মতিউর তানিফ
ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা ১২টা ৪৫ মিনিট। ৫ ঘণ্টার লড়াইয়ের দুই ঘণ্টা শেষ। ১৬২ টিমে ৪৮৬ প্রতিযোগীর চলমান লড়াইয়ে শীর্ষ স্থান তখন ‘বুয়েট সম্মোহিত’র দখলে। দ্বিতীয় ‘ডিইউ ক্রোনোস’, তৃতীয় ‘আইওআই-১’। পাশার দান উল্টে গেল ঘণ্টাখানেকের মধ্যে।
বেলা ১টা ৫০ মিনিট। ফলাফল বোর্ডের শীর্ষে তখন ঠিক ৬০ মিনিট আগে তৃতীয় স্থানে আইওআই-১! দ্বিতীয় কিছুক্ষণ আগেও চারে থাকা ডিইউ নট রেডি ইয়েট এবং তৃতীয় ডিইউ ক্রোনোস। এরপরের ধারাক্রম হলো বুয়েট সম্মোহিত, ব্র্যাক-ইউ ক্রোস, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাস্ট-মায়েম, আইইউটি স্লো ফ্লুরিয়ার ট্রান্সফর্ম। না, শীর্ষ তিন তখনো চূড়ান্ত নয়। কারা যাবে সে তিনটি জায়গায়, সেটা বুঝতে ও জানতে অপেক্ষা করতে হলো আরও পৌনে দুই ঘণ্টা!
ঘড়ি তখন কাঁটায়-কাঁটায় ৩টা ৪০। চূড়ান্ত বোর্ডে চ্যাম্পিয়ন পাঁচ ঘণ্টার লড়াইয়ের অধিকাংশ সময় শীর্ষে না থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ডিইউ ক্রোনোস। দ্বিতীয় একই প্রতিষ্ঠানের আরেকটি ডিইউ নট রেডি ইয়েট এবং তৃতীয় বুয়েট সম্মোহিত। এগিয়ে থেকে পিছিয়ে পড়া, পেছন থেকে শীর্ষে ওঠা—উত্থান-পতনের এমন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে গত সম্প্রতি শেষ হলো আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট—আইসিপিসি। গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিয়াড খ্যাত এই প্রতিযোগিতায় শীর্ষ ১০ স্থান অর্জনকারী অন্য টিমগুলো হলো আইওআই-১ (অনারেবল মেনশন), ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির টিম ব্র্যাক-ইউ ক্রোস, আইইউটি স্লো ফ্লুরিয়ার ট্রান্সফর্ম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাস্ট বঙ্কক্লাউড, বুয়েট হ্যালোবাইট এবং সাস্ট বার্লেক্যাম্পমেসি ও সাস্ট মায়হেম।
কেমন ছিল সেরাদের সেরা হওয়ার এই লড়াই? গল্পচ্ছলে সে কথাই জানালেন প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব হাসান, ইয়ামিন কায়সার ও ভোলানাথ দাস। বিজয়ী তিনজনের মধ্যে সাকিব চতুর্থ বর্ষ এবং ইয়ামিন ও ভোলানাথ দাস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ইয়ামিন কায়সার জানান, গ্রিন ইউনিভার্সিটির আইসিপিসির রেজিস্ট্রেশন শুরু হওয়ার এক মাস আগে অর্থাৎ গত ডিসেম্বর মাসে আমাদের টিমটি গঠন করা হয়। তখন থেকেই ভালো কিছু করার প্রত্যাশা ছিল।
কিন্তু সেটা যে এত ভালো হবে, তা ভাবেননি দলের কেউই। ইয়ামিন বলেন, ‘প্রতিযোগিতার শুরুর দিকে পিছিয়ে ছিলাম। কিন্তু আমাদের সবার সম্মিলিত চেষ্টায় পরক্ষণেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম।’ বিজয়ী আরেক শিক্ষার্থী ভোলানাথ দাস জানান, প্রত্যাশা ছিল, প্রথম ১০ টিমের মধ্যে থাকবেন তাঁরা। কিন্তু জায়গাটা যে প্রথম হবে, সেটা তাঁদের
কল্পনায় ছিল না।
আয়োজক কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ার ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ জানান, পুরো বিশ্বে আইসিপিসি এখন জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা। বিষয়টি আরও ভালো অনুধাবন করা যায় এখানে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে। জানুয়ারিতে যখন প্রিলিমিনারি টেস্টের রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়, তখন মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ১২৮ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৬৪৮ টিমের ৬ হাজার ৫৯২ জন প্রতিযোগী ও কোচ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন। রিজিওনাল কনটেস্ট ডিরেক্টর ড. আমিনুর রহমান ও এআরডিসি ড. নাজিব আব্দুন নাসির—দুজনই প্রায় একই সুরে কথা বলেন। তাঁদের বক্তব্য, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু প্রোগ্রামিং শিখবেন, তা নয়; চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রেও তাঁরা দক্ষ ও যোগ্য হয়ে গড়ে উঠবেন।
ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা ১২টা ৪৫ মিনিট। ৫ ঘণ্টার লড়াইয়ের দুই ঘণ্টা শেষ। ১৬২ টিমে ৪৮৬ প্রতিযোগীর চলমান লড়াইয়ে শীর্ষ স্থান তখন ‘বুয়েট সম্মোহিত’র দখলে। দ্বিতীয় ‘ডিইউ ক্রোনোস’, তৃতীয় ‘আইওআই-১’। পাশার দান উল্টে গেল ঘণ্টাখানেকের মধ্যে।
বেলা ১টা ৫০ মিনিট। ফলাফল বোর্ডের শীর্ষে তখন ঠিক ৬০ মিনিট আগে তৃতীয় স্থানে আইওআই-১! দ্বিতীয় কিছুক্ষণ আগেও চারে থাকা ডিইউ নট রেডি ইয়েট এবং তৃতীয় ডিইউ ক্রোনোস। এরপরের ধারাক্রম হলো বুয়েট সম্মোহিত, ব্র্যাক-ইউ ক্রোস, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাস্ট-মায়েম, আইইউটি স্লো ফ্লুরিয়ার ট্রান্সফর্ম। না, শীর্ষ তিন তখনো চূড়ান্ত নয়। কারা যাবে সে তিনটি জায়গায়, সেটা বুঝতে ও জানতে অপেক্ষা করতে হলো আরও পৌনে দুই ঘণ্টা!
ঘড়ি তখন কাঁটায়-কাঁটায় ৩টা ৪০। চূড়ান্ত বোর্ডে চ্যাম্পিয়ন পাঁচ ঘণ্টার লড়াইয়ের অধিকাংশ সময় শীর্ষে না থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ডিইউ ক্রোনোস। দ্বিতীয় একই প্রতিষ্ঠানের আরেকটি ডিইউ নট রেডি ইয়েট এবং তৃতীয় বুয়েট সম্মোহিত। এগিয়ে থেকে পিছিয়ে পড়া, পেছন থেকে শীর্ষে ওঠা—উত্থান-পতনের এমন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে গত সম্প্রতি শেষ হলো আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট—আইসিপিসি। গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত প্রোগ্রামিংয়ের অলিম্পিয়াড খ্যাত এই প্রতিযোগিতায় শীর্ষ ১০ স্থান অর্জনকারী অন্য টিমগুলো হলো আইওআই-১ (অনারেবল মেনশন), ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির টিম ব্র্যাক-ইউ ক্রোস, আইইউটি স্লো ফ্লুরিয়ার ট্রান্সফর্ম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাস্ট বঙ্কক্লাউড, বুয়েট হ্যালোবাইট এবং সাস্ট বার্লেক্যাম্পমেসি ও সাস্ট মায়হেম।
কেমন ছিল সেরাদের সেরা হওয়ার এই লড়াই? গল্পচ্ছলে সে কথাই জানালেন প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব হাসান, ইয়ামিন কায়সার ও ভোলানাথ দাস। বিজয়ী তিনজনের মধ্যে সাকিব চতুর্থ বর্ষ এবং ইয়ামিন ও ভোলানাথ দাস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ইয়ামিন কায়সার জানান, গ্রিন ইউনিভার্সিটির আইসিপিসির রেজিস্ট্রেশন শুরু হওয়ার এক মাস আগে অর্থাৎ গত ডিসেম্বর মাসে আমাদের টিমটি গঠন করা হয়। তখন থেকেই ভালো কিছু করার প্রত্যাশা ছিল।
কিন্তু সেটা যে এত ভালো হবে, তা ভাবেননি দলের কেউই। ইয়ামিন বলেন, ‘প্রতিযোগিতার শুরুর দিকে পিছিয়ে ছিলাম। কিন্তু আমাদের সবার সম্মিলিত চেষ্টায় পরক্ষণেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম।’ বিজয়ী আরেক শিক্ষার্থী ভোলানাথ দাস জানান, প্রত্যাশা ছিল, প্রথম ১০ টিমের মধ্যে থাকবেন তাঁরা। কিন্তু জায়গাটা যে প্রথম হবে, সেটা তাঁদের
কল্পনায় ছিল না।
আয়োজক কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ার ও গ্রিন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ জানান, পুরো বিশ্বে আইসিপিসি এখন জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা। বিষয়টি আরও ভালো অনুধাবন করা যায় এখানে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে। জানুয়ারিতে যখন প্রিলিমিনারি টেস্টের রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়, তখন মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ১২৮ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৬৪৮ টিমের ৬ হাজার ৫৯২ জন প্রতিযোগী ও কোচ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন। রিজিওনাল কনটেস্ট ডিরেক্টর ড. আমিনুর রহমান ও এআরডিসি ড. নাজিব আব্দুন নাসির—দুজনই প্রায় একই সুরে কথা বলেন। তাঁদের বক্তব্য, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু প্রোগ্রামিং শিখবেন, তা নয়; চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রেও তাঁরা দক্ষ ও যোগ্য হয়ে গড়ে উঠবেন।
১৯৫১ সাল। ইরানের রাজা রেজা শাহ পাহলভি এলেন পৃথিমপাশা জমিদারবাড়িতে। সে এক হুলুস্থুল ব্যাপার! এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা ইরান থেকে এসেছিলেন বলে জানা যায়।
২ দিন আগেশীতে কাপড় ভালো রাখতে সেগুলোকে যেমন রোদে মেলে দিতে হয়, সম্পর্ক উন্নয়নে মাঝেমধ্যে তেমনি ভ্রমণেও যেতে হয়। শীত চলে এসেছে। ভ্রমণপ্রেমীরা হয়ে উঠেছেন সরব।
২ দিন আগেপর্যটন বন্ধে কারফিউ! হ্যাঁ, তেমনটিই ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গ্রামের নাম বুকচন হ্যানোক। দক্ষিণ কোরিয়ার জংনো জেলায় এর অবস্থান। বুকচন হ্যানোক দেশটির ‘মাস্ট ভিজিট’ পর্যটন গন্তব্য।
২ দিন আগেভ্রমণের স্বাদ একবার রক্তে ঢুকলে, তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। এক অদৃশ্য তাড়না কাজ করতে থাকে ভেতরে-ভেতরে।
২ দিন আগে