Ajker Patrika

বিশ্ব পানি দিবস: প্রতিপাদ্য, তাৎপর্য ও ইতিহাস

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৩, ১৮: ১১
বিশ্ব পানি দিবস: প্রতিপাদ্য, তাৎপর্য ও ইতিহাস

পানি আমাদের জীবনের একটি বিশেষ উপাদান। জন্মের পর থেকে পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য আমরা নানাভাবেই পানির ওপর নির্ভরশীল। অথচ পানির প্রাচুর্যের কারণে অধিকাংশ মানুষই সচেতন কিংবা অসচেতনভাবেই পানি অপচয় করে থাকি। আমাদের এই পানির গুরুত্ব বোঝা প্রয়োজন এবং এর সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।

আজ ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস। এই বছরের প্রতিপাদ্য- ‘পানি ও পয়োনিষ্কাশন সংকট সমাধানে পরিবর্তন ত্বরান্বিতকরণ’। প্রতিবছর বিশ্ব পানি দিবসে এর তাৎপর্য ও সংরক্ষণের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। 

নিরাপদ পানির সরবরাহ না থাকলে মানুষের জীবনে যে ভয়াবহ পরিস্থিতির উদ্রেক ঘটে সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বিশ্ব পানি দিবস ২০২৩ নিয়ে জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে পানি ও স্বাস্থ্যসংকট মোকাবিলার বিষয়ে বিশদ তুলে ধরা হয়েছে। 

পৃথিবীর তিন-চতুর্থাংশই পানি। তবুও বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানির জন্য আমাদের কী পরিমাণে বেগ পেতে হয় তা কারো অজানা নয়। পানির প্রাপ্যতা এবং ব্যবস্থাপনা মানুষের জীবনে একদিকে সংকট এবং অন্যদিকে সৌভাগ্য। কারণ পৃথিবী নামের এই গ্রহের অন্যতম মূল্যবান সম্পদ হলো পানি।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্যমতে, বিশ্বে প্রায় ৭৭ কোটিরও বেশি মানুষ তাদের বাড়ির আশপাশে নিরাপদ পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত। আর প্রতিবছর অনিরাপদ পানি ও দুর্বল পয়োনিষ্কাশনের জন্য প্রায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়।

পানি দিবসের ধারণাটি প্রথম ১৯৯২ সালে রিও ডি জেনেরিওতে পরিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক জাতিসংঘের সম্মেলনে প্রস্তাবিত হয়। পরবর্তীতে একই সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ প্রতিবছর ২২ মার্চকে বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে মনোনীত করে একটি প্রস্তাব পাস করে। এরপর প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয় ১৯৯৩ সালে।

বিশ্ব পানি দিবস যে জন্য তৎপর্যময়, তা হলো- এই দিনে বিশুদ্ধ পানি, পয়োনিষ্কাশন এবং স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে পর্যালোচনা করা। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ৬ নম্বর লক্ষ্য হলো- ‘সকলের জন্য নিরাপদ পানি এবং পয়োনিষ্কাশন’ নিশ্চিত করা। 

প্রতিবছর বিশ্ব পানি দিবস ঘিরে জাতিসংঘের বিশ্ব পানি উন্নয়ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে প্রত্যেকের পানি এবং পয়োনিষ্কাশনের অধিকার ও প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়।

প্রতিবছর বিশ্ব পানি দিবস পালনের মধ্য দিয়ে নিরাপদ পানির সংকট তুলে ধরা হয় এবং দীর্ঘস্থায়ীভাবে নিরাপদ পানি সংরক্ষণের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হয়। বিশুদ্ধ পানির আধার ও চিহ্নিত পয়োনিষ্কাশনের সমস্যা নিরসনের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হয়। 

প্রতি বছর এ দিনে পানি ও পয়োনিষ্কাশনের সমস্যা মোকাবিলায় সচেতনতা বাড়ানো এবং পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যও মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দিয়াবাড়ীতে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জিএমের রক্তাক্ত মরদেহ

ফেসবুকের রাজনীতি আর মাঠের রাজনীতি এক নয়: জারাকে সারজিসের জবাব

কিছুদিন আগে মানিব্যাগও ছিল না, এখন বিশাল শোডাউন কীভাবে—সারজিসকে ডা. তাসনিম

‘সারজিস নাগরিক পার্টি করতে পারলে আমরা কেন ছাত্রদল করতে পারব না’

অক্টোবরে সংসদ নির্বাচনের তফসিল, আগস্টের মধ্যেই ‘পূর্ণ প্রস্তুতি’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত