বিভাবরী রায়
দুজনের আঁখিবারি গোপনে গেল বয়ে,
দুজনের প্রাণের কথা প্রাণেতে গেল রয়ে।...
কাছে এলেই প্রেমের ছন্দ কেটে যায়। নির্মম এই কথা কী করে বললাম, তাই ভেবে হয়তো বিস্মিত হচ্ছেন। শত মানুষের ভিড়েও যাঁর কণ্ঠ ঠিক কানে এসে লাগে, দৃষ্টির বাইরেও চোখে লেগে থাকে যাঁর ঘোর লাগা চোখ; তাঁকে আবার কাছে পেতে মন না চায়! এখানে অধিকাংশের উল্টো পথে দাঁড়িয়ে জানান যদি দিই, তবে বলতে হবে—হ্যাঁ, প্রেম যত দিন হৃদয়ে থাকে, তত দিনই তা বিশুদ্ধ, নিরাপদও বলতে হয়। হৃদয় দিয়ে হৃদয় অনুভবের চর্চাটাও বলতে গেলে তত দিনই। চোখে লেগে থাকা মানুষটিকে পুরোপুরি গ্রহণ করে নেওয়ার উত্তম সময় সেটি।
একবার ভেবে দেখবেন? যাঁকে আপনি ভালোবাসেন বা যাঁর প্রতি আপনার প্রেমাবেগ আছে, তাঁর সঙ্গে নিত্য়ই আপনার দেখা হয়, সৌজন্য় বিনিময়ও হয়। তাঁর চোখমুখের ক্লান্তিভাব আপনি বুঝে নেন নিমেষে। এমনও তো হতে পারে, আপনার বোধগম্যতা টের পান তিনিও। ওদিকে তাঁর হৃদয়েও খাঁজ কেটে যায় আপনার কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়লে। এমন সময় হৃদয়ের কোনো এক কোণে মৃদু হাওয়ায় যে ঘণ্টা দুলে ওঠে, তা-ই জানান দেয়, তিনি আপনাকে ভাবেন, পড়েন। কিন্তু এই প্রেমের কথা যখনই বলা হয়ে যায়, তার কিছুদিন পরই কেন ভাটা পড়ে? ইনবক্সে মেসেজ জমা পড়ে থাকে, কিন্তু সময় করে দেখা হয় না। খুব কাছাকাছি থাকলেও দেখা হয় না কার চোখ কতটা গভীর। প্রিয় মানুষের মনোযোগ, সময় আর ভালোবাসা কি প্রযুক্তি কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া গিলে নিচ্ছে? নাকি সময়ের ধারাবাহিকতায় সবকিছুর মতো ভালোবাসাও ফিকে হয়ে যায়?
ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার অব বাংলাদেশের চিকিৎসক এবং সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘জীবনসঙ্গীকে বোধ হয় আমরা সবচেয়ে কম কোয়ালিটি টাইম দিই। কারণ, বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই অনেকে ধরে নিই—বিয়ে তো হয়েই গেছে আর যাবে কোথায়? ফলে বিয়ের আগে প্রথম যখন দেখা করতে যেতাম, তখনকার মতো সুন্দর করে নিজেকে উপস্থাপন করার জায়গাটা থেকে নারী-পুরুষ উভয়েই বিয়ের পরবর্তী দিনগুলোতে অনেক দূরে সরে যাই। ঘন ঘন আমরা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলি এই ভেবে যে আহা, ও কেন বদলে গেল! আমি নিজেও যে বদলে গেছি, সেই আয়নাটা নিজের চোখের সামনে আদতে আমরা কি ধরি? একটু কি খেয়াল করা যায় যে আমরা কোথায় কোথায় বদলেছি প্রেমের দিনগুলো থেকে বর্তমানের বিবাহিত দিনগুলোতে?’
শুধু বিবাহিত দম্পতিদের মধ্য়েই নয়, অনেক সময় দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কেও রোমান্সের ভাটা পড়ে। সে ক্ষেত্রে এই বসন্তেই তা মেরামত করে নেওয়ার কসরতও চলতে পারে। সম্পর্ক ঠিকঠাক রাখতে দুজন যা যা করে দেখতে পারেন—
» চোখে চোখ রেখে কথা বলা।
» কথা শুরু হলে হাতের ফোন, টিভির রিমোট, নোটপ্যাড নামিয়ে রাখা।
» সঙ্গী যা বলছেন, সেটা মনোযোগী হয়ে শোনা।
» কথা কেবল বলার জন্য না বলে সঙ্গী কী বলতে চাচ্ছেন, সেটা বোঝার চেষ্টা করা; দ্বিতীয়বার নিজের মনেই চিন্তা করা।
» একসঙ্গে দুজনে পছন্দ করেন—এমন কিছু কাজ সাপ্তাহিক তালিকায় রেখে দেওয়া।
» তিনি যখন আপনাকে কিছু বোঝাচ্ছেন, তখন প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করা। যাতে তিনি বুঝতে পারেন যে আপনি আগ্রহী, তাই তাঁর কথার ভেতরে আরও কিছু বুঝতে চাচ্ছেন।
» মতামতের অংশীদারত্বে রুটিন ঠিক করে নিন—কী করবেন, কোথায় যাবেন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয়ে।
» আলোচনার কোনো প্রসঙ্গে এড়িয়ে না যাওয়া।
» কোনো কিছুতে উপেক্ষা না করা।
» উপদেশ দেওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকা। কারণ, প্রত্যেকের নিজস্ব বোধবুদ্ধি আছে।
» দুজন দুজনকে কোন কোন বিষয়ে সহায়তা করতে পারবেন, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা।
» ‘প্রয়োজন হলে যেকোনো অবস্থাতেই আমি আছি’—বিষয়টি দুজন দুজনকে উপলব্ধি করতে দিন।
দুজনের আঁখিবারি গোপনে গেল বয়ে,
দুজনের প্রাণের কথা প্রাণেতে গেল রয়ে।...
কাছে এলেই প্রেমের ছন্দ কেটে যায়। নির্মম এই কথা কী করে বললাম, তাই ভেবে হয়তো বিস্মিত হচ্ছেন। শত মানুষের ভিড়েও যাঁর কণ্ঠ ঠিক কানে এসে লাগে, দৃষ্টির বাইরেও চোখে লেগে থাকে যাঁর ঘোর লাগা চোখ; তাঁকে আবার কাছে পেতে মন না চায়! এখানে অধিকাংশের উল্টো পথে দাঁড়িয়ে জানান যদি দিই, তবে বলতে হবে—হ্যাঁ, প্রেম যত দিন হৃদয়ে থাকে, তত দিনই তা বিশুদ্ধ, নিরাপদও বলতে হয়। হৃদয় দিয়ে হৃদয় অনুভবের চর্চাটাও বলতে গেলে তত দিনই। চোখে লেগে থাকা মানুষটিকে পুরোপুরি গ্রহণ করে নেওয়ার উত্তম সময় সেটি।
একবার ভেবে দেখবেন? যাঁকে আপনি ভালোবাসেন বা যাঁর প্রতি আপনার প্রেমাবেগ আছে, তাঁর সঙ্গে নিত্য়ই আপনার দেখা হয়, সৌজন্য় বিনিময়ও হয়। তাঁর চোখমুখের ক্লান্তিভাব আপনি বুঝে নেন নিমেষে। এমনও তো হতে পারে, আপনার বোধগম্যতা টের পান তিনিও। ওদিকে তাঁর হৃদয়েও খাঁজ কেটে যায় আপনার কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়লে। এমন সময় হৃদয়ের কোনো এক কোণে মৃদু হাওয়ায় যে ঘণ্টা দুলে ওঠে, তা-ই জানান দেয়, তিনি আপনাকে ভাবেন, পড়েন। কিন্তু এই প্রেমের কথা যখনই বলা হয়ে যায়, তার কিছুদিন পরই কেন ভাটা পড়ে? ইনবক্সে মেসেজ জমা পড়ে থাকে, কিন্তু সময় করে দেখা হয় না। খুব কাছাকাছি থাকলেও দেখা হয় না কার চোখ কতটা গভীর। প্রিয় মানুষের মনোযোগ, সময় আর ভালোবাসা কি প্রযুক্তি কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া গিলে নিচ্ছে? নাকি সময়ের ধারাবাহিকতায় সবকিছুর মতো ভালোবাসাও ফিকে হয়ে যায়?
ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার অব বাংলাদেশের চিকিৎসক এবং সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার সানজিদা শাহরিয়া বলেন, ‘জীবনসঙ্গীকে বোধ হয় আমরা সবচেয়ে কম কোয়ালিটি টাইম দিই। কারণ, বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই অনেকে ধরে নিই—বিয়ে তো হয়েই গেছে আর যাবে কোথায়? ফলে বিয়ের আগে প্রথম যখন দেখা করতে যেতাম, তখনকার মতো সুন্দর করে নিজেকে উপস্থাপন করার জায়গাটা থেকে নারী-পুরুষ উভয়েই বিয়ের পরবর্তী দিনগুলোতে অনেক দূরে সরে যাই। ঘন ঘন আমরা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলি এই ভেবে যে আহা, ও কেন বদলে গেল! আমি নিজেও যে বদলে গেছি, সেই আয়নাটা নিজের চোখের সামনে আদতে আমরা কি ধরি? একটু কি খেয়াল করা যায় যে আমরা কোথায় কোথায় বদলেছি প্রেমের দিনগুলো থেকে বর্তমানের বিবাহিত দিনগুলোতে?’
শুধু বিবাহিত দম্পতিদের মধ্য়েই নয়, অনেক সময় দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কেও রোমান্সের ভাটা পড়ে। সে ক্ষেত্রে এই বসন্তেই তা মেরামত করে নেওয়ার কসরতও চলতে পারে। সম্পর্ক ঠিকঠাক রাখতে দুজন যা যা করে দেখতে পারেন—
» চোখে চোখ রেখে কথা বলা।
» কথা শুরু হলে হাতের ফোন, টিভির রিমোট, নোটপ্যাড নামিয়ে রাখা।
» সঙ্গী যা বলছেন, সেটা মনোযোগী হয়ে শোনা।
» কথা কেবল বলার জন্য না বলে সঙ্গী কী বলতে চাচ্ছেন, সেটা বোঝার চেষ্টা করা; দ্বিতীয়বার নিজের মনেই চিন্তা করা।
» একসঙ্গে দুজনে পছন্দ করেন—এমন কিছু কাজ সাপ্তাহিক তালিকায় রেখে দেওয়া।
» তিনি যখন আপনাকে কিছু বোঝাচ্ছেন, তখন প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করা। যাতে তিনি বুঝতে পারেন যে আপনি আগ্রহী, তাই তাঁর কথার ভেতরে আরও কিছু বুঝতে চাচ্ছেন।
» মতামতের অংশীদারত্বে রুটিন ঠিক করে নিন—কী করবেন, কোথায় যাবেন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয়ে।
» আলোচনার কোনো প্রসঙ্গে এড়িয়ে না যাওয়া।
» কোনো কিছুতে উপেক্ষা না করা।
» উপদেশ দেওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকা। কারণ, প্রত্যেকের নিজস্ব বোধবুদ্ধি আছে।
» দুজন দুজনকে কোন কোন বিষয়ে সহায়তা করতে পারবেন, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা।
» ‘প্রয়োজন হলে যেকোনো অবস্থাতেই আমি আছি’—বিষয়টি দুজন দুজনকে উপলব্ধি করতে দিন।
ইসলামিক সংস্কৃতিতে একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার জন্য খাবারকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। চলুন একবার দেখে নেওয়া যাক কোন দেশে ঈদ উৎসবে কোন বিশেষ ধরনের খাবারগুলো খাওয়া হয়।
১৪ ঘণ্টা আগেদেশের তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে খাগড়াছড়ি অন্যতম। এই জেলাটিকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধারও বলে লোকজন। ফলে এখানে পর্যটকদের যাতায়াত আছে বেশ। যোগাযোগ ব্যবস্থাও দারুণ। ঈদের লম্বা ছুটিতে হাতে তিন থেকে চার দিনের সময় নিয়ে গেলে প্রকৃতির চোখ জুড়ানো রূপ দেখে আসা যাবে।
১৮ ঘণ্টা আগেদাওয়াতে উজ্জ্বল রঙের কাতান, অরগাঞ্জা বা সিল্কের শাড়ি, মানানসই লিপস্টিক, চোখে কাজল ও মাসকারা আর ম্যাচিং গয়না; এইতো, আর কী চাই!
২ দিন আগেবাংলাদেশে সেমাই একটি জনপ্রিয় খাবার, বিশেষ করে ঈদ বা উৎসবের সময়। এটি সাধারণত গম থেকে তৈরি ময়দা দিয়ে বানানো হয়। দুধে ভিজিয়ে, ভেজে বা মিষ্টি সিরাপে মিশিয়ে এটি রান্না করা যায়।
২ দিন আগে