নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
৪৩তম বিসিএসের পুনঃ প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন থেকে ১৬৮ জনকে বাদ দেওয়ার ঘটনার পুনর্বিবেচনা ও তদন্ত দাবি করেছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। তারা দাবি করেছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সবাইকে আওয়ামী লীগ সমর্থক ধরে নিয়ে গণহারে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বিকেলে এক বিবৃতিতে কমিটির পক্ষে এসব কথা বলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
বিবৃতিতে আনু মুহাম্মদ বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে ৪৩তম বিসিএসের গেজেট থেকে বিভিন্ন ক্যাডারের প্রার্থীদের মধ্যে ১৬৮ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অক্টোবরে গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পর আবার ডিসেম্বরে সেটা পুনঃপ্রকাশ করা এবং একটা বড় অংশকে বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে শোনা যায়, পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল, এদের বাদ দিয়ে নতুন গেজেট করা হয়েছে। যদিও প্রশাসন বা পিএসসির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
তিনি বলেন, ‘বাদ পড়া প্রার্থীদের মধ্যে ৭১ জন, অর্থাৎ ৪২.২৬% হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের। এঁদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যাঁরা শেখ হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকারি নিয়োগে ব্যাপক হারে দলীয়করণ, দুর্নীতি ও নিয়োগ-বাণিজ্য হয়েছে। তার প্রতিবিধান করতে গিয়ে অন্যায়ভাবে বা ব্যক্তি-গোষ্ঠী বিশেষের খেয়াল-খুশিমতো ধর্ম, এলাকা, লিঙ্গ, বর্ণ বা রাজনৈতিক মতের কারণে কাউকে বাদ দেওয়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বৈষম্যহীন চেতনার পরিপন্থী।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সংখ্যালঘু প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার যে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, তা অবিলম্বে তদন্ত করা দরকার। এ ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য অন্তত দুটি অভিযোগের কথা উল্লেখ করা যায়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক নেতা কৃষ্ণ বর্মণ এবং ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি শাখার সাবেক নেতা শিপন দে, যাঁরা ছাত্রজীবনে আওয়ামী দুঃশাসনবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, তাঁরা নতুন গেজেটে বাদ পড়েছেন।
তিনি বলেন, তাঁদের মতো আরও অনেকে প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা মহলবিশেষের সাম্প্রদায়িক বা রাজনৈতিক পক্ষপাতের শিকার হয়েছেন কি না—তা সরকারকে পরিষ্কার করতে হবে।
৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে একধরনের নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে সংখ্যালঘুরা বৈষম্যের শিকার হবেন না, মেধা ও যোগ্যতার স্বীকৃতি তাঁরা পাবেন—অন্তর্বর্তী সরকারের দিক থেকে এই আশ্বাস ও পদক্ষেপ জরুরি।
পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এ ধরনের অপেশাদারি আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত জানিয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘বাংলাদেশে সরকারি চাকরির ক্ষেত্র প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) নিয়োগে একজন শিক্ষার্থীর দীর্ঘ সময় ও পরিশ্রমের পথ পাড়ি দিতে হয়। সেই নিয়োগের সর্বশেষ ধাপে প্রকাশিত গেজেট থেকে এ রকম আচমকা এতজন প্রার্থীর নাম বাদ দেওয়ায় জনমনে বিভিন্ন আশঙ্কা ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এর কোনো ব্যাখ্যাও কেউ দিচ্ছেন না।
তিনি বলেন, ‘যাদের বাদ দেওয়া হলো, তাদের বাদ দেওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ জানানো হোক, দেশের জনগণকেও তা জানানো হোক। জবাবদিহিহীন সরকারকে আমরা অনেক প্রাণের বিনিময়ে হটিয়েছি। আমরা প্রত্যাশা করি, এ সরকার প্রত্যেকটা বিষয়ে নিজের সঠিক অবস্থান জনগণের সামনে স্পষ্ট করবেন।’ তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংবেদনশীলতার সঙ্গে এই প্রজ্ঞাপন পুনর্বিবেচনা করে ফল প্রকাশের দাবি জানান।
৪৩তম বিসিএসের পুনঃ প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন থেকে ১৬৮ জনকে বাদ দেওয়ার ঘটনার পুনর্বিবেচনা ও তদন্ত দাবি করেছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। তারা দাবি করেছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সবাইকে আওয়ামী লীগ সমর্থক ধরে নিয়ে গণহারে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বিকেলে এক বিবৃতিতে কমিটির পক্ষে এসব কথা বলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
বিবৃতিতে আনু মুহাম্মদ বলেন, গত ৩০ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে ৪৩তম বিসিএসের গেজেট থেকে বিভিন্ন ক্যাডারের প্রার্থীদের মধ্যে ১৬৮ জন প্রার্থীকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অক্টোবরে গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পর আবার ডিসেম্বরে সেটা পুনঃপ্রকাশ করা এবং একটা বড় অংশকে বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে শোনা যায়, পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল, এদের বাদ দিয়ে নতুন গেজেট করা হয়েছে। যদিও প্রশাসন বা পিএসসির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
তিনি বলেন, ‘বাদ পড়া প্রার্থীদের মধ্যে ৭১ জন, অর্থাৎ ৪২.২৬% হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের। এঁদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যাঁরা শেখ হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, বিগত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকারি নিয়োগে ব্যাপক হারে দলীয়করণ, দুর্নীতি ও নিয়োগ-বাণিজ্য হয়েছে। তার প্রতিবিধান করতে গিয়ে অন্যায়ভাবে বা ব্যক্তি-গোষ্ঠী বিশেষের খেয়াল-খুশিমতো ধর্ম, এলাকা, লিঙ্গ, বর্ণ বা রাজনৈতিক মতের কারণে কাউকে বাদ দেওয়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বৈষম্যহীন চেতনার পরিপন্থী।
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সংখ্যালঘু প্রার্থীকে বাদ দেওয়ার যে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, তা অবিলম্বে তদন্ত করা দরকার। এ ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য অন্তত দুটি অভিযোগের কথা উল্লেখ করা যায়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক নেতা কৃষ্ণ বর্মণ এবং ছাত্র ইউনিয়ন ঢাবি শাখার সাবেক নেতা শিপন দে, যাঁরা ছাত্রজীবনে আওয়ামী দুঃশাসনবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন, তাঁরা নতুন গেজেটে বাদ পড়েছেন।
তিনি বলেন, তাঁদের মতো আরও অনেকে প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা মহলবিশেষের সাম্প্রদায়িক বা রাজনৈতিক পক্ষপাতের শিকার হয়েছেন কি না—তা সরকারকে পরিষ্কার করতে হবে।
৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে একধরনের নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে সংখ্যালঘুরা বৈষম্যের শিকার হবেন না, মেধা ও যোগ্যতার স্বীকৃতি তাঁরা পাবেন—অন্তর্বর্তী সরকারের দিক থেকে এই আশ্বাস ও পদক্ষেপ জরুরি।
পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এ ধরনের অপেশাদারি আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত জানিয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘বাংলাদেশে সরকারি চাকরির ক্ষেত্র প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) নিয়োগে একজন শিক্ষার্থীর দীর্ঘ সময় ও পরিশ্রমের পথ পাড়ি দিতে হয়। সেই নিয়োগের সর্বশেষ ধাপে প্রকাশিত গেজেট থেকে এ রকম আচমকা এতজন প্রার্থীর নাম বাদ দেওয়ায় জনমনে বিভিন্ন আশঙ্কা ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এর কোনো ব্যাখ্যাও কেউ দিচ্ছেন না।
তিনি বলেন, ‘যাদের বাদ দেওয়া হলো, তাদের বাদ দেওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ জানানো হোক, দেশের জনগণকেও তা জানানো হোক। জবাবদিহিহীন সরকারকে আমরা অনেক প্রাণের বিনিময়ে হটিয়েছি। আমরা প্রত্যাশা করি, এ সরকার প্রত্যেকটা বিষয়ে নিজের সঠিক অবস্থান জনগণের সামনে স্পষ্ট করবেন।’ তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংবেদনশীলতার সঙ্গে এই প্রজ্ঞাপন পুনর্বিবেচনা করে ফল প্রকাশের দাবি জানান।
যুক্তরাজ্যের আর্থিক সেবা বিষয়কমন্ত্রী ও ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিককে লন্ডনের প্রাণকেন্দ্রে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট দান করেছিলেন সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী।
৪ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের তিনটি জানাজা হওয়ার কথা শুনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরক্ত হয়েছিলেন। এমন দাবি করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে প্রকাশিত ‘হাটে হাঁড়ি ভাঙা’ শীর্ষক প্রথম পর্বের পোস্
১৬ ঘণ্টা আগেচলমান শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে সারা দেশে রেলপথে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার রেল মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পাঠানো এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়।
১৯ ঘণ্টা আগেএকে অপরের হেফাজতে থাকা জেলেদের পারস্পরিক প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করার বিষয়ে একমত হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুই দেশের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
২০ ঘণ্টা আগে