জাহীদ রেজা নূর
যুগের পর যুগ ধরে বাঙালি পান্তা ভাত খেয়ে আসছে। শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, ভারতের অনেক রাজ্যেই পান্তা ভাত খাওয়ার রেওয়াজ আছে। এশিয়ার অনেক দেশেই তা খাওয়া হয়। তবে সবখানে একই প্রক্রিয়ায় ভাতটাকে পান্তা করা হয় না।
নববর্ষেও অনেকে এখন পান্তা ভাত খান। নববর্ষের আমেজের সঙ্গে তা যায় বলেই মনে করেন তাঁরা। আবার গত শতাব্দীর শেষ দিকে নববর্ষে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার রেওয়াজ হয়েছিল। এ নিয়ে মানুষ আলোচনা-সমালোচনা কম করেনি। তবে কেউ যদি ইলিশ দিয়ে পান্তা খেয়ে আনন্দ পান, তাহলে তাকে দোষ দেওয়ার কী আছে? যে যার ইচ্ছেমতো খাবে, ক্ষতি কী? কারণ, পান্তা ভাত যেকোনো অনুষঙ্গের মিশ্রণেই সুস্বাদু।
ইদানীং অনেক গবেষণা হচ্ছে পান্তা ভাত নিয়ে। আমরা বিজ্ঞানের মধ্যে না ঢুকেও এটুকু বলতে পারি, ভাতটাকে ঠিকভাবে পান্তা করতে পারলে শরীরের জন্য উপকারী উপাদান জন্মে তাতে। এ জন্য রাতে ভিজিয়ে রাখতে হবে ভাত। ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে সে ভাত খেলে উপকারী পদার্থগুলো পাওয়া যায়। এর বেশিক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে তাতে অ্যালকোহল জন্ম নেয়। আর তখন পান্তা ভাত খেলে শরীর ম্যাজ ম্যাজ করে। তখন আলস্যকেই মনে হতে পারে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পান্তা খেলে শরীর সতেজ থাকে বলেই মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
যা হোক, সাধারণত লবণ, কাঁচা মরিচই পান্তা ভাতের সেরা সঙ্গী। কিন্তু দিনের পর দিন এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানা কিছু। যেমন—এরপরেই সরিষার তেল, আলুভর্তা, বেগুনভর্তা দিয়ে পান্তা ভাত মাখিয়ে খেলে মনে হয়, অমৃত খাচ্ছি। তারপরও যদি আরও কিছু খেতে ইচ্ছে হয়, তাহলে অনেকেই জাল দেওয়া ইলিশ কিংবা ভাজা রুইকে বেছে নেন। খুবই ভালো লাগে তা। কিংবা ভর্তার সঙ্গে একটা ডিম ভেজে নিলেও খাওয়া হয়ে ওঠে তোফা। কেউ কেউ কষানো কিংবা আলু দিয়ে রান্না গরুর ঝোল দিয়েও পান্তা খান। শুধু পেঁয়াজ, শুকনো মরিচ, লবণ আর সরষের তেল চটকে নিলেও পান্তার সঙ্গে তা অসাধারণ মিতালি পাতায়।
যে অঞ্চলে ধানের আবাদ বেশি এবং ভাতই প্রধান খাদ্য, সে অঞ্চলে পান্তা ভাতের কদর অনেক। বলেছিই তো, যখন শুধু ভাত, কাঁচা মরিচ আর নুনই আছে বাড়িতে, তখনো এ রকম একটি সুস্বাদু আহারের ব্যবস্থা করে ফেলা সম্ভব। তাই পান্তার সঙ্গে মাছ-মাংস-ডিম শুধু বাড়তি অনুষঙ্গমাত্র। এগুলো না থাকলেও পান্তা তার ঐতিহ্যগত আভিজাত্য একদমই হারায় না।
যুগের পর যুগ ধরে বাঙালি পান্তা ভাত খেয়ে আসছে। শুধু বাংলাদেশের মানুষই নয়, ভারতের অনেক রাজ্যেই পান্তা ভাত খাওয়ার রেওয়াজ আছে। এশিয়ার অনেক দেশেই তা খাওয়া হয়। তবে সবখানে একই প্রক্রিয়ায় ভাতটাকে পান্তা করা হয় না।
নববর্ষেও অনেকে এখন পান্তা ভাত খান। নববর্ষের আমেজের সঙ্গে তা যায় বলেই মনে করেন তাঁরা। আবার গত শতাব্দীর শেষ দিকে নববর্ষে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার রেওয়াজ হয়েছিল। এ নিয়ে মানুষ আলোচনা-সমালোচনা কম করেনি। তবে কেউ যদি ইলিশ দিয়ে পান্তা খেয়ে আনন্দ পান, তাহলে তাকে দোষ দেওয়ার কী আছে? যে যার ইচ্ছেমতো খাবে, ক্ষতি কী? কারণ, পান্তা ভাত যেকোনো অনুষঙ্গের মিশ্রণেই সুস্বাদু।
ইদানীং অনেক গবেষণা হচ্ছে পান্তা ভাত নিয়ে। আমরা বিজ্ঞানের মধ্যে না ঢুকেও এটুকু বলতে পারি, ভাতটাকে ঠিকভাবে পান্তা করতে পারলে শরীরের জন্য উপকারী উপাদান জন্মে তাতে। এ জন্য রাতে ভিজিয়ে রাখতে হবে ভাত। ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে সে ভাত খেলে উপকারী পদার্থগুলো পাওয়া যায়। এর বেশিক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে তাতে অ্যালকোহল জন্ম নেয়। আর তখন পান্তা ভাত খেলে শরীর ম্যাজ ম্যাজ করে। তখন আলস্যকেই মনে হতে পারে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে পান্তা খেলে শরীর সতেজ থাকে বলেই মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
যা হোক, সাধারণত লবণ, কাঁচা মরিচই পান্তা ভাতের সেরা সঙ্গী। কিন্তু দিনের পর দিন এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানা কিছু। যেমন—এরপরেই সরিষার তেল, আলুভর্তা, বেগুনভর্তা দিয়ে পান্তা ভাত মাখিয়ে খেলে মনে হয়, অমৃত খাচ্ছি। তারপরও যদি আরও কিছু খেতে ইচ্ছে হয়, তাহলে অনেকেই জাল দেওয়া ইলিশ কিংবা ভাজা রুইকে বেছে নেন। খুবই ভালো লাগে তা। কিংবা ভর্তার সঙ্গে একটা ডিম ভেজে নিলেও খাওয়া হয়ে ওঠে তোফা। কেউ কেউ কষানো কিংবা আলু দিয়ে রান্না গরুর ঝোল দিয়েও পান্তা খান। শুধু পেঁয়াজ, শুকনো মরিচ, লবণ আর সরষের তেল চটকে নিলেও পান্তার সঙ্গে তা অসাধারণ মিতালি পাতায়।
যে অঞ্চলে ধানের আবাদ বেশি এবং ভাতই প্রধান খাদ্য, সে অঞ্চলে পান্তা ভাতের কদর অনেক। বলেছিই তো, যখন শুধু ভাত, কাঁচা মরিচ আর নুনই আছে বাড়িতে, তখনো এ রকম একটি সুস্বাদু আহারের ব্যবস্থা করে ফেলা সম্ভব। তাই পান্তার সঙ্গে মাছ-মাংস-ডিম শুধু বাড়তি অনুষঙ্গমাত্র। এগুলো না থাকলেও পান্তা তার ঐতিহ্যগত আভিজাত্য একদমই হারায় না।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
১ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
১ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
১ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
১ দিন আগে