রিক্তা রিচি

চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো। মেক্সিকো থেকে যার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো বিশ্বে। ফ্রিদাকে ভালোবেসে সুঁই সুতায় বন্দী করেছেন এক বাঙালি নারী। নাম সাদিয়া সুলতানা। কী নিখুঁতভাবে যে তিনি ফ্রিদাকে তুলে ধরেছেন! দেখে ভীষণ অবাক হলাম।
পৃথিবীতে এত এত শিল্পী-কবি-সাহিত্যিক, এত এত দৃশ্য, এত কিছু থাকতে সাদিয়া সুলতানা ফ্রিদা কাহলোকেই কেন আঁকলেন? জানতে চাইলে সাদিয়া জানান, ফ্রিদা তাঁর প্রিয় শিল্পী।
সাদিয়া বলেন, একবার একটা লেখার প্রয়োজনে হাইপেশিয়া আর ফ্রিদা কাহলোকে নিয়ে বেশ কিছু আর্টিকেল পড়ার সুযোগ হয়। তখন ফ্রিদাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করি। পোলিও আক্রান্ত ফ্রিদার শৈশব, তারুণ্য, দুর্ঘটনা, প্রেম, শিল্পী জীবন—সব আমাকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করে। জীবনের অগুনতি সংকটের পরও ফ্রিদা উঠে দাঁড়িয়েছেন বারবার। হতাশায় ভুগেও জীবনের মুখোমুখি হয়েছেন। রং-তুলিতে নিজেকে, নিজের অন্তর্জগৎ এঁকেছেন। ফ্রিদার আঁকা আত্ম-প্রকৃতিতে যে পরাবাস্তবতা আর বাস্তবতার যন্ত্রণা উঠে আসে, তা যেন আমাকেও আয়নার সামনে দাঁড় করায়। এই অনুভূতি নিজের ভেতরের বিষাদকে ঘায়েল করে, স্ফুলিঙ্গ তৈরি করে। আসলে ফ্রিদা নিজেকে ভালোবাসতে শেখায়। তাই ফ্রিদাকেও ভালোবাসতে হয়। সেই ভালোবাসার একটা চিহ্ন হুপআর্ট হয়ে রইল আমার ঘরে।
কিন্তু এই নিখুঁত কাজটি তিনি কীভাবে করলেন? তিনিও কি ফ্রিদার মতো নিজের অন্তর্গত সমস্ত দুঃখ-বিষাদকে ঘায়েল করতে চান? এ জন্যই কি বেছে নিয়েছেন হুপ আর্ট? উত্তরে সাদিয়া জানান, গত বছর করোনার কারণে যখন সাধারণ ছুটি চলছিল, তখন গৃহবন্দী জীবন বেশ একঘেয়ে লাগছিল তাঁর। মানসিক অবসাদ ও একঘেয়েমি দূর করতে ছোট বেলায় শিখে রাখা সুঁই-সুতার কাজকে বেছে নেন। পেশাগত কাজ, সংসার সবকিছু সামলে সুঁই-সুতার কাজ প্রায় ভুলতে বসেছিলেন তিনি। সাধারণ ছুটি ও লকডাউনের দিনগুলোতে তাঁর মনে হতো যে সময় চলে যাচ্ছে, তা আর ফিরে আসবে না। একটা সময় দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসবে, সাধ থাকলেও সাধ্য থাকবে না। তাই তিনি সুঁই-সুতা দিয়ে নকশা আঁকতে শুরু করলেন। এর পর একদিন ফ্রিদার শিল্পকর্ম সুঁই-সুতা দিয়ে আঁকার ভাবনা এল তাঁর মাথায়।
‘একদিন সাহস করে কাপড়ে পেনসিল দিয়ে ফ্রিদা কাহলোর ‘সেলফ পোর্ট্রেট উইথ থর্ন নেকলেস অ্যান্ড হামিংবার্ড’ এঁকে সেলাই করতে শুরু করলাম। ভরাট, ডাল ফোঁড় ইত্যাদি সেলাই দিয়ে বিড়াল, পাতা ফুল সেলাই করে আস্তে আস্তে যখন ফ্রিদার মুখাবয়ব আনার চেষ্টা করছিলাম, তখন প্রথমে কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। এত সূক্ষ্ম কাজ ফ্রিদার! তবু ভালোবেসে কাজটা করার চেষ্টা করেছি। যতক্ষণ না নিজে সন্তুষ্ট হয়েছি, ততক্ষণ ফোঁড় খুলেছি, নতুন করে ফোঁড় তুলেছি’—জানান সাদিয়া।
সাদিয়া সুলতানা সেলাইয়ের কাজ শেখেন ছোটবেলায়। দেখতেন মা ও বোনদের সেলাইয়ের কাজ। স্কুলেও শেখানো হতো কিছুটা। পরীক্ষার সময় রুমাল, টেবিল ক্লথ ইত্যাদি তৈরি করে জমাও দিতে হতো। সেলাইকাজ জমা দিতে গিয়ে সেলাইয়ের প্রথম হাতেখড়ি হয় তাঁর। এ ছাড়া তিনি তাঁর মা ও বড় বোনকে দেখেছেন সুঁই-সুতার কাজ করতে। তাঁরা সুঁই-সুতার নকশা থেকে শুরু করে কুশি-কাঁটা, উলের কাজ, সেলাই মেশিনে জামা-কাপড় তৈরি করতেন।
সাদিয়া সুলতানারা চার বোন ও এক ভাই। মধ্যবিত্ত জীবনে বেড়ে উঠেছেন তাঁরা। সে সময় ঘরে সেলাই করা সাদামাটা কামিজকে আকর্ষণীয় আর মূল্যবান করতে তাঁরা চার বোনই সুঁই-সুতার কাজ করতেন।
এর পর অনেক সময় গড়িয়েছে, সাদিয়া সুলতানার বিয়ে হয়েছে, সন্তান হয়েছে। কিন্তু সেলাইয়ের অভ্যাস যায়নি। বরং শিশুদের জন্মের পর নতুন করে আনন্দ আয়োজন শুরু হলো। ওদের জন্য সেলাই মেশিনে তৈরি করতে লাগলেন ফ্রক ও ফতুয়া। সেসবে সুঁই-সুতার নকশা করতেন তিনি। সংসার সাজানোর জন্য অনেক ওয়ালম্যাটও সেলাই করেছেন। এর পর কাজের চাপে অনেক বছর শৌখিন কিছু সেলাই করেননি তিনি।
করোনার কারণে সঙ্গ নিরোধকালে তাঁর মনে হলো, যান্ত্রিক জীবন বিশেষ করে মোবাইল আসক্তি শখ, স্বপ্ন সব খেয়ে ফেলছে। মায়ের ঐতিহ্যটুকু ধরে রাখা যেন নিজের স্বপ্ন জিইয়ে রাখার মতোই। এসব ভাবনা থেকে আবার কুশন কভার, জামা আর ওয়ালম্যাট সেলাইয়ে হাত দিলেন শৌখিন সাদিয়া। ফেসবুক গ্রুপ ‘শখের সেলাইয়ে’ নিজের সেলাইয়ের ছবি শেয়ার দিতে থাকেন তিনি। ব্যাপক সাড়াও পান। সেখান থেকেই প্রথম হুপআর্টের ধারণা পান তিনি।
এই মহামারিকালে মানসিকভাবে সাদিয়াও মাঝেমধ্যে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। হতাশও হন। তবে হতাশা বা আত্মসংকট বাড়তে দেন না মোটেই। মনে নেতিবাচক চিন্তা শেকড় গাড়ার আগেই উপড়ে ফেলেন। সুঁই-সুতা, ফ্রেম নিয়ে বসেন। ‘সেলাই করলে আমার মন ভালো হয়ে যায়। এ ছাড়া দিনে কিছু না কিছু পড়ি, হয় এক বা একাধিক গল্প, নয়তো কোনো উপন্যাসের কয়েক পাতা। এসব ছাড়া আমার গাছের সবুজও আমাকে প্রফুল্ল রাখে। আসলে ব্যস্ততাই জীবন। আর তাই একঘেয়ে দিনলিপিকে বৈচিত্র্যময় করতে নিজের শখের কাজে ব্যস্ত থাকি’, বলেন সাদিয়া সুলতানা।
সেলাই নিয়ে আপনার কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আছে কি? জানতে চাইলে সাদিয়া বলেন, ‘আসলে প্রথমে তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ঐতিহ্যকে ধরে রাখছি, আনন্দ পাচ্ছি—এই দুই অনুভবই কাজ করতে উৎসাহিত করত। ইদানীং ফেসবুকে সূচিকর্মের ছবি শেয়ারের পর অনেকের কাছ থেকে এত সাড়া পেয়েছি যে, আমি নতুনভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছি। অনেকে আমাকে ম্যাসেজ করেন, নিজের কাজ দেখান, আমার কাজ কিনতে চান। উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করার আমন্ত্রণ জানান। আবার তাঁরা নিজে বা তাঁদের সন্তানেরা যে আমাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সেলাই করে, সেসবের ছবিও পাঠান। এসব দেখে আমার খুব ভালো লাগে। এমনকি আমার কয়েকজন বন্ধু আমার সূচিকর্মের একটা প্রদর্শনী আয়োজনও করতে চাইছেন। তবে আমি মনে করি, এখনো সেই সময় আসেনি। দৃষ্টিশক্তি নাজুক হওয়ার আগেই আমি আমার দেশ, প্রকৃতি নিয়ে আরও কিছু কাজ করতে চাই। আর চাই প্রায় হারিয়ে যেতে বসা সূচিশিল্প আবার ঘরে ঘরে আমাদের অবসরের অনুষঙ্গ হয়ে উঠুক।’
সেলাই ছাড়াও অবসরে বাগান করতে ভালোবাসেন সাদিয়া সুলতানা। ছাদে ও বারান্দায় বাগান করেন তিনি। পেশাগত জীবনে বিচারক হলেও তিনি তাঁর এই পরিচয়কে লুকিয়েই রাখেন। বর্তমানে তিনি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে কর্মরত। তবে তিনি মানুষের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করেন সহজ ও সাধারণ হিসেবে। পেশাগত কাজের ফাঁকে যতটুকু সময় পান, সে সময়ে লেখালেখি করেন।
গল্প-উপন্যাস পড়তে ও লিখতে বেশি ভালোবাসেন। সাদিয়ার প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘চক্র’ (গল্পগ্রন্থ, ২০১৪), ‘ন আকারে না’ (গল্পগ্রন্থ, ২০১৭), ‘আমি আঁধারে থাকি’ (উপন্যাস, ২০১৮), ‘ঘুম ঘরের সুখ-অসুখ’ (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯), ‘মেনকি ফান্দার অপরাধ কিংবা পাপ’ (গল্পগ্রন্থ, ২০২০) এবং ‘আজু মাইয়ের পৈতানের সুখ’ (মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপন্যাসিকা, ২০২০)।
ছোট থেকে লেখালেখির আগ্রহ বলেই পড়ার অভ্যাসটাও তখন থেকেই গড়ে ওঠে সাদিয়ার। প্রিয় লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, মাহবুবুল হক, হাসান আজিজুল হক, নাসরীন জাহান, কুলদা রায় প্রমুখ। প্রিয় বইয়ের সংখ্যাও অসংখ্য। তবে বারবার পড়েন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মাহবুবুল হকের কিছু ছোট গল্প, নাসরীন জাহানের ‘উড়ুক্কু’, ‘কমলা সুন্দরী আর এক সন্ধ্যার কাহিনি’, কুলদা রায়ের ‘বৃষ্টিচিহ্নিত জল’, জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলি’, ডা. এম এ হাসানের ‘যুদ্ধ ও নারী’।
লেখালেখি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে সাদিয়া বলেন, ‘পরিকল্পনা করে তেমন কিছু লিখতে পারি না। আমার অভিজ্ঞতা আর যাতনা আমাকে লেখায়। তাই সামনে কী অপেক্ষা করছে আমি জানি না। কেবল কর্মজীবনের ব্যস্ততা বাঁচিয়ে যতটুকু সময় পাই লিখে যেতে চাই। বিশেষ করে নারী ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আরও কিছু লিখতে চাই।’
পড়াশোনা, লেখালেখি বা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নারী হিসেবে কোনো বাধা বা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন কি? সাদিয়া বললেন, ‘বাধার সম্মুখীন তো হয়েছি, হচ্ছি প্রতিনিয়ত। বাধা ডিঙাতেও শিখেছি। নারী হিসেবে যাঁরা আমাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য আর বক্রোক্তি করেছে, তাঁদের জবাব দিতেও শিখেছি। আর পড়াশোনা, লেখালেখি আর পেশাগত দায়িত্ব, তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্তর। তাই বাধা বা সমস্যার গল্পগুলোও ভিন্নতর। সেসব নিয়ে সবিস্তারে বলার সময় এখনো আসেনি বলে মনে করি। শুধু বলব, একটা সময় বাবাহীন মধ্যবিত্ত পরিবারে যত ধরনের সংকট আসতে পারে, সবই এসেছে। তবে আমার মা কখনোই আমাদের পাঁচ ভাইবোনকে পড়াশোনা ছাড়া বিকল্প কিছু ভাবতে শেখাননি। ছেলেমেয়ে হিসেবে আমাদের প্রতি নিজের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যও করেননি। এসবই ছিল জীবনের প্রথম ইতিবাচকতা। আর তাই মগজে গেঁথে নিয়েছিলাম মায়ের শিক্ষা, নিজেকে তৈরি করতে হবে। স্বাবলম্বী হতে হবে। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া ব্যক্তি স্বাধীনতা, আর স্বাতন্ত্র্য যে থাকবে না, তা উপলব্ধি করেছিলাম বলেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়েছি।

চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো। মেক্সিকো থেকে যার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো বিশ্বে। ফ্রিদাকে ভালোবেসে সুঁই সুতায় বন্দী করেছেন এক বাঙালি নারী। নাম সাদিয়া সুলতানা। কী নিখুঁতভাবে যে তিনি ফ্রিদাকে তুলে ধরেছেন! দেখে ভীষণ অবাক হলাম।
পৃথিবীতে এত এত শিল্পী-কবি-সাহিত্যিক, এত এত দৃশ্য, এত কিছু থাকতে সাদিয়া সুলতানা ফ্রিদা কাহলোকেই কেন আঁকলেন? জানতে চাইলে সাদিয়া জানান, ফ্রিদা তাঁর প্রিয় শিল্পী।
সাদিয়া বলেন, একবার একটা লেখার প্রয়োজনে হাইপেশিয়া আর ফ্রিদা কাহলোকে নিয়ে বেশ কিছু আর্টিকেল পড়ার সুযোগ হয়। তখন ফ্রিদাকে নতুনভাবে আবিষ্কার করি। পোলিও আক্রান্ত ফ্রিদার শৈশব, তারুণ্য, দুর্ঘটনা, প্রেম, শিল্পী জীবন—সব আমাকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করে। জীবনের অগুনতি সংকটের পরও ফ্রিদা উঠে দাঁড়িয়েছেন বারবার। হতাশায় ভুগেও জীবনের মুখোমুখি হয়েছেন। রং-তুলিতে নিজেকে, নিজের অন্তর্জগৎ এঁকেছেন। ফ্রিদার আঁকা আত্ম-প্রকৃতিতে যে পরাবাস্তবতা আর বাস্তবতার যন্ত্রণা উঠে আসে, তা যেন আমাকেও আয়নার সামনে দাঁড় করায়। এই অনুভূতি নিজের ভেতরের বিষাদকে ঘায়েল করে, স্ফুলিঙ্গ তৈরি করে। আসলে ফ্রিদা নিজেকে ভালোবাসতে শেখায়। তাই ফ্রিদাকেও ভালোবাসতে হয়। সেই ভালোবাসার একটা চিহ্ন হুপআর্ট হয়ে রইল আমার ঘরে।
কিন্তু এই নিখুঁত কাজটি তিনি কীভাবে করলেন? তিনিও কি ফ্রিদার মতো নিজের অন্তর্গত সমস্ত দুঃখ-বিষাদকে ঘায়েল করতে চান? এ জন্যই কি বেছে নিয়েছেন হুপ আর্ট? উত্তরে সাদিয়া জানান, গত বছর করোনার কারণে যখন সাধারণ ছুটি চলছিল, তখন গৃহবন্দী জীবন বেশ একঘেয়ে লাগছিল তাঁর। মানসিক অবসাদ ও একঘেয়েমি দূর করতে ছোট বেলায় শিখে রাখা সুঁই-সুতার কাজকে বেছে নেন। পেশাগত কাজ, সংসার সবকিছু সামলে সুঁই-সুতার কাজ প্রায় ভুলতে বসেছিলেন তিনি। সাধারণ ছুটি ও লকডাউনের দিনগুলোতে তাঁর মনে হতো যে সময় চলে যাচ্ছে, তা আর ফিরে আসবে না। একটা সময় দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসবে, সাধ থাকলেও সাধ্য থাকবে না। তাই তিনি সুঁই-সুতা দিয়ে নকশা আঁকতে শুরু করলেন। এর পর একদিন ফ্রিদার শিল্পকর্ম সুঁই-সুতা দিয়ে আঁকার ভাবনা এল তাঁর মাথায়।
‘একদিন সাহস করে কাপড়ে পেনসিল দিয়ে ফ্রিদা কাহলোর ‘সেলফ পোর্ট্রেট উইথ থর্ন নেকলেস অ্যান্ড হামিংবার্ড’ এঁকে সেলাই করতে শুরু করলাম। ভরাট, ডাল ফোঁড় ইত্যাদি সেলাই দিয়ে বিড়াল, পাতা ফুল সেলাই করে আস্তে আস্তে যখন ফ্রিদার মুখাবয়ব আনার চেষ্টা করছিলাম, তখন প্রথমে কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। এত সূক্ষ্ম কাজ ফ্রিদার! তবু ভালোবেসে কাজটা করার চেষ্টা করেছি। যতক্ষণ না নিজে সন্তুষ্ট হয়েছি, ততক্ষণ ফোঁড় খুলেছি, নতুন করে ফোঁড় তুলেছি’—জানান সাদিয়া।
সাদিয়া সুলতানা সেলাইয়ের কাজ শেখেন ছোটবেলায়। দেখতেন মা ও বোনদের সেলাইয়ের কাজ। স্কুলেও শেখানো হতো কিছুটা। পরীক্ষার সময় রুমাল, টেবিল ক্লথ ইত্যাদি তৈরি করে জমাও দিতে হতো। সেলাইকাজ জমা দিতে গিয়ে সেলাইয়ের প্রথম হাতেখড়ি হয় তাঁর। এ ছাড়া তিনি তাঁর মা ও বড় বোনকে দেখেছেন সুঁই-সুতার কাজ করতে। তাঁরা সুঁই-সুতার নকশা থেকে শুরু করে কুশি-কাঁটা, উলের কাজ, সেলাই মেশিনে জামা-কাপড় তৈরি করতেন।
সাদিয়া সুলতানারা চার বোন ও এক ভাই। মধ্যবিত্ত জীবনে বেড়ে উঠেছেন তাঁরা। সে সময় ঘরে সেলাই করা সাদামাটা কামিজকে আকর্ষণীয় আর মূল্যবান করতে তাঁরা চার বোনই সুঁই-সুতার কাজ করতেন।
এর পর অনেক সময় গড়িয়েছে, সাদিয়া সুলতানার বিয়ে হয়েছে, সন্তান হয়েছে। কিন্তু সেলাইয়ের অভ্যাস যায়নি। বরং শিশুদের জন্মের পর নতুন করে আনন্দ আয়োজন শুরু হলো। ওদের জন্য সেলাই মেশিনে তৈরি করতে লাগলেন ফ্রক ও ফতুয়া। সেসবে সুঁই-সুতার নকশা করতেন তিনি। সংসার সাজানোর জন্য অনেক ওয়ালম্যাটও সেলাই করেছেন। এর পর কাজের চাপে অনেক বছর শৌখিন কিছু সেলাই করেননি তিনি।
করোনার কারণে সঙ্গ নিরোধকালে তাঁর মনে হলো, যান্ত্রিক জীবন বিশেষ করে মোবাইল আসক্তি শখ, স্বপ্ন সব খেয়ে ফেলছে। মায়ের ঐতিহ্যটুকু ধরে রাখা যেন নিজের স্বপ্ন জিইয়ে রাখার মতোই। এসব ভাবনা থেকে আবার কুশন কভার, জামা আর ওয়ালম্যাট সেলাইয়ে হাত দিলেন শৌখিন সাদিয়া। ফেসবুক গ্রুপ ‘শখের সেলাইয়ে’ নিজের সেলাইয়ের ছবি শেয়ার দিতে থাকেন তিনি। ব্যাপক সাড়াও পান। সেখান থেকেই প্রথম হুপআর্টের ধারণা পান তিনি।
এই মহামারিকালে মানসিকভাবে সাদিয়াও মাঝেমধ্যে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। হতাশও হন। তবে হতাশা বা আত্মসংকট বাড়তে দেন না মোটেই। মনে নেতিবাচক চিন্তা শেকড় গাড়ার আগেই উপড়ে ফেলেন। সুঁই-সুতা, ফ্রেম নিয়ে বসেন। ‘সেলাই করলে আমার মন ভালো হয়ে যায়। এ ছাড়া দিনে কিছু না কিছু পড়ি, হয় এক বা একাধিক গল্প, নয়তো কোনো উপন্যাসের কয়েক পাতা। এসব ছাড়া আমার গাছের সবুজও আমাকে প্রফুল্ল রাখে। আসলে ব্যস্ততাই জীবন। আর তাই একঘেয়ে দিনলিপিকে বৈচিত্র্যময় করতে নিজের শখের কাজে ব্যস্ত থাকি’, বলেন সাদিয়া সুলতানা।
সেলাই নিয়ে আপনার কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আছে কি? জানতে চাইলে সাদিয়া বলেন, ‘আসলে প্রথমে তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ঐতিহ্যকে ধরে রাখছি, আনন্দ পাচ্ছি—এই দুই অনুভবই কাজ করতে উৎসাহিত করত। ইদানীং ফেসবুকে সূচিকর্মের ছবি শেয়ারের পর অনেকের কাছ থেকে এত সাড়া পেয়েছি যে, আমি নতুনভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছি। অনেকে আমাকে ম্যাসেজ করেন, নিজের কাজ দেখান, আমার কাজ কিনতে চান। উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করার আমন্ত্রণ জানান। আবার তাঁরা নিজে বা তাঁদের সন্তানেরা যে আমাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সেলাই করে, সেসবের ছবিও পাঠান। এসব দেখে আমার খুব ভালো লাগে। এমনকি আমার কয়েকজন বন্ধু আমার সূচিকর্মের একটা প্রদর্শনী আয়োজনও করতে চাইছেন। তবে আমি মনে করি, এখনো সেই সময় আসেনি। দৃষ্টিশক্তি নাজুক হওয়ার আগেই আমি আমার দেশ, প্রকৃতি নিয়ে আরও কিছু কাজ করতে চাই। আর চাই প্রায় হারিয়ে যেতে বসা সূচিশিল্প আবার ঘরে ঘরে আমাদের অবসরের অনুষঙ্গ হয়ে উঠুক।’
সেলাই ছাড়াও অবসরে বাগান করতে ভালোবাসেন সাদিয়া সুলতানা। ছাদে ও বারান্দায় বাগান করেন তিনি। পেশাগত জীবনে বিচারক হলেও তিনি তাঁর এই পরিচয়কে লুকিয়েই রাখেন। বর্তমানে তিনি যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে কর্মরত। তবে তিনি মানুষের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করেন সহজ ও সাধারণ হিসেবে। পেশাগত কাজের ফাঁকে যতটুকু সময় পান, সে সময়ে লেখালেখি করেন।
গল্প-উপন্যাস পড়তে ও লিখতে বেশি ভালোবাসেন। সাদিয়ার প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘চক্র’ (গল্পগ্রন্থ, ২০১৪), ‘ন আকারে না’ (গল্পগ্রন্থ, ২০১৭), ‘আমি আঁধারে থাকি’ (উপন্যাস, ২০১৮), ‘ঘুম ঘরের সুখ-অসুখ’ (গল্পগ্রন্থ, ২০১৯), ‘মেনকি ফান্দার অপরাধ কিংবা পাপ’ (গল্পগ্রন্থ, ২০২০) এবং ‘আজু মাইয়ের পৈতানের সুখ’ (মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপন্যাসিকা, ২০২০)।
ছোট থেকে লেখালেখির আগ্রহ বলেই পড়ার অভ্যাসটাও তখন থেকেই গড়ে ওঠে সাদিয়ার। প্রিয় লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, মাহবুবুল হক, হাসান আজিজুল হক, নাসরীন জাহান, কুলদা রায় প্রমুখ। প্রিয় বইয়ের সংখ্যাও অসংখ্য। তবে বারবার পড়েন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মাহবুবুল হকের কিছু ছোট গল্প, নাসরীন জাহানের ‘উড়ুক্কু’, ‘কমলা সুন্দরী আর এক সন্ধ্যার কাহিনি’, কুলদা রায়ের ‘বৃষ্টিচিহ্নিত জল’, জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলি’, ডা. এম এ হাসানের ‘যুদ্ধ ও নারী’।
লেখালেখি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে সাদিয়া বলেন, ‘পরিকল্পনা করে তেমন কিছু লিখতে পারি না। আমার অভিজ্ঞতা আর যাতনা আমাকে লেখায়। তাই সামনে কী অপেক্ষা করছে আমি জানি না। কেবল কর্মজীবনের ব্যস্ততা বাঁচিয়ে যতটুকু সময় পাই লিখে যেতে চাই। বিশেষ করে নারী ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আরও কিছু লিখতে চাই।’
পড়াশোনা, লেখালেখি বা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নারী হিসেবে কোনো বাধা বা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন কি? সাদিয়া বললেন, ‘বাধার সম্মুখীন তো হয়েছি, হচ্ছি প্রতিনিয়ত। বাধা ডিঙাতেও শিখেছি। নারী হিসেবে যাঁরা আমাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য আর বক্রোক্তি করেছে, তাঁদের জবাব দিতেও শিখেছি। আর পড়াশোনা, লেখালেখি আর পেশাগত দায়িত্ব, তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্তর। তাই বাধা বা সমস্যার গল্পগুলোও ভিন্নতর। সেসব নিয়ে সবিস্তারে বলার সময় এখনো আসেনি বলে মনে করি। শুধু বলব, একটা সময় বাবাহীন মধ্যবিত্ত পরিবারে যত ধরনের সংকট আসতে পারে, সবই এসেছে। তবে আমার মা কখনোই আমাদের পাঁচ ভাইবোনকে পড়াশোনা ছাড়া বিকল্প কিছু ভাবতে শেখাননি। ছেলেমেয়ে হিসেবে আমাদের প্রতি নিজের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যও করেননি। এসবই ছিল জীবনের প্রথম ইতিবাচকতা। আর তাই মগজে গেঁথে নিয়েছিলাম মায়ের শিক্ষা, নিজেকে তৈরি করতে হবে। স্বাবলম্বী হতে হবে। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া ব্যক্তি স্বাধীনতা, আর স্বাতন্ত্র্য যে থাকবে না, তা উপলব্ধি করেছিলাম বলেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেয়েছি।

আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
৩৯ মিনিট আগে
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
১ ঘণ্টা আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
২ ঘণ্টা আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে। সাবধান! এই অর্থ আপনার একার, মহাজাগতিক ঋণের নয়। সারা দিন জনসেবার ইচ্ছা জাগবে, ভালো কথা। কিন্তু তার আগে নিজের বিলগুলো মেটানো জরুরি। ভাগ্য আজ আপনাকে দেখাবে—টাকা উপার্জন করা যতটা সহজ, সেটা ধরে রাখা তার চেয়েও কঠিন! আজকের মন্ত্র হোক: কফি খাব, তবে বিল দেব না।
বৃষ
সকাল থেকে একটা অদ্ভুত মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি আপনাকে তাড়া করবে। এর কারণ সম্ভবত গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্টুন দেখা। জ্যোতিষ বলছে, ‘কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু আপনাকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন।’ সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি আর কেউ নয়—সে হলো আপনার ফ্রিজের ভেতরে রাখা সেই মিষ্টির বাক্স, যেটি আপনাকে ডায়েট ভাঙতে উৎসাহিত করবে। ধ্যানের মাধ্যমে একাগ্রতা আনার চেষ্টা করুন। বস যদি সকালে কাজে ভুল ধরেন, তখন যোগাভ্যাস শুরু করে দিতে পারেন, হয়তো বস ভয় পাবেন। পেটের সমস্যা এড়াতে আজ অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। কিন্তু যদি দেখেন বন্ধু বিরিয়ানি খাওয়াতে চাচ্ছে, তাহলে এই উপদেশ ভুলে যান। মন খারাপ? মনকে বলুন, ‘বিকেলের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে, তার আগে ঘুমাও।’
মিথুন
সকালের দিকে মেজাজ এমন খিটখিটে থাকবে যে, পোষা প্রাণীটাও আপনাকে এড়িয়ে চলবে। তবে চিন্তা নেই, বিকেলের দিকে মুড ফ্রেশ হবে—যদি না কোনো অপ্রত্যাশিত ফোন কল আসে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম হতে পারে, যা আপনার অহংবোধকে একধাপ বাড়িয়ে দেবে। আজ কিছু নতুন পোশাক, মোবাইল ফোন ইত্যাদি কেনার যোগ রয়েছে। আপনার সম্মান বৃদ্ধির মূল কারণ হতে পারে নতুন ফোনের ক্যামেরা। তাই নিজেকে প্রমাণ করতে নয়, বরং ভালো সেলফি তোলার জন্য আজ মন দিন। সাবধানে অর্থ ব্যয় করুন। যদি অনলাইনে কোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস চোখে পড়ে, মনে রাখবেন—ওটা কালকেও থাকবে।
কর্কট
আজকের দিনটি আপনার জন্য বেশ ব্যয়বহুল হতে চলেছে। এর মানে এই নয় যে দামি কিছু কিনবেন, বরং মানে হলো—হয়তো অফিসের কলিগদের জন্য চা-কফি কিনে নিজের মাসকাবারি বাজেট শেষ করবেন। বসের কাছে প্রশংসা পাবেন, কারণ আপনি কাজের প্রতি খুবই দায়িত্বশীল। এই দায়িত্বশীলতা আপনাকে আরও বেশি কাজ এনে দেবে, যা ভবিষ্যতে মানসিক ভারসাম্য নষ্টের কারণ হবে। সরকারি কাজে অসুবিধা দেখা দেবে—কারণ সরকারি কাজ সব সময়ই অসুবিধা সৃষ্টি করে। ভদ্র থাকুন, নইলে টাকা শেষ হয়ে গেলে ধার চাওয়ার মুখ থাকবে না।
সিংহ
প্রতিদিনের স্বাভাবিক রুটিন বদলানোর চেষ্টা কেউ একজন করবে। সেই ‘কেউ একজন’ আর কেউ নয়, তিনি হলেন আপনার জীবনসঙ্গী, যিনি আপনাকে দিয়ে ঘরের কাজ করানোর চেষ্টা করবেন। সেদিকে বিশেষ নজর রাখুন। তবে দিনের শেষে রোমান্সের যোগ রয়েছে, যদি আপনি রুটিন বদলের এই চ্যালেঞ্জে হেরে যান এবং বশ্যতা স্বীকার করেন। আজ ব্যবসা বা পেশার জন্য অর্থ সংগ্রহে আপনি সফল হবেন। ঘরের কাজকে প্রেমের খেলা মনে করুন। হারলেও লাভ, জিতলেও!
কন্যা
সারা দিন আপনার কোনো বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। চেষ্টা করলেও, ভেতরের কণ্ঠস্বর আপনাকে মনে করিয়ে দেবে—কত কাজ বাকি আছে। আজ আপনার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সামান্য সর্দি-কাশিকে কঠিন ব্যামো ভেবে সারা দিন গুগল করতে পারেন। অফিসে পদোন্নতির যোগ রয়েছে, তবে এর মানে হলো—আপনার ওপর চাপ আরও বাড়বে। ব্যবসায়ীরা আজ আর্থিক বিষয়ে হতাশ হতে পারেন। সন্তানদের বিষয়ে একটু সতর্ক থাকুন। আজ হয়তো তারা আপনার গোপনে জমানো চকলেট খুঁজে পেতে পারে।
তুলা
ব্যবসায় খুব বেশি লাভ দেখতে পাওয়ার যোগ রয়েছে। এই লাভকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যের আগের থেকে উন্নতি দেখা যাবে। আজকের দিনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভদ্র থাকবেন এবং মানসিকভাবে ভারসাম্য বজায় রাখবেন। তবে সাবধান, এই ভদ্রতা যেন অতিরিক্ত বিনয়ে রূপ না নেয়। না হলে সবাই আপনাকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেবে। অতিরিক্ত লাভের খবর পেয়ে রাতে ঘুম ভাঙতে পারে। চিন্তা করবেন না, এটা শুধু গ্যাস।
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য ফলপ্রসূ হতে চলেছে। তবে এই ‘ফল’ হয়তো আপনার ই-মেইল ইনবক্সে জমা হওয়া হাজারো নতুন ই-মেইলের স্তূপ! কর্মজীবনের দিক থেকে নতুন সুযোগ পেতে পারেন। এটি হতে পারে—বসের নতুন প্রজেক্ট, যা আপনি একা সামলাবেন। অর্থের দিক থেকে দিনটি শুভ, কারণ আপনি আজ বুদ্ধি করে একটি অপ্রয়োজনীয় অনলাইন শপিং অর্ডার বাতিল করবেন। অর্থের দিক থেকে শুভ, মানে আপনি আজ অন্তত এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
ধনু
আপনার জন্য আজ একটি শুভ দিন হতে চলেছে। এতটা শুভ যে, হয়তো সকালে উঠে জুতা পরার সময় মোজা পরতে ভুলে যাবেন। ক্যারিয়ারে লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি পরিকল্পনা করুন। দিনের মূল প্ল্যানিং হবে, কীভাবে এই পরিকল্পনাকে আবার পরের দিনের জন্য স্থগিত করা যায়। গাড়ি চালানোর সময় অসতর্কতা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষত যখন আপনি ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। আপনার ভাগ্য আজ ভালো, শুধু নিজেকে বেশি সিরিয়াস না নিলেই হলো।
মকর
জ্যোতিষ বলছে, ‘সব জায়গায় ইতিবাচক মনোভাব দেখালে চলবে না।’ সত্যি কথা! আপনার ইতিবাচকতা দেখে অন্যরা ভয় পেতে পারে। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। ঝামেলার কারণ—আপনাকে দেখিয়ে কেউ যদি ভুল করে হাসে! বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন, যেমন—সকালের নাশতায় কী খাবেন, পাউরুটি নাকি পরোটা? আপনি মানসিক চাপে ভুগতে পারেন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন। যদি দেখেন কেউ আলু-পেঁয়াজ নিয়ে তর্ক করছে, সেখানে জড়াবেন না।
কুম্ভ
শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রচুর দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মানে শুধু একটাই—আপনার ছুটি বাতিল। রাজনৈতিক কোনো কাজ করার আগে খুব ভাবনাচিন্তা করার দরকার আছে। সামনে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ আসবে, কিন্তু আপনি এমন দায়িত্বশীল যে সেই সুযোগ নিতে পারবেন না। যদিও মন চাইবে, ‘যাই হোক, একটু ফাঁকি দেওয়া যাক।’ এই দোটানা মানসিক চাপ বাড়াবে। ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ এলেও, যদি দেখেন বস আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছেন, তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করুন।
মীন
আজ সৃজনশীল শক্তিতে পূর্ণ একটি দিন কাটাবেন। আপনার এই সৃজনশীলতা হয়তো কাজে লাগতে পারে—বাড়িতে ভেঙে যাওয়া দামি জিনিসটি মেরামত করার জন্য। অর্থের দিক থেকে ভাগ্যবান প্রমাণিত হতে পারেন। হয়তো পুরোনো কোনো প্যান্টের পকেটে একটি পাঁচশ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। কেউ কোনো দায়িত্ব দিলে একেবারেই নেবেন না, কারণ এটা আপনার জন্য একটি ফাঁদ হতে পারে। আজ উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে—কারণ আপনি ওই দায়িত্বটি না নিতে পারার অপরাধবোধে ভুগবেন। দাম্পত্য জীবন শান্ত ও সুখকর থাকবে। কারণ সঙ্গী আজ আপনার সৃজনশীলতা দেখে কথা বলার সাহস পাবেন না।

মেষ
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে। সাবধান! এই অর্থ আপনার একার, মহাজাগতিক ঋণের নয়। সারা দিন জনসেবার ইচ্ছা জাগবে, ভালো কথা। কিন্তু তার আগে নিজের বিলগুলো মেটানো জরুরি। ভাগ্য আজ আপনাকে দেখাবে—টাকা উপার্জন করা যতটা সহজ, সেটা ধরে রাখা তার চেয়েও কঠিন! আজকের মন্ত্র হোক: কফি খাব, তবে বিল দেব না।
বৃষ
সকাল থেকে একটা অদ্ভুত মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি আপনাকে তাড়া করবে। এর কারণ সম্ভবত গভীর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্টুন দেখা। জ্যোতিষ বলছে, ‘কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু আপনাকে ঠকানোর চেষ্টা করবেন।’ সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধুটি আর কেউ নয়—সে হলো আপনার ফ্রিজের ভেতরে রাখা সেই মিষ্টির বাক্স, যেটি আপনাকে ডায়েট ভাঙতে উৎসাহিত করবে। ধ্যানের মাধ্যমে একাগ্রতা আনার চেষ্টা করুন। বস যদি সকালে কাজে ভুল ধরেন, তখন যোগাভ্যাস শুরু করে দিতে পারেন, হয়তো বস ভয় পাবেন। পেটের সমস্যা এড়াতে আজ অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। কিন্তু যদি দেখেন বন্ধু বিরিয়ানি খাওয়াতে চাচ্ছে, তাহলে এই উপদেশ ভুলে যান। মন খারাপ? মনকে বলুন, ‘বিকেলের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে, তার আগে ঘুমাও।’
মিথুন
সকালের দিকে মেজাজ এমন খিটখিটে থাকবে যে, পোষা প্রাণীটাও আপনাকে এড়িয়ে চলবে। তবে চিন্তা নেই, বিকেলের দিকে মুড ফ্রেশ হবে—যদি না কোনো অপ্রত্যাশিত ফোন কল আসে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম হতে পারে, যা আপনার অহংবোধকে একধাপ বাড়িয়ে দেবে। আজ কিছু নতুন পোশাক, মোবাইল ফোন ইত্যাদি কেনার যোগ রয়েছে। আপনার সম্মান বৃদ্ধির মূল কারণ হতে পারে নতুন ফোনের ক্যামেরা। তাই নিজেকে প্রমাণ করতে নয়, বরং ভালো সেলফি তোলার জন্য আজ মন দিন। সাবধানে অর্থ ব্যয় করুন। যদি অনলাইনে কোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস চোখে পড়ে, মনে রাখবেন—ওটা কালকেও থাকবে।
কর্কট
আজকের দিনটি আপনার জন্য বেশ ব্যয়বহুল হতে চলেছে। এর মানে এই নয় যে দামি কিছু কিনবেন, বরং মানে হলো—হয়তো অফিসের কলিগদের জন্য চা-কফি কিনে নিজের মাসকাবারি বাজেট শেষ করবেন। বসের কাছে প্রশংসা পাবেন, কারণ আপনি কাজের প্রতি খুবই দায়িত্বশীল। এই দায়িত্বশীলতা আপনাকে আরও বেশি কাজ এনে দেবে, যা ভবিষ্যতে মানসিক ভারসাম্য নষ্টের কারণ হবে। সরকারি কাজে অসুবিধা দেখা দেবে—কারণ সরকারি কাজ সব সময়ই অসুবিধা সৃষ্টি করে। ভদ্র থাকুন, নইলে টাকা শেষ হয়ে গেলে ধার চাওয়ার মুখ থাকবে না।
সিংহ
প্রতিদিনের স্বাভাবিক রুটিন বদলানোর চেষ্টা কেউ একজন করবে। সেই ‘কেউ একজন’ আর কেউ নয়, তিনি হলেন আপনার জীবনসঙ্গী, যিনি আপনাকে দিয়ে ঘরের কাজ করানোর চেষ্টা করবেন। সেদিকে বিশেষ নজর রাখুন। তবে দিনের শেষে রোমান্সের যোগ রয়েছে, যদি আপনি রুটিন বদলের এই চ্যালেঞ্জে হেরে যান এবং বশ্যতা স্বীকার করেন। আজ ব্যবসা বা পেশার জন্য অর্থ সংগ্রহে আপনি সফল হবেন। ঘরের কাজকে প্রেমের খেলা মনে করুন। হারলেও লাভ, জিতলেও!
কন্যা
সারা দিন আপনার কোনো বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকবে না। চেষ্টা করলেও, ভেতরের কণ্ঠস্বর আপনাকে মনে করিয়ে দেবে—কত কাজ বাকি আছে। আজ আপনার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা দরকার। সামান্য সর্দি-কাশিকে কঠিন ব্যামো ভেবে সারা দিন গুগল করতে পারেন। অফিসে পদোন্নতির যোগ রয়েছে, তবে এর মানে হলো—আপনার ওপর চাপ আরও বাড়বে। ব্যবসায়ীরা আজ আর্থিক বিষয়ে হতাশ হতে পারেন। সন্তানদের বিষয়ে একটু সতর্ক থাকুন। আজ হয়তো তারা আপনার গোপনে জমানো চকলেট খুঁজে পেতে পারে।
তুলা
ব্যবসায় খুব বেশি লাভ দেখতে পাওয়ার যোগ রয়েছে। এই লাভকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যের আগের থেকে উন্নতি দেখা যাবে। আজকের দিনে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভদ্র থাকবেন এবং মানসিকভাবে ভারসাম্য বজায় রাখবেন। তবে সাবধান, এই ভদ্রতা যেন অতিরিক্ত বিনয়ে রূপ না নেয়। না হলে সবাই আপনাকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নেবে। অতিরিক্ত লাভের খবর পেয়ে রাতে ঘুম ভাঙতে পারে। চিন্তা করবেন না, এটা শুধু গ্যাস।
বৃশ্চিক
আজকের দিনটি আপনার জন্য ফলপ্রসূ হতে চলেছে। তবে এই ‘ফল’ হয়তো আপনার ই-মেইল ইনবক্সে জমা হওয়া হাজারো নতুন ই-মেইলের স্তূপ! কর্মজীবনের দিক থেকে নতুন সুযোগ পেতে পারেন। এটি হতে পারে—বসের নতুন প্রজেক্ট, যা আপনি একা সামলাবেন। অর্থের দিক থেকে দিনটি শুভ, কারণ আপনি আজ বুদ্ধি করে একটি অপ্রয়োজনীয় অনলাইন শপিং অর্ডার বাতিল করবেন। অর্থের দিক থেকে শুভ, মানে আপনি আজ অন্তত এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
ধনু
আপনার জন্য আজ একটি শুভ দিন হতে চলেছে। এতটা শুভ যে, হয়তো সকালে উঠে জুতা পরার সময় মোজা পরতে ভুলে যাবেন। ক্যারিয়ারে লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি পরিকল্পনা করুন। দিনের মূল প্ল্যানিং হবে, কীভাবে এই পরিকল্পনাকে আবার পরের দিনের জন্য স্থগিত করা যায়। গাড়ি চালানোর সময় অসতর্কতা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষত যখন আপনি ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ের চিন্তায় মগ্ন থাকবেন। আপনার ভাগ্য আজ ভালো, শুধু নিজেকে বেশি সিরিয়াস না নিলেই হলো।
মকর
জ্যোতিষ বলছে, ‘সব জায়গায় ইতিবাচক মনোভাব দেখালে চলবে না।’ সত্যি কথা! আপনার ইতিবাচকতা দেখে অন্যরা ভয় পেতে পারে। রাস্তায় কারও সঙ্গে ঝামেলা সৃষ্টি হতে পারে। ঝামেলার কারণ—আপনাকে দেখিয়ে কেউ যদি ভুল করে হাসে! বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত থাকুন, যেমন—সকালের নাশতায় কী খাবেন, পাউরুটি নাকি পরোটা? আপনি মানসিক চাপে ভুগতে পারেন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন। যদি দেখেন কেউ আলু-পেঁয়াজ নিয়ে তর্ক করছে, সেখানে জড়াবেন না।
কুম্ভ
শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রচুর দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। এর মানে শুধু একটাই—আপনার ছুটি বাতিল। রাজনৈতিক কোনো কাজ করার আগে খুব ভাবনাচিন্তা করার দরকার আছে। সামনে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ আসবে, কিন্তু আপনি এমন দায়িত্বশীল যে সেই সুযোগ নিতে পারবেন না। যদিও মন চাইবে, ‘যাই হোক, একটু ফাঁকি দেওয়া যাক।’ এই দোটানা মানসিক চাপ বাড়াবে। ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ এলেও, যদি দেখেন বস আপনার দিকে তাকিয়ে হাসছেন, তবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করুন।
মীন
আজ সৃজনশীল শক্তিতে পূর্ণ একটি দিন কাটাবেন। আপনার এই সৃজনশীলতা হয়তো কাজে লাগতে পারে—বাড়িতে ভেঙে যাওয়া দামি জিনিসটি মেরামত করার জন্য। অর্থের দিক থেকে ভাগ্যবান প্রমাণিত হতে পারেন। হয়তো পুরোনো কোনো প্যান্টের পকেটে একটি পাঁচশ টাকার নোট খুঁজে পাবেন। কেউ কোনো দায়িত্ব দিলে একেবারেই নেবেন না, কারণ এটা আপনার জন্য একটি ফাঁদ হতে পারে। আজ উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে—কারণ আপনি ওই দায়িত্বটি না নিতে পারার অপরাধবোধে ভুগবেন। দাম্পত্য জীবন শান্ত ও সুখকর থাকবে। কারণ সঙ্গী আজ আপনার সৃজনশীলতা দেখে কথা বলার সাহস পাবেন না।

চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো। মেক্সিকো থেকে যার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো বিশ্বে। ফ্রিদাকে ভালোবেসে সুঁই সুতায় বন্দী করেছেন এক বাঙালি নারী। নাম সাদিয়া সুলতানা। কী নিখুঁতভাবে যে তিনি ফ্রিদাকে তুলে ধরেছেন! দেখে ভীষণ অবাক হলাম।
০৬ জুলাই ২০২১
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
১ ঘণ্টা আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
২ ঘণ্টা আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

প্রশ্ন: চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়। চুলের যত্নে কীভাবে এর তরতাজা ভাব ধরে রাখা যায়?
স্নিগ্ধা বাহার, ঢাকা
উত্তর: হেয়ার ডিটক্স আপনার জন্য ভালো সমাধান। এর মাধ্যমে চুল পুনরুজ্জীবিত হয়। কিন্তু হেয়ার ডিটক্স ট্রিটমেন্ট বাড়িতে শতভাগ সম্ভব নয়। তবে হেয়ার ডিটক্স প্যাক লাগানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে, প্রথমে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। এরপর কোনো হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এই শ্যাম্পু তৈরি করে নিতে হবে আপেল সিডার ভিনেগার, নারকেলের দুধ, একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং অল্প পরিমাণে কোনো মাইল্ড শ্যাম্পু ভালো করে মিশিয়ে। এটি ব্যবহারে মাথার ত্বকে জমা হওয়া ধুলোবালি, ময়লা ও অতিরিক্ত তেল ধুয়ে যাবে।
এ ছাড়া এখন বাজারে সি-সল্ট পাওয়া যায়। একটি বাটিতে অ্যালোভেরা জেল, আপেল সিডার ভিনেগার এবং অল্প পরিমাণে সি-সল্ট একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে রাখতে হবে আধা ঘণ্টা। এরপর যেকোনো প্রোটিন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
প্রশ্ন: চুলের মসৃণ ভাব ফিরে পেতে ঘরে তৈরি হেয়ার রিপেয়ারিং মাস্কের পরামর্শ চাই। উপকরণগুলো সহজলভ্য হলে ভালো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, দিনাজপুর
উত্তর: বাড়িতে যত্ন নেওয়া গেলে পারলারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। একটি বাটিতে ডিম ভেঙে নিন। এর সঙ্গে টক দই ও অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এই মিশ্রণ শ্যাম্পু করা মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রাখতে হবে। এরপর আবার শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চুল সিল্কি হয়।
প্রশ্ন: শীতে পুরুষের ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখতে সহজ এবং সাধারণ কিছু টিপস প্রয়োজন। জানালে বিশেষ উপকৃত হব।
নীল মজুমদার, সোনারগাঁ
উত্তর: ত্বক পেলব রাখতে এখন থেকে প্রতিদিন রাতে অলিভ অয়েল ও গোলাপজল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে মেখে নেবেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পাকা টমেটোর প্যাক খুবই উপকারী। পাকা টমেটো পেস্টের সঙ্গে ২ চামচ টক দই এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধা শুকনো হয়ে এলে কিছুটা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
প্রশ্ন: শীতে সব সময় পা ঢাকা জুতা ব্যবহার করি। এর সঙ্গে মোজা তো পরতেই হয়। কিন্তু এ ধরনের জুতা পরার পর পায়ে গন্ধ হয়। এ ছাড়া শীতে পায়ের আঙুলের ফাঁকে খুব চুলকানি হয়। এর জন্য ট্যালকম পাউডার ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করি। পা ফ্রেশ রাখতে ভালো সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
পম্পা শেখ, লক্ষ্মীপুর
উত্তর: দীর্ঘক্ষণ পরিধান করার কারণে জুতার ভেতরে পা ঘেমে যেতে পারে। তাই কিছুক্ষণ পরপর জুতা খুলে রাখুন। সুতির মোজা ব্যবহার করুন। এ ধরনের মোজা পায়ের ঘাম শুষে নিতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ধোয়া পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করুন। অফিসে গিয়ে সম্ভব হলে জুতা-মোজা খুলে খোলা স্যান্ডেল পায়ে দিন। জুতা যদি পায়ে দিতেই হয়, তাহলে চামড়া বা কাপড়ের জুতা ব্যবহার করুন। এতে বাইরের বাতাস জুতার ভেতর যাওয়া-আসা করতে পারবে, এর ফলে পা ঘামবে কম। বাড়ি ফিরে হালকা গরম পানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমে যাবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বত্বাধিকারী বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার

প্রশ্ন: চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়। চুলের যত্নে কীভাবে এর তরতাজা ভাব ধরে রাখা যায়?
স্নিগ্ধা বাহার, ঢাকা
উত্তর: হেয়ার ডিটক্স আপনার জন্য ভালো সমাধান। এর মাধ্যমে চুল পুনরুজ্জীবিত হয়। কিন্তু হেয়ার ডিটক্স ট্রিটমেন্ট বাড়িতে শতভাগ সম্ভব নয়। তবে হেয়ার ডিটক্স প্যাক লাগানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে, প্রথমে চুলে হট অয়েল ম্যাসাজ করে নিন। এরপর কোনো হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এই শ্যাম্পু তৈরি করে নিতে হবে আপেল সিডার ভিনেগার, নারকেলের দুধ, একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং অল্প পরিমাণে কোনো মাইল্ড শ্যাম্পু ভালো করে মিশিয়ে। এটি ব্যবহারে মাথার ত্বকে জমা হওয়া ধুলোবালি, ময়লা ও অতিরিক্ত তেল ধুয়ে যাবে।
এ ছাড়া এখন বাজারে সি-সল্ট পাওয়া যায়। একটি বাটিতে অ্যালোভেরা জেল, আপেল সিডার ভিনেগার এবং অল্প পরিমাণে সি-সল্ট একসঙ্গে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে রাখতে হবে আধা ঘণ্টা। এরপর যেকোনো প্রোটিন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
প্রশ্ন: চুলের মসৃণ ভাব ফিরে পেতে ঘরে তৈরি হেয়ার রিপেয়ারিং মাস্কের পরামর্শ চাই। উপকরণগুলো সহজলভ্য হলে ভালো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, দিনাজপুর
উত্তর: বাড়িতে যত্ন নেওয়া গেলে পারলারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। একটি বাটিতে ডিম ভেঙে নিন। এর সঙ্গে টক দই ও অ্যালোভেরা জেল ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। এই মিশ্রণ শ্যাম্পু করা মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রাখতে হবে। এরপর আবার শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এই প্যাক ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চুল সিল্কি হয়।
প্রশ্ন: শীতে পুরুষের ত্বক মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখতে সহজ এবং সাধারণ কিছু টিপস প্রয়োজন। জানালে বিশেষ উপকৃত হব।
নীল মজুমদার, সোনারগাঁ
উত্তর: ত্বক পেলব রাখতে এখন থেকে প্রতিদিন রাতে অলিভ অয়েল ও গোলাপজল ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে মেখে নেবেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে পাকা টমেটোর প্যাক খুবই উপকারী। পাকা টমেটো পেস্টের সঙ্গে ২ চামচ টক দই এবং ১ চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধা শুকনো হয়ে এলে কিছুটা ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
প্রশ্ন: শীতে সব সময় পা ঢাকা জুতা ব্যবহার করি। এর সঙ্গে মোজা তো পরতেই হয়। কিন্তু এ ধরনের জুতা পরার পর পায়ে গন্ধ হয়। এ ছাড়া শীতে পায়ের আঙুলের ফাঁকে খুব চুলকানি হয়। এর জন্য ট্যালকম পাউডার ও ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করি। পা ফ্রেশ রাখতে ভালো সমাধান দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
পম্পা শেখ, লক্ষ্মীপুর
উত্তর: দীর্ঘক্ষণ পরিধান করার কারণে জুতার ভেতরে পা ঘেমে যেতে পারে। তাই কিছুক্ষণ পরপর জুতা খুলে রাখুন। সুতির মোজা ব্যবহার করুন। এ ধরনের মোজা পায়ের ঘাম শুষে নিতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ধোয়া পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করুন। অফিসে গিয়ে সম্ভব হলে জুতা-মোজা খুলে খোলা স্যান্ডেল পায়ে দিন। জুতা যদি পায়ে দিতেই হয়, তাহলে চামড়া বা কাপড়ের জুতা ব্যবহার করুন। এতে বাইরের বাতাস জুতার ভেতর যাওয়া-আসা করতে পারবে, এর ফলে পা ঘামবে কম। বাড়ি ফিরে হালকা গরম পানিতে সাবানের ফেনা করে পা ধুয়ে নিন। এতে ত্বকে থাকা জীবাণুর সংখ্যা কমে যাবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ এবং স্বত্বাধিকারী বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ার

চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো। মেক্সিকো থেকে যার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো বিশ্বে। ফ্রিদাকে ভালোবেসে সুঁই সুতায় বন্দী করেছেন এক বাঙালি নারী। নাম সাদিয়া সুলতানা। কী নিখুঁতভাবে যে তিনি ফ্রিদাকে তুলে ধরেছেন! দেখে ভীষণ অবাক হলাম।
০৬ জুলাই ২০২১
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
৩৯ মিনিট আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
২ ঘণ্টা আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
বাড়িতে মেকআপ রিমুভার না থাকলে পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে দারুণভাবে মেকআপ তোলার কাজটি সেরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলি নিয়ে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন। এরপর তুলা দিয়ে আলতো করে মুছে নিন। চোখের মতো স্পর্শকাতর ত্বকের মেকআপ তুলতেও এটি ব্যবহার করা যায়।
নখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ভঙ্গুরতা কমাতে জাদুকরি সমাধান পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি ব্যবহারে নখ সুস্থ থাকে।
যেখানে সুগন্ধি দেবেন, সেই জায়গায় আগে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি মালিশ করে নিন। এরপর সেখানে সুগন্ধি স্প্রে করুন। এতে দীর্ঘ সময় ত্বকে ঘ্রাণ স্থায়ী হবে।
অনেকের ভ্রু ঝরে পড়ে। এর ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে পেট্রোলিয়াম জেলি। রাতে ঘুমানোর আগে একটা আইব্রো ব্রাশে কিছুটা জেলি নিয়ে ভ্রু যুগলে লাগিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ভ্রু ঘন হবে।

মেকআপের পূর্ণতায় এখন প্রায় সবাই হাইলাইটার ব্যবহার করেন। গালে এবং ভ্রুর নিচের ত্বকে কিছুটা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলে সেটা হাইলাইটার হিসেবে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ত্বকে আঘাত পেলে বা ঘা হলে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এটির ব্যবহারে ক্ষত দ্রুততম সময়ে শুকিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া এটি তেলতেলে হওয়ায় ত্বক আর্দ্র থাকে। তাই ক্ষত শুকিয়ে ফেটে যায় না।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো। মেক্সিকো থেকে যার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো বিশ্বে। ফ্রিদাকে ভালোবেসে সুঁই সুতায় বন্দী করেছেন এক বাঙালি নারী। নাম সাদিয়া সুলতানা। কী নিখুঁতভাবে যে তিনি ফ্রিদাকে তুলে ধরেছেন! দেখে ভীষণ অবাক হলাম।
০৬ জুলাই ২০২১
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
৩৯ মিনিট আগে
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
১ ঘণ্টা আগে
চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়। ফলে রং করা চুল অনেকটাই ফ্যাকাশে হয়ে যায়। যাঁরা বাড়িতেই চুল রাঙান তাঁদের রং করার পর চুল ধোয়া থেকে শুরু করে শুকানোর পদ্ধতিতেও কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
সঠিক শ্যাম্পু বাছাই
চুলে রং করার পর প্রথমে কালার প্রোটেকটিভ শ্যাম্পু বাছাই করুন। এই শ্যাম্পুগুলো দীর্ঘদিন চুলে রং বজায় রাখতে সহায়তা করে।
চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পু নয়
চুলে রং করার পর সপ্তাহে দু-তিনবার শ্যাম্পু করুন। তবে রোজ বাইরে গেলে প্রয়োজনে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত তেল ব্যবহার
রং করার পর; বিশেষ করে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেল ম্যাসাজ করে নিন।
স্টাইলিং কম করুন
রং করা চুলে স্ট্রেটনার কিংবা কার্লার যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। কারণ, এর ফলে চুল আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
নিয়ম করে প্যাক মাখুন
পাকা কলা ও মধু পেস্ট করে সপ্তাহে দুদিন চুলে মেখে রাখুন ২০ মিনিট করে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে মসৃণ।
সূত্র: ল’রিয়েল প্যারিস ইউকে ও অন্যান্য

চুলে রং করতে ভালোবাসলেও সবাই পারলারে গিয়ে চুল রং করান না। রং কিনে এনে বাড়িতেই তাঁরা কাজটি সেরে ফেলেন। কিন্তু বাড়িতে রং করলে প্রতিবার চুল ধোয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ রংও ধুয়ে যায়। ফলে রং করা চুল অনেকটাই ফ্যাকাশে হয়ে যায়। যাঁরা বাড়িতেই চুল রাঙান তাঁদের রং করার পর চুল ধোয়া থেকে শুরু করে শুকানোর পদ্ধতিতেও কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
সঠিক শ্যাম্পু বাছাই
চুলে রং করার পর প্রথমে কালার প্রোটেকটিভ শ্যাম্পু বাছাই করুন। এই শ্যাম্পুগুলো দীর্ঘদিন চুলে রং বজায় রাখতে সহায়তা করে।
চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পু নয়
চুলে রং করার পর সপ্তাহে দু-তিনবার শ্যাম্পু করুন। তবে রোজ বাইরে গেলে প্রয়োজনে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
নিয়মিত তেল ব্যবহার
রং করার পর; বিশেষ করে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুদিন চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত তেল ম্যাসাজ করে নিন।
স্টাইলিং কম করুন
রং করা চুলে স্ট্রেটনার কিংবা কার্লার যত কম ব্যবহার করা যায়, ততই ভালো। কারণ, এর ফলে চুল আরও বেশি রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
নিয়ম করে প্যাক মাখুন
পাকা কলা ও মধু পেস্ট করে সপ্তাহে দুদিন চুলে মেখে রাখুন ২০ মিনিট করে। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে মসৃণ।
সূত্র: ল’রিয়েল প্যারিস ইউকে ও অন্যান্য

চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো। মেক্সিকো থেকে যার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো বিশ্বে। ফ্রিদাকে ভালোবেসে সুঁই সুতায় বন্দী করেছেন এক বাঙালি নারী। নাম সাদিয়া সুলতানা। কী নিখুঁতভাবে যে তিনি ফ্রিদাকে তুলে ধরেছেন! দেখে ভীষণ অবাক হলাম।
০৬ জুলাই ২০২১
আজ আপনার পকেট হঠাৎ করে গরম হতে পারে। জ্যোতিষ বলছে, ‘হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে।’ কিন্তু এই অর্থ হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আপনার আশপাশে থাকা ‘নারী বন্ধু’ (বা পুরুষ বন্ধু, লিঙ্গভেদ নেই) আপনাকে কফি, বিরিয়ানি বা নতুন সিরিজের সাবস্ক্রিপশনের জন্য অনুরোধ করতে পারে।
৩৯ মিনিট আগে
চাকরির কারণে প্রতিদিন বাইরে বের হতে হয়। শীতে ধুলোবালির পরিমাণ বেশি। পথের ধারে বিভিন্ন জিনিসপত্র পোড়ানোয় ধোঁয়ার গন্ধও হয়। সব মিলিয়ে চুলের তরতাজা ভাব নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য প্রতিদিন শ্য়াম্পু করি। যদিও তা চুলের জন্য ভালো নয়।
১ ঘণ্টা আগে
সারা বছর সবার ঘরে, ভ্যানিটি ব্যাগে এমনকি অফিসের ডেস্কে যে প্রসাধনী থাকে, তা হলো পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি শুধু ঠোঁটের রুক্ষতা দূর করে, তা-ই নয়, রূপচর্চায় আরও নানাভাবে ব্যবহার করা যায়।
২ ঘণ্টা আগে