নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস সরাসরি আঘাত না হানলেও এর প্রভাব থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশে উপকূল। দুর্বল বেড়িবাঁধের কারণে সাগর আর নদীর পানি ভাসিয়ে দিয়েছে লাখো মানুষের স্বপ্ন। মাছের ঘের, ফসলি জমি আর বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে পানিতে। পানি ঢুকে ভেসে গেছে দেশের ১৯ উপকূল জেলার জনপদ। সব হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে লাখো মানুষ।
আজকের পত্রিকার উপকূলীয় জেলা প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, আতঙ্কে মঙ্গলবার নির্ঘুম রাত কেটেছে উপকূলবাসীর। ঝড়ের চেয়ে তাঁদের বেশি ভাবিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নড়বড়ে বাঁধ। দেশের পুরো উপকূল জুড়েই বাঁধের এমন বেহাল দশা।
আজ বুধবার সকালে ভারতে যখন চলছে ঝড়ের তাণ্ডব তখনো বাংলাদেশের উপকূলবাসী বাঁধ রক্ষায় শেষ চেষ্টাটুকু চালিয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। সারা বছর বেড়িবাঁধ নির্মাণ বা সংস্কার নিয়ে উপকূলবাসী তাদের প্রাণের কথা বললেও তা নজরে আসেনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তাদের। তাই ঝড় থেকে বাঁচলেও নোনা পানির ক্ষত বইতেই হবে তাদের। আমাদের প্রতিনিধির কাছে এমনই আক্ষেপ জানান সাতক্ষীরার আক্রান্ত জনগণ।
সুন্দরবন কোল ঘেঁষে অবস্থিত সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম লোনা পানিতে প্লাবিত হয়েছে একদিন আগেই। এই পানি যে সব খেত–খামারে ঢুকেছে সেই ফসল সব নষ্ট হবে। পানি জমে তৈরি হবে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। এমনিতেই সাতক্ষীরার উপকূল অঞ্চলে সুপেয় পানির ব্যাপক সংকট বছর জুড়ে। নোনা পানি বাসা বাড়ির টিউবওয়েলের ঢুকলে আর সেটি খাওয়ার জো থাকবে না। খালি চোখে সাময়িক ক্ষতি দেখা গেলেও উপকূলবাসীকে এই পানি ভোগাবে দীর্ঘদিন। শুধু সাতক্ষীরা নয় নোনা পানি ঢুকে ফসল নষ্ট হয়েছে বরিশাল, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন উপকূল এলাকায়।
এ নিয়ে টিআইবির জলবায়ু অর্থায়ন বিশেষজ্ঞ মো. জাকির হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঝড় এলেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের নড়াচড়া দেখা যায়। সঠিক সময়ে তাদের হাতে বরাদ্দ পৌঁছানো হয় না। বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যবহারে স্বচ্ছতাও থাকতে হবে। বাঁধ নির্মাণে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। রাজনীতির বলয় থেকে কর্মকর্তাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তা করা গেলে ভাগ্য ঘুরতে পারে উপকূলবাসী। ‘
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিশ্বজিৎ নাথ আক্ষেপ করে বলেন, বাঁধগুলো ভালো থাকলে এবারের ঝড়ে ক্ষতি এড়ানো যেতো। প্রতিবার ঝড়ের সময় আসলে দেখা যায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তাদের কর্মতৎপরতা। সারা বছর খবর থাকে না। এটা উপকূলের অসহায় মানুষদের সঙ্গে এক প্রকার তামাশা। ‘
ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াস সরাসরি আঘাত না হানলেও এর প্রভাব থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশে উপকূল। দুর্বল বেড়িবাঁধের কারণে সাগর আর নদীর পানি ভাসিয়ে দিয়েছে লাখো মানুষের স্বপ্ন। মাছের ঘের, ফসলি জমি আর বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে পানিতে। পানি ঢুকে ভেসে গেছে দেশের ১৯ উপকূল জেলার জনপদ। সব হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে লাখো মানুষ।
আজকের পত্রিকার উপকূলীয় জেলা প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, আতঙ্কে মঙ্গলবার নির্ঘুম রাত কেটেছে উপকূলবাসীর। ঝড়ের চেয়ে তাঁদের বেশি ভাবিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নড়বড়ে বাঁধ। দেশের পুরো উপকূল জুড়েই বাঁধের এমন বেহাল দশা।
আজ বুধবার সকালে ভারতে যখন চলছে ঝড়ের তাণ্ডব তখনো বাংলাদেশের উপকূলবাসী বাঁধ রক্ষায় শেষ চেষ্টাটুকু চালিয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। সারা বছর বেড়িবাঁধ নির্মাণ বা সংস্কার নিয়ে উপকূলবাসী তাদের প্রাণের কথা বললেও তা নজরে আসেনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তাদের। তাই ঝড় থেকে বাঁচলেও নোনা পানির ক্ষত বইতেই হবে তাদের। আমাদের প্রতিনিধির কাছে এমনই আক্ষেপ জানান সাতক্ষীরার আক্রান্ত জনগণ।
সুন্দরবন কোল ঘেঁষে অবস্থিত সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম লোনা পানিতে প্লাবিত হয়েছে একদিন আগেই। এই পানি যে সব খেত–খামারে ঢুকেছে সেই ফসল সব নষ্ট হবে। পানি জমে তৈরি হবে স্থায়ী জলাবদ্ধতা। এমনিতেই সাতক্ষীরার উপকূল অঞ্চলে সুপেয় পানির ব্যাপক সংকট বছর জুড়ে। নোনা পানি বাসা বাড়ির টিউবওয়েলের ঢুকলে আর সেটি খাওয়ার জো থাকবে না। খালি চোখে সাময়িক ক্ষতি দেখা গেলেও উপকূলবাসীকে এই পানি ভোগাবে দীর্ঘদিন। শুধু সাতক্ষীরা নয় নোনা পানি ঢুকে ফসল নষ্ট হয়েছে বরিশাল, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন উপকূল এলাকায়।
এ নিয়ে টিআইবির জলবায়ু অর্থায়ন বিশেষজ্ঞ মো. জাকির হোসেন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঝড় এলেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের নড়াচড়া দেখা যায়। সঠিক সময়ে তাদের হাতে বরাদ্দ পৌঁছানো হয় না। বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যবহারে স্বচ্ছতাও থাকতে হবে। বাঁধ নির্মাণে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। রাজনীতির বলয় থেকে কর্মকর্তাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তা করা গেলে ভাগ্য ঘুরতে পারে উপকূলবাসী। ‘
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিশ্বজিৎ নাথ আক্ষেপ করে বলেন, বাঁধগুলো ভালো থাকলে এবারের ঝড়ে ক্ষতি এড়ানো যেতো। প্রতিবার ঝড়ের সময় আসলে দেখা যায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তাদের কর্মতৎপরতা। সারা বছর খবর থাকে না। এটা উপকূলের অসহায় মানুষদের সঙ্গে এক প্রকার তামাশা। ‘
শেখ মইনউদ্দিন এবং ফয়েজ আহমদ তৈয়বকে নিজের বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টা তাঁদেরকে নিজের বিশেষ সহকারী নিয়োগ দিয়েছেন জানিয়ে আজ বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শেখ মইনউদ্দিনকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়...
১০ মিনিট আগেক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের প্রতিষ্ঠিত সূচনা ফাউন্ডেশনের ১৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ১৪টি ব্যাংক হিসাবে ৪৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা জমা আছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেভূমিকম্পে কাঁপল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি এলাকা। আজ বুধবার সকালে ১১টা ৩৬ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। এর গভীরতা ছিল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার।
৩ ঘণ্টা আগেআনুষ্ঠানিকভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে যুক্ত হলেন অধ্যাপক সি আর আবরার। আজ বুধবার বেলা ১১টায় বঙ্গভবনে শপথ নেন উপদেষ্টা পরিষদের এই নতুন সদস্য। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগে