অনলাইন ডেস্ক
ওয়েন্দি চেন নিজের শরীরের কল-কব্জাগুলি ঠিকভাবে কাজ করছে পরীক্ষার জন্য পূর্ব চীনের বিখ্যাত পর্বত মাউন্ট তাইয়ে ওঠার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কাজটি করার পথে একটি বাধা ছিল, পাঁচ ঘণ্টার এই পর্বত আরোহণে সঙ্গী হওয়ার মতো কোনো বন্ধুকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তবে এতে দমে গিয়ে পরিকল্পনা বাতিল না করে, ২৫ বছর বয়সী ওয়েন্দি একজন ‘পর্বতারোহণ সঙ্গী’ ভাড়া করলেন। তিনি ট্র্যাকিং, পর্বতারোহণের মতো বিষয়ে এক অভিজ্ঞ যুবক। তাকে পাঁচ হাজার ফুট উচ্চতার চূড়ায় পৌঁছাতে সঙ্গ দেন এবং সহায়তা করেন ওই ব্যক্তি।
চীনা ভাষায় যাকে ‘পেই পা’ (মানে আরোহণে সঙ্গ দেওয়া) বলা হয়, এরা এমন কিছু যুবক যারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে মানুষকে জনপ্রিয় পাহাড়ে আরোহণে সঙ্গ দেন। আর বিষয়টি এ বছর অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে, কারণ ‘পর্বতারোহণ সঙ্গী’ বা ‘ক্লাইম্বিং বাডি’ সম্পর্কিত হ্যাশ ট্যাগ চীনা সামাজিক মাধ্যমে ১০ কেটির বেশি ভিউ পেয়েছে।
এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
তরুণ ও শারীরিকভাবে শক্তপোক্ত যুবকেরা, যাদের মধ্যে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বা এমনকি সাবেক সেনাসদস্য, নিজেদের চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম যেমন শিয়াওহংশু এবং দোয়িন প্রচার করেন। তাদের প্রোফাইলে উচ্চতা, ফিটনেস এবং পর্বতারোহণের অভিজ্ঞতার তথ্য থাকে। সাধারণত, এই যুবক বা তরুণেরা প্রতিটি যাত্রার জন্য ২০০ থেকে ৬০০ ইউয়ান (প্রায় ৩০ থেকে ৮৫ মার্কিন ডলার) পর্যন্ত নিয়ে থাকেন।
পর্বতারোহণের সময় এই ‘সঙ্গীরা’ ক্লায়েন্টদের ক্লান্তি ভুলিয়ে রাখতে এবং তাদের এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করেন। তারা গান গাওয়া, গল্প বলা, কথার মাধ্যমে উৎসাহ দেওয়া, এমনকি প্রয়োজন হলে ব্যাগ বহন করা, হাত ধরা বা তাদের টেনে তুলতেও পিছপা হন না।
ওয়েন্দি চেন এবং তার আরোহণ সঙ্গীর অভিযান রাত ৮টার দিকে শুরু হয়, যাতে তিনি তাঁর বহু কাঙ্ক্ষিত সূর্যোদয় দেখার জন্য চূড়ায় সময়মতো পৌঁছাতে পারেন। তার ফিটনেস কেমন তা পর্যবেক্ষণের পর, তার সঙ্গী একটি মাঝারি ধরনের রুট পরিকল্পনা করেন এবং পুরো পথ তার ব্যাকপ্যাক বহন করেন।
চূড়ায় ঠান্ডা বাতাসের মুখোমুখি হলে, চেনের সঙ্গী তার জন্য একটি মোটা কোট ভাড়া করেন এবং তাকে একটি দেয়ালঘেরা আশ্রয়ে নিয়ে যান।
সূর্যোদয়ের মুহূর্তে, ‘পর্বতারোহণ সঙ্গী’ জাতীয় পতাকাসহ ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন, যাতে চেন একটি স্মরণীয় ছবি তুলতে পারেন। চেন সঙ্গীর ফটোগ্রাফির দক্ষতায় কিছু উন্নতির জায়গা রয়েছে বলে মতো দিলেও, তিনি তার সঙ্গীর সেবা ‘সন্তোষজনক’ বলে মতো প্রকাশ করেন। এই সেবার জন্য তাকে ৩৫০ ইউয়ান (প্রায় ৪৯ মার্কিন ডলার) দিতে হয়েছে।
যদিও চেন একটি সাধারণ মূল্যে সেবা পেয়েছেন, তিনি স্বীকার করেন যে আরও আকর্ষণীয় দেখতে সঙ্গীরা বেশি পারিশ্রমিক নেন।
‘আকর্ষণীয় হওয়াটাও তাদের যোগ্যতার অংশ।’ বলেন চেন।
এই ‘পর্বতারোহণ সঙ্গী’রা প্রধান গ্রাহক সাধারণত একাকী তরুণীরা হলেও, এই প্রবণতা ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে।
এই গ্রীষ্মে, একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে একজন শক্তিশালী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে তিন বছর বয়সী একটি শিশুকে সহজেই খাঁড়া পাহাড়ে তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায়, যখন শিশুটির মা বেশ পেছন থেকে অনুসরণ করছিলেন।
২০ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ক্রিস ঝাং এই গ্রীষ্মে একটি সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন। যেখানে তার অনেক সহপাঠী প্রচলিত ইন্টার্নশিপে যোগ দিয়েছেন, ঝাং অনলাইনে নিজেকে ‘পর্বতারোহণ সঙ্গী’ হিসেবে বিজ্ঞাপন দিয়ে কাজ শুরু করেন।
জাতীয় ছুটির সময়ে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়, ঝাং গত তিন মাসে ইতিমধ্যে ২০ হাজার ইউয়ান (প্রায় দুই হাজার ৮০০ ডলার) আয় করেছেন। একই সময়ে, তার কিছু সহপাঠী গ্রাহক সেবার ইন্টার্নশিপ করে মাসে মাত্র দুই হাজার ইউয়ান (প্রায় ২৮০ ডলার) উপার্জন করেছেন।
ঝাং বলছেন, আরোহণ সঙ্গী হওয়ায় তিনি শুধু বেশি বেতনই পাচ্ছেন না, বরং দিনের পর দিন কম্পিউটারের সামনে বসে থাকার চেয়ে বাইরে থাকার স্বাধীনতাও উপভোগ করছেন।
অন্য কেউ কেউ, যেমন চেন উদি, এই পেশাকে আরও সিরিয়াসভাবে নিয়েছেন। এপ্রিল মাসে চাপে থাকা কাজ ছেড়ে, ২৭ বছর বয়সী চেন তার ট্রেকিংয়ের ভালোবাসাকে পেশায় পরিণত করে ফুলটাইম আরোহণ সঙ্গী হয়ে যান।
বর্তমানে, চেন মাসে প্রায় ৪০টি বুকিং নিচ্ছেন এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার ইউয়ান (দুই হাজার ৮০০ ডলার) আয় করছেন। যা চীনে গড় মাসিক বেতনের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। ব্যবসা এতটাই ভালো যে তিনি এখন মাউন্ট তাই-এর পাদদেশের শহর তাই’আন সিটিতে চলে গেছেন।
‘আমি প্রতিদিনই পাহাড়ে উঠছি। কখনো কখনো দিনে দু’বার, এমনকি তিনবারও উঠতে হয়।’ বলেন চেন।
তার মতো জনপ্রিয় আরোহণ সঙ্গীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাহাড়ে বুকিং পান, এবং যদি ক্লায়েন্ট পরিবহন খরচ বহন করেন, তবে চেন যে কোনো পাহাড়ে আরোহণে যান।
তবে এই আয়ের আকর্ষণীয় দিক থাকলেও চেন স্বীকার করেন যে এই কাজ দীর্ঘ মেয়াদে করা সম্ভব নাও হতে পারে। কারণ এটি শারীরিকভাবে খুব ক্লান্তিকর।
‘আমার হাঁটুর অনেক ক্ষতি হচ্ছে, তাই আমি হয়তো এই কাজ কয়েক মাস বা বড়জোর ছয় মাস করতে পারব।’ বলেন চেন।
পেশাদার ‘পর্বতারোহণ সঙ্গী’দের জনপ্রিয়তা কিছু উদ্বেগও তৈরি করেছে। বর্তমানে এই বাজারটি নিয়ন্ত্রিত নয়। সমালোচকেরা বিশেষত তরুণ একক নারী বা ছোট শিশুদের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেছেন।
অনেকের উদ্বেগ, যাচাই-বাছাইহীন গাইডরা অপেশাদার পর্বতারোহীদের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ফেলে দিতে পারেন। এ ছাড়াও, এই প্রবণতা কিছু অপরাধের সুযোগ তৈরি করেছে, যেমন গ্রাহকদের প্রতারণার শিকার হওয়ার কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।
তবুও, চীনে তরুণদের উচ্চ বেকারত্বের হার এবং অনেকের জন্য স্নাতকের পর বা চাকরি খোঁজার ফাঁকে স্থায়ী কাজের সন্ধান দীর্ঘায়িত হওয়ায়, ‘পর্বতারোহণ সঙ্গী’ হওয়া দ্রুত অর্থ আয়ের একটি পথ হিসেবে উঠে এসেছে। একই সঙ্গে এটি তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ঠিক করার সময়ও দিচ্ছে।
চেন উদি জানেন এই কাজটা আজীবন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, তবে তিনি বলেন, জীবনের এই মুহূর্তে এটি তার জন্য প্রয়োজনীয়।
‘আমি ট্রেকিং এবং বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতে পছন্দ করি। আর এটি এতটুকু আয় করে যে আমার জীবিকা নির্বাহ করতে যথেষ্ট।’ বলেন চেন।
ওয়েন্দি চেন নিজের শরীরের কল-কব্জাগুলি ঠিকভাবে কাজ করছে পরীক্ষার জন্য পূর্ব চীনের বিখ্যাত পর্বত মাউন্ট তাইয়ে ওঠার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কাজটি করার পথে একটি বাধা ছিল, পাঁচ ঘণ্টার এই পর্বত আরোহণে সঙ্গী হওয়ার মতো কোনো বন্ধুকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তবে এতে দমে গিয়ে পরিকল্পনা বাতিল না করে, ২৫ বছর বয়সী ওয়েন্দি একজন ‘পর্বতারোহণ সঙ্গী’ ভাড়া করলেন। তিনি ট্র্যাকিং, পর্বতারোহণের মতো বিষয়ে এক অভিজ্ঞ যুবক। তাকে পাঁচ হাজার ফুট উচ্চতার চূড়ায় পৌঁছাতে সঙ্গ দেন এবং সহায়তা করেন ওই ব্যক্তি।
চীনা ভাষায় যাকে ‘পেই পা’ (মানে আরোহণে সঙ্গ দেওয়া) বলা হয়, এরা এমন কিছু যুবক যারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে মানুষকে জনপ্রিয় পাহাড়ে আরোহণে সঙ্গ দেন। আর বিষয়টি এ বছর অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে, কারণ ‘পর্বতারোহণ সঙ্গী’ বা ‘ক্লাইম্বিং বাডি’ সম্পর্কিত হ্যাশ ট্যাগ চীনা সামাজিক মাধ্যমে ১০ কেটির বেশি ভিউ পেয়েছে।
এসব তথ্য জানা যায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে।
তরুণ ও শারীরিকভাবে শক্তপোক্ত যুবকেরা, যাদের মধ্যে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বা এমনকি সাবেক সেনাসদস্য, নিজেদের চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম যেমন শিয়াওহংশু এবং দোয়িন প্রচার করেন। তাদের প্রোফাইলে উচ্চতা, ফিটনেস এবং পর্বতারোহণের অভিজ্ঞতার তথ্য থাকে। সাধারণত, এই যুবক বা তরুণেরা প্রতিটি যাত্রার জন্য ২০০ থেকে ৬০০ ইউয়ান (প্রায় ৩০ থেকে ৮৫ মার্কিন ডলার) পর্যন্ত নিয়ে থাকেন।
পর্বতারোহণের সময় এই ‘সঙ্গীরা’ ক্লায়েন্টদের ক্লান্তি ভুলিয়ে রাখতে এবং তাদের এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করেন। তারা গান গাওয়া, গল্প বলা, কথার মাধ্যমে উৎসাহ দেওয়া, এমনকি প্রয়োজন হলে ব্যাগ বহন করা, হাত ধরা বা তাদের টেনে তুলতেও পিছপা হন না।
ওয়েন্দি চেন এবং তার আরোহণ সঙ্গীর অভিযান রাত ৮টার দিকে শুরু হয়, যাতে তিনি তাঁর বহু কাঙ্ক্ষিত সূর্যোদয় দেখার জন্য চূড়ায় সময়মতো পৌঁছাতে পারেন। তার ফিটনেস কেমন তা পর্যবেক্ষণের পর, তার সঙ্গী একটি মাঝারি ধরনের রুট পরিকল্পনা করেন এবং পুরো পথ তার ব্যাকপ্যাক বহন করেন।
চূড়ায় ঠান্ডা বাতাসের মুখোমুখি হলে, চেনের সঙ্গী তার জন্য একটি মোটা কোট ভাড়া করেন এবং তাকে একটি দেয়ালঘেরা আশ্রয়ে নিয়ে যান।
সূর্যোদয়ের মুহূর্তে, ‘পর্বতারোহণ সঙ্গী’ জাতীয় পতাকাসহ ছবি তোলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন, যাতে চেন একটি স্মরণীয় ছবি তুলতে পারেন। চেন সঙ্গীর ফটোগ্রাফির দক্ষতায় কিছু উন্নতির জায়গা রয়েছে বলে মতো দিলেও, তিনি তার সঙ্গীর সেবা ‘সন্তোষজনক’ বলে মতো প্রকাশ করেন। এই সেবার জন্য তাকে ৩৫০ ইউয়ান (প্রায় ৪৯ মার্কিন ডলার) দিতে হয়েছে।
যদিও চেন একটি সাধারণ মূল্যে সেবা পেয়েছেন, তিনি স্বীকার করেন যে আরও আকর্ষণীয় দেখতে সঙ্গীরা বেশি পারিশ্রমিক নেন।
‘আকর্ষণীয় হওয়াটাও তাদের যোগ্যতার অংশ।’ বলেন চেন।
এই ‘পর্বতারোহণ সঙ্গী’রা প্রধান গ্রাহক সাধারণত একাকী তরুণীরা হলেও, এই প্রবণতা ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে।
এই গ্রীষ্মে, একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে একজন শক্তিশালী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে তিন বছর বয়সী একটি শিশুকে সহজেই খাঁড়া পাহাড়ে তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায়, যখন শিশুটির মা বেশ পেছন থেকে অনুসরণ করছিলেন।
২০ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ক্রিস ঝাং এই গ্রীষ্মে একটি সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন। যেখানে তার অনেক সহপাঠী প্রচলিত ইন্টার্নশিপে যোগ দিয়েছেন, ঝাং অনলাইনে নিজেকে ‘পর্বতারোহণ সঙ্গী’ হিসেবে বিজ্ঞাপন দিয়ে কাজ শুরু করেন।
জাতীয় ছুটির সময়ে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়, ঝাং গত তিন মাসে ইতিমধ্যে ২০ হাজার ইউয়ান (প্রায় দুই হাজার ৮০০ ডলার) আয় করেছেন। একই সময়ে, তার কিছু সহপাঠী গ্রাহক সেবার ইন্টার্নশিপ করে মাসে মাত্র দুই হাজার ইউয়ান (প্রায় ২৮০ ডলার) উপার্জন করেছেন।
ঝাং বলছেন, আরোহণ সঙ্গী হওয়ায় তিনি শুধু বেশি বেতনই পাচ্ছেন না, বরং দিনের পর দিন কম্পিউটারের সামনে বসে থাকার চেয়ে বাইরে থাকার স্বাধীনতাও উপভোগ করছেন।
অন্য কেউ কেউ, যেমন চেন উদি, এই পেশাকে আরও সিরিয়াসভাবে নিয়েছেন। এপ্রিল মাসে চাপে থাকা কাজ ছেড়ে, ২৭ বছর বয়সী চেন তার ট্রেকিংয়ের ভালোবাসাকে পেশায় পরিণত করে ফুলটাইম আরোহণ সঙ্গী হয়ে যান।
বর্তমানে, চেন মাসে প্রায় ৪০টি বুকিং নিচ্ছেন এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার ইউয়ান (দুই হাজার ৮০০ ডলার) আয় করছেন। যা চীনে গড় মাসিক বেতনের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। ব্যবসা এতটাই ভালো যে তিনি এখন মাউন্ট তাই-এর পাদদেশের শহর তাই’আন সিটিতে চলে গেছেন।
‘আমি প্রতিদিনই পাহাড়ে উঠছি। কখনো কখনো দিনে দু’বার, এমনকি তিনবারও উঠতে হয়।’ বলেন চেন।
তার মতো জনপ্রিয় আরোহণ সঙ্গীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাহাড়ে বুকিং পান, এবং যদি ক্লায়েন্ট পরিবহন খরচ বহন করেন, তবে চেন যে কোনো পাহাড়ে আরোহণে যান।
তবে এই আয়ের আকর্ষণীয় দিক থাকলেও চেন স্বীকার করেন যে এই কাজ দীর্ঘ মেয়াদে করা সম্ভব নাও হতে পারে। কারণ এটি শারীরিকভাবে খুব ক্লান্তিকর।
‘আমার হাঁটুর অনেক ক্ষতি হচ্ছে, তাই আমি হয়তো এই কাজ কয়েক মাস বা বড়জোর ছয় মাস করতে পারব।’ বলেন চেন।
পেশাদার ‘পর্বতারোহণ সঙ্গী’দের জনপ্রিয়তা কিছু উদ্বেগও তৈরি করেছে। বর্তমানে এই বাজারটি নিয়ন্ত্রিত নয়। সমালোচকেরা বিশেষত তরুণ একক নারী বা ছোট শিশুদের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের বিষয়ে সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেছেন।
অনেকের উদ্বেগ, যাচাই-বাছাইহীন গাইডরা অপেশাদার পর্বতারোহীদের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে ফেলে দিতে পারেন। এ ছাড়াও, এই প্রবণতা কিছু অপরাধের সুযোগ তৈরি করেছে, যেমন গ্রাহকদের প্রতারণার শিকার হওয়ার কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।
তবুও, চীনে তরুণদের উচ্চ বেকারত্বের হার এবং অনেকের জন্য স্নাতকের পর বা চাকরি খোঁজার ফাঁকে স্থায়ী কাজের সন্ধান দীর্ঘায়িত হওয়ায়, ‘পর্বতারোহণ সঙ্গী’ হওয়া দ্রুত অর্থ আয়ের একটি পথ হিসেবে উঠে এসেছে। একই সঙ্গে এটি তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ঠিক করার সময়ও দিচ্ছে।
চেন উদি জানেন এই কাজটা আজীবন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, তবে তিনি বলেন, জীবনের এই মুহূর্তে এটি তার জন্য প্রয়োজনীয়।
‘আমি ট্রেকিং এবং বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতে পছন্দ করি। আর এটি এতটুকু আয় করে যে আমার জীবিকা নির্বাহ করতে যথেষ্ট।’ বলেন চেন।
বছর শেষে ছুটির মৌসুম এলেই, একা বা সিঙ্গেল ব্যক্তিদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। পরিবার ও বন্ধুদের প্রশ্ন, একা পার্টিতে যাওয়ার দ্বিধা এবং সামাজিক চাপ—এসব কারণে অনেকেই ছুটির দিনগুলোতে চাপ অনুভব করেন। বিশেষত, নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে এই চাপটা বেশি মনে হয়। কারণ এই দুই মাসে শীতকালীন ছুটি...
৩ ঘণ্টা আগেনব্বই দশকে বেড়ে ওঠা চারজন টগবগে তরুণ তৈরি করেছিলেন ফ্যাশন হাউস রঙ। সৌমিক দাস জানান, প্রথম অবস্থায় রঙ গড়তে প্রধান কারিগর ৪ জন হলেও অনেকের অবদান এতে সংযুক্ত ছিল, যারা রঙ বাংলাদেশের প্রিয় বন্ধু-স্বজন।
৯ ঘণ্টা আগেশীতের আমেজ এখন জমে উঠেছে। শীতের সকালে কাজ কিংবা উষ্ণ সন্ধ্যায় আড্ডায় এক কাফ গরম কফির চেয়ে ভালো অনুভূতি আর হয় না। তবে সমস্যা একটাই—শীতে দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায় কফি। তবে চিন্তা নেই! এই সমস্যারও সমাধান রয়েছে।
১ দিন আগেবছর জুড়ে ছিল আম্বানি পরিবারের নানান পারিবারিক ও সামাজিক আয়োজন। এসব অনুষ্ঠানে তিনি যে শাড়িগুলো পরেছিলেন সেগুলোর মধ্যে ৮টি সেরা শাড়ির উল্লেখ করা যেতে পারে বছর শেষে। জীবনধারা, পোশাক, ফ্যাশন, নিতা আম্বানি
২ দিন আগে