটি বড়া করেও খাওয়া যায়।
রক্ত কাঞ্চন ফুল
ডায়াবেটিসবিরোধী এবং অ্যান্টিহাইপারগ্লাইসেমিক উদ্ভিদ যৌগের উপস্থিতি থাকায় এই ফুল শরীরে ইনসুলিন-প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে, পাশাপাশি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায়। ডায়াবেটিসের উপসর্গ প্রশমিত করতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তবে কিডনির সমস্যা, লিভার সমস্যা বা জটিল কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে ব্যবহার সীমিত হতে হবে। কারণ এটি হরমোন প্রভাবক হিসেবে ভূমিকা রাখে।
শাপলা ফুল
শাপলায় উপস্থিত ফ্লেভনল গ্লাইকোসাইড, যা মাথার রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং মাথা ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে । এ ছাড়া ইনস্যুলিনের স্তর স্থিতিশীল রেখে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। যকৃতের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে এবং ত্বক উজ্জ্বল রাখতেও শাপলা ফুল ব্যবহার হয়।
ফুলের গুণাগুণ খাদ্য হিসেবে থাকার পাশাপাশি গোলাপ, বেলি, জুঁইসহ অনেক ফুল খাবারে সুগন্ধ বাড়াতে সাহায্য করে। জাফরান ফুলের কেশর মূল্যবান মসলা হিসেবে ব্যবহার হয়।
লেখক: পুষ্টিবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
শাকসবজি, ফল-মূল আমাদের খাদ্যতালিকায় স্থান পেলেও ফুলের যে খাদ্যগুণ আছে, তা অনেকের কাছে অজানা বিষয়। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতায় মানুষ ফুল খাদ্য হিসেবে বেছে নিয়েছিল। অনেক ফুলের নির্যাস অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। আমাদের দেশে ভর্তা, ভাজি বা তরকারি হিসেবে অনেক ফুল খাওয়া হয়ে থাকে। যেমন কুমড়ার ফুল, কলার মোচা, শাপলা ফুল, শজনে ফুল, শিমের ফুল, সরিষা ফুল, কচু ফুল, কাঞ্চন ফুল ইত্যাদি। এর সঙ্গে পার্বত্যাঞ্চলে বেশ কিছু ফুলের খাদ্য হিসেবে পরিচিতি আছে। যেমন শিমুল ফুল, আদা ফুল, হলুদ ফুল, মেস্তা ফুল ইত্যাদি। এই ফুলগুলোর যেমন আছে পুষ্টিগুণ, তেমনি আছে ভেষজগুণ।
কুমড়া ফুল
এই ফুলের মচমচে ভাজা বড়া অনেকের প্রিয় খাদ্যতালিকায় রয়েছে। এতে আছে ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম আর প্রোটিনের মতো প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান। এ ছাড়া রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, ও বি৬, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
কলার মোচা
কলার ফুল বা মোচা শরীরে ক্ষতিকারক পরজীবী জন্মাতে বাধা দেয়। এ ছাড়া প্রজেস্টেরন হরমোনের বৃদ্ধি ঘটায়; যার ফলে ঋতুকালীন রক্তপাত কিছুটা কম হয়। ক্যানসার প্রতিরোধে এর ভূমিকা রয়েছে বলে অনেক গবেষণায় জানা গেছে।
শিমুল ফুল
এই ফুলে রয়েছে পাঁচ থেকে সাতটি সাদা বৃন্তি ও মাঝে লালচে-কমলা টিউবের মতো বৃন্ত। আমাদের দেশে পাহাড়ি অঞ্চলে এই ফুল শুকিয়ে সবজি হিসেবে খাওয়ার রেওয়াজ আছে। এটি কলেরা, টিউবারকুলার ফিস্টুলা, কাশি, মূত্রনালির সমস্যাজনিত রোগ, আমাশয়ের কারণে পেটে ব্যথা এবং পুরুষত্বহীনতা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
শজনে ফুল
সুপার ফুড হিসেবে পুরো পৃথিবীতে এখন পরিচিত শজনে। এর ডাঁটা ও পাতা তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়। আবার এর ফুলও খাদ্য হিসেবে বেশ সুস্বাদু। গরম-গরম শজনে ফুলের বড়া খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। এতে অ্যামাইনো অ্যাসিড ও প্রোটিন থাকে, যা শরীর গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া এটি অকাল বার্ধক্যজনিত সমস্যা দূর করে এবং ক্যানসারের বিরুদ্ধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
আদা ফুল
আদা ফুল দিয়ে আইড় মাছ, কাচকি মাছ বা শোল মাছ রান্না খুবই মুখরোচক একটি তরকারি। জ্বর, ঠান্ডা লাগা ও ব্যথায় আদা ফুল উপকারী। আবার ফাইবারসমৃদ্ধ হওয়ায় অতিরিক্ত ওজন ঝরাতেও আদা ফুলের গুরুত্ব রয়েছে। জয়েন্ট ব্যথা, হাঁপানি আক্রমণ, অন্ত্রের সমস্যা, ক্লান্তি ও অনিদ্রা দূর করতে আদা ফুলের বিশেষ ভূমিকা আছে।
হলুদ ফুল
হলুদের মতোই হলুদ ফুলের নির্যাস অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এতে শ্রমজনিত ক্লান্তি, শরীরের ব্যথা ইত্যাদি দূর হয়। চিংড়ি দেওয়া হলুদ ফুলের তরকারি কোনো কোনো অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয়।
শিমের ফুল
শিমের ফুল চুলার হালকা আঁচে ভেজে ভর্তা বানানো যায়। পেঁয়াজ, মরিচ আর সরিষার তেল মাখানো এই ভর্তা গরম ভাতের সঙ্গে খেতে ভালো লাগবে। এ ফুল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রোটিনসমৃদ্ধ।
সরিষা ফুল
সরিষা ফুল ক্যারোটিন, ফ্লেভোনয়েড অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এর ভিটামিন এ, সি ও কে বয়সের ছাপ দূর করে এবং অন্ত্রের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। বাতরোগ ও হাড়ের জোড়ায় ব্যথা উপশমে সহায়তা করবে এটি।
কচু ফুল
কচুতে আছে আয়রন, যা রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে। এতে আরও পাওয়া যায় ভিটামিন এ ও সি। এতে রক্তের কোলেস্টেরল কমে, তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ওলকচুর ফুল বেশ উপকারী। এই ফুলের গর্ভদণ্ড ফেলে দিয়ে পুরো অংশটি তরকারি হিসেবে খাওয়া হয় বড় মাছের মাথাসহযোগে কিংবা আলু দিয়ে রান্না করে। এ ছাড়া এটি বড়া করেও খাওয়া যায়।
রক্ত কাঞ্চন ফুল
ডায়াবেটিসবিরোধী এবং অ্যান্টিহাইপারগ্লাইসেমিক উদ্ভিদ যৌগের উপস্থিতি থাকায় এই ফুল শরীরে ইনসুলিন-প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে, পাশাপাশি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায়। ডায়াবেটিসের উপসর্গ প্রশমিত করতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। তবে কিডনির সমস্যা, লিভার সমস্যা বা জটিল কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে ব্যবহার সীমিত হতে হবে। কারণ এটি হরমোন প্রভাবক হিসেবে ভূমিকা রাখে।
শাপলা ফুল
শাপলায় উপস্থিত ফ্লেভনল গ্লাইকোসাইড, যা মাথার রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং মাথা ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে । এ ছাড়া ইনস্যুলিনের স্তর স্থিতিশীল রেখে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। যকৃতের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে এবং ত্বক উজ্জ্বল রাখতেও শাপলা ফুল ব্যবহার হয়।
ফুলের গুণাগুণ খাদ্য হিসেবে থাকার পাশাপাশি গোলাপ, বেলি, জুঁইসহ অনেক ফুল খাবারে সুগন্ধ বাড়াতে সাহায্য করে। জাফরান ফুলের কেশর মূল্যবান মসলা হিসেবে ব্যবহার হয়।
লেখক: পুষ্টিবিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
ব্রিটিশ সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের সুদর্শন ও চৌকস গুপ্তচর জেমস বন্ডের জন্ম নভেম্বর মাসে বলে ধরে নেওয়া হয়। যদিও এ নিয়ে খানিক বিতর্ক আছে। জন পিয়ারসনের কল্পিত জীবনী ‘জেমস বন্ড: দ্য অথরাইজড বায়োগ্রাফি অব ০০৭ ’-এ বন্ডের জন্মতারিখ ১১ নভেম্বর ১৯২০ হিসেবে লেখা হয়েছে। আবার বন্ড বিশেষজ্ঞ জন গ্রিসওল্ড...
৯ ঘণ্টা আগেসূর্য অস্ত যেতে তখনো অনেক সময় বাকি। কপোতাক্ষ নদে নৌকার সারি। পাল নেই। পালের জায়গায় শোভা পাচ্ছে রংবেরঙের বেলুন। নৌকার ওপর বসেছে সাত-আটজন। মোটর লাগানো নৌকা বেশ গতিশীল। এর নাম কপোতাক্ষ বিনোদন বোট।
৯ ঘণ্টা আগেমরুভূমির দেশ সৌদি আরবে শীতকালে তুষারপাত হয়! ভাবতেই কেমন এক অনুভূতি তৈরি হয় মনে। কিন্তু ঘটনা তো আর মিথ্যা নয়। আর সময়টা শীতকালে—ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে মার্চ মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। সে সময় দেশটির দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় অল্প সময়ের জন্য তুষারপাত হয়। থাকে কনকনে ঠান্ডা...
৯ ঘণ্টা আগেশীতে বেড়ানোর জন্য উত্তরবঙ্গ তো রইলই। আর কোথায়? রোমাঞ্চকর ভ্রমণের জন্য অনন্য চন্দ্রনাথ পাহাড়। চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩৭ কিলোমিটার উত্তরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার পূর্বে এই পাহাড়। এর চূড়ায় উঠতে পাড়ি দিতে হয় পিচ্ছিল ও সরু ২ হাজার ২০০টির বেশি সিঁড়ি।
৯ ঘণ্টা আগে