কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
ইউক্রেন সংকট সৃষ্টির পর এখন পর্যন্ত ৪১৮ জন বাংলাদেশি ইউক্রেন ছেড়েছেন। এর মধ্যে ৪০০ জনই পোল্যান্ডে প্রবেশ করেছেন। আর ১৫ জন হাঙ্গেরি ও ৩ জন প্রবেশ করেছেন রোমানিয়া। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ রোববার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইউক্রেন ইস্যুতে একটি আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, অর্থ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) সাব্বির আহমেদ চৌধুরী। এ ছাড়া বৈঠকে কিছুক্ষণের জন্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম যোগ দিয়েছিলেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, ইউক্রেন ইস্যুতে সেখানে থাকা বাংলাদেশি যারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করছেন, তাঁদের নিয়ে করণীয় বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কীভাবে এবং কতজন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং তাঁদের ফেরত আনতে ও সেখানে থাকাকালীন অবস্থায় বাংলাদেশ মিশনগুলোর জন্য অর্থ বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ ও সিআইএস অনুবিভাগের মহাপরিচালক শিকদার বদিরুজ্জামান বাংলাদেশিদের ইউক্রেন থেকে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সংখ্যা আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেন থেকে ৪০০ জন পোল্যান্ডে, ১৫ জন হাঙ্গেরি এবং ৩ জন রোমানিয়াতে প্রবেশ করেছেন। পোল্যান্ডে প্রবেশ করা ৪০০ জনের মধ্যে ৪৬ জন বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতা চেয়েছেন। তাঁরা দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। বাকিরা নিজ আত্মীয়স্বজনের কাছে গেছেন। এ ছাড়া হাঙ্গেরি ও রোমানিয়ায় প্রবেশ করা বাংলাদেশিদের সঙ্গে দূতাবাস যোগাযোগ রাখছে।
এর বাইরে ২৮ জন বাংলাদেশিকে আইসিআরসির মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে সীমান্ত পাড়ি দেওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে পোল্যান্ডে যাওয়ার আগ্রহ বেশি। এরপর হাঙ্গেরি। তাঁদের রোমানিয়া যাওয়ার আগ্রহ নেই বললেই চলে।’
এর কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘রোমানিয়া সেনজেনভুক্ত দেশ নয়। ফলে রোমানিয়া প্রবেশ করলে সেখান থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে যাওয়া যাবে না। তাঁদের মধ্যে পোল্যান্ডে যাওয়ার প্রবণতা বেশি, কারণ সেখান থেকে ইউরোপের যে কোনো দেশে যাওয়া সহজ। এ কারণে পোল্যান্ডে যাওয়ার সংখ্যা এখনো বেশি, সামনে আরও বেশি দেখা যাবে। তবে এ বিষয়টি উদ্বেগেরও। কারণ বাংলাদেশিরা সেখান থেকে পালিয়ে গেলে ভবিষ্যতে কোনো দেশ থেকে কোনো ধরনের সুবিধা নিতে ঝামেলায় পড়তে হবে বাংলাদেশকে।’
এ দিকে পোল্যান্ডে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস জরুরি বার্তা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেন থেকে আগত এবং বর্তমানে পোল্যান্ডে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ইউক্রেন থেকে আগত এবং বর্তমানে পোল্যান্ডে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নাম, পাসপোর্ট নম্বর, মোবাইল নম্বর এবং পূর্ণ ঠিকানাসহ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা তৌহিদ ইমাম +৪৯১৫৭৭৮৬৭৬৩৭৬ নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে অথবা ই-মেইলে ([email protected]) অতিসত্বর পাঠাতে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ইউক্রেনে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা বর্তমান পরিস্থিতিতে যে যেখানে আটকা পড়ে আছেন তাঁদের নাম, মোবাইল নম্বর এবং পূর্ণ ঠিকানা একই নম্বরে পাঠাতে বলা হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়েছে, ‘এই পরিস্থিতিতে যে যেখানে আছেন সেখানেই অবস্থান করুন পরিস্থিতি বিবেচনা করে আইসিআরসি আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ পূর্বক আপনাদের উদ্ধার করে সুবিধাজনক বর্ডারে পৌঁছে দেবে।’
ইউক্রেন সংকট সৃষ্টির পর এখন পর্যন্ত ৪১৮ জন বাংলাদেশি ইউক্রেন ছেড়েছেন। এর মধ্যে ৪০০ জনই পোল্যান্ডে প্রবেশ করেছেন। আর ১৫ জন হাঙ্গেরি ও ৩ জন প্রবেশ করেছেন রোমানিয়া। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ রোববার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইউক্রেন ইস্যুতে একটি আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, অর্থ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) সাব্বির আহমেদ চৌধুরী। এ ছাড়া বৈঠকে কিছুক্ষণের জন্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম যোগ দিয়েছিলেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, ইউক্রেন ইস্যুতে সেখানে থাকা বাংলাদেশি যারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করছেন, তাঁদের নিয়ে করণীয় বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কীভাবে এবং কতজন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং তাঁদের ফেরত আনতে ও সেখানে থাকাকালীন অবস্থায় বাংলাদেশ মিশনগুলোর জন্য অর্থ বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ ও সিআইএস অনুবিভাগের মহাপরিচালক শিকদার বদিরুজ্জামান বাংলাদেশিদের ইউক্রেন থেকে সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার সংখ্যা আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেন থেকে ৪০০ জন পোল্যান্ডে, ১৫ জন হাঙ্গেরি এবং ৩ জন রোমানিয়াতে প্রবেশ করেছেন। পোল্যান্ডে প্রবেশ করা ৪০০ জনের মধ্যে ৪৬ জন বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতা চেয়েছেন। তাঁরা দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। বাকিরা নিজ আত্মীয়স্বজনের কাছে গেছেন। এ ছাড়া হাঙ্গেরি ও রোমানিয়ায় প্রবেশ করা বাংলাদেশিদের সঙ্গে দূতাবাস যোগাযোগ রাখছে।
এর বাইরে ২৮ জন বাংলাদেশিকে আইসিআরসির মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইউক্রেন থেকে সীমান্ত পাড়ি দেওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে পোল্যান্ডে যাওয়ার আগ্রহ বেশি। এরপর হাঙ্গেরি। তাঁদের রোমানিয়া যাওয়ার আগ্রহ নেই বললেই চলে।’
এর কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘রোমানিয়া সেনজেনভুক্ত দেশ নয়। ফলে রোমানিয়া প্রবেশ করলে সেখান থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে যাওয়া যাবে না। তাঁদের মধ্যে পোল্যান্ডে যাওয়ার প্রবণতা বেশি, কারণ সেখান থেকে ইউরোপের যে কোনো দেশে যাওয়া সহজ। এ কারণে পোল্যান্ডে যাওয়ার সংখ্যা এখনো বেশি, সামনে আরও বেশি দেখা যাবে। তবে এ বিষয়টি উদ্বেগেরও। কারণ বাংলাদেশিরা সেখান থেকে পালিয়ে গেলে ভবিষ্যতে কোনো দেশ থেকে কোনো ধরনের সুবিধা নিতে ঝামেলায় পড়তে হবে বাংলাদেশকে।’
এ দিকে পোল্যান্ডে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস জরুরি বার্তা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেন থেকে আগত এবং বর্তমানে পোল্যান্ডে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ইউক্রেন থেকে আগত এবং বর্তমানে পোল্যান্ডে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নাম, পাসপোর্ট নম্বর, মোবাইল নম্বর এবং পূর্ণ ঠিকানাসহ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা তৌহিদ ইমাম +৪৯১৫৭৭৮৬৭৬৩৭৬ নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে অথবা ই-মেইলে ([email protected]) অতিসত্বর পাঠাতে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ইউক্রেনে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা বর্তমান পরিস্থিতিতে যে যেখানে আটকা পড়ে আছেন তাঁদের নাম, মোবাইল নম্বর এবং পূর্ণ ঠিকানা একই নম্বরে পাঠাতে বলা হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়েছে, ‘এই পরিস্থিতিতে যে যেখানে আছেন সেখানেই অবস্থান করুন পরিস্থিতি বিবেচনা করে আইসিআরসি আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ পূর্বক আপনাদের উদ্ধার করে সুবিধাজনক বর্ডারে পৌঁছে দেবে।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে যেসব মামলা চলছিল, তা সংশোধিত আইনেও চলবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। আজ সোমবার প্রসিকিউশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ -এর সংশোধনী তুলে ধরতেই সংবাদ সম্মেলনের আ
৯ ঘণ্টা আগেজুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ আরও ৪৫ জনকে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে
৯ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর বেঞ্চ রিটটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেওয়া হয়
১২ ঘণ্টা আগেসংস্কারের অংশ হিসেবে গণমাধ্যমে সাংবাদিকদের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রায়ণের পথ খোঁজা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ।
১৩ ঘণ্টা আগে