ইমরান খান
একসময় খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বহু পথ হেঁটেছেন। টুকটাক খাবারটাও ভাগ করে খেয়েছেন। কিন্তু জীবনের বাস্তবতায় এখন আর যোগাযোগ নেই। আপন মনে বাল্যকাল, শিক্ষাজীবন ও কর্মক্ষেত্রের দিনগুলোর কথা ভাবলে নিশ্চয়ই এমন কিছু বন্ধুকে একনজরে মনে পড়বে। মনে পড়তে পারে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি থেকে ভালো বন্ধুত্বের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টির ঘটনাও।
বাল্যকালে নিজের অজান্তেই বাড়ির আশপাশের সমবয়সীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব। কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়েও মিলেছে এমন বন্ধু। এদের সঙ্গে রয়েছে এক সঙ্গে খেলাধুলা, আনন্দ, চকলেট-আচার ভাগাভাগি কিংবা টুকটাক দ্বন্দ্বের স্মৃতি। অভিভাবকের কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনসহ নানা কারণে বাসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিবর্তন হওয়ায় হারিয়ে গেছে এমন অনেক বন্ধু। নিজের ছোটবেলায় নাড়া পড়লে দেখবেন আপনার গল্পগুলোতে তাদেরও ছিল সমান ভাগ। নির্মম হলেও সত্য, তখন হারিয়ে ফেলা অনেককে হয়তো এখন দেখলেও চেনা যাবে না।
মাধ্যমিকের অনেক বন্ধু নিশ্চয়ই ছড়িয়ে পড়েছেন বিভিন্ন কলেজে, কলেজে সবাই জুটিয়ে নিয়েছে নতুন বন্ধু। তাঁরা হয়ে উঠেছেন পড়াশোনা, নানা সংগঠন, কৈশোরের নানা নিজস্ব গল্প কিংবা বিপদের একান্ত সহচর। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দেখলেন এদের অনেকের সঙ্গেই নেই নিয়মিত যোগাযোগ, ক্যাম্পাসে নতুন বন্ধু নিয়ে কাটছে বিন্দাস জীবন।
কর্মজীবনে এসেছে নতুন ব্যস্ততা। এই জীবনে খাপ খাইয়ে নিতেই দিনের বেশির ভাগ সময় চলে যায়। আর কর্মক্ষেত্রে খুব কম সহপাঠীকে সহকর্মী হিসেবে পাওয়া যায়। এর মাঝে অনেকের সঙ্গে কমতে থাকে যোগাযোগ, বাড়ে দূরত্ব। সম্পর্কগুলোর যত্ন নেওয়ার সুযোগ খুব কমই মেলে। সব মিলে জীবনের বহু বন্ধু এত দূরে চলে যায়, অনেকের সঙ্গে হয়তো জীবনেও আর দেখা হবে না।
জীবনে চলার পথে এভাবে বন্ধুত্বের নবায়ন, কাছের মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি বেশ ইতিবাচক। একই সঙ্গে প্রতিটি স্তরের বন্ধুত্বের ধারাটি ধরে রাখাও কিন্তু জীবনেরই অংশ। জীবনের যেকোনো কালের বন্ধুকেই হারাতে দেওয়ার মানেই জীবনের ডায়েরি থেকে কিছু পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলা। তবে চলার পথের বহু বন্ধু সময়ের প্রয়োজনে হারিয়ে যাবে, জীবনেও দেখা হবে না—এটাই বাস্তবতা।
তবে সকল ধাপের কিছু বন্ধুর সঙ্গে কিছুদিন পরপর হলেও যোগাযোগটা ধরে রাখা আবশ্যক। সরাসরি বাসায় যাওয়া, বাইরে সাক্ষাৎ ছাড়াও ফোন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ভিডিও কলেও হতে পারে এই যোগাযোগ। করোনা বাস্তবতায় সরাসরি যোগাযোগে সমস্যা হলেও জীবন থেকে যাতে ‘বন্ধু’ হারিয়ে না যায়, সে ভাবনা কিন্তু থাকতেই হবে। আর ফেসবুকে মাঝে মাঝে ছবি দেখলে ‘ভালোই তো আছে’ না ভেবে খোঁজ নিন। জানতে চান ‘কেমন আছো বন্ধু?’
সব সময় যে অপর পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হবে—এই ধারণা না রাখাই উত্তম। বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন নিজে থেকেই, গল্প জমিয়ে ফিরে যেতে পারেন তখনকার সময়ে। দীর্ঘ বিরতি পড়ে গেলে নিজে থেকে আগ্রহী হয়ে দুচারবার যোগাযোগটা করেই দেখুন না। দেখবেন, হয়তো আপনার বন্ধুই এই যাত্রার বাকিটা পথ টেনে নেবে। আর অতীতের ভুল বোঝাবুঝি থাকলেও মিটিয়ে নিতে পারেন আজকের ‘বন্ধু দিবস’-এর সুবাদে। আর বেশ পুরোনো বন্ধুকে ফোন দিয়ে বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর অনুভূতিকে তাজা করে দেওয়ার সুযোগ তো থাকছেই।
আরও পড়ুন
একসময় খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বহু পথ হেঁটেছেন। টুকটাক খাবারটাও ভাগ করে খেয়েছেন। কিন্তু জীবনের বাস্তবতায় এখন আর যোগাযোগ নেই। আপন মনে বাল্যকাল, শিক্ষাজীবন ও কর্মক্ষেত্রের দিনগুলোর কথা ভাবলে নিশ্চয়ই এমন কিছু বন্ধুকে একনজরে মনে পড়বে। মনে পড়তে পারে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি থেকে ভালো বন্ধুত্বের মাঝে দূরত্ব সৃষ্টির ঘটনাও।
বাল্যকালে নিজের অজান্তেই বাড়ির আশপাশের সমবয়সীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব। কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়েও মিলেছে এমন বন্ধু। এদের সঙ্গে রয়েছে এক সঙ্গে খেলাধুলা, আনন্দ, চকলেট-আচার ভাগাভাগি কিংবা টুকটাক দ্বন্দ্বের স্মৃতি। অভিভাবকের কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনসহ নানা কারণে বাসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিবর্তন হওয়ায় হারিয়ে গেছে এমন অনেক বন্ধু। নিজের ছোটবেলায় নাড়া পড়লে দেখবেন আপনার গল্পগুলোতে তাদেরও ছিল সমান ভাগ। নির্মম হলেও সত্য, তখন হারিয়ে ফেলা অনেককে হয়তো এখন দেখলেও চেনা যাবে না।
মাধ্যমিকের অনেক বন্ধু নিশ্চয়ই ছড়িয়ে পড়েছেন বিভিন্ন কলেজে, কলেজে সবাই জুটিয়ে নিয়েছে নতুন বন্ধু। তাঁরা হয়ে উঠেছেন পড়াশোনা, নানা সংগঠন, কৈশোরের নানা নিজস্ব গল্প কিংবা বিপদের একান্ত সহচর। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে দেখলেন এদের অনেকের সঙ্গেই নেই নিয়মিত যোগাযোগ, ক্যাম্পাসে নতুন বন্ধু নিয়ে কাটছে বিন্দাস জীবন।
কর্মজীবনে এসেছে নতুন ব্যস্ততা। এই জীবনে খাপ খাইয়ে নিতেই দিনের বেশির ভাগ সময় চলে যায়। আর কর্মক্ষেত্রে খুব কম সহপাঠীকে সহকর্মী হিসেবে পাওয়া যায়। এর মাঝে অনেকের সঙ্গে কমতে থাকে যোগাযোগ, বাড়ে দূরত্ব। সম্পর্কগুলোর যত্ন নেওয়ার সুযোগ খুব কমই মেলে। সব মিলে জীবনের বহু বন্ধু এত দূরে চলে যায়, অনেকের সঙ্গে হয়তো জীবনেও আর দেখা হবে না।
জীবনে চলার পথে এভাবে বন্ধুত্বের নবায়ন, কাছের মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি বেশ ইতিবাচক। একই সঙ্গে প্রতিটি স্তরের বন্ধুত্বের ধারাটি ধরে রাখাও কিন্তু জীবনেরই অংশ। জীবনের যেকোনো কালের বন্ধুকেই হারাতে দেওয়ার মানেই জীবনের ডায়েরি থেকে কিছু পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলা। তবে চলার পথের বহু বন্ধু সময়ের প্রয়োজনে হারিয়ে যাবে, জীবনেও দেখা হবে না—এটাই বাস্তবতা।
তবে সকল ধাপের কিছু বন্ধুর সঙ্গে কিছুদিন পরপর হলেও যোগাযোগটা ধরে রাখা আবশ্যক। সরাসরি বাসায় যাওয়া, বাইরে সাক্ষাৎ ছাড়াও ফোন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ভিডিও কলেও হতে পারে এই যোগাযোগ। করোনা বাস্তবতায় সরাসরি যোগাযোগে সমস্যা হলেও জীবন থেকে যাতে ‘বন্ধু’ হারিয়ে না যায়, সে ভাবনা কিন্তু থাকতেই হবে। আর ফেসবুকে মাঝে মাঝে ছবি দেখলে ‘ভালোই তো আছে’ না ভেবে খোঁজ নিন। জানতে চান ‘কেমন আছো বন্ধু?’
সব সময় যে অপর পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হবে—এই ধারণা না রাখাই উত্তম। বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন নিজে থেকেই, গল্প জমিয়ে ফিরে যেতে পারেন তখনকার সময়ে। দীর্ঘ বিরতি পড়ে গেলে নিজে থেকে আগ্রহী হয়ে দুচারবার যোগাযোগটা করেই দেখুন না। দেখবেন, হয়তো আপনার বন্ধুই এই যাত্রার বাকিটা পথ টেনে নেবে। আর অতীতের ভুল বোঝাবুঝি থাকলেও মিটিয়ে নিতে পারেন আজকের ‘বন্ধু দিবস’-এর সুবাদে। আর বেশ পুরোনো বন্ধুকে ফোন দিয়ে বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁর অনুভূতিকে তাজা করে দেওয়ার সুযোগ তো থাকছেই।
আরও পড়ুন
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে